হিমুর নেভারেস্ট সিরিজের পর আরও দশজনের মত আমিও বেশ উৎসুক হয়ে পড়ি মুসা ইব্রাহিমের এভারেস্ট বিজয় নিয়ে। আমারও সন্দেহ হয় আরও দশজনের মত। আরও দশজনের মত আমিও উৎসুক হই প্রকৃত ঘটনার জন্য। জানার অনেক আগ্রহ থাকলেও আমি কোথা থেকে শুরু করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হিমুর লেখায় জনৈক অস্ট্রেলিয়ান ব্রেনডন ও'ম্যাহনির ক্থার উল্লেখ থাকায় সেখান থেকেই শুরু করলাম আমার অনুসন্ধান।
সম্প্রতি আমি ব্রেনডনের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে সক্ষম হই। ব্রেনডন আমাকে জানায় যে এভারেস্টের "থার্ড স্টেপের" কাছে সে প্রথম মুসাকে দেখে এবং তখন মুসার শেরপা তাকে জানায় যে মুসা সামিট করেছে।
উদ্ধৃতি:
"I'm pretty sure I got to the top somewhere around 6:30am, but its hard to remember. It was about an hour after the sun came up.
I have a very vague memory of passing Musa (very distinctive in his bright orange jacket) at the third step, but its all a bit hazy.
One thing I would say is that his sherpa indicated to me when i was assessing his condition on the mountainthat he had been to the summit and he was exhausted. Also, i have to say that in all the interviews and the official functions in KTM, Musa was very genuine and I never once doubted that he made the summit.
I climbed from the Tibetan side."
আমি ব্রেনডনের এই মন্তব্য তার অনুমতি সাপেক্ষে সচলে ফেসবুকের ম্যাসেজগুলো ছবি আকারে প্রকাশ করব (জানি না এটা সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে কিনা)। ব্রেনডন নিজে সমস্ত বিতর্কের উর্দ্ধে থাকতে চায় এবং সে কোন প্রকার বিতর্কের অংশ হতে চায় না।
আমি জানি ফেসবুকের আইডেনটিটি হ্যাকের অনেক সম্ভাবনা থাকে।তাই আমি ব্রেনডনকে একটা মুঠোফোন সাক্ষাৎকার দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। ব্রেনডন এতে রাজিও হয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মাঝেই ব্রেনডন তার ফোন নম্বর আমাকে দিলে আমি তার সাক্ষাৎকার নিতে পারব। আমি ব্রেনডনকে কিছু গঠনমূলক প্রশ্ন করতে চাই ও সাক্ষাৎকার পর্ব যতখানি সম্ভব সংক্ষিপ্ত করতে চাই, যেন সে বিরক্তবোধ না করে। আপনারা সচলে যারা আছেন তারা আমাকে প্রশ্ন বাছাইয়ে সহযোগিতা করতে পারেন।
আমি এই বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দেয়ার আগে বন্ধুদের সাথে আলাপ করি। কেউ আমাকে নিজের একাউন্ট ব্যবহার করে পোস্ট দেয়ার জন্য
উৎসাহিত করে নাই। তবুও আমি মনে করেছি নিজের পরিচয় গোপন রেখে এরকম একটা বিতর্কিত বিষয়ে পোস্ট দিলে আমার এই পোস্ট গ্রহনযোগ্যতা হারাবে। আশাকরি সচল এবং সকল পাঠক একটু সহনশীল হবেন এবং দয়া করে কোন ব্যক্তিগত আক্রমন করবেন না। আমি ফেসবুকের ম্যাসেজগুলো যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ছবি আকারে সচলে প্রকাশ করব।
মন্তব্য
ব্রেণ্ডানের সাথে আমার সম্প্রতি আবারও যোগাযোগ হয়েছে। সে জানিয়েছে, মুসার এভারেস্ট বিজয় নিয়ে সে সন্দেহ করে না।
ব্রেণ্ডান লিখেছে, তার মনে হয়েছে সে মুসাকে থার্ড স্টেপের কাছে দেখে থাকতে পারে, কিন্তু সে নিশ্চিত নয়, কেবল কমলা জ্যাকেটের কথা সে স্মরণ করতে পারে।
ব্রেণ্ডানের এগজ্যাক্ট মেসেজটা তুলে দিচ্ছি।
হিমু হয় আপনি কপি-পেস্টের স্বীকার বা আমি। ব্রেনডন আমাকে হুবহু একই কথা বলেছে। আর বলেছে
"One thing I would say is that his sherpa indicated to me when i was assessing his condition on the mountainthat he had been to the summit and he was exhausted. Also, i have to say that in all the interviews and the official functions in KTM, Musa was very genuine and I never once doubted that he made the summit. "
ব্রেণ্ডান কিন্তু জুন মাসের শুরুতে আমার নেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলো, সে মুসাকে দেখেনি। আমার ধারণা, ক্রমাগত খোঁজখবরের মুখে বেচারা এখন মনে করার চেষ্টা করছে, সে আসলেই দেখেছে কি না। তখন ব্রেণ্ডান বলেছিলো,
তবে ব্রেণ্ডানের সাক্ষাৎকার শোনার জন্যে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি।
প্রিয় জলদস্যু,
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটির অপেক্ষায় রইলাম। আপনি আমার সঙ্গে মেইলে যোগাযোগ করতে পারেন .... মুসার সাথে একই সময়ে সামিট করেছে, এমন কিছু ভিনদেশী পর্বতারোহীর ঠিকানা , আমি আপনাকে দিতে ইচ্ছুক। আপনি চাইলে , তাদের ইন্টারভিউও নিতে পারেন, প্রকাশযোগ্য মনে হলে, প্রকাশও করতে পারেন। প্রয়োজনে আপনি সচল গৌতমের সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন ওদের ঠিকানার জন্য।
সুপ্রিয় হিমু,
১মত : আপনি ১ নং কমেন্টে আপনার ভাষায় ব্রেন্ডনের একজ্যাক্ট মেসেজটি তুলে ধরলেন। মেসেজটি কী আসলেই একজ্যাক্ট ছিল? জলদস্যুর কল্যাণে আমরা জানতে পারলাম মেসেজটির আরেকটি অংশ রয়েছে। ( কমেন্ট নং ২ দ্রষ্টব্য)
আপনি আংশিক মেসেজ প্রকাশ করে ( এবং সেটিকে একজ্যাক্ট মেসেজ দাবী করে, ) কী বোঝাতে চাইলেন?
২য়ত : জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে ব্রেন্ডন আপনাকে বলল, সে মুসাকে মনে করতে পারছে না। আর আপনি তার কয়েকদিন পরেই নেভারেস্ট দেয়া শুরু করলেন। তাই না? একটু অপেক্ষা করে আরেকটু শিওর হয়ে নিলে ভালো হতো না? যাই হোক।
৩য়ত : একটু ব্যক্তিগত সম্পর্কের দিকে যাই। আপনার বন্ধু রাহার মাধ্যমে আমি আজই জানতে পারলাম আপনি নটরডেমের ৯৭ ব্যাচের, গ্রুপ ৭। আমিও একই ব্যাচের গ্রুপ ২।
আমার খুব দৃঢ় বিশ্বাস, আপনি ইতিমধ্যেই বুঝতে সমর্থ হয়েছেন যে, মুসার প্রকৃত ব্যাপারটি কী? কাজেই , অযথা ধুম্রজাল সৃষ্টি না করে, বাকী পথটুকু আপনি যদি যুক্তি ও সত্যের পথে হাটেন, তাহলে আমাদের প্রত্যেকর অশেষ উপকার হয়।
মুসা আমার বন্ধু, ঠিকাছে, কিন্তু সে বাংলাদেশের সন্তান। তার অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তাকে নিয়ে যে ব্যাপারটি শুরু হয়েছে,তা অত্যন্ত লজ্জার এবং দুঃখজনক। ইতিমধ্যে মুসার প্রতি অনেক অন্যায় হয়ে গেছে। কী পরিমাণ মানসিক যন্ত্রণা তার উপর দিয়ে যাচ্ছে, তার একটা ছোট্ট নমুনা আপনাকে দেই। গভীর রাতে মুসার কাছে এসএমএস আসে, তুই একটা শয়তান। স্টেডিয়ামে তোর ফাঁসি দেখতে চাই। এতো কষ্ট, এতো যন্ত্রণা, এটা বোধহয় ওর প্রাপ্য না।
মুসা কাড়ি কাড়ি টাকাও উপার্জন করছে না, যেমনটা আপনি ধারণা দিয়েছেন
( মোটিভেশন বাণিজ্য)। ও তার ধারই এখনো শোধ করতে পারেনি। ভাঙ্গা সেই মোটর সাইকেল নিয়ে বিকাল ৫ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত, একটি পত্রিকা অফিসে কলম পিষে সংসার চালায়। ঐ টাকায় বাইকের জ্বালানি কিনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যায়। সেখানে আমরা তাকে বাসি ফুলের তোড়া আর মানপত্র দিয়ে সন্মানিত করি। মুসা হাসি মুখে ছবি তোলে। ৫ মিনিটে ৫ লাখ টাকা উপার্জনের যে গল্প আমরা শুনছি, তা যদি সত্য হতো, কী ভালোই না হতো। বিপরীতক্রমে একটি সংস্থা তাকে ৫ লাখ টাকা দিতে চেয়েছিল। আমরা সবাই বলেছিলাম টাকাটা নিয়ে বোনের ধার কিছু হলেও শোধ করার জন্য ...ও রাজি হয়নি। কেননা ওই সংস্থাটি ছিল বিতর্কিত। অথচ ওই সংস্থা থেকে বাংলাদেশের অনেক জ্ঞানী গুণীরা অর্থ ও অনুগ্রহ নেন। মুসা ওইটুকুও আপোষ করতে রাজি না। এইসব গল্প তো ব্লগের বাসিন্দারা জানেন না।
একজন লেখক হিসেবে, একজন ব্লগার হিসেবে, আপনি যদি এই বেলা স্বীকার করে নেন যে মুসার ব্যাপারে আপনি নিঃসন্দেহ, তাহলে শুধু ব্লগার কিংবা লেখক হিসেবে নয়, একজন সৎ মানুষ হিসেবে , আপনি সকলের কাছে স্বীকৃত হবেন। আপনার জন্য এটি কোনও পরাজয় কিন্ত না। আমার, আপনার, সকলের, গোটা বাংলাদেশের জন্য এটি হবে- একটি বিরাট বিজয়। নেভারেস্ট সিরিজে আপনি নিজেও এই রকম একটি কথা বলেছিলেন। কাজেই, ভাই , সংশয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেছিলেন আপনি, এবার নিজেই ইতি টানুন। ব্যাপারটি সন্মানজনক হবে। নটরডেম একই ব্যাচের সাবেক সহপাঠী হিসেবে এই লম্বা ৩য় মন্তব্যটি করে আপনাকে আমি সহযোগিতা করতেই চাচ্ছি ।
তবে হ্যাঁ তেনা পেচানোর সুযোগ আপনি আজীবন পাবেন। সাংবাদিকরা সব মুসার বন্ধু ( মুসা সাংবাদিক, সাংবাদিকরাই তো তার বন্ধু হবে) মুসার ব্যানারের রং কেন এই রকম ( এটা মুসা কীভাবে বলবে?) , আনিসুল হক কেন ওমন কথা বললেন ( আনিসুল হক কী পর্বতারোহী? আর সে মুসার পরিচিত দেখে নিউজ লিখতে পারবেন না? পর্বতের নিউজ লিখতে গেলে যদি পর্বতারোহী হতে হয়, তাহলে তো প্রত্যেক ক্রাইম রির্পোটারকে খুনী, ধর্ষক হতে হবে ), রবির বউ মিতু কেন রবিকে বিশ্বাস করেন ( এটা মিতুর ব্যাপার, এখানে মুসার দায় কোথায়) , মুসা কার কাছে কত টাকা চাইলেন ( টাকা চাইলে কী প্রমাণ হয় ? মুসা উঠে নাই? ), উইকিপিডিয়ার দেওয়ান তো ফারুকির পরিচিত (সচলের অনেক মডারেটরই তো আপনার পরিচিত, তো?).....
তেনার কোনও শেষ নেই। তবু তেনা পেচানোর শেষ আপনাকে একদিন করতেই হবে এবং শেষমেষ পাঠকরা একটা প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আপনাকে করবে , সেটা হচ্ছে - মুসা যে উঠে নাই- আপনার কাছে এর কী প্রমাণ রয়েছে?
যে চিলের পেছনে আপনি সবাইকে ছোটাচ্ছেন, সেই চিলের সন্ধান, আপনাকে দিতেই হবে
তেনার ভীড়ে আসল সত্যকে আপনি আর কতদিন চাপা দিয়ে রাখবেন ?
সত্যানুসন্ধানের লড়াইটিকে ইগোর লড়াই করবেন না ....
আমিও কালকে এভারেস্টে উঠেছিলাম। আমি যে ঊঠি নাই - আপনার কাছে এর কী প্রমাণ রয়েছে?
আপনি মুসার অর্থ উপার্জনের যে বর্ণনা দিলেন, তা অসত্য। এই ঈদেই আমি তার মডেলিং এর ছবি দেখেছি প্রথম আলোতে। সুতরাং সাংবাদিকতা তাঁর আয়ের একমাত্র উৎস এই তথ্য সত্য নয়।
তিনি নিজেই টুইটারে নিজেকে মোটিভেটর পরিচয় দেন। তাতে আমি দোষের কিছু দেখিনা। একজন প্রফেশনাল হিসেবে তিনি মোটিভেশনের জন্য ২০,০০০ টাকাও চাইতে পারেন - কিন্তু বন্ধু বান্ধব নিয়ে হোস্টের টাকায় আমোদ ফূর্তির আবদার প্রফেশনালিজম না।
আপনি এসব গল্প ব্লগকে জানালেই পারেন। আপনার ব্লগে ব্যক্তি আক্রমনমূলক ভাড়ামো রুপকথা না লিখে এসব গল্প লিখলে তা হয়ত আরো পাঠকপ্রিয়তা পেত।
আপনার মন্তব্যটা অনেকটা কাগুর ইন্সুলিনের মতন হয়ে গেছে - দুঃখিত
এই হচ্ছে মুসার ভাঙা মোটরসাইকেলের মডেল, বিলাসবহুল হিরো হোণ্ডা সিবিজেড এক্সট্রিম। প্রসঙ্গটা রবি তুলেছেন বলেই উল্লেখ করলাম, নেভারেস্ট বিতর্কে এটা নিতান্তই অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু রবি যে দীনহীন কলম্পেষা কলম্বাসের ছবি এঁকে সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছেন, সেটি সঠিক নয়।
আপনার প্রাসঙ্গিক ছবি দেখে আবারও মুগ্ধ। তথ্য এবং তথ্যসূত্রের এই ঝাকানাকা সমাহার দেখে- যার পরনাই মুগ্ধ।
প্রিয় রবি,
প্রথমত, আমি ব্রেণ্ডানকে একটি দীর্ঘ মেইল করেছিলাম, তার উত্তরের এই অংশটি জলদস্যুর মেসেজের সাথে প্রাসঙ্গিক বলে কোট করেছি। এটি এগজ্যাক্ট হতো না, যদি কোনো অংশ আমি বিকৃত করতাম। বুঝতে পারলেন?
