শিল্প-মাধ্যমে নাম সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ কি না জানি না। আমার নিজের কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। নাম দিয়ে চেনা যায় সেই চরিত্রকে, চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ডকে। কেন না, নামের মধ্য দিয়ে আমরা সেই চরিত্রের সাথে একটা যোগাযোগ সূত্র তৈরি করি। স্বাগতা-সামীর নাম সমাজের যে শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে, সামাদ-সেতারা সেই শ্রেণীর নিশ্চয় না! ডুবসাঁতারের কেন্দ্রীয় চরিত্র রেনু। রেনু নামটা শোনার সাথে সাথে মনে হয়, চরিত্রটি আমাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণীর প্রতিনিধি। সে সংসারে টানাপোড়েন থাকবে, পরিবারের সদস্যরা এটা-সেটা নিয়ে খ্যাচখ্যাচ করবে। মহল্লার কিছু উঠতি মাস্তানের সাথে তাদের একটা শীতল সম্পর্ক থাকবে। বাড়তি কয়েকটি টাকার জন্য সেই পরিবারের ছোট ভাইটিকে মিথ্যে বলতে হবে। আর সে সংসারে একজন অসুস্থ মানুষ থাকলেও থাকতে পারে! ডুবসাঁতারে এসব কিছু বিদ্যমান। অথবা হতে পারে, আমার মায়ের নাম রেনু বলে আমি আমার মায়ের পারিপার্শ্বিকটাই এতে গুঁজে দিয়েছি। এরকম হলে এর দায় মাথার ভিতরে গেঁথে থাকা স্মৃতিকোষে সাজানো দৃশ্যপটের!
বাংলাদেশের একটা নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের যেসব সংকট, তার সবই আছে ডুবসাঁতারে। আর রেনু চরিত্রকে ঘিরে এই সংকটগুলো আবর্তিত হয়। রেনু চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। আমরা রেনু চরিত্রকে ঘিরে আমাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের যে সংকট, তা দেখার চেষ্টা করবো। আর সেই সাথে রেনুর সংকট ব্যক্তিউর্ধ্বে থেকে আর সবার সংকট হয়ে উঠে কি না তার মাধ্যমে ডুবসাঁতার সিনেমার পোস্টমর্টেম করার একটা চেষ্টা থাকবে।
রেনুর চরিত্রে ঢোকার আগে রেনুর মায়ের চরিত্র একটু দেখে নিলে ভালো হয়। শুরুতেই মায়ের যে মুখচ্ছবি দেখি, তাতে শুধুই অনিশ্চয়তা খেলা। এই অনিশ্চয়তার সুলুক সন্ধান করতে পারলে রেনুকে একটু বোঝা যাবে। রেনুর বাবা মারা গেছে আগেই। মা দুই ভাই আর রেনুকে অনেক কষ্টে বড় করেছেন। পরিবারের বড় ভাই অন্ধ। ছোট ভাই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। নেশা করে। রেনুর বিয়ে হয়েছিল। এখন ডিভোর্সি। কেন ডিভোর্স হয়েছে, সেটা সিনেমার কোথাও বলা নেই। তবে রেনু কর্মজীবী। তার আয়েই সংসার চলে। এমন এক পরিবারের মেয়ে রেনু কি না প্রেমে পড়েছে। কাজেই মায়ের মুখের অনিশ্চয়তা অস্বাভাবিক নয়। এই অনিশ্চয়তার সৃষ্টি ভাত কাপড়ের নিশ্চিত বন্দোবস্ত হারানোর। রেনু যদি সত্যি সত্যি ওই ছেলের হাত ধরে ঘর ছাড়ে, সংসার চলবে কিভাবে! এই অনিশ্চয়তা নিয়েই মা রেনুর মুখোমুখি। রেনু নামটির মধ্যে যে প্রতিনিধিত্বশীল শ্রেণী রয়েছে, সেই শ্রেণীর মেয়েরা কিন্তু কষ্টেসৃষ্টে হলেও পড়াশোনাটা চালিয়ে যায়। একপর্যায়ে গিয়ে একটি চাকরি জুটিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। তারপর ভোগবাদী সমাজের অংশ হয়ে সেও আধুনিক মানুষ। তারা নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রাধান্য দিতেও শিখে। রেনুও তাই নতুন জীবন শুরু করার স্বপ্নের পথে হাঁটে, গর্ভে ইমরানের পুঁতে দেয়া বীজ নিয়ে।
