মাসদুয়েক আগে একটা চিঠি পাই। খুবই অনির্দিষ্ট ধরনের। কোনো কিছুই স্পষ্ট নয় তাতে। মনে হচ্ছিল, পত্রলেখকের কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করছিল, তাই লেখা। কাকে লেখা যায়, সেটা বড় কথা না। আমার লিখতে ইচ্ছে হলো, তাই লিখলাম। চিঠিটা কোনো বইয়ের ভাঁজে আসেনি। কিংবা কারো হাত ঘুরে। ডাকহরকরাও এসে পৌঁছে দিয়ে যায়নি বাসার ঘণ্টি নেড়ে। পত্রলেখক চিঠিটি নিয়ে ঘুরছিলেন। একদিন দেখা, তখন দিয়ে দিলো সে।
সেই চিঠি পেয়ে মনে করতে পারছিলাম না শেষ কবে চিঠি পেয়েছি। মনে না করতে পারলেও জমানো কিছু চিঠি ছিল ভার্সিটির হলরুমের দেরাজে। কোনোটি আম্মার, কোনোটি বন্ধুর, কোনোটি আবার বোনের। সবই ভার্সিটি ভর্তি হওয়ার পর প্রথমদিকের পাওয়া। মোবাইল ফোন হাতে এলে, চিঠি যুগের অবসান ঘটে। যেদিন হল জীবনকে পিছনে রেখে ভাড়াটিয়া জীবন শুরু হয়, সেদিনই চিঠিগুলোর কয়েকটি কুচি কুচি করে উড়িয়ে দিই পাঁচতলার আকাশে। উড়ে উড়ে তা নারকেল গাছের ডগায় গিয়ে বসে। কিছু কুচি পাতা আরো দূরে উড়ে যায়। এদিকে কিছু স্মৃতি উড়িয়ে দিতে পেরে নিজেকে হালকা লাগে। অথচ একদিন এই চিঠির জন্য কত অপেক্ষা, কত প্রহর গোনা!
একদিন তাই আজিজ সুপার মার্কেটে ঘুরতে ঘুরতে শাদামনে ‘চিঠি দিও প্রতিদিন’ লেখা টি-শার্ট দেখলে, সেটা কিনে ভার্সিটিময় ঘুরে বেড়াই। তখন মনে পড়ে, রবিবুড়োও প্রতিদিন চিঠির প্রত্যাশায় কি ব্যাকুল ছিলেন। ‘ভাই ছুটি বড় হোক ছোট হোক ভালো হোক মন্দ হোক একটা করে চিঠি আমাকে রোজ লেখনা কেন? ডাকের সময় চিঠি না পেলে ভেতরে খালি ঠেকে।’
আমাদের চিঠি পৌঁছে দিয়ে যেতেন ফটিক দা। ফটিক দার ভালো নাম কি তা আজো জানা হয়নি। এই কয়েকদিন আগেও বাড়ি গেলে তার সাথে দেখা হয়ে যায় বাজার ফেরতা মেঠো রাস্তায়। বয়স অনেকটা বেড়েছে। তবে গেটআপে সেই আগের ফটিক দা-ই আছেন। গায়ে ময়লা পাঞ্জাবি, কাঁধে ঝোলানো খাকি রঙের ব্যাগ। যদিও মুঠোফোনের যুগে এসে তার ব্যাগের ওজন অনেকটাই কমেছে। সেটা কাজের চাপ না কমিয়ে বরং কপালের ভাঁজ দ্বিগুণ করেছে। দেখা দিয়েছে জীবনযাপনের অনিশ্চয়তা। ক্রমাগত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি তার দীর্ঘশ্বাস আর যাপনের কষ্টটাকে আরো বড় করে তুলেছে।
ফটিক দার কথায় তারাশংকরের দীনু ডাকহরকরার কথা মনে পড়ে গেল। কাঁধে একটি লাঠি, সঙ্গে ডাকের ব্যাগ। লাঠির ডগায় বাঁধা দুটি ঘণ্টা। লাঠিতে লাগানো একটা বল্লমের ফলা। আর হাতে লণ্ঠন। ... আর সাথে ট্রেডমার্ক চিৎকার: খবরদার! সরকার বাহাদুরের ডাক!
