স্পাইডারম্যান ও আমার দুই বোনঝি
আমাদের ঠাকুরমার ঝুলি ছিল। ডালিমকুমার ছিল। সুয়োরাণী দুয়োরাণী ছিল। কাঁকনমালা কাঞ্চনমালা ছিল। আর ছিল অজস্র ভূত-প্রেত, দেও-দানো। বাড়ির পাশেই গোরস্থান। দশ মিনিটের হাঁটা পথ। ভয়ে ও পথ মাড়াতাম না। শ্মশানও ছিল একটা। বেশ দূরে। ছোটবেলায় যাওয়া হয় নি কখনো। তবে, গ্রাম থেকে বেরিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে থানা সদরের দিকে, সে পথে একটা আমগাছ ছিল। পুরোনো। ঝাঁকড়া। সবাই বলতো ওই গাছ ভূতদের বাড়ি। কে যায় আর ওইপথে। কখন আবার। ওই বালকবেলাতেই।
ঢাকায় বড় বোনের সাথে থাকি। দুই বোনঝি আমার। বড়টা ক্লাশ টু-তে পড়ে। ছোটটার সাড়ে তিন বছর এখন। স্কুলে যায় না। সারাদিন ৯০০ বর্গফুটকে সংসার সাজিয়ে খেলে। ওর কোনো ডালিমকুমার নেই। সুয়োরাণী দুয়োরাণী নেই। দিগন্ত ছাড়িয়ে দূরে কোনো পুরোনো আমগাছ নেই। তাই ভূতও নেই। থাকবে কেমনে! ও বারান্দায় দাঁড়িয়ে কেবল সামনে-পাশে ছড়ানো-ছিটানো বিল্ডিং-ই দেখতে পায়। এজন্য ওর স্পাইডারম্যান আছে, যে সাঁই সাঁই বিল্ডিং বেয়ে ওপরে উঠে যায়। বাঙালির জল-হাওয়ায় স্পাইডারম্যান ওদের কতটা আপন মনে হয়, শৈশবকে কতটা পূর্ণ করতে পারে কে জানে!
শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটা কথা মনে পড়লো। যার পকেটে শৈশব নেই সে যেন কোনোদিন প্রতিভার নদীতে না নামে। নামলেই ডুবে যাবে। নয়তো ভেসে যাবে। শ্যামলের আত্মজীবনী পড়তে পড়তে দেখি কী সমৃদ্ধ শৈশব তার। তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে। সে যুদ্ধ মাথায় নিয়ে বেড়ে উঠছে একটি ছেলে। শৈশব মাড়িয়ে কৈশোরে পা দিচ্ছে। আর পা দিতে দিতে দেখছে তার চারপাশ।
আমাদের ছেলেবেলাও হয়তো এমন ছিল। শুধু শ্যামলের মতো করে দেখতে ও লিখতে পারবো না বলে অমন মনে হবে না। তবে, এটা বলে দেয়া যায়, আমার বোনঝিদের অমন খোলাজানালার মতো ছেলেবেলা কখনো হবে না।
সিগারেট ও বান্ধবীদ্বয়
ছয়টা বেজে গেছে। সবার অফিস শেষ। আমাদের টিমের অফিস তখনো চলে। সে সময়ে, ফেসবুকে বালিকা জানান দেয়, আজ হলুদ শাড়ি পরেছি। যা দেখাচ্ছে না! দেখবি। কজমোতে চলে আয়। শার্প ছয়টা বিশে অফিস থেকে বেরিয়ে পড়।
বালিকাকে ফেসবুকে দেখেছি। মানে ভার্চুয়াল দেখা। সামনা-সামনি নয়।
অফিস থেকে কজমো বিশ-বাইশ মিনিটের রাস্তা। রিক্সার পথ। সে রাস্তা ফুরায় না সহজে।
আমি আগে পৌঁছে যাই।
বালিকা আসে। সাথে আসে আরেক বালিকা। সেও বন্ধু।
সিঁড়ি বেয়ে কজমো। স্মোকিং জোন।
হায়, ভুলে গেছি বালিকার সিগারেটের কথা। বেনসন লাল।
তুই আনবি না আমি জানতাম। তাই নিয়ে এসেছি।
বালিকাদ্বয় সিগারেট টানে। মুখ ভর্তি ধোঁয়া ছাড়ে। আমি তাকিয়ে দেখি। আমার কি খানিকটা বিস্ময় জাগে! হয়তো। হয়তোবা না। তবে আমার প্রমথ চৌধুরীর কথা মনে পড়ে।
প্রমথ চৌধুরী প্রবাসে যাবেন। প্রবাস বলতে বেশি দূর না। ভাগলপুরে। আর ইন্দিরা দেবী পড়ে থাকবেন বালিগঞ্জে। যাবার বেলায় চৌধুরী মশায় আবদার করলেন, রোজ রোজ একখান করে চিঠি দিতে হবে। আবদার এখানেই শেষ না। ওকে নাম ধরে লিখতে হবে। ইন্দিরা দেবী প্রমথ চৌধুরীর পয়লা আবদার পূরণে সম্মত হন। তবে দ্বিতীয় আবদার সে কিছুতেই মানতে পারবে না। বরকে কেউ নাম ধরে ডাকতে পারে!