রেনু একে তো মেয়ে। তার উপর আবার ডিভোর্সি। পাড়ার ছেলেরা তাই রেনুর বাড়িতে ইমরানের ঘনঘন আসা মানবো কেন! তারা টিপ্পনী কাটে। পাড়াতুতো এই পাতি মাস্তানদের আগমনের মধ্য দিয়ে রেনুর প্রতিবেশটা আরো স্পষ্ট হয়। দর্শক হিসেবে আমরা রেনুর চরিত্রের সাথে আরো নিবিড় সংযোগ স্থাপনে সক্ষম হই। তখন আমাদের পুরুষতান্ত্রিক সমাজকাঠামোয় ডুবসাঁতারের রেনুর ঘটনা আরো কতদূর যেতে পারে সেটাও খানিকটা আন্দাজ করতে পারি।
এই সংকট নিয়েই চলে রেনুর জীবন। আবার রেনুর জীবনে সংকট হিসেবে ইমরান নিজেও কম না! যাকে ঘিরে রেনু একটা নতুন জীবনের পথে পা বাড়াতে উদ্যত, সেই ইমরানের কিনা ঘর-সংসারে মন নেই। ছন্নছাড়া জীবন তার। একদিকে পরিবারের ঘানি টানা, অন্যদিকে বড়লোকের নেশাগ্রস্ত ছেলে ইমরানের প্রতি প্রেম, বেশ ভালো এক টানাপোড়েন চলে রেনুর জীবনে। যদিও, রেনু এতে বিচলিত নয়। এ জীবন তার চেনা। কিন্তু রেনু তখনও জানে না, কি এক সংকট তার সামনে অপেক্ষা করছে! কেন না, একটু পরেই এক বৃষ্টিভেজা রাতে চোর সন্দেহে পাড়ার ছেলেরা ইমরানকে পিটিয়ে মেরে ফেলবে!
ইমরান মারা যাবার আগে একটু ফ্ল্যাশব্যাক। আমরা আগেই জেনে গেছি, রেনুর ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। স্বামীর সাথে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে আমাদের দেশে নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা নিজের সম্পর্কে বেশ নির্লিপ্ত হয়ে যায়। জীবন সম্পর্কে তাদের আর আগ্রহ থাকে না। কিন্তু আমরা সিনেমার শুরুতেই দেখছি রেনু জেগে উঠছে। ফিরে আসছে ছোটবেলার সেই চঞ্চলতা। আয়নার সামনে একা একা গান গাইছে, কথা বলছে। তার মানে সে একটা নতুন জীবনের পথে পা বাড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে পরিচালক নূরুল আলম আতিক আমাদের সামনে একটা ইশারা হাজির করছেন, যে ইশারা ধরে আমরা এগিয়ে গেলে রেনু আর ইমরানের মধ্যেকার সম্পর্কের সংকট জানতে পারবো। আর সেই প্রেমপূর্ণ জীবনের সংকটে রেনু চরিত্র ঘিরে শাখা-প্রশাখা মেলা আরো কিছু চরিত্রের কথকতার মাঝে জানা যাবে নিম্ন-মধ্যবিত্তীয় জীবনের বিস্তারিত।
মাতৃত্বের আকাঙ্খা কার না প্রবল! রেনুরও আছে। কিন্তু প্রথমবার ছাড়াছাড়ি হওয়ায় মাতৃত্বের আকাঙ্খা পূরণ করার সুযোগ তার আসেনি। ইমরান এসে তার আকাঙ্খার পূর্ণতা দেয়। কিন্তু ইমরান মারা যাওয়ায়, এটাও রেনুর জন্য সংকট সৃষ্টি করে। গর্ভের সন্তান রাখবে, না ফেলে দেবে! তবে পারিপার্শ্বিকতার কারণেই রেনুকে মাতৃত্বের আকাঙ্খা বিসর্জন দিতে হয়। তাই, ইমরান মারা যাওয়ার পর তাকে যখন কক্সবাজারে খালাতো বোনের বাড়িতে দেখি, তখন ছোট বোনেরও বাচ্চা হবে। পেটের সেই বাচ্চা নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথন রেনু কান পেতে শোনার সময় তার মাঝে যে অব্যক্ত বেদনার ছায়াছবি, তা যে কাউকে বেদনার্ত করবে।
নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের যে টানাপোড়েন, তা থেকে রেনু মুক্তি চেয়েছিল ইমরানকে আশ্রয় করে। নিয়তি তাকে সেটা দেয়নি। বরং পরিবারের সাথে বন্ধনে জড়িয়ে গেছে আরো। আবার রেললাইন ধরে ফিরে গেছে নিত্যদিনকার কর্মে। যেতে যেতে সিনেমার শুরুর দিকে দেখা রাজহাঁসের ট্রেনে কাটা পড়ার দৃশ্য আবার ফিরে আসে। তবে, এবার আর হাঁসটি কাটা পড়ে না। বরং বেঁচে যায়। রেনুকে জীবনযুদ্ধে বেঁচে থাকার সংগ্রামে রাখতেই যেন হাঁসটির আগমন। আমাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবনই তো এমন। এক সংকট কাটিয়ে আবার নতুন সংকটের মধ্য দিয়ে জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। ঠিক রেনুর মতো। এর শেষ নেই যেন!
