বাংলাদেশে দশক ভিত্তিক গল্প নিয়ে আলোচনা হয়। এখন মনে হয় আন্তর্জাল গল্প আমাদের গল্প আলোচনার আরেকটা প্লাটফর্ম খুলে দিলো। এখানকার লেখকরা ভালো লিখছেন, তাদের বই পুরস্কার পাচ্ছে। এদিকে আন্তর্জালের লেখালেখির সুবাদে তাদের একটা নির্দিষ্ট পাঠকশ্রেণী গড়ে উঠেছে। এই পাঠকরা বইমেলায় গিয়ে লেখকের নাম ধরে, বইয়ের নাম ধরে বই খুঁজছেন, কিনছেন। প্রকাশকরা তাদের বইয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। মুহম্মদ জাফর ইকবাল নবীন লেখকদের আন্তর্জালে লিখে হাত পাকানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে আন্তর্জাল সাহিত্য আজ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।
আন্তর্জালের লেখকরা আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেন, তাতে সমস্যা নেই। তবে সেটার চেয়ে বড় কথা তাদের গল্পকে আগে একটা ভালো ছোটগল্প হয়ে উঠতে হবে। তারপর বাদবাকি বিবেচনা! যদিও আন্তর্জালে যারা লেখেন, তাদের বেশিরভাগের বেলায় দেখা যায়- জীবনের গভীরে না নেমে, মন্থনে না গিয়ে ভাসা ভাসা অভিজ্ঞতার কথাবস্তু পাচার করছেন ছেনে-চটকে। সবার বেলায় এই মন্তব্য অবশ্য খাটে না। যারা, রবিঠাকুরের ভাষায়- অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষার, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলায় রত রয়েছেন, যারা তাদের প্রারম্ভিক লেখালিখি দিয়ে আশার আলো দেখিয়েছেন তাদের একজন তারেক নূরুল হাসান। তারেক নূরুল হাসানের প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘কাঠের সেনাপতি’ গত বইমেলায় (২০১০) প্রকাশ পেয়েছে। এই আলোচনায় আমি শুধু তারেককেই ধরতে চেয়েছি। যদিও আন্তর্জালে আরো অনেক লেখক আছেন যাদের বই প্রকাশ পেয়েছে, যাদের কেউ কেউ প্রথম বই লিখে পুরস্কার পর্যন্ত পেয়েছেন।
গল্পকার তারেক নূরুল হাসানের গল্পগ্রন্থের অন্দরে ঢোকার আগে আন্তর্জাল মাধ্যমটার গতিপ্রকৃতি একটু বুঝে নেয়া দরকার। নইলে কারো কারো ভুল বুঝবার অবকাশ থাকে। মাধ্যম হিসেবে আন্তর্জাল কেমন? দৈনিকের সাহিত্য পাতা অথবা শাণিত মেধার লিটলম্যাগ, এই দুয়ের সাথে আন্তর্জাল মাধ্যমের তফাতটা কী?
