আগের দিন ১২ ঘণ্টা জার্নি করে এসেছি। নাগরকোট টু পোখরা। এতো সময় লাগে না সাধারণত। কিন্তু পথে দেরি করে দিল একটি লরি। বেচারা নষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে ছিল। তাকে উদ্ধার করতেই গেল অনেকটা সময়। পোখরা পৌঁছাতে রাত আটটা। তারপর রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে গেলাম রাতের খাবার খেতে। ডিনার শেষে র্যাফেল ড্র। সব শেষ হতে হতে দেখি রাত এগারোটার বেশি বেজে গেছে।
পোখরায় বার, পাব, ডিসকো সব রাত এগারোটায় বন্ধ হয়ে যায়। তাও বের হলাম যদি দু’একটা খোলা পাওয়া যায়। না, একটাও খোলা নেই। অগত্যা ফেরা হোটেল রুমে।
আগের দিনের জার্নির ধকলে সকালে উঠতে একটু দেরি হলো। ডাইনিং-এ এসে দেখি, বেশিরভাগের নাস্তা হয়ে গেছে। বাসও এসে গেছে। সবাই সিটি ট্যুরে যাবে। ডেভি'স ফলস, গুপ্তেশ্বর মন্দির আরো কী কী যেন আছে দেখার তালিকায়। হোটেলের লবিতে, সামনের ফুটপাতে এসে সবাই জড়ো হয়েছে।
ওরা এগারো জন
মাঈদুল ভাই সিটি ট্যুরে যাবেন না। প্যারাগ্লাইডিং-এ যাবেন। ঢাকা থেকেই বুকিং দিয়ে এসেছেন। সঙ্গী খুঁজছেন। জন প্রতি ১০০ ডলার। আমি মোটে ২০০ ডলার নিয়ে এসেছি। সাতপাঁচ না ভেবেই ভিড়ে গেলাম মাঈদুল ভাইয়ের দলে। ইতোমধ্যে শাহরিয়ার ভাই, মতিন ভাই, নুসরাত আরো কয়েক কলিগ নাম লিখিয়েছে। দেখতে দেখতে আমরা এগারোজন হয়ে গেলাম।
মাঈদুল ভাই প্যারাগ্লাইডিং অফিসে ফোন করলেন। জানালেন, লোকবল বেড়েছে। তারা যদি আমাদের জন্য দুপুরের পরে ফ্লাইংয়ের আয়োজন করে তাহলে ভালো হয়। তাহলে আমরা অফিসের বাকি সবার সাথে সিটি ট্যুরটাও করতে পারি। সেখান থেকে জানালো কোনো অসুবিধা নাই। তবে ফ্লাইং দুইটার মধ্যে করতে হবে।
“আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী না”
ডেভিড ফলস, গুপ্তেশ্বর মন্দির থেকে ফিরতে ফিরতে দেড়টা বেজে গেল। হোটেলে ফিরে এসে দেখি, আমাদের নেয়ার জন্য মাইক্রো এসেছে। মাঈদুল ভাই সবাইকে তাড়া দিলেন গাড়িতে উঠে পড়তে। কারণ, দেরি হয়ে গেলে আবার না `আকাশে ওড়া’ মিস হয়ে যায়। সিটি ট্যুর বলে আমি থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট আর স্যান্ডেল জুতা পরে বের হয়েছিলাম। উপরে না কি বেশ ঠাণ্ডা। নাঙ্গা পায়ে উড়া যাবে না। ঠাণ্ডায় জমে বরফ হয়ে যেতে পারি।
দৌড়ে রুমে গিয়ে চেঞ্জ করে এলাম। গাড়িতে চড়তেই ভয় পাওয়া শুরু করলো। প্যারাগ্লাইডিংয়ের অফিসে এসে প্রথম যে কাজটি করতে হলো, তা হলো একটি ফর্মে সাইন। ফর্মে “আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়” টাইপের স্টেইটমেন্ট দেয়া।
মুখ শুকিয়ে চুন হয়ে গেল! মনে মনে ভাবলাম. যাই ফিরে যাই। ইকারাস হওয়ার দরকার নেই আমার। আমার সঙ্গী-সাথীরা সবাই সাইন করে দিলো ফর্মে। আমিও দিলাম।
যাত্রা শুরু লিপ অব ফেইথে
সই-সাবুদ করে ফ্লাইট টিকিট নিয়ে আবার গাড়িতে চড়ে বসলাম। এবার গন্তব্য লিপ অব ফেইথে। পোখরা ভ্যালি থেকে প্রায় ২০০০ ফিট উচ্চতার একটি জায়গায়। এখান থেকেই টেক অফ হয়। পাহাড়ের গা বেয়ে গাড়ি উপরে উঠছে। সারাংকোটের রাস্তা এটি। এ পথ দিয়েই অন্নপূর্ণা রেঞ্জের সূযোর্দয়, সূর্যাস্ত দেখতে যায় সবাই। যেখান থেকে সবাই সূযোর্দয় দেখে, সেটাও ছাড়িয়ে আরো উপরে উঠলো আমাদের গাড়ি। গাইড জানালেন, টেক অফ পর্যন্ত গাড়ি যাবে না। আমাদের কিছুটা পথ হেঁটে উঠতে হবে।
গাড়ি চলছে। দূরে পর্বতের চূড়ায় ধবল বরফের স্তুপ। সূর্যের আলো পড়ে চিক চিক করছে। নিচের পোখরা ভ্যালি। ভ্যালির ওপরে পাখির মতো ঘুরে বেড়ানো প্যারাগ্লাইডারদের দেখা যাচ্ছে। কিছুটা সাহস এলো তাদের উড়তে দেখে। যা শালা, ওদের কেউ তো চিৎপটাং হচ্ছে না, আমার আর ভয় কী!
