হলের ডাইনিং এর খাবার যারা কখনো খেয়েছে, তাদের তো আর বলতে হবে না এই খাদ্য যে কি সুখাদ্য।
আমাদের হলে প্রতি বেলার খাবার প্রতি বেলায় কিনতে হয় , মানে মিল সিস্টেম না আর কি। ডাল আমরা ফ্রি পাই।
ভাতের সবচে কম দাম ৩ টাকা।৩ টাকায় এক প্লেট ।
মাছ, মুর্গি, সব্জি ইত্যাদির সাথে মাঝে মাঝে যেই একটা জিনিস দেয়া হয় তার নাম ভর্তা।
বেশি কথা বলার ইচ্ছা নাই, দ্যাখেন এই ভর্তা নিয়ে কি কাহিনী-
" আহ্! কলা ভর্তা!!
ভর্তার কর্তা!!
ম্যাডাম,
কলা ভর্তার স্বাদ,
না খাইলে জীবন বরবাদ,
৩ টাকা এর দাম
ভাতের সমান।
ম্যাডাম,
দাম টা যদি একটু কমান,
ভর্তা পাবে এর যথাযোগ্য সম্মান।।"
সন্ধ্যায় নিচে খেতে নেমে দেখি এই জিনিস দেয়ালে সাঁটানো।
মন্তব্য
হুম হলে থাকার সুভাগ্য ানমার হোয়েছিলো মাত্র ৪ মাস, সেটা এসএম হলে। কিন্ত আমি কোন দিন হলের ডাইনিংএ খাইনি, তাই খাওয়া নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা নেই।
ধন্যবাদ সুন্দর লেখার জন্য।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
মাননীয় মডারেটর,
এই লেখা কেম্নে ছাড়া পাইল।
সম্পুর্ণ একমত
ঠিক কথা!
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
পরী,
আই উ টি এর হলের খাওয়া খেয়ে দেখলে বুজতি।। ঃপ
খেয়ে আসলুম মাত্রই। কাঁচা ডালের ভর্তা, পেয়াজ, মরিচ, লবণ ছাড়া মোটা একটা ডিম ভাজি, আর সেই ভাত।
পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা
রোজার দিনে?
ওহ, এখন তো ওখানে রাত
_____________________________________________
কার জন্য লিখো তুমি জলবিবরণ : আমার পাতার নৌকা ঝড়জলে ভাসে...
____________________________________________________________________
"জীবনের বিবিধ অত্যাশ্চর্য সফলতার উত্তেজনা
অন্য সবাই বহন করে করুক;
আমি প্রয়োজন বোধ করি না :
আমি এক গভীরভাবে অচল মানুষ হয়তো
এই নবীন শতাব্দীতে
নক্ষত্রের নিচে।"
শা,না, হলের পুরো নামটা কি ? সংক্ষিপ্ত নামে চিনতে পারলাম না । পোস্টারটার ছবি দিতে পারলে আরো মজা পেতাম ।
আমি হলে ছিলাম পুরা দুই বছর । এই সব ভর্তা, ভাজি, আর ডাল ভাত খেয়েই ছিলাম । তবে সপ্তাহে দুই বা তিন রাত আমরা ( আমার রুমের চারজন ) হলে রাতের খাবার বর্জন করতাম । পাশেই চানখার পুলে গিয়ে খেয়ে আসতাম ।
আমাদের হলে ভর্তার যেই গোল্লাটা দিত সেটা ঠিক ঠিক পৌনে এক থেকে এক ইঞ্চি ব্যাসের একটা গোলকের সমান আয়তনের হত । এর থেকে বেশি বা কম কখনই হত না । আপনাদের টা মেপেছেন ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
টেকি পোলাপাইন স্লাইড ক্যালিপার্স নিয়া লাঞ্চ করে!
আহা! চাঙ্খারপুলের কালাভুনা!
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
শানা = শামসুন্নাহার?
মাছ, মাংসের টুকরা নিশ্চয়ই সাঁতার কাঁটে ঝোলের মধ্যে?
/
রেশনুভা
পেট লুজ থাকলে করা ভর্তা খুবই উপকারী...
আপ্নের লাগবো?
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
যা দিনকাল পরছে- লাগতেও পারে।
একটা লম্বা সময় ধরে জগন্নাথ হলে দুপুরের খাবার খেয়েছি। হলে না থেকেও হলের ডাল পেটে গেছে বটে! এই জিনিষ রেগুলার পেটে না গেলে নাকি ঠিকঠাক বুদ্ধিশুদ্ধি হয় না। আমারও হয় নাই।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হস্টেলের খাবার সাধারণত খারাপই হয়, এবং তা নিয়ে মজাদার লেখা লিখলে খুব চমৎকার হতে পারে। এ লেখাটি অবশ্য তেমন হয় নি, ভর্তার পোস্টারের ঊদ্ধৃতি ছাড়া আর বিশেষ কিছু তো দেখলাম না।
জ্বী জনাব, আর কিসু লিখতেও যাই নাই, খালি পোস্টার তুইলা দিলে কেউ কিছু বুঝতো না দেইখা আগে পরে কথা লাগাইছি।
লিখতে আমার বিরাট আলসি (আসলে পারি না ) :-S। মজাদার কিছু কোনদিন লিখতে মঞ্চাইলে লিখুম, বোরিং হয়ে বাইর হইলে নিজ দ্বায়িত্বে বুইঝা লইয়েন ।
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
সচুরা অতিথি শিল্পীদের শিল্প খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করে। সেরকম মনোযোগ দিয়ে ডাইনিং থেকে এবার বড় একটা খন্ড নামিয়ে দিন।
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
তাই নাকি?
