মেয়েটির মন খারাপ। গোমড়ামুখ করে ডেস্কে বসে আছে। অনেক কাজ তার হাতে। কিন্তু কিচ্ছুটি করতে ইচ্ছে করছে না। আগামীকাল লাঞ্চের আগেই এডুকেশন ফান্ডিং-এর ওপর রিপোর্ট জমা দিতে হবে। অনিচ্ছা নিয়েই তাই কাজ করে সে। ডেটা ইনপুট দেয়। একটা। দুইটা। তৃতীয়টায় এসে ভুল হয়ে যায়। সে আবার ইনপুট দেয়। ঠিকঠাক। কিন্তু শেষে গিয়ে দেখা যায়, কোথাও যেন কিছু একটা গরমিল হয়েছে। তখন এক্সেলের ঝাঁপি বন্ধ করে মেয়েটি উঠ...
বাঙলা সিনেমায় হলেই গল্পটা ভালো মানাতো। কিন্তু ঘটনা বাঙলা সিনেমার না। বাস্তবের। আমাদের বেলকুচি’র আদালত পাড়া এলাকার। আমরা আদালত পাড়ার নাম অনায়াসে শোভাদের পাড়া বলতে পারি। অন্তত এই গল্পে সেটাই ডিমান্ড করে। তাই কাগজ-কলমে আর আমাদের বাপ-দাদাদের জমিজমার পর্চায় আদালত পাড়া নামটাকে বিদায় জানাতে চাই, কি বলেন? তবে গল্পে প্রবেশের আগে আদালত পাড়া থুক্কু শোভাদের পাড়ার একটু বিবরণ দেয়াটা সমু...
খোলা হবে মূর্তালা রামাত-এর “অনুবাদ কবিতা”
পৌঁছে গেলেন কষ্টালজিয়া'র কবি মূর্তালা রামাত। চ’লে এলো "অনুবাদ কবিতা" নামে তার দ্বিতীয় বইটি।
হ্যাঁ ভাই, হ্যাঁ বোন, সময় এখন নিতান্তই অল্প, সবকিছুর জন্যই। না চিবিয়ে ইষত্ সংক্ষেপিত খবরে বলি তবে-
অদ্য ১২ ফেব্রুয়ারি ২০০৯, রোজ বৃহষ্পতিবার, সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় বাংলা একাডেমী’র একুশে বইমেলায় নজরুল মঞ্চে মোড়ক উন্মোচন করা হবে তরুণ কবি সচল কবি ম...
মাস কয়েক আগের কথা। বিজ্ঞান বক্তা আসিফ ভাইয়ের সঙ্গে কী নিয়া যেন আলাপ হইতেছিল, তা আজ মনে নাই। তবে আলাপে একটা বিষয় আসছিল, তরুণদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়া। আসিফ ভাইয়ের দুঃখ, আমাদের তরুণরা ইন্টারনেটটাকে জ্ঞানার্জনের চেয়ে পর্নোগ্রাফি দেখতে বেশি ইউজড করে। সেদিন কথা প্রসঙ্গে তাকে ব্লগ, ফেসবুক আর হাইফাইভের কথা উল্লেখ করে বলেছিলাম, পর্নোগ্রাফির পাশাপাশি তারা কিন্তু আজকাল এইসব সোস্যাল ...
জুলেখা বাদশার মেয়ে। তার ভারী অহংকার। জুলেখার এ গল্প আপনারা জানেন। যদি বলেন, ছোটবেলার এ গল্পটি হঠাৎ করে ক্যানো জিজ্ঞেস করা। তাহলে আপনাদের জ্ঞাতার্থে জানাই, এটা মোটেও জুলেখার গল্প নয়। পারুলের গল্প এটি। জুলেখাকে টেনে আনা এই কারণে যে, জুলেখার মতো পারুলেরও যে ভারী অহংকার। সে অহংকারে মাটিতে পা পড়ে না তার। যদিও আমরা জানি, সে মাটির তৈরি মানুষ।
তবে পারুল কোনো রাজা বাদশা’র মেয়ে নয়। সে স...