দ্বিতীয়ত, না, আমি জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করে অনেক খোঁজ নিয়েই প্রশ্ন উত্থাপন শুরু করেছি। আপনি সামুব্লগে ইচ্ছামতো আমার মুখে কথা গুঁজে দিতে দিতে সূত্র দেয়ার ব্যাপারটিই ভুলে গেছেন। অবশ্য আপনি বাংলাদেশের সাংবাদিক, সূত্র দেয়া লাগে না, "অনুসন্ধানে জানা যায়" দিয়ে কাজ চালিয়ে দিতে পারেন। আমি বাংলাদেশের ব্লগার, এই চর্চাটা করতে পারি না।
তৃতীয়ত, এই "ব্যক্তিগত" ব্যাপারটা তুলে ধরে আপনি কী বলতে চাইছেন, আমি বুঝতে পারিনি।
মুসার প্রতি কোনো অন্যায় আমি অন্তত করিনি। আমার যা কিছু অনুসন্ধান, সেগুলো তুলে ধরেছি। এটা নিয়ে আমি মুসার সাথেও কথা বলতে চেয়েছি, মুসা সম্মত হয়নি। এই যে আমাদের নানা জিজ্ঞাস্য, একটিরও উত্তর মুসা দেয়নি। আপনি, রাশেদুল হাফিজ ওরফে রাহা, সিমু নাসের, পল্লব মোহাইমেন, কৌশিক আহমেদ, শরৎ চৌধুরী ও লুৎফর রহমান নির্ঝরসহ আরো যারা ফিউশন ফাইভ এবং আরো কয়েকটি নিক সামু ব্লগে ফেডারেট করে লোকজনকে আক্রমণ করেন, তাদের ঘাড়ে মুসা দায়িত্ব চাপিয়েছে যে কোনো মূল্যে আমার তোলা প্রশ্নগুলোর জবাব তৈরি করতে, আপনারা সে চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন। মুসা আমার প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে পারেন অবশ্যই, কিন্তু আমাকে কেন প্রশ্ন করা বন্ধ করতে হবে?
মুসার এভারেস্ট অভিযানের খরচ তো অডিটেড নয়, আপনি কীভাবে জানেন সে কার কাছ থেকে কত ধার করেছে? কী করেই বা জানেন সেগুলো শোধ হয়েছে বা হয়নি?
আমার জিজ্ঞাস্যগুলো সব উপস্থাপন করে আমি সিরিজ সমাপ্ত করবো নিশ্চয়ই এক সময়। কিন্তু আমার মুখ বন্ধ করার জন্যে আপনি, আশীফ এন্তাজ রবি কী করেছেন, একটু সামু ব্লগে গিয়ে দেখবেন। সেখানে আপনি আমার লেখক পরিচয় নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন, একটি শিশু যে আমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে ঘটনাচক্রে উপস্থিত, তার ছবির লিঙ্ক দিয়ে তাকেও বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি। আমি নতুন লেখক, প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করে করে হয়রান, এসবও লিখেছেন। আপনি স্বনামে এবং ফিউশন ফাইভ নিকে আক্রমণ করেছেন লুৎফর রহমান রিটনের মতো একজন স্বনামধন্য নিরীহ মানুষকে, যার একমাত্র দোষ তিনি আমার বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমার কিছু প্রশংসা করেছিলেন। আমি একটি পুরস্কার পেয়েছিলাম বইটি লিখে, যেমন পেয়েছেন আরো চারজন, কিন্তু আপনি বেনামে লিখে দিলেন, আমি এই পুরস্কারটি ম্যানেজ করেছি। অবশ্য আমি কিন্তু কোনো সার্টিফিকেট পাইনি মুসার মতো, কিংবা কোনো ত্যানার স্তুপের সাথেও আমার ছবি নেই, কাজেই আপনি যদি বলেন আমি পুরস্কার পাইনি, আমি সেটাও স্বীকার করতে রাজি আছি । আমি আমার কোনো লেখাতেই মুসাকে ব্যক্তি আক্রমণ করিনি, কঠোর প্রশ্ন করেছি তার নিরবতা আর অসঙ্গতিকে, সে অধিকার আমার আছে। আপনি তার বন্ধু হয়ে জবাব দিয়েছেন আমাকে ব্যক্তি আক্রমণ করে, যেখানে আপনি চাইলে সচলায়তনে এসেই আমার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে যুক্তির লড়াই চালিয়ে যেতে পারতেন। আপনি সেই যুক্তির লড়াইয়ে অংশগ্রহণ না করে দূরে বসে গালি দিয়ে যাচ্ছেন।
জলদস্যুকে দেখুন, আজ ৭৩০ দিন পর তিনি কেবল এই পোস্টটির বাহক হিসেবেই সচলে কলম ধরেছেন, তারপরও এখানে কি কোথাও ব্যক্তি আক্রমণ চলছে? আমরা যুক্তির জবাবে যুক্তি আশা করি। আপনি এবং আপনারা যারা মুসার সহযোগী ও সহচর, তারা যুক্তির বদলে হাজির করছেন বিদ্রুপ আর আক্রমণ। আমাকে বানাচ্ছেন তিন কপি বিক্রি হওয়া বইয়ের লেখক, আমাকে বানাচ্ছেন বিয়ারখোর, আমাকে বানাচ্ছেন সজল খালেদের বন্ধু, এবং আমার মুখে নিজেরা যথেচ্ছ কথা গুঁজে দিয়ে মা-বাপ তুলে গালি দিচ্ছেন। আপনি বা সিমু যখন ইবনান নিক নিয়ে ঢুকে আমার মাতাপিতা তুলে গালি দেন, তখন আপনার মনে থাকে না যে আমি আপনার ব্যাচমেট, নটরডেমিয়ান।
রবি, আমি ত্যানা প্যাঁচাচ্ছি কি না জানি না, কিন্তু প্রশ্নগুলো আমি করে যাবো। আপনি মুসার বন্ধু, তাই মুসা চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি, অন্নপূর্ণা-৪ কিংবা এভারেস্টে না চড়েও জয়ের দাবি করে এলে আপনি সেটা মুখ বুঁজে মেনে নেবেন, আমি তো না-ও মানতে পারি? আর হ্যাঁ, আমাকে লোকে প্রশ্ন করলে কিন্তু আমি মুসার মতো এড়িয়ে যাই না, সেটার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। কাজেই চিলের সন্ধান যদি দিতে না পারি, স্বীকার করবো। যদি চিলের সন্ধান দিতে গিয়ে আরো কাকশকুন খুঁজে পাই, সেগুলোও দেখাবো।
এই যে প্রশ্নমালা, যাকে আপনি ত্যানা প্যাঁচানো বলে ছোটো করছেন, এটা তো শুরুই হতো না যদি মুসা কাঠমাণ্ডু থেকে ফিরে এসে ছবি আর ভিডিও আপলোড করতেন। কাজেই এর দায়, একান্তভাবে মুসার।
আপনি সাংবাদিক, কেন প্রশ্ন করাকে ত্যানা প্যাঁচানো বলেন? ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজির জাল মার্কশিট নিয়ে প্রথম আলো রিপোর্ট করলো, বিম্পির লোকজন কান্নাকাটি শুরু করে দিলো, বিচার বিভাগের মর্যাদা ভুলুণ্ঠিত। আপনার কথা শুনে সেই জাল মার্কশিটঅলা বিচারকের অ্যাপোলজিস্টদের কথা মনে পড়ে গেলো।
মুসার ছবি আপনি নিজে দেখেছেন নিশ্চয়ই। সেখানে বাংলাদেশের পতাকার চেয়ে স্পনসরের ব্যানার বেশি বড়। মুসার হাতে বাংলাদেশের পতাকা কতটুকু সম্মানিত, আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের সম্মান যেখানে জড়িত, সেখানে অন্য কেউ প্রশ্ন তোলার আগে নিজেরা প্রশ্ন তোলা, এবং সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।
আপনার স্ত্রী মিতু আপনার কথা বিশ্বাস করেন, এতে আমার কোনো সমস্যা নেই রবি। একটু দুঃখই পাই যখন দেখি আপনারা জাতীয় মাধ্যমে ব্যবহৃত হন রূপক হিসেবে। আপনাদের জন্যে শুভাশিস রইলো।
আপনি আমাকে অপমান করে আর গালি দিয়ে সামুতে আবারও পোস্ট আর মন্তব্য করার আগে একটু নেভারেস্ট সিরিজটা পুরোটা মন দিয়ে পড়ে দেখবেন। সেখানে দেখবেন, আপনাকে কিংবা মুসাকে কোনো গালি দিয়ে কিংবা ব্যক্তি আক্রমণ করে আমি কিছুই লিখিনি। সেখানে শুধু প্রশ্ন আছে। প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে, ঐ পোস্টে এসে বলে যান।
- না বুঝতে পারলাম না। আপনি এখানে খুবই সুক্ষèভাবে কথার একটা ব্রিলিয়ান্ট মারপ্যাঁচ খেললেন, যার ফলে পাঠকরা ক্ষণিকের তরে হলেও বিভ্রান্ত হবে । আমি বলছি ব্রেন্ডানের মেইলের কথা আর আপনি টেনে নিয়ে এলেন আপনার দীর্ঘ মেইলের কথা। আপনার দীর্ঘ, হৃদয়কাড়া, সুপাঠ্য মেইল নিয়ে তো কথা হচ্ছিল না হিমু। কথা হচ্ছিল ব্রেন্ডানের মেইল নিয়ে। ব্রেন্ডানের মেইলের যে অংশটুকু পাঠক সমাজে ধোয়াশা তৈরী করতে সক্ষম, আপনি কেবল সেইটুকুই প্রকাশ করায়, আমার যতো দুঃখ। জলদস্যুর পরের কমেন্ট না পড়লে আমরা জানতেই পারতাম না যে, ঐ ব্রেন্ডনের মেইলের আরেকটি অংশ আছে, যেটা তার বক্তব্যকে অনেকখানি পরিষ্কার করে এবং যে মেইলটি ততটা দীর্ঘ নয়। আর কোনও কিছুর আংশিক প্রকাশ করাটাকে আমি বিকৃতিই হিসেবে দেখি।
---আমি বাংলাদেশের সাংবাদিক, আপনি বাংলাদেশের ব্লগার, মুসা ইব্রাহীম বাংলাদেশের পর্বতারোহী এবং যারা এই লেখাটা পড়ছেন, তারাও বাংলাদেশের নাগরিক। কাজেই বাংলাদেশ নিয়ে খোঁচা মারার আগে সার্বিকভাবে বিষয়টা বোঝা দরকার।
আসি মূল আলোচনায়। আপনি নিজেই বলেছেন, জুলাইয়ে আপনি ব্রেন্ডনের সাথে কথা বলেছেন। নেভারেস্ট ০ পোস্টটা আপনি কবে দিয়েছিলেন, বলবেন কি? আমি লিংক দিতে সংকুচিত বোধ করছি, লজ্জাও লাগছে।
---- মুসা তার দায়িত্ব আমাদের ঘাড়ে চাপিয়েছেন- এই তথ্য আপনি কোথায় পেলেন, ভাই ? লিংকটা দেবেন ? শুনুন , মুসা আমার ঘাড়ে কোনও দায়িত্ব চাপান নি। এতো চিকন বুদ্ধি মুসার থাকলে, ভালোই হতো। শুনুন, মুসা একটু অন্য টাইপের। অন্যের ঘাড়ে নিজের ইমেজের দায়িত্ব চাপিয়ে দেয়ার বিদ্যা মুসার জানা নেই। পরস্পরের পিঠ চুলকে দেওয়ার ডিপ্লোমেসিটাও মুসা বোঝে না। বুঝলে এতো সমস্যায় ওকে পড়তে হতো না। এই বিদ্যা এবং জ্ঞান নেই বলে , মুসা স্পন্সরদের কাছ থেকে পুরো টাকাটা জোগাড় করতে পারেনি। যেটা মুহিত পেরেছে ।
-----
তাই তো? আমি কীভাবে জানলাম। একজন পরিচিত মানুষ (রবি) তার পরিচিতের ( মুসা) তথ্য কীভাবে জানে? ...আপনিই বা কীভাবে জানেন, বিষয়টা অডিটেড নয়। যাই হোক, এই লিংকের ১২ নম্বর পয়েন্টা চলুন দেখে আসি
আমার জিজ্ঞাস্যগুলো সব উপস্থাপন করে আমি সিরিজ সমাপ্ত করবো নিশ্চয়ই এক সময়। কিন্তু আমার মুখ বন্ধ করার জন্যে আপনি, আশীফ এন্তাজ রবি কী করেছেন, একটু সামু ব্লগে গিয়ে দেখবেন। সেখানে আপনি আমার লেখক পরিচয় নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন, একটি শিশু যে আমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে ঘটনাচক্রে উপস্থিত, তার ছবির লিঙ্ক দিয়ে তাকেও বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি। আমি নতুন লেখক, প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করে করে হয়রান, এসবও লিখেছেন।
----- রিটন ভাইয়ের আমি দারুন ভক্ত। উনার একটা ক্ল্যাসিক ছড়া আছে,
বলছি শেষে ব্র্যাকেটে
দুইটি টুপি বানানো যায়,
একট মাত্র ব্রা কেটে।
কাজেই রিটন ভাই নিরীহ এটা আমি স্বীকার করে নিলাম। আমার একবার চাকরি যায়, যায় অবস্থা, চাকরি রক্ষার জন্য উনার সাথে আমি যোগাযোগ পর্যন্ত করেছিলাম। উনার অনেক জানাশোনা, প্রভাবও বিস্তর। আপনার পুরষ্কার ম্যানেজের ব্যাপারে আমি কিন্তু টুঁ শব্দটিও করেনি। তবে ঢাকা থেকে আপনারই এক বন্ধু ( প্লীজ , নাম বলতে অনুরোধ করবেন না) বলেছেন, রিটন ভাই হিমুর প্রকাশনা উৎসবে ছিলেন। তিনি সচলের ঘনিষ্ট। আপনি সচলের মডারেটর। রিটন ভাই চ্যানেল আইয়ে একটা চাকরি করতেন বা এখনও করেন। চ্যানেল আইয়ের সাথে তিনি ভালোভাবে জড়িত। চ্যানেল আইয়ের একটি বিনোদন প্রকাশনা হচ্ছে আনন্দ আলো। আপনি পুরষ্কারটাও পেয়েছেন আনন্দ আলোর। এই নিয়ে অনেকে দুইয়ে দুইয়ে বাইশ মেলাতে চায়। আমি ফাইজলামি করলেও এইসব অপপ্রচারে মোটেও কান দেই না। বইটি আমি পড়েনি, তবে ধরে নিচ্ছি ওটি যোগ্য পুরষ্কারই পেয়েছে। রংচঙে সিনে ম্যাগাজিন আনন্দ আলোর পুরষ্কারটি অনেক বড়ো ব্যাপার কিনা , সেটাও জানিনা । আর এই ঘটনা নিয়ে আপনাকে খোঁচা দেওয়ার একটাই উদ্দেশ্য , সেটা হচ্ছে, দেখুন চাইলেই কীভাবে মানুষের কোনও অর্জন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় ....কত সহজ কাজ এটা ....
