‘স্বপ্ন দেখি তুমি ছোঁবে শুদ্ধ আলো’
দেবী দূর্গার সামনে দাঁড়িয়ে ঢাকের তালে যখন সে দুলে দুলে নাচে, আমি তখন তার চোখের দিকে তাকাই, সেখানে যে আনন্দ উচ্ছ্বলতার দেখা পাই, তা অন্য কোথাও পাওয়া ভার। তেমনি সান্তাক্লজের আসার অপেক্ষায় তার দিন গোণা। যীশু খ্রীস্টের অত্যাচারিত শরীর দেখে প্রশ্নবোধক চিহ্ন ঝুলিয়ে আমার কাছে জানতে চাওয়া “মানুষ কেন এতো নিষ্ঠুর হয়, মা!”
দুপুর বা রাতে সিদ্ধার্থের গল্প গোগ্রাসে মস্তিষ্কে ঢোকায় যে, সে আমার প্রিয়মান।
যে আমাকে জায়নামাজে দেখলে বলে, “মা তোমার কি মন খারাপ? তবে তুমি নামায পড়, আমি তোমাকে একটা গান শোনাই।” কারণ “তুমি কেন নামায পড়’র উত্তরে আমি মন ভালো থাকে বলি, তেমনি বলি গান গাইলেও মন ভালো থাকে।” তাই আমার মন ভালো করার তার এ প্রচেষ্টা।
আর দশটা মায়ের মতো আমিও স্বপ্ন দেখি আমার প্রাঞ্জল একদিন অনেক বড় হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনুস নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর যখন বলেছিলেন, ‘আমার এ পুরস্কার পাওয়ার ফলে আমাদের শিশু কিশোরেরা আর নোবেলকে দূরের কিছু ভাববে না, ভাববে এতো আমার পাশের বাসার মানুষটিই পেয়েছে। অতএব আমিও পেতে পারি।’ তখন আমার বুকটাও শিরশির করেছিল, আমার সোনাও হয়তো একদিন এমনি নোবেল জয় করে আনবে।
কিন্তু সব চাওয়া ছাপিয়ে যে চাওয়াটা বুকের ভেতরে তোলপাড় তোলে তা হলো ও একজন সাম্প্রদায়িকতামুক্ত মানুষ হয়ে বেড়ে উঠুক। বুকে বাংলাকে ধারণ ও লালন করুক। লালনের ভাস্কর্য ভাঙার দলে যেন আমার প্রিয়মান না থাকে। উদীচীর কর্মী হত্যায় যেন আমার প্রাঞ্জল না থাকে। শহীদ মিনারে ফুল দেয়ার বিপক্ষে যেন আমার বাবুই সোনা না থাকে।
বড় ভয় হয়, এগুলো যারা করছে তারা তো আমারি মতো কোনো মায়ের সন্তান। যারা করাচ্ছে তারাও তো বাঙলার মাটি ছায়াতেই জন্মেছে, বেড়ে উঠেছে!
আমার সোনাকে তাই আমি প্রচুর বই কিনে দিই। ওর জন্মের পর থেকেই বই কিনে কিনে জমিয়ে রেখেছি। এখনও কিনছি। আমার শাড়ির টাকা বাঁচিয়ে ওর জন্য বই কিনি। আমি জানি বই-ই পারে একমাত্র ওদের ভেতরে সব আলোর উদগীরণ ঘটাতে। যে আলো ভবিষ্যতে শাড়ির চেয়েও বেশি কিছু হয়ে আমাদের লজ্জা ঢাকবে।
ওকে আমি দূর্গোৎসব, ঈদ, বড়দিন, বৌদ্ধ পূর্নিমা, পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন সব উৎসবে অংশগ্রহণ করাই। গল্প শোনাই। উৎসবের গল্প, আনন্দের গল্প। চাই সে জানুক, বুঝুক আমরা সবাই এক। আমরা বাংলাদেশী। সে উপলদ্ধি করতে শিখুক তাকে নিজের একটা দেশ উপহার দেয়ার জন্য একজন দু’জন নয়, একটি দু’টি নয়, ত্রিশ লক্ষ মানুষ ত্রিশ লক্ষ তাজা প্রাণ বিলিয়ে দিয়েছে হাসিমুখে। চাই সেও যেন দেশের সংকটে এমনি একজন বীর হতে পারে। শেষে প্রার্থনা করি, আমার সন্তান যেন থাকে সকল সাম্প্রদায়িকতার উর্ধে।
...............................................
