‘১/১১’র রাতে একুশ নম্বর আঙ্গুল’ নিয়ে আরিফ জেবতিক আমাদের যে পাঠের আস্বাদ দেন!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি
লিখেছেন পান্থ রহমান রেজা (তারিখ: বুধ, ২৪/০২/২০১০ - ১০:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আরিফ জেবতিকের লেখার সাথে পরিচয় সেই ভোরের কাগজে। তখন স্কুলে পড়ি। পাফোতে লিখতেন। তারপর অবসরে লিখতে শুরু করলেন ‘মাইক্রোস্কোপ’ বলে একটা কলাম। রাজনৈতিক কলাম। সমকালীন রাজনৈতিক বিষয়-আশয় নিয়ে স্যাটায়ার আর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ থাকতো সেখানে। একসময় সেই কলামের মহা ভক্ত ছিলাম। তাই আরিফ জেবতিকের উপন্যাস ‘১/১১’র রাতে একুশ নম্বর আঙ্গুল’ বইমেলা থেকে কিনে সেই প্রস্তুতি নিয়েই পড়তে বসেছিলাম। পড়ে কী মনে হলো তা একটু পরে বলছি। তার আগে উপন্যাসটি কোন ধারার তা জেনে নেয়া প্রয়োজন। তাহলে আলোচনা করতে একটু সুবিধা হয়।

‘১/১১’র রাতে একুশ নম্বর আঙ্গুল’ কী কোনো রাজনৈতিক ধারার উপন্যাস? লেখক তা কোথাও বলে দেননি। তবে একে রাজনৈতিক উপন্যাস ধরে নিলে কারো আপত্তি থাকবে না আশা করি। আমাদের মধ্যবিত্ত মানসের আন্তর্মানবিক সম্পর্কগুলির সাথে এখানে অঙ্কিত হয়েছে রাষ্ট্রনিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রভু হয়ে ওঠার প্রবৃত্তির আদ্যপ্রান্ত। রাষ্ট্র সেবকের পরিবর্তে প্রভু হয়ে উঠেছে, আর প্রভুত্বগিরি তুমুল মাত্রায় প্রয়োগ করেছে। কার প্রতি প্রয়োগ করেছে- চলেশ রিছিলের প্রতি, গারো আদিবাসীদের প্রতি, তানিমের প্রতি। তানিমের বীথি আছে। আর আছে পিয়াস নামে এক দেবশিশু। খুবই মধ্যবিত্ত ছোটো পরিবার। সেই ছোটো পরিবারের উপর যে রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন হয়েছে, চলুন তা একবার দেখে আসি।

তানিম ২৬ বছরের টগবগে যুবক। কাজ করে দেশের প্রধান সারির একটি জাতীয় দৈনিকে। রাষ্ট্রীয় উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তার কলম সদা তৎপর। এজন্যই সে প্রভুদের নজরে পড়ে। একরাতের আঁধারে তাকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায় সাদা পোশাকধারী একদল লোক। তারপর কী ঘটে? অনেককিছুই ঘটে! উপন্যাসের পাতায় পাতায় আমরা সেই ঘটনাগুলো ঘটতে দেখি। রাষ্ট্রনিযুক্ত সেবকদের প্রভু হয়ে ওঠা দেখি। সম্পাদকের কম্পোমাইজেশন দেখি। সংবাদ না ছেপে কলমকে দাবিয়ে রাখা দেখি। বিদেশী দুতাবাসগুলোর তৎপরতা দেখি। দৃঢ়চেতা তানিমকে ভেঙ্গেচুরে যেতে দেখি। আর দেখি রাষ্ট্রীয় নিপীড়নে বিপর্যস্ত এক পরিবারের পলায়নের দৃশ্যচিত্র।

এই-ই আরিফ জেবতিকের উপন্যাস- ‘১/১১’র রাতে একুশ নম্বর আঙ্গুল’। লেখকের দ্বিতীয় উপন্যাস এটি। আর বই হিসেবে তৃতীয়। লেখকের প্রথম উপন্যাস ‘তারে ডেকেছিল ধূলি মাখা চাঁদ’ বের হয়েছিল বছর দুই আগে। জাগৃতি প্রকাশনী থেকে।

