গত ২৩ জুলাই মঙ্গলবারে মার্কিন রাষ্ট্রদুত ড্যান মজিনার বাসায় ইফতার পার্টি ছিল। সেখানে এক টেবিলে বসেছিলেন সৈয়দ আশরাফ, এইচ এম এরশাদ, ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম, মওদুদ আহমদ। পাশের টেবিলের কোনোটিতে ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম, মঈন খান, অধ্যাপক আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। সুশীল সমাজ, সিনিয়র সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতিবিদদের এক টেবিলে বসা দেখে অনেকের হয়তো ভালো লেগেছে। কেননা আমরা বেশিরভাগ সময় এদের পরস্পরকে মারমুখো দেখতেই অভ্যস্ত। ২৩ জুলাই মঙ্গলবারও এর বাইরে ছিল না। পুরোনো পত্রিকা খুলে দেখি একবার- ওই দিন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন ছিল।
২৩ জুলাই মঙ্গলবার বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ইফতারে অংশ নিয়েছেন। সেখানে তিনি সরকারকে জালিম ও অত্যাচারী আখ্যা দিয়েছেন। ঈদের পর নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলনে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, গণতন্ত্রহীন দেশ গড়ার চেষ্টা চলছে। ঈদের পর মিথ্যা, অপপ্রচারের ধুয়া তুলে নির্বাচিত সরকার ছাড়াই দেশ চালানোর ষড়যন্ত্র চলছে।
আওয়ামী যুবলীগের ইফতার পার্টিতে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আর কালো দিনে ফিরে যাওয়ার জন্য বিএনপিকে ভোট দেবে না।
বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মোরশেদ খান ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করার হুমকি দিয়েছেন।
এ বক্তব্যগুলো দল দুটির দলীয় ফোরামে দেয়া। এই বক্তব্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায় সরকার ইস্যু নিয়ে বড় দল দুটি মুখোমুখি অবস্থানে। এই অবস্থায় সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হবে তা নিয়ে সবার মনেই উত্কণ্ঠা রয়েছে।
রাজনীতির মাঠে যেখানে তারা পরস্পরে মুখোমুখি, আক্রমণাত্মক। ড্যান মজিনার ইফতারে ততোটাই সৌহাদ্যপূর্ণ ভাবে কথা বলেছেন। ড্যান মজিনা তার ওইদিনের বক্তৃতায়ও বলেছেন, সবাইকে এক টেবিলে বসিয়ে একটি আলোচনার পরিবেশ তিনি তৈরি করে দিতে চান। আলোচনার ধারা ধরে রাখতে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার তিনি আরেকটি ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। সেদিনও অনেকে গিয়েছিলেন।
প্রিয় রাজনীতিবিদগণ, আপনারা ড্যান মজিনার দাওয়াতে যান, সুস্বাদু খাবার খেতে খেতে আড্ডা দেন, দেশের সংকট নিরসনে আলোচনা করেন সেটা নিয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তবে, আমাদের একটা জাতীয় সংসদ ভবন আছে। শুনেছি সংসদ চলাকালে সেখানে প্রতি মিনিটে খরচ ৩০ হাজার টাকা। আপনাদের আলোচনার জন্য এই টাকা আমরা দিই। দিতে আমাদের আপত্তি নেই। আজ দলীয় ফোরামে যেসব দাবি-দাওয়ার কথা তুলছেন, ফর্মুলা আনছেন, সেইসব নিয়েই খোলা মনে সেখানে একবার আলোচনায় বসুন! বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ থেকে নয়াপল্টনও বেশি দূরে নয়। একদিন বসুন না কোনো এক অফিসে! আপনারা ভুলে যাবেন না ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ। তারা শুধু ৫৬ হাজার বর্গমাইলের মানচিত্রের জন্য রক্ত দেয়নি। মনের ঔপনিবেশিকতা দূর করে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর জন্যও রক্ত দিয়েছেন।
মন্তব্য
^:)^
- একলহমা
(ধইন্যা)
এক কাজ করলে কেমন হয়, সংসদ ভবনকে ইউএস এম্বাসিতে স্তানান্তর করে বা ইউএস অ্যাম্বাসি সংসদ ভবনে এনে রাষ্ট্রদূতকে স্পীকার বানালেই হয়।
ভালো বলেছেন!
হ!
ধন্যবাদ!