কিন্তু তখনই গাইড আবার ভয় ঢুকিয়ে দিল। বললো, আকাশে মেঘ জমছে। তাড়াতাড়ি যেতে হবে। মেঘ জমলে প্যারাগ্লাইডিংয়ের কী হয়, তাই জানি না। তবে এতো উচ্চতায় আমাদের মতো সমতলবাসীদের ভয় পেতে তো আর কারণ লাগে না! উপর থেকে নিচের দিকে তাকানোটাই ভয় পাওয়ার জন্য যথেষ্ট।
ভয় নিয়েই পৌছালাম টেক অফ পয়েন্টে।
ওয়ান ওয়ে টিকিট
আমাদের সাথে সাথে অন্য একটি গাড়িতে পাইলট এবং গিয়ারও এসে পড়লো। আমার পাইলট স্ট্যান। দেখলাম, স্ট্যান একটু দূরে গিয়ার ঠিক করছে। কাছে যেতেই হাসিমুখে স্বাগত জানালো। তারপর প্যারাস্যুট কিট, গিয়ার পরানো শুরু করলো। গিয়ার পরাতে পরাতে শুরু হলো ইনস্ট্রাকশন দেয়া- টেক অফের সময় খাড়া থাকতে হবে। ভুলেও বসা যাবে না সিটে। কিংবা ঝুঁকে পড়া যাবে না সামনের দিকে। যদি সিটে বসে পড়ি, তবে সোজা হাসপাতালে। পরকালের ওয়ান ওয়ে টিকিটও পেয়ে যেতে পারি। বলতে বলতে একটু হাসলো। তারপর পিঠ চাপড়ে দিলো।
পিঠ চাপড়ে অভয় দিলেও যা ভয় পাওয়ার ততক্ষণে পেয়ে গেছি। আমার পা জমে গেল। কিন্তু ততোক্ষণে আমার গিয়ার পরানো শেষ। আমাকে বলছে, কীভাবে পাইলটের সামনে থেকে দৌড়াতে হবে। ফেরার আর উপায় নেই। আর কয়েক সেকেন্ড মাত্র। তারপর পাহাড় থেকে ভ্যালিতে লাফিয়ে পড়বো।
আধঘণ্টার পাখি আমি!