আমাদের ফটিক দাকে কখনো এমন করে চিৎকার করতে দেখিনি। বাড়ির গেটে এসে মিহি স্বরে ডাকতেন, কাকা বাড়ি আছেন। চিঠি এসেছে। বেশিরভাগ দিনই বাড়ি থাকতাম না। মায়ের কাছে চিঠি, পত্রিকা দিয়ে যেতেন তিনি। খুবই নরম-সরম স্বভাবের মানুষ তিনি। গলার স্বর কখনো উঁচুতে উঠতে দেখিনি। ততদিনে অবশ্য ‘রানার’ পড়া হয়ে গেছে। ঝম্ ঝম্ ঘণ্টা বাজিয়ে রানারের ছুটে চলা দেখে যে ডাকহরকরার ছবি একেঁছিলাম মনে, ফটিক দা তার ধারে-কাছেও ছিলেন না। তবে তাকে দেখলে কেনো যেনো আমার রেলগাড়ির কথা মনে পড়তো। হয়তো খামের ওপর বৈদ্যজামতৈল লেখা সিল থাকতো বলেই।
কার গল্প পড়ে মনের ভেতরে সেই খায়েশ জমেছিল, সেটা আজ আর মনে নেই। প্রায়ই ইচ্ছে হতো বড় কোনো ভাই কিংবা বোনের চিঠির দূতিয়ালি করবো। আর গোপনে চিঠিভাষ্য পড়বো। এই সুযোগ ঠিকই এসেছিল একদিন। সেটা বড় কারো নয়, আমাদের এক বন্ধুর। সাব্বিরের চিঠির ওপরে লেখা ছিল প্রিয়তমাসু মুনিরা। মুনিরা আমার মামাতো বোন ছিল। পড়তো আমাদের সাথেই। একদিন কলেজে রিক্সা করে যেতে যেতে সাব্বিরের চিঠিটি ওর হাতে গুঁজে দিই। না পড়েই সেটা ছুঁড়ে দেয় রাস্তায়।
সাব্বিরের চিঠি ছুঁড়ে ফেলে দিলেও বন্ধু বুলবুলের চিঠি নিয়ে হাসাহাসি পড়ে গেছিল। বুলবুল চিঠি লিখেছিল আঙুল কেটে রক্ত দিয়ে। ওর বান্ধবীরা গরুর রক্ত বলে তা নিয়ে বেদম হেসেছিল। ব্যাপারটা বুলবুলের পছন্দ হয়নি। পরে সিগারেটের ছাইচাপা আগুনে কব্জিতে লিখেছিল ‘ত’ আদ্যক্ষরের মেয়েটির নাম। আর মেয়েটির স্কুল যাত্রার পথ আগলিয়ে সেটা দেখিয়ে বলেছিল, ‘ভালোবাসায় কোনো ফাঁক নেই।’ তবুও মেয়েটি ফাঁক গলে পালিয়ে বেঁচেছিল সেদিন।
ফটিক দার কয়জন ছেলেমেয়ে তা কখনো জানা হয়নি। যদিও আমাদের প্রাইমারি স্কুলের পেছনেই হিন্দুপাড়াতেই ছিল তার বাড়ি। তার একটা মেয়ে ‘ঝর্ণা’ নাম, আমাদের সাথে প্রাইমারি স্কুলে পড়তো। তবে আমাদের ক্লাসে ছিল কিনা তা আজ আর মনে করতে পারি না। একদিন তার বিয়ে হয়ে যায় দূরের এক গ্রামে। আমরা তখনো প্রাইমারি স্কুলের শেষ ধাপে। এখন মনে হয়, এই এতটুকুন বয়সে বিয়ে হয়েছিল তার। আচ্ছা, ঝর্ণা কি দূর গ্রাম থেকে তার বাবাকে চিঠি লিখতো। অথবা ফটিক দা কি কারো কাছ থেকে চিঠি পেতেন কখনো!
