অনেকদিন পানটান হয় না। বিয়ে করে ভেড়ুয়া হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। যা শালা! পুরোনো পানেরই স্মৃতিচারণ করি আজ।
আমার প্রথম মদ পান কলেজে ভর্তি হয়েই। সেবার খুব বেশি খাইনি। অষুধের চামচের এক চামচ মাত্তর! তাই নিয়ে কী কাণ্ডকীর্তি!
তখন সবে কলেজে ভর্তি হয়েছি। হাতে ফুর্তি করার ব্যাপক সময়। এর মধ্যে বন্ধু রায়হানের বোন মুনিরা আপার বিয়ে ঠিক হলো। তিনি কারমাইকেলে পড়েন। অর্নাস ক্লাসে। বাড়ির বড় মেয়ে। রায়হান ঘোষণা দিলো বিয়েতে ব্যাপক ধুমধাম হবে। আমাদের সবার দাওয়াত। বিয়েতে আমাদের কিছু কাজও করতে হবে। বিয়ের গেট সাজাতে হবে। বরের জুতো চুরি করতে হবে। আর বরযাত্রীদের খাবাব-দাবারের তদারকি করতে হবে।
আমরা সানন্দে রাজি হয়ে গেলাম।
বিয়ের দুই-তিনদিন আগে থেকে আমরা রায়হানের বাড়িতে আস্তানা গাড়লাম। তখন ঈদের সময়। তাঁত বন্ধ। শ্রমিকরা বাড়ি চলে গেছে। আমাদের স্থান হলো তাঁতঘরে, ঝেঁড়েমুছে শ্রমিকদের শোবার চৌকিতে। ক্যাসেটে গান বাজে। আর আমরা গেট কেমন হবে, তার পরিকল্পনা করি। রাতেই বেশি কাজ হয়।
গেট বানানোর জন্য রায়হান বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে রেখেছে। পকেট গরম। টাকার গরম থাকলে যা হয়, শয়তান এসে ভর করলো। এক রাতে পাঁচ বোতল কেরু চলে এলো আমাদের গেট নির্মাণ কর্মযজ্ঞে। বন্ধুবান্ধবের দুই একজন আগে মদ খেয়েছে। আর সবাই নতুন। প্রথমবার খাবে। তাই সবার মধ্যে সন্দেহ, ভয়। খেয়ে না কেমন মাতলামি করে বসি। সবার বাড়ি আশেপাশেই। মাতলামির খবরে বাড়ি থেকে যদি কেউ ছুটে আসে। পুরোনো পাপীরা অভয় দেয়, কিচ্ছু হবে না। একটু নে, চেখে দ্যাখ কেমন ফিলিংস! ফিলিংসের চোটে আসমানে যাবি!
আসমানে পাখা মেলতেই আমরা বোম্বে চানাচুর, কোকের বোতল আর গ্লাস সাজিয়ে বসে যাই। অভিজ্ঞরা কতটুকু মদ, কতটুকু পানি আর কতটুকু কোক মেশাতে হবে তা নিয়ে জ্ঞান দেয়। আমরা সেই জ্ঞান নিয়ে গ্লাসে মদ, পানি আর কোক মিশাই। তারপর ঠোঁটে গ্লাস ঠেকিয়ে অজানা আশংকা নিয়ে চুমুক দিই। কারো চুমুক হয়তো একটু বেশি হয়ে যায়। গলায় জ্বলুনির চোটে আ...আ... করে। আমি ভীরু মানুষ। ছোট্ট করে চুমুক দিই। অজানা আশংকায় থাকি। গলায় জ্বলুনির চোটে সেই অজানা আশংকা আর যায় না। তাই অন্যের গ্লাসে মদ পাচার করে কোক নিয়ে মদের মতো করে চেখে চেখে খাই।
সেই রাতে মদ খেয়ে দূরে মাঠে গিয়ে কেউ কেউ বমিটমি করলেও বাইরের কেউ জানতে পারে না। আমরা সবাই ভালো মানুষের মতো যার যার বাড়ি গিয়ে ঘুমাই। কিন্তু ঘটনা ঘটে তার পরের দিন। তাঁতঘর থেকে কেরুর খালি বোতল আমরা সরাতে ভুলে গেছি। সকালে রায়হানের ছোট ভাই সেই কেরুর বোতল কুড়িয়ে নিয়ে বাড়ির ভিতর যায়। ছোট মানুষ ও, কোনো কিছু না ভেবেই কেরুর বোতল বাড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়েছিল। তবে সেই খবর আর বাড়ির ভিতরে থাকেনি। যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার সাথে সবার বাড়িতেও পৌঁছে দেয়া হয়। আমরা ভেজা বেড়াল হয়ে থাকি কিছুদিন।
