রাস্তাটা চেনা চেনা লাগছে। কোথায় যেন দেখেছি।
হুম, ঠিকই চিনেছি। ওই যে দেখা যাচ্ছে ভিলা ম্যাগনোলিয়া। ইতিদের বাড়ি ওটা। ইতি’রা থাকে এগারো তলায়। মাসুদের সাথে গেছিলাম একবার। ইতি মিল্কশেক বানিয়ে খাইয়েছিল।
ক্রিং ক্রিং ক্রিং... রিক্সার ঘণ্টি। “অ্যাই, বায়ে যাবে।”
রোড # ৭। মৌরি ফার্মেসি । ভিলা ম্যাগনোলিয়া ৮০। মুক্তি কনফেকশনারি অ্যান্ড স্ন্যাকস।
এই রাস্তাটাতে লোকজনের তেমন আনাগোনা থাকে না। এখন রাত, সেজন্য বলে না। দিনের বেলাতেও একটা নির্জন ভাব ধরে রাখতে দেখেছি। মোটামুটি নিরিবিলি রাস্তাটা। কিন্তু এতো রাতে সজল এদিকে কেন?
টিক টিক টিক। ঘড়িটা বেজে চলছে আপনমনে। আচ্ছা, এখন কয়টা বাজে?
সোফার পাশেই মোবাইল ফোনসেটটি রাখা। স্যামসাং ই২৫০ মডেল। সেটা দেখলে হয়তো জানা যায় রাত্তির দৈর্ঘ্য-প্রস্থ। অথবা ঘাড় ঘুরিয়ে দেয়ালের ঘড়ি দেখলেও জানা যাবে। কিন্তু সেটা করতে ইচ্ছে করছে না।
থাক, দেখতে হবে না। তার চেয়ে সজলের দিকে নজর রাখি। ঘড়ি দেখতে গেলে সজল আড়ালে চলে যেতে পারে। তাকে কিছুতেই আড়াল করা যাবে না। ওর গতিবিধি সন্দেহজনক!
সুপার ভ্যালু শপ্। বাড়ির পাশে চেনা দোকান। দোকানে কাস্টমার নাই। বন্ধ করার পায়তারা চলছে।
দোকানের টিউবলাইটের আলোতে সামনের রাস্তা স্পষ্ট দেখা যায়। সজল সুপারশপের সামনের রাস্তায় আসে। সে সময়ে দোকানের কর্মচারি ইয়াকুব শাটার টেনে নামায়। সামনের রাস্তাটা আবছা অন্ধকারে ঢেকে যায়। সে অন্ধকারে কী সজল হারিয়ে গেল!
না, ওই যে দেখা যাচ্ছে। একটি রিক্সা হুঁশ করে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। রিক্সার আড়ালে পড়েছিল, এই যা। এখন আবার দৃশ্যপটে সে।
আকাশ জুড়ে জোসনার মেলা বসেছে। গাছের পাতাদের ফাঁকি দিয়ে তার কিছুটা এসে পড়েছে সজলের গায়ে-গতরে। কিছুটা রাস্তার কংক্রিটের বিছানায়। কেমন মায়াবি মায়াবি লাগছে। সেই মায়াবি বিহ্বলতাটুকু ছাড়িয়ে হেঁটে হেঁটে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে সজল। সামনেই লেক। লেকটা লম্বাটে, টানা সরলরেখা ধরনের। চাঁদের আলোয় লেকের পানি চকচক করছে।
লেকের পাড়েই দাঁড়িয়ে লেক ফন্টানা। সজল কি ওই অ্যাপার্টমেন্টের দিকে যাচ্ছে?
হয়তো!