এবার উপন্যাস পড়ার পাঠ-অভিজ্ঞতা নিয়ে আমার দুই পয়সা যোগ করি। প্রথমেই বলেছি, লেখককে পূর্ব পাঠের অভিজ্ঞতা থাকায় যে প্রস্তুতি নিয়ে পড়তে বসেছিলাম, তা খানিকটা হোঁচট খেয়েছে। প্রথমত, লেখকের লিখনশৈলী! পড়তে পড়তে বারবার মনে হয়েছে, লেখক উপন্যাসে যে লিপিকৌশল ব্যবহার করেছেন, তা রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের তীব্রতা আর সেটা নিয়ে শ্লেষ করার উপযুক্ত নয়। এটা যেন সংবাদপত্রের প্রতিবেদনের ভাষা। যেখান থেকে আমরা শুধু ঘটনাটাই জানি, গভীর কোনো তীব্রতার আস্বাদ পাই না। লেখক আরিফ জেবতিকের লেখালিখির সাথে আগে থেকেই পরিচয় থাকার কারণে বলতে পারি, তিনি তাঁর ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করেননি।

দ্বিতীয়ত, উপন্যাস পড়ে কোনো চমকের চিহ্ন আমি খুঁজে পাই নি! মনে হয়, আমি আগে থেকেই জেনে যাচ্ছি, এক ঘটনার পর আরেক কোন ঘটনা ঘটবে। যেমন, তানিম মোহাইমেনের ফোন উপেক্ষা করে হাজির হয় না নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট দপ্তরে। এরপর মোহাইমেন আর তার বসের চিন্তাধারা থেকে পাঠকমাত্রই অনুমান করেন, এরপরে তানিমকে ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেটাই ঘটে একটু পরে। রাতের আঁধারে জিপ এসে থামে, তানিমের ফ্ল্যাটের নিচে। এরকম ঘটনা আরো কয়েক জায়গায় আছে। অথবা হতে পারে তানিম খলিলের ঘটনা আগে থেকে জানার কারণে আমারই বুঝি এমন মনে হয়েছে! আর তাই উপন্যাসের একদম শেষে জলপাই জিপ তানিমের ফ্ল্যাটে আসার আগে তানিম ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পেরেছিল কী’না, তা নিয়ে কোনো ভাবনার উদয় হয় না! তবে, লেখক কীভাবে কি লিখবেন, কীভাবে উপস্থাপন করবেন, তা একান্তই তার নিজের বিষয়। কবি নিকোনর পাররা’র ভাষায়, লেখো তোমাদের যা খুশি। পাররা তরুণ কবিদের উদ্দেশ্যে এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন। আসলে বাস্তবকে তুলে ধরা বেশ জটিলই। আর যদি সেটা হয় আমাদের চোখের সামনে ঘটা কোনো ঘটনা, সেটা তো আরো কঠিনই।

আমাদের সময়ের বেশিরভাগ তরুণ যে বিষয় নিয়ে লেখেন আরিফ জেবতিক তার ব্যতিক্রম। প্রথম উপন্যাসের মতো তিনি দ্বিতীয় উপন্যাস ‘১/১১’র রাতে একুশ নম্বর আঙ্গুল’-এও বেছে নিয়েছেন দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা। এটা তার পাঠকদেরকে ভিন্ন স্বাদের সন্ধান দিবে। কারণ রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে তরুণদের লেখা উপন্যাস তেমন একটা চোখে পড়ে না। তাছাড়া এই ধরনের বিষয়বস্তু নিয়ে অধিকাংশ লেখক লেখার তেমন সাহস রাখেন না। সেজন্য আরিফ জেবতিক তারিফ পেতে পারেন। আসুন, আরিফ জেবতিককে আমরা সেই বাহবাটুকু দিই।

১/১১’র রাতে একুশ নম্বর আঙ্গুল।। আরিফ জেবতিক।। জাগৃতি প্রকাশনী।। প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১০।। মূল্য: ১২৫ টাকা।