তবে মদ্যপান বলতে যা বোঝায় তাই করা হয় আরো কিছুদিন পরে।
বর্ষা তখন সবে নেমে যাচ্ছে। পানি ভেঙ্গে আসতে হয় বলে স্কুলের মাঠের আড্ডায় বন্ধুদের উপস্থিতি কম। স্কুলের বারান্দায় বসে আড্ডা দিতে দিতে একদিন সবার শখ হলো মদ খাওয়ার। চাঁদা তোলা হলো। ছয়-সাতজন টাকা দিলো। রাত নয়টার দিকে আমি আর সাব্বির মামা [ আম্মার খালাতো ভাই, এক ক্লাসে পড়ি বলে বন্ধু] ছুটলাম মদ কিনতে। এবার কেরু নয়। কী একটা বোতল কিনেছিলাম, লম্বামতোন। রাম বোধহয়। মনে নেই আজ। স্কুলের বারান্দায় বসে খাওয়ার সময় দেখা গেল পানকারী মাত্র চারজন। উপস্থিতি আছে আরো দুজনের। কিন্তু ওরা খাবে না। ভাগে পড়ে গেল বেশি। খেয়েও ফেললাম সবটুকু। একটু পরেই ধরে গেল। কিছুক্ষণ পরে ওয়াক... ওয়াক... করে বমি। খারাপ লাগা শুরু করলো। স্কুলের বারান্দায় শুয়ে কীসব আবোল-তাবোল বলা শুরু করলাম। আরো দুজনের একই অবস্থা। সাব্বির মামা গ্রামের মাতব্বরদের নামে যা-তা বলা শুরু করলো। একজন ছুটে গেল এক মাতব্বরের বাড়ির দিকে। আমাদের চিত্কার চেঁচামেচিতে স্কুল মাঠের ওপারে দু-একজনকে উঁকি দিতে দেখা গেল। মাঠের ভিতরে পানি-কাদা বলে কেউ আর এদিকে এলো না। যে বন্ধু দুইজন খায়নি, ওরা প্রমাদ গুনলো।
আমার যে অবস্থা, তাতে বাড়ি যাওয়ার আর উপায় নেই। মিন্টু আর আলীম মিলে ধরাধরি করে আলীমের বাড়িতে নিয়ে গেল। রাস্তা জুড়ে বর্ষার কাদা, পানি। সারা পায়ে মাখামাখি ছিল সেই কাদা-পানিতে। ওই অবস্থাতেই শুইয়ে দিলো। পরের দিন সকালে নিজের অবস্থা দেখে নিজেই ভিমড়ি খেলাম!
ঢাকায় এসে গ্যালাক্সি চিনলাম প্রথম সেমিস্টারের শেষে এসে। আমি সূর্যসেন হলে থাকতাম। আর আমার এলাকার বেশিরভাগ বন্ধুই মিরপুরে থাকতো। একদিন ওরা কয়েকজন এলো ভার্সিটিতে আড্ডা দিতে। আড্ডা দিতে দিতে ‘বাই’ উঠলো মদ পানের। আড্ডা ভেঙ্গে যাওয়া হলো গ্যালাক্সিতে। ফেরার পথে বন্ধুরা সবাই মিরপুর যাবে। আমি ফিরবো হলে। ওরা আমাকে রিক্সায় তুলে দেয়ার জন্য পিঁড়াপিঁড়ি করলো। আমার তখন বেহেড অবস্থা! বললাম হেঁটেই যাবো। আসলেই সেদিন হাঁটতে খুব ভালো লাগছিল। মনে হচ্ছিল যেন উড়ে উড়ে যাচ্ছি! সত্যিই আমি সেদিন হেঁটে হলে ফিরেছিলাম। পরে আমি মনে করার অনেক চেষ্টা করেছি, হেঁটে কীভাবে হলে ফিরেছি, তার কিছুই মনে করতে পারিনি!
মন্তব্য
অয় মিয়া, আপ্নে সেই দিন কোয়ান্টাম দশায় ছিলেন। হেঁটে আর উড়ে একসঙ্গে দুইটা অবস্থাতেই বাড়ি ফিরসিলেন। বুঝতে অসুবিস্তা লাগলে চিন্তা নাই। সচলে আইজকাল কোয়ান্টাম নিয়া অনেক লিখা। যদি সেই সব পড়ার সুযুগ নাও পান, আর একবার যথেচ্ছ জলপথে কোয়ান্টাম দশায় গেলেই সব জলের মতন-ই বুঝা যাবে। পান করুন, সুখে থাকুন
- একলহমা
জলের সঙ্গে পানি মেশাবেন না
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
কখনো কোয়ান্টাম কখনো কেরু, লম্বা স্পেকট্রামে চলাচল করতে গিয়ে ভাষার দশা কোয়ান্টাম মেরে গেছে। জল আর পানি দুই-ই একসাথে বসে যাচ্ছে। খারাপ, খুব খারাপ!
