শার্প ৩:৪৫।
মেসেজটা পড়ল শাহরিয়ার মামুন। টুশি’র মেসেজ। যদি জানতে চান শার্প ৩:৪৫টা মানে তিনটা বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিটই বুঝিয়েছে টুশি। নট নড়নচড়ন। তবে টুশি এক ঘণ্টা পড়ে আসুক, তাতে সমস্যা নাই। কিন্তু মামুন দেরি করেছে মানে ওই দিনের আনন্দটাই মাটি হয়ে গেছে।
এখন আড়াইটা বাজে। মাত্রই খেয়ে এসেছে মামুন। ভাবছিল সৈয়দ দেলগীরের ‘অন্তস্থ পৃথিবী’ বইটা পড়বে কী’না। গতরাতে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছিল। উপন্যাসের রেজওয়ানা’র বাস্তব-অবাস্তব জগতের বিভ্রমটা তার কাছে দারুণ লাগছিল। এখন তাই ভাবলো দেখি, রেজওয়ানার ব্যাপারটা কোথায় গিয়ে গড়ায়। কিন্তু বৈশাখের এই ম্যাড়ম্যাড়ে দুপুরে চোখে ঘুম এসে ভর করেছে। বইটা পড়তে মন সায় দিচ্ছে না। মামুন ভাবে, একটু ঘুমিয়েই নেয়া যাক বরং। এমন সময় টুশি’র মেসেজ। টুশি’র মেসেজ এসে ঘুমানোর বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গেল। কারণ এখন ঘুমিয়ে পড়া মানে মামুনের গোধূলি সন্ধ্যাটা ছুঁয়ে ফেলা। পৃথিবী উল্টে যাক, মামুনকে জাগানো যাবে না। এটা বেচারা মামুন যেমন জানে, তেমনি আমি আপনিও জানি। তবে টুশি জানে কী’না তা আমরা এখনো জানি না। যেহেতু, টুশির সাথে আমাদের পরিচয় নেই। তার চেয়ে চলুন, টুশি’র সাথে পরিচিত হতে আমরা চারুকলার ছোট পন্ডের কাছ থেকে ঘুরে আসি। টুশি শার্প ৩:৪৫-এ ওখানেই মামুনের জন্য অপেক্ষা করবে।
০২.
মামুন রিক্সা করে যখন চারুকলার গেটে নামলো তখন টুশি’র শার্প সময়টা তারও পাঁচ মিনিট আগে পার হয়ে গেছে। ঢাকা শহরের যানজটকে মামুন আরেকবার অভিশাপ দিল। তা দিক, এরকম অভিশাপ তো আমি আপনি প্রতিদিনই দিচ্ছি। তাতে ঢাকা শহরের কিচ্ছু যায় আসে না। তবে রিক্সাওয়ালাদের যায় বুঝি। এজন্য রেওয়াজ মাফিক অন্যান্যদিনের মতো বুড়ো রিক্সাওয়ালাকে পনের টাকা দিলে বেঁকে বসলো সে। তার দাবি, ভাড়া বিশ টাকা। মামুন প্রায় দিনই এখানে আসে। প্রথামাফিক পনের টাকা করে ভাড়া দেয়। আজ কী আপদ। বিশ টাকার কম নেবে না। এমনিতে ঠিকসময় মতো আসতে না পারায় মেজাজ পুরো বিলা হয়ে আছে। এখন আবার ভাড়া নিয়া ক্যাচাল। পোস্টবক্সের পাশেই বসে ছিল রাশেদরা। মামুন তাদের বললো, ‘এই যে ভাই, হাতিরপুল থেকে এখানকার ভাড়া কত?’ মামুনের প্রশ্নের উত্তর দিতে এগিয়ে এলো রাশেদ।
‘ঘটনা কী’, মামুনের কাছে জানতে চায় রাশেদ।
‘হাতিরপুল থেকে এখানকার ভাড়া পনের টাকা, রিক্সাওয়ালা চায় বিশ টাকা।’
‘ভাড়া তো পঁচিশ টাকা। বিশ টাকা চাইছে, কমই চাইছে, দিয়া দ্যান’।
রাশেদের কথায় মামুনের তুমুল রাগ হয়। কিন্তু কিছু বলতে পারে না সে। এদের চেনে মামুন। চারুকলার দাদাভাই টাইপের লোক এরা। টুশিরও পরিচিত। তাই মানিব্যাগ থেকে আরো পাঁচ টাকা বের করে রিক্সাওয়াকে দিয়ে চারুকলার ভিতরে ঢোকে। মামুন চারুকলার গেট পেরুতো পেরুতো রাশেদদের হাসির উচ্চস্বর শোনে। আর তার শরীর জ্বলতে থাকে।
০৩.
