রাতে ঘুম আসছিলো না। এপাশ-ওপাশ করছিলাম। দূরে কয়েকটি কুকুর ডাকছিল। এ ডাক শেয়াল তাড়ানোর হৈল্লা নয়। কেমন করুণ, বিষাদ মাখানো।
রাতে কুকুরের এমন ডাক অশুভের ইঙ্গিতবাহী। অজানা আশংকায় মন কেঁপে উঠলো।
উল্টো দিক থেকে বেশ কয়েকবার গুনলাম। তবুও ঘুম এলো না।
দীপাকে ফোন করা যায়। ওর না ঘুমানোর রোগ আছে। হয়তো আমার মতোই এখন জেগে। কিন্তু আজ যদি ঘুমিয়ে থাকে!
থাক। কাউকে ফোন করার দরকার নেই। তারচেয়ে একটি গল্প বানাই।
রাতে সেই বানানো গল্পটিই এখন বলবো। তবে আসলেই জেগে থেকে এই গল্পটি বানিয়েছিলাম, না স্বপ্নে দেখেছিলাম, তা এখন ঠিক মনে করতে পারি না।
গল্প তো গল্পই। তা বানানো কিংবা স্বপ্নেপ্রাপ্ত যাই হোক, তাতে কী এসে যায় বলুন!
গল্পটি বাতেনের। বাতেন কৃষ্ণপুর প্রাইমারি স্কুলে পড়ে। তৃতীয় শ্রেণী। ঠিকমতো ক্লাস করে না। তাই বলে তাকে ফাঁকিবাজ ছাত্র ভাববেন না। পেটের ধান্দায় তাকে প্রায়ই স্কুল কামাই করতে হয়। তবে সে খুবই সুবোধ ছেলে। স্কুলের স্যারদের কথা সে খুব মন দিয়ে শোনে। বাপ-মাকে মান্য করে।
বাতেনের একটা গুণ আছে। সে চমৎকার অভিনয় জানে। এই অভিনয়ই যে তার জীবনে কাল হবে তা কে জানতো। তবে বাতেনের বাপ-মা আজিজ মোল্লা আর মলিনা বেগমের জন্য আর্শীবাদ হয়েই এসেছিল।
ঘটনায় এবার প্রবেশ করবে আতিকুল ইসলাম ওরফে ট্যারা আতিক। সেই নাটের গুরু। তবে ট্যারা আতিকের বাড়ি কৃষ্ণপুরে না। পাশেই চর মকিমপুরে।
কৃষ্ণপুর প্রাইমারি স্কুল মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ঢাকা থেকে শিল্পীরা আসবে। গান হবে, নাটক হবে। স্কুলের ছেলেমেয়েরাও নাচবে, গাইবে। সাজ সাজ রব পড়ে গেছিল চারদিকে। শুধু কৃষ্ণপুর না, আশেপাশের গ্রাম থেকেও অনেক লোক এসেছিল। ট্যারা আতিকও অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল। তখনই সে বাতেনকে দেখে।
কৃষ্ণপুর স্কুলের ছাত্র হিসেবে বাতেন অনুষ্ঠানে অভিনয় করে। অন্ধ ভিক্ষুকের চরিত্রে। একক অভিনয়। একটা ময়লা পাঞ্জাবি গায়ে, মাথায় উলে বোনা টুপি, এক হাতে লাঠি, আরেক হাতে একটা প্লেট নিয়ে যখন বলতেছিল, দ্বীনের নবী মুহাম্মদ, রাস্তা দিয়ে হাঁইট্যা যান... তখন কে বলবে বাতেন আসলে অন্ধ না!