অনেকদিন আমি কাঁদি না। চারপাশে ঘটা হাজারো,বেদনাদায়ক ঘটনা বোধের ভেতরে ঢুকে আর তাড়িত করে না। দিন দিনকে অসাড় হয়ে যাচ্ছে সমস্ত অনুভূতি। তবে এই চিঠি পড়তে গিয়ে কখন যে চোখে পানি চলে আসে, তা টের পাই না। নয়নজলে কিছুক্ষণ ভেসে যাই। এই ভেসে যাওয়া কতটা যে গর্বের, আর কতটা যে কষ্টের তা নির্ণয় করতে পারি না।
এই চিঠিটা একজন মা লিখেছেন একটা কম্পিটিশনে অংশ নিয়ে। কম্পিটিশনের বিষয়বস্তু ছিল সন্তানকে নিয়ে মা-বাবার স্বপ্ন। সেই কম্পিটিশনের বেশ কয়েকটি চিঠি পড়তে হয়েছিল আমাকে। সেই থেকে এই চিঠিটা আমার বোধের গভীরে গিয়ে বসে আছে। এই বোধ থেকে কিছুতেই বের হতে পারছি না।
ভাবছি, যে দেশের মায়েরা সন্তানকে নিয়ে এমন স্বপ্ন দেখে, সে দেশ কি কখনো মৌলবাদের চারণভুমি হতে পারে! কখ্খনো না।
[শ্রদ্ধেয় মা, আপনার অনুমতি না নিয়েই চিঠিটা পোস্ট দিলাম। জানি না ঠিক হলো কী’না। তবে আপনার স্বপ্নটা যে আমাদেরও, তাই লোভ সামলাতে পারলাম না। ক্ষমা করবেন আমার এই লোভটুকু ]
মন্তব্য
ঐ মায়ের সন্তানের জন্য শুভকামনা।
এক্টিভিজম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
বোধহয় স্বপ্নবতী মায়ের কথা বলতে চেয়েছেন।
নাহ্, হিমু ভাই, আমি আসলে সেই মায়ের স্বপ্নের কথাটি বলতে চেয়েছি।
@ হিমু, (পান্থ, তুমিও শোনো-)
'স্বপ্নবান মা'-ই কিন্তু ঠিক। কারণ, অ্যাডজেক্টিভের আসোলে লিঙ্গান্তর হয় না, লিঙ্গ জিনিস-টা নাউন-প্রনাউনের প্রপার্টি।
চিন্তা ক'রে দ্যাখেন, 'ভালো-মন্দ'র কি স্ত্রীলিঙ্গ আছে? নেই।
আরো ভালো একটা উদাহরণ দিই। 'সুন্দরী'ও কিন্তু 'সুন্দর' বিশেষণের স্ত্রীলিঙ্গ নয়, বরং বিশেষ্যের। মানে, আমি যদি 'সুন্দরী' বলি, তবে আর তার পরে 'মেয়ে' বিশেষ্যটা ব্যবহার করবো না, তার মানেই সেখানে 'সুন্দরী'টা ফাইনালি একটা বিশেষ্য হিসেবেই বসেছে, 'সুন্দর নারী' অর্থে।
যেমন-
"আমি চাই কোনো এক সুন্দরী এসে আমাকে বলুক- চলো যেদিকে দু'চোখ যায় চ'লে যাই!" [ ]
কিন্তু, "দেখলাম- মেয়েটি সত্যিই সুন্দর!"