অবশ্য আমি কিন্তু কোনো সার্টিফিকেট পাইনি মুসার মতো, কিংবা কোনো ত্যানার স্তুপের সাথেও আমার ছবি নেই, কাজেই আপনি যদি বলেন আমি পুরস্কার পাইনি, আমি সেটাও স্বীকার করতে রাজি আছি হাসি । আমি আমার কোনো লেখাতেই মুসাকে ব্যক্তি আক্রমণ করিনি, কঠোর প্রশ্ন করেছি তার নিরবতা আর অসঙ্গতিকে, সে অধিকার আমার আছে।
------ আমি ইবনানের নিকে ব্লগিং করছেন- শুনে ভালো লাগলো। কেউ যদি আপনাকে কোনও ব্লগে গালি দেয়, তবে একজন ব্লগার হিসেবে খানিকটা হলেও সেই দায় আমার এবং আপনার দুইজনের ঘাড়েই বর্তায়। আমারও প্রশ্ন, ব্লগিং পলিটিক্স এতো নোংরা কেন ? কেন আপনারই একটি ব্লগে এই দাবী করা হবে যে মুসা আমাকে ফ্রি সিলেট নিয়ে যায় বলে আমি মুসার পক্ষে ব্লগিং করি ? আমি জন্মেও সিলেট যাইনি। বেশ কয়েক বছর আগে একবারই জীবনে মৌলভীবাজার গিয়েছিলাম। কেন হিমু, এ কথা লেখা হয় যে, আমি একজন ভাড় ? কেন লেখা হয় যে আমি এসএমএস সাংবাদিক? আমি আপনি ব্লগিং করি, কেন ব্লগিংয়ের উত্তাপ রবির বউ মিতু এবং মুসার বউ, এমনকি মুসার বাচ্চা পর্যন্ত গড়ায়?
আমি খুবই সিরিয়াসলি বলছি, হিমু, দয়া করে ব্লগের এই বিষয়টিকে ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না। আমরা সবাই নিজেরাই নিজেদের মত ও ভাবনা বিনিময়ের জায়গাটি এভাবেই কলুষিত করেছি। এর দায় যেমন আমার আছে, আপনারও কম নেই কিন্তু? যদি বলেন, আপনার কম, আমার বেশি, তাহলে পরিবেশটা এমনই থেকে যাবে।
রবি, আমি ত্যানা প্যাঁচাচ্ছি কি না জানি না, কিন্তু প্রশ্নগুলো আমি করে যাবো। আপনি মুসার বন্ধু, তাই মুসা চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি, অন্নপূর্ণা-৪ কিংবা এভারেস্টে না চড়েও জয়ের দাবি করে এলে আপনি সেটা মুখ বুঁজে মেনে নেবেন, আমি তো না-ও মানতে পারি? আর হ্যাঁ, আমাকে লোকে প্রশ্ন করলে কিন্তু আমি মুসার মতো এড়িয়ে যাই না, সেটার উত্তর দেয়ার চেষ্টা করি। কাজেই চিলের সন্ধান যদি দিতে না পারি, স্বীকার করবো। যদি চিলের সন্ধান দিতে গিয়ে আরো কাকশকুন খুঁজে পাই, সেগুলোও দেখাবো।
এই যে প্রশ্নমালা, যাকে আপনি ত্যানা প্যাঁচানো বলে ছোটো করছেন, এটা তো শুরুই হতো না যদি মুসা কাঠমাণ্ডু থেকে ফিরে এসে ছবি আর ভিডিও আপলোড করতেন। কাজেই এর দায়, একান্তভাবে মুসার।
প্রশ্ন করাকে তো ত্যানা পেচানো বলিনি!!!!! আপনার প্রশ্ন যখন এটা ‘মুসা কী এভারেস্টে উঠেছে?’ এই প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক আলোচনা হিসেবে আপনি যখন - মুসাকে যারা সংবর্ধনা দেয় তাদের ব্যানারে কেন মুসার সামিটের ছবি থাকে না, মুসা কোন কোম্পানির কাছে কত টাকা চাইলো- এসব বিষয় তুলে ধরেন- তখন তা আমার কাছে তেনা পেচানোর মতোই লাগে। খুব সম্ভবত: অন্যদের কাছেও তাই লাগে।
মুসার ছবি আপনি নিজে দেখেছেন নিশ্চয়ই। সেখানে বাংলাদেশের পতাকার চেয়ে স্পনসরের ব্যানার বেশি বড়। মুসার হাতে বাংলাদেশের পতাকা কতটুকু সম্মানিত, আমি জানি না। তবে বাংলাদেশের সম্মান যেখানে জড়িত, সেখানে অন্য কেউ প্রশ্ন তোলার আগে নিজেরা প্রশ্ন তোলা, এবং সেসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা জরুরি।
------ শুভাসিসের জন্য ধন্যবাদ। আনিস ভাইয়ের ওই লেখাটা ফাইজলামি করে লেখা, অতি উৎকৃষ্ট মানের একটি রম্য রচনা। রম্য রচনাকে সিরিয়াসলি নেবো - আমাকে কি ভূতে পেয়েছে ? আপনিও তো রম্য লেখেন। আপনার ফুটোস্কোপিক রূপকথা পড়ে আমি মুগ্ধ হয়েই এবং ওই লেখা থেকে প্রেরণা অর্জন করেই , ওটাকে প্যারোডি করে এক্সট্রা লার্জ ফুটোস্কোপিক বানিয়েছি। আপনার তো বিষয়গুলি বোঝার কথা। তাহলে কেন মিতুর বিশ্বাস সংক্রান্ত ওই রম্য লেখাটিকে একটি সিরিয়াস আলোচনার সূত্র হিসেবে পাঠকদের দেখাচ্ছেন? সেই লেখার লিংকও দিয়েছেন দেখলাম! ব্লগের পাঠকরা বিভ্রান্ত হলে ব্লগের ক্ষতি, এটা মানেন তো ? ওটা জানেন তো, আপনি ১জনকে সারা জীবনের জন্য বোকা বানাতে পারবেন, সব মানুষকে নয়। কিংবা সব মানুষকে ১দিনের জন্য বোকা বানাতে পারবেন, সারাজীবনের জন্য নয়। সারা জীবনের জন্য সব মানুষকে বোকা বানানো যায় না।
সেখানে দেখবেন, আপনাকে কিংবা মুসাকে কোনো গালি দিয়ে কিংবা ব্যক্তি আক্রমণ করে আমি কিছুই লিখিনি। সেখানে শুধু প্রশ্ন আছে। প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা থাকলে, ঐ পোস্টে এসে বলে যান।
রবি, একটা মেইলের প্রাসঙ্গিক অংশই তো আমি উদ্ধৃত করবো, নাকি? মেইলের বাকি অংশ নিয়ে তো আমি কিছু বলছি না। আরেকটি মেসেজ উদ্ধৃত করেছেন জলদস্যু। আপনি জলদস্যুর মেইলের সাথে আমার মেইলকে গুলিয়ে ফেলে বলছেন, জলদস্যুর মেইলের ঐ অংশটুকুও আমাকে কোট করে দেখাতে হবে। আবদারটা কেমন হয়ে গেলো না?
নেভারেস্টের মুখবন্ধ পর্ব জুন-২৭ এ প্রকাশিত হয়েছে। ঐ পর্বে আমি ঘোষণা দিয়েছি আমি এ নিয়ে কী লিখবো। জুন ২৭ এর সাথে জুলাইয়ের বিশাআআআল পার্থক্য নিয়ে আপনি কিছু বলুন প্লিজ। জাতি জানতে চায়।
আমি আসলেই জানি না মুসা কী টাইপের। কারণ এখানে অনুসন্ধানটা ব্যক্তিনিষ্ঠ নয়, বস্তুনিষ্ঠ। মুসা কে বা কী ধরনের, সেটা আমার দেখার বিষয় তো নয়। আমি দেখছি মুসা কী করেছে, কী বলেছে। এবং আপনি স্বীকার করবেন, আমি সূত্র উল্লেখ করেই বলছি। তবে মুসাকে আপনি যেরকম গোবেচারা হিসেবে উপস্থাপন করছেন, তা সে নয়। যদি আপনি তাকে ওরকমটা ভাবেন, সে আপনাকেও মুরগি বানিয়েছে ।
মুসার অভিযানের ব্যয় যে নিরীক্ষিত নয়, সেটি আমি বলছি আনিসুল হকের ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০ তারিখের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে। এবার আবার জিজ্ঞেস করে বসবেন না যেন, আনিসুল হক কী জানেন।
গুডকে আপনি গুড় লিখেছেন, সেটি নিয়ে মৃদু বিদ্রুপ হতেই পারে। এখানে রবি নামটি কোথাও উচ্চারিতও হচ্ছে না গুড়ের সাথে। কিন্তু এর জবাবে আপনারা যেভাবে আরেকটি নিকের কম্বল গায়ে দিয়ে আমাকে অকথ্য গালাগালি করলেন, সেটা দেখে বুঝলাম, আপনারা একটু আড়ালের সুযোগ পেলে কতদূর যেতে পারেন। আপনি তো আমাকে ভুল শুধরে দিতে প্রথমে আসেননি রবি, ব্যঙ্গ করতে এসেছিলেন। আর কাঠমাণ্ডু বা ঢাকা এয়ারপোর্ট তো প্রাসঙ্গিক ছিলো না ঐ পোস্টে, ওটা টিম্বাকটুতে হলেও কিছু এসে যায় না। আসল কথা ছিলো আপনারা অন্য পর্বতের ছবি ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন কি করছেন না, সেটা নিয়ে। আপনি এমন আচরণ শুরু করেছেন যে হিমুর লেখায় এয়ারপোর্টের পরিচয় ভুল, অতএব প্রমাণিত, মুসা এভারেস্টে উঠেছে।
আমি তো আপনার সাথে কোনো গণ্ডগোল শুরু করিনি রবি, করার সময় বা ইচ্ছাও নাই। কাজেই মিটিয়ে ফেলার দায়টুকুও আপনার।
আপনার নাম উল্লেখ করে কোথাও সিলেটগমনের প্রসঙ্গ আসেনি তো। আপনি সিলেটে গেছেন কি যাননি, সেটাও আলোচ্য নয়। আপনি নিজেই একটি মন্তব্যে বলে গেছেন, আপনাকে কে বা কারা জাতীয় ভাঁড় হিসেবে ট্রিট করে। কাজেই কেউ ভাঁড় বলে থাকলে, নিজেকেই প্রশ্নটা করুন। আমি তো ডাকিনি আপনাকে, তাই না? আর আপনি একটু চিন্তা করে দেখুন তো, পত্রিকাতেই কি রবির বউ মিতু আর মুসার বউবাচ্চাদের এই গোটা ব্যাপারে এক একটা চরিত্র হিসেবে দাঁড় করিয়ে দেননি আনিসুল হক? আপনি গিয়ে দেখবেন তো, কোথায় আমি আপনাদের বিদ্রুপ বা কটাক্ষ বা অপমান করে কিছু লিখেছি? লিখিনি কোথাও। আর আপনি শুরুই করেছেন আমাকে সজল খালেদের বন্ধু বানিয়ে ব্যাপারটাকে ক্রমাগত ওদিকে ঠেলতে। সুবিধা করতে না পেরে এখন আমাকে বলছেন তিন কপি বিক্রি হওয়া বইয়ের লেখক। নিকের আড়ালের সুযোগ নিয়ে মাবাবা তুলে গালি দিচ্ছেন। সামনে কী বলবেন, কে জানে? আর ব্লগ পলিটিক্স নোংরা কেন, প্রশ্নটা ফিউশন ফাইভ নিকে আপনার বাকি সঙ্গীদের করতে পারেন।
আর একটা প্রশ্ন ছিলো, রবি। আপনি কেন আনিসুল হকের ওয়ালে একজন ব্লগারকে গালাগালি করে লেখা পোস্টের লিঙ্ক পেস্ট করে আসেন? এতে কি তার কোনো ইশারা বা অনুমোদন আছে?