তবে সবমিলিয়ে ডুবসাঁতার সিনেমা হিসেবে কেমন? খারাপ না! ভালোই। যদিও, ডুবসাঁতারের প্রচার-প্রচারণা দেখে যতটা আশা নিয়ে সিনেমা দেখতে বসেছিলাম, সেটা পূর্ণ হয়নি। রেনু গর্ভবতী হয়েছে, অথচ পুরো সিনেমার কোথাও ইমরানের সাথে ঘনিষ্ঠ কোনো মূহূর্ত নেই। এই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের অনুপস্থিতি ভালোভাবেই যে কারো চোখে পড়বে। এই অনুপস্থিতি পরিচালকের ইচ্ছাকৃতও হতে পারে, আমাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত সমাজকাঠামোর শুচিবায়ুগ্রস্ততা বোঝানোর জন্যে। আবার রেনু বাইরে থেকে ফিরে এসে মহল্লায় গণপিটুনির শিকার ছেলেটিকে বাঁচাতে যে অজ্ঞান হয়ে পড়ে, তখন টপ শটে নেয়া রেনুর অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকা, পাশে গাছের গুঁড়ির সাথে বেঁধে রাখা ছেলেটির বাঁধন ছেঁড়ার আকুতির যে গভীরতা তা ঠিক আসে নি! আবার কিছু টুকরো মুহূর্ত, যেমন বাবার টেলিভিশন কিনে ফিরে আসা, কিশোরী রেনু অন্ধ ভাই রোকনকে নিয়ে রেললাইন ধরে হাঁটা এ রকম কিছু ঘটনার মধ্যে দিয়ে নিম্ন-মধ্যবিত্তীয় যে জীবন তা আতিক তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। এইসব দৃশ্য ডুবসাঁতারের গভীর অন্তর্লীন যে বেদনাটি আছে, তাতে হয়তো কিছু যোগ করেনি, তবে আমাদের মধ্যবিত্তীয় মফস্বলতাকে বুঝতে সহায়তা করেছে, এতে সন্দেহ নেই! তাছাড়া পরিচালক সিনেমার চরিত্রদের মুখে যে ভাষা গুঁজে দিয়েছেন, তা যথার্থই মনে হয়েছে। আমাদের নিম্ন-মধ্যবৃত্তীয় জনগণ এই ভাষাতেই কথা বলে।
নূরুল আলম আতিক ডুবসাঁতারের রেনুর মধ্য দিয়ে আমাদের নিম্ন-মধ্যবৃত্তীয় জীবনের প্রতিদিনকার আখ্যানটাই বলতে চেয়েছেন। আর সেটা বলতে গিয়ে এই প্রতিনিধিত্বশীল শ্রেণীর একজন হিসেবে রেনুর ইমোশন ও সংকট এবং পরিবারের টানাপোড়েনের জায়গাগুলো ঠিকই চিহ্নিত করতে পেরেছেন। যদিও রাশেদ জামানের ক্যামেরা সব ইমোশন ঠিকঠাক ডেলিডারি দিতে পারেনি সবসময়। যেমন রেনুর গোসলের দৃশ্যটাই। গোসলের সময় তার যে আপন মনে বুঁদ হয়ে থাকা, তা আরো ডেপথ দাবি করে। তবে, এর দায় যতটা রাশেদ জামানের, ঠিক ততটাই পরিচালক হিসেবে নূরুল আলম আতিকের। যাই হোক, ডুবসাঁতার নিয়ে নির্মাতাপক্ষের প্রচার প্রচারণায় ‘নয়া জামানার’ ছবির যে দাবি, সেটা মনে করি না। তবে, বাংলাদেশে এফডিসি কেন্দ্রিক ছবি থেকে ফার ফার বেটার!