একটি মেয়ে অ্যাপার্টমেন্টের দোতলার বারান্দার রেলিং ধরে চাঁদের দিকে আনমনে তাকিয়ে আছে। যদিও এতো দূর থেকে স্পষ্ট নয়। তবে সজল যতই ওদিকে এগিয়ে যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে উঠছে মেয়েটি।
আরে, এতো দেখছি সানজিদা প্রীতি।
প্রীতি পরে আছে ব্রাউন ওয়ার্ম ও অফ হোয়াইট স্টাইপ টপ আর ব্রাউন ট্রাউজার। তাকে চাঁদের আলোয় অদ্ভুত মায়াময় লাগছে।
অ্যাপার্টমেন্টের বুড়ো দারোয়ান টুলে বসে ঝিমাচ্ছে।
খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে ল্যাম্পপোস্টটা যেন পাহারা দিচ্ছে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স।
সজল ল্যাম্পপোস্টের নিচে এসে দাঁড়ায়। তারপর কিছুক্ষণ তাকিয়ে দেখে প্রীতিকে।
সজলের মুখে একটা আলতো আদুরে হাসি খেলে যায়। আদুরে হাসিটা ঠোঁটের কোনায় ঝুলে থাকে কিছুক্ষণ। এরপর ‘পাগলি’ বলে মাথা ঝাঁকায়।
কিন্তু প্রীতির সেদিকে কোনো খেয়াল নাই। সজল এবার হাত দুটো মাইকের চোঙার মতো বানিয়ে প্রীতিকে ডাকে-
“প্রীতিইইই” খুব ধীরে, অনুচ্চ সে ডাক।
প্রীতি শুনতে পায় না। চাঁদকে ঢেকে দিয়ে এক খন্ড সাদা মেঘ আকাশ জুড়ে সাঁতার কাটে কিছুক্ষণ।
“প্রীতিইইইইইই” সজল এবার একটু জোরেই ডাকে।
প্রীতির ঘোর লাগা ভাবটুকু কেটে যায়। আতিপাঁতি করে খোঁজে, কে ডাকে তাকে। সজল হাত নাড়িয়ে ইশারা করে।
মেঘকে আড়ি দিয়ে চাঁদমামা আবার আকাশের দখল বুঝে নেয়।
প্রীতি এবার দেখতে পায় সজলকে। হাত নাড়ায়। “অ্যাইইইই” বলে চিৎকার করে উঠতে গিয়ে থেমে যায় সে। প্রীতির পেছনের বারান্দার দরজা হাঁট করে খোলা। প্রীতি ভয়ে ভয়ে ভেতরে উঁকি দেয়।
প্রীতির ভাইয়া রাজেশ টিভি দেখছে। অ্যানিমেল প্লানেট। একটি বাঘ হালুম করে ঝাঁপিয়ে পড়ে হরিণের পালে। হরিণ ছুটে পালায়। হরিণ রক্তাক্ত হয়। ফ্যাসফেসে গলায় একজন সে দৃশ্যের টানা ধারাবিবরণী দিয়ে যায়।
অসহ্য লাগে।
প্রীতি আবার বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। ইশারায় সজলকে জানায়, ‘ঘরে ভাইয়া আছে, কথা বলা যাবে না।’
সজল নিচে ফুটপাতে, ল্যাম্পপোস্টের নিচে। প্রীতি দোতলার রেলিং-এ।
এই দৃশ্যে কবি আহসান হাবীব ফিরে আসে। দোতলার ল্যান্ডিং মুখোমুখি দুজন।
প্রীতি ও সজল ইশারায় কথা বলে।
ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করে এগিয়ে যায়।
দীর্ঘ, ক্লান্তিকর, একঘেয়ে সে দৃশ্য।
ক্লান্তি কাটাতে বাবল ফুলিয়ে কাছে ডাকে ক্লোজআপ তরুণী। ‘বাবলির জন্য’ বলে মিথিলা নারকেল তেলের ডিব্বা ছুঁড়ে মারে অহনার দিকে। আর নাসির গ্লাসের আয়নার দেখা যায় জীবনের প্রতিচ্ছবি।
আর দেখা যায় সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টনের দৈত্যটিকে। রাস্তা জুড়ে ধুলো ঝড় ওঠে। পেছন পেছন আরেকটা আসে। সজল হাতের তালু দিয়ে চোখ ঢাকে।
“এদিকে ট্রাক ক্যানো?”