একটা সময় লেখা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে কোনটা জরুরি, লিটলম্যাগ না দৈনিকের সাহিত্য পাতা, তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ছিলো। বিতর্কটা বর্তমানেও বহাল আছে। আন্তর্জাল এ ধারায় নতুন সংযোজন। আন্তর্জাল মাধ্যম সিরিয়াস সাহিত্যের জন্য ভালো একটা জায়গা হতে পারে। কারণ, এখানে যে মিথস্ক্রিয়ার সুযোগ, সেখান থেকে একজন লেখক অনেক কিছু পেতে পারেন। আন্তর্জালের পাঠকরা প্রিন্ট মাধ্যমের পাঠকের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয়। তারা পড়েন। এবং পড়ে তাদের মনে কি প্রতিক্রিয়া হয়, সেটা মন্তব্যের আঙিনায় এসে লেখককে সরাসরি জানিয়ে দেন। কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়লে, তথ্যে অসম্পূর্ণতা থাকলে সেটা নিয়ে কথা তোলেন। লেখকের সাথে বিতর্কে বসেন। তাই আন্তর্জালে যারা লেখেন তারা প্রমথ চৌধুরী কথিত ‘পাঠকের মুখ চেয়ে লিখিনি কেতাব’ ব্যাপারটি একদমই ভুলে যেতে হয়। লেখককে সমালোচনার তীব্র তীক্ষ্ণ তীর সইবার জন্য পিঠকে পুরো করে নিয়ে আসতে হয়। যদিও গল্প নিয়ে শেষপর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া যায় না। অন্ধকারে টর্চের আলো ফেলে যতটুকু আলোকিত দেখা যায়, ততটুকুই থাকে ছোটগল্পের মায়াবী সীমানা।
প্রথমেই বলে রাখি, আন্তর্জাল মাধ্যম হিসেবে নতুন। লেখকদের বেশিরভাই নতুন। তাই, নতুন সময়ের নতুন লেখকরা নতুন ধরনের গল্প রচনা আমাদের উপহার দেবেন, এমনটাই ভাবা স্বাভাবিক। তবে, ঘটনা সেরকম হয়নি। এখানকার গল্পের ভাষা, ফর্ম, প্রকরণ, বিষয়বস্তু নতুন নয়। আন্তর্জালের লেখকরা তাদের পূর্বসুরীদের ফর্ম, প্রকরণ, বিষয়বস্তু আর ভাষাশৈলী অনুসরণ করে লিখে যাচ্ছেন। আন্তর্জালের লেখকরা হয়তো এখনো মার্কেসের সেই সমস্যায় পড়েন নি। যেমন তিনি সরলা এরেন্দির লিখতে গিয়ে পড়েছিলেন। ‘উলিসেস’ এর প্রেমকাহিনী বর্ণনা করার জন্য তাকে ফর্ম পাল্টাতে হয়েছিল। উলেসিস কোনো কাচ ধরলেই তা অনবরত রঙ পাল্টাতে থাকে। বাস্তবে এমন ঘটনা কিন্তু ঘটে না। কিন্তু প্রেম সমন্ধে এতো কথা আগেই বলা হয়েছে যে, এই ছেলেটি যে প্রেমে পড়েছে, এটা বলবার জন্যই মার্কেসকে নতুন একটি ভঙ্গির উদ্ভাবন করে নিতে হয়েছিল।
০২.
তারেক নূরুল হাসানের লেখালিখির শুরু ছোটকাগজে, ভার্সিটিতে পড়ার সময়ে। নিজেরা একটা পত্রিকা বের করতেন। সেখানে লিখতেন। আরো কয়েকটি কাগজেও লিখেছেন। পরে তিনি লেখালিখির মাধ্যম হিসেবে আন্তর্জালকে বেছে নেন। সেটা সম্ভবত ২০০৬ সালে। ২০০৬ সাল বাংলাদেশে আন্তর্জাল মাধ্যমে লেখালিখির শুরুর কালও বটে! ২০০৬ - ২০১০ পর্যন্ত এই কয় বছরের লেখালিখি থেকে নির্বাচিত ছয়টি গল্প নিয়েই তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘কাঠের সেনাপতি’। তারেক লেখেন কম। তবে, যা লেখেন, তার পেছনে পরিশ্রমের ছাপটুকু লক্ষণীয় থাকে। তার লিখনশৈলীতে দুটি লক্ষণবৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। একটি আশ্চর্য নিটোল নিস্তরঙ্গ ভাষাশৈলী, যেন নিঝুম দুপুরে পুকুর পাড়ে চালতা খসে পড়ার মতো। অন্যটি গল্প নির্মাণে-চরিত্র গঠনে ‘টুলস’ হিসেবে অতি তরুণ চরিত্রের বিস্তার ঘটানো। তারেক অতি তরুণ চরিত্রগুলোর মধ্যে দিয়ে জীবনের গভীরে নেমে ছেনে-চটকে সত্যকে তুলে নিয়ে আসেন। তরুণের চোখে যা দেখা, তা স্বচ্ছতোয়া জলের মতো। জীবনকে, সময়কে, ক্ষয়ে যাওয়া চারপাশকে একমাত্র তরুণরাই পক্ষপাতিত্ব ছাড়া নির্মোহভাবে দেখতে পারে, তার চিত্র আঁকতে পারে- এমন বিশ্বাস থেকেই হয়তো তারেক নূরুল হাসান গল্প নির্মাণে এমন চরিত্র বেছে নিয়েছেন। ‘সমান্তরাল’ গল্পে বাবার কবরে আধ খাওয়া সিগারেট ছুঁড়ে ফেলার মধ্য দিয়ে নীতিভ্রষ্টতা ও অনৈতিকতার প্রতি তীরস্কার, ‘বউ’ গল্পে বিয়ে বিষয়ক ফ্যান্টাসি-ভাবনা, ‘কাঠের সেনাপতি’তে নির্মোহভাবে ইতিহাসের পথে ছুটে চলা কিংবা ‘শব্দশিল্পী’তে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতি ঘৃণা জ্ঞাপন ও প্রতিরোধপর্বে এর সত্যতা মিলবে।
০৩.