এলো সেই ক্ষণ। স্ট্যান আমাকে সামনে ঠেলে দিয়ে দৌড়াতে শুরু করলো। আমার শরীরে প্যারাস্যুট কিট বাঁধা। পিঠে ব্যাগ। সেসব নিয়ে কী আর দৌড়ানো যায়। স্ট্যানের পিছনে পড়ে হ্যাচড়ে প্যাচড়ে দৌড়াতে লাগলাম। ততক্ষণে প্যারাস্যুটের পালে হাওয়া লেগেছে। পিছনের দিকে টানছে আমাকে। বুক টিপ টিপ করছে। কারণ, প্যারাগ্লাইডিংয়ের সময়ে এই মুহূর্তটাই সবচে' গুরুত্বপূর্ণ। দৌড়ে পাহাড়ের খাদের ঢালে লাফিয়ে পড়তে পারলেই হলো। বাকি আধঘণ্টার সবকিছুর দায়িত্ব পাইলটের।
ছোট্ট একটা দৌড় দিয়েই আমি যেন শূন্যে ভেসে গেলাম। তারপরে... তারপরে আমি যেন ডানায় ভর করে উড়ে বেড়ানো কোনো পাখি। কোনো দিকে যেতে আমার আর বাধা নেই। স্ট্যান আমাকে এবার সিটে বসালো। পিঠটাকে পিছনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিল।
প্যারাগ্লাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা এবারই প্রথম নয়। বছর দুয়েক আগে থাইল্যান্ডে গিয়ে এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সেবার পাতায়া থেকে কোরাল আইল্যান্ড যাবার পথে মাঝ সমুদ্দুরে গাইড নামিয়ে দিয়ে গেল। বললো, প্যারাগ্লাইডিং করতে চাইলে করো। না করলে অসুবিধা নাই। অপেক্ষা করো। অন্য একটি বোট এসে তোমাদের নিয়ে যাবে। সেবারও দোনামোনা করে আকাশে চড়ে বসেছিলাম। তবে সেখানকার ফ্লাইং এবারের মতো না। একটা বোটের পিছনে দড়িতে বাঁধা প্যারাস্যুটে আকাশে উড়ে ছিলাম। খুব উঁচুতেও ছিল না সেটা।
এবার অনেক উঁচুতে উঠেছি। দূরে অন্নপূর্ণা রেঞ্জের পর্বতসারি দেখা যাচ্ছে। এর একটি মচ্ছপুচ্ছ। ইংরেজিতে যাকে বলে ফিস টেইল। স্ট্যান আমাকে সেটা দেখালো। ভাবলাম, এতো উপরে উঠেছি, এবার বোধহয় এভারেস্ট আরো ভালো করে দেখা যাবে। স্ট্যানকে বলতেই ও হাসলো। বললো,এভারেস্ট? এখান থেকে পাক্কা ২০০ কিলোমিটার দূরে। যাবে? ততক্ষণে আমার মোশন সিকনেস শুরু হয়ে গেছে। মাথা ঘুরছে। বললাম, থাক। কোনো একদিন হবে। স্ট্যান হাসলো।
মোশন সিকনেস শুরু হলেও আমি তখন মুগ্ধ চোখে নিচের খেলনা ঘরবাড়ি, পাহাড়ের গায়ের আঁকাবাঁকা রাস্তা, সুদর্শন ফিউয়া লেক দেখছি। যেন পোস্টকার্ড ছবি। সব শান্ত, অচঞ্চল! তবে বাতাসটা খুব এসে লাগছে। অনুভব করা যাচ্ছে এর তীব্রতা। স্ট্যান আমাকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গের কয়েকটি- ধলগিরি, মচ্ছপুচ্ছ, অন্নপূর্ণা, মানাসুলু চেনালো।
আমাদের অন্য কলিগরাও ততোক্ষণে আকাশে উড়ছে। দূরে রাফান, নুসরাতকে দেখা গেল। পাখির মতো উড়ে বেড়াচ্ছে আকাশে। আমিও উড়ছি। বন্ধনহীন, মুক্ত পাখি। স্ট্যান জিজ্ঞেস করলো, পিস প্যাগোডায় গেছি কীনা। আমাদের ট্যুর প্ল্যানে পিস প্যাগোডা দেখার কথা। কিন্তু তখন পর্যন্ত দেখা হয়নি। বললাম, কালকে হয়তো যাবো। ও বললো, তোমাকে পিস প্যাগোডা এমন অ্যাঙ্গেলে দেখাবো যা কালকে দেখতে পাবে না।
আমরা যেখান থেকে ফ্লাই করেছি, সেখান থেকে লেক পার হয়ে পিস প্যাগোডা। স্ট্যান আমাকে নিয়ে চললো ওই দিকে। মাঝখানে লেকের উপরে অনেক উঁচুতে থেকে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে স্ন্যাপ নিলো। তারপরে পিস প্যাগোডার কাছাকাছি গিয়ে ফিরে এলাম। এবার যাত্রা ল্যান্ডিংয়ের দিকে।
আরো কিছুক্ষণ আকাশে চক্কর মেরে ফিরলাম মর্ত্যের পানে। আর ল্যান্ডিং এতো সুন্দর হবে তা কী আর জানতাম। আমি হাত-পা শক্ত করে রেখেছিলাম, নামতেই মাটির সাথে ধাক্কা খাবো বলে। পাইলট আমাকে পা দুটো সামনে মেলে রেখে অল্প দৌড়ের ভঙ্গিতে নামতে বললেন। নামলাম, যেন খড়ের গাদায় পা পড়লো আমার! এতোটা হালকাভাবে ল্যান্ডিং করালো স্ট্যান।
মাটিতে পা দিতেই ভয়ডর উড়ে গেছে কই যেন! চোখেমুখে প্রশান্তি হাসি! তাতে পাখি হয়ে আকাশে উড়ে উড়ে ঘুরে বেড়ানোর স্বপ্নপূরণের স্পষ্ট ছবি!
