গেল পরশু একটি ম্যাগাজিনের অফিসে গেছিলাম। এক বড় ভাইয়ের সাথে দেখা করতে। বড় ভাই ম্যাগাজিনটার বেশ বড়সড়ো লোক। সম্পাদকের পরেই তার অবস্থান। ম্যাগাজিনের ঈদসংখ্যা নিয়ে তিনি ভীষণ ব্যস্ত। কথা বলার ফুসরত নাই। তার ব্যস্ততার মাঝেও দু’চারটার কথা হয়।
“ঈদসংখ্যা কবে বাজারে আসবো।”
“পেস্টিং চলছে, কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসবো।”
“এবার কী কী থাকছে।”
“গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথা। প্রতিবার যা থাকে, তাই।”
কথা এই পর্যন্তই।
বিভিন্ন পত্রিকা আর ম্যাগাজিনগুলো তাদের ঈদসংখ্যাগুলোতে কী থাকছে, তার বিজ্ঞাপন দিচ্ছে। সব জায়গাতেই একই জিনিস। ওই গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ, স্মৃতিকথার সমাহার। পাঠক হিসেবে আমি বড়োই বিমর্ষ হই। এইসব পত্রিকাগুলোতে শুধু নিজেদের নামের ভিন্নতা ছাড়া বিষয়বস্তুতে কোনোই ভিন্নতা নাই।
ইউনিতে মার্কেটিং কোর্সে একটা জিনিস শিখেছিলাম। ডিফারেনশিয়েট অর ডাই। পণ্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা গুণই ওই পণ্য বিক্রির মূল নিয়ামক। পণ্য বাজারে বিকোতে গেলে ভোক্তাদের সমজাতীয় অন্যান্য পণ্য থেকে একটা আলাদা বেনিফিট দিতেই হয়। কিন্তু আমাদের পত্রিকাগুলোর দিকে তাকালে আলাদা কোনো ভিন্নতা চোখেই পড়ে না। (মতাদর্শিক ভিন্নতা অবশ্য চোখে পড়ে। কেউ আওয়ামীপন্থী, কেউ বিএনপি আবার কেউবা জামাতপন্থী)। সবারই প্রাণপণ চেষ্টা থাকে প্রথম আলোকে অনুসরণ করতে। তাহলে একজন পাঠক প্রথম আলো ছেড়ে অন্য পত্রিকায় যাবে কেন! সে তো প্রথম আলোতেই সব পেয়ে যাচ্ছে। আর একারণেই মনে হয় পাঠকসংখ্যার দিক দিয়ে দ্বিতীয় স্থানের পত্রিকাটিও প্রথম আলো থেকে অনেক পিছিয়ে। প্রথম আলোর সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে সেরকম একটি বেনিফিট দিয়ে টিকতে হবে। সেই বেনিফিটটি কী তা বাজার গবেষণা করে বের করতে হবে।
কালের কণ্ঠ বাজারে আসছে। এই খবর পুরানো। বেরুবার দিনক্ষণ নিয়ে এখন কথাবার্তা হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে অক্টোবরেই বাজারে আসবে। প্রত্যেক পত্রিকার উদ্বোধনী ইস্যু নিয়ে একটি নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে। সে হিসেবে কালের কণ্ঠ’রও একটা পরিকল্পনা থাকবে হয়তো। কী সেই পরিকল্পনা তা আমরা জানি না। তবে মিডিয়াপাড়ায় জোর গুজব, পত্রিকাটি প্রথম একমাস পাঠকদেরকে ফ্রি হিসেবে দেবে! কেউ একজন হকারের কাছ থেকে অন্য যেকোনো একটি পত্রিকা কিনলে একটি কালের কণ্ঠ ফ্রি হিসেবে পাবেন। উড়ো খবর হলেও শুনে কিছুটা তাজ্জব বনে গেছি। ফ্রি দিয়ে পাঠক ধরার এই ধান্দা অনৈতিক কী’না তা জানি না। তবে আমি