লেকের ধারে একটা অ্যাপার্টমেন্ট হচ্ছে। প্রীতিদের অ্যাপার্টমেন্ট ঘেঁষে।
ক্যাচইইই করে পেছনের ট্রাকটি থামে। ট্রাকের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় সজল।
“ধুস শালা।”
বাতাসে জানালার পর্দা কাঁপে। সজল ঘুমের মাঝেই এপাশ-ওপাশ করে। পাশ বালিশটা জড়িয়ে ধরে। মুখে প্রশান্তির হাসি।
বাতাসে জানালার পর্দা কাঁপে। প্রীতি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। উথাল পাতাল ভাবনা তার। দেয়ালের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। দাঁত দিয়ে নখ কাটে।
খুব স্লো আর ঢিলা দৃশ্য।
আমার হাই ওঠে।
প্রীতি পাশ ফিরে শোয়। পুতুলের গালটা টিপে দেয় একবার। এরপর হাত বাড়িয়ে বেড লাইট অফ করে।
ধূ ধূ অন্ধকার।
“ওই যে শেখ হাসিনা গেল” রান্নাঘর থেকে মায়ের চাপা গলা শোনা যায়।
বিদ্যুৎ চলে যায়। নাটক দেখা লাটে ওঠে।
কাজের মেয়ে রাহেলা মোমবাতি দিয়ে যায়। মোমের আলো দেয়ালে গেঁথে গিয়ে থির থির করে কাঁপে। একটা টিকটিকি খপ করে তার শিকার ধরে। পাশের বাসার ছেলেটি ছাদে গিটারে টুংটাং শব্দ বুনে চলে। ‘মেয়ে, তুমি এখনো আমায় বন্ধু ভাবো কি, কখনো কি আমায় ভেবেছিলে বন্ধুর চেয়ে একটুখানি বেশি...’
গিটারের টুংটাং মস্তিষ্কের স্মৃতিকোষে খুঁটখাট ঢেউ তোলে। তারপর স্ক্রিনজুড়ে হিমিকার মুখ।
ইউনি’র ফার্স্ট ইয়ার।
ওয়াকার স্যারের বিজনেস কম ক্লাশ। রিসিভার-সেন্ডার, নয়েজ, কোড-ডিকোড।
সূর্যসেন হলের গণরুম ২২৬/ক। গাদাগাদি করে মাখামাখিযাপন।
আহা! সেই মধুময় দিন! কোথায় পাবো সেই মধুদিনের হিমিকাকে আর!
তুলতুলে আদুরে মেয়ে ছিল হিমিকা। প্রেমে পড়ার মতো।
“হিহি, বন্ধুকে কি প্রেমিক ভাবা যায়।” প্রেমিক না ভেবে এক বড় ভাইকে বিয়ে করে হিমিকা পাড়ি দেয় অস্ট্রেলিয়ায়।
হায়, কত দূরের দেশ অস্ট্রেলিয়া!
শীত-বসন্ত জুড়ে বিরহকাল বয়ে যায়। ধীরে, নিরবধি।
উফ! কী ক্লিশে জীবনযাপন।
ঠক্ ঠক্ ঠক্। দরজায় কে যেন টোকা মারে! বুকের ভেতরে কাঁপন জাগে। পাড় ভেঙে পড়ে। ধপাস!
ওহ হো, ও তো সানজিদা প্রীতি। কাছের মানুষ-এর।
এনটিভি’র পর্দা আমাকে ডাকে, আয়। সপ্তাহান্তে এনটিভির ঘরে উঁকি দিই।
এরপর এক্সপেরিয়েন্স হয় এক্সপেরিমেন্টাল হলে। রাজায়, রোহিনী ক্যারেক্টারে। ওয়াও! বেশ ব্রাইট তো!!