মন্তব্য

কুলদা রায় [অতিথি] এর ছবি

ধন্যবাদ পাঠপ্রতিক্রিয়া প্রকাশের জন্য।
আমাদের দেশে রাজনৈতিক সাহিত্যের শূন্যতা আছে। যাদের চোখের সামনে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো যখন তাদের বয়ানে প্রকাশিত হয়, তার মধ্যে প্রকৃত সত্য পাওয়া যায়। আর যারা ঘটনার বাইরে থাকেন--তারা যে লেখা লেখেন, সেখানে অর্ধসত্য পওয়া যায়।
আমরা অর্ধসত্যের মধ্যে চলতে বাধ্য হচ্ছি।
ধন্যবাদ, আরিফ জেবতিক, আপনাকে। প্রকৃত সত্যের দিকে যেতে দিচ্ছেন আপনি।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ঠিক কথা রাজনৈতিক সাহিত্য আমাদের দেশে তেমন একটা লেখা হয়নি। তাছাড়া সমকালীন রাজনৈতিক চিত্রের বয়ানও মেলে না তেমন একটা!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

মামুন হক এর ছবি

পাঠ প্রতিক্রিয়া দারুণ হয়েছে। বইটি হাতে পাবার অপেক্ষায় আছি।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

বইটি হাতে পাওয়ার কী ব্যবস্থা করলেন মামুন ভাই!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

অতিথি লেখক এর ছবি

প্লট তা ভাল লাগলো...দেখি,বইটা পরব আশা করি...

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

উপন্যাসটাও আপনার ভালো লাগবে আশা করি!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

জুয়েইরিযাহ মউ এর ছবি

এ পাঠ-অভিজ্ঞতা বইটি পড়ার আগ্রহ জাগালো... চলুক

-------------------------------------------------------
জানতে হলে পথেই এসো, গৃহী হয়ে কে কবে কি পেয়েছে বলো....


-----------------------------------------------------------------------------------------------------

" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হুম, তাড়াতাড়ি পড়ে ফেলো।
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

হাসান মোরশেদ এর ছবি

লেখকের বদান্যতায় প্রস্তুতিপর্বে কিছু অংশ পাঠের অভিজ্ঞতা হয়েছিলো।
শেষপর্যন্ত যদি ভাষা না বদলে থাকে, যোগাযোগে আমার সমস্যা হয়নি।

আমরা যে সময় পেরিয়ে এসেছি( আসলেই কি পেরিয়েছি নাকি একই ঘূর্নিপাকে এখনো?) তার সাহিত্যিক দলিল প্রয়োজন আছে। আমরা আমাদের অনেক গুরত্বপূর্ন সময়কেই অবহেলায় হারিয়েছি। '৯০ এর গনআন্দোলনকে ধারন করার মতো তেমন উল্লেখযোগ্য কোন উপন্যাস আমাদের হয়ে উঠেনি।

উপন্যাসিকের জন্য তিন উল্লাস।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

মোরশেদ ভাই, ভাষা ঠিকই কমিউনিকেট করতে পারছে। তবে আমার মনে হয়েছে, এই ভাষা বিষয়ের গভীরতা ঠিক ধরতে পারছে না। একটু ম্যাড়মেড়ে মনে হয়েছে। দেখি, আরেকবার পরে দেখি। তারপর আবার মিলিয়ে নেয়া যাবে!
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ওরে পান্থ, আরেকবার পরে দেখলে তো কিছুই হবে না রে... পড়ে দেখতে হবে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

বোহেমিয়ান এর ছবি

কাহিনী আগে থেকেই জানা, চরিত্রগুলো অনুমানযোগ্য এই সব কারণে হয়তবা ততটা উপভোগ্য হয় নি । কিন্তু সামগ্রিক ভাবে আমরা একটা ছবি পেয়ে যাই। কয়েক বছর পর ও মনে পড়ে , হ্যা এই রকম অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে আমরা গিয়েছিলাম ।

হাসান মোরশেদ বলেছেন
আমরা যে সময় পেরিয়ে এসেছি( আসলেই কি পেরিয়েছি নাকি একই ঘূর্নিপাকে এখনো?) তার সাহিত্যিক দলিল প্রয়োজন আছে।