আপনি আমার অর্জন নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন করতে পারেন। এমনও তো হতে পারে, আপনার অভিযোগই সত্য। চলুন তাহলে, এ নিয়ে অনুসন্ধান করি। আপনি খোঁজখবর করুন, সূত্রগুলো পাঠকদের ধরিয়ে দিন, সাক্ষাৎকার নিন সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু আপনি সেটা করছেন না। আপনি নজরুল ইসলামের শিশুকন্যাটিকে বিদ্রুপের পাত্রী বানিয়ে ছাড়লেন। আপনার নিজেরও তো জানি দুটি মেয়ে আছে, তাদের ছবি নিয়েও কি আপনি অক্লেশে একদিন ব্লগে ঝাঁপিয়ে পড়বেন?
আপনি মোটে পাঁচজনের সাথে যোগাযোগ করেই কেন সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাচ্ছেন যে আদৌ কেউ ভিডিও করে না? আর মুসার ছবিতে বুদ্ধমূর্তির কথা তো আমরা তুলিনি রবি, তুলেছেন আনিসুল হক। আমরা বুদ্ধমূর্তিটি দেখতে চাই কেবল। আর অনেকেই ছবি তোলেন পেছনে দিগন্তরেখাকে দৃশ্যমান রেখে। মুসার একটি স্পষ্ট ছবি আমাকে দিন, যেটাতে দিগন্তরেখা দেখা যায়। সেটাও তো করতে পারছেন না। আপনারা ছবি দেবেন না, ভিডিও দেবেন না, খালি বলবেন অমুকে বলস তমুকে দেখসে, এরকম তো হতে পারে না। দাবি করবেন বড় বড়, আর প্রমাণ চাইলে পিছলে যাবেন, কেন স্যার?
নেভারেস্ট সিরিজটা তো শুধু এভারেস্ট নিয়েই নয় রবি, আমি এই সিরিজে আলোচনা করবো মুসার ফ্রে পিক, চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি, অন্নপূর্ণা-৪ এর অসঙ্গতিগুলো। শেয়ার করবো আরো চার পাঁচজন দেশীবিদেশী পর্বতারোহীর সাক্ষাৎকার। মুসা এই এভারেস্ট জয়কে সামনে রেখে কোনো আর্থিক সক্রিয়তায় যদি জড়িত হন, সেটাও সামনে আনবো। আপনি একে ত্যানা প্যাঁচানো মনে করতে চাইলে আমি আপনাকে বাধা দেবো না।
রম্য লেখার দায়টা কার রবি? যদি রম্যলেখকের হয়, তাহলে তাকে তার দায়টুকু নিতে দিন। আর আপনি ঠিক ধরেছেন, এ কথাটাই বোঝাতে চাই আমি। সবাইকে সারাজীবন বোকা বানানো যায় না। তাদের মধ্যে দুয়েকজন প্রশ্ন করবে, দুয়েকজন নেভারেস্ট লিখবে। আপনারা নেপালে কোনো অনুসন্ধানের বদলে ফূর্তি করে এসে এক একটা রিপোর্ট লিখবেন কাগজে, আর আমরা সেগুলো বিনা প্রশ্নে গিলবো, সেই যুগ শেষ।
নেভারেস্ট শব্দটা নিয়ে আপনাদের গাত্রদাহে আমার কিছু যায় আসে না। আমরা কেউ মুসা ইব্রাহীমের খাই পরি না যে তার এভারেস্ট দাবির সাথে আমাদের একমত হতে হবে। খেলে পরলেও একমত হতাম না। আর ফিউশন ফাইভের ছাল গায়ে না দিয়ে, আপনি আমার পোস্টগুলোতে একটু কষ্ট করে আপনার যুক্তিটি রেখে আসুন। আপনি সেটা করছেন না কারণ আমি যুক্তিগুলো খণ্ডন করে একটি মন্তব্য করবো, যেটা হয়তো সামুতে গিয়ে করা হবে না। প্রতিযুক্তিকে আমি ভয় পাই না। আপনি?
আপনি আমাকে মদ্যপ বানানোর যে আপ্রাণ প্রচেষ্টায় রত, তা দেখে আবারও হাসলাম। মদ খেয়ে বড়জোর নিজেকে এভারেস্টজয়ী হিসেবে দাবি করা যায়, কিংবা কোনো বন্ধু সে কাজ করে বসলে তার মাথায় ছাতা ধরা যায়। এক পর্ব নেভারেস্ট লিখতে গেলে প্রচুর সময় লাগে, সেটা কয়েক সপ্তাহ ধরে বের করতে হয়।
আপনারা আমার বইয়ের ব্লগের লিঙ্ক নামে বেনামে পোস্টে কমেন্টে দিতে দিতে হয়রান, আশা করি আমার বই কোথায় পাওয়া যায়, সেই লিঙ্কটিও আপনার চোখে পড়বে। যদি পড়ার আগ্রহ থাকে, আপনি নিজেই খুঁজে নিয়ে পড়তে পারবেন, সে বিশ্বাস আমার আছে।
সত্য প্রকাশ পাবেই রবি। এ আস্থা আমার আছে। যেসব পাঠকরা দ্বিধাগ্রস্ত, তাদের জন্যে তো মন্তব্যের পাতায় যুক্তি পাল্টাযুক্তির সুযোগ আছেই। আসুন, ব্যাপারটাকে আবেগ বা স্বার্থ দিয়ে বিচার না করে, যুক্তি দিয়েই করি।
আর এই যে ব্যাপারটাকে "ইগোর লড়াই" এর চেহারা দিতে চাইছেন, আপনি কেন ধরে নিচ্ছেন যে এই সংশয়, এই প্রশ্ন, এই বিপরীত প্রমাণ, সাক্ষ্য, যুক্তি ... এগুলো একা হিমুর এখতিয়ার? এই সংশয় আরো বহু লোকের। আপনি আমাকে কখনো চোখ রাঙিয়ে, কখনো সামুতে পচিয়ে, কখনো সচলে মাথায় হাত বুলিয়ে চুপ করানোর যে ব্যর্থ চেষ্টা করছেন, এরকম ক'জনকে পারবেন? আমি চুপ করে গেলে আরেকজন প্রশ্ন তুলবেন, তিনি চুপ করে গেলে অন্য কেউ। প্রশ্নের শেষ নেই রবি। আমার সাক্ষাতকারের প্রস্তাবটি গ্রহণ করলে মুসার হাতে একটি সুযোগ থাকতো অনেক প্রশ্নের উত্তরে একটি অবস্থান নেয়ার, সেটি তিনি গ্রহণ করেননি।
- এই তো ভ্রাতা লাইনে এসেছেন। আপনার কাছে শুধু ওই অংশটুকু প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। কারণ আপনি প্রমাণ করতে চাইছেন মুসা ওঠে নাই। তবে যারা বিশেষ কোনও এজেন্ডায় বিশ্বাস করতে চায় না, যারা শুধু নিরেট সত্যটুকু জানতে চায়, তাদের জন্য জলদস্যু কর্তৃক প্রদত্ত মেইলের বাকী অংশটুকু তাৎপর্য বহন করে বইকি।
- চমৎকার! আপনি ঠিকই আমার ফাঁদে পা দিলেন। নেভারেস্ট ০ - তে আপনি সুন্দর একটা কথা বলেছিলেন - "মুসা ইব্রাহীম এভারেস্টে ওঠেনি", এমন কোনো স্টেটমেন্ট দেয়াও আমার উদ্দেশ্য নয়। এটি ছিল জুনের ঘটনা।
জুলাইয়ে এসেই আপনি বৃত্ত আঁকা শুরু করলেন। আপনার ভাষ্যে, ব্রান্ডেনের সাক্ষাৎকার নিয়ে ছিলেন জুলাইয়ের প্রথম দিকে। তারপর পর পরই বোধহয় অধিকতর যাচাইবাছাই না করে বৃত্ত সমৃদ্ধ পোস্ট দিয়ে ফেললেন। নেভারেস্ট ১ প্রকাশিত হয় জুলাইয়ের ৬ তারিখে। একদম কাটায় কাটায় মিল।
- মুসা নয়, আমাকে এবং পাঠককে মুরগি বানানোর চেষ্টা করছেন আপনি। কেননা আমিও ভাবি- ব্যাপারটা হওয়া উচিত ব্যক্তিনিষ্ট না, বস্তুনিস্ট। কিন্তু অন্নপূর্ণা ৪, চুলু দিয়ে আপনিই প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন, মুসা ব্যক্তি হিসেবে কতটা প্রতারক। কাজেই এই মিথ্যেবাদী রাখাল এভারেস্টে উঠে নাই।
--- আনিসুল হক আপনাকে এড়িয়ে গেছেন। আচমকা কাউকে ফোন করে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে এমন বিভ্রাট ঘটতে পারে বলেই তাকে আমি বলির পাঠা বানাতে রাজি নই। বিষয়টা যেখানে এতোখানি সিরিয়াস। পাদ্রীর সেই জানা গল্পটা আপনাকে মনে করিয়ে দেই। এক ফেরেববাজ ব্লগার ( আপনি নন কিন্তু) পাদ্রীকে বিপদে ফেলার জন্য , জিজ্ঞাসা করেছিলো, এই হোটেলের কলগার্ল সম্পর্কে আপনার মতামত কী? পাদ্রী আতকে উঠে বলেছিলেন, এই হোটেলে কী কোনও কলগার্ল আছে? সাথে সাথে ব্লগে পোস্ট , শিরোনাম: পাদ্রী জানতে চাইলেন, এই হোটেলে কী কোনও কলগার্ল আছে?
বিনোদন হিসেবে এই জাতীয় সাক্ষাৎকার চমৎকার। কিন্তু তাতে আসল সত্যটা জানা যায় না মোটেও ।
---- আপনার পোস্ট তো বটেই, অন্য পোস্টেও কাতারে কাতারে গুড়ের ইমো যাচ্ছে। এটা যদি মৃদু বিদ্রুপ হয়, তাতে আমার বলার কিছু নেই।
আর কাঠমুন্ডুর এয়ারপোর্টের ব্যাপারে , আপনি স্বীকার করলেন যে ভুল আপনারও হয়। এবার বলেন, কাঠমুন্ডু এয়ারপোর্ট যদি প্রাসঙ্গিকই না হবে, তাহলে কেন ওই ছবি আপনি দিতে গেলেন। আর আপনার ভুল হলে, সেটা প্রাসঙ্গিক নয়, কিন্ত আচমকা সাক্ষাৎকারের শিকার আনিসুল হকের কথা একটু এদিক সেদিক হলে, সেটা মারাত্বক প্রাসঙ্গিক হয়ে যায় কীভাবে? কেন একজন মানুষের আবেগঘন লেখার ভুল নিয়ে আপনারা এই প্রশ্ন তোলেন যে, মুসা কী এভারেস্টে উঠেছে? একবার ভাবুন। শুধু হিমু আপনাকে বলছি না, চিলের পেছনে ছোটা সবাইকেই বলছি, একবার ভাবুন।
--- ১. ড়-এর ফ্যাকরা আপনিই তুলে দিলেন প্রথমে। লিখলেন: গুড় জব চলমান থাকবে আপনাদের দোয়ায়, ছুবহানাল্লাহ।
২. আপনার সাক্ষাৎকারের অ্যাপ্রোচ ছিল এই : খুবই খুশি হবো যদি স্কাইপে একটা সাক্ষাৎকার দেন। বস্তুনিষ্ঠ প্রশ্নই করতে চাই, আপনি কার দোস্তো বা কোন পত্রিকায় চাকরি করে জাতীয় ভাঁড়ামো করেন, এ ধরনের অপ্রাসঙ্গিক বিষয় আসবে না।
৩. আমাকে নিয়ে কষ্ট করে ছড়াও লিখেছেন :
এক দফা এক দাবি
মুসার দোস্তো আশীফ রবি
সাক্ষাৎকার চাই, দিতি হবি
যাই হোক, এ রকম অসংখ্য উদাহরণ আছে। আর এখন মাছুম ব্লগারের মতো বলছেন, আপনার কোনও দায় নেই, যত দায় সব রবির । যাই হোক, আমি বুঝলাম ( বোধহয়, পাঠকরাও বুঝলো) আপনি নিজের দায় কিংবা ভুল কোনটাই স্বীকার করতে অভ্যস্ত না।
------ তাই? সিলেট প্রসঙ্গে আপনি এটার ইঙ্গিত করেন নি। এই লেখাটা আমি লিখেছি না ?
দুই নম্বর মন্তব্যও নিশ্চয়ই আমার করা। যে মন্তব্য আপনি রিভিউ শেষে প্রকাশও করেছেন।
-----আমি হিমু নই, আমি রবি। ছিদ্র খোঁজার সময়, রুচি কোনটাই আমার নেই। আপনিই নেভারেস্ট থ্রি শেষ করে ...ওই প্রসঙ্গে নতুন সিরিজ শুরু করুন। সময় পেলে পড়বো, কমেন্ট করবো।
------ ভুল আমার হয়েছে বটে। এ পর্যন্ত যতজন সামিট করেছেন ,তাদের মধ্যে যারা যারা জীবিত আছেন, সেই কয়েক হাজারের বিজয়ীর সকলের সাক্ষাৎকার নেয়া আমার উচিত ছিল। কাজটা আমার দ্বারা হবে না। আপনার দ্বারা হবে, কেননা প্রস্তাবটা আপনার। আমি বরং আপনার মুখ থেকে জানতে চাই, এ পর্যন্ত কত জন সামিট করেছে, তাদের কত শতাংশের ভিডিও আছে। নেভারেস্টে থ্রি-তে আমি সেই চাঞ্চল্যকর তথ্যের অপেক্ষায় থাকবো।
------ করুন। গুড লাক। তবে মুসা যদি আপনার ভাষায় কারও কাছে, মোটিভেশন প্রোগ্রামের জন্য পারিশ্রমিক দাবী করে- তাহলে কীভাবে এটা প্রমাণ হয় যে, মুসা ওঠে নাই। ব্যক্তিনিষ্ট এবং বস্তুনিষ্টতার ব্যাপারে আপনিই তো একটু আগে সবক দিলেন।
আর ৪/৫ জন বিদেশীর সাক্ষাৎকার কেন শেয়ার করবেন। একটু আগেই না আমার উল্লেখ করা ৫ জন পর্বতারোহীর কথা শুনে বললেন, মাত্র ৫ জন?
