জুলেখা বাদশার মেয়ে। তার ভারী অহংকার। জুলেখার এ গল্প আপনারা জানেন। যদি বলেন, ছোটবেলার এ গল্পটি হঠাৎ করে ক্যানো জিজ্ঞেস করা। তাহলে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, এটা মোটেও জুলেখার গল্প নয়। পারুলের গল্প এটি। জুলেখাকে টেনে আনা এই কারণে যে, জুলেখার মতো পারুলেরও যে ভারী অহংকার। সে অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না তার। যদিও আমরা জানি, সে মাটির তৈরি মানুষ।
তবে পারুল কোনো রাজা বাদশা’র মেয়ে নয়। সে সিরাজগঞ্জ শহরের ধনার্ঢ্য ব্যবসায়ী আমজাদ চৌধুরীর একমাত্র মেয়ে। আপনি যদি সিরাজগঞ্জ শহরে গিয়ে কাউকে জিজ্ঞেস করেন আমজাদ চৌধুরীর কথা, তাহলে সবাই একবাক্যে আপনাকে তার বাসায় যাবার পথ দেখিয়ে দেবে। তবে বাসায় যাবার পথ চিনলেও আপনি কিন্তু সরাসরি বাসায় ঢুকতে পারবেন না। আপনাকে উর্দিপরা দারোয়ানের মুখোমুখি হতে হবে। তারপর যদি উপর থেকে অনুমতি মেলে, তাহলে মাটিকে পা ঠুকে এমন পিলে চমকানো একটা স্যালুট পাবেন, তাতে আপনার অন্তরাত্না খানিকটা ভড়কে যেতে পারে। এমন পিলে চমকানো স্যালুটের কথা যদি বলেন, তাহলে বলি, দারোয়ানদের প্রমোশন এই স্যালুটের ওপর নির্ভর করে। যে যতো জোরে পা ঠুকে স্যালুট দেয়, তার বেতন ততো বেশি।
আমজাদ চৌধুরীর বাসার গেটে এমন দারোয়ান ছাড়াও আর একটি জিনিস আপনার নজরে পড়বে, বড় করে লেখা- কুকুর হতে সাবধান কথাটি। পারুলদের এই কুকুরের নাম টম। এ গল্পে টমের কিঞ্চিত ভূমিকা আছে। তবে এখনই না। আপাতত বেচারা টম নির্ঝঞ্ঝাট দিন কাটাক।
আমজাদ চৌধুরীর বাসা মোক্তারপাড়ায়। তবে সে মোক্তার নয়, আগেই জেনেছেন ব্যবসায়ী বলে। সে ব্যবসায়ী নামের পাশে লেজুড় হিসেবে আবার চোরাচালানী কথাটা প্রচলিত আছে বাজারে। তা থাকুক। পারুলের দাদা অর্থ্যাৎ আমজাদ চৌধুরীর বাবা ছিলেন মোক্তার। যেনতেন মোক্তার নন, বেশ ডাকাবুকো ধরনের। এক নামে সবাই চিনতো। তিনিই বাড়িটা করেছিলেন। তবে পারুলের বাবা আমজাদ চৌধুরী অবশ্য এই বাড়িতে জন্ম নেননি। তিনি জন্ম নিয়েছিলেন রহমতগঞ্জের একটু ভেতরের দিকে। লেখক সুমন্ত আসলামের বাড়িতে যাওয়ার সময় আপনারা সে বাড়িটাও দেখেছেন নিশ্চয়। ওই যে উঁচু ভিটার উপরে বিশাল তেঁতুল গাছওয়ালা বাড়িটা। আমজাদ চৌধুরীর বাড়ি বিষয়ক যাবতীয় নস্টালজিয়া রহমতগঞ্জের এই বাড়িটা ঘিরে। পারুলের ছোট ফুফু রোখসানার জন্ম অবশ্য মোক্তারপাড়ার এই বাড়িতেই। রোখসানার জন্মতে পারুলের দাদা কী যে খুশি হয়েছিলেন!