টুশি বসে আছে ছোট পন্ডের পাশে। আর বারবার কব্জি উল্টিয়ে ঘড়ি দেখছে। ইশ! এখনো আসছে না মামুন। আজ আসুক খবর আছে। ঠিক সে সময়েই দেখা মেলে মামুনের। টুশি মুঠো পাকায়। যেন একটা ঘুষি মেরে মামুনের বোঁচা নাক ভোঁতা করে দেবে। কিন্তু মামুনের থমথমে মুখ দেখে কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায়।
‘কি হইছে, কোথায় কার সাথে গ্যাঞ্জাম করে এলে’ টুশি বলে।
‘সব তোমাদের বড়ভাইয়া’রা। সবসময় দাদাগিরি ফলাইতে চায়। সরি, তোমার কাছে এসব বলে কী লাভ। তোমার সাথে তো আবার তাদের...।’
‘অ্যাই, ভালো হবে না বলছি।’
‘বাদ দাও, তার চেয়ে চলো হাঁটি।’
এটি নাটক সিনেমার গল্প নয়। সে রকম হলে হয়তো আমরা এখানে একটা নাচ-গানের আয়োজন দেখতে পেতাম। তবে আমরা চোখ বুজে টুশি আর মামুনের সেরকম কোনো দৃশ্য তো কল্পনা করতেই পারি, কী বলেন?
০৪.
আমি ডিরেক্টর নই। তবুও টুশি আর মামুনকে নিয়ে আপনাদের কল্প-গানে কাট বলতে হচ্ছে। কারণ যদি জানতে চান তবে বলি, টুশির একটা ফোন কল এসেছে। সুজনের ফোন। গানের শুটিং-এ ফোন বেজে ওঠা, কোন ডিরেক্টর সহ্য করবে বলুন। ফলে বলতেই হচ্ছে- কাট। কিন্তু টুশি-মামুনের গল্পে আবার সুজন এলো কোথা থেকে। হুমম! টুশি’র প্রেমিক। তাহলে মামুন কে? লাখ টাকা দামের প্রশ্ন। আপাতত উত্তর হচ্ছে, সেও টুশি’র প্রেমিক। তবে আসল প্রেমিক কে তা যথাসময়ে জানবেন। এখন টুশি’র সাথে মামুনের প্রেমপর্বের শুরুর গল্প বলতে পারি, যদি জানতে চান। বলবো নাকি? আচ্ছা, বলিই।
০৫.
টুশিকে আপনারা যদি চারুকলার ছাত্রী ভেবে থাকেন, দয়া করে ভাবনাটা এখনই বন্ধ করুন। টুশি চারুকলার ছাত্রী না। চারুকলায় তো কতজনই আড্ডা দিতে যায়, টুশিও তেমন আড্ডা দিতে গেছে। তবে তা কালেভদ্রে না, একটু ঘনঘনই। সে কারণে চারুকলার কারো কারো সাথে একটু আধটু খাতির জমেছে। তবে খাতির জমার পেছনে তার চেহারা একটা ফ্যাক্টর অবশ্য। এমন সুন্দর মেয়ে রেলিং-এ ঝুঁকে দাঁড়িয়ে থাকলে, পাশে থাকা ছেলেরা তো টাংকি মারতে চাইবেই। আর সেই টাংকিবাজি থেকে কারো কারো সাথে পরিচিত হয়ে উঠা। চারুকলার সাথে টুশি’র পরিচয় এইটুকুতেই সীমাবদ্ধ। ছবি আকাঁ তার কর্ম নয়। ছোটবেলায় ড্রইং ক্লাস ছাড়া ছবি এঁকেছে বলে মনেও করতে পারে না। কলেজে অংকের ভয়ে পরিসংখ্যানটাও নেয়া হয়নি। এ কারণে পারমিউটেশন-কম্বিনেশনও জানা হয়নি তার। তবে কিভাবে কিভাবে যেন মোবাইলের কিবোর্ডের বাটন টিপে টিপে ছেলেদের নাম্বার বের করতে পারে। হয়তো কোনো কার্যকারণ ছাড়াই মিলে যায়। এমনি করেই একদিন নাম্বার টিপে টিপে ফোন দেয়। ওদিকে মামুনের ফোন বেজে ওঠে। মামুন তখন অফিসে দারুণ কাজে ব্যস্ত। আমি আপনি হলে হয়তো বলতাম, দৌড়ের উপরে। কিন্তু মামুনের বিদেশি সওদাগরি অফিস। সেখানে আবার দৌড়ের উপর কী! বরং কাজই জীবন, এই তত্ত্ব মেনে চলাই উত্তম। মামুন সুরেলা কণ্ঠের রিনিঝিনি শুনে, ‘একটু ব্যস্ত, পরে ব্যাক করছি বলে’ ফোন রেখে দিয়েও কোনো কাজে মন বসাতে পারে না। ফলে লাঞ্চের সময় সুরেলা কণ্ঠের কাছে যেতেই হয় তাকে। এই যাওয়াটা মানে যে প্রেমে পড়া হবে, তখন তা কে বুঝেছিল! শাহরিয়ার মামুনও বোঝেনি! বোঝেনি সুজনও। ওহ্ হো, সুজনের কথা তো আপনাদের বলা হয়নি।
০৬.
সুজন ঢাকা কলেজের একটি ছাত্র সংগঠনের ডাকসাইটে ছাত্রনেতা। সুজন অবশ্য নিজেকে ছাত্র পরিচয় দিতেই বেশি আনন্দবোধ করে। তা করুক, তবে আপনি যদি নিউমার্কেট আর ঢাকা কলেজের সামনের মার্কেটগুলোতে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন সুজনের ব্যাপারে, তাহলে সবাই আপনার দিকে সন্দেহের চোখে তাকাবে। ভাববে, সন্ত্রাসী সুজনের আরেক চ্যালা এলো বুঝি। হুমম! এমন সন্ত্রাসী সুজনের সাথে টুশি’র সম্পর্ক হলো কেমন করে, আপনি এমনটিই হয়তো ভাবছেন। আপনার জ্ঞাতার্থে জানাই, সুজন টুশি’র খালাতো ভাই। বাংলাদেশে কাজিনদের মধ্যে প্রেম-প্রীতি তো আকছারই ঘটে। সুজন আর টুশি’র মধ্যেও তাই ঘটেছিল। তখন সুজন ভালো ছাত্র ছিল। ইন্টারমিডিয়েটে স্টারমার্ক পেয়েছিল। স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া। কিন্তু পরীক্ষার আগে একটা কঠিন অসুখ সুজনের স্বপ্নের হিসেবনিকেশ পাল্টে দিল। পরে অবশ্য রাজশাহীতে চান্স পেয়েছিল। কিন্তু ঢাকার আলো ঝলমলে দিন রেখে কে যায় রাজশাহীর মতো অজপাড়াগাঁয়ে, বলুন! সুজনও যায় নি। ঢাকায় থাকতে তাই ঢাকা কলেজেই ভর্তি হয়েছিল। একদিন সুজনের বন্ধু পিচ্চি কামাল বলে, ‘ঢাকা কলেজের আসল মজা নিতে চাইলে হলে উঠ।’ বন্ধুর কথাকে দিব্য সত্য মেনে সুজন হলে উঠে। কেন না, কামালের মুখে হল লাইফের গল্প শুনে সে কিছুটা অ্যাডভেঞ্চারাস হয়েছিল এতোদিনে। পলিটিক্যাল এক বড় ভাইকে ধরে হলে উঠলে সুজনের স্থান হয় সাউথ হলের গণরুমে। একসাথে কয়জন যে থাকে, সেটা গুণতে গেলে আপনার হাতের কড় ফুরিয়ে যাবে। তা যাক। ততদিনে অবশ্য সুজন হল লাইফের আস্বাদ যে পেয়ে গেছে! আর তাগড়া শরীর-স্বাস্থ্যের কারণে ছাত্রনেতা আলীম ভাইয়ের প্রশ্রয়ও পাচ্ছে ষোলআনা। সুজনকে আর পায় কে!
০৭.