---------------- যাক, এই টুকু তো স্বীকার করলেন, শিরোনামটি গাত্রদাহ সৃষ্টি করে। কাজেই ওই গাত্রদাহের জ্বালা নিয়ে মুসা যখন সাক্ষাৎতার দিতে রিফিউজ করবে, তখন এটা বলা যাবে, দেখছেন, বেটা কথা কয় না। নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা আছে। সুন্দর পলিসি।
------- আমি যে ভয় পাই না, বার বার আপনার ব্লগে এসে সেটা বুঝিয়ে দিয়ে যাচ্ছি। আর আপনি এমনই নির্ভীক ব্লগার যে অন্য ব্লগে আসতে পারছেন না- সেটা দেখেই আমি কিঞ্চিৎ কষ্ট পাচ্ছি।
----- হ্যা , মদ খেয়ে অনেক কিছুই করা যায়। এভারেস্টে উঠেছি এই দাবী করা যায়, অমুক উঠে নাই এই দাবীও করা যায়, ছাতা ধরা যায়, ছাতা নিয়ে কাড়াকাড়িও করা যায়। কিন্ত এভারেস্টে উঠা যায় না। আপসোস।
------ আপনার আস্থা আছে, সত্য প্রকাশ পাক, ইচ্ছা আছে কী?
ইচ্ছা থাকলে তো আমার কিংবা সিমু কিংবা আনিসুল হকের সাক্ষাৎকার নেয়ার চেষ্টা না করে যারা এভারেস্টে উঠেছে, তাদের সাক্ষাৎকার নিতে পারতেন। আপনার ভাষায় মুসার যে ১টি মাত্র ছবি আছে, ওই ছবিটাই দেখিয়েই জিজ্ঞাসা করতে পারতেন, আপনি তো উঠেছিলেন, বলুন তো, এটা কী চূড়ার ছবি?
ইচ্ছা থাকলে, নেপাল কিংবা এভারেস্ট রিলেটেড রাষ্ট্রীয় কোন সংস্থাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতেন, আচ্ছা এটা কী এভারেস্টের ছবি ?
সেটা না করে আনিসুল হকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন, যে বেচারা এভারেস্টে কস্মিনকালেও যায়নি। খুজছেন আমাকে, যার পাহাড়ে চড়ার কোনও অভিজ্ঞতাই নেই। আমাদের প্রশ্ন করলে আমরা আমতা আমতা করবো, আর তাতেই আপনার যত সুখ। ব্লগে অডিও দেবেন, পাবলিক শুনে মজা পাবে আর ভাববে মুসা কত বড় প্রতারক, মুসার বন্ধুরা কত বড় মিথ্যেবাদী।
আশার কথা কী জানেন,মানুষ এইসব স্ট্যান্টবাজি বুঝতে পারছে, সময় লাগছে , তবু বোঝাবুঝির খেলা বোধহয় শুরু হয়ে গেছে।
------ আমি মন্তব্য করে বসে থাকি, কখন সেটা রিভিউ শেষে প্রকাশ পাবে। রিভিউটা নাকি আপনিই করেন আর লড়াই হচ্ছে আপনার সাথেই। পাল্টা মতামত প্রকাশের দারুন সুযোগ বটে। যারা সচল সদস্যপ্রার্থী, তারা যে কি পরিমাণ আতংক নিয়ে কমেন্ট করে.... বিশেষত এই প্রসঙ্গে কমেন্ট করার আগে কত কিছুই যে তাদের মাথায় রাখতে হয়, মডারেটর সাহেবের পোস্ট ...
আবার যারা মন্তব্য করেন না, তারাও আতংকে থাকেন, মন্তব্য করছি না, এটাতে কেউ মাইন্ড করলো না তো ?
হিমু, আমি কিন্তু এই জায়গায় এসে কমেন্ট করে যাচ্ছি, এটা না জেনেই যে, এতো কষ্ট করে কমেন্ট করলাম, প্রকাশ পাবে তো ?
হ্যাঁ, প্রাসঙ্গিক অংশ কোট করাই আমার স্বভাব। যেমন ব্রেণ্ডান আমাকে প্রথমে জানাচ্ছিলো কেন তার দেরি হলো মেইলের উত্তর দিতে, পরে জানাচ্ছিলো তার সার্টিফিকেট এখনও অস্ট্রেলিয়া পৌঁছায়নি। সেগুলো কোট করিনি বলে আপনি যে এতো গোস্বা করবেন, সে কি করে বুঝবো বলুন?
জ্বি, আমি এখনও কিন্তু প্রশ্ন করে যাচ্ছি, মুসা ইব্রাহীম কি এভারেস্টে সত্যি উঠেছেন? উঠে থাকলে এই অসঙ্গতিগুলো আমরা কেন দেখতে পাই? আপনাদের পক্ষ থেকে কোনো উত্তর আসে না। আমি যে উত্তরগুলো খুঁজে পাই, সেগুলো প্রশ্নটার নেতিবাচক উত্তর সাজেস্ট করে। আপনি পারলে ইতিবাচক কিছু যোগ করুন, আমি তো আপত্তি করছি না।
উঁহু, ব্রেণ্ডানের সাক্ষ্য নিয়েছি জুনের শুরুর দিকে। পরিষ্কারভাবেই ওপরে বলেছি। আপনি জুনকে জুলাই বানিয়ে বসে থাকলে তো হবে না ভাইডি। আর আমার আঁকা বৃত্ত চারটা আপনাদের এতো ভাবিয়ে তুলবে জানলে চারকোণা [কিংবা, ত্রিভূজ?] করে দিতাম।
আপনার ধারণা সত্য। ফ্রে পিক, চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি এবং অন্নপূর্ণা-৪, এই চারটি অভিযানেই মুসা ইব্রাহীম অসত্য বিবৃতি দিয়েছেন। এই চারটি অভিযানে তার সঙ্গীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি আমি। আরো অনুসন্ধান তো আছেই। আসবে সেসব। পাঠককে আমি বোকা ভাবি না, আমার কথায় কোনো ত্রুটি পেলে তারা ধরিয়ে দেবেন। আমার এই সিরিজের আরেকটা উদ্দেশ্য, পর্বতারোহণ সম্পর্কে পাঠকের সচেতনতা একটু বাড়ানো। আমার ধারণা এখন অনেক নিরীহ পাঠক সচেতন হবেন, এবং ভবিষ্যতে কেউ চাপাবাজি করলে ধরে ফেলার কৌশল ও জ্ঞানটুকু অর্জন করবেন। আপনিও নিশ্চয়ই তা-ই চান, নাকি?
আপনার পাদ্রীর কলগার্ল সম্পর্কে জোকটা পড়ে হাসতে পারলাম না, তবে আনিসুল হকের সাক্ষাৎকার শুনে কোথাও তো মনে হলো না, তার একটিমাত্র বাক্যকে পুঁজি করে কিছু বলছি। দীর্ঘ ভূমিকা, দীর্ঘ আলোচনা, দীর্ঘ মতবিনিময়। আপনি শুনে দেখুন আগে। সাংবাদিকদের মতো সব ভালোমতো না শুনেই কলম ধরলে চলবে?
আমার লেখায় আপনি যখন ত্রুটিনির্দেশ করলেন, লক্ষ করুন, আমি সংশোধন করে দিয়েছি। কিন্তু আপনারা নিজেদের ত্রুটির মাছগুলো ঢাকার জন্যে শাকের ক্ষেত উজাড় করে ফেলছেন। কাঙালকে শাকের ক্ষেত দেখাতেও হয় না, কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে, এখানে মাছটা পুঁটি নয়, পাঙাশ। মুড়ো ঢাকতে গেলে ল্যাজা বেরিয়ে যাচ্ছে তো। আনিসুল হকের ভুলগুলো ধরিয়ে দিলাম, উনি যদি আমার পোস্টে এসে জানান, আমার পোস্টে কোথাও তথ্যগত ভুল আছে, আমি হৃষ্টচিত্তে সংশোধন করে দেবো। আমি সেই সাথে আশা করবো, মুসাকেও তার বিভিন্ন পর্বতারোহণের দাবিতে অসঙ্গতি ধরিয়ে দিলে তিনি একজন সৎ পর্বতারোহীর মতো সামনে এসে স্বীকার করবেন যে তিনি ফ্রে পিকে সামিটে চড়েননি, চুলু ওয়েস্টে তাঁবুতে বসেই সনদ বাগিয়েছেন, লাংসিসা রিতে চূড়ার কয়েকশো ফিট নিচ থেকে ফিরে এসে পূর্ণ শীর্ষের সার্টিফিকেট নিয়েছেন আর অন্নপূর্ণা-৪ এ স্পারে উঠে সামিট দাবি করেছেন। কী বলেন, ফেয়ার না?
গুড় নিয়ে আপনি এতো বিচলিত বলেই কি আমাকে গালাগালি করে পোস্ট লিখে আনিসুল হকের ওয়ালে চিকা মেরে আসছেন? আপনার কোনো সমালোচনা করলে আপনি কী করতেন ভেবে আতঙ্কে হাত পা ... ।
হ্যাঁ, আপনার একটা সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলাম। আপনি কোনো জবাব দেয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি। এক বন্ধুর সূত্রে অনুরোধ পাঠালাম, কদর্য ভাষায় প্রত্যাখ্যান করলেন। আমি এজন্যে একটু রসিকতা করতেই পারি, তাই না? তার জবাবে আপনি আবার গালি দিয়ে পোস্ট দেয়াটাকেই যদি বিকল্প মনে করেন, তাহলে আপনি গালির সমান মাপেরই মানুষ।
আপনি পাঠকদের বারে বারে অনেক কিছু বোঝাতে বেয়াকুল, আমি বুঝতে পারছি। কিন্তু পাঠকরা এ-ও আশা করি বুঝবেন, আপনিও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে সাহস পান না। শিরোনাম নেভারেস্ট, অতএব আমার প্রশ্নের উত্তর দেবেন না, এমন স্টেটমেন্ট আমি মেনে নিচ্ছি। আপনাদের ইচ্ছা। কিন্তু তাহলে নেভারেস্ট লিখে যেতে দিন, বারে বারে এসে ঘ্যানঘ্যান কেন করছেন? নিজেরাও প্রশ্নের উত্তর দেবেন না, আমাকে বিকল্প অনুসন্ধানও করতে দেবেন না। পাঠক, কী মনে হয়, রবি সাহেবের ধান্ধাটা কী?
আপনি যে পোস্টের লিঙ্ক দিলেন, ওখানে আপনার নামটি কোথায় আছে, একটু দেখিয়ে দিন না।
আপনি ছিদ্র খুঁজতে অনিচ্ছুক যখন, তখন নিশ্চয়ই রাতে প্রচুর মশা মশারির ভেতর ঢুকে কামড়ায় আপনাকে। বেহুলার বাসরেও লক্ষ্মীন্দর এমন স্বভাবের ছিলো।
একটা ভালো কিউ দিয়ে গেলেন। পয়েন্ট নোটেড।
মুসার মোটিভেশন বাণিজ্য নিয়ে কিছু লেখা যাবে না বলছেন? নাকি বলতে চাইছেন, মুসা মোটিভেশন বাণিজ্য করছে, অতএব প্রমাণিত হয় মুসা এভারেস্টজয় করেছে?
হ্যাঁ, ভিডিওর ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসার জন্যে স্যাম্পল সাইজ হিসেবে ৫ বেশ ছোটো সংখ্যা। তবে আমি যাদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি, তাদের সংখ্যা নয়, বরং বক্তব্যটা বেশি ইন্টারেস্টিং। শুনবেন।
সামুতে গিয়ে তো আমি কিছু বলিনি রবি। আর, দেখতে পাচ্ছি গরজটা আপনারই। তা আপনি আসুন, তর্ক করি। সামুতে ডেকে নিয়ে অন্য নিকের ছাল গায়ে গালি দিয়ে মজা লুটবেন কেন?
এইবার দেখুন, আপনি উপদেশ দেয়া শুরু করেছেন, আমার কী করা উচিত। ধরে নিয়েছেন, যারা এভারেস্টে চড়েছে, তাদের সাক্ষাৎকার নিইনি। আমি কিন্তু আপনাদের আচরণ নিয়েও কৌতূহলী। আপনারা নিজেদের আড়াল করতে চাইছেন কেন, সেটাও তো বুঝতে পারছি না। আপনারা না এভারেস্টজয়ীর দোস্তো? আপনারা আমতা আমতা করবেন কেন? নির্ভীক রবি, আসেন একটা সাক্ষাৎকার হয়ে যাক।
হ্যাঁ, নেপাল বা এভারেস্ট রিলেটেড "কর্তৃপক্ষের" সাথেও কথা নিয়ে পোস্ট আসবে ।
হ্যাঁ, সচলায়তনে এটা একটা অসুবিধাই বটে। কিন্তু এটা না থাকলে, আশীফ এন্তাজ রবি কথা বলতে আসতো না, আসতো ইবনান। তাই না?
আপাতত আসি। তর্ক চলবে। কয়েক ঘন্টা ব্রেক নেন।
ব্রেন্ডানের মেইলের ব্যাপারটা যার যতটুকু বোঝার কথা বুঝে গেছে। প্রাসঙ্গিক অংশটুকু কোট করা যে আপনার স্বভাব, এটিও আমরা মর্মে মর্মে উপলদ্ধি করেছি।
আপনার এক হালি বৃত্ত নিয়েও বলার কিছু নেই। সবাই বৃত্ত পছন্দ করেছে। আমি তো রীতিমতো বৃত্তাসক্ত হয়ে গেছি। ব্লগীয় কালচারে বৃত্ত এবং ত্রিভুজ- রীতিমতো একটা কালজয়ী ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত ধারণা বৃত্ত এবং ত্রিভুজ আগামী একশ বছর টিকে থাকবে।
যাক,স্বীকার করে নিলেন যে পাঠকরা ততটা সচেতন না। কাজেই তাদেরকে বৃত্ত একে পাহাড় বুঝাতে এসেছেন।
আমি যে পোস্টের লিংক দিয়েছি, সেটা রয়ে সয়ে র ব্লগের লিংক। এখন আপনি দাবী করছেন , ওটাতে আপনার কোনও নাম নেই। রয়েসয়ে তাহলে আপনি না? আমারও তাই সন্দেহ হচ্ছিল যে আপনার একটা যমজ ভাই বোধহয় আছে....