এই দ্যাখেন, পারুলের গল্প বলতে গিয়ে তার মরহুম দাদার গল্প ফেঁদে বসেছি। গল্পকারদের এই এক দোষ! গল্পের লেজুড় ধরে কই যে চলে যায়, হুশ থাকে না! তবে আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি, পারুলের দাদার গল্প আর বাড়বে না। এ গল্পে তার কোনো ভূমিকা নাই। তাকে বিদায় জানাই। টাটা, বাই বাই।
একেবারেই টাটা বাই বাই জানানো মনে হয় ঠিক হলো না। আমাদের ইলিয়ট ব্রিজের আড্ডায় মাঝে মাঝে তিনি স্মরিত হতে পারেন। স্মরণ হোন বা না হোন আমরা আপাতত ইলিয়ট ব্রিজের আড্ডায় ফিরে যাই। ওহ্ হ্যাঁ, সিরাজগঞ্জ শহরের মানুষ ইলিয়ট ব্রিজকে কিন্তু বড়পুল বলে। ইলিয়ট ব্রিজ কেতাবি নাম ওটা। তাই শহরে গিয়ে ওই নামে খুঁজবেন না। বেচারা শহরের সজ্জন নাগরিকরা বিপদে পড়বেন তাহলে।
গল্প, উপন্যাস কিংবা সিনেমায় আমরা দেখেছি, বড়লোকের মেয়েরা অসাধারণ সুন্দরী হয়। আমাদের পারুলও রূপে অসাধারণ। তাই বলে একে উপন্যাস কিংবা সিনেমা ভাববেন না, প্লিজ। সিনেমা, উপন্যাসের সাথে কিঞ্চিত মিল থাকতে পারে। সিনেমা, উপন্যাসের সাথে জীবনের কত কিছুই তো মিলে যায়! তো কিছু মিল থাকুক, এটা আমাদের সিরাজগঞ্জ শহরের প্রথম হাসিনা শাসনামলের ঘটনা। এই ঘটনায় আমরা উঠতি তরুণরা হৈমবালার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। তারপর পারুলকে এক পলক দেখে হেঁটে হেঁটে বড়পুলে এসে আড্ডা দিতাম। ওহ হ্যাঁ, পারুল হৈমবালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়তো। নবম শ্রেণীতে । আর আমরা রেলওয়ে কলোনি থেকে মেট্রিক দিয়ে সবে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছি। এই বয়সে পারুলের পেছনে সময় ব্যয় করা যায়, তাই না?
পারুলদের স্কুলে অ্যাসেম্বলি হতো সাড়ে দশটায়। পারুল ঠিক সোয়া দশটায় স্কুলে আসতো। রোজকার মতো পারুলের স্কুল ব্যাগটি থাকতো বাড়ির চাকর আবুলের কাঁধে। আবুল অবশ্য গেটের সামনে পৌঁছে দিয়েই চলে যেতো। আমরা জানতাম, পারুল সোয়া দশটায় স্কুলে ঢোকে। আর বাড়ি থেকে বের হয় ৯:৫৫-এ। আর জজ কোর্টের বাম দিকটায় সাব্বির কনফেকশনারি ক্রস করে ১০টা বেজে ৩ মিনিটে। আমরা তার আগেই সাব্বির কনফেকশনারিতে এসে হাজির। তবে সবার আগে আসতো উজ্জ্বল। উজ্জ্বল ঠিক কখন আসতো আমরা তা জানতাম না। দ্বিতীয় যে আসতো সে জিজ্ঞেস করলে বলতো, এই আসলাম মাত্র। তবে সাব্বির কনফেকশনারির মালিক মওলা ভাই বলতো, উজ্জ্বল আসতো নয়টারও আগে। বেচারা উজ্জ্বল নয়টা ক্যানো, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আসুক, তাতে কারো কিছু যায় আসে কি? যেখানে ও বেচারা পারুলের প্রেমে দিশাহারা।