এমনভাবে পাঠক ধরার বিষয়টি ঠিক সমর্থন করতে পারি না। একটি পত্রিকাকে বাজারে টিকতে হলে তার নিউজ কোয়ালিটি দিয়েই টিকতে হবে। তা না হলে নয়। নয়াদিগন্তও প্রথম কয়েকদিন বিনামূল্যে বিলিয়ে দিয়েছিল। দামও রেখেছিল অনেক কম। শুরুর দিকে তাদের কিছু পাঠকও জুটেছিল। এখন তাদের সেই রমরমা অবস্থা কিন্তু নেই। যুগান্তরও হকারদের বিশেষ সুবিধা দিয়ে দাবি করেছিল প্রচারসংখ্যায় তারা একনম্বর। এখন তাদের কিন্তু এই দাবি করতে দেখা যায় না।
বাংলাদেশের পত্রিকার পাঠক সংখ্যা ১০ লাখের মতো। ১৫ কোটি জনসংখ্যার দেশে এই পাঠকসংখ্যা খুবই নগণ্য। (সবাই অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন নয়, তবুও সংখ্যাটা নগণ্যই)। তাই পত্রিকাগুলোর উচিত ‘বদলে যাও, বদলে দাও’ না বলে ক্রয়ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে পাঠকরা পত্রিকা কেনেন না তাদেরকে ধরা, তাদের কাছে সংবাদের গুরুত্ব বাড়িয়ে তোলা। কালের কণ্ঠ নতুন পত্রিকা হিসেবে হয়তো তাদের পক্ষে নতুন পাঠক গোষ্ঠী তৈরি করা সম্ভব নয়। এজন্য তাদের উচিত বিদ্যমান পাঠকগোষ্ঠীর কাছে ‘ডিফারেনশিয়েট বেনিফিট’ কে তুলে ধরা। সেরকম হলেই হয়তো কালের কণ্ঠ পাঠকদের কদর পেতে পারে।
মূলধারার পত্র-পত্রিকা নিয়ে আমার অতো ভাবনা-চিন্তা নাই। আমি বিশ্বাস করি, ব্লগ কিংবা ই-পত্রিকাই আমাদের আগামীদিনের ভরসা। আমাদের সাংবাদিক-লেখকরাও আজ ব্লগের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। সেদিন ধ্রুবদার (অংকন শিল্পী ও লেখক ধ্রুব এষ) সাথে কথা হলো। তিনি ব্লগের ব্যাপারে বেশ উৎসাহী। বিশেষ করে সচলায়তনের ব্যাপারে। বললেন, একটু সময় করতে পারলে ঢুঁ মারবেন। ধ্রুবদাকে অবশ্য ব্লগের ব্যাপারে আগ্রহী করে তুলেছেন শীতনিদ্রায় অচেতন আমাদের সন্ন্যাসী দা। তিনি কবে জেগে উঠবেন, আমরাও রাশান কৌতুকে হো হো করে উঠবো, তা তিনিই জানেন। শুধু ধ্রুবদাই নন, আরো অনেকেই আগ্রহী ব্লগের ব্যাপারে। কিন্তু তাদের ধারণা, এখানে লেখা বুঝি টেকনিক্যাল একটা ব্যাপার-স্যাপার। লিখতে বহুত হুজ্জুত করতে হয়। তাই আগ্রহী হওয়া সত্ত্বেও তারা লিখছেন না। তাদেরকে যদি একবার দেখিয়ে দেয়া যায়, তবে ব্লগের মিথস্ক্রিয়ার স্বাদ থেকে তারা আর মুখ ফেরাবেন না বলেই মনে হয়!
মন্তব্য
কালের কণ্ঠ এবং পত্রিকাগুলার ইঁদুর দৌড়াদৌড়ি নিয়া বিপ্লবদার এক পোস্টে অনেক কথা কইছিলাম। আর কইতে পারুম না। তাই এই পোস্টে মন্তব্য নাই...
অন্যদের কথা শুনি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজু ভাই, এইটা একটা কথা কইলেন! একজন সাংবাদিক সবসময়ই সাংবাদিক। তাই সাংবাদিকতার এই বিষয় নিয়া আর কথা কইতে পারবেন না, তাই হয়। দুই একটা কথা কন না, শুনি!