রাজার চিঠি নিয়ে অমলের কৌতূহলের শেষ ছিল না। জানালার ধারে বসে থাকতো, একদিন রাজার ডাকপিয়ন এসে চিঠি দিয়ে যাবে। ‘ছোট’ বলে এতটুকুন ছোট্ট চিঠি আসবে তার নামে। কিন্তু তার এক ভয়- সে তো পড়তে জানে না। তবে? সব চিঠি সে জমিয়ে রেখে দেবে। বড় হয়ে পড়বে।
আচ্ছা, রাজার চিঠি কি অমলের নামে এসেছিল? কে জানে! অমলকে পাশে সরিয়ে রেখে কিছু ক্ষুদ্র বার্তা দেরাজ খুলি মোবাইলের ইনবক্সে। ‘তিন সত্যি বলে কেউ মিথ্যে বলতে পারে!’ চিঠিতে এই বার্তা এলে কী লেখা থাকতো সেটা নিয়ে ভাবি- জানো, খুব ছোটবেলায় কারো কথা বিশ্বাস না হলে বলতাম ‘বলো, তিন সত্যি’! আমার ধারণা তিন সত্যি বললে তা কখনো মিথ্যে হতে পারে না। কিন্তু তুমি সেই বিশ্বাসটা ভেঙ্গে দিলে। আজকাল চারদিকে বড্ড ভাঙ্গনের ধ্বনি। বিশ্বাসগুলো উঠে যাচ্ছে। মানুষ হয়ে উঠছে বড্ড বেশি স্বার্থপর।
ফটিক দা বরাবরই মিতভাষী। আর কাউকে বলতেন কিনা তা জানি না- আমাকে সবসময় ‘আপনি’ করে বলতেন। একদিন ভার্সিটি ছুটি হলে বাড়ি গিয়ে শুনি ফটিক দা এসেছিলেন আমার খোঁজ নিতে। কেমন আছি সেটা জানতে। আব্বার কাছে আমাকে নিয়ে প্রশংসার এক পাহাড় রেখে গেছেন।
মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে মুঠোফোনে খবর আছে, অমুক মারা গেছে। অমুকের অসুখ। বাড়ি এসে একবার দেখে যাও। একদিন আমাদের ফটিক দাও মারা যাবেন। অথবা অসুখ করে বিছানায় শুয়ে সেরে ঊঠতে ঈশ্বরকে ডাকবেন। আমি নিশ্চিত, সে খবর কেউ চিঠি কিংবা মুঠোফোনে আমাকে পৌঁছে দিবে না। যিনি একদা ঝড়-বৃষ্টি ডিঙিয়ে খবর পৌঁছে দিতেন সবার ঘরে, তার খবর রাখার দরকার কার আছে বলুন। চিঠি যুগের অবসানে এই-ই তো আমাদের ফটিক দার প্রাপ্য!
মন্তব্য
চিঠি লেখা এবং চিঠি পাওয়া রীতিমতো নেশার মতো ছিল আমার
প্রতি সপ্তায় লিখতাম ৫-৭টা
এবং আমার পোস্টাল এড্রেসটাও ছিল আমার জানামাতে সবচে ছোট এড্রেস
লীলেন। সিলেট-৩১৫২
কিন্তু বহুবহুদিন ধরে লিখিও না পাইও না
০২
পোস্টাফিস আর ডাক হরকরা আছেন আমার একটা গল্প ফসিল- এ
ঢাকায় এসে প্রথম প্রথম মনখারাপের দিনগুলোতে চিঠি লিখতাম। পরে, ঢাকাকে ভালোলাগা শুরু হলে, নানাদিকে ব্যস্ত হয়ে পড়লে আর দূরান্তের কাউকে চিঠি লেখা হয়নি। এখন মুঠোবার্তা পাঠিয়ে কাজ সারি।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
- তিন সত্যির কিড়া কোন বালিকা দিছিলো কন দেখি!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ধূগোদা, বালিকার ছোটবোনের কথা বললে হয় না! আপনার অপছন্দ হবে না! তিন সত্যি।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
শিরোনাম পড়েই শিহরিত হইলাম।
কোন বালিকা আজ পর্যন্ত চিঠি লিখলো না। মাঝে মাঝে বউকে বলি, তুমি আবার বালিকা হও, অতীতে ফেরত যাও, আর আমারে একখান প্রেমপত্র লিখ।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-
সেই সুদুরের সীমানাটা যদি উল্টে দেখা যেত!