ব্রাইটে-এ কি আসে যায়। স্পর্শের বাইরে থাকে সে! বৃথা হাত কামড়াই।
তারপরও মেঘে মেঘে রঙধনু ছড়ায়।
দেয়ালে টানানো পোস্টার বলে, রঙধনুকে পেতে চাইতে বৃষ্টি ভেজার কষ্টটুকু পেরিয়ে আসতে হবে।
ওদিকে হৃদয় আকাশের মেঘ গুরগুর ডাকে।
পরমা ব্যানার্জী গায়, যাও ফিরে বৃষ্টি উথাল-পাথাল।
উথাল-পাথাল দিনে যাতায়াত বাড়ে ইস্কাটনের নিউজ ম্যাগাজিনে। সে ম্যাগাজিনে সত্য ও সুন্দরের পক্ষে লিখি। নানা ফরমায়েশি লেখা। ডুবে যাই তাতে।
নিলয় ভাই ম্যাগাজিনের চিফ রিপোর্টার। চা খেতে খেতে একদিন তার সাথে সন্ধি করার চেষ্টা করি। মেয়েটি দারুণ সম্ভাবনাময়ী, অনেক দূর যাবে। একটা রিপোর্ট করি, কী বলেন?
হুমম! প্রাচ্যনাট্যের একটি প্রযোজনায় দেখলাম। ডলস হাউজে দেখছি ইদানিং। খারাপ না। ভালো করবে। আরো কয়েকদিন দেখা যাক। তার চেয়ে ভাইবেরাদর নিয়ে একটা স্টোরি দাঁড় করা। নেক্সট ইস্যুতে যাবে।
নেক্সট ইস্যুর পেছনে দৌড়াই। বারিধারা ডিওএসএইচ, বসুন্ধরা সিটি, মুড়ির টিন, ফাহমি, রনি, জীবন, সাধু, রাজ, আশফাক...। টেপরেকর্ডারের ঘরঘরঘ্ঘ্।
রিউইন্ড।
হায়, কবে এই জীবন চেয়েছিলাম আমি!
মাঝরাতে শুধু দীর্ঘশ্বাস বাড়ে। এপাশ-ওপাশ করি। ঘুম পাড়ানি মাসিপিসিকে ডাকি। মেলাটোনিনে ভর করে ঘুম পাড়ানি মাসিপিসি চলে আসে ঘরে। ঘুম ঘুম ঘুমঘ্ঘ্ঘ্ঘ্।
ঘুমের মধ্যে আমি দৌড়াই। গা-গতর বেয়ে দর দর করে ঘাম ছোটে। সকালে ফ্রয়েড মশায় আসেন তার ড্রিমফ্যাক্টরির কিতাবখানা নিয়ে। ‘যা ব্যাটা, প্রীতির বয়ফ্রেন্ডকে ভয় পাবার কী আছে’, বলে মুচকি হাসে। হায়! ফ্রয়েডের কথাবার্তা ক্যানো নজরুল ভাইয়ের মতো!
বিভ্রান্তিতে পড়ে যাই আমি আর আমার গা দরদর করে ঘামে।
উফ! কী গরম রে বাবা। কতবার বললাম, আইপিএসটা সারিয়ে আন। মায়ের ঝাঁঝালো গলা আবার কানে আসে।
মায়ের ঝাঁঝালো গলা দ্বিতীয়বার চড়বার আগেই টনক নড়ে বিদ্যুৎ মশায়ের। জ্বলে উঠেন দপ করে।
আলো আলো বেশি আলো।
আলোর পাদপ্রদীপে সজল হাঁটু গেঁড়ে বসে আছে। প্রেমময় প্রার্থনার ভঙ্গি। প্রীতি সজলের প্রার্থনা অবজ্ঞা করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। সজল ললিপপ মার্কা চেহারা নিয়ে কেমন করুণ চোখে তাকিয়ে দ্যাখে।
প্রীতি রাজহংসীর মতো চলে যায়।
আমার খুব ভালো লাগে।
আর না ঘুমানোর রোগটি সেরে যায়।
মন্তব্য
ঘোলাাাা
হ, একটু ঘোলাই।
ঝাইড়া কাশি দেও
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
খুক খুক খুক ক্ ক্ ক্ ক্ ।
ট্যাগে আমার নাম নাই ক্যা?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
আলোচনা শুরু করার মত প্রথম কমেন্ট করার পরও আমার নাম দেয় নাই।
হ, লম্বু ভাইয়া, আপনেও ছিলেন সিনে। ভুলে গেছিলাম। এখন নেয়া হইলো।
নিজেকে এনলিস্টেড দেখে পুলকিত বোধ করছি।
ভুল হইয়া গেছে গুরু। এখনই যুক্ত কইরা দিচ্ছি।
রানার মতো এক্টা শাকচুন্নিপেত্নির পরে আমার নাম!!!