মিথষ্ক্রিয়ার ব্যাপারে আমার বলার কিছু নাই। তবে আপনার জ্ঞানে আলোকিত এই বিশিষ্ট পর্বত বিশেষজ্ঞের ব্যাপারে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করতে চাই, তাকে পূর্ণ সদস্য করার ব্যাপারে। সে আপনার পক্ষে ডিউটি করতে গিয়ে বড়ই নাদান অবস্থায় আছে ...
আপনি মনে হয় কথা ঠিকমতো পড়তে পারেন না। এর আগে দেখলাম জুনকে জুলাই বানিয়ে দিলেন, এখন আপনার নামকে আমার নাম বানিয়ে দিচ্ছেন। এই কাজটা আপনি চোখের দোষে করেন, নাকি ইচ্ছা করেই প্যাঁচ লাগানোর জন্যে করেন, সেটাই এখন প্রশ্ন। রয়েসয়ে ব্লগে আমার প্রায়নেভারেস্ট পোস্ট: মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট বাণিজ্য পোস্টে আপনার, অর্থাৎ আশীফ এন্তাজ রবির নাম কি উল্লিখিত আছে কোথাও? থাকলে একটু দেখিয়ে দিন না। যদি না থাকে, তাহলে মনে হয় না আমার বলার কিছু আছে।
রবি ভাইয়া, আলোচ্য বিষয়ের বাইরের কথা বেশি বলে পাঠকদের মনোযোগ ভিন্ন দিকে নেওয়ার কৌশল আপাতত ত্যাগ করলে হয় না? আমরা অবিশ্বাসীরা "স্পষ্ট" প্রমাণ চাই। দেখাতে পারলে দেখান। তেমন না থাকলে বলেন, নাই। খামোখা প্রেয়ার ফ্ল্যাগ প্যাঁচানোর দরকার আছে কি?
অবিশ্বাসীদের হেদায়েত একটা উপায়েই করা সম্ভব - প্রমাণ দেখানো। তা যেহেতু পারছেন না, তাই আপনারা বিশ্বাস নিয়ে থাকুন, আমরা থাকি অবিশ্বাস নিয়ে। মিটে গেল।
রবি, আপনার কোন মন্তব্য প্রকাশিত হয়নি এমন হয়েছে কি? আমি জানি এবং জেনে বিশ্বাস করি যে সচলায়তন এ বিষয়ে ফেয়ার। আপনার কোন মন্তব্য যদি প্রকাশিত না হয়ে থাকে তো বলুন। পাঠক হিসেবে আমার জানার খুব ইচ্ছে।
অন্নপূর্ণা ৪, চুলুর ঘটনা কি? এভারেষ্টে না হোক, ঐদুইটাতে কি মুসা প্রতারনা করেছেন?
আপনার মন্তব্যে এইরকম ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
রবি ভাই,
আপনি এটা কি করে জানলেন ?
কেউ যদি হিমুর পোস্টে কমেন্ট না করে তাহলে কি সে সচল হতে পারবে না?
এখন তো দেখছি সচল হওয়ার জন্য বেশি বেশি মুসা বিরোধী লেখা দিতে হবে!
হিমুর লেখা নেভারেস্ট পড়ার আগে পর্যন্ত মুসা এভারেস্টে উঠেছে এই কথাটা আমিও বিশ্বাস করতাম। কিন্তু অবিশ্বাসের শুরু আপনাদের কাজ কাম দেখে। যেখানে এত তর্ক বিতর্ক হচ্ছে, এত সমালোচনা হচ্ছে মুসার এভারেস্ট সামিট নিয়ে সেখানে মুসা কি পারতেন না হিমুকে একটা সাক্ষাৎকার দিতে ? আপনে বা সিমু নাসেরও হিমুকে সাক্ষাৎকার দিতে চাননি। কোথাকার কোন এক আন্টি রিফাত ফারজানা এসেও হম্বিতম্বি করে নাই হয়ে গেলেন। কিন্তু আপনারা কাজের কাজ কিছুই করছেন না। অন্যদিকে হিমু ঠিকই নেভারেস্ট সিরিজ লিখছে। আর আপনারা তাকে গালাগালি করে পোস্ট দিচ্ছেন, কোথাকার কোন এক ওল্ডএজ সাংবাদিক হিমুকে ব্যঙ্গ করে নানা ধরণের লেখা লিখে আনিসুল হকের ওয়াল ভরিয়ে দিয়ে আসছেন, আপনারা হিমুকে অমুক-তমুকের বন্ধু বানাচ্ছেন! এসবে আপনাদের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না, ক্ষতি যা হওয়ার তা হচ্ছে মুসার। কারণ, যে মানুষগুলো এখনো বিশ্বাস করে মুসা এভারেস্টে সামিট করেছেন, তাদের বিশ্বাসও দিনে দিনে মিলিয়ে যাচ্ছে। কারণ, আপনারা শুধু তর্ক করছেন, ব্লগে বড় বড় মন্তব্য করছেন। কিন্তু প্রমাণ হিসেবে এমন কোনো ছবি দেখাতে পারছেন না, যেটা দেখে সব বিতর্কের অবসান হয়ে যায়। কেউ একজন সচলে এসে বললেন, মুসার কাছে অনেক ছবি আছে, তিনি একটা এক্সিবিশন করে সব দেখাবেন। কেউ একজন এসে বলেন, তার মেমোরী স্টিকের ছবি তিনি সচলের যে কাউকে দিয়ে দিতে প্রস্তুত, তারপরও মুসার এভারেস্টের ছবির মতো তিনিও গায়েব ! এভাবে আর কতদিন, আপনারা মুসার হয়ে কত উকালতি করবেন। হিমুর লেখা নেভারেস্ট পড়ার জন্য সচলের বাইরের অনেকেও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন, সাথে আপনারাও ! এটার প্রমাণ মিলে হিমুর লেখায় মন্তব্যে আপনাদের উপস্থিতি দেখে!
আপনারা কি আজ পর্যন্ত ব্যঙ্গ বিদ্রুপ ছাড়া হিমুর নেভারেস্ট সিরিজকে চ্যালেঞ্জ করে এমন কোনো একটা লেখা লিখেছেন, যেটা পড়ে আমরা বিশ্বাস করতে পারি মুসা এভারেস্টে গেছেন ?
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
__________________________________
মরণের পরপারে বড় অন্ধকার
এইসব আলো প্রেম ও নির্জনতার মতো
__________________________________
আপনার বক্তব্য যে এখানে তার ওজন হারিয়েছে তা কি আপনে বুঝতে পেরেছেন। সহপাঠী হিসাবে আপনে এখন চান ব্লগার হিমু থলের কালো বিড়াল যেন পানি দিয়ে গিলে ফেলে? তা যদি পর্বতপ্রমাণ হয় তাও। যদি আপনে এত নিশ্চিন্ত হন যে 'মু-ই' সামিট করেছেন তাহলে তো আপনাদের চিন্তার কিছু থাকার কথা না। এতদিন তো চোরের ১০ দিন আর গৃহস্তের ১ দিন বলেই জানতাম। আসলেই আপনার কথাগুলো বেশ নাটকীয় লাগল, তাই সাফির সাথে গলা মিলিয়ে বলি, "কাগুর ও ইনসুলিন কিনতে হয়" বিজয়ের কিবোর্ড বেচা টাকা দিয়ে আর সেই ইনসুলিন আমাদের পোঁদে দিয়ে দিয়ে কাগু ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বার স্বপ্ন দেখেন।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
না ভাই। সহপাঠী হিসেবে আমি সেই দাবী জানাচ্ছি, যে বিড়ালের অস্তিত্ব নেই, সেই বিড়াল গেলা কিংবা গেলানোর চেষ্টা যাতে না করে। এটা আমার সহপাঠী হিমুর জন্য সন্মানজনক হবে বলে, আমার ধারণা।
সুপ্রিয় সাংবাদিক এবং অগ্রজ নটরডেমিয়ান আশীফ এন্তাজ রবি ভাই,
ভিনদেশী পর্বতারোহীদের মুখ থেকে হলেও যদি শোনা যায় বাংলাদেশের মুসা ইব্রাহীম এভারেস্ট জয় করেছেন এবং পারিপার্শ্বিক প্রমাণসমূহ সেই বক্তব্যকে সমর্থন করে, তবে অন্য কারো কথা জানিনে- আমি (এবং আমার ধারণা প্রশ্ন উত্থাপনকারী অনেকেই) সানন্দচিত্তে মেনে নেবো শ্রদ্ধেয় মুসা ভাইয়ের অর্জন এবং বাংলাদেশী হিসেবে এই অর্জনে গর্বিত হবো। সেই ক্ষেত্রে ছবি বা ভিডিওর প্রয়োজন দেখি না- যদিও আইডিবি হতে প্রাপ্ত শতশত ছবিযুক্ত মেমোরি স্টিকের ভেতরের ছবিসমূহ কেন সাংবাদিকেরা পত্রিকায় প্রকাশ করছেন না- ভেঁতো বাঙ্গালি এবং বৃত্তাবদ্ধ মানুষ বলেই আমি হয়তো তা বুঝতে পারছি না। ...
তবে ভাইয়া, আকাশছোঁয়া পর্বত বিজয় করেছেন যে মুসা ভাই- তার নিকটজনের কাছ থেকেও আমরা হিমালয়সম উদার আচরণ প্রত্যাশা করি। প্রশ্নকারীদের প্রতি - হোক বড়ব্লগে, তবুও- নিচুমনা ব্যক্তিআক্রমণ কেবল তিক্ততাই বাড়ায়। আর কিছু বলা নিষ্প্রয়োজন।
শ্রদ্ধেয় মুসা ভাইয়ের অর্জনের ধারেকাছে যাওয়ার মত যোগ্যতা আমার মত ভেতো বাঙ্গালির নেই। তারপরেও, আমাদের এই যৌক্তিক প্রশ্নসমূহ যদি তাকে অকারণ ব্যথিত করে, তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করি।
ভালো থাকুন।
_________________________________________
সেরিওজা
রবি, আপনার নটরডেমিয়ান পরিচয়ের এমন ফালতু ব্যবহারে আমার লজ্জা লাগলো! সময় আসলেই মানুষকে অনেক বদলে দেয়...
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
সরাইয়া দিলাম।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আপনি অনুগ্রহ করে আপনার এই পোস্ট থেকে "সচলের আরেক প্রতিষ্ঠাতা ব্লগার জলদস্যূ" কথাটা তুলে নিলে আমি খুশি হব। আমি কোনভাবেই সচলের প্রতিষ্ঠাতা নই। কোন এক সময় মানুষের গালাগালির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে আমি সামহোয়্যারইনব্লগ ছেড়েছিলাম। তখন আর অন্যকোন প্লাটফরম না থাকায় আমি সচলায়তনে যোগ দেই। তবে এটার জন্য আমাকে কোনভাবেই "সচলায়তনের" প্রতিষ্ঠাতা বলা যাবে না। সচলের কোনরকম এডমিন লেভেল কাজের সাথে আমি জড়িত নই।
আমার পক্ষে সব ব্লগ ঘাটা সম্ভব নয়। তবে শুভানুদ্ধায়ীদের কাছ থেকে এ জাতীয় লিঙ্ক পেলে ক্ষ্ট পাই কারণ এই কাদা ছোড়াছুড়ির জন্যই আমি আর ব্লগে লিখি না। আশাকরি ব্যাপারটি বুঝবেন।
আপনার এই উদ্যোগের জন্যে প্রথমে ৫ খানা তারা দাগায় নিলাম, উনার কাছে কোন ছবি আছে কিনা জানতে পারলে ভালো লাগত যেখানে উনার পাশে মুসাকে দেখা যাবে।
অ:ট: আরেকদিন অপেক্ষা করলে আপনার ২ পোস্টের মাঝে সময়ের ব্যবধান হত ঠিক ৭৩০ দিন , একদিন কম পড়ে গেছে।
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
এই থার্ড স্টেপ থেকে সামিট কতটা দূরে? দূরত্বটা মনে হয় উচ্চতার তারতম্য হবে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। ব্রেনডনের সাক্ষাৎকার শোনার অপেক্ষায় রইলাম।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
ধন্যবাদ তাসনীম। থার্ড স্টেপ সামিটের ঠিক আগের ৩০ মিটার রক ক্লাইম্বিং
ধন্যবাদ তাহসিন। ব্রেন্ডান যোগাযোগ করলেই আমি ওর সাক্ষাৎকার নিব। সাক্ষাৎকারটা রেকর্ড করা যাবে কিনা আদৌ বুঝতে পারছি না।
অফ টপিক: ব্লগিং এর জন্য সময় বের করা খুব মুশকিল হয়ে পড়েছে আজকাল। কোন এক কালে ব্যাপক ব্লগিং করতাম। তবে এখন নিজে না লিখলেও প=রচুর লেখা পড়ি।
যদি কিছু মনে না করেন, আপনার পোস্টে ব্রেণ্ডানের বক্তব্যটি ঠিকমতো উপস্থাপন করা হয়নি। ব্রেণ্ডান বলেছে, থার্ড স্টেপে মুসাকে অতিক্রম করার একটা খুবই আবছা স্মৃতি তার আছে। আর মুসা যখন অচেতন, তখন মুসার শেরপা তাকে বলেছে যে মুসা সামিটে গিয়ে হয়রান হয়ে পড়েছে, তাই না? আপনি যদি ব্রেণ্ডানের মেসেজটিও পোস্টে সংযোজন করে দেন, আরো বাস্তবানুগ হয়।
উল্লেখ করা প্রয়োজন, মুসাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায়।
হিমু, আমাকে দেয়া ব্রেন্ডানের জবাবে এমন কিছু নেই। তবুও আপনার অনুরোধে আমি ম্যাসেজটি সংযোজন করে দিচ্ছি।
তাই???????? মুসাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলো। চাঞ্চল্যকর তথ্য!! একটু বিস্তারিত যদি বলেন।
না, আমি বলি আপনাকে রিয়েল তথ্য। মুসা আসলে 'ইয়ালিইইইই' বলে বেস ক্যাম্প থেকে যে দোঁড় দিয়েছিলো, সেটা শেষ করেছে একেবারে সামিটে গিয়ে। শুধু তাই নয়, মুসা কোলে করে আপনাকে আর ঘাড়ে করে জনাব আনিসুল হককে নিয়ে গিয়েছিলেন সামিটে। সেখানে সকালের নাশতা টাস্তা সেরে, বিড়ি টিরি খেয়ে, দুইটা বিয়ার মেরে তারপর আবার একই ভাবে আপনাকে কোলে আর জনাব আনিসুল হককে ঘাড়ে করে আবার 'ইয়ালিইইইই' বলে এক দৌঁড়ে নেপাল! সুতরাং আপনারা তার এই অভিযান সম্পর্কে যা বলবেন সেইটা বেদবাক্যের চেয়েও প্রতিষ্ঠিত! কোনো পাপিষ্ঠ না মানলে তার ঈমান নাই।
আর যেইসব দুষ্টুরা বলে মুসা সামিটের পথে ফিট খায়া পড়েছিলো, তাদের কথা আসলে ধর্তব্য না। এইসব ইহুদি নাছাড়ারা সারাজীবনই ঈমানদার'দের নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। পরকালে নিশ্চয়ই এদেরকে ঠুয়ায়া মুসার এভারেস্টে 'মারিয়ানা জোন্স টাইপ' দৌড়ের হাই-ডেফিনিশন ভিডিও দেখানো হবে। যেখানে দেখা যাবে মুসা'র কোল থেকে আপনি টাটা দিচ্ছেন আর ঘাড় থেকে জনাব আনিসুল হক দুই আঙুলে ভি চিহ্ন দেখাচ্ছেন!