আমরা এবার আসল গল্পে প্রবেশ করছি। এটা পারুল আর উজ্জ্বলেরই প্রেম কাহিনী। প্রেম কাহিনীতে প্রবেশের আগে একবার কুত্তা রইফ্যাকে হাসপাতাল থেকে দেখে আসি। কুত্তা রইফ্যা পারুলদের অতি আদরের কুকুর টমের কামড় খেয়ে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ১৪টা ইনজেকশনের ডোজ নিচ্ছে। কুত্তা রইফ্যা কোর্ট এলাকার উঠতি মাস্তান। বাবা-মায়ের দেয়া নাম রফিককে সে আংরেজি উচ্চারণে ‘রাফ’ বলতো। তো এই ‘রাফ’ রফিক স্কুলটা ভালোভাবেই পাস দিয়েছিল। কিন্তু কলেজে গিয়েই ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে যায়। তারপরে যা হয়, আরো নানা কুকর্মে জড়িয়ে যায় ছেলেটা। আপনারা তো জানেন, এটা ষাটের দশক নয়। এখনকার কেউ মেনন, মতিয়া হওয়ার জন্য ছাত্র রাজনীতি করে না। এদের হওয়া চাই পিন্টু গোছের কেউ। রফিক ওরফে রাফ গেছিল ওই পথে। নিয়মিত জ্বালাতন করতো পারুলকে। স্কুলের আশপাশ থেকে বিরক্ত করতে করতে এসেছিল মোক্তার পাড়ায়, আমজাদ চৌধুরীর বাসা পর্যন্ত। কিন্তু টমের কি দোষ, সে তো আর মানুষ নয় যে মাস্তান চিনবে! না চিনে তাড়া করে এক খাবলা মাংস তুলে নিয়েছিল রফিকের থাই থেকে। সে থেকে কালীবাড়ি রোডের আকছেদ ব্যাপারির মেঝ ছেলে রফিক হয়ে গেছে কুত্তা রইফ্যা। সে যাক, তাতে আমাদের পারুল + উজ্জ্বল-এর গল্পের জন্য বরং ভালোই হয়। তবে মাস্তানির জগতে রফিকের দাম একদিনেই পড়ে যায়।
টমের হাতে রফিকের নাজেহাল হওয়ার ঘটনা চাউর হয়ে গেছিল তাড়াতাড়িই। বিশেষত পারুলের প্রণয়প্রার্থীদের মাঝে। অনেকদিন আর ওমুখো হয়নি কেউ, শুধু উজ্জ্বল ছাড়া। বেচারা উজ্জ্বল, না গিয়ে কী করবে, যেখানে একদিন পারুলকে না দেখলে সারা রাত ঘুম হতো না। যদিও আমরা জানি, ছোট দু’ভাইয়ের সাথে একই চৌকিতে ঘুমাতে হয় বলে এমনিতে ঘুম তার হতো না। সিরাজগঞ্জ ড্রেস মার্চেন্ট নামক একটি দোকানের কর্মচারী বাবার ছেলে হয়ে তিন ভাই এক চৌকিতে ঘুমানো ছাড়া সে আর কি’ইবা করতে পারে, বলুন।
কে যেন বলেছিল, লেগে থাকতে হয়। লেগে থাকলে সব হয়। সব পানিপ্রার্থীরা টমের ভয়ে এলাকা ছাড়া হলেও উজ্জ্বল ঠিক রোজ রোজ সেই আগের মতোই সাব্বির কনফেকশনারির সামনে গিয়ে দাঁড়াতো। সকাল দশটা ৩ মিনিটে পারুল সাব্বির কনফেকশনারি ক্রস করে যাওয়ার সময় দু’একবার চোখাচোখি হয়েছে। সে চোখাচোখিতে ছিল পারুলের স্পষ্ট সম্মতি। উজ্জ্বলও আর দেরি করেনি। বামুন হয়েও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল চাঁদের বুকে।
আমাদের গ্রুপের অনেকেই মনে মনে পারুলকে পছন্দ করলেও একমাত্র উজ্জ্বলই ছিল সশব্দে। প্রেমের গানগুলোর মাঝে তুমি থাকলেই সে তুমি’র জায়গায় পারুল বসিয়ে জোরে জোরে গেয়ে উঠতো। সে কারণে আমরা উজ্জ্বলকেই ওয়াকওভার দিয়েছিলাম। তবে পারুলের সাথে ওর যে কিছু একটা হয়েছে সেটা ও গোপন রেখেছিল কয়েকটা দিন। গোপন করেছিল মানে গোপন করতে পেরেছিল। বড়পুলের বামকোনার বই-বিচিত্রার সামনের আড্ডায় ওর অনুপস্থিতিই আসলে বলে দিয়েছিল সব। আর আমরা জেনেছিলাম, পারুল বিকালে মুজিব সড়কে রোকেয়া ম্যাডামের বাড়িতে ম্যাথ পড়তে যায়। উজ্জ্বলকে দেখা যায় রোকেয়া ম্যাডামের বাড়ির সামনের রাইস মিলের পাশের চায়ের দোকানটায়। পারুলের জন্য চায়ের দোকানে অপেক্ষার সময়টুকুতে উজ্জ্বল সিগারেট খাওয়া শিখে ফ্যালে। এটা নিয়ে অবশ্য আমাদের মাথা ব্যথা নাই। কারণ, আমরা যেহেতু জানি, অপেক্ষার এই প্রহরগুলো বেশ দীর্ঘ। এ সময়টুকু কিছু না কিছু করে পার করতে হয়। উজ্জ্বল না হয় সিগারেট খেয়েই পার করছে।