বাতেন স্টেজে যাওয়ার সময় বদরুল ভাই বলে দিয়েছিল, “বাতেন তুই অভিনয় করতে করতে স্টেজ থেকে মেম্বারের চেয়ারের সামনে যাবি। তাদের কাছ থেকে টাকা নিবি।”
বাতেন মেম্বারের ওইখানে গেলে মেম্বার ছাড়াও অনেকেই টাকা দেয়। প্লেট ভরে ওঠে দুই টাকা, পাঁচ টাকা, দশ টাকার নোটে। অভিনয় শেষে মঞ্চের পেছনে ফিরে এলে বদরুল সব টাকা রেখে বাতেনকে দশ টাকা দেয়। বাতেন তাতেই খুশি। সে দৌড়ে আইসক্রিম কিনে আয়েশ করে খায়। একটা আইসক্রিম কিনে দেয় বন্ধু মুরাদকেও।
এদিকে বাতেনের অভিনয় ট্যারা আতিকের ব্যবসা বুদ্ধি খুলে দেয়।
ট্যারা আতিক একজন দালাল। সে আর তার বউ মাকসুদা মিলে ঢাকার বাসা বাড়িতে কাজের মেয়ে সাপ্লাই দেয়। গ্রামের গরীব বাড়ি ঘুরে ঘুরে ছোট মেয়ে সংগ্রহ করে। তারপর তাদের ঢাকায় বিভিন্ন বাসা বাড়িতে রেখে আসে। এর বিনিময়ে সে বাড়িওয়ালাদের কাছ থেকে টাকা পায়। আবার কাজের মেয়েদের বাপ-মায়ের কাছ থেকেও টাকা নেয়।
তবে বাতেনকে দেখে ট্যারা আতিকের অন্য বুদ্ধি খোলে। বাতেনকে সে কারো বাড়িতে রাখবে না। অন্য ধান্দা করবে। তবে তার আগে জানতে হবে বাতেনের বাপ-মা সম্পর্কে। তারা বাতেনকে তার হাতে দিতে রাজি আছে কী’না!
বাতেনের বাপ আজিজ মোল্লার পেশা কামলাগিরি। মানুষের বাড়ি বাড়ি কামলা দেয় সে। প্রতিদিন যে কাজ পায় তা না। তবে ধান কাটার মৌসুমে প্রতিদিনই কাজ থাকে। তখন দিন ভালো যায়। আর মলিনা বেগম পাশের জোলা পাড়ায় গিয়ে চরকা বোনে। দিনে বিশ পঁচিশ টাকার কাজ করে। এই দুজনের কামাইয়ে পাঁচজনের সংসার চলে কোনোমতে। এ কারণে বাতেন কখনো কখনো স্কুল কামাই করে বাপের সঙ্গে কাজে যায়। তাতে সংসারে বাড়তি আয় হয়। যেদিন কাজে যায় না, সেদিন স্কুলে যায়। আর স্কুল শেষে সরকার বাড়ি গিয়ে এটা-ওটা করে দেয়। বিনিময়ে একবেলা খাবার জোটে।
সেদিন জহুরুল হাজীর বাড়িতে কাজ করছিল বাতেনের বাপ। ট্যারা আতিক তার কাছে যায়।
“আজিজ ভাই, তোমার তো অনেক কষ্ট। বাতেনরে কাজে দেও না ক্যান।”
“ও ছোট মানুষ, কী কাজ করবো।”
“আমার সাথে দাও। আমি ঢাকা নিয়া যাই। হোটেলে কাজ করবো। মাসে পাঁচশ টাকা মাইনা পাবে।”
পাঁচশ টাকার কথা শুনে আজিজ মোল্লা কিছুক্ষণ চুপ থাকে। ভাবে, নাহ্, এতো ছোট পোলারে ঢাকায় পাঠাবো না। তখন পাঁচশ টাকার চিন্তা তার মাথার ওপর চিরিক দেয়। সে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ভাবে, বউয়ের সাথে কথা বলা দরকার।
“আচ্ছা, বাতেনের মার লগে কথা কয়ে তোমারে কাইক্যা জানামুনে।”
বাতেনের মা প্রথমে রাজি হয় না। আজিজ মোল্লা তারে বুঝায়। “মাসে পাঁচশ টাকা, ভাইব্যা দ্যাখ বউ।”
মলিনা বেগম ভাবে। হোটেলে কাজ করবো। তিনবেলা ভালো খাইবো। সঙ্গে মাস গেলে পাঁচশ টাকা পাইবো। আবার কাস্টমাররা যদি খুশি হয়ে দুইচার টাকা বকশিস দেয়, তা নিজের থাকবো। মলিনা বেগম ভাবে, গতকালই দুপুরে, বাতেন কিছু খায় নাই। ছোট দু’টারে দিয়ে নিজের ভাগে কিছু জোটে নাই। রাতে বাতেনের বাপ খাবার আনার পর খাইছে। মলিনা বেগম তাই তিন বেলা খেতে পাবার কথা শুনে একটু নরম হয়। মনে মনে আরো হিসেব করে, ঘরের বেড়া পাল্টাইতে হবে, রান্নাঘরের চাল গত ঝড়ে উড়ে গেছে, সেটা লাগাতে হবে। শীত আসতেছে, একটা লেপ বানানো লাগবে।
বাতেনের মা রাজি হয়।