আমি নিজে মনে হয় ইন্দিরা দেবীর মতো বিশ্বাসের ট্যাবুগুলো বুকে পুষে রাখি। বুকের গভীরে পুষে রাখা এইসব সংস্কারের কথা হয়তো আমি নিজেই জানি না।
একটা প্রোমো হয়ে যাক
একটা বই লিখছি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে। কিশোরপাঠ্য। বইমেলায় বেরোবে। শুদ্ধস্বর থেকে। কী মনে করে, উৎসর্গপত্র লিখলাম কাল রাতে।
মীম ও রাহী
আমার দুই বোনঝি
যারা বেড়ে উঠছে ইংরেজির ছায়ায়।
আশা এই যে, বাংলাভাষার জন্য রক্তদানের ইতিহাস তারা ভুলে যাবে না।
ইংরেজি ছাড়া আমাদের গতি নেই। ঠিক আছে মানলাম। তাই বলে কি আমরা বাংলাভাষা পুরোপুরি বিসর্জন দেবো? কোনো কোনো অভিভাবকের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হয়, তাদের সন্তানরা গা-গতর থেকে বাংলার গন্ধ মুছতে পারলে তারা যেন খুশিতে বাকবাকুম করেন!
(সচলে বেশ কয়দিন কিছু লেখা হয় না। তাই লিখলাম এইসব আবজাব)
মন্তব্য
আবজাব ভালোই হইছে। বই প্রকাশের খবর শুনে খুব ভালো লাগলো। শুভ কামনা।
আখতার ভাই, অনেকদিন পর। কেমন আছেন আপনি?
নগদে পাঁচ।
কাকস্য পরিবেদনা
যাক, ব্লক তাহলে কাটলো! লেখা ভালো লেগেছে। নতুন বইয়ের জন্য শুভকামনা থাকলো।
কাটলো কি না জানি না! যদি তাড়াতাড়ি আবার কোনো লেখা দিতে পারি, তাহলে হয়তো কাটবে!
অনেকদিন পর লিখলেন। প্রথম অংশটুকু ভাবালো। এমনটা যে ভাবিনি তা না। আপনি সেটা লিখলেন।
ধন্যবাদ।
হ!
লেখা ভালো লাগলো। শহরবন্দি শিশুগুলো জানলো না তারা কী হারালো!
_____________________
আমরা মানুষ, তোমরা মানুষ
তফাত শুধু শিরদাঁড়ায়।
ওদের তো জানার উপায় নেই। ওরা বেড়ে উঠছে ওদের মতো করে। ওরা সেগুলোই জানছে।
প্রথম অংশটুকু নিয়ে ভেবেছি এর আগেও... আরও একবার ভাবলাম...
দ্বিতীয় অংশটুকু নিয়েও ভাবলাম... ট্যাবুগুলো মুছে গেলে হয়তো আরও কিছুদূর এগোতে পারতাম আমরা... এতোদিনে...
বইয়ের জন্য শুভকামনা রইলো...
----------------------------------------------------------------
নির্জলা নৈবেদ্য
-----------------------------------------------------------------------------------------------------
" ছেলেবেলা থেকেই আমি নিজেকে শুধু নষ্ট হতে দিয়েছি, ভেসে যেতে দিয়েছি, উড়িয়ে-পুড়িয়ে দিতে চেয়েছি নিজেকে। দ্বিধা আর শঙ্কা, এই নিয়েই আমি এক বিতিকিচ্ছিরি
ভাবাটাই সারা! সময় তার নিজের মতো করেই চলবে!
১.
পান্থ, এই হা হুতাশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে একই রকম। আমাদের বাবারা আমাদের শৈশব দেখে ঠিক একই হাহুহাশ করছে যে তোরা কী দেখছস? আমগো ছিলো এই সেই সেই এই... আমরা আমগো দশ বছর পরের জেনারেশনরেই কইছি আরে শৈশব আছিলো আমাগো...
এভাবেই চলে পান্থ... আপনি আজকে যাদের নিয়ে হাহুতাশ করছেন তারা তাদের পরের প্রজন্ম নিয়া ঠিক একই হা হুতাশ করবে... এটাই পৃথিবী... এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নাই।
২.