সুজনকে অবশ্য টুশি পেয়েছিল। প্রথমদিকে বেশ সুখীই ছিল সে। কিন্তু পরে সুখ আর স্থায়ী হয়নি। কেননা, সুজন ততদিনে বিপথে গেছে। সুজনদের দল সরকারে। নিউমার্কেট আর ঢাকা কলেজের আশেপাশের মার্কেটগুলোর চাঁদাবাজি সুজনের নিয়ন্ত্রণে। একদিন পত্রিকায় সচিত্র রিপোর্টও বের হলো। তাই দেখে টুশি সুজনকে ধরে অনেক কান্নাকাটি। এতে অবশ্য লাভ হয়নি। সুজন কয়েকদিন আত্মগোপনে থাকলো। আর সেই আত্মগোপনে থেকেই পরিচিত হলো চোরাকারবারী হেলাল চৌধুরীর সাথে। সুজন দেখলো, নিজেকে আড়ালে রেখে কাজকর্মে এই এক লাভ। কেউ চিনছে না। হাত মেলালো হেলাল চৌধুরীর সাথে। প্রথমে চালানে কক্সবাজার দিয়ে আসলো হিরোইনের প্যাকেট। ফ্ল্যাটও হলো ধানমন্ডিতে। সেই ফ্ল্যাটে মাঝে মধ্যে টুশি আসে। নানা শলাপরামর্শ হয়। তবে সেই শলাপরামর্শ সবই কাজের, যদি জানতে চান। কেন না, সুজন টুশিকে ততদিনে নিজের কাজে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। টুশিকে ব্যবহারের লাভ হলো পুলিশ কিংবা র্যাব কেউ-ই সহজে সন্দেহ করে না।
০৮.
টুশিকে সন্দেহ না করুক, মামুনকে করতেই পারে। তবে সেটা পুলিশ সন্দেহ করেনি। করেছিল র্যাবের ডগ স্কোয়াড। কিভাবে, তা জানতে আমাদের একটু যে ফ্ল্যাশব্যাক করতে হয়।
০৯.
বিদেশি সওদাগরি অফিসে চাকরি করে বলেই মামুন পুরোপুরি কর্পোরেট হয়ে গেছে, এমনটি কিন্তু নয়। মধ্যবিত্তসুলভ একটা ব্যাপার-স্যাপার তার মধ্যে ষোলআনা বরাবরই আছে। এজন্যই টুশিকে নিয়ে এক বিকেলে দৃকে যায় ছবিমেলা-৫ উৎসবে। বিদেশি এক আলোকচিত্রীর সমুদ্র পাড়ের এক ছবি দেখে টুশি দারুণ মুগ্ধ হয়। টুশি’র মুগ্ধতা মামুনকেও ছুঁয়ে যায়। মামুন টুশিকে নিয়ে কক্সবাজার যাবার কথা বললে মামুনকে অবাক করে দিয়ে টুশি রাজি হয়ে যায়। পরিকল্পনাও হয়ে যায় তখ্খুনি। সামনের উইকএন্ডে তারা কক্সবাজার ঘুরতে যাবে। পরিকল্পনা ঠিক হলেও মামুন একটু দমে যায় ব্যাপারটায়। একজন মেয়েকে নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে যাবে! কিন্তু টুশি সবকিছু উড়িয়ে দেয়। বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে বলে বাড়িতেও রাজি করিয়ে ফেলে।
১০.
অবশেষে উইকএন্ড আসে, আসে যাত্রা লগ্নও। তবুও দোনামোনা ভাব যায় না মামুনের। বুকের কোথায় যেন একটা খচখচানি রয়ে যায়। মামুন টুশিকে ফোন দেয়। টুশি রেডি। আরো বলে, ‘তোমাকে তুলে নিতে হবে না। আমি নিজেই যথাসময়ে কাউন্টারে পৌঁছে যাবো।’ যদিও টুশি'র আগেই রাজারবাগ সোহাগ কাউন্টারে পৌঁছে যায় মামুন। ঘড়ি দেখে, গাড়ি ছাড়ার আর বেশি সময় নাই। কিন্তু টুশির ক্যানো দেরি হচ্ছে? টুশিকে ফোন করে সে। টুশি রিক্সা করে আসছে। তবে পাড়ার মোড়ে আলম স্টোরের সামনে এসে রিক্সাটা থামে। দোকানের চিপা থেকে বের হয় সুজন। একটা প্যাকেট টুশি'র হাতে তুলে দেয়। তারপর টুশি'র রিক্সা রাজারবাগ কাউন্টারে এসে পৌঁছায়। মামুন কাউন্টারে বসেই ছিল। টুশি কাউন্টারে ঢুকে প্যাকেটটি মামুনের হাতে দিয়ে ওয়াশরুমে যায়।
১১.