এই উপন্যাসে যেই ডিস্টোপিয়ার বর্ণনা আছে, তা আমাদের জেনে রাখা উচিত ।
কারণ আমার মনে হয় বর্তমান দলগুলোর দুর্বলতার সুযোগে আবারো আমরা জলপাই অন্ধকারে পড়তে পারি! এই উপন্যাস সেই সব অন্ধকার দিনগুলোর কথা মনে করতে সাহায্য করবে ,সাহস যোগাবে ।

লেখক এই ধরনের টপিক নিয়ে আরো লিখবেন, তাই আশা করছি ।
যারা সেই অন্ধকার সময়ের সত্যি গল্প জানতে চান তাদের বলব বইটি পড়ে নিতে।
__________________________
হৃদয় আমার সুকান্তময়
আচরণে নাজরুলিক !
নাম বলি বোহেমিয়ান
অদ্ভুতুড়ে ভাবগতিক !

_________________________________________
ওরে! কত কথা বলে রে!

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ঠিক বলেছেন, অন্ধকার সময়ের সত্যি গল্পের আস্বাদ এই উপন্যাস পাঠে পাওয়া যাবে।
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

উপন্যাস পড়ার আগে পাঠ প্রতিক্রিয়া পড়বো না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

হাসি
..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

আরিফ জেবতিক এর ছবি

চমৎকার রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ পান্থ।
লিখনশৈলী নিয়ে তোমার পর্যবেক্ষন সঠিক। একটু বদলানোর একটা চেষ্টা করেছি এখানে। এই পরিবর্তনটা কারো কাছে ভালো লাগেনি, কারো কাছে বেশ ভালো লেগেছে। অর্ধেক লেখার পরে কয়েকজন ঘাগু লেখকবন্ধুকে দেখিয়েছিলাম, তাঁদের মতামতটুকুও প্রতিফলিত এ আয়োজনে।
থাকুক কিছুদিন এই পদ্ধতি, দেখা যাক কী হয়।

লিখনশৈলী নিয়ে তোমার অসুবিধার কারন তুমি মাইক্রোস্কোপের হালকা চালের স্টাইলটা এখানে আশা করেছিলে। সেটা হয়নি। ঐ স্টাইলটা পত্রিকার ফিচার লেখার জন্যই বেশি ব্যবহৃত, মাইক্রোস্কোপ আদলে অন্য একটি পত্রিকায় এখন যে ‌"বক্রবয়ান" যাচ্ছে প্রত্যেক সপ্তাহে, সেখানে আগের স্টাইলটি আছে। অন্য লেখালেখির জন্য একটু ভিন্ন মেজাজের কিছু থাকুক আপাতত।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

ভিন্ন মেজাজ থাকুক, ঠিক আছে। কিন্তু বিষয়বস্তুকে লিখনশৈলী'র বা ফর্ম সমর্থন দেয় কী'না সেটা দেখার বিষয়। আমার সামান্য অনুযোগ ছিল সেটা নিয়ে। সেটাই পাঠ-অভিজ্ঞতায় বলার চেষ্টা করেছি। আপনার উপন্যাসের বিষয়বস্তুর সাথে আপনার লিপিকৌশল ঠিক যায় না, আমার এমন মনে হচ্ছিল পড়ার সময়। আরেকবার পড়ে দেখবো, তখন কী মনে হয়, সেটা জানাবো! ..................................................................

আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।

এম. এম. আর. জালাল এর ছবি

রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ পান্থ।
অভিনন্দন আরিফ জেবতিককে,
উপন্যাসটি পড়তেই হবে .


এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"


এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"

মূলত পাঠক এর ছবি

খুব মননশীল রিভিউ, অথচ আঁতলামির চিহ্নমাত্র নেই। এমন মুখবন্ধ পেলে বই পড়ার ইচ্ছে প্রবল হয়।

তাসনীম এর ছবি

ভালো লেগেছে রিভিউ, আশাকরি বইটা খুব তাড়াতাড়ি হাতে পাব।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না?

________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।