তবে, তারেকের এই অতি তরুণ চরিত্রগুলো গল্প শরীরের কোথাও কিন্তু অতি উচ্চকিত নয়। রাজনৈতিক বক্তৃতা, চড়ামাত্রার সংলাপ, চরিত্র লেখকের পুতুল হয়ে উঠেনি কোথাও। বরং মৃদু বোলে বলে গেছে আমাদের দৈনন্দিনতার, জীবনযাপনের আসল সত্যটি। কোথাও দৃষ্টিকটুতার রেশ মাত্র রেখে যায়নি। বইয়ের প্রথম গল্প ‘সমান্তরাল’ থেকে খানিকটা তুলে দিলে পাঠক আপনিও ঠিক এই উপলদ্ধিতে পৌঁছবেন! ‘মাঝে মাঝে এমন হয় যে, গভীর রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে চোখ দুটো না খুলেই যখন অন্ধকারের গায়ে কান পাতি, নিস্তব্ধ রাতের ভেতরের কোন একটা উৎস থেকে খুব মৃদুভাবে তবলার বোলের মত শব্দ ভেসে আসতে থাকে। একটা বা দুটো আঙুল দিয়ে খুব আদুরে ভঙ্গিতে যদি বাজানো হয়- সেটা ঠিক তেরে কেটে ধিন হয় না, বদ্ধ ঘরের দরজার এপাশ থেকে ভেতরের গুম-গুম শব্দ শুনতে পেলে যেমন লাগে, অনেকটা সেরকম।’
দ্বিতীয় গল্প ‘বউ’ থেকেও খানিকটা তুলে নিয়ে তা পরখ করা যেতে পারে। ‘লাঞ্চ আওয়ারের ঠিক আগে আগে অফিসঘরটা ছেলেবেলার ইশকুল হয়ে যায় প্রতিদিন। বাম দিকের দেয়ালে ঝোলানো একটা বুড়োমতোন ঘড়ি, দুপুরবেলায় জবুথবু ভঙ্গিতে সে ক্রমশ এগুতে থাকে বারোটা থেকে একটার দিকে। গন্তব্যে পৌঁছে জরগ্রস্ত একটা কাশি দিলে শব্দ হয়- ঢং। এতক্ষণ অধীর আগ্রহে এই শব্দের জন্যেই অপেক্ষা করে ছিলো বেশ ক’জন বয়স্ক মানুষ। ইশকুল বালকদের ক্ষিপ্রতায় তারা সবাই চেয়ার টেনে উঠে দাঁড়ালো তখন। লাঞ্চে যাবে, একা, স্থির বসে থেকে, তাদের দিকে তাকিয়ে কেবল মনজুরই আনমনে হেসে যায়।’ এখানে ‘ঢং’ শব্দটার দিকে একবার খেয়াল করুন, কেমন মৃদু বোলে জানান দিয়ে গেছে তার উজ্জ্বল উপস্থিতি।
তাছাড়া ‘কাঠের সেনাপতি’, ‘শব্দশিল্পী’ গল্পের চরিত্রগুলোও আশ্চর্য নীরবতার মধ্যে দিয়ে সরব হয়ে চলে গেছে ইতিহাসের পথে। আবার ইতিহাসের পথে গিয়েও নিজেকে খনন করা অন্তর্নিলিপ্ততার বয়ানও হাজির করে গেছে গল্পে পরতে পরতে। বইয়ের ফ্ল্যাপে আন্তর্জালের আরেক কৃতি লেখক মাহবুব আজাদ ঠিকই চিহ্নিত করেছেন তারেক নূরুল হাসানের গল্পভুবনকে। ‘সশব্দ জনজীবনের নির্যাস নিয়ে লেখা অনেক চড়া তারের গল্পের ভিড়ে তারেক নূরুল হাসানের গল্পগুলি যেন নিঝুম দুপুরে পুকুরপাড়ে চালতা খসে পড়ার মতো- অতর্কিত মৃদু বোলে যে ঈঙ্গিত দেয় ঘটনার, চরিত্রের। রোদেলা দিনে কিশোরের বাইসাইকেলের মতো সচেতন কিন্তু ছায়াময় সেই গল্পের ভাষার চলন, পথের বুকে যা স্পষ্ট একটি রেখা পেছনে ফেলে যায়, যার ঘণ্টার রিনরিনে স্মৃতি ভেসে থাকে বাতাসে। দৃষ্টি আকর্ষণী উন্মত্ত চিৎকার নেই, আপন ঢোল ভেবে যথেচ্ছ বাদনবিভ্রাট নেই, তার গল্পগুলি যেন সন্ধ্যায় পাঠকের দোরে কোমল করাঘাত করে ডাকে, ‘বাড়ি আছো?’
০৪.
যদিও কিছু গল্পে তারেকের গল্পবাড়ি খানিকটা বেঁকেচুড়ে গেছে তা অস্বীকার করার উপায় নেই। যেমন ‘নিমন্ত্রণ’ গল্পটি। বেশ চমৎকার একটা নিয়তিবাদী গল্প হতে পারতো এটা। সবই ঠিক ছিল- বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার আগের দিন হঠাৎ দেখা হওয়া, তাদের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার নিমন্ত্রণ, তারপর বিষ্ণুর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ফেরার পথে ঘটনার শিকার হওয়ার হওয়া। সবই যেন ঘটনার অনিবার্য পরিণতি হিসেবেই ঘটছিল। আর ঘটনাগুলোকে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই সমান্তরালভাবে ফাঁদা হয়েছিল বিষ্ণুর বাবার কালী মন্দির প্রীতি, অমূল্য বর পাবার লোভ। তবুও শেষ পর্যন্ত নিমন্ত্রণ গল্পটি ঠিক যেন নিয়তিবাদী গল্প হয়ে উঠেনি। কোথায় যেন তাল হারিয়ে গেছে তা! গল্পকথক নিজেও যে ঘটনার শিকার হন, তিনি নিজ মুখে না বলা পর্যন্ত তা ঠিক বোঝা যায় না। আবার ‘ইঁদুর’ গল্পটি আমাদের বর্তমানকালের ভোগের নিমিত্তে জোরদখলের প্রতিকাশ্রয়ী গল্প হলেও তা মনের গভীর কোথাও গিয়ে বেজে উঠে না। ছাপ রেখে সুদূরে কোথাও মিলিয়ে যায় না। হয়তো বিদেশী যাপন ও তার আদলে নির্মাণ বলেই আমাদের বাঙালি মন-মানসে তৃপ্তি বয়ে আনে না। আমরা তার সাথে ঠিক আত্মীয়তাবোধ করি না। তাছাড়া, কেউ মনোযোগ দিয়ে দেখলে গল্পটিতে বিদেশী গল্পের দূর ছায়াও বোধহয় খুঁজে পেতে পারেন।
০৫.