-------------------------------------------------------
আমি সেই অবহেলা, আমি সেই নতমুখ, নীরবে ফিরে চাওয়া, অভিমানী ভেজা চোখ।
আমি ঢাবিওয়ালা না। আসলে কোনো বিওয়ালাই না। তবু আমাদের সময়ে যখন পেটে ক্ষিধা থাকতো আর পকেটে পাত্তি থাকতো কম, তখন ঢাবির হলগুলায় হানা দিতাম। বিশেষ করে জগন্নাথ হলে। এর পরেও বহুবছর আমি জগন্নাথ হলে থাকছি খাইছি। তাই হলে খাওয়ার অভিজ্ঞতা বেশ ভালোই আছে।
হলে খাওয়ার মান ভালো করার জন্য ছাত্রদের মধ্য থেকে ম্যানেজার বানানো হয় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য। একবার আমাদের কিবরিয়া (বিতার্কিক, রেডিও এবিসির খবর পাঠক) হইলো ম্যানেজার। অন্য সবাই ম্যানেজার হইলে বড়লোক হয়া যায়। আর কিবরিয়া দিলো ভর্তুকি... সেই নিয়া তারে কতো যে ক্ষেপাইলাম...
আরো লেখেন...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
হলে ডাইনিং এখনো আছে? আমার হল ছিল বঙ্গবন্ধু হল, ঢাবি। অামরাতো সেই কবেই ১৯৯৭-৯৮ সালে ডাইনিং বিদায় করে মেস চালু করি। পর্যায়ক্রমে অন্য হলগুলিতেো মেস চালু হয়।সাথে থাকে কেন্টিন। শামসুন্নাহারের অবস্থা এখনো এই... ঠিক করেন ঠিক করেন।
মজারু।
শুধু ভর্তা নিয়া লিখলা! ডাইনিংয়ের কত কিছু নিয়াই যে লেখার আছে! তাত্তারি লিখে ফ্যালো বিস্তারিত!
আচ্ছা, তোমার এমবিএ শেষ হয় নাই। এখনো হলে থাকো?
......................................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
লিখতে থাকুন।
--------------------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়...
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
জগন্নাথ হলে সুধীরদারে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম- দাদা, আপনি মাছ কাটেন কী দিয়া? দা দিয়া নাকি কম্পিউটার দিয়া?
সুধীরদা ত্র্যস্ত হয়ে জানতে চাইলেন- কেন, কী হয়েছে দাদা?
আমি বললাম- না, তেমন কিছু না। তবে কম্পিউটারে আলাদা প্রোগ্রাম না করা থাকলে যন্ত্রের পক্ষেও এমন পাতলা মাছ কাটা সম্ভব না।
(দাদা আমাকে সেদিন দুটি মাছ খাইয়েছিলেন)
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
........................................................................................
আমি অতো তাড়াতাড়ি কোথাও যেতে চাই না;
আমার জীবন যা চায় সেখানে হেঁটে হেঁটে পৌঁছুবার সময় আছে,
পৌঁছে অনেকক্ষণ ব'সে অপেক্ষা করার সময় আছে।
...
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
জীবনে যে কয়বছর (ছয়+চার) ডাইনিং এ খাইছি, সেরা খাওয়াটাই পাইছি। এই পোস্ট দেইখা তাই হালকা লজ্জিত
ইটালীতে রাইন্দা খাইতে কেমন লাগত?
অনেক অনেক ভালো। ফার্স্ট ক্লাস
"Life happens while we are busy planning it"
শুধু ভাত আর ভর্তা দিয়া পোষ্ট শেষ? সাথে সবজি/মাছ/মাংস ছিল না?
ইয়ে মানে, আমাদের হলের খাবার অন্তত ক্যাফের খাবারের তুলনায় ফখ্রুদ্দিনের বিরিয়ানীসম! আমার আবার এইসব ব্যাপারে চোখ তীক্ষ্ণ, সাধারনত পোকা/ তেলাপোকা/ টিকটিকির লেজ এইসব আমিই খুঁজে পেতাম, তারপরে সবার খাওয়া শেষ হলে সযতনে আমার পাওয়া গুপ্তধন তাদের প্রদর্শন করতাম... ক্যাফের চারপাশে কতদিন মাইরের হাত থেকে বাঁচার জন্য দৌরাইছি আল্লাহ মালুম...
---------------------
নামে কি'বা আসে যায়...
**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।
মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।
ভাল লাগল।
ভাল থাকুন।
নতুন মন্তব্য করুন