র্যাবের কাছে গোপনসুত্রে খবর এসেছে, সোহাগ গাড়ির মাধ্যমে আজ কক্সবাজারে হীরে পাচার হচ্ছে। কর্ণেল রুমনের নেতৃত্বে র্যাবের একটি দল আসে রাজারবাগ সোহাগ কাউন্টারে। ডগ স্কোয়ার্ডও আছে সাথে। কাউন্টারে ঢুকেই একটি কুকুর গিয়ে মামুনের হাতে রাখা টুশি'র প্যাকেটটির উপর লাফিয়ে পড়ে। কর্ণেল রুমন প্যাকেটটি খুলে দেখে, প্যাকেটের ভেতরে একটা বই। বইয়ের মলাটের ভিতরের পৃষ্ঠাগুলো ইঞ্চিতিনেক বর্গাকার করে কাটা। কাটা পৃষ্ঠাগুলোর ওপরের পাতাটি আঠা দিয়ে লাগানো। সে পাতাটি তুলে ফেললে একটা গর্ত দেখা যায়। সেখানে হীরের রাখা। আপনিই বলুন, এমন হীরে পাচারকারী মামুনের কী হতে পারে!
[ প্রিয় ব্লগার অতন্দ্র প্রহরী’র দাবি ছিল, তাকে নিয়ে একটা গল্প লিখতে। গল্পটি তার জীবনেরই। তবে ৫০% সত্য। আর বাকী ৫০% আমার কল্পনা। অপ্র’র জন্মদিনে দাবী মেটানো একটা মোক্ষম উপলক্ষ্য, কী বলেন? ]
মন্তব্য
আচ্ছা, এই বিকেল ছটার সময় আমি পান্থ'র একই লেখা দুইবার দেখছি কেন?? -
মহা
------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হ, প্রথমবার পোস্ট করলে কী এক মেসেজ দেখাইলো, পরে আবার পোস্ট দিলাম। নীড়পাতায় গিয়া দেখি, ডাবল হইছে। একটা ঘ্যাচাৎমেরে দিলাম।
আহা ! গল্পটার মাত্র ৫০% সত্য ! হতাশ !!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণদা, নিবিড়কে ধরেন। ওই ব্যাটাই আমাকে ৫০% সত্য ইনফরমেশন দিছে।
দিলেন তো প্রহরী ভাইয়ের ইজ্জতের ফালুদা বানায়া
গল্পের চরিত্রগুলার কথা পড়েতো সন্দেহ হয় সত্য নাকি আবার
চারুকলাটা তাইলে পাকাপাকি হয়ে গেল
টুশির ব্যাপারে জাতি আর কিছু জানতে চায়
আর রাশেদ নামের পোলাগুলা খুব খ্রাপ
আর গল্প টা ভাল লাগছে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
টুশির ব্যাপারে আর বেশি কিছু বলা বারণ। স্বয়ং টুশি-ই ফোন করে ঝাড়ি দিছে।
আবার জানতে চেয়েনো ফোন নাম্বার ক্যামনে পাইলাম।
আসলেই রাশেদ নামের পোলাগুলা চ্রম খারাপ। আমার চক্ষে দেখা।
র্যাবের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসেই কি মামুন তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট চেঞ্জ করলো?
ঐ মিয়া! টুশির ছবি কৈ? গল্প ৫০% সত্য হলে, ছবির ৫০% তো দেওয়া উচিত, নাকি?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আমার অফিস ফেসবুক বন্ধ কইরা দিছে। তাই কইবার পারি না, মামুনের খোমাখাতার একাউন্ট চেঞ্জ হইছে কী'না।
পান্থ, তারেক'র মনোবাঞ্চা পুরাণার্থে তোমাকে টুশি'র অর্ধেক ছবি হলেও দেয়া উচিত্ ।
মজা পেলাম পড়ে । ভালো লাগলো ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
টুশি'র ছবি যাতে না দিই সেকারণে প্রহরী আমারে শর্মা হাউজে খাওয়াইছে। ঘুষ খেয়ে নিমকহারামি তো আর করা যায় না।
সচলায়তনে কি অন্যের লেখার সমালোচনা করা জায়েজ?