সিরাজগঞ্জ শহরটা আর কতো বড়ো। আমাদের হাতের তালুর মুঠোয়। তালুর রেখা ধরে আমরা দেখিয়ে দিতে পারি, কার বাড়ি কোন রোডে, হোল্ডিং নম্বর কার কতো। এই যেমন গুগল ম্যাপে আপনারা যেমন করে খুঁজে খুঁজে বের করেন, তেমন আর কি। ফলে পারুল উজ্জ্বলের প্রেম কাহিনী সবাই দেখে ফেলে। আর তা খানিকটা রসালো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে উঠতি তরুণদের মাঝে। একটা উদাহরণ দিই, তাহলে ব্যাপারটা আরো পরিস্কার হবে। সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধে, গোধূলির আবছায়া অন্ধকারে পারুল আর উজ্জ্বলকে ঘনিষ্ঠ হয়ে দেখা গেছে বলে এই তরুণরা দাবি করে। আপনারা জানেন, পারুল সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে থাকে না। এমনকি সে সময়টাতে এও দেখেছেন, সে বইয়ের ভাঁজে উজ্জ্বলের ঘোড়ায় চড়া একটি ছবি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখে। উজ্জ্বল এই ছবিটা তুলেছিল কক্সবাজারে। গেল বছর বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে। সমুদ্রের একদম পাড়েই ঘোড়ায় চড়ে আছে উজ্জ্বল। ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে পাড়ে। ছবিটা যেদিন পারুল উজ্জ্বলের কাছ থেকে নেয়, সেদিন উজ্জ্বল ছবির ডানপাশে ঝাউবনটা পেরিয়ে একটু পেছনের দিকের একটি মোটেলের কথা বলেছিল, সেখানে ব্যালকনিতে দাঁড়ালেই সমুদ্র দেখা যায়। বিয়ের পর সেখানে হানিমুনে যাবে তারা, এও জানিয়েছিল পারুলকে। আর তাই পারুল যখনই এই ছবিটার দিকে তাকায়, তখনই ঘোড়ায় চড়া উজ্জ্বল মুছে গিয়ে একটি মোটেলের ছবি ভেসে উঠতো। আহা! আমরা এখনো জানি না, পারুলের স্বপ্ন পুরণ হবে কী’না। যেখানে টাকার অহংকারী আমজাদ চৌধুরী আছেন।
উঠতি তরুণদের এইসব কান কথা একদিন আমজাদ চৌধুরীও কানে যায়। তিনি শুধু অহংকারী ছিলেন না, ছিলেন শ্রেণী সচেতন একজন মানুষ। ফলে সিনেমা, উপন্যাসে ভিলেনদের মতোই হয়ে উঠলেন আমজাদ চৌধুরী। বাংলা সিনেমায় আমরা দেখেছি, আমজাদ চৌধুরী’রা শুরুতে জয় পেলেও আখেরি বিচারে উজ্জ্বলদেরই জয় হয়। তাই বলে একে সিনেমা ভাববেন না প্লিজ! বিশ্বাস না হয়, আপনি সিরাজগঞ্জ শহরে গিয়ে জিজ্ঞেস করুন না কাউকে।
কি, সিরাজগঞ্জ শহরের কেউ বলতে পারে না পারুল-উজ্জ্বলের প্রেম কাহিনী?! কি করে বলতে পারবে, পারুল যে মোটেই পাত্তা দেয় নি উজ্জ্বলকে। কেন দেবে, বলুন, পারুলও যে আমজাদ চৌধুরী মতোই শ্রেণী সচেতন।
পারুলের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত উজ্জ্বল একদিন গাঁজায় দম দিয়ে বলেছিল, দোস্ত, তুই তো গল্প-কবিতা লিখিস, বাস্তবে নাইবা পেলাম পারুলকে। কিন্তু গল্পে তুই তো পারুলকে পাইয়ে দিতে পারিস!