রাষ্ট্রদূত এবং ইফতারের সঙ্গে রাজনীতি মিশাবেন না ;)
লেখায় ৫ তারা
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
(Y)
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
(ধইন্যা)
=DX
(Y)
(ধইন্যা)
(জাঝা)
(Y)
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
ধন্যবাদ তরাত:স্মরণীয় দা
কি করমু কন? মের্কিনি মুল্লুকের নাম শুনলেই আমার মনডা কেমন যানি উদাস হইয়া যায়, মনডা আল্গা হইয়া যায়, সবাইরে ভালবেসে জড়ায় ধরে চুমা খাইতে খায়েশ হয়, দেশের জন্য, দশের জন্য কিছু করতে মুঞ্চায়। আরে ভাই, মের্কিন মুল্লুকের যেন তেন পাব্লিক না -- রাষ্ট্রদূত বইলা কথা, তাই একটু বুইঝা।
এইত গেলোগা রাজনীতিবিদগো ব্যপার-স্যাপার, আর সাধারণ পাব্লিকের "ঔপনিবেশিক মুন" একটু অন্য কিসিমের, সাধারণ পাব্লিক সারাজীবন চাতক পাখির মতন ইন্তেজার করে কিভাবে একবার মের্কিন মুল্লুকের মাটিতে পা দেওয়া যায় -- একবার পা দিলেই হয়, আর তারে পায় কে? তখন ভেতো বাংগালীর গায়ে মহিষের শক্তি ভর করে, দেশে সারাজীবনে একটা ফুটা কাম করে নাই তো কি হইছে? মের্কিন মুল্লুক গিয়াই তহন সারাজীবনে জমা হওয়া সব কর্মোদ্যম পিচকিরি আকারে বাইর হয়, তখন দেশের নাম ফাটে, দশের নাম ফাটে, ফেটে চৌচির হয়। ইদানিং আবার নতুন ফ্যাশন আইছে, আবার মাঝে মাঝে এগো দেশের লাইগা মন পুড়ায় -- সেইডা লইয়া আবার ফেসবুকে বড় বড় স্ট্যাটাস ল্যাদায়, কিন্তুক হেগো যাইয়া যদি কন, ভাই মেলাতো হইল, এবার দেশে চলেন, তখন শুরু হইব ত্যানা প্যাঁচানীর আলাপ।
আগে গোরারা আইসা আমাগো দেশের জমি জিরাত দখল করত, আর আমরা হইতাম তাগো প্রজা, অখন কাহিনী হইছে উল্ডা, আমরাই অখন ওগো দেশে গিয়া সেঁধে চতুর্থ শ্রেণীর প্রজা হই। গুলশানের এম্বেসি গিয়া দিনের পর দিনের পইড়া থাকি, মের্কিন এম্বেসি হইল অখন নতুন খানকায়ে-শরীফ। রাজনীতিবিদ কন আর আম-পাব্লিকই কন, এইরাম খাসলত তো হইল সেই বহুদিন থিকাই, আপনার কাছে ক্যান এইগুলা নতুন ঠেকতেছে বুঝলাম না।
পূনশ্চঃ দ্বিতীয় প্যারায় "মের্কিন মুল্লুক" এর যায়গায় আপনি যেকোন ও.ই.সি.ডি. ভুক্ত দেশের নাম বসাইতে পারেন।
-- রামগরুড়
ভাই, সচলে লিখে সেইসব ত্যানা প্যাঁচানীর আলাপ-সালাপই শেয়ার করেন।
(Y)
ধন্যবাদ প্রোফেসর সাব!
এ আর নতুন কিছু নয়,বাঙলাদেশের ভোটের রাজনীতিতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতকে খুশি রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।তিনি খুশি তো আপনার জয়ের বিষয়ে টেনশন কমে গেল।তাই উনি যদি বলেন আমারা মঙ্গল গ্রহে বসে আলোচনা করি আমাদের দুই দলের মহান রাজনীতিক নেতারা তাতেও আপত্তিবোধ করবেন না,তখন আর লেভেলিং ফিল্ড বলে কোন শব্দ শুনা যাবেনা।শুধু যত আপত্তি উনাদের সংসদে আলোচনায়।এমন করেইতো চলছে,আগামিতে ও হয়তো এভাবেই চলবে।
মাসুদ সজীব
হ!
ঠিক তাই।
(ধইন্যা)
এইটা তো নতুন কিছু না- আমরাই নৌকায় বসে শীষ দিই, আবার শীষ দিতে দিতে নৌকায় উঠি।
শাকিল অরিত
হুম! কড়াই থেকে উনুনে ঝাঁপ দেই।
নতুন মন্তব্য করুন