আমি বাকরহিত। তবু নামটা গেছে এতেই হাফখোশ।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
শাকচুন্নিপেত্নি কী অপু ভাই? একটা ছবিসহ কি চেনানো যায়।
সেতো ইদানিঙ শাকচুন্নিপেত্নি হয়েছে। আর এখনতো আমার সাথে তার পিরিতি নাই, তাই ছবিও নাই। আগের বেলার ছবি আছে, তখনতো সে মাশাল্লাহ ঐশ্বরিয়া ছেলো...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
অ! কিন্তু আমি যে বড় আশা নিয়ে বসে ছিলাম, অপু ভাই আমারে শাকচুন্নিপেত্নি চেনাবে। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেল। যাহোক, আপনাদের ছাড়াছাড়ি'র সিনে সমবেদনা রইল। জেনে রাখবেন, আল্লাহ্ যা করে মঙ্গলের জন্যই করে।
অবশ্যই। তিনি মঙ্গলময়। তিনি আমারে বাঁচাইছেন।
নয়তো আমার হাড্ডিতে হাডিএত সেইটার যন্ত্রনা টের পাইতে হইতো।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
ঐছবিটাই দেখতে মঞ্চায়
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
যন্ত্রনা পাবার দিন এখনো শেষ হয়ে যায়নি জানেমান
মুহাহাহাহাহাহহাহাহাহা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
প্রতিটা লাইন হৃদয় ছুয়ে গেল। প্রেমের জয় হোক!!
বস, আপনার অভয়বাণীর জোরেই তো এই লেখাটা লিখতে পারছি।
বুঝাবুঝি পরে, আগে বলে নেই যে গদ্যের অসামান্য তারল্যে ভেসে গেলাম অনেকদূর পর্যন্ত, খুউব সুন্দর লেখা!
আরেফিন ভাই, এই লেখার বোঝাবুঝির কিচ্ছূ নাই। মনের কোণে মেঘ জমেছে। একটু ফাইলামি টাইপের লেখা লিখে মনের মেঘ তাড়াবো বলে কিবোর্ডে হাত দিছিলাম, এই যা! এখন দেখি মনের মেঘ কাটে কীনা।
লুৎফুল ভাই ঠিকই বলছেন, খুউউব সুন্দর লেখা।
---------------------------------
তাও তো ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ চাও!
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কিন্তু ভারী লেজ উঁচিয়ে পুটুশ পাটুশ কি চাও ভায়া (ভায়রা ভাই নয় )।
পান্থ এমন কইরা লেখেন কেমনে? আমি তো ফ্যান হয়ে গেলাম।
পাংখার কথা কইতাসি না। কইতাসি আপনার ভক্ত হয়া গেলাম
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
দ্যান, খাতাটা বাড়াইয়া দ্যান। একটা অটোগ্রাফ দিই।
আমি তো কিছুই বুঝি নাই পান্থ ! কিছু কি বুঝার দরকার আছে ? থাকলে কন, বুঝা শুরু করি !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রণ'দা, বোঝাবুঝির কিচ্ছু নাই। আসুন মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য ইয়োগা করি।
বাহ!
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
তীরুদা, যা বলেছেন, আহ্!
খুউব সুন্দর লেখা।
"বালক, তুমি ফিরিয়া আসো" - ঠিক আছে না?
সিউর।
আহারে মানিক ভাই দিতে পারি না।
'বালক জানেনা সে মরে গেছে...'