এক সকালে আলু ভর্তা দিয়ে পেটপুরে ভাত খেয়ে বাতেন ট্যারা আতিকের হাত ধরে ঢাকায় রওনা হয়।
তখন দুপুরের রোদ গড়িয়ে পড়ছে পশ্চিমে। রাস্তায় মানুষের চাপ একটু কম। সেই সময়ে ফার্মগেট ওভারব্রিজে বাতেনকে একটা ময়লা পাঞ্জাবি, মাথায় উলে বোনা টুপি, এক হাতে লাঠি, আরেক হাতে একটা প্লেট নিয়ে দ্বীনের নবী মুহাম্মদ, রাস্তা দিয়া হাঁইট্যা যান... বলতে দেখা যায়!
মন্তব্য
গল্পের একটা ফাঁক যেনো থেকে গেলো। কি একটা যেনো বলা হলো না...
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
বড়ভাই, আসেন আমরা দুইভায়ে মিলে না বলা কথাগুলো বলে দিই।
...............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
খুব-ই ভালো গল্প হতে পারতো এটা। জাম্পিংটা কটু লাগছে।
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
বস, আপ্নের মতো লেখক্রে উপদেশ দেয়ার ধৃষ্টতা আমার নাই। কিন্তু, আপনি লেখবেন আরো জটিল লেখা। ...
শেষটা পাঠকেরে টানলো না ক্যান ?? 'স্লামডগ মিলিওনিয়ার' এর মতো হাত লুলা কইরা দেওনের মত দুই একটা শক দেওন যাইতো না ?? [অবুঝ ভক্তের কথায় রাগ কইরেন না। ]
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!
বেচারা বাতেনকে আর কষ্ট দেয়া কী ঠিক হইতো! এমনিতেই বাপ-মা'কে ছেড়ে এসে কষ্টে আসে! তোমার দেখছি কোনো মায়াদয়া কিচ্ছু নাই। আচ্ছা, তোমার বুকে পশম আছে তো?
......................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
শেষমেশ আইসা এইটা কী করলেন? আপনেরে কি পেট কামড়ানি রোগে ধরছে মিয়া?
বস, আপনে দেখছি ইয়া বড় ডাক্তার! আমার যে পুরানো পেট কামড়ানি রোগ আছে, দেখেই বুঝে ফেললেন!
...................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
মনে হলো হঠাৎ করে শেষ করে দিলেন...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শেষটা ইচ্ছে করেই ডিটেইল করতে চাইনি। আমার মনে হয়েছিল, তাতে ক্লান্তি আসতে পারে!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
দারুন ।
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
_________________________________________________________
খাতার দিকে তাকিয়ে দেখি,এক পৃথিবী লিখবো বলে-একটা পাতাও শেষ করিনি। ( জয় গোস্মামী)
ধন্যবাদ রুনা আপা!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
গল্প যে খারাপ লাগছে বলতে পারুম না; আমার কাছে ভালো লাগছে, তবে মনে হলো লেখনের সময় আপনের হাতে সময় খুব কম আছিলো। এই আর কি...
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
বুঝলেন না বস্, 'মিরপুরের সেই ...' মাথার ভেতরে থাকলে তো হাতে কম সময়ই থাকে!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
জানাইয়া দিমু না কি সবাইরে ?
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
পুরো গল্পটাই ভাল লাগছিল, শেষে এসে মনে হলো তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেল। (এই রে বেশ বোদ্ধার মত কথা বলে ফেল্লাম আসলে বুঝি না কিছুই।)
তবে ভাল লেগেছে ........
নৈশী ।
তাড়াতাড়ি শেষ হলেও ভালো লেগেছে!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ভালো লাগলো পান্থ । `খুব ভালো` লাগতে পারতো !!!