সকালবেলা একটি বিশ্রী বিপদে পড়ে গেলাম। অবশ্য একে ঠিক বিপদ বলা যায় না। উটকো ঝামেলা বলাই শ্রেয়। বিপদ হোক কিংবা উটকো ঝামেলা হোক, এ ধরনের ঝামেলা পারতপক্ষে আমি এড়িয়ে চলি।
ছুটির দিনের সকাল বলে অন্যদিনের মতো অতোটা তাড়া নাই। নাকে মুখে গুঁজে দৌঁড়ানো নাই। নাস্তা করে একটু বের হয়েছি চা পান করবো বলে। মোড়ের পরিচিত চায়ের দোকান। ছুটির দিনেই আসা হয় শুধু। সে সময়টা চা খেতে খেতে নানা জনের নানা বিষ...
চিঠির দিন আর নাই। শেষ কবে চিঠি পেয়েছি, স্মৃতি ঘেঁটে কিছুতেই বের করতে পারলাম না আজ! তবে একসময় যেজন নিয়মিত চিঠি বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যেত, সেই ফটিক দা' কে মনে পড়ে মাঝে মধ্যেই। দেখা হয় আরো কম, কালে-ভদ্রে, ছুটি-ছাটায় বাড়ি গেলে। ফটিক দা ছিলেন আমাদের গায়ের পোস্ট অফিসের ডাকপিয়ন। তখন একটি পত্রিকার পাঠক সংগঠন করি। সেই সুবাদে নানা জায়গা থেকে চিঠি আসতো। কত আন্তরিকতা মাখানো সেইসব চিঠি। মমতা মাখান...
আনোয়ার সাদাত শিমুলের উপন্যাস 'ছাদের কার্ণিশে কাক'। উপন্যাসখানা ই-বুক ফোল্ডারে বেশ কিছু দিন ধরেই পড়ে ছিল। কম্পিউটারে একটানা পড়ে যেতে আমার সমস্যা হয় বলে একটু একটু করে পড়েই আগাচ্ছিলাম। এতোদিনে শেষ হলো তা। কোনো উপন্যাস কিংবা কবিতা অথবা গল্পগ্রন্থ পড়ে শেষ করলাম- এভাবে হয়তো বলা যায় না। কারণ অন্য একদিন, বিশেষ কোনো মুহূর্তে আবার তা পড়বার তাগিদ চাগিয়ে উঠতে পারে। আবার উল্টাতে বাধ্য করত...
১৬ ডিসেম্বরের সচল আড্ডা থেকে ফিরে এসে ভাবতেছিলাম, এই যে একটা ব্লগ কমিউনিটি ঘিরে এতো উদ্দীপনা, উৎসাহ সেটা কেন? কেনইবা একেকজন হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও, কর্পোরেট দায়িত্ব থেকে ক্ষণিক বিরতি নিয়েও ব্লগ লেখেন। ব্লগ লিখে কিইবা হয়? এইসব-ই ঘুরপাক খাচ্ছিল বেশ কিছুক্ষণ। জানি, এইসবের উত্তরে একেকজন একেক কথা বলবেন। তবে আমি আমার মতটাই শুধু বলতে পারি।
ব্লগ আসলে কেন লিখি। মূলত লিখি নিজের আনন্দে...
ছ্যাঁকা খাওয়ার বিষয়টি ভুলেই গিয়েছিলাম। মাসুদ আবার মনে করিয়ে দিল। হঠাৎ বুকের এক কোনে একটা ব্যথা উঠেই মিলিয়ে গেল। একজনের সাথে ভাব হয়েছিল। পরে মেয়েটি অন্যজনকে বিয়ে করে। তখনো আমার বিয়ে করার মতো যোগ্যতা হয়নি। মানে স্কুলের ওপরের ক্লাসে পড়ি আর কি। বাপের ঘাড়ে চড়ে খাই। তো সে সময়ে যে মেয়ে চলে গেছে তার জন্য আর কতো দিন বিরহের অনুভূতি বেঁচে থাকে। চিনচিনে ব্যথাটা তাই অনেকদিন থেকেই নাই। মাস...