আর, এই 'স্বপ্নবান মা'য়ের এখানেও যদি বলা হ'তো "কোনো এক স্বপ্নবতীর কথা" কিংবা "এক স্বপ্নবতীর চিঠি", তবে লিঙ্গান্তর ঠিক হ'তো, কারণ সেখানে 'স্বপ্নবান' (স্বপ্নসম্পন্ন মানুষ বা পুরুষ) বিশেষ্যের স্ত্রীলিঙ্গ হিসেবে 'স্বপ্নবতী' (স্বপ্নসম্পন্ন মানুষী বা নারী) আসতো স্ত্রীলিঙ্গ বিশেষ্য হিসেবেই, বিশেষণ হিসেবে নয়। কিন্তু 'স্বপ্নবান মা'তে 'স্বপ্নবান' অবশ্যই 'মা' বিশেষ্যের গুণান্বয়ী একটা বিশেষণ, তাই এখানে এটার স্ত্রীলিঙ্গ করলেই বরং ভুল হ'তো।
হ্যাঁ, আমাদের অনেকেরই ব্যাকরণের এমন দিকগুলো নিয়ে কনফ্যুশন আছে, এবং এভাবে এভাবে অনেক ভুলও প্রচলিত হয়েছে ব্যক্তিগত বেখেয়ালের সামাজিক পুনরাবৃত্তি হ'তে হ'তে, যে এমন ঠিক-কেও ভুল মনে হয় আজকাল।
অল্প ইনস্ট্যান্স-ই তুললাম, আশা করি যথেষ্ট। তবে, পরিষ্কার না হয়ে থাকলে, বা দ্বিমত থাকলে, আরো আলোচনা ওয়েলকাম।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আমি জানতাম, বিশেষ্যের পূর্বে বসলে কোয়ালিফায়ার বিশেষণের লিঙ্গান্তর ঘটে, বিশেষ্যের পরে বসলে ঘটে না। যেমন, "বালিকাটি চঞ্চল", কিন্তু "চঞ্চলা বালিকাটি"। আর স্বপ্নবান কিন্তু ভালো-মন্দের মতো নয়, স্বপ্ন ধারণ করে এমন একজন পুরুষের জন্যে বিশেষণটি। দুগ্ধবান গাভীর মতোই স্বপ্নবান মা খাপছাড়া শোনায়।
তবে আমি হয়তো ভুল জানি।
ডাবল লিঙ্গান্তরের বিষয়টা থাকার কথা না। তবু আমি দেখি, আবার ওটা ঝালিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো সুযোগমতো। আমি জানতে পারলে আপনাকেও আপডেট দেবো।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
- এমন মা তো আমাদের দেশে কেবল হাতে গোণা, সত্যিকার অর্থে এমন মা ক'জন আছেন আমাদের?
সেজন্যই বোধহয় লালনের ভাষ্কর্য ভাঙে, ঊদিচীর অনুষ্ঠানে বোমা ফোটে, সাম্প্রদায়িকতার তকমা পড়ানো হয় আমাদের সমাজের বিভিন্ন স্তরে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারণ
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এমন মায়ের অভাব নেই মোটেও, অভাব এই শিক্ষা গ্রহন করার মতো সন্তানের।
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
এরকম মা দিয়ে ভরে যাক গোটা বাংলাদেশ।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
মায়ের জন্য শ্রদ্ধা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মায়ের জন্যে শ্রদ্ধা।
আর পান্থ? অনেক ভালো গেঁথেছেন কথামালা...। অনেক ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ খান সাহেব এবং হিমুদাকে, ব্যাপারটা খোলাসা করার জন্য, কিন্তু বুঝলাম না, তাহলে স্বপ্নবতী শব্দটা আসলো কিভাবে? এটাকি আমাদের সৃষ্ট একটি ভূল?
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
যেভাবে 'সুন্দরী' এসেছে, সেভাবে 'স্বপ্নবতী'ও তো আসতে দোষ নেই। আমার উদাহরণেও দিয়েছি কিন্তু 'স্বপ্নবতী'র ব্যবহার।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
আহা সেই মা! মাকে আমার প্রণাম। জগতের সব মা মিলে আসলে একজনই মা। তাই মায়া গৌতমী মেরি মরিয়ম দেবকী যশোদা সব একই, মুশকিল হলো সন্তানেরা বোঝে না।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
এই মা তো যেকোনো ব্লগারকে পিছনে ফেলে দিলেন!
আমি এতটা আশা করিনি মোটে! পজিটিভলি শক্ড আমি!
আক্ষেপ- এমন মা আর এমন স্বপ্নছায়ার সন্তান আমার দেশের ঘরে ঘরে থাকতো যদি!