......................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
সুচিন্তিত লেখা। দেখাযাক কী করে তাঁরা।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ, অপেক্ষা করছি, দেখি কী হয়।
...............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
কালের কন্ঠের মালিক যারা তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু কী আশা করা যায়? ভরসা শুদুঃ আবেদ খান। দেখি ওনি কী জিনিস নিয়ে আসে আমাদের জন্য। টেস্ট না করে তো কিছু বলা যায় না। ধন্যবাদ বিশ্লেষনধর্মী সুন্দর লেখার জন্য।
দলছুট
-----------------------------------------------------------------
পথের শেষেই আমার পথ।
আবেদ খানের উপর ভরসা করার মতো কিছু খুঁজে পাই না আমি!
...............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ফ্রি পত্রিকার কালচারটা আমার মতে ভালো। এটা বাইরের দেশগুলোতে একটা খুব সাধারণ ধারননা। এখানে এরকম ফ্রি পত্রিকা আছে অনেক। এই পত্রিকাগুলোর জন্য রীতিমত কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। বিজ্ঞাপনের টাকা দিয়েই তারা সব খরচ তুলে লাভ করছে। তাই সহজেই ফ্রিতে দিতে পারছে। স্টেশনে, বাস স্টপেজে বা অন্যান্য পাবলিক প্লেসে পত্রিকাগুলো রেখে দেয়া হয়। যে যে যার যার মত নিয়ে পড়ে।
ঈদ সংখ্যায় বৈচিত্র আনার বিষয়টা খুব দরকার। সব একঘেয়ে লাগে। তাই পাঠক হারাবার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।
গনকণ্ঠ, জনকণ্ঠ, কালের কণ্ঠ । সিরিজটা কতদূর যায় দেখার ইচ্ছে আছে।
টুইটার
হ, দেখা যাক কতদূর যায়!
.................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আমিও অপেক্ষায় আছি, কী করেন তাঁরা! তবে শেষপর্যন্ত যে কী করবে, তা বলা যায় না!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
মার্কেটিং নিয়ে নাড়াচাড়া করতে পছন্দ করাদের কমেন্ট পড়বার প্রত্যাশায় রইলাম।
সিমন, তোমার মার্কেটিং-এ এমবিএ দেখছি জলে যাবে!
..............................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
এইভাবে হাড়িডা ভাইঙ্গা দিলেন!
আচ্ছা সচলায়তনের উদ্যোগে ব্লগ নিয়ে একটি ছোট খাটো আড্ডা করলে কেমন হয় এইসব ইচ্ছুকদের নিয়ে। ধরুন একটি হলরুম থাকবে, একটি প্রজেক্টর আর ইন্টারনেট সহ একটি দুটি কম্পিউটার। ২০-৪০ জনের একটি দলকে অনায়াসেই ব্লগ সম্পর্কে ধারণা দেয়া যায়। আমি আনুষ্ঠানিক সেমিনার ইত্যাদির দিকে যাচ্ছি না, কারণ যত বাণিজ্য ঢুকবে ততই পরিস্থিতি জটিল হবে।
এতটুকু করতে মনে হয় বেশী খরচ হবার কথা নয়। সবাই মিলে চাঁদা তুললে হবে না? আর প্রশিক্ষণের দায়িত্বটুকু গুটিকয়েক সচলের নিলেই হবে।
এরকম একটি ইনফরমাল আড্ডার মাধ্যমে শেখানো হলে চমৎকার একটি সাড়া জাগবে মনে হয়।
কিন্তু বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাধবে কে?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
পৃথিবী কথা বলছে আপনি কি শুনছেন?
রেজওয়ান ভাই, বিষয়টা খারাপ না! করতে পারলে ভালোই হয়। কিন্তু আমাদের এইসব লেখক-সাংবাদিকদের যে আজাইরা অহম, দলবেঁধে শিখতে রাজি হবে কী'না, আমার সন্দেহ হয়। তারচেয়ে আমাদের পরিচিতদের যদি ব্যক্তি উদ্যোগেই শিখাই, সেটাই মনে হয় কাজে দেবে!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
রেজওয়ান ভাইয়ের এইটা খুব ভালো আইডিয়া। শুধু শেখানোর ব্যবস্থা করলে চলবে না। সাথে অন্যান্য ধরনের আলোচনা থাকতে হবে। শেখানোটা আসবে প্রাসঙ্গিক ভাবে।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
হুমম... দেখা যাক কী হয়।
হুম, দেখা যাক।
.......................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ভালো একটা লেখা তবে বস কালের কণ্ঠ কিচ্ছুই করতে পারবে না। কিচ্ছু করতে পারবে না এ অর্থে যে, ওরাও প্রথম আলো কে দেখে এগুতে চাইবে।
তাহলে একজন পাঠক প্রথম আলো ছেড়ে অন্য পত্রিকায় যাবে কেন!