যদি হয় তাহলে দুই একটা কথা বলতাম সরল মনে। আর যদি খালি পিঠ চাপড়ানোই আদত হয় সেক্ষেত্রে বিশেষ কিছু বলার নাই। মাইন্ড খাইয়েন না ভাইজান,আপন মনে করে বলি, গল্পটা আমার কাছে একটু খাপছাড়া লেগেছে, বিশেষ করে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে হীরে পাচার আর তা হাতে নাতে ধরতে কর্ণেল সাহেবের অধীনে ডগ স্কোয়াডের আগমন ব্যাপারটা কিছুই বুঝলাম না। এমন কোন ডগ স্কোয়াড দুনিয়াতে আছে বলে জানা ছিলনা। সাহিত্যের স্বার্থেই আমাদের এই সব ডিটেইলসের দিকে মনোযোগী হ ওয়া উচিৎ। আর গল্পের শুরুর দিকটা পড়ে ধারনা হয়েছিল যে আমার নেমসেক বুঝি হেরোইন পাচারের সাথে জড়িত, শেষের দিকে এসে তা কি করে হীরে হয়ে গেল সেটাও একটা রহস্য।
তবে রিক্সাওয়ালার সাথে সংঘাতটা ভালো লাগছে, এক্কেবারে জীবন থেকে নেয়া।
দাদা, হিরোইন পাচার করছে তো সুজন। এবং হিরোইন পাচার কইরা ধানমন্ডিতে একটা ফ্ল্যাটও কিনছে। আর পরের প্রজেক্ট হচ্ছে হীরে পাচার করা। টুশির মাধ্যমে এটা করতে গিয়েই ধরা পড়েছে ডগ স্কোয়াডের হাতে।। এখানে এসে একটু তাড়াহুরা হইছে, এটা আমিও জানি। কিন্তু ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, প্রহরী'র জন্মদিনটা পার হয়ে যাইতেছে। তাই পোস্টাইছি।
আর সমালোচনা তো শতভাগ জায়েজ, তা রানাপু' নিচের কমেন্টে তো বলছেই। সমালোচনা থেকে শুধরিয়েই তো আমার মতো নবীশদের সামনে এগিয়ে চলা নাকি?
গল্পটা চেনা চেনা লাগলো রে পান্থ?
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এ গল্প আপনার জলজ্যান্ত চেনা।
পান্থ জানাল গল্পকারদের কাছে ভেবে চিন্তে অল্প নয়ই একদম কথা না বলাই ভালো।
তবে ভালো শোনার দাবীদার..........হোক কমেন্টস ঘরে কিংবা যেমন করেই হোক টুশি'র ছবি দরকার মাটুশি হোক তাতে কি!
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
নিজের চোরাকারবার ঢাকার জন্যই তাহলে মামুন প্রহরী নাম নিয়ে আমাদের ধোঁকা দিলো?
হইতারে! দাঁড়ান, কর্নেল রুমনের কাছ থিক্যা এর সত্যতা জানার চেষ্টা করি।
মিয়া, সেই প্রাগৈতিহাসিক আমলে কইসিলাম মুমুর কাজিনাদের নিয়া একটা গল্প লিখেন সম্ভব হইলে। তখন তো ঠিকই আশ্বাস দিসিলেন। আর এখন আপনি ১৫০% ভুয়া তথ্য দিয়া গল্প লিখা আবার কইতেসেন ৫০% সত্য! নাহ্, আল্লাহর দুনিয়ায় দেখি ন্যায়নীতি বলতে কিছু নাই।
শাহরিয়ার মামুন ভালু ছেলে। তার সুনাম ব্যাহত করার জন্য গল্পের নামে তার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, অসংগতিপূর্ণ তথ্য প্রচারের দায়ে বাংলাদেশ বালক আইন ২০০২ এর ৬৬(খ) ধারা অনুযায়ী পান্থ রহমান রেজাকে আগামী বিশ বছর নিজ হাতে কাপড় ধোয়া, মশলা বাটা এবং মশারি টাঙানোর হুকুম জারি করা হলো। আদেশ অমান্যক্রমে তাকে টানা তিরিশ মিনিট তিশমার গান শুনিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়ার ঘোষণা দেয়া হলো।
নিছক ১০০% বানানো এই গল্পটা পড়তে কিন্তু খুব মজাই লাগল
পান্থ'র হাত বাধা নাই, পান্থ'র চোখ খোলা। পান্থ ভয় পায় না কোনো রক্তচক্ষুর। পান্থ যা লেখে তা সত্য-ই লেখে।:P
"ট" অক্ষরের শানে-নযুল তাহলে এই!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হ, সবাই সিরিয়ালি লিখলেও প্রহরী সিরিয়াল ব্রেক করে 'ট' লিখছিলো সেদিন। তাহলে বুঝেন 'ট' আদ্যক্ষরের মেয়েটি তার মধ্যে কতটা গেঁড়ে বসেছে!