আপনার ট্যাবুর ক্ষেত্রটা বুঝি নাই... মেয়েরা সিগারেট খাচ্ছে এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে? এটা কিন্তু আধুনিকতা না... এই বাংলার প্রাচীণ সমাজে মহিলাদের তামাক খাওয়ার রেওয়াজ ছিলো খুবই স্বাভাবিক ভাবে। পরিবারের সবাই মিলে তামুক খাইতে আমি নিজেই দেখছি।
৩.
বইয়ের জন্য শুভকামনা। ইংরেজি নিয়াও চিন্তার কিছু নাই... হতাশ হইয়ো না যদি মুমিন হও...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
মানতে কষ্ট হচ্ছে, ব্যাপারটা তা না। একটু সংকোচ হইছে, এই যা। আপনি ছোটবেলা থেকে দেখে এসেছেন, তাই আপনার কোনো অসুবিধা হয় না। আমি দেখি নি। বরঞ্চ, বিড়ি সিগারেট খাওয়া ভালো না, এটাই জেনে এসেছি। এইজন্য হয়তো সংকোচ হৈছে।
পান্থ
সিগারেট খাবার ব্যাপারে আপনার ট্যাবুর কথা শুনে আশ্চর্য হলাম।
ওপরে নজরুল ভাই বলেছেন। আমি নিজেও দেখেছি।
আমার নানি কুমিল্লার অতি পাড়াগাঁয়ের মেয়ে। বিয়ের পরে স্বামীর সঙ্গে এসেছিলেন সিলেটের আরেক গ্রামে।
তিনি সিগারেট (অথবা বিড়ি) খেতেন খুব। তার জা রা মানে আম্মার চাচিরা একসাথে বসে সিগারেট খেতেন তাদের অবসর সময়ে। বেশিরভাগ সময়ে সেটা হতো বিকেলের একটু আগে। আমি নিজেই দেখেছি।
নানারা সিগারেট কিনে আনতেন তাদের বউ দের জন্য। বউরা অবশ্য বরকে সম্মান জানিয়ে তার সামনে খেতেন না।
তবে সেটাও ব্যাপার নয়। এটা আমাদের ঐতিহ্যে না থাকলেই যে এখন আমাদের মেয়েরা সিগারেট খেতে পারবেনা, এমন নয়। যদিও আসলে কারোরই খাওয়া উচিত না। এমন বদখত গন্ধ।
লেখা ভালো লাগলো পান্থ।
বই কি প্রবন্ধ নাকি গল্প?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
সিগারেট খেতে পারবে না, এইটা তো কই নাই আফামুনি। খাওয়া, পড়া-পরা, কাজের ফ্রিডম নিয়া আমার একটাও কথা নাই।
পান্থ, আপনার আবজাব ভাল লাগল।
নজরুল ভাইয়ের প্রজন্মান্তরে চলা শৈশব নিয়ে এই হা হুতাশের ধারণাটা পছন্দ হল। তারপরও হা-হুতাশ করব্...।
বইয়ের জন্য শুভকামনা।
বই এর জন্য (ইট) রেখে গেলাম। ফেব্রুয়ারীর আগে কি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে? এইবার দেশ থেকে কেবল বই নিয়ে আসব। এইটে তালিকায় থাকলো।
বাবা-মায়ের অনেক দায় শিশুর মাঝে দেশের জন্য ভালোবাসার বীজ বুনে দেয়া। বিদেশে বেড়ে ওঠা শিশুর মাঝেও দেখেছি না দেখা বাংলাদেশের জন্য অগাধ ভালোবাসা। আবার আপনি যাদের কথা বললেন, তারাও সংখ্যায় কম না।
আচ্ছা, ৩/৪ বছরের বাচ্চার মুখে চটুল হিন্দি গান শুনে অভিভাবকদের গর্বিত, বিমোহিত হবার চল্টা কি কমেছে? পুরা পেডোফিলিক ব্যাপার। কিছু মানুষের আক্কেল এত কম!
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
~!~ আমি তাকদুম তাকদুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল ~!~
ভাল লাগছে।
বইয়ের জন্য অভিনন্দন!!!
ভালু পাইতাম পান্থদা। বইয়ের জন্যে শুভকামনা!