আসেন আমরা পরকালের জন্য অপেক্ষা করতে থাকি। আলহামদুলিল্লাহ্!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমিও অপেক্ষায় থাকলাম। ব্যাপারটা না মেটা পর্যন্ত শান্তি হবে না!
--- থাবা বাবা!
জলদস্যু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। খুবই কনক্লুসিভ একটা কাজ করেছেন।আমি মনে করি ব্রেনডান আর স্টিফেন গ্রীন এবং মুসার সাথে সামিট করা মন্টেনেগ্রোর এভারেস্ট জয়ীদের সাক্ষাৎকারই (স্লাগি, ব্লেকা প্রমুখ) মুসার এভারেস্ট জয়ের পক্ষে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ হিসেবে উঠে আসবে (যেহেতু এভারেস্টের চুড়ায় মুসার তোলা ছবিগুলোকে অনেকেই কনক্লুসিভ হিসেবে মেনে নিচ্ছেনা)
ব্রেনডান যদিও বলছে তার "অস্পষ্ট" মনে আছে মুসার কথা, তবে তার এই অস্পষ্ট স্মৃতির পক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছে স্টিফেন গ্রিনের ( স্টিফেন গ্রীন মুসাকে এনার্জি জেল খাইয়ে সহযোগিতা করেছিলেন) এই ব্লগখানা। এই ব্লগ পড়লে বোঝা যায় যে তারা নামার পথে আসলেই মুসাকে পেয়েছিলেন, এবং সাহায্যও করেছিলেন। তবে গ্রিনের কথা অনুযায়ী তারা মুসাকে পেয়েছিলেন ফার্স্ট স্টেপের পাদদেশে। সম্ভবতঃ ফেরার পথে মুসার অক্সিজেন ট্যাংকের সমস্যার কারণে তিনি খুব দূর্বল হয়ে পড়েছিলেন।এই ব্লগটির ১৬ তম প্যারাটি হুবহু কোট করছি নিচে। এই প্যারার ৪,৫,৬,৮ নং ও শেষ বাক্যটি বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করে।
"The man at the bottom of the step was exhausted and could barely move. I couldn’t go down the step while he was at the bottom for fear of knocking rocks down on him. I tried to shout down to see if they wanted help, but the sherpa either didn’t hear me or was too busy trying to get his client to move. I waited for 10 minutes at the top before Brendan arrived (another member from our Adventure Peaks team). After waiting another 5 minutes we decided to descend the step. I was first at to reach the bottom and offered our help immediately. It was clear the sherpa was getting nowhere and had resulted to hitting him while we were descending the first step in a last ditch attempt to get him to move. After we had helped pull him to his feet Brendan noticed that there was a hole in his oxygen pipe which went from his mask to his cylinder. He then tried to patch it up as best he could with some duck tape from his water bottle. Even with his oxygen now flowing properly the man could only walk a couple of steps at a time before collapsing down again, even with us supporting him. I then got out my energy gels which I had and my water bottle and gave them to him in hope that it would help."
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
স্টিফেন কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে আরো একটা চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছে। আপনি যখন লিঙ্কটা শেয়ার করলেনই, তখন পাঠক পুরোটা পড়লে বুঝতে পারবেন, স্টিফেন সেকেণ্ড স্টেপে ঝাড়া দেড় ঘন্টা বসে থেকেও মুসাকে নামতে দেখেনি। বরং নেমে আসার পথে মুসাকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখেছে, যেমন দেখেছে নাইজেল উইলিয়ামসকে।
আমি স্টিফেনকে এরপর দু'বার আলাদা করে জিজ্ঞেস করেছি, সে যখন বসে ছিলো ঐ দেড় ঘন্টা, তখন মুসাকে নেমে আসতে দেখেছিলো কি না। স্টিফেন স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, সে মুসাকে নেমে আসতে দেখেনি।
স্টিফেনকে অতিক্রম করে এলে স্টিফেন অবশ্যই মুসাকে দেখতে পেতো। তাই না?
ব্যাপারটা তাহলে কেমন দাঁড়ালো? পাহাড়ের অতি সংকীর্ণ এক জায়গায় স্টিফেন ঝাড়া দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করছিলো, কিন্তু সে মুসাকে দেখতে পায়নি। এড লটনের কাছ থেকে আরেকটি অক্সিজেন বোতল নিয়ে সে যখন নিচে নেমে আসতে থাকে, তখন ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায় মুসাকে অজ্ঞান হয়ে পড়ে থাকতে দেখে। এর একটিই অর্থ, মুসা নেমে আসার পথে নয়, বরং ওপরে ওঠার পথে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো।
স্টিফেনের এই ব্যাপারটা বেশ ইন্টারেস্টিং। সেকেন্ড স্টেপ থেকে সামিট কিন্তু ৩০০ মিটার ও ট্রাভেল টাইম মোটামুটি ৪ ঘন্টা । তাই দেড়ঘন্টা সময়ে সে মুসাকে নাও দেখতে পারে। হাই অ্যালটিচিউডে ৩০০ মিটার দুরত্ব কিন্তু বিশাল ব্যাপার।
আর ব্রেন্ডানের মতে সে মুসাকে থার্ড স্টেপের গোড়ায় দেখে। তাই এ মত দুটি বেশ কনফ্লিক্টিং। ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায় কি মুসা উঠার সময় ছিল না নামার সময়?
মুসা জানিয়েছেন, তিনি মোটামুটি নেপাল সময় সোয়া পাঁচটার দিকে নামা শুরু করেন। ব্রেণ্ডান সামিট করে সাড়ে ছ'টার দিকে, মিনিট দশেক পর সে নামতে শুরু করে। আর আমাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রেণ্ডানের অনুমান, তারা আন্দাজ আটটার দিকে মুসাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখে।
স্টিফেনের বর্ণনা অনুযায়ী, স্টিফেন তার ঘন্টা দুয়েক আগে সেকেণ্ড স্টেপে চড়ে। অর্থাৎ, সকাল ছয়টা নাগাদ। মুসা এভারেস্ট থেকে নেমে আসতে আসতে অবশ্যই কমপক্ষে ঘন্টা দেড়েক লাগার কথা, যেহেতু সুস্থ ব্রেণ্ডানেরও সেরকম সময় লেগেছে। এর মানে দাঁড়ায়, মুসার ওখানে নেমে আসতে আসতে কমপক্ষে পৌনে সাতটার মতো বাজার কথা। এবং সে সময়টা স্টিফেন ঠায় বসে ছিলো সেকেণ্ড স্টেপে। নেমে আসা অভিযাত্রী আর শেরপাদের কাছে অক্সিজেন খুঁজছিলো।
তাহলে সে কেন মুসাকে দেখতে পেলো না?
যৌক্তিক উত্তর একটাই হতে পারে। মুসা নেমে আসছিলো না আদৌ। বরং উঠে আসছিলো। ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায় এসে সে অচেতন হয়ে পড়ে।
মুসার অক্সিজেন ব্যবস্থার যে বর্ণনা ব্রেণ্ডান আর স্টিফেন আমাকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে, তাতে ঐ অক্সিজেন নিয়ে মুসার সেকেণ্ড স্টেপ বেয়ে নেমে আসার ব্যাপারটা কল্পনাই করা যায় না, যেখানে ৩০ সেকেণ্ড অক্সিজেন ছাড়াই সে টিকতে পারেনি বলে জানিয়েছে।
ডুপ্লিকেট হওয়াতে নিচেরটা রাখলাম
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন উপর থেকে নেমে আসা সবাইকেই স্টিফেন লক্ষ্য করেছে? এটা কি টাকে জিজ্ঞেস করেছেন? প্লাস চুড়া থেকে যারা নেমে এসেছে তাদের সবাইকেই কি তার অবস্থান করা ঐ সংকীর্ণ অংশ দিয়েই নেমে আসতে হয়েছে? এটাও আরেকটা প্রশ্ন।
তাছাড়া স্টিফেন তখন উত্তেজিত কখন তার অক্সিজেন সিলিন্ডার আসবে সেটা নিয়ে। পাঁচ ছয়বার দশ মিনিট দশ মিনিট করে আশ্বাস দিয়েও তার শেরপারা অক্সিজেন নিয়ে আসেনি। সে সময় আসা যাওয়া করা লোকদের মধ্যে সবাইকে তার লক্ষ্য করার কথা না। তার ব্লগেও লেখা সে বিশেষ করে শেরপাদের কাছে সাহায্য চেয়েছে।
তার ওপর পাহাড় থেকে নেমে আসা এবং উপরে ওঠা সবারই মাস্কড চেহারার কারণে অচেনা কাউকে স্মৃতি হাতড়ে আইডেন্টিফাই করাও কঠিন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
হ্যাঁ, এভারেস্টে ঐ রুট দিয়ে নামতে হলে সেকেণ্ড স্টেপই একমাত্র পথ।
আমি স্টিফেনকে পরিষ্কার জিজ্ঞেস করেছি, সে মুসাকে নামতে দেখেছে কি না। অনুসন্ধানের প্রথম পর্যায়ে একবার, দ্বিতীয় পর্যায়ে আরেকবার। স্টিফেন দুইবারই জানিয়েছে, সে মুসাকে নামতে দেখেনি। আপনি ওর ব্লগ পড়লে খেয়াল করবেন, যারা নামছে তাদের সবাইকেই সে থামিয়ে প্রশ্ন করেছে। তাকে কিন্তু কোনো শেরপা রক্ষা করেনি, করেছেন এড লটন নামে আরেক পর্বতারোহী।
যে লোকটির প্রাণ আপনি রক্ষা করেছেন, তার সাথে একটু আগে দেখা হলে কিন্তু লেখাতেও উল্লেখ করার কথা। স্টিফেন তা-ও করেনি। এর অর্থ কিন্তু সেই একটি সিদ্ধান্তের দিকে অঙ্গুলি নির্দেশ করে। মুসা আদৌ নেমে আসছিলো না।
আর আরেকটি তথ্য আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন। অগ্রবর্তী বেইস ক্যাম্প থেকে রেডিওতে Bolla নামের যে লোকটি স্টিফেনকে অক্সিজেন পাঠানোর নাম করে ক্রমাগত দেড় ঘন্টা ধরে ঠকিয়েছে, সে হচ্ছে ভোলা পড়েল, অগ্রবর্তী বেইস ক্যাম্পের শেরপা সর্দার, যার সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট জয়ের প্রথম সংবাদ এসেছে। ভোলা যে খুব সত্যবাদী লোক নয়, সেটা স্টিফেনের ব্লগ পড়লেও বুঝতে পারবেন। আর এই তঞ্চকের সাক্ষ্যকেই আমরা শুরুতে প্রামাণ্য ধরে নিয়েছি।
স্টিফেনের ব্লগটা পড়লে দেখা যাচ্ছে যে কয়েকজন শেরপা আর দু'জন পরিচিত লোক যাদের নাম সে জানে তাদের কথা সে বলেছে। এখান থেকে কিন্তু এটা ডিরাইভ করা যায়না যে শীর্ষ থেকে নেমে আসা সবাইকে স্টিফেন খেয়াল করেছে। বিশেষ করে ওরকম ক্রিটিকাল অবস্থায়।
তাহলে যে সমস্যাটা তৈরী হয়ে যায় তা হলো, ঐ সময়ে শীর্ষে ওঠা সবাইকে নিজের শীর্ষারোহনের প্রমাণ হিসেবে স্টিফেন গ্রীন তাকে লক্ষ্য করেছে কিনা এই প্রমাণ দাখিল করতে হবে। ;)।
স্টিফেন কি এই দায়িত্ব নেবেন?
=======================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনি কিন্তু একটা জিনিস অস্বীকার করে যাচ্ছেন। যে লোকটিকে আপনি প্রাণে বাঁচালেন, তাকে নেমে আসতে দেখলে আপনি অবশ্যই স্মরণ করতে পারতেন, যে এই ব্যাটাকেই না একটু আগে দেখলাম নেমে যেতে? আর আপনি এটাও লক্ষ করুন, তখন অবস্থাটা ক্রিটিক্যাল ছিলো বলেই স্টিফেন যারাই নামছিলো, সবাইকেই প্রশ্ন করছিলো। ঐ সময়টায় শয়ে শয়ে পর্বতারোহী নেমে আসছিলো, এমনটাও ভাবার কারণ নেই। যে অল্প ক'জন নামছিলো, তাদের স্টিফেন স্মরণ করতে পারবে না, এটাই বা আমরা ধরে নিচ্ছি কেন? সবার কথা বা নাম সঙ্গত কারণেই মনে থাকবে না, কিন্তু যার প্রাণ আপনি রক্ষা করলেন, আর আধঘন্টা ধরে ঘাড়ে করে যাকে নামালেন, তার কথা মনে না পড়া একটু বেশি অসম্ভব নয় কি?