লেখার শিরোনাম অতিথি সচল আনীকা'র একটি পোস্ট থেকে টুকে নেয়া।
লিপ অব ফেইথ থেকে দেখা নিচের পোখরা ভ্যালি।
লিপ অব ফেইথ। পোখরা ভ্যালি থেকে প্রায় ২০০০ ফিট উঁচু এটি। এখান থেকেই টেক অফ করেছিলাম।
নিচে ফিউয়া লেক দেখা যাচ্ছে। লেকের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার, প্রস্থ প্রায় ২ কিলোমিটার।
মন্তব্য
আহা আমিও যদিও পাখি হতেম!
-----------------------------------
অন্ধ, আমি বৃষ্টি এলাম আলোয়
পথ হারালাম দূর্বাদলের পথে
পেরিয়ে এলাম স্মরণ-অতীত সেতু
আমি এখন রৌদ্র-ভবিষ্যতে
সাহস করে গ্লাইডার লাগিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবে!
সবশেষের ছবিটা কিভাবে তোলা?
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
সেলফিস্টিক দিয়ে তোলা।
প্যারাগ্লাইডিং কোম্পানিগুলো প্যাকেজ অফার করে ছবি ও ভিডিও-সহ। শ'খানেক ছবি এবং দু'মিনিটের দু'টি ভিডিও করে দেয়।
ওহ, বামপন্থী ঐ কালোমতন লাঠিটা তাহলে সেলফিস্টিক?
আমি ঐটাকেও গ্লাইডারের অংশবিশেষ ভেবে বসেছিলাম।
____________________________________
যাহারা তোমার বিষাইছে বায়ু, নিভাইছে তব আলো,
তুমি কি তাদের ক্ষমা করিয়াছ, তুমি কি বেসেছ ভালো?
অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে ভাল্লাগলো। ভাবীকে নিয়ে যান্নাই ক্যান? ভাবীকে বলে গেছিলেন তো?
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
অফিস থেকে পাঠাইছিল। শুধু ভাবী না, বান্ধবীদেরও নিতে পারি নাই! নেপালের মতো উঁচা উঁচা পাহাড়ের ফাঁকফোকড়সমেত শীতল মনোরম শহরগুলোতে ব্যাটা ছেলেদের সাথে ঘুরতে হইছে, এরচেয়ে দু:খ আর কী আছে!
মন্তব্য থেকে বোঝা গেল ভাবী ব্লগ পড়ে না!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
আচ্ছা, ঠিক করে নিচ্ছি মুস্তাফিজ ভাই!
ভালো লেগেছে।
একটা ভুল সংশোধন করে নিও, ডেভিড ফলস্ না, নামটা হবে 'ডেভি'স ফলস্'।
...........................
Every Picture Tells a Story
আচ্ছা, ঠিক করে নিচ্ছি মুস্তাফিজ ভাই!
দেবদ্যুতি
ভালো লাগলো। নিজে করার সাহস আছে কিনা বুঝতে পারতেছি না।
স্বয়ম
লেখা ছবি সেই রকম, অনেক দিন পর আপনার লেখা দেখলাম সচলে
........................................................
গোল্ড ফিসের মেমোরি থেকে মুক্তি পেতে চাই
শুধু আমি না, আমার সাথে পুরো জাতি
অনেকদিন পর তোমার লেখা পড়লাম পান্থ । সামনের কোন এক মাসে আমিও নেপাল যাবো, তোমার মতো উড়তে না পারি কিন্তু উড়ন্ত মানুষগুলোকে দেখতে ঐ জায়গাতে যাবো অবশ্যই!
........................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
বড় হলে আমিও যাবোনে একদিন ওরকম। নেপালে থাকা যাতায়াতে খরচপাতি কীরাম?
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তুমি ওই বেডার কোলে বসে পাখি হইলা?
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
প্যারাগ্লাইডিং এর জন্ন্য কোন কোম্পানীর বুকিং দিয়েছিলেন?
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------
যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চল রে
বাহ! পাখি হওয়ার মজাই আলাদা!!!
---------
রাধাকান্ত
নতুন মন্তব্য করুন