আমার যা মনে হয় প্রথম আলো ছেড়ে যদি মতিউর রহমান চলে গিয়ে আরেকটি পত্রিকা করেন, তবেই কিছু হবে...
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
শুধু মতিউর রহমান গেলেই হবে না, সেই পত্রিকাটিকে সেই ধরনের স্ট্যাট্রেজি নিতে হবে। তবেই হতে পারে হয়তো!
................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
শত পত্রিকার ভীড়ে পাঠক যেহেতু নতুন পত্রিকা কিনতে ইচ্ছুক হবেন না, তাই প্রথম দিকে ফ্রি দেয়ার আইডিয়া খারাপ মনে হচ্ছেনা। তবে আবেদ খানকে দিয়ে একপেশে পত্রিকাই হবে, নতুন কিছু হবে বলে বিশ্বাস করিনা।
আবেদ খানকে দিয়ে হবে না, সবাই-ই এমন ভাবছে! এখন দেখা যাক তিনি কদ্দুর কী করতে পারেন!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
মার্কেটিংয়ের ছাত্র হইয়া এইটা কী কইলা মিয়া ? ফ্রি দেয়ার মাঝে আবার নৈতিকতা অনৈতিকতার কী সমস্যা।
প্রোডাক্ট ফ্রি দেবে, ব্যবহার করে ভালো লাগলে পাবলিক কিনবে, এটা তো বহুল ব্যবহৃত মার্কেটিং টুল।
তবে সব পত্রিকা বাজারে আসার সাথেই এরকম গুজব শোনা যায়। প্রোডাক্ট ভালো না হলে এসব ফ্রি দিয়ে কোন লাভ হয় না।
আমি কালের কন্ঠ নিয়ে তেমন একটা আশাবাদী না। বসুন্ধরা গ্রুপের স্বার্থ দেখা ছাড়া এসবে আর তেমন কাজ হবে না।
আবু হাসান শাহরিয়ারের একটা কথা আছে। আগে বড়লোকেরা সম্পত্তি রক্ষার জন্য কুকুর পুষতো, এখন পোষে পত্রিকা।
অনৈতিকতার বিষয় এরমধ্যে আছে কী'না সেটাই আসলে জানতে চাইছিলাম। তবে কোয়ালিটি সচেতন না হয়ে এইসব ফ্রি-টি দিয়ে পাঠক ধরার ধান্দা ঠিক জুতের মনে হয় না। আবার ধরেন, ৪ টাকা দামের ১২ পৃষ্ঠার একটা পত্রিকার সাথে যদি ২৪ পৃষ্ঠার পত্রিকা ফ্রি দেয়, ব্যাপারটা আমার কাছে খাপছাড়া রকমের দৃষ্টিকটু লাগবে, এটাই বলতে চাইছিলাম আরকি।
...................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আবু হাসান শাহরিয়ারের বক্তব্য একদম কাঁটায় কাঁটায় যথাযথ।
কালের কণ্ঠ নিয়ে আমি খুব আশাবাদি না। অন্য পত্রিকারা চিন্তিত হতে পারে, কারণ তাদের বাজারে আবার ভাগ বসাতে আসছে আরেকজন। তোমার ঐ ১০ লাখ লোককে নিয়েই যত কামড়াকামড়ি। কিন্তু কেউ নতুন পাঠক তৈরি করতে পারে না। আর আবেদ ভাইয়ের সাথে তো সমকালে কাজ করেছি, যুগান্তর বা সমকালে কোনো আবেদীয় ক্যারিশমা কিন্তু দেখতে পাই নি। তিনি কোনো নতুন সম্পাদকীয় প্রতিভার বিদ্যুৎঝলকে আমাদের চমকে দেবেন, এটা আমি পাঁচ পেগ ভদকা খেয়ে ঘুম দেবার পরও স্বপ্নে দেখি না। বরং এ কয়টা বছর মালিকপক্ষের হাতে পর্যুদস্ত হতেই দেখলাম তাঁকে।
বাংলাদেশের মার্কেটিং পলিসি বাইরের দেশের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন, মন্ট্রিয়ালে পত্রিকা ফ্রি। মেট্রোতে, দোকানে বিভিন্ন জায়গায় সাজানো থাকে, সেখান থেকেই মানুষজন নিয়ে যায়। তার ওপর ভিত্তি করেই বিজ্ঞাপন। সেই টাকাতেই পত্রিকার ব্যবসা।
বাংলাদেশে ফ্রি পত্রিকা দিয়ে অন্তত কোনো মার্কেটিং করা যাবে বলে আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ, যেদিন থেকে পত্রিকার দাম ধরে দেয়া হবে, সেইদিন বাঙালি পত্রিকা পরিহার করবে। হেসে বলবে, পয়সা দিয়া কিনলে তোমারটা কিনুম ক্যান, এতদিন যেইটা পইড়া অভ্যস্ত, সেইটাই কিনুম!
অভ্যাস পাঠকের খুব বড় ব্যাপার। পত্রিকা আমাদের প্রতিদিনের পরিচিত রুটিনের মতোই একটা ব্যাপার। আমরা প্রতিদিন যে রাস্তা দিয়ে অফিস যাই, যে দোকানে দাঁড়িয়ে চা খাই, যে কাঁচাবাজারে বাজার করতে যাই, তার ক্ষেত্রে আমাদের একটা অভ্যাস গড়ে ওঠে। অন্য কোনো রাস্তা দিয়ে অফিস গেলে, অন্য কোনো বাজারে বাজার করতে গেলে আমরা অস্থিরতায় ভুগি, মনে হয় কিছুই যেন ঠিক চিনে উঠতে পারছি না!
আমি গড়পড়তা পাঠককে প্রচুর জিজ্ঞেস করে দেখেছি, কেন এই পত্রিকা পড়েন? যেমন, অনেকে ইত্তেফাকও তো পড়ে, কী আছে সেখানে মূলত বিজ্ঞাপন ছাড়া?
সবাই ভালো রির্পোটিংয়ের কথা বলে। কিন্তু আসল ব্যাপারটা হল গড়পড়তা পাঠক দীর্ঘদিনের অভ্যাস শেষে নতুন চেহারার একটা পত্রিকায় গিয়ে হারিয়ে যায়। কোথায় সম্পাদকীয়, কোথায় দেশের খবর, কোথায় অনুষ্ঠানসূচি, কোথায় রাশিফল...
আমরা ঘরকুনো জাতি, নিয়মিত অভ্যাসে থাকতেই পছন্দ করি। তাই একটা নতুন পত্রিকায় আমাদের নতুন অভ্যাস গড়ে দেয়া খুবই কঠিন।
মার্কেটিংয়ের জন্য নানান পথ আছে। যেমন "বন্ধুসভা" একটা ভালো জিনিস ছিল। তারপর অনলাইনে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে মতামত দেয়া, ফোন করে কোনো বিষয়ে মতামত জানানো, এগুলো ভালো উপায়। এগুলো প্রথম আলো করেছে, তবে মনে রাখতে হবে, রাতারাতি করে নি। অনেকদিন লেগেছে তাদেরকে এই অবস্থানে, তাই এক বছরের মধ্যে প্রথম আলোকে পটকে দেবে, এই প্ল্যান নিয়ে যেসব পত্রিকা শুরু করে, তারা নিজেরাই পরে পটকে যায়।
তুমুল সম্ভাবনা নিয়ে শুরু করে ধ্বংস হয়ে যাওয়া দুখানা পত্রিকা "যায় যায় দিন" আর আমাদের সেই "সমকাল"। যায় যায় দিন এখন কমলপুর স্টেশনের পাশের বস্তিতে এক টিনের ঘরে ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে থাকে আর সমকাল একটা বেসরকারি অফিসে মাঝারি ধরনের চাকরি করে মোটামুটি সংসার চালিয়ে বেঁচে আছে। অথচ তাদের হওয়ার কথা ছিল এদেশের অন্যতম সেরা পত্রিকা।
মার্কেটিংয়ের আগে একটা পত্রিকার ভাবা উচিত, তারা কীভাবে আগামি অন্তত পাঁচ বছর খুব ভালো কাজ দেখাতে পারবে। কোন কোন সাংবাদিককে কোন সেক্টরের দায়িত্ব দিয়ে যুদ্ধের মাঠে নামিয়ে দিতে হবে, তারপর সে যদি বেশি বেতনের বা টিভি চ্যানেলের বুলেটে ধরাশায়ী হয়ে বিদায় নেয়, তাহলে তার জায়গায় আর কে নতুন দায়িত্ব নিতে পারে, সেটা আগে থেকেই ঠিক করে রাখা। কোন কোন বিষয় নিয়ে এ তাবৎ কথাই বলা হয় নি মানুষের সামনে, একটা সাহসী, নিরপেক্ষ, যোদ্ধা, সম্রাট বাবর টাইপের নিস্পৃহ ছক কাটা যোদ্ধা মানসিকতা নিয়ে এগোলেই কিছু করা সম্ভব।
কিন্তু নতুন পত্রিকা এলেই সেখানে চাকরিবাকরিতে পরিচিত মানুষ নেয়া, সিনিয়র সাংবাদিকের কাজের চেয়ে বেশি ভাব নেয়া, কে কত বেশি বেতন বাগাতে পারে তার প্রতিযোগিতা, "অমুক শালা আমারে তমুক পত্রিকায় কাজ করার সময় পোন্দাইসিল এইবার আমি তারে দেইখা নিমু" জাতীয় মানসিকতা নিয়া দল পাকানো... এইসবই চলে!
সেইখানে যুদ্ধ কই, স্ট্র্যাটেজি কই?
কালের কণ্ঠে এমন কিছু ঘটবে না, সেটা মেনে নেয়া কঠিন। কারণ লোকগুলো ঘুরেফিরে সেই আগেরটাই।
যাক গিয়ে, এই কাদা ঘাঁটার কাহিনী বলতে আর ভালো লাগছে না।
প্রথম আলোর পর আমি একটি সফল পদক্ষেপ দেখি বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর-এর। বাংলাদেশের মতো দেশে তারা ইন্টারনেটকে অবলম্বন করে পাঠকের আস্থা কুড়িয়েছে। সেইখানে দলাদলি কামড়াকামড়িও হয়েছে, কিন্তু বেশ সার্থকতার সাথে তারা টিকে আছে। অনেক পত্রিকার সাংবাদিককেও আমি দেখেছি ডেস্কটপে বিডিনিউজ খুলে রাখতে, আধা ঘণ্টা এক ঘণ্টার মধ্যে নতুন কিছু ঘটল কিনা সেটা জানতে। তাদেরকে প্রথম আলোর ভাত মেরে খেতে হয় নি, কিন্তু খেয়েপরে তারা বেশ গৌরবের সাথেই বেঁচে আছে।
আমার মনে হয়, মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি যত ভালোই হোক না কেন, পত্রিকার কাজ যদি ভালো না হয়, তাহলে হবে না। নতুন আইডিয়া, নতুন চেহারা, সাহসী সাংবাদিকতা, গরম খবরের তুখোড় প্রেজেন্টেশন... এইগুলো চলতে হবে দিনের পর দিন, এক মাস দুই মাস বা এক বছর দুই বছর না!
টানা অন্তত পাঁচ বছর লড়াই চালিয়ে যেতে হবে একই মান ধরে রেখে। এর মধ্যে অনেকে আসবে যাবে, অনেক উত্থানপতন হবে, কিন্তু একজনকে হাল ধরে রাখতেই হবে মতিউর রহমানের মতো জাদুকরি বুদ্ধি আর দূরদর্শিতা মাথায় নিয়ে।
জানি না, সেরকম কিছু হবে কিনা। নইলে কমলাপুরে ৭০০ টাকা ঘরভাড়া আর বেসরকারি অফিসে মাঝারি চাকরি করে দিন কাটিয়ে দেয়ার পাশাপাশি নতুন উপাখ্যান যুক্ত হবে শুধু, নতুন কিছুই আর ঘটবে না!
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
মৃদুল ভাই, ১০ লাখকে ১২ লাখ করার দায়িত্ব প্রথম আলোর। কারণ প্রথম আলো মার্কেট লিডার। আশ্চর্য লাগে, ক্যাটেগরি লিডার হিসেবে সে পাঠকসংখ্যা বাড়ানোর দিকে না গিয়ে 'বদলে যাও, বদলে দাও' কাম্পেইন করে! তবে বলছি না এগুলোর দরকার নাই। কাস্টমার এনগেজমেন্ট'-এর জন্য সে এগুলো করতেই পারে। কিন্তু তার মূল দায়িত্ব ওই ১০ কে ১২ লাখে নিয়ে যাওয়া। সেটা করার কোনো প্রচেষ্টা চোখে পড়ে না। আর কালের কণ্ঠ যেহেতু নতুন আসছে, তারপক্ষে নতুন পাঠক তৈরি করা কষ্টসাধ্য। সে আসলে ডিফারেনশিয়েট বেনিফিট'টাই বেচতে পারে। সেটা কেমন করে করবে, তাই দেখার অপেক্ষায় আছি। আপনি পত্রিকা অফিসের অভ্যন্তরীণ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন, পত্রিকায় কখনো চাকরি করি নাই (যদিও কয়েকটি পত্রিকায় প্রদায়ক হিসেবে লিখেছি) বলে এ বিষয়ে তেমন ধারণা নাই। যদিও অনেকের মুখে এই বিষয়গুলোর কথা শুনেছি। তবে অভ্যাসের যে কথা বললেন, সেটা কিন্তু পরিবর্তন করানো যায়। ভালো কিছু দিলে পাঠক সেটা নিতে আপনার ঘরদোরে যাবে, এতে সন্দেহ নাই। প্রথম আলোই মনে হয় এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ!
...........................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
খুব ভালো পোস্ট, পান্থদা। মৃদুল ভাইয়ের মন্তব্যের পর কিছু বলার থাকে না আর।
ইদানীং কাগজের পত্রিকা মৃতপ্রায়। এই অবস্থায় বিজ্ঞাপন-ভিত্তিক ফ্রি পত্রিকা দিতে পারলে মন্দ হয় না। বাকি পৃথিবী যেখানে বাধ্য হয়ে যাচ্ছে, সেখানে আমরা আগেই স্বেচ্ছায় গিয়ে দেখতে পারি।
ব্লগকে আমি আগামী দিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। বাংলা ব্লগে 'সংবাদ বিশ্লেষণ' ধাঁচের মানসম্মত লেখা কম আসে। সেগুলোর পেছনে একটা বড় কারণ হলো সমসাময়িক ঘটনাবলি নিয়ে বিশ্বাসযোগ্য উৎসের অভাব। তবুও ধীরে ধীরে ঠিক হচ্ছে।
একটু সময় দেন, 'সংবাদ বিশ্লেষণ' ধাঁচের মানসম্মত লেখা ব্লগেও আসবে। তবে সেটা প্রিন্টেড ভার্সনের চেয়ে আরো বেশিই আর্কষণীয় হবে! কেননা, এখানে রেফারেন্স ও লিংক ব্যবহার করার যে সুযোগ, তা তো প্রিন্টেড ভার্সনে পাওয়া যাবে না।
...................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ভালো পোস্ট, সেই সাথে মৃদুল আহমেদ-এর যুক্তিযুক্ত মন্তব্য।
ফ্রি পত্রিকার বিষয়টা মন্দ নয় এই যুক্তিতে যে যারা কেনার সামর্থ্য রাখেন না তারাও পড়তে পারবেন। তবে সেরকম কন্টেন্ট তো থাকতেই হবে, নইলে বিজ্ঞাপন থাকবে না, আর ফ্রি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন না থাকলে তো চালানোই যাবে না। আবার এও ঠিক, অন্যান্য দেশে ফ্রি পত্রিকা দেখে অভ্যস্ত হয়েছি বলেই এই কনসেপ্টটা ভাবতে পারছি, নইলে "ফ্রি ফ্রি" যেকোন কিছুই আমাদের সাধারণ মাথায় ভালো লাগে না, সন্দেহ লাগে মান নিয়ে!
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
বলে রাখি, কালের কণ্ঠ বিজ্ঞাপন নির্ভর ফ্রি পত্রিকা হবে না! শুরুর দিকে পাঠক ধরার ধান্দা হিসেবে এমন পরিকল্পনা করছে বলে গুজব আছে বাজারে! বিজ্ঞাপননির্ভর ফ্রি পত্রিকা হলে ভালোই হতো।
.........................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
খুবই সময়োপযোগী বিষয়। মৃদুল ভাইয়ের মন্তব্যের পর আর কী বলবো। তার মন্তব্যটা আলাদা ব্লগ হওয়ার দাবিদার।
আখতার ভাই, আপনে কতদিন পর! কই ছিলেন এদ্দিন!
......................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ছিলাম, ধারে কাছেই ছিলাম। খালি আওয়াজ দেই আর কি!
বুঝছি ! নাবালিকা ..য়েদের মতো কোন পত্রিকাঅলাও পান্থরে একবার কইলো না, কেমন আছেন ভাইয়া, আইবেন নাকি ? হা হা হা !
খুব সুন্দর পোস্ট পান্থ !
মৃদুল দা' তো মন্তব্যঅলাগো ভাত মারলো !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
........................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
দারুন পোষ্ট পান্থ।
মৃদুল'দার মন্তব্য আরো অনেক ভাবনার পথ খুলে দিল।
সব মিলিয়ে দারুণ।
ধন্যবাদ, অনিদা!
..................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হুম.... দেখা যাক কী হয় !!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হুম, দেখা যাক!
.........................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
দরকারি পোস্ট। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য।
"আকাশনীলা"
অ্যাপিল আছে, সমাজের বিবেকের, এই পোস্টে, তা তো দেখাই যাচ্ছে।
তবে, ওই তো, বোঝোই তো, তুমিও তো ছিলা আরো সম্পৃক্ত, এইদেশের এইসব "বদলে-দাও" ফিল্ড তো কাছে থেকেও দেখছোই কী বদলায়! ঘুরায়া ফিরায়া ধামরাই (োয়া মারি আমরাই) আরকি!
ন্যায্যভাবে আশাবাদী করার মতো তেমন কিছু তো এমনিই বিরল, তার মধ্যে আবার প্রতিষ্ঠান! দিল্লী বহু দূর!
সবচেয়ে সফল পত্রিকারই যে চেহারা! তারাই তো মার্কেট লিডার।
(আমাদের দেশে কীসের আবার ডিফারেন্সিয়েশন! কীসের আবার মার্কেটিং প্রিন্সিপল! এইগুলার কোনো বেইল আছে কোথাও? নিজেদের ক্লায়েন্টদের অবস্থাও তো দেখতেছো হরহামেশা।)
তো, আগের হাল যেভাবে যায়, পিছের হালেরও তো সেই অবস্থাই হবে।
তাই, সিমনের মার্কেটিং-কপচানিকারক আশার চেয়ে আমার ইন্টারেস্টও বরং আরিফ ভাইয়ের কোট করা আবু হাসান শাহরিয়ার ভাইয়ের মন্তব্যের দিকেই ঝোঁকে বেশি। ঘটনা এইরকমই।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
ইউনিতে মার্কেটিং কোর্সে একটা জিনিস শিখেছিলাম। ডিফারেনশিয়েট অর ডাই। পণ্যের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বা গুণই ওই পণ্য বিক্রির মূল নিয়ামক। পণ্য বাজারে বিকোতে গেলে ভোক্তাদের সমজাতীয় অন্যান্য পণ্য থেকে একটা আলাদা বেনিফিট দিতেই হয়।
অনেকদিন পর পড়াশুনা মনে পড়ে গেলো।
----------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
ভাল লাগল পান্থ।
অনেক শুভেচ্ছা।
নতুন মন্তব্য করুন