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
হয়তো!
......................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ভালো লাগল পান্থ, তবে মনে হলো একটু হঠাৎ করেই শেষ করে দিলেন!
........................................
......সবটুকু বুঝতে কে চায়!
----------------------------------------------
We all have reason
for moving
I move
to keep things whole.
-Mark Strand
আমি লিখতে লিখতে হয়রান হয়ে গেছিলাম। আর আপনে কন কী'না তাড়াতাড়ি শেষ করে দিলাম!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
প্রব্লেম-টা আসোলে হয়তো এরকম-
মাঝে মাঝেই তোমার গল্পবলার স্টাইলের সাথে বিট্রে করে তোমার নামকরণ! গল্পের শেষ লাইন বা প্যারা মানুষ শেষেই পড়ে, কিন্তু গল্পের নাম কিন্তু প্রথমেই প'ড়ে তবে গল্পে ঢোকে। এমনিতে নামকরণে শুধু বড়-বিষয়গত কিছু থাকলে, শেষে এসে হঠাত্ ক'রে অন্যরকম হয়ে গিয়ে শেষ হ'লেও সেটা অনাকাঙ্খিত ট্যুইস্ট হয় ব'লেই বেশি মজা হয়। এমন অনেক ট্যুইস্টে চটকনা খেয়ে তাব্ধা লেগে যাওয়ার মতো শক হয়, শক থেরাপি তো খুব কাজের, ওই গল্প তখন মনে থাকে সারাজীবন। কিন্তু, তোমার এই নামকরণের কারণে আমি এইবারও গল্পের ভেতর একটু ঢুকেই বুঝতে পারছি- শেষে কী হৈতে যাইতেছে! তোমার কিছুদিন আগের "একটা বেডসিন থাকবে"ও ঠিক এইরকম দুষ্ট ছিল।
এমনিতে তোমার বেছে নেয়া স্টাইলের এই গল্পবলা এত ভালো যেতে থাকে, কিন্তু নামকরণ এবং শুরুর একটা দুইটা টিপিক্যালি অ্যাটিপিক্যাল হিন্টে যখন শেষটা অবভিয়াস হয়ে যায়, তখন আর শেষের শক-টা শক থাকে না, মনে হয় যেন এইটা বলতে চাইছিলা তাই তাড়াহুড়ায় শেষে ব'লে দিলা কোনোমতে! অন্যথায় কিন্তু পাঠক ঠিকঠাকই ইমোশনালিটি-তে এইটুকু ইনভলভ্ড-ই থাকে, যে- এই ভুল বা না-থাকলে-আরো-ভালো-হৈতো টাইপের গ্যাপগুলাও আইডেন্টিফাই করার মতো লজিক্যাল সেপারেশন-টাতে থাকে না। আমাদের বস কিন্তু এইরকম উদাহরণ দেন মাঝেমধ্যে। মনে পড়ে?
আমার তো আবার কোষ্ঠকাঠিন্য ভাষার দুর্নাম! বক্তব্য পরিষ্কার করতে পারছি আশা করি।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
হুম! এ কারণেই তো আপনের দুয়ারে গেল কালকে হানা দিছিলাম। আপনার টাইম হৈতে ছিল না। আমার আবার ধৈর্য্য কম! ছাইড়্যা দিছি!
........................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
নিজের যে সিগনেচার-টা লিইখা রাখছো, সেইটা আরেকবার দ্যাখো। তারপরে ডিপ কইরা, না কিসটিস না, একটা শ্বাস লও। তারপরে ধীরেসুস্থে পরের কাজ করো।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
কষ্টের চিরচেনা গল্প পান্থ।
এইবার হাসি মশকরার কিছু লেখ
ফ্লপ...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
ঠিকাছে
---------------------------------------------------------
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড়
ঢের ঢের বড়
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
গল্পটা হঠাৎ শেষ করাই ভালো হইছে মনে হয়! বনফুল, মোপাসা- র গল্পেও এই ফর্মেট টা দেখা যায়। তবে শিরোনামে অন্ধ তৈরীর ব্যাপারটা আগে না উল্লেখ করা থাকলে পাঞ্চটা ভালো হতো।
নতুন মন্তব্য করুন