- একলহমা
ওকে, জলপথ ঘুরে এসেই আপনার মন্তব্যের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
এখন ফ্রিকোয়েন্সি কত? সপ্তাহে না মাসে? নাকি ছেড়ে দিসেন?
এখন কালেভদ্রে হয়!
এইবার ঢাকায় যা শুনলাম তাতে আতংকিত হয়েছি। নকল মদের ছড়াছড়ি নাকি। নকল মদ খুবই রিস্কি জিনিস। অনেক নতুন আদমী স্বাদ না জেনে নকল জিনিস মাত্রাছাড়া খেলে আর দেখতে হবে না। কয়েকদিন পরপরই এরকম কেইসে লোক মারা যাবার খবর পত্রিকায় পাই।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
হ, কয়েকদিন পরপরই তো পত্রিকায় খবর আসে।
হা হা হা
আপনার কাহিনী পড়তে পড়তে আমারটাও মনে পড়লো! কিন্তু এখানে শেয়ার করা যাবে না, আগে দেখতে হবে আমার মুরুব্বীস্থানীয় কতজন আত্মীয় সচলায়তন পড়েন!
-নিয়াজ
আরে, আমার বিয়ে যখন ঠিকঠাক হওয়ার পথে, তখন শ্বশুরবাড়ির লোকজন জেনে গেল আমি ব্লগে লিখি। কেউ কেউ অতি আগ্রহের সাথে পড়েও দেখলো ব্লগে এসে। কত যে বালিকাময় লেখা ছিল! তবুও, বিয়ে কিন্তু আটকায় নাই।
কাজেই জরিনার নাম নিয়ে লিখে ফেলেন!
বাহ বাহ! এইবার জীবনে প্রথম জেরিনা মানে কেরু পান হইল! তবে ভালো আইডিয়া দিছেন, এমন লেখা মাঝে মাঝে আওন দরকার, হিক হিক, প্যালিঙ্কোর ভেজা শুভেচ্ছা হাঙ্গেরি থেকে , হিক
facebook
বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, আর ঘরের ভিতরে আপনার মন্তব্যে জলমগ্ন হলাম!
আপনার প্রথম পান তো মন্দ হয়নাই খুব একটা
হ! বাড়ি পর্যন্ত খবর যাওয়ায় একটু যা বেকায়দায় পড়েছিলাম।
দোচোয়ানি প্রথম - ডি লা গ্রান্ডি মেফিস্টোফেলিস! ইয়াক!! ইয়াক!!!
দোচায়ানির কাছেপিঠে থাকার পরেও খাওয়া হয় নাই!
বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে গ্যালাক্সি নামটা যে কতবার শুনতে হয়েছে, তার হিসেব রাখাই কঠিন। সেখানকার কাহিনী নিয়ে কত বন্ধু বানিয়ে বানিয়ে কত গল্প যে করলো। আমাদের এক বন্ধু ছিলো, যাকে মদ বলে মাউণ্টেইন ডিউ খাওয়ালেও মাতাল হয়ে যেত।
ফেইসবুক
---------------------------------------------
এক আকাশের নীচেই যখন এই আমাদের ঘর,
কেমন ক'রে আমরা বলো হতে পারি পর. . .
আমাদেরও এমন বন্ধু, মদ বলে মাউণ্টেইন ডিউ খাওয়ালেও মাতাল হয়!
ভাই কেরু আসলে সেই জিনিষ, রাজশাহী গেছিলাম একটা বিয়া খাইতে আসার পথে কেরু জোগাড় কইরা নিয়া আইলাম। যে চক্করটা দিছিল। দেশ ছাড়ার পরে কত কিছুই ট্রাই করে দেখলাম, কিন্তু কেরুতে যে বাড়ি দিছিল সেই বাড়ি কেউ দিতে পারে নাই।
আমার হাতেখড়ি হয়েছিল কেরু দিয়াই! তারপরে আর কেরু খাওয়া হয়নি।
আমি পানি খাই না তবে সংগে যাই
সবাই যখন পানি খায় আমি তখন সেভেন আপ আর ছোলা খাই
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আমি খাই চানাচুর
আমি খাই আমসত্ত্ব।
নিবিড়, রুচিতায় গেলে সালাদ খাইয়ো!
ছি ছি, আপনে এইসব খান!