অতন্দ্র প্রহরী পরের দৃশ্যে
সাদা স্ট্রাইপ শার্ট পাজামা পড়ে
আমি বন্দী করাগারে গাইছে
এরকম দেখার মনে বড় শখ
প্রিয় মামুন হক
সচলে অন্যের লেখার সমালোচনা (প্রয়োজনে গালাগালি প্রয়োজনে মারামারি) শুধু জায়েজই নয়, ১০০% হালাল
তবে ঘটনা হচ্ছে
এই গল্পটা সাহিত্য হিসেবে নয়
আমাদের এক প্রিয় সচলের জন্মদিনে তাকে একটু আল্লাদ (!) করে
উপহার হিসেবে লেখা হয়েছে।
তাই এর মাঝে সাহিত্যমূল্য না খোঁজাটাই উচিত।
তারচেয়ে আসুন আমরা এই সুযোগে অপ্রকে আরেকটু খোঁচাই
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
রানাপু', আমিও দেখতাইছি!
সম্প্রতি জনাব শাহরিয়ার মামুনের সাথে আমার ফোনালাপ হইতেছে; মূল উদ্দেশ্য উনার বিশেষ দিন্টা উদযাপন। উনি বিশেষ ব্যস্ততার অজুহাতে উক্তদিন ব্যতীত অন্যদিন (শুক্কুরবার) ছবিমেলায় সাক্ষাতের জন্য অনুরোধ জানাইয়াছেন। ছবিমেলাটা কোথায় জানতে চাইলে তিনি সলাজ হেসে বলেছিলেন 'চারুকলায়'।
তাই তো কই...
আর অবশিষ্ট ৫০% সহযোগে প্রস্তুতকৃত জীবনঘনিষ্ঠ এই গল্পটি বরাবরের মতই পান্থেয় ও উপাদেয়।
আপনে তো শুক্রবার চারুকলায় গেছিলেন, একটু আপডেট আমাদের জানান।
এই গল্পটা পুরা জাদু বাস্তবতা।
একজন স্যারের অপেক্ষায় আছি, উনি এসে মার্কেজের সাথে তুলনা কর্তেপার্বেন।
স্যার কই গ্যালেন। পিলিজ লাগে, ঠান্ডা হইয়া যাবার আগে চইল্যা আসুন।
-
হাসতে হাসতে ঠাশ করে পড়েই গেলাম। আর পড়বি তো পড়, একেবারে টুশি'র কোলে! মাগার ওমা, ওখানে দেখি কর্ণেল সাহেব আগেই পড়ে গড়াগড়ি দিয়ে হাসছেন। আর তাই দেখে বিডিআর এবং এই গল্পের লেখক মুখ বাংলা "ঙ" এর মতো বানিয়ে কর্ণেল সাহেবের পুলিশ ভ্যানে গিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে উঠছেন।
পাবলিক এখন জিজ্ঞেস করবেন না কর্ণেল সাহেবের ভ্যান কী করে পুলিশী ভ্যান হয়ে গেলো! এইগুলা সৃষ্টিকর্তার ক্যারামতি। সবই তাঁর লীলা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
টুশি কি কারো শালী?
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
হায় হায় ধূগোদা করছেন কী, হাসতে হাসতে এক্কেরে টুশি'র কোলে! সুজন মিয়া যুদি দ্যাখে, খবর আছে কইলাম!
টুশিরে মাইনাস। তারে পছন্দ হয় নাইক্কা। আর আমাগো বিডিয়ার ভাইয়ের জন্যও তো আরও না।
গল্পে জাঝা । কবে যে বিডিয়ার ভাইয়ের মতো ছেলেব্রেটি হমু, আমার জন্মদিন উপলক্ষে মানুষ বিশাল গল্প লিক্ষা গিফটাইবো ...