মন্তব্য
সুযোগ পেলে দেখতে হবে। অনেকদিন সিনেমা দেখা হয়না। ধন্যবাদ ভাই পান্থ রহমান রেজা।
======================================
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
বেশ একটা সুশীল রিভিউ হইছে, পত্রিকার মতো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হাসালেন।
পাঠক
বাপ ছাড়া যীশু খ্রিষ্ট জন্মাতে পারলে ইমরানের সাথে ইয়ে করা ছাড়া রেনু গর্ভবতী হতেই পারে।
♦
রিভিউ ভাল হয়েছে। ছবিটা দেখার আগ্রহ জাগাতে পেরেছেন।
থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার মিনিট দশেক দেখেছি। একটা অসহায় মেয়ের চরিত্রে তিশা যেভাবে অভিনয় করেছে তা যদি গ্রহণযোগ্য মাত্রার হয় তাহলে আমি এক ছবিতে একই সাথে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি আর ব্র্যাড পিটের ভূমিকায় অভিনয় করতে পারব।
কাকস্য পরিবেদনা
ছবিটা অনলাইনে দেখার উপায় কী?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
ছবিটা ততো ভালো লাগেনি! রিভিউটা অনেক অনেক ভালো লাগলো।
তবে অশ্লিল দৃশ্যগুলো নিখুঁত ভাবে খোঁজার কারণ কি ?
********************************************************************************
"কেউ বেশি খায় কারো খিদে পায় না, কেউ সস্তার কিছুই খেতে চায় না... আমি চিনি এমন অনেক যারা সারাদিনে কিছুই খেতে পায় না!"
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
'ডুবসাঁতার' টেলিফিল্ম মনে করে দেখেছিলাম। রিভিউ পড়ে বুঝতে পার্লাম ইহা আসলে ছিনেমা
যাই হোক, ডুবসাঁতার নিয়ে নির্মাতাপক্ষের প্রচার প্রচারণায় ‘নয়া জামানার’ ছবির যে দাবি, সেটা মনে করি না। তবে, বাংলাদেশে এফডিসি কেন্দ্রিক ছবি থেকে ফার ফার বেটার!
হুমম।
রিভিউতে
ভালো রিভিউ।
ছবিটা ঈদের সময়ে কোনো একটা চ্যানেলে দেখেছি। প্রত্যাশা আরেকটু বেশি ছিল, যেটা পূরণ হয় নি। তবে ছবিটা মন্দ লাগেনি। জয়া আহসানের অভিনয় আরও ভালো হতে পারতো।
বিষয়টা ইমপ্লাইড...গান ও অন্যান্য দৃশ্য দিয়ে ঘনিষ্ঠতা বোঝানো হয়েছে। এটা ছবিটার দুর্বলতা মনে হয় নি।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
তাসনীম ভাই, পুরো সিনেমার কোথাও ইমরানের সাথে ঘনিষ্ঠ কোনো মুহুর্ত নেই। তারপরেই আমি কিন্তু আরো একটি বাক্য যোগ করেছি এই অনুপস্থিতি পরিচালকের ইচ্ছাকৃতও হতে পারে, আমাদের নিম্ন-মধ্যবিত্ত সমাজকাঠামোর শুচিবায়ুগ্রস্ততা বোঝানোর জন্যে। একটু খেয়াল কইরা। কোলন্পি
গানের কথা বললেন না? আমি যদি ডুইবা মরি গানটার কথা মন ছুঁইয়ে যায়। দৃশ্যায়ন মোটামুটি।
গানটির ইউ টিউব লিংক: http://www.youtube.com/watch?v=XZY9yFcJgQ0&feature=related
------------------------
[ওয়েবসাইট] [ফেইসবুক] [ফ্লিকার ]
ডুবসাঁতারে ডুবুরী হবার ইচ্ছে জাগিয়ে দিলেন!