তরল লেখায় ডুবলাম । সানন্দে ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হাসান মোরশেদ ভাই, কঠিন সময় যাচ্ছে তো, তাই একটু তরল খাইলাম।
আমি মরার এ জীবনে একজনের প্রেমে পড়ে মরে গেছি, সনজিদা প্রীতি সেখানে তুচ্ছ।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
প্রীতিরে তো আমি চাই। আপনে এখানে বাগড়া দেবেন ক্যান? আপনে আপনার একজনরেই নিয়ে থাকেন।
- জান্তে মঞ্চায়, কে সেই হতভাগিনী!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূগোদা, আমিও জানতে চাই, জানাতেও চাই।
- লগে মাতারির কোমর তলাম এট্টা ফটুক থাকলে গল্ফটা আরো 'সেইরম' হৈতো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এক ছবিতেই তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধ লেগে গেছে। আমি আবার চতুর্থ বিশ্ব যুদ্ধের সূচনা করি!ধূগোদা, আপনে খুব খ্রাপ লোক। খালি কুবুদ্ধি দেন।
জটিল ... পুরা পাঁচ তারা লেখা। পছন্দ হইছে হেব্বি।
সত্যিইইইইইইই!
পান্থ!
এটা কী লিখলেন?
আমার ফেলে আসা পথে আপনি গল্প ফাঁদলেন?
মৌরি মেডিসিন (এখন মৌরি ফার্মাসি নাকি?)- কিশোর কর্মচারী ইউনুস কি এখনো আছে? আরেকটু পরে ওয়ারদা ফার্মেসী, ডাঃ এমদাদুল হক। তারপরে বামে আধুনিক বস্তি ভিলা ম্যাগনোলিয়া। এরপরেও যদি বলেন - ইতিকে আমি চিনি না। আপনি গল্পকার না, আপনি খুনী।
- মওলানা, একটা ঝাইড়া কাশি দাও দেখি। আমরা ইতি'র কথা শুনি ইতিউতি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মিল্কশেক খাওয়া ভাল না, জনাব...
আপনার ফেলে আসা পথে না হয় ইতি'কে নিয়ে একটু ইতিউতি করছি, তাই বলে আমাকে এক্কেবারে খুনি বলবেন। এই কে আছিস আমারে সেন্টু দে, সেন্টু খাইয়া এই জন্ম ভুইলা যামু।
আর হ্যাঁ, ওটা মৌরি মেডিসিনই, ফার্মেসি না। ভুল হয়ে গেছে। সেখানে ইউনুস বলে কেউ আছে কী'না জানি না। যদিও কয়েকবার সেখান থেকে অষুধ কিনেছি।
মামা, তোমার গল্প বর্ণনা করার ঢংটা ভালো লাগলো। তবে গল্প অতি দ্রুত এগুচ্ছিল মনে হয়, আর অনেকগুলো বিষয় আনার ফলে একটু গুলিয়ে ফেলেছিলাম মনে হয়। মেসেজ দিয়েছি।
ধন্যবাদ পিপিদা। মেসেজ এর উত্তর দিয়েছি।
এইটারে কয় হইল হ্যাপি এন্ডিং
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
হালায় মাতাল আছি... গল্প টল্প পড়ার সিন নাই... পড়ে পড়ুমনে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
গল্পে ফ্রয়েডের সিনে তারে নিয়া আইলাম, এখন কয় সিন পড়ার টাইম নাই। মিয়া আপনে একটা ফাউল। পুরাই ফাউল।
সন্ধ্যায় অফিস থেইক্যা তোমার লেখার ট্যাগ দেখছিলাম, তবু এর প্রীতি-বিষয়কতা-টা একদমই মাথায় আছিল না। রাতে বাসায় ফিরে একটু ফেরেশ টেরেশ হৈয়া একদিকে পিসি আরেকদিকে টিভি তো ছাড়লাম। দেখলাম- "ডল'স হাউজ"এ সজল আর প্রীতি হাত ধরাধরি প্লাস পুতুল-ঝুমঝুমি-প্লাস্টিকহাস দ্যাখাদেখি করতেছে। তার একটু পরই তোমার এইদিকে উঁকি দিয়া আবার দ্যাখ্লাম তোমার এই জিনিস।
ইশ, তুমি তো মিয়া বহুবিধ জ্বলানি জ্বলাইলা আমার! ধুর!