লাইনে আসুন
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমার প্রথম তো শিশুকালে,লুকিয়েও নয়! এক্কেবারে বাসায়, ক্লাস সেভেন, বড় মামার সাথে- কোয়ার্টার পেগ! বমি অবশ্য কোনদিন হয়নি। সেবারে পরদিন স্কুল মিস করেছিলাম! স্কটিশ জিন, উপহারের মাল!
প্রথম মদ্য পানের অভিজ্ঞতাটা আসলেই রোমাঞ্চকর...
মনে পড়ে গেল...প্রথমসহ আরো কতশত স্মৃতি...!
লাবু, সেইসব স্মৃতির টুকরোটাকরা নিয়েই লিখেন না, পড়ি!
আমার প্রথম টাকিলা দিয়ে। অভিজ্ঞতা ভালো ছিল। দেশি-বিদেশি, অনেকবারই নানান জায়গায় খেয়েছি, আজ পর্যন্ত কখনওই সে অর্থে মাতলামি করিনি বা অসুস্থও হইনি।
আপনি গুরু
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
আপনার দেখছি একেবারে রাজকীয় অভিষেক১
গ্যালাক্সিতে আমারও হাতেখড়ি হয়েছিল। ওইটার মালিকদের (গোল্ডেন গেট নামে একটা হোটেল ছিল ওখানে) একজনের ছেলে আমাদের সহপাঠি বন্ধু ছিল। বন্ধুর বাবার বার থাকলে খুব দ্রুতই শিক্ষা লাভ করা যায়। ক্লাস টেনেই শুভ উদ্বোধন।
তবে বারে গিয়ে মদ্যপান করি না আজকাল - নিজের বাসায় বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা মারতে মারতে সেবন করাই অতি উত্তম মনে হয়। বন্ধুদের মধ্যে মদ্যপায়ীও কমে যাচ্ছে।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বার, ডিসকো কিংবা বাসা একেক জায়গায় পান করার একেক রকম মজা!
নিয়মিত যেহেতু পান করি না। বিশেষ দিন বা ঘটনা উদযাপনের জন্যই বেশিরভাগ সময় পান করা হয়, তাই যেখানেই পান করি না কেন, মজাই লাগে আমার।
বড় হয়্যা গেছো না?
মাল খাও সেইটা আবার লেইখ্যা জানান দেও!!! বেদ্দপ পুলা। সামনে পাইয়া লই, কানপট্টি গ্রম করে দেবানে যখন, তখন বুঝবা ফুটানির মজা।
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
কী যে কন, কই আর বড় হইলাম! একটি ঘটনা কই তাহলে। বছর তিনেক আগে, রুচিতা বারে ঢুকছি আরো কয়েকজন কলিগের সাথে। পিঠে ব্যাগ ঝুলানো। দারোয়ান আমারে থামাইলো। ভাবখানা এমন, স্কুলের বাচ্চা ক্যান এখানে! পুরাই বেইজ্জতি অবস্থা!
বুঝছি, এইবার ঢাকায় আসলে আপনারে এড়িয়ে চলতে হবে।
অনেক স্মৃতি 'পান' এর। আইডিয়া দিলেন। এখন লিখে ফেলবো।
-------------------------------------------
কামরুজ্জামান পলাশ
আমি প্রথমবার কখন 'পান' খাইছি মনে নাই। মনে হয় অনেক ছুডো ছিলাম। তয় চুন সুপারী দেওয়া 'পান' খাইছি বড় হয়ে! স্মতিময় পোষ্ট
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমার প্রথম হুইস্কি দিয়ে। সেমিস্টার ফাইনালের শেষ পরীক্ষা শেষ করে পরিচিত এক চাইনিজ রেস্টুরেন্টে মহা আড়ম্বর করে খাওয়া বন্ধু বান্ধব মিলে! আমি প্রথম খাচ্ছি বলে আমার সম্মানেই(!) হুইস্কি আনা!
____________________________
দেরিতে পড়লাম কিন্তু বড়ই মজাদার
ইসরাত
মদ খাইতে মঞ্চায় পান্থ!
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
পড়ে ভালো লাগলো...।। এখন পর্যন্ত আমি ৫ বার খাইছি...।। অবাক ব্যাপার একবারও বমি হয় নাই...।। বন্ধুরা কয় আমি নাকি জিনগত ভাবে খোর...।। অথচ আমার পরিবারে মদ খায় এমন কেউ নাই...।। তবে আমি একবার বারে ড্রিঙ্কস করে বেশ মজা পাইছি...।। কয়েকজন সিনিয়র লোক ছিলেন,তাদের সে কি কেয়ার...।। আমার এক ফ্রেন্ড বমি করে ফেলবে,তখন উনারা বালতি আগাই দিতেছিল,বালতির কথা বলাও লাগে নাই...।।
নতুন মন্তব্য করুন