-----------------------------------------------------------------------------------
...সময়ের ধাওয়া করা ফেরারীর হাত থিকা যেহেতু রক্ষা পামুনা, তাইলে চলো ধাওয়া কইরা উল্টা তারেই দৌড়ের উপরে রাখি...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
আবজাব লেখা ভালু পাই
আর ব্লক যখন কাটছেই তাইলে এখন থেকে নিয়মিত লেখাটেখা দেন
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
যারা বেড়ে উঠছে ইংরেজির ছায়ায়।
আশা এই যে, বাংলাভাষার জন্য রক্তদানের ইতিহাস তারা ভুলে যাবে না।
ভুলবেনা।
অনেকদিন পরে তোমার লেখা পড়লাম।ভাল লাগল।
নজরুল ভাইয়ের বলা প্রজন্মান্তরের হা-হুতাশের কথায় একমত। মনে হয় আপনার ভাগ্নীরা তাদের মতো করে ছেলেবেলাকে সংজ্ঞায়িত করবে, তাদের মতো করেই শৈশবকে উপলব্ধি করবে। আর সেটাই জরুরি না, শৈশবকে অনুভব করাটা? তা ঠিক কীরকম হবে তা আমরা পূর্বনির্ধারণ না করলেও চলে হয়ত, শুধু সুন্দর হোক, মলিনতা ছাড়া সেইদিকে খেয়ালটা রাখতে পারি বড়জোর।
বইয়ের জন্যে শুভকামনা রইল।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
___________________
ঘুমের মাঝে স্বপ্ন দেখি না,
স্বপ্নরাই সব জাগিয়ে রাখে।
প্রজন্ম নিয়া হা-হুতাশ না করে তাদেরকে ঘেটি ধরে সময় করে গ্রামের খোলা আকাশের নিচে নিয়ে ঘুরান। একটা জায়গা তাদের জন্য সবসময় খোলা রাখুন, যেখানে গেলে তারা অকাতরে নিঃশ্বাস নিতে পারবে, নিজের বাতাসে। প্রথম কয়েকবার জোর করে করেন, তারপর দেখবেন নিজের নাড়ির টানেই নিজে যাবে। মুক্ত হাওয়া, মুক্ত আকাশ সবাই পছন্দ করে, শিশুরা আরও বেশি।
বিড়ি সিগারেট নিয়ে আইন করা হোক। আইন করে সবাইকে বিড়ি খাওয়া বাধ্যতামূলক করা হোক। না খেলে জরিমানা, কাউকে খেতে বারণ করলে দ্বিগুণ জরিমানা, বিড়ি খায় জন্য কাউকে ঝাড়ি মারলে তিনগুণ জরিমানা! ঢাকায় থেকে থেকে তো সবার ফুসফুসের এমনিতেই বারোটা বাজছে, দুই চারটা বিড়ি ফুঁকলে তাতে কিছু রকমফের হবে না।
জয় বাবা ভোলানাথ!
আপনার বইয়ের জন্য শুভকামনা, অভিনন্দন। বউয়ের জন্যও।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অসাধারন আপনার লেখার ধরন ও বিষয় নির্বাচন, আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আরো লেখা চাই বস।
মাহফুজ খান
পান্থ, আপনার লেখা খুব ভাল লাগল । প্রতিটি প্রজন্মই উত্তরসুরীকে নিয়ে শংকিত হয় । তবে জীবন যে এখন খুব দ্রুত লয়ে যান্ত্রিক হয়ে যাচ্ছে এটাও ঠিক । বিশ্বায়নের এই যুগে মানুষ ক্রমশঃ বিচ্ছিন্ন হচ্ছে । পৃথিবীর অন্য প্রান্তে কী হচ্ছে তার খবর সবাই রাখে, প্রতিদিন যে ফুটপাথ ধরে হেঁটে যায়, তার ওপর যাদের বসবাস তাদের দিকে চোখ মেলে দেখে না…
ইংরেজী শেখার ব্যাপারে দ্বিমত করার কোন কারন নেই, কিন্তু নিজের মাতৃভাষাকে (যে ভাষায় কথা বলার জন্য জীবন দিতে হয়েছে) বুকের গহীনে লালন করার যে গৌরব তা যেন প্রতিটি শিশু বুঝে, সেই দিনের প্রত্যাশা করি ।
……………………………………
বলছি এক জ্যোতির্ময়ীর কথা
__________________________________________
জয় হোক মানবতার ।। জয় হোক জাগ্রত জনতার
পড়ে ভাল লাগলো পান্থদা।
তবে কি না, ট্যাবু বস্তু হিসেবে বেশি সুবিধার না, বড়ই একদিকে হেলে থাকে।
বই এর জন্য অভিনন্দন জানবেন!
............................................................................................
স্বপ্ন আমার জোনাকি
দীপ্ত প্রাণের মণিকা,
স্তব্ধ আঁধার নিশীথে
উড়িছে আলোর কণিকা।।
............................................................................................
এক পথে যারা চলিবে তাহারা
সকলেরে নিক্ চিনে।
বই এর জন্য আগাম অভিনন্দন।
ভুষ ভুষ কইরা বিড়ি টানতাছে... নাহ, দৃশ্যটা আরামদায়ক লাগলো না। মফস্বলি মন আমার।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
নতুন মন্তব্য করুন