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
ভাবির ফুন নম্বর দেন নীড়ুদা। তাকে চিঠি লেখায় জন্য তাড়া দিই।
শিরোনামটা মহাদেব সাহার 'চিঠি দিও' কবিতা থেকে নেয়া।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
একবার পড়িয়াছি.. তবে বেজায় মাথা ধরিয়াছে কিনা,
ছাড়নে কে বাদ ইস্ চিটঠি পড়নে মে হাম ফের আয়েঙ্গে..
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
@ তিথীডোর
সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই ব্লগ মাথা ধরা রোগের মহৌষধ জাতীয় কিছু নয়।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
হ, হেইয়া মুই জানি!
কলেজলাইফে এক সখীকে বেনামে প্রেমপত্র লিখতাম ক'জন মিলে.. হাতের লেখা চিনে ফেলার ভয়ে পাঠানো হতো টাইপ করে!
--------------------------------------------------
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
লেখা ভালো লেগেছে।
ছোটবেলায় অনেক চিঠি লেখালিখি করতাম তুতো ভাইবোনদের সাথে।
এর বাইরে চিঠি পেয়েছিলাম একবারই। এক ছেলে পত্রিকায় আমার লেখা ছড়া পড়ে চিঠি দিয়েছিলো। চিঠিটা আর নেই।
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
সেই চিঠি হারানোর শোকে কাতর হলাম।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
কতদিন চিঠি পাইনা
তবে কেউ পাঠালে অবশ্যই উত্তর দিব
...........................
Every Picture Tells a Story
আমিতো মাঝে মাঝে ব্যাংকের স্টেটমেন্টের চিঠি, মোবাইল ফোনের বিলের চিঠি পাই। উত্তর দেয়া হয় না একবারও।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
লেখাটা খুউব ভালো লাগলো পান্থ দা।
চিঠি পাইনা মেলা দিন হয়ে গেল।
টাকা, পয়সা, নাম-ঠিকানা যা লাগে সব আমি দিমু। তাও যদি কেউ কোন চিঠি টিঠি দিতো
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ওই মিয়া, কই ঠিকানা দিলা! ঠিকানা দিয়া যাও কমেন্টের ঘরে, তারপর দেখো কোনো পত্রমিতা'র চিঠি পায় কিনা!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
পান্থ মনটাই খারাপ হয়ে গেল।
কতদিন চিঠি লিখি না, চিঠি পাই ও না।
তবে এখন মাঝে মাঝে খুব লিখতে ইচ্ছে করে।
আহা যখন সুযোগ ছিল তখন চিঠি পেতে ভাল লাগলেও লিখতে খুব ইচ্ছে করতো না।
খালি আলসেমী ভর করতো।
এখন পুরো ব্যাপারটাই খুব মিস করি।
আইচ্ছা, আমারে চিঠি লিখেন। ঠিকানা এসএমএস করে দিমুনে!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
নস্টালজিক লেখা। চিঠির কথা মনে হলেই বিষন্ন লাগে।
পান্থর মন কি একটু এলোমেলো?