সামান্য গল্প লিখিয়ে হলেও বন্ধুর এই আবদারটুকু তো পুরণ করতেই পারি, কি বলেন?
মন্তব্য
- হ। দাবী পূরণ কর্তে গিয়া কৈ লেখবেন, "অবশেষে তাহারা সুখে-অসুখে, শান্তি-ঝগড়ায় দিনাতিপাত করিতে লাগিলো...!" তা-না, দিলেন ব্যাটা উজ্জলের হাতে বাবা ভোলানাথের প্রসাদ ধরাইয়া। এইটা একটা কাম হইলো?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূগোদা, আমার কুনু দুষ নাই। সব দুষ ব্যাটা বনফুলের। ওই ব্যাটাই আমারে দিয়া এমুন কইরা কইয়াচে।
আপনার গল্প বলার ধরণ খুবই ভাল লাগল। আর ইয়ে মানে, পারুলকে আমারও খুব পছন্দ হইসে। আপনি তো বস গল্প-লিখিয়ে, দেন না আমাকেও পারুলের সাথে একটু... মানে... ইয়ে... আর কী...
পাগলকে দিলেন নৌকা দুলিয়ে। যান, লিখে দিমুনে একখান। তয় পারুল না, কারো একজনের কাজিনা'রে নিয়া। খুশি তো এবার।
খুশি তো হইতেই চাই, কিন্তু একটু সতর্ক-ও থাকতে চাচ্ছি! ভয়-ও ধরায়া দিলেন! না জানি কী লেখেন "কাজিনা" নিয়া। তবে আমারে শেষ পর্যন্ত হিরো বানায়া দিলে আর কাজিনাকে আমারে দিলে, আমার কোনই আপত্তি নাই
কাজিনা'র ডিটেইল প্রাইভেট মেসেজে পাঠিয়ে দেন। আর হ্যাঁ 4R ছবিও কিন্তু লাগবো।
ডিটেইল কইতে পারব না। আপনি গল্প-লিখিয়ে। মনের মাধুরী মিশায়া লিখবেন
নেন, নিচে একটা ছবি দিলাম–
পান্থ, পরবর্তী কাজিনা'র গল্পে বিডিআর-রে তো নায়ক বানাইবেন, কিন্তু ভিলেন সালমান খান'রে সামলাইতে পারবেন তো..?
গল্প লেখার আগে হেলমেটটা মাথায় লাগাইয়া লেখতে বইসেন..!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এইডা কিডা?
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাইজান এইডা ক্যাটরিনা কাইফ
বাড়ী সিরাজগঞ্জ?
...........................
Every Picture Tells a Story
ভাইজান, এর জবাব আমার কাছে নাই, কারণ আপনে এখন মুমুয়িত প্রশ্ন করা শুরু করে দিসেন (এখন আবার জিগায়েন না "মুমুয়িত প্রশ্ন" কি?)
"মুমুয়িত প্রশ্ন" কি?
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কনফু ভাই মুমুয়িত প্রশ্ন মানে যার উত্তর একমাত্র আমি জানি।
মুস্তাফিজ ভাই জ্বী ওনার বাড়ি সিরাজগঞ্জ, কন্কানদীর পাশের রাস্তা দিয়ে সোজা হেটে গিয়ে ডান দিকের মুদির দোকানের ওপোজিটের গলির ভিতর দিয়ে গেলে যে বাশঝারটা পরে তার অন্য পাশের রাস্তার একদম শেষ মাথায় গেলে যে ধানের খেত তা পার হলেই ওদের বাড়ি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
হা হা হা.. মুস্তাফিজ ভাই আর কনফু ভাই - দুইজনই মনে হয় জবাব পেয়ে গেছেন
কন্কানদীতে কি এখন স্টিমার চলে মুমুপা?