প্রথমত, তোমার ভাঙাগড়া এক্সপেরিমেন্ট অনেক সাকসেসফুল হৈছে। বিয়াপক!
খুউব ভালো হৈছে ব্যাপারটা। এবং কার্যকর। হুম।
দ্বিতীয়ত, তোমার এইসব রেফারেন্স আর উপকরণ এত আমার সাথে সংশ্লিষ্ট হয় ক্যান্, হ্যাঁ? একদম "দোতলা ল্যান্ডিং, মুখোমুখি দু'জন" থেইক্যা শুরু কইরা একদম "মেয়ে, তুমি এখনও আমায় বন্ধু ভাবো কি?"! এমনকি শ্যাষম্যাশ "রাজা", "রোহিণী", এমনকি একদম "সানজিদা প্রীতি"কে নিয়ে এইভাবে টানাটানি না করলে হৈছিল না তোমার?!
এইটা তুমি ক্যান্ করলা পান্থ! ক্যান্, ক্যান্, ক্যান্?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পান্থরে ধইরা মাইর দ্যান দ্যান দ্যান
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
আপ্নে আমারে এট্টু হেল্প করেন, আসেন আসেন আসেন।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পান্থ'র মতো মাসুম বাচ্চার গায়ে আপনি হাত তুলবেন। এটা কিন্তু দন্ডনীয় অপরাধ হয়ে যাবে, কইলাম।
কে মাসুম বাচ্চা?
এইরকম গল্প যে লেখতে পারে, সে আবার মাসুম বাচ্চা ক্যাম্নে?!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
সার্টিফিকেট আছে, দেখামু! দ্যাখাইলাম না। নজু ভাইরে জিগান।
নজু ভাই বরং মাসুম বাচ্চা!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমি তো আপনার ফেসবুক স্টেটাস দেখে ভাবছিলাম কী সব বিলাপ করছেন... পরে লিংক দেখলাম, নায়িকা দেখলাম... আমি তো ভাই নাটক-সিনেমা দেখি না অনেক দিন। তাই কমেন্টও করলাম না তেমন।
হে হে, দূরে বইসা মজা নিছেন, না।
যা বুঝার তা বুঝলাম,কিন্তু কিছু তো এখনো বুঝতে পারলাম না!
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
যা বুঝার তা বুঝলাম,কিন্তু মন্তব্য তো মাথার উপর দিয়া গ্যালো স্যার।
পান্থ তো বস হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন
এই মহান প্রেমিকের বিলাপ
ইতি ম্যাডামের কানে পৌছাক
তারা বনে জঙ্গলে নেচেকুদে গান গেয়ে বেড়াক
আর
পান্থর আত্মা শান্তি পাক
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
ম্যাডাম আমি তো ইতির কথা কই নাই, প্রীতি'র কথার কইছি। আপনে তো ভ্যারাচেকা লাগাইয়া দিলেন।
আপনি আসলেই জিনিয়াস.........গল্পটা পড়ে মনে হল- ইতি অতি সহজে প্রেমের "ইতি" টেনেছে!!!! হুম....এখন প্রেম করুমই না। .......সবুরে নাকি মেওয়া ফলে, দেখি কী হয়.........
দেইখেন, সবুর করতে গিয়া মেওয়া যেন হাওয়া না হয়ে যায়।
ট্যাগে আমার নাম নাই, এ অপরাধ কি ক্ষমার যোগ্য? যাউকগগা, লিখা সিরকম হইছে
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ক্ষমার অযোগ্য অপরাধের জন্য পান্থ'কে কইষা একটা মাইনাস দ্যান আফামুনি।
ভাল লাগল পান্থ।শুভেচ্ছা।
নতুন মন্তব্য করুন