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হুম! মনটা বড্ড এলোমেলো। আমার হাতটা একটু দেখেন না, কবে শনির দশা কেটে যাবে! প্লিজ লাগে!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
নগদ কড়ি লই ছলি আসেন।
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জীবনের একমাত্র চিঠি পাইসিলাম ফার্স্ট ইয়ারে থাকতে। সেই চিঠির প্রতিটা শব্দ আমার মুখস্থ
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
এইবার একটা প্রেমের চিঠি পড়বেন আমাদের ছোট্ট বন্ধু রেনেট। রেনেট, এইবার আল্লাহর নাম নিয়া মুখস্ত চিঠি পড়েন।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
এরকম মাঝে মাঝে লিখলেই পারেন। ছুঁয়ে গেল একদম।
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
তাই বুঝি!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
আহ! চিঠি! প্রেম ভালুবাসার কথা বললেই সবচে' আগে চিঠির কথা মনে পড়ে... বহু চিঠি পেয়েছি জীবনে, বোন বন্ধু বান্ধবীদের থেকে...প্রেমপত্রগুলো তাড়া বেঢে রাখা ছিলো একটা বাক্সে... বাসা বদলের সময় মা ফেলে দিয়েছিলেন...দুঃখ হয় সেগুলোর কথা মনে পড়লে...
ভালো লাগলো পান্থদা, তুমি নিয়মিত লেখোনা কেন?
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
হৈ মিয়া, আমিতো নিয়মিতই। আমার নামে অপবাদ রটানোয় ধিক্কার!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ইশ! ঠিক আছে! দুইদিনের মাথায় নয়া লেখা দিবা...ওকে?
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
তুমি স্কুলের ম্যাডাম নাকি! কইলে দিতে হবে।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
দিক্কার! আবার বলে নিয়মিত! হাহ!
-----------------------------------------------------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে আমার প্রাণের কাছে চলে আসি, বলি আমি এই হৃদয়েরে; সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
এখনও চিঠি পাই আগের মত-অভ্র আসবার পর নিয়মিতই।
শুধু পার্থক্য কাগজে কলমের সাথে কম্পিউটার আর বৈদ্যুতিক চিঠি বিলি ব্যবস্থার। এই ডাক হরকরার কোনদিন অসুখ করে না, কোনদিন সে ভুল করে চিঠি অন্য ঠিকানায়ও দিয়ে দেয় না।
এই চিঠির আবেদন বড্ড কম কম লাগে বাউল দাদা।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
খুব ভালো লাগলো পান্থ!
ধন্যবাদ পাঠুদা!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
খুব ভাল লাগল ফটিকদার গল্প। আমাদের রমেশদাকে নিয়ে লিখতে হবে একদিন।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
তাত্তারি লিখুন পুতুল ভাই! রমেশদার গল্প শুনতে চাই।
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
ফটিকদার কথাতে অনেক স্মৃতি মনে এলো।
আর চিঠি!!! ওহ্ রে চিঠি আমার কতো কতো চিঠি যে পেয়েছি, দিতেও কি কম ভালো লাগত।
মধুবন্তী মেঘ
আমার তো চিঠি পেতেই বেশি ভালো লাগতো!
..................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
২০০৫ এর পর থেকে আর কোন চিঠি লিখি নাই
অফটপিকঃ ব্যস্ত নাকি আজকাল পান্থ দা? দেখিটেখি না
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
কই দেখনো না। আমি তো তোমারে দেখি!
দারুণ লেখা। চিঠি পাই না আমিও বহুদিন। আগে প্রচুর লিখতাম, পেতামও। আমার লেখা রেকর্ড ২২ পাতা (এপিঠ-ওপিঠ)। প্রায় বছর দশেকেরও আগের কথা।
২২ পাতা? কী বিষয়ে লেখা ছিল! নিশ্চয়ই কারো ছ্যাকা খেয়ে কেঁদে বুক ভাসিয়ে সম্পর্কের স্মৃতিচারণ করেছিলেন!
নতুন মন্তব্য করুন