তারেক নূরুল হাসান নতুন সময়ের নতুন মাধ্যমের গল্প লেখক। আর মাধ্যমটি আন্তর্জাল। মাধ্যম হিসেবে এটি এখনো শিশু। তবে জল-মাটি-হাওয়ায় তরতর করে বেড়ে উঠছে তা। এই মাধ্যমে তিনি তার গল্প নির্মিতি নিয়ে আগামী দিন কোথায় গিয়ে দাঁড়াবেন, কতটা জায়গা দেবে বাঙলা গল্প দুনিয়া তা এখনই বলে দেয়ার সময় হয় নি। তবে প্রথম গল্পগ্রন্থ দিয়ে তিনি নিজের যে লক্ষণরেখা আমাদের চিনিয়ে দিলেন, তা নিয়ে আশাবাদী হওয়া যায় বৈকি! আমার দৃঢ় বিশ্বাস, তারেক নূরুল হাসান একদিন আমাদের আন্তর্জাল মাধ্যমের গল্পদুনিয়ায় প্রথমদিকের সেনাপতি হিসেবেই চিহ্নিত হবেন।
কাঠের সেনাপতি
তারেক নূরুল হাসান
প্রচ্ছদ নজরুল ইসলাম
প্রকাশক শস্যপর্ব
প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ২০১০
[লেখাটি কিছুদিন আগে সাপ্তাহিক কাগজ পত্রিকার একটি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এরমধ্যেই প্রকাশকাল ভুলে গেছি। আরও অনেক লেখার মতো একদিন হয়তো এই লেখাটার কথাও ভুলে যাবো। তাই নিজের ব্লগে রেখে দিলাম। তাছাড়া, সচলে তারেক নূরুল হাসানের অনেক অনেক পাঠক আছেন। তারা কাঠের সেনাপতি বইটা পড়েছেন। তাদের সাথে এই সুযোগে পাঠ-প্রতিক্রিয়াটাও ভাগাভাগি করে নিলাম।]
মন্তব্য
প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে নিজের ব্লগে রাখলাম।
অন্তর্জালের পাঠকের গণ্ডি ছাড়িয়ে এই বইটাকে বৃহত্তর পাঠকের কাছেও প্রশংসিত হতে দেখেছি... তারেক নূরুল হাসানের মতো শক্তিমান লেখকরাই বাংলা সাহিত্যের নতুন হাল ধরবেন... জানি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমিও ব্লগীয় পরিমণ্ডলের বাইরে একজনের কাছ থেকে বইটি নিয়ে বেশ ভালো প্রশংসা শুনেছি।
তবে বইটা যতটা আলোচনা পাবার দরকার ছিল, সেটা পাইনি! অনলাইন মাধ্যমের বাইরে মূলধারার জায়গাগুলোতে এই বইটা নিয়ে কথা বলতে হবে। এ ব্যাপারে আপনার কি মত?
সদ্যই বইটা পড়লাম। তবে হার্ডকাভারটা পাইনি, সুনৃতয় এবারে পেপারব্যাক দেখেছি, সেটাই কিনলাম। নতুন প্রচ্ছদ ব্যবহার করা হয়েছে দেখতে পাচ্ছি।
আপনার পাঠপ্রতিক্রিয়া ভালো লাগলো। নিমন্ত্রণ গল্পটাতে আঙ্গিকের পরিবর্তন করায় আমারও কিছুটা চোখে লাগছে, কিন্তু বৈচিত্রের চেষ্টা হিসাবে প্রশংসাই করব।
অন্তর্জালের লেখা নিয়ে মূলধারায় আলোচনা উঠে আসাটা খুবই প্রয়োজনীয়। সাহিত্যে নতুন স্রোত নিয়ে আসতে অন্তর্জাল খুব বড়ো ভূমিকা রাখতে পারে। এটার জন্য মানুষের কাছে আরও বেশি পৌঁছুতে পারাটা জরুরি।
কনফুর লেখনীর জন্য নিরন্তর মুগ্ধতা।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
নতুন প্রচ্ছদ-
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
i think internet is a universal word, as like google, coke etc. its better to use internet rather "ANTORJAL". even u r using blog in ur comment, not "attokotha songrokhok". sometimes making everything into your own, complicates more.
নতুন মন্তব্য করুন