-----------------------------------
যে মাঠে ফসল নাই তাহার শিয়রে
চুপে দাঁড়ায়েছে চাঁদ — কোনো সাধ নাই তার ফসলের তরে;
------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ
হয়তো এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।
বিজ্ঞাপণের উটকো ঘনঘটার জন্য শুরু করেও মাঝপথে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সিনেমাটা দেখাও হয়েছে স্রেফ আধাখেচড়াভাবে। তবে যতটুকু চোখে পড়েছে, সিনেমাটোগ্রাফির প্রশংসা আলাদাভাবে করব। আর আতিকের কাজ ভালই লাগে, চতুর্থ মাত্রা দেখে বেশ মুগ্ধ হয়েছিলাম। তবে পুরোটা দেখা না হওয়ায় সিনেমাটা নিয়ে তৈরি হওয়া প্রত্যাশার বেলুন চুপসে গেল কিনা সেটা বলতে পারছিনা। আর পুরো সিনেমার যে প্রেক্ষাপটের কথা জানলাম, সেখানে ইমরানের সাথে রেণুর অন্তরঙ্গ সম্পর্কের ুনুপস্থিতির কথা খুব বেশি আলোচনার দাবি রাখে কিনা সেটাও ভাবনার বিষয়।
সব মিলিয়ে রিভিউ ভালু পেলাম।
--------------------------------------------
আজি দুঃখের রাতে সুখের স্রোতে ভাসাও ধরণী
তোমার অভয় বাজে হৃদয় মাঝে হৃদয় হরণী।
--------------------------------------------
যদ্যপি আমার গুরু শুঁড়ি-বাড়ি যায়
তথাপি আমার গুরু নিত্যানন্দ রায়।
পান্থ, সিনেমাটা দেখার আগ্রহ ছিল, তোর রিভিউটা পড়ে আগ্রহ আরো বাড়লো।
রিভিউটা ছবি দেখার আগ্রহ জাগিয়েছে।
'ডুবসাঁতার'- পুরোদস্তুর সিনেমা, জানতাম না। আমি টেলিফিল্ম ধারণা করেছিলাম।
_________________________________________
সেরিওজা
রিভিউটা চমৎকার হয়েছে পান্থ।
এখন ছবিটা কোন ভাবে দেখতে পারলে তোমার ধারণাগুলোর সাথে মিলিয়ে নিতে পারতাম---
শুভেচ্ছা অহর্নিশ
রিভিউটা চমৎকার হয়েছে, এবং দেখার আগ্রহ জাগিয়েছে।
দেখার পর আবার পড়ব।
এই রকম নাটক আরো হওয়া উচিত
নিবন্ধন-নাম:মুনতাসীম মুনিম মিশু
মিশু, নির্মাতা পক্ষের দাবি এটা সিনেমা!
পান্থদা, "একটা ফোনকল কাঁটা হয়ে বাজছে" আর "সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হলে" এই দুইটা গল্প পড়ে আমি আপনার পাঙ্খা হয়ে আছি। সেদিনও একজনকে আপনার গল্পের লিঙ্ক দিলাম।
এই লেখাটা পড়ে শুধু মনে হলো, আপনিই পারেন এত দারুন করে একটা গল্পের গল্প করতে, যেন "কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়"।
--খুবই সত্যি কথা!
অনিদা ও বাউলিয়ানা ভাই
রাতঃস্মরণীয় ভাই, নজরুল ভাই, দ্রোহীদা, সুমন্দা, বালক, তানভীর ভাই, তাসনীম ভাই, নৈষাদ দা, রোমেল চৌধুরী, সুহান, সুমীপা, অনিদা, বাউলিয়ানা ভাই, অদ্রোহ, মিশু, ফাহিম হাসান সবাইকে ধন্যবাদ পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
রিভিউ পইড়া ইচ্ছা করতাছে সিনেমাটা দেইখা ফেলি। দেখুম। পান্থদা, সেইরম রিভিউ হইছে।
নতুন মন্তব্য করুন