বিডিয়ার... ভাইনা ভালা... আমারে ও এইরকম একটা কাজিন দাওনা!!
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
যাও, আমার আরেকজন খুব পছন্দের "কাজিনা" তোমারে দিলাম
হৈ মিয়া.... আপনার ভাবির ছবি দিছেন, আমারে জিগাইছেন? ফটুক পাল্টান শিগগিরি
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
হে হে, রান্টু ভাই, আপনে কি বস এখন দাঁতের ডাক্তারের ওখানে? জাইগা জাইগা স্বপন দেখতেসেন মনে হইতেসে!
মনে হলো আরেকটু ছোট হলে বেশি ভালো লাগতো, পান্থ।
তবে বনফুলের স্টাইল বলে কথা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আরে গল্প লিখিয়ে তো আমি! লেখার সময় কি খেই থাকে?
পান্থ, সামনাসামনি তো কইছিলাম-ই গল্প পড়তে শুরু কইরাই, তা-ও এখনও আরো একটু বেশি-কম-প্লিমেন্ট শুনবা?
ব্লগ লেখার জন্য না, কপিরাইটিং-এর জন্যও না, তোমার আসলে জন্ম হইছে গল্প লেখার জন্য। সো, লিখতে তোমাকে হবেই। তাই, জসীম বলো আর কুত্তা রইফ্যা কিংবা উজ্জ্বল বলো, তোমাকে কেউ না কেউ এমন মনোহারী গল্প লিখিয়েই ছাড়বে, লেখাতেই থাকবে। আমিও সেটাই আশা এবং কামনা করি।
আরেকটা মজার কথা আছে তোমার লেইগা। শুনো। এই সত্য-সত্য-গল্প-জল্প স্টাইল-টা খুবই সুন্দর- তুমি অনেক অনেক ভালোই মাস্টার করছো এইটাও। গল্পটা শুধু লেখা আর পড়া মনে হয় না এতে, জ্বলজ্যান্ত দেখাও মনে হয় খুব ক'রে। বানানো মনে হয় না একদমই, সত্য বর্ণনা মনে হয়, তাই মোহ আর মোহভঙ্গ দুইটাই অনেক মজা ক'রে হয় এইভাবে করলে।
তাই/তবে, ভরা মজলিশ-এ একটা ডিসক্লেইমার দিয়া রাখতেসি এইখানে। আমি যেই উপন্যাস-টায় হাত দিসি এবং ইন ফ্যাক্ট যেইটার প্রিল্যুড-টা লিখে রাখছি আরো মাস তিনেক আগে, সেইটারও কিন্তু বর্ণনাভঙ্গিতে আরো অনেক এক্সপেরিমেন্ট-এর মধ্যে এই ধারারও একটু অ্যাসিমিলেশন অন্তর্ভুক্ত থাকতেছে শুরু থেকেই। কেউ কিন্তু আমারে সন্ধ করন চলবো না কইয়া দিলাম, হ্যাঁ। 'কলা খাই না'ই ব'লে গেলাম আগ বাড়িয়ে, কারণ আমি সত্যিই কলা খাইতে পারি না। [একটা যদি পাই, অম্নি আমার বান্দররে খাওয়াই ;)]
অনেক সুন্দর হইছে লেখা, আরো একবার কইয়া গেলাম, হুম।
চলুক পান্থ। আরো বাড়ুক তোমার গল্পদের এই মধুর দৌরাত্ন।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এত্তো বড়ো কমপ্লিমেন্ট!