স্টিফেন এই পোস্টটা দিয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহে, তার স্মৃতি তখনও যে যথেষ্ঠ চাঙা, এটা তার পোস্ট পড়লেও বোঝা যায়। আমাকে স্টিফেন সাক্ষাৎকারও দিয়েছে জুনের শেষ দিকে। দুই বার প্রশ্ন করেছি, দুইবারই স্পষ্ট উত্তর দিয়েছে সে। মুসাকে নামতে দেখা নিয়ে সন্দেহ থাকলে সে তখনই জানাতো, তাই না?
এভারেস্টে সামিট করে সবাই ঐ সকালের দিকে .... স্টিফেন ঐ জায়গাটায় বসে ছিলেন আনুমানিক ছয়টা থেকে সাড়ে সাতটা, ঠিক?
কাজেই ঐদিন সামিট করা মানুষদের অধিকাংশেরই সেসময় ঐ পথ দিয়ে নেমে আসার কথা। যদিও এখনও আমি নিশ্চিত নই যে সামিটিয়ারদের নেমে আসতে হলে স্টিফেনের সামনে দিয়েই নেমে আসতে হতো -- এটা সত্যি। স্টিফেন নিজে কি এমন কোন স্টেটমেন্ট দিয়েছেন?
প্লাস, যেটা আমি বলতে চাচ্ছি তা হলো স্টিফেন কি ঐ সময়ে তার সামনে দিয়ে নেমে আসা সব পর্বতারোহীকে খেয়াল করেছে? এটা আমার কাছে এ্যাবসার্ড মনে হয়। তার ব্লগটা পড়লে আমার যে ইম্প্রেশন হয় তা হলো সে নেমে আসা শেরপা আর নিজের পরিচিতদের (যাদের নাম পর্যন্ত ব্লগে সে উল্লেখ করেছে) সাহায্য চেয়েছে। ঐ ক্রিটিকাল সময়ে তার বাকী নেমে আসা লোকদের কেয়াল করার কথা না। স্টিফেনের সাথে আপনি সাক্ষাৎকার নিলে এই জিনিসটা কনফার্ম করবেন, সে কি সবাইকে দেখেছে কিনা।
এখন আসি আপনার এই মন্তব্যের মূল যুক্তিটার প্রসঙ্গে। আপনি বলছেন সবার কথা না মনে পড়লেও যাকে এত সাহায্য করলো তার কথা তো স্টিফেনের মনে পড়ার কথা।
আমার যুক্তি হলো, মুসাকে স্টিফেন সাহায্য করেছে স্টিফেনের দেড় ঘন্টা অপেক্ষার পরে যখন সে ব্রেনডানের সাথে নিচে নামছিলো। এখন ঐ দেড় ঘন্টা অপেক্ষারত অবস্থায় যদি সে নিচে নামতে থাকা মুসাকে খেয়াল না করে, তাহলে পরে মুসাকে সাহায্য করার সময় সে কোন যুক্তিতে মুসার তাকে ক্রস করে নেমে আসকে মনে করতে পারবে? তার তো ঐ বিষয়ে কোন স্মৃতিই নেই (কারণ সে নিচে নেমে আসতে থাকা মুসাকে তখন খেয়াল করেনি, যেটা হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক)।
এখন আসি আরেকটা প্রসংগে। স্টিফেনের প্রসগঙ্গে আপনার দেয়া যুক্তিই আমরা ব্রেনডানের প্রসঙ্গে প্রয়োগ করি। ব্রেনডানও মুসাকে সাহায্য করেছে, এবং সে স্বীকার করেছে যে মুসার "ডিসটিংটিভ কমলা" রঙের স্যুটের কারণে তার আবছা আবছা মনে পড়ছে যে উপরে সে মুসাকে দেখেছে।
আপনি স্টিফেনের মুসাকে না দেখাটা যতটা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন, ব্রেনডানের সাক্ষ্যকে অতটা গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেননা কেন?
ধরা যাক দুজন সত্যবাদী লোক এক সাগরের পাড়ে বসে আছে, মৎসকন্যা দেখার জন্য। এক সপ্তাহ পর দু'জনের একজন বললো আমি দেখিনি, কিন্তু একদম পুরো ৭/২৪ সময় যে আমি সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে ছিলাম তা না। আরেকজন বললেন, তিনি এক ঝলক দেখেছেন। তখন আমরা কি ডিরাইভ করবো?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ব্যাপারটায় আরেকটু দ্বিধা কাটাতে এই মন্তব্যটাও দেখা যেতে পারে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
দেখুন ব্রেনডানের বক্তব্যে শুধু ডিসটিংটিভ কমলা রঙের স্যুটের কথা আসেনি, মুসার শেরপার সাথে তার কথাবার্তার একটা সারমর্মও জলদস্যু তুলে দিয়েছেন। অর্থাৎ মুসাকে মনে করার জন্য ব্রেনডান শুধু তার স্যুটের রঙ না, শেরপার সাথে কথোপকথনকেও উদ্ধৃত করেছেন। এটা এখন খুবই কনক্লুসিভ একটা পর্যায়ে চলে এসেছে।
তারপরও কি আপনি দাবী করবেন ঐ কমলা স্যুটের লোকটি মুসা ছিলোনা, ম্যাক্স ছিলো?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আমি তো কিছুই দাবি করছি না প্রেসিডেন্ট অফ জ্বিনস। আমি তো কেবল আপনার উদ্বৃত অংশটুকু নিয়ে বললাম। আর ব্রেনডান, মুসা'র শেরপা'র সাথে যে কথোপকথনের কথা উল্লেখ করেছে সেটা তো সামিটে ছিলো না। ছিলো নিচে। তাইলে এটা কী করে খুবই কনক্লুসিভ পর্যায়ে আসে যেখানে ব্রেনডান স্পষ্ট করেই বলেছে সামিটে ব্যক্তি মুসাকে দেখতে পাওয়ার অপারগতার কথা!
তবে হ্যাঁ, কমলা রঙের সে অবশ্যই দেখে থাকতে পারে (এবং অতি অবশ্যই খুঁটিয়ে না)। কেনো দেখে থাকতে পারে, সেটা তো উপরের মন্তব্যেই নিশ্চিত হয়েছেন। আর সেটা যে মুসা'রই জ্যাকেট, এই রকম তথ্য তো সে কোথায় দেয় নি। কিন্তু নিচে নামার সময় কমলা রঙের জ্যাকেট দেখে তার মেমরি থেকে সামিটে দেখা কমলা রঙের জ্যাকেট উঠে আসতে পারে (ব্যক্তি মুসা না) যে এই 'কমলা রঙের জ্যাকেট' তো সামিটে ছিলো!
তো ব্যাপারটা এরকম হলে কনক্লুশনটা কোন দিকে যায় প্রেসিডেন্ট ভাই?
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উঁহু বস্, সামিটে মুসাকে ব্রেনডান দেখেনি ... তার বক্তব্য অনুযায়ী সে মুসাকে দেখেছে দু'বার .... একবার তৃতীয় স্টেপে (এখানেই ঐ কমলা রঙের স্যুট আর শেরপার সাথে কথোপকথনের প্রসঙ্গ এসেছে ); আর একবার দেখেছে প্রথম স্টেপে (এই সময় সে মুসার অক্সিজেন নল ঠিক করে দিয়েছে, পানীয় খাইয়ে তাকে সতেজও করেছে)।
এই প্রথম স্টেপ আর তৃতীয় স্টেপ হলো এভারেস্টে সর্বোচ্চ এলাকা "ডেথ জোনে"র দুটো স্টেপ।
আমি ব্রেনডানের বক্তব্যটাকে খুবই গুরুত্বের সাথে নেবার পক্ষপাতি। কারণ অযথা মুসার পক্ষে কথা বলার কোন কারণ তার নেই। আবার বারবার প্রশ্নের সম্মুখীন হবার ফলে নিজের প্রাথমিক বক্তব্য থেকে সরে আসার কোন সম্ভাবনাও আমি দেখিনা। বরং প্রত্যেকবার একইরকম বক্তব্যই তার দেয়ার কথা।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
কারণ থাকতে কতোক্ষণ? বিদেশি মানেই নিঃস্বার্থ না।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বিদেশী বলে না। আমার কয়েকজন পর্বতারোহীর সাথে পরিচয় হয়েছে (এরা কেউই এভারেস্ট বিজয়ীদের লেভেলের না)। তারপরও তাদের যে স্পিরিট আমি দেখেছি বিষয়টা নিয়ে, তাতে আমি মুসা বিতর্কের বিষয়ে ফেলো শীর্ষারোহীদের সাক্ষ্যকে সর্বোচ্চ সন্মান দিবো। তাদের কাছে এ বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
বস, পর্বতারোহীরা নবী-রসূল না। স্পিরিটের ব্যাপারটা দুইদিকেই যায়। সহ-পর্বতারোহীকে সাহায্যের বিষয়টাও স্পিরিটের মধ্যে পড়ে। সাহায্যটা নানান ফর্মে হতে পারে, মিথ্যে বলাটাও এরকম একটা ফর্ম। স্পিরিটেড পর্বতারোহীদের ইতিহাস ঘাটলেই অনেক ভুয়া সামিটের উদাহরণ পাওয়া যায়।
আসলে কেউ সামিট করলো কিনা, তার প্রমাণ নিয়ে তার নিজেরই মাথা ঘামানোর দরকার। আরেকজনের মুখের কথা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ওপর দিয়ে না চালিয়ে ছবি-ভিডিওর মাধ্যমে ঝামেলাবিহীন প্রমাণ দেখানো যায়।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ছবি ভিডিও নিয়েই বা কি বলবেন?
নেভারেস্ট-১ এ কনফুর দেয়া ছবি দেখে আমি কনভিন্সড (ফ্যাব্রিকেটেড ছবি না হলে), প্রকৃতিদাও বলেছেন ছবিটা কনভিন্সিং। আবার অনেকেই কনভিন্সড না।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনি নিচের এক কমেন্টে কিন্তু গুগলে ছবি দেখে ভৌগোলিক ফিচার বিচার করতে ভরসা পান না, এমনটা বলছেন। কিন্তু মুসার একটি অস্পষ্ট ছবি দেখে আপনি কনভিন্সড। এর কারণ কী?
আমার মন্তব্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে ..... আমারই ভুল হয়েছে স্বীকার করছি ...আপনি নেভারেস্ট-১ এ গুগল আর্থ ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন এমন কিছু একটা স্মৃতিতে থাকায় এবারও আপনার মন্তব্যের পর গুগল আর্থে এভারেস্ট, ডেথজোন, সেকেন্ড স্টেপ এসব কুয়েরি ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে দেখলাম ... গুগল আর্থে এভারেস্টের বেশ ভালো ত্রিমাত্রিক ছবিও আসলো, কিন্তু বুঝলাম ওটা দেখে আমি কিছু বুঝতে পারবোনা.... ভৌগলিক ব্যাপারস্যাপার বিশ্লেষনের জ্ঞানের অভাব বলতে পারেন
যাই হোক গুগল করে ছবি দেখে বোঝার কথা বললে আপনি ওরকম দু'চারটার লিংক দিয়ে দিতে পারেন, কারন গুগল ইমেজেও খুঁজে ভালো কিছু পেলামনা
আর মুসার ছবিটিকে আমি অস্পষ্ট মনে করিনা। ছবিটা বেশ স্পষ্ট, পেছনে চোমো লোনজো দেখা যাচ্ছে পরিস্কার। এমনকি সামহোয়ারে ফিউশন ফাইভের লেখায় দেখতে পেলাম 8000ers নামের ওয়েবসাইটের এডিটর (নাম সম্ভবত এবারহার্ড) ও ছবিটিকে কনভিন্সিং বলেছেন। তারপরও অনেকেই ওটাতে কনভিন্সড নাও হতে পারে, এবং আমি সেটাকে দোষ দেইনা। তবে সেক্ষেত্রে আসলে কনভিন্সড হবার জন্য ফেলো সামিটিয়ারদের টেস্টিমোনি ছাড়া আর কোন পথ খোলা আছে বলে আমার মনে হচ্ছেনা।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনি কয়েকটা মন্তব্যে পর্বতারোহীদের স্পিরিট নিয়ে বলছেন। এইটা একটা পজিটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে বলছেন, সেটা বুঝতে পারছি। কিন্তু আপনি কি এটা বুঝতে পারছেন যে পর্বতারোহীদের যে স্পিরিট থাকার কথা, সেইটা মুসার নাই! আর আমরা যতোই সাক্ষী, দলিল তৈরী করে আনি, আমরা আনছি কিন্তু একজন এমন পর্বতারোহীর সাপেক্ষে যে আগাগোড়াই অসৎ, মিথ্যুক আর ভুয়া দাবিকারী।
এখন একজন মুসা যখন পর্বতারোহী স্পিরিটকে লাথি মেরে সরিয়ে দিতে পারে অনায়াসে, অন্য একজন শীর্ষারোহী যে এই কাজটা করবে না, সেটা আপনি নিশ্চিত হচ্ছেন কীসের ভিত্তিতে?
আমাদের কেনো অন্যকে যোগাড় করে আনতে হচ্ছে মুসা এভারেস্টে উঠেছে, এই সাক্ষ্য দিতে? কেনো মুসাকে বাদ দিয়ে তার ফেলো সামিটিয়ারদের সাক্ষ্যকে সর্বোচ্চ সম্মান দিতে হচ্ছে? একটু ভাবেন বস। রবি, আনিসুল হক- এদের মুসা'র পক্ষালম্বনের কারণটা বুঝা যায়। কিন্তু আপনি যে কেনো সাদামাটা ব্যাপারগুলো উপেক্ষা করে কনক্লুশন টেনে মুসাকে প্রায় জোর করেই সামিটিয়ার বানিয়ে দিচ্ছেন, সেটাই মাথায় ঢুকছে না!
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আর কনক্লুসিভ বলছি শেরপার সাথে ব্রেনডানের কথোপকথনের জন্য। এটা এই জন্য যে তৃতীয় স্টেপের ওখানে যখন মুসার শেরপা ব্রেনডানকে বলেছে মুসা সামিট করেছে তখন এটা ভাবা খুবই অস্বাভাবিক যে শেরপা মিথ্যে বলছে।
কারণ চাপাবাজির ফন্দি তারা করলেও সেটা অত ইন্সট্যান্ট নেয়ার কথা না। শ'খানেক মিটার নিচে থাকা অবস্থায় যদি মুসