• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

আলাপী সন্ধ্যায় একজন জনপ্রিয় লেখক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: মঙ্গল, ১০/১১/২০০৯ - ৩:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গত বইমেলার ঘটনা। সময় প্রকাশনী থেকে একটা কবিতার বই কিনবো। কবি জাহানারা পারভীনের। ভোরের কাগজে প্রদায়কগিরি করার সময় উনি আমাকে বেশ পছন্দ করতেন। তো বইমেলায় লিটলম্যাগ চত্বরে দেখা হলে জানালেন, সময় থেকে তার কবিতার বই ‘মা হাওয়ার সন্তান’ বের হয়েছে। তাই বইটা কিনতে সময়ের স্টলে যাওয়া। গিয়ে দেখি স্টলে জনতা উপচে পড়ছে। আর সেই উপচে পড়া জনতাদের আনিসুল হক আর সুমন্ত আসলাম দু’হাতে অটোগ্রাফ দিচ্ছেন।

বইমেলায় এমন দৃশ্য প্রতিবছরই দেখি। আর দেখি জনপ্রিয় লেখকদের বইয়ের বিজ্ঞাপনে পাতা ভর্তি দৈনিকগুলো। আমার লিটলম্যাগ পড়া হয় না। তবে দৈনিকের সাহিত্যপাতাগুলো উল্টানো হয়। সেখানে বইমেলাকেন্দ্রিক এইসব লেখকদের সাহিত্যকীর্তির কিচ্ছু দেখি না। এই জিনিসটা আমার কাছে আজব লাগে। [দৈনিকে লিখলে সাহিত্য আর অন্য কোথাও লিখলে সাহিত্য না, সেই প্রশ্নে আমাকে আবার জড়ায়েন না কইলাম!]।

যাই হোক, আসল প্রসঙ্গে আসি!
সেদিন সন্ধ্যাবেলা অফিস থেকে ফিরছি। মিরপুর ২ নং বাস স্ট্যান্ডে নামতেই দেখা হয়ে গেল সুমন্ত আসলামের সঙ্গে। উনি মিরপুর থানায় এসেছেন। তবে কোনো মামলা-মোকদ্দমার কাজে নয়। থানা পুলিশ নিয়ে একটা উপন্যাস লিখবেন, সেজন্য থানায় ঘোরাঘুরি করছেন। বইটা এবারের বইমেলায় আসবে কী’না জানতে চাইলে জানালেন, না, আসবে না! এটা নিয়ে বড়ো পরিসরে লিখবেন তিনি! তবে এই বইমেলায় তার ৮/১০ টা বই বের হবে।

সুমন্ত আসলামকে চিনি সেই ভোরের কাগজের পাঠক ফোরামের সময় থেকে। তাই কথা উঠলো পাঠক ফোরাম-বন্ধুসভা নিয়ে, সেখানকার সেইসব তরুণ তুর্কি’রা কে কোথায় আছে সেসব নিয়ে। সচলায়তন ব্লগ, ফেসবুক সেই সময়ের অনেকের সাথে আবার সংযোগ থাকার সুযোগ করে দিয়েছে। কিন্তু এসব সামাজিক সাইটগুলোতে সুমন্তদা নেই। তাই কারো সাথেই তার নেই সংযুক্ততা। [ সম্প্রতি ফেসবুকে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন তিনি]। কথায় কথায় আরিফ জেবতিক, সুমন সুপান্থ, হাসান মোরশেদ, নজমুল আলবাব, রানা মেহের, নুশেরা তাজরীন [নুশেরা’পু এখন সচলে লেখেন না], আনোয়ার সাদাত শিমুল, অর্জুন মান্না’রা যে সচলায়তনে লেখে তা তাকে জানাই। সুমন্তদা তখন তাদের ব্লগ লেখালিখি নিয়ে বেশ উৎসাহ দেখান। কার বই বের হয়েছে, লেখালিখিতে কে কতটা সক্রিয় তার হদিস নেন।

জনপ্রিয় লেখকরা কী খালি জনপ্রিয়তার কথাই চিন্তা করেন? মনে হয়। সুমন্তদা জানতে চাইলেন, ব্লগে কারা বেশি জনপ্রিয়। ব্লগে জনপ্রিয়তার চেয়ে মিথস্ক্রিয়ার ব্যাপারটা যে অনেক বড়ো সেটাই তাকে বললাম। তবুও তিনি জানতে চাইলেন, আরিফ জেবতিক, সুমন সুপান্থ, হাসান মোরশেদ’রা কেমন জনপ্রিয়! তাদের পাঠক কেমন? তাদের লেখার বিষয়বস্তু কী?

সাপ্তাহিকের ঈদসংখ্যায় আহমাদ মোস্তফা কামাল তার ’জনপ্রিয় সাহিত্য, জনপ্রিয়তার সাহিত্য’ লেখায় সুমন্ত আসলামের লেখক তৈরি’র একটা পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেছিলেন। সেই সময়েই বিষয়টা নিয়ে বেশ কৌতুহলী হয়েছিলাম। সুমন্ত আসলামকে সামনে পেয়ে তাই একটু ডিটেইল জিজ্ঞেস করি। তিনি জানান, বইমেলার সময় তার মতো কিছু লেখকদের উপরে বই লেখার প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এজন্য আমাদের অনেক লেখক দরকার। এই প্রয়োজনীয়তা থেকেই তিনি নতুন লেখক তৈরি’র একটা পরিকল্পনা করছেন। নতুন লেখক খুঁজতে তিনি সারাদেশ থেকে পাণ্ডুলিপি আহবান করবেন, সেখান থেকে বাছাই করে সেরা লেখার লেখকদের বই বইমেলায় প্রকাশ করবেন। আবার তাদের লেখার মান উন্নয়নে লেখালিখি বিষয়ক কর্মশালাও করাবেন। কিন্তু এভাবে প্রতিযোগিতা করে সুন্দরী তৈরি করার মতো লেখক তৈরি কতটা সম্ভব প্রশ্নে তিনি বলেন, সম্ভব! সেটাই তিনি করে দেখাবেন। এ প্রসঙ্গে আলপিনের মাধ্যমে তিনি কিছু নতুন লেখক তৈরি করেছেন, সেটা জানান।

হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক আর তাকে নিয়ে জনপ্রিয়তার যে কটুভাষ্য, তা তিনি মেনে নিতে নারাজ। তার ভাষ্য, যাদের বই চলে না, তারাই হিংসায়িত হয়ে তাদের সম্পর্কে এইসব হাজিজাবি কথা বলে। দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য পাতাগুলোতে বইমেলার সময় ব্যস্ত সময় কাটানো লেখকদের দেখা যায় না- এ বিষয়ে তার বক্তব্য, প্রত্যেক দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকরা একজন ব্যর্থ লেখক। এজন্য তারা পাঠকপ্রিয় লেখকদের প্রতি সহৃদয় আচরণ করেন না!

ব্যাপারগুলো নিয়ে সুমন্ত আসলামের সঙ্গে অনেক দ্বিমতের অবকাশ ছিল। কিন্তু তার তাড়া আছে। বাসায় গিয়ে এশার নামাজ পড়ে লেখার টেবিলে বসতে হবে। দাঁড়িয়ে কথা বলতে বলতে কয়েকটা ফোনকলও আসে লেখা দেয়ার তাড়া দিয়ে। বলেন, প্রচণ্ড চাপে আছেন। সামনে বইমেলা। দম ফেলবার ফুরসত পাচ্ছেন না!

তাকে বিদায় দিয়ে এক যশোপ্রার্থী লেখক হিসেবে ভাবতে থাকি, জনপ্রিয়তা একজন লেখকের জন্য কতটা ভালো অথবা মন্দ হতে পারে!


মন্তব্য

শুকনো পাতা [অতিথি] এর ছবি

পা র রে ভাই, দারুনৈছে। লাইক দিলাম

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

রেশনুভা এর ছবি

আমিও তাই ভাবতেছি এখন বস।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভাবেন, ভেবে কী পাইলেন, বইলেন কিন্তু!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

শাহেনশাহ সিমন এর ছবি

শেষ প্যারা'র কথা বলতে পারি, লেখক জনপ্রিয় হতে চাইবেন, এবং সে অনুযায়ী অর্থাগম ও চাইবেন। কিন্তু শেষ কথা হলো, লক্ষী আর স্বরস্বতি হাতে হাত রেখে চলেননা।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

লক্ষী আর স্বরস্বতি হাতে হাত রেখে চলার কোনো মার্কেটিং থিয়োরি নাই সিমন? :D
...............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

কনফুসিয়াস এর ছবি

সুমন্ত আসলাম বাংলাদেশের জনপ্রিয় লেখকদের একজন, এই কথাটা আমার কাছে নবম আশ্চর্যের মত শোনায়। মাঝের অষ্টম আশ্চর্যটা হলো, সুমন্ত আসলামও একজন লেখক!
একসময় যখন নিয়মিত আলপিন পড়তাম, তখন যে পাতাটা অবশ্যই এড়িয়ে যেতাম সেটা হলো বাউন্ডুলে। কয়েকটা পড়ে বুঝেছিলাম যে আলপিনের সবচেয়ে বাজে পাতা সেটাই।
*
লেখকরা জনপ্রিয় হবেন, তাতে দোষের কিছু দেখি না। যারা লেখাকে পেশা হিসেবে নিতে চান, তারা জনপ্রিয় হতে না পারলে মুশকিলে পড়বেন। সমস্যা বাঁধে তখনই, যখন জনপ্রিয়তা বিক্রম ও বেতালের ভুতের মতন ঘাড়ে চেপে বসে লেখককে চালাতে শুরু করে।
*
পান্থ-র লেখাটা ভাল লাগলো। এইরকম বিষয়ে আরও বেশি লেখা আসা উচিত।

-----------------------------------
আমার জানলা দিয়ে একটু খানি আকাশ দেখা যায়-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

হিমু এর ছবি

কনফুর মন্তব্যে উত্তম জাঝা :D !

অষ্টম আশ্চর্যের জায়গাটায় এসে পেট চেপে হাস্তেছি।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

খেকশিয়াল এর ছবি

:))

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

অতিথি লেখক এর ছবি

হুমম....পাঠকপ্রিয়তার লোভে দুনিয়া ভুলে গেলে তো মুশকিল! *তিথীডোর

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ!
...............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

বালক এর ছবি

লেখাটা ভালো হৈছে...
_____________________________________________
তুমি হতে পারো একটি স্বার্থক বিষাদের সংজ্ঞা। স্বার্থক নদী, স্বার্থক ক্লান্তি অথবা স্বার্থক স্বপ্ন।

____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ধন্যবাদ বালক।
...............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আলপিনের বাউণ্ডুলে ছাড়া সুমন্ত আসলামের লেখার সাথে আর পরিচয় নাই বলে বলতে পারছি না তিনি কতোটা জনপ্রিয় আর কতোটা নন।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

পড়েন নাই। ধূগোদা, তাইলে তো আপনি অনেক পিছিয়ে আসেন। ;)
................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

এই লেখাটা দিয়া আসলে কী বুঝাইতে চাইলা পরিষ্কার হয়নি আমার কাছে। যাক, সেটা নিয়ে বেশি চিন্তা করছি না আপাতত।

জনপ্রিয় লেখক এবং ভালো লেখক একজনই হতে পারেন আবার নাও হতে পারেন।
জনপ্রিয়তা অনেকগুলো ফ্যাক্টরের উপর নির্ভরশীল , এর মাঝে সবচাইতে বড় হচ্ছে মিডিয়ার আশীর্বাদ। জনপ্রিয়তাকে একটা কিংবদন্তীতে নিয়ে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ , তিনি বিটিভির নাটকের মাধ্যমে ভালো প্রচার পেয়েছেন।
ইমদাদুল হক মিলনও একই ধারার মানুষ। আনিসুল হক মিডিয়ার আশ্রয় পেয়েছেন ভোরের কাগজ ও প্রথম আলো'তে ; এই দুটির প্রচার সংখ্যা বিভিন্ন সময় তাকে বেশি পাঠকের কাছে পৌছাতে সাহায্য করেছে। সুমন্ত জনপ্রিয় কারন আলপিন জনপ্রিয় ছিল , সহজ হিসেব ওটাই।
আমি বলছি না যে উনারা সবাই খারাপ লেখক , তবে উনারা যে লেখক সেটা কিন্তু প্রথমে মিডিয়াই প্রচার করেছে।

সরাসরি মিডিয়ার আশীর্বাদ না পেলেও মিডিয়া কিনেও স্টার লেখক হওয়া সম্ভব। এই সুযোগে ডাক্তার মোহিত কামাল থেকে শুরু করে এডভোকেট পাটোয়ারি ; এরা সবাই জনপ্রিয়। কাস্টম কর্মকর্তাদের মাঝে শাহাবুদ্দিন নাগরী আর প্রয়াত প্রণব ভট্ট জনপ্রিয় ছিলেন , সেটা অস্বীকার করার উপায় নেই।

কথা হচ্ছে এই জনপ্রিয়তা একজন সত্যিকারের লেখকের আরাধ্য হবে কি না। একটা সময় আমি ভেবেছিলাম এই জনপ্রিয়তায় আমিও তাল মেলানোর একটা চেষ্টা নেব, আমার ধারনা সেই চেষ্টা মন দিয়ে করলে অল্পবিস্তর জনপ্রিয়তা অর্জন সম্ভব।
কিন্তু গোটা বিষয়টাই তালগোল পাকিয়ে গেল প্রণব ভট্ট আর শহীদুল জহিরের মৃত্যুর পরে।
জনপ্রিয় প্রণব ভট্ট থেকে স্বল্প পরিচিত শহীদুল জহির অনেক বেশি শক্তিমান হয়ে ধরা দিলেন আমার চোখের সামনে।
একজন শহীদুল জহিরকে বাংলা ভাষা মনে রাখবে , প্রণব ভট্টকে মনে রাখবে কি না বুঝতে পারছি না।
আমি ভেবে দেখলাম , চেষ্টা চরিত্র করলে হয়তো মোহিত কামাল-সুমন্ত-প্রণব ভট্ট পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব , কিন্তু শহীদুল জহির হতে পারব না হয়তো।
সুতরাং সেই অর্থে লেখক হওয়ার চেষ্টা থেকে আমি দূরে সরে আসলাম।

তুমি যদি যশোপ্রার্থী লেখক হও, তাহলে আমার পরামর্শ মিডিয়ার সাথে মিশে যাও। এটা কঠিন কাজ নয় মোটেও। বেস্ট অব লাক।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জেবতিক ভাই, এই লেখা নিয়ে আমার অন্য কোনো ধরনের উদ্দেশ্য ছিল না! দেখা থেকে লেখা টাইপের ব্যাপার! হঠাৎ-ই তার সাথে দেখা হয়েছিল, কিছু কথাবার্তা হলো। জনপ্রিয় সাহিত্য নিয়ে খানিকক্ষণ বাতচিৎ হলো। ভাবলাম এই নিয়েই লিখে ফেলি! সেই সাথে একজন জনপ্রিয় লেখকের চিন্তাভাবনাটাও সবার সাথে শেয়ার করা! যদিও কিছু কথা চেপে গেছি, যা বলা ঠিক হতো না।
......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অম্লান অভি এর ছবি

সূচনায় অনুধাবন করেছিলাম একটি নিরেট কবিতার গল্প শুনব....গল্পকারের কাছে! যা পেলাম তা মর্ম ভাবিত করল......'ভাবছ বসে চলবে কিসে, ভাববার তুমি কে। ভাববার যিনি ভাবছেন তিনি, ভাব তুমি তাকে'

@আরিফ ভাই

তুমি যদি যশোপ্রার্থী লেখক হও, তাহলে আমার পরামর্শ মিডিয়ার সাথে মিশে যাও। এটা কঠিন কাজ নয় মোটেও। বেস্ট অব লাক।

মিডিয়ার সাথে মিশে যাওয়ার উপায় নিয়ে- না হতে চাওয়া লেখকের- লেখা কামনা করছি।

মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আমিও জেবতিক ভাইয়ের লেখা কামনা করছি!
.......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

গৌতম এর ছবি

আরিফ ভাইয়ের সাথে একমত, প্রায় পুরোপুরি। লেখকের একমাত্র সম্বল যখন মধ্যবিত্তীয় ও মধ্যবিত্তের আবেগ, ন্যাকামি এবং চোখের পানি, তখন প্রথমদিককার দু-একটা বই পাঠকের কাছে খানিকটা চমক জাগালেও পরবর্তীগুলো তার লেজের দৈর্ঘ্যই বাড়ায় কেবল!— লেখক সুমন্ত আসলাম সম্পর্কে আমার ধারণাটা এরকমই।

আলপিন একটা রম্য ম্যাগাজিন ছিলো— সেখানে কীভাবে বাউণ্ডুলের মতো ন্যাকান্যাকা শব্দের সমাহার প্রকাশিত হতো, সেটা আমি তখনও বুঝি নি, এখনও উপলব্ধিতে আসে না। 'দেশ' পত্রিকার সম্পাদক সাগরময় ঘোষ চল্লিশ বছর সম্পাদনা করেছেন, এর মধ্যে তাঁর নিজের নামে লেখা ছাপা হয়েছে মাত্র একটি— ধারণা করি সেটি এমন গুরুতর বিষয় ছিলো যা তিনি না লিখে থাকতে পারেন নি। অপরদিকে আমাদের সম্পাদকরা, বিশেষ করে সংবাদপত্রের নির্দিষ্ট পাতার দায়িত্বে যিনি থাকেন, তারা (ব্যতিক্রমও রয়েছে বেশ) দায়িত্ব পেয়েই নিজের জন্য জায়গাটুকু আগেই বরাদ্দ করে নেন। প্রচারমাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করার কৌশলটা বেশ পুরনোই, সুমন্ত সেটার চর্চাও করেছেন বেশ!

পোস্টের শেষাংশটা পড়ে একটু খারাপ লাগলো। অনধিকার চর্চা হবে হয়তো, তবুও বলি— পাঠক হিসেবে আমি কখনোই কৃত্রিম জনপ্রিয় পান্থকে দেখতে চাই না।

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক

.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

:D

......................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

বাসায় গিয়ে এশার নামাজ পড়ে লেখার টেবিলে বসতে হবে

:) পুরানা দোস্ত তাহলে নামাজী ও হয়ে গেছে এদ্দিনে। আল্লাহ ওরে আরো কামিয়াব করুক।

লেখালেখিতে জনপ্রিয়তা বিষয়ে আমার ধারনা অনেকটুকুই ব্যাকডেটেড। এই জায়গাটাকে আমার কাছে বেশ নিষ্ঠুরই মনে হয়। হাতে হাতে ফল পাওয়া যায়না। সময়ের বিচারে কে টিকে থাকবে, কে হারিয়ে যাবে- অনেকদিন পর হয়তো সময়ই তা নির্ধারন করবে।
অথবা যারা একেবারে টিকে থাকার পণ নিয়ে লেখালেখি করেন তারাই হারিয়ে যাবেন, টিকে থাকবে অন্য কেউ :)

সময়-বৃদ্ধ জিপসী বড় খামখেয়ালী।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

সময়ই একমাত্র বড়ো বিচারক। জীবিত অবস্থায় যে জীবনানন্দ দাম পাননি, মরে যাওয়ার পরেই সে আজ আমাদের অতি প্রিয়!
.....................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

পান্থ,
তোমার এই লেখাটা যখন ৬ বার পঠিত , আমার তখনই মন্তব্য রাখাবার খায়েস হয়েছিলো । ভাবলাম পরে আসি । এসে বলি । এখন এসে দেখি, বলা হয়ে গেছে প্রায় সব কথাই, আমি যা বলতে পারতাম ।

আমার এই মন্তব্য তাই `সহমত মন্তব্য`

পান্থ-র লেখাটা ভাল লাগলো। এইরকম বিষয়ে আরও বেশি লেখা আসা উচিত কনফুসিয়াসের এই কথাটায় তাই প্রথম সহমত ।

একজন শহীদুল জহিরকে বাংলা ভাষা মনে রাখবে , প্রণব ভট্টকে মনে রাখবে কি না বুঝতে পারছি না।
আমি ভেবে দেখলাম , চেষ্টা চরিত্র করলে হয়তো মোহিত কামাল-সুমন্ত-প্রণব ভট্ট পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব , কিন্তু শহীদুল জহির হতে পারব না হয়তো

আরিফ, দোস্ত তোর এই একটা কথায় আমার একশটা সহমত ।

চেষ্টা করলে ওই সব হওয়া সম্ভব । কিন্তু মাথায় মাল মশলা আর বাবুইয়ের মতো শিল্পীসত্ত্বা না থাকলে, সর্বোপরি সাহিত্যকে করে খাওয়ার বিষয় না এটা বিশ্বাস করতে না পারা পর্যন্ত মনে হয় সত্যিকার অর্থে একটা জীবন ও রাজনৈতিক বাস্তবতা লেখা সম্ভব না ।

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম! সেটাই।
...........................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মাহবুবুর শাহরিয়ার এর ছবি

আরিফ জেবতিক লিখেছেন:

আমি ভেবে দেখলাম , চেষ্টা চরিত্র করলে হয়তো মোহিত কামাল-সুমন্ত-প্রণব ভট্ট পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব , কিন্তু শহীদুল জহির হতে পারব না হয়তো।
সুতরাং সেই অর্থে লেখক হওয়ার চেষ্টা থেকে আমি দূরে সরে আসলাম।

কি হওয়া সম্ভব আর কি সম্ভব না সেটা আগে থেকে ভেবেই লেখালেখি থেকে সরে আসলেন? ব্যাপারটা কেমন হলো না? লেখার কথা নিজের আনন্দের জন্য৷ পাঠক যদি সেটা গ্রহণ করে তাহলে আরো আনন্দের ব্যাপার, গ্রহণ না করলেও যে নিজের জন্য লেখে সে কিন্তু লিখতে থাকবে৷ তবে হ্যাঁ, পাঠক গ্রহণ না করলে লেখা প্রকাশ করা একটু কঠিন বৈকি৷

@আরিফ জেবতিক

সুমন্ত আসলাম কেমন লেখে দেখার জন্য তার তিনটা বই কিনছিলাম, একটা পড়ার পর অন্যগুলা পড়ার আগ্রহ পাই নাই৷ আর যে লেখক এক বছরে ৮/১০ টা বই লেখে তার কাছে খুব বেশি কিছু আশা করাও ঠিক না৷ কোনো এক বছর হয়তো কেউ ৮/১০ টা লিখে ফেলতে পারে, কিন্তু প্রতি বছর কিভাবে সম্ভব?

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বইমেলায় বই বের হওয়ার পরিসংখ্যান বলে, শুধু সুমন্ত আসলাম না, হূমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক'রা প্রতিবছরই ৮/১০টা বই বের করেন।
.............................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

হুম , আমার বাক্যে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হচ্ছে না , নিজেই পড়ে দেখলাম।
আমি বলতে চাচ্ছি যে প্রচলিত অর্থে জনপ্রিয়তা অর্জনের যে কৌশল , যে ধরনের গদ্য লেখা আবশ্যক সেগুলো থেকে আমি বিরত হলাম।
এর মানে এই নয় যে আমি লেখক হওয়ার চেষ্টা থেকেই বিরত হলাম, সেই চেষ্টা আমি এখনও করি, কিন্তু জনপ্রিয়তার দিকে মুখ রেখে ফর্মূলা মাফিক লেখাটা আমার আর আরাধ্য নয় এখন। আমার যা ভালো লাগে তাই লিখব, সেটা পাঠকের ভালো লাগলে ভালো, না লাগলে আমার অযোগ্যতা।
----
সুমন্তের লেখা নিয়ে আমি দুই ধরনের পাঠক পাই। অনেকেই তার লেখা পড়তে পারেন না , তিনি আমাকে উৎসর্গ করেও একটা বই লিখেছেন , দুঃখের বিষয় আমি সেই বইটা পড়তে বেশ বেগ পেয়েছি এটা সত্যি আবার ঐ একই বই অন্যতম বেস্ট সেলার হয়েছে সেটাও সত্যি।

পুরোটাই গুবলেট।

আপনার লেখালেখির খবর কী ? নতুন বই আসছে এই বইমেলায়?

মাহবুবুর শাহরিয়ার এর ছবি

লেখালেখির খবর খুব বেশী ভালো না (নানা কারণে), তবে একটা বই বের হবে আশা করি৷

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

সুমন্ত আসলামরে ভালু পাই না (মন্দও পাই না অবশ্য)। তবে এইটুকু জানি, ৮/১০ অথবা ৮০/১০০, যতো বইই বের হোক না কেন তার, আগ্রহ করে কখনও কিনবো না বা পড়বো না মনে হয় (যদিও আলপিন-এ 'বাউণ্ডুলে' পড়তে খুব খারাপও লাগতো না) :-)

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আলপিন-এ 'বাউণ্ডুলে' পড়তে আমারো খারাপ লাগতো না!
........................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অনুপম ত্রিবেদি এর ছবি

রেজা ভায়া, ধন্যবাদ - সুমন্ত আসলামের সই নিতে বইমেলায় ভীড় হয় এই তথ্যটির জন্য। পড়ে বেঘোর মজা পেলুম।

মন থেকে আসা কোন কর্ম (আমরা যেটাকে শিল্প বলি) নিয়ে 'বাণিজ্য' ব্যাপারটা আমার কাছে বেশ পরিচিত ফটোগ্রাফির কারণে। যখন নিজের মনের ক্ষুধা মেটাতে ছবি তুলি তখন চেষ্টা করি কতোটা 'গভীরভাবে ছুঁয়ে যাওয়া' টাইপ ছবি তুলে আনতে পারি, ছবিটাকে কতটা মর্মস্পর্শী করা যায়। আর যখন Commercial ছবি তুলা-তুলি করি তখন শুধু ঐ Client-এর চাওয়াটাই মুখ্য বিষয় ধরে কাজ করে যাই। সেখানে Deep Art বা মনের মাধুরী থাকেনা। এক বছরে যদি কোন লেখক ৮/১০টা বই বেড় করেন তবে এর সাহিত্য গুন নিয়ে প্রশ্ন আমার মতো রাম গাধাও তুলতে পারে।

একবার কোন এক বাংলা ব্যান্ডের একের পর এক এ্যা্লবাম বেড় হওয়া নিয়ে এক প্রতিবেদক মন্তব্য করেছিলেন - "ইতর প্রাণী প্রসব করে বেশী" । আজ আবারও কথাটা বেশ মনে পড়লো।

----------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।

==========================================================
ফ্লিকারফেসবুক500 PX

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বিজ্ঞাপনী পেশায় থেকে এই জিনিষটা আমিও হাড়ে হাড়ে বুঝেছি!
....................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মাহবুব লীলেন এর ছবি

আমাদের পান্থ জনপ্রিয় হউক....

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

যশোপ্রার্থী লেখক বলায়, মনে হয় একটা ভুল বোঝাবুঝি'র সৃষ্টি হয়েছে। আমি লেখক হতে চাই, এমন ইঙ্গিত দিতে চেয়েছিলাম। জনপ্রিয় লেখক হতে চাওয়াটা মিন করেনি!
................................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

১/
সুমন্ত আসলাম 'আলপিন'এ যখন বাউন্ডুলে লিখতেন, তখন মন্দ লাগতো না। কিন্তু উনার প্রথম যেবার বই প্রকাশিত হয়েছিলো (সালটা মনে নাই) সেবার কার কাছ থেকে যেনো আগ্রহ করে ধার করে এনে ঠক খেয়েছিলাম। একদম ভালো লাগে নাই। পরে বহুবার তার অন্যান্য বই হাতে পেলেও পৃষ্ঠা উল্টায়ে দেখেছি- সেই একই ন্যাকামি...। ভালো লাগেনি।

২।
জনপ্রিয়তার সাথে ভালো লেখার সম্পর্ক মনে হয় বেশি গভীর না। মোহিত কামাল টাইপ লোকজনের লেখাও "বেস্টসেলার" হয় ইদানীং।

৩।
পান্থ'দা- আপনে এমনেই ভালা লিখেন। জনপ্রিয়তা আপনি চাইতেই পারেন, তাই বলে শাহরুখ খান হবার প্রয়োজন নাই- অমরেশ পুরী হইতে পারেন :p

______________________________________________________

মধ্যরাতের কী-বোর্ড চালক

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জনপ্রিয়তার সাথে ভালো লেখার সম্পর্ক মনে হয় বেশি গভীর না। ঠিক!
.............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মূলত পাঠক এর ছবি

সুমন্ত আসলামের নামই জানতাম না আগে, কাজেই মন্তব্য করার অবকাশ নেই সে নিয়ে। তবে লেখক নানা রকমের হয়, কালজয়ী হওয়াটাই সবার মোক্ষ না-ও হতে পারে। আর কালজয়ী হবার কোনো ফর্মুলাও আছে কি না জানি না। কালকূট জীবদ্দশায় যে রকম সম্মানিত ছিলেন, এবং আনন্দদের সমর্থনও ছিলো, মৃত্যুর পর তাঁর কথা খুব কম শোনা যায়। অন্যদিকে আশুতোষ ফাল্গুনী সৌরীন্দ্রনাথ এঁরা জীবদ্দশায় ভয়ানক রকমের পপুলার হলেও কালজয়ী যে হবেন না তা বোঝা যেতো, এবং তাই হয়েছে। ভারতীয় বাংলা সাহিত্যিকদের মধ্যে (রবীন্দ্র বঙ্কিম শরতকে বাদ দিয়ে) মুজতবা আলি, শরদিন্দু, পরশুরাম, সত্যজিত, সুকুমার, এঁদের নাম ও জনপ্রিয়তা এখনো বজায় আছে। অনেকের ক্ষেত্রেই সে কথা বলা যায় না। কে থাকবেন আর কে যাবে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে একজন লেখকের বোধ হয় ভাবা উচিত তিনি কী অর্জন করতে চান। সেই হিসেবে মিডিয়ার সাথে দহরম-মহরম দরকার হলে করা যেতেই পারে, এতে নীতিগত কোনো সমস্যা তো দেখি না।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

কে থাকবেন আর কে যাবে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে একজন লেখকের বোধ হয় ভাবা উচিত তিনি কী অর্জন করতে চান।
সবকিছু আল্লাহ'র দান বলে কেউ যদি এসবের উর্ধ্বে উঠে যান, তাকে কী বলে বোঝাবেন!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

কে থাকবেন আর কে যাবে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর চেয়ে একজন লেখকের বোধ হয় ভাবা উচিত তিনি কী অর্জন করতে চান।

একলাইনেই সব বলে দিলেন।

মজনুভাই [অতিথি] এর ছবি

উদ্ধৃতি

হুমায়ূন আহমেদ, ইমদাদুল হক মিলন, আনিসুল হক আর তাকে নিয়ে জনপ্রিয়তার যে কটুভাষ্য, তা তিনি মেনে নিতে নারাজ। তার ভাষ্য, যাদের বই চলে না, তারাই হিংসায়িত হয়ে তাদের সম্পর্কে এইসব হাজিজাবি কথা বলে।

হ্যে হ্যে হ্যে হ্যে হ্যে,বই চলেনা, হ্যেঁ হ্যেঁ হ্যেঁ। হেহ্

তেনার উপইন্যাস পরছিলাম জনপ্রিয় হুইন্না, বাংলা সিনেমার জনপ্রিয়তার মতন।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয়তা? (চিন্তিত)
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মজনুভাই [অতিথি] এর ছবি

বাংলা সিনেমার জনপ্রিয়তা?

দর্শকপ্রিয়তা আরকি!

বেশির ভাগ বাংলা সিনেমার কাহিনি ও সংলাপ আমার কাছে সস্তা ও একঘেয়ে মনে হয়, উনার বই পড়ে তেমনই মনে হয়েছে।
হ্জনপ্রিয় লেখকের তিনটা বই কিনেছিলাম একসাথে, দাম মনে নেই, সব টাকা জলে গেছে।

তবে আলপিনের বাউন্ডুলে লেখাটা ভালো লাগতো।

খেকশিয়াল এর ছবি

লেখাটা ভাল লাগলো।
বাউণ্ডুলে দেখতাম, পড়তাম না। একদিন পড়লাম, ভাল্লাগলো না (হয়তো ওই পর্বটাই ম্যাড়াটে ছিলো)। তো আর পড়লামই না। বইমেলায় একদিন কে যেন দেখিয়ে বলল এইটা সুমন্ত আসলাম, কেমন জানি বিরক্তিকর একটা লোক মনে হল দেখেই (হয়তো সেদিন আমার সবকিছুই বিরক্তিকর লাগছিলো)।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হ, বিরক্ত যখন লাগে, তখন সবকিছুই বিরক্ত লাগে!
...............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

হিমু এর ছবি

নো পাবলিসিটি ইজ ব্যাড পাবলিসিটি :) ।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

:)
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লেখাটা চরম ভালো লাগল, পান্থদা, ইনারে একটু সচলে ধইরা আনেন, জনপ্রিয়তার লোভ দেখায়া, তারপর, কি করুম বুঝতেই পারতেছেন, প্রথম যেই লেখাটা দিব, সেইটাতে কম কইরাও সবাই ১০০ কমেন্ট ফালাইতে হইব, তারপর যখন তিনি আনন্দে আত্মহারা হইয়া ২য় লেখা দিব, তখন শুরু হবে সত্যের আলো দিয়া বানানি কুড়াল দিয়া কোপাকুপি :D. তারে লইয়া আসেন একটু, নিজের পকেট থিক্কা পয়সা দিয়া উনারে একখান বসুন্ধরা টয়লেট পেপারের রোল কিন্না দিমু :P ;) =))
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভাই সাইফ, একটু রয়েসয়ে।
যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে সে অন্ততঃ তিনজন সচলের দীর্ঘদিনের বন্ধু, আরো কয়েকজনের ও পরিচিতজন।
এরকম মন্তব্য খুব জরুরী কি?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

সাইফ তাহসিন এর ছবি

না মন্তব্য জরুরী না অবশ্যই, যারা ফিডব্যাক ছাড়া লেখেন, তারা ব্লগে আসলে কেমন হত, তা নিয়ে একটু রসিকতা করলাম আরকি। আপনে মাইন্ড খেয়ে থাকলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।

তবে, কয়েকজন বন্ধু থাকলে তাকে নিয়ে রসিকতা করা কি সচলের আইন বহির্ভূত? তা হলে আমি সত্যি লজ্জিত আমার আচরনে। আমার আপন ভাইও যদি উড়াধুরা লেখেন, আমি ব্যঙ্গ ভরেই জবাব দেব। আপনার মনে আঘাত দিয়ে থাকলে আবার মাফ চেয়ে নিচ্ছি।

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদ্বপি গরীয়সী

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

মামুন হক এর ছবি

সাইফ তোমারে তো আগেই বলছি বিতর্কিত কোন কমেন্ট না করার চেষ্টা করতে। কারণ তুমি সচলের প্রতিষ্ঠিত বক্সিং প্রাক্টিস ব্যাগ অনেকের জন্য। তোমার মন্তব্য মাত্রা ছাড়িয়ে যায় অনেক সময়, বড্ড বেশি অপ্রিয় সত্যকথাগুলো রাখ ঢাক না করেই বলে ফেল তুমি--অনেকের মতো আমিও বিরক্ত হই। তবে তার চেয়েও দৃষ্টিকটু লাগে যখন শুধু তোমাকেই অনেক হেভিওয়েটদের হাতে নাকাল হতে দেখি সকাল বিকাল। সচলের পাতায় পাতায় অনেক অপ্রাসঙ্গিক কঠোর সমালোচনা হয়, ব্যক্তি আক্রমণ হয়, চ বর্গীয় শব্দ উচ্চারিত হয় অহরহ, কিন্তু তখন এইসব সুরুচির ধ্বজাধারী হেভওয়েটরা তাদের গ্লাভস পশ্চাদ্দেশের নিচে চেপে রেখে ঘুমন্ত নিশি গুজরান করেন। কিন্তু সাইফ মিয়া খারাপ কিছু কইলেই হইসে, ধর ব্যাটারে, মার ব্যাটারে। সো সাম্বালকে ম্যান, সাম্বালকে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভাই মামুন,
আপনি তো এঞ্জেলস গার্ডিয়ান হয়ে সাইফের মন্তব্যে রসদ জোগালেন।

তুমি সচলের প্রতিষ্ঠিত বক্সিং প্রাক্টিস ব্যাগ অনেকের জন্য।

শুধু তোমাকেই অনেক হেভিওয়েটদের হাতে নাকাল হতে দেখি সকাল বিকাল

কিন্তু তখন এইসব সুরুচির ধ্বজাধারী হেভওয়েটরা তাদের গ্লাভস পশ্চাদ্দেশের নিচে চেপে রেখে ঘুমন্ত নিশি গুজরান করেন।

আপনার এই মন্তব্যগুলো এই আলোচনায় কি করে প্রাসংগিক বলুন তো?

যাকে নিয়ে এই পোষ্ট সে আমার ব্যক্তিগত বন্ধু, আরো দু একজন সচলের ও বন্ধু-যিনি পোষ্ট দিয়েছেন তার ও পরিচিতজন।
তার লেখালেখি এপ্রোচ নিয়ে আমাদের ও কঠোর সমালোচনা আছে, ব্যক্তিগত আড্ডায় আমরা ও মুখ খারাপ করি তাকে নিয়ে। কিন্তু সাইফ যে মন্তব্য করেছেন তা এই পোষ্টের ওজনের সাথে যায়না, অন্ততঃ আমার কাছে তাই মনে হয়েছে। আমি বিনীত ভাবেই তাকে তা বলেছি এবং তিনি ও চমৎকার ভাবে তার জবাব দিয়েছেন।

এর মধ্যে আপনার এই মারমুখী ভঙ্গীমা? নাহ, ঠিক মানালোনা ভাই :)
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

মামুন হক এর ছবি

আপ্নারে বলি নাইতো ভাই। আমিতো ওরেই কইলাম উলটাপালটা মন্তব্য না করতে। আপনার মন্তব্যের পরেই চলে আসায় হয়তো আপনার কাছে খারাপ লাগছে।

আলমগীর এর ছবি

হাসান ভাই

কিন্তু সাইফ যে মন্তব্য করেছেন তা এই পোষ্টের ওজনের সাথে যায়না, অন্ততঃ আমার কাছে তাই মনে হয়েছে।

আপনি কি তাই বলেছিলেন সাইফকে?

ভাই সাইফ, একটু রয়েসয়ে।
যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে সে অন্ততঃ তিনজন সচলের দীর্ঘদিনের বন্ধু, আরো কয়েকজনের ও পরিচিতজন।
এরকম মন্তব্য খুব জরুরী কি?

সুমন্ত আসলাম কি পয়গম্বর যে তাকে নিয়ে কিছু বলা যাবে না? নাকি তিনি আপনাদের কারো বন্ধু বলেই কোন কথা বলতে মানা? এটা কী ধরনের গোঁড়ামি? সাইফ কী এমন বলেছে যে সুমন্তের বন্ধু হিসাবে আপনাকে তার মুখ বন্ধ করতে হবে?

একজন ড. জাফর ইকবালকে কী গালিটা দিলো এখানে? সেটা নিশ্চয়ই চোখে পড়েনি।

সাইফকে করা আপনার প্রথম মন্তব্য, এবং পরে আবার সেটার সাফাই কোনটাই ভালো লাগল না।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

হতে পারে ব্যক্তিগত বন্ধু বলে পক্ষপাত একটু আছেই :)। যেমন আপনি অনেকদিনের সহব্লগার। আপনাকে নিয়ে কেউ সমালোচনা করলে আমি আপত্তি করবোনা কিন্তু টয়লেট টিস্যু দিয়ে আপনার চোখ মুছে দেয়ার প্রস্তাবে আমি আপত্তি জানাবো- সামর্থ্যে কুলালে।

এই পোষ্টে জনপ্রিয়তা এবং লেখার মান নিয়ে বেশ ভালো একটা আলোচনা চলছে। এর মধ্যে সাইফের এরকম মন্তব্য আমার ভাল্লাগেনি। আবারো বলছি ব্যক্তিগত বন্ধু বলেই হয়তো ভালো না লাগাটা সরাসরিই প্রকাশ করেছি এবং সাইফকে আমার মতামত জানিয়েছি- আমি তার মত প্রকাশে আপত্তি জানাচ্ছিনা তিনি টয়লেট টিস্যু দিয়ে কারো চোখ মুছে দেয়ার আকংখা প্রকাশ করতেই পারেন, আমি কন্ঠ রোধ করছিনা- কিন্তু আমার যে সেটা ভালো লাগেনি তা প্রকাশের স্বাধীনতা তো আমার আছে, তাইনা?
এর মধ্যে 'পয়গম্বর', 'গোঁড়ামী' খুঁজে পেলেন কোথায়?

আপনার দেয়া লিংক দেখলাম। না আগে দেখিনি। দেখলে নিশ্চিতভাবেই দ্বিমত প্রকাশ করতাম।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আলমগীর এর ছবি

এ শব্দ কয়টার মধ্যে কোন শব্দটা দিয়ে আপনি সাইফের মন্ত্যবে মতামত প্রকাশ করছেন?

ভাই সাইফ, একটু রয়েসয়ে।
যাকে নিয়ে কথা হচ্ছে সে অন্ততঃ তিনজন সচলের দীর্ঘদিনের বন্ধু, আরো কয়েকজনের ও পরিচিতজন।
এরকম মন্তব্য খুব জরুরী কি?

আপনি আলোচনার গভীরতা নষ্ট হচ্ছে এমন কথা বলেননি। কথা যেন সামলে বলে সেটাই বলেছেন। শেষ লাইনটা দিয়ে আপনি স্পষ্টত তার কণ্ঠ রোধ করছেন।

পয়গম্বের কথা আসলো, কারণ তাদের নিয়ে কথা বললে সমূহ বিপদ।

রেজা এ লেখাটায় তো কেবল সুমন্তের লেখার/জনপ্রিয়তার কথা বলেনি। সুমন্তের ব্যক্তিগত কথাও তুলে এনেছে। সেখানে কোন অভিমত যদি রয়েসয়ে দিতে হয় তবে তা গোঁড়ামিই।

ব্যক্তিগতভাবে নিয়েন না :) ভাল থাকুন।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

ভাইরে আমার মুখে তো আপনি শব্দ বসিয়ে দিলে হবেনা।

কথা যেন সামলে বলে সেটাই বলেছেন।

এরকম সিদ্ধান্তে আপনি কেনো আসছেন? কিসের ভিত্তিতে?

এরকম মন্তব্য খুব জরুরী কি?

কারো মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যে যখন এটা বলা হয় তার মানে দাঁড়ায়- মন্তব্যকারীকে ভেবে দেখার জন্য অনুরোধ তার মন্তব্য এই প্রসংগে মানানসই কিনা? মন্তব্যকারীকে কোন সিদ্ধান্তে দেয়া হচ্ছেনা- 'ব্যাটা তুই থাম, নাইলে...' বরং তাকে পুর্নবিবেচনার অনুরোধ করা হচ্ছে।
আমি ঠিক তাই করেছি।

আপনি যেমন বলছেন- 'কথা সামলে বলা', 'কন্ঠ রোধ করা' ইত্যাদি- এর কোনটিই আমার কৃত নয়।

ভালো থাকুন, আপনিও :)
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

অপ্রাসঙ্গিক মনে হওয়ায় এই মন্তব্য মুছে ফেলেছি।

হিমু এর ছবি

এ প্রসঙ্গে আলপিনের মাধ্যমে তিনি কিছু নতুন লেখক তৈরি করেছেন, সেটা জানান।

এই কথাটা আমার কাছে খুব দাম্ভিক মনে হয়েছে। লেখক তো গুড়ের সন্দেশ কিংবা অ্যালুমিনিয়ামের চিলুমচি না যে কে বা কাহারা তাকে তৈরি করবে! আলোচ্য ব্যক্তি একটি বড় কাটতির দৈনিকের একটি ব্যঙ্গরসভিত্তিক সাময়িকীর সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বড়জোর যা করেছেন, লেখকদের কাছে ব্যক্ত করেছেন, কোন পদের লেখা সেখানে প্রকাশিত হবে, এবং কোন পদের লেখা সেখানে বরদাশত করা হবে না। যে লেখকদের তিনি "তৈরি" করেছেন বলে জানিয়েছেন, তারা সেই মাপের লেখা জমা দিয়ে বিল তুলে নিয়েছে। একে যদি লেখক তৈরি করা বলা হয়, তাহলে লেখকের অপমান হয় কি না বলা মুশকিল, তবে লেখক তৈরির দাবিদার ব্যক্তিটি একটু বেশি কৃতিত্ব চেয়ে বসেন, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

এই লেখক তৈরির প্রকল্পের ফলাফল দেখার জন্যে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করবো। তাদের লেখার মান যদি সুমন্ত আসলামের লেখার মানকে অতিক্রম করে, তাহলে বুঝবো প্রকল্পটি নিয়ে আশাবাদী হবার কারণ বর্তমান।



হাঁটুপানির জলদস্যু আলো দিয়ে লিখি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বাঙলা একাডেমী একবার তরুণ লেখক প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। মুজিব মেহদী ভাই ওই প্রকল্পে ছিলেন মনে হয়। এভাবে প্রকল্প করে লেখক তৈরি হয় কী'না, তা উনি ভালো বলতে পারবেন। লীলেন্দা, টুটুল ভাইও বলতে পারবেন। তাদের অনেক বন্ধু ছিলেন ওই প্রকল্পে।

সুমন্ত আসলামের প্রকল্পটা এখনো তার মাথাতেই আছে। বাস্তবে আসেনি। তিনি একটা এনজিও করে এই প্রকল্প হাতে নিতে চাইছেন। কাজেই ফলাফল দেখার জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। আবার প্রকল্প মাঝ পথেই মারা যেতে পারে!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

লেখাটি ভালো হয়েছে। আর কোন লেখকের লেখার স্থায়িত্বকাল কতটুকু তা তো সময়ই বলে দেবে।
তবে বেশি যন্ত্রণাদায়ক হলো এক দল তরুণ-তরুণীর "যা ইচ্ছা তাই" টাইপ লেখা খাওয়ার জন্য উপচে পড়া ভীড় দেখাটা।

-----------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

গণতন্ত্রের মন্ত্রণায় এই যন্ত্রণাটুকু সয়ে যেতে হবে। কারণ পাঠকের পছন্দের উপর তো আপনি হস্তক্ষেপ করতে পারেন না!
...........................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

এখানেই আফসোস! তরুণ সমাজের একাংশের পছন্দের ভান্ডারে এই জমা হচ্ছে.....

------------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

উজানগাঁ এর ছবি

সুমস্ত আসলামের কয়েকটা গল্প আমার পড়া হয়েছিল একসময় সাহিত্য সাময়িকীর বদৌলতে (সম্ভবত ভোরের কাগজে)। অনেক কিছুই আমার মনে নেই তবে ইদানিংকার যে কয়েকটা লেখা উনার পড়েছি তার চেয়ে তখনকার গল্পগুলো ঢের ভাল ছিল এইটা হলফ করে বলতে পারি।

জনপ্রিয়তা অনেক লেখক প্রতিভাকে নষ্ট করে দেয়। এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ মনে হয় আনিসুল হক। তার ফাঁদ এবং আয়েশামঙ্গল পড়ে মুগ্ধ হয়েছিলাম একদা। এখন উনার কোনো বই হাতে নিতেই ইচ্ছে করে না। একই ব্যাপার ঘটে সুমন্ত আসলামের বেলায়। মনে হয় না তার কোনো বই আমি প্রস্তুতি নিয়ে পড়তে যাব।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

আনিসুল হকের কিছু বইয়ের নাম আমরা তবুও নিতে পারি! সুমন্ত আসলামের তো সেটা নাই!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আশরাফুল আলম রাসেল এর ছবি

পান্থ তোমার লেখাটা ভালো হয়েছে। আর আমার মনে হয় খ্যাতির শীর্ষে গেলেও কোনো ক্ষতি নেই, তবে, তা আসতে হবে পাঠকের কাছ থেকে, নইলে তা বিশ্বাসযোগ্যতা হারাবে। ঠিক বললাম তো? সুমন্ত আসলাম নামের এই লেখকের কথা পাঠকের চাইতে আমি অবশ্য মিডিয়াতেই শুনেছি বেশি। আগেও দুই একজনের নাম শুনে বই পড়তে গিয়ে শুধু বিরক্তই হয়েছি। তাই, সুমন্ত আসলামের বই আর পড়া হয়নি। খুব জানতে ইচ্ছে করছে, পাঠককে কি তার লেখা আকর্ষণ করে, নাকি লেখাগুলো তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়?

আমি অতিথি তোমার দেশে.....

আমি অতিথি তোমার দেশে.....

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

পাঠককে কি তার লেখা আকর্ষণ করে, নাকি লেখাগুলো তাকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দেয়

(চিন্তিত)
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আলমগীর এর ছবি

পান্থ
চালাকি করাটা মনে হয় বোকামি হয়েছে।
জনপ্রিয় হইতে হইলে লাইন-ঘাট ঠিক রাখতে হবে।
"চক্ষু মেলিয়া দেখো চারপাশ"

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

জনপ্রিয় হইতে হইলে লাইন-ঘাট ঠিক রাখতেই হবে!
...............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সাইফুল আকবর খান এর ছবি

বলার ছিল কী কী যেন! বলবো বলবো ক'রে নিচে নামতে নামতে সবার মন্তব্য পড়লাম, বাদানুবাদও পড়লাম। শেষে এসে আর কেন যেন কিছু বলতে ইচ্ছে করছে না। :(

এমনিতে, চিন্তার্য বিষয়েও যশোপ্রার্থী লেখকের লেখা সুপাঠ্য হয়েছে, যথারীতি।

___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!

___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বইলা ফালান বস! মনের উপর চাপ কমান! :D
...............................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

তানবীরা এর ছবি

তার ভাষ্য, যাদের বই চলে না, তারাই হিংসায়িত হয়ে তাদের সম্পর্কে এইসব হাজিজাবি কথা বলে।

ঠিকইতো বলছে, যেমন তুই। ঃ)

**************************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

(গড়াগড়িহাসি)
..........................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।