আমার তো কেমন লাগছে, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না সাইফুল ভাই।
লেখালেখিকে কোনকালেই সিরিয়াসলি নিইনি আমি। মাঝে-মধ্যে লিখতে ভালো লাগে, তাই লিখি। আপনার কমেন্ট পড়ে মনে হচ্ছে, লেখালেখিকে খানিকটা সিরিয়াসলি নেয়া যায়।
অবশ্যই সিরিয়াসলি নেয়া যায়।
তবে, এখনকার চে' খুব বেশি বাড়ানো উচিত হবে না সিরিয়াসনেস। তাইলে পরে সিরিয়াস কাঞ্চনের মতো পাগল হয়ে যাইতে পারো। প্রতিভা-টা শুধু শুধু হাটে মারা যাবে।
হুম, কিপ আপ।
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
এই গল্পের জন্য পান্থ'র একটা স্প্রাইট পাওনা রইলো।
বাকীর খাতায় শূন্য ফাঁকি।
বাকী নাই, তাড়াতাড়ি স্পাইট ছাড়েন।
হ্যামিলনের বাঁশীওয়ালার মতো খেলিয়ে খেলিয়ে দারুন একটি গল্পের রাস্তায় আমাদেরকে ঘুরিয়ে নিয়ে এলেন। চমত্কার!এই না হলে গল্প লিখিয়ে!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
ভালো লাগল গল্পটা, বিশেষ করে গল্প বলার ধরণটা
---------------------------------------------------------------------------
If your father is a poor man, it's not your fault ; but If your father-in-Law is a poor man, it's definitely your fault.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
থ্যাঙ্কু রান্টু ভাই।
চমৎকার লাগল।
ধন্যবাদ অনিন্দিতা দি।
আপনার কমেন্ট দেখি, কিন্তু লেখা তেমন একটা দেখি না ক্যান?
"কিন্তু লেখা তেমন একটা দেখি না ক্যান?"
তেমন একটা মানে কি, পান্থ?
আদৌ কি দেখেছেন কখনো? আধখানও?
কমেন্ট দেখে বোঝা যায় লেখার হাত দারুণ। কিন্তু লিখে না ক্যান কে জানে?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অতি চমতকার লাগলো গল্পটা।
পান্থ
আরো বেশী বেশী লিখুন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
দুরো, আমি বেশি বেশি লিখি, আপনি কম কম লেখেন।
আপনি এবার বেশি বেশি লেখেন।
কিয়ের মধ্যে কি! আসলাম গল্প পড়তে। এসে দেখি সব বেপর্দা নারীর আনাগোণা।
পান্থ ভাই, লেখার ঢং টা চমৎকার লাগসে।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
সব বেপর্দা নারীর আনাগোনার তেব্র নিন্দা জানাই। সব দোষ বিডিআরের।
চমৎকার লাগলো পড়ে।
পান্থ তো দারুণ গল্প বলেন!
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
কি যে বলেন, স্টোরিটেলিং কোয়ালিটি আমার মধ্যে একদমই নাই। গল্প বলতে পারি না বলেই সেদিন খানিকটা বকাঝকা খেলাম অফিসের এক বসের সাথে। সময় দিছে কয়েকটা দিন, এরমধ্যেই নাকি শিখে নিতে হবে জমিয়ে গল্প বলার কৃতকৌশল। না পারলে খবর আছে আমার!
বাহ্। গল্পের আগাগোড়া মজা অটুট ছিল।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
ছিল নাকি মুজিব ভাই?
দারুন লাগল পান্থ ভাই, খুবি ভাল লাগল গল্পটা, লেখার ধরনটাও দারুন, মনেহোল যেন সামনে বসে গল্পটা বললেন।
এমন গল্প আরো পড়তে চাই
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
এমন গল্প পড়তে চাইলে কাজিনা বিষয়ক ইনফরমেশন দেন। জলদি!
বিডিআর ভাইকে নিয়া আরেকখান গল্প ফেঁদে ফেলি।
এই পান্থরে নিয়াই বাংলা সিনেমার তৈরি হইসিল- দোস্ত দুশমন (তার আগে হিন্দি?)
নাইলে এতো কইরা দোস্ত কইলো প্রেম কাহিনী লিখতে
আর সে কি না লিখল ছ্যাকুগাঞ্জার প্রেম
পান্থরে নিয়াই বাংলা সিনেমা হইছিল? আগে কইবেন না। সচলে শুটিংয়ের (কাটপিসসহ) লাইভ প্রচারের ব্যবস্থা করতাম।
নতুন মন্তব্য করুন