স্যাল্যুট প্রাঞ্জলের মা-কে, আমাদেরও মা তিনি।
আলো প্রসব ক'রে চলুন মা!
পান্থ, তোমাকে আর কী বলবো বলো! তোমার লেখা নিয়ে কিছু না বলি আজ এখানে!
হ্যাঁ, তুমি এই পর্যন্ত উঠায়া নিয়া আসলা বলেই পড়া হইলো এমন একটা জিনিস।
আমি ফেসবুক স্ট্যাটাস-এ নিয়ে গেলাম তোমার এই পোস্ট-টাকে!
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
স্বপ্নবতী ই ঠিক বলে মনে হয়।
বিশেষণ আগে বসলে বিশেষ্যের উপযুক্ত হতে হয়। দেখুন "সুন্দরী বালক" কি কখনো বলেন?
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
আপনি তো আবার পুরো অন্যদিকে নিয়ে গ্যালেন!
"সুন্দরী বালক"এর অপশন-টাই বা আসবে কোত্থেকে? কারণ, পুংলিঙ্গবাচক মূলটা তো শুধু পুং-ই নয়, বরং মূল ফর্ম। বিশেষ্যের সাথে তার আগে বসা বিশেষণকে সামঞ্জস্যপূর্ণ তো হ'তেই হবে, তার চে' বড় আন্ডারলাইন করার বিষয় হচ্ছে, সেটা বিশেষণই হবে, বিশেষ্য ডাবল হবে না ওই সেটিংয়ে পরপর। "স্বপ্নবান মা"-তে 'মা' বিশেষ্যের আগে 'স্বপ্নবান'টা তো যেহেতু বিশেষণ, সেই কারণে ওইটার লিঙ্গান্তর দরকার হওয়ার কথা না। সেটা পুংলিঙ্গ মনে হতেই পারে ওই কারণেই, যে পুং-টাই শব্দগতভাবে রুট বা মূল ফর্ম।
বালক হোক, বালিকা হোক, তার আগে সুন্দর সুন্দর-ই হবে, সুন্দরী কখনও হওয়া উচিত না। এই সুন্দর পুংলিঙ্গ না, এটা লিঙ্গহীন বিশেষণ (কারণ লিঙ্গ থাকেই শুধু বিশেষ্যের)।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
নাহে ব্যাপারটা তা না। বিশেষণ অমন একহারা টাইপ না। নানা ধরনের বিশেষণ আছে।
"সন্তানবান মা"," দুগ্ধবান গাভী","রত্নগর্ভ জননী" ঠিক না, ব্যাকরণগতভাবে অশুদ্ধ।
শুদ্ধ হলো: সন্তানবতী মা, দুগ্ধবতী গাভী, রত্নগর্ভা জননী।
অবশ্য আমার জানা ভুল হতেই পারে, নতুন কিছু আলোকপাত করলে ভালো লাগবে।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
কী বলি, পান্থ?
তাই বলে শাড়ির টাকা দিয়এ বই !!!/ কাভি নেহীইইইইইই
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
- এই যে, এক মা পাওয়া গেছে। বই ছাড়তে রাজী কিন্তু শাড়ি না!
লিষ্টি করুম, নাম্বার ওয়ান পাওয়া গেলো, এইবার বোনসবেরা, আওয়াজ তোলেন কে হতে চান গর্বিত নাম্বার টু...
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমার এক বন্ধুর একবার গন্ডোগোলের কেস হয়েছিল, তাড়াতাড়ি লিখতে গিয়ে এক মারাত্মক টাইপো হয়েছিলো। লিখতে গেছে "কোলের উপরে বইখানি সযত্নে রাখা", হয়ে গেছে "কোলের উপরে বউখানি সযত্নে রাখা।"
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
- টাইপো হলেও তো ঠিকই লিখেছেন আপনার বন্ধু। অবশ্য আমার ব্যাপার হলে কেইসটা একটু উল্টে যেতো। বউকে কোলে সযত্নে না রেখে বরং নিজেই সযতনে বউয়ের কোলে বসে বসে ব্লগাতো! মানে, "বউয়ের কোলে ধুগো সযত্নে বসা (খাড়া বললে কেমন শোনায়, তাই বসা)।"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমাকেও ছুঁয়ে গেল...
নতুন মন্তব্য করুন