আমারটা তো না হয় নিছক গল্প, কিন্তু তোমারটা তো জলজ্যান্ত বাস্তব!
কবে যে তোমার মতো সুখী মানুষ হমু!
গিফটাইবো
শব্দটা ব্যাপক মনে ধরছে আবীর।
পান্থদা, আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
নিই নাই তো, কর্নেল রুমন আছে না!
পান্থ'দা, দারুণ ব্যতিক্রমী ও চমৎকার এই গিফটটার জন্য অনেক ধন্যবাদ
শর্মা হাউজে খাওয়ানোর পর ধন্যবাদ সাদরে গ্রহণ করা হলো।
বাহ! দারুনতো
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
----------------------------------------------------------
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি। স্বপ্ন দেখতে এবং দেখাতে চাই আজীবন।
----------------------------------------------------------
ধন্যবাদ শামীম, কতদিন পর এ পাড়ায়!
গল্প ভালু হইছে। তয় উত্তরাধুনিকতা এক চামচ কম পইড়াছে, সাথে তিনচামচ জাদু বাস্তবতা দিয়া দিলে আরও স্বাদু হইতো, সন্দেহ নাই।
-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
জাদুবাস্তবতা আবার কী, ক্যামনে চামচ দিয়া মাপে
পান্থ গল্প সুন্দর হইছে কিন্তু এশিয়ান ষ্টাইল হইছে, এটা ইউরোপীয়ান বা আম্রিকান ষ্টাইল করা যায় না ??? চোখ টিপের ইমোকটিন রাখলাম কিন্তু।
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
আমারে ইউরোপীয়ান বা আম্রিকান একটা ভিসা দেন। ঘুইরা ওইখানকার স্টাইল দেইখ্যা আইসা লিখা দিই।
টো আসল ব্যাপারটা টাহলে এইরকম?
টুশি নামটা খুবই কিউট। পছন্দ হইছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হ, টো ব্যাপারটা তাইলে এইরকমই। আরো বিস্তারিত জানতে মামুনকে এসএমএস না করে পান্থ'কে করেন।
পান্থ পোলাটা ভালই পাকছে মনে হইল। গাছ থাইকা এখন খইসা না পড়লেই হয়।
.......................................................................................
Simply joking around...
.......................................................................................
Simply joking around...
কোনো মেয়ে কুড়িয়ে নেয়ার জন্য থাকলে খইসা পড়তেও পারি।
হুর মিয়া!
ফ্ল্যাশব্যাক করলা, তারপরে আর যেইখানে শুরু করছিলা সেইখানে ব্যাক-ই করলা না!
না কি আমি ভুল বুঝছি?!
গল্প যট্টুক লিখসো (মানে, যদিও শুরু করছিলা মোহম্মদপুর, আর কান্নি মাইরা গিয়া থাইমা গ্যাছো নিউমার্কেট!), তা তো সুন্দর হৈছেই, নিঃসন্দেহ।
শাহরিয়ার মামুন পুলাডা আসোলেই বেচারা ভদ্রলোক।- আবারও তা-ই মনে হৈলো!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আসলে এই গল্পে ফ্ল্যাশব্যাক থেকে ফেরার দরকার ছিল না বইলায় আর ফেরা হয়নি। তবে গল্প কিন্তু ফুরিয়ে যায়নি, যেহেতু আমরা জানি টুশি ওয়াশরুমে মানে ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গ্যালো। আর তাই এখান থেকেই আরেকটা গল্প শুরু হতে পারে। অথবা ভদ্দরলুক মামুনের টেশে যাওয়া থেকে। সেখানে না হয় ফ্ল্যাশব্যাক থেকে ফিরে আসা যাবে, কী বলেন?
ধারাবাহিকের প্ল্যান ছিল না কি- সেইটা কও মিয়া।
ওয়াশরুমের ভিতর কী হয়, সেইটা কইব্যা না তো আবার?!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
টুশি-বিডিআর প্রেমকাহিনী পড়ে টাশকি খেয়েছি!!
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
হাহাহাহাহাহাহাহা... এই তাহলে ব্যাপার...
--------------------------------------------------
একটি বাদরে, কি যে আদরে, খাচ্ছিল দোলা, ডাল ধরে ধরে!!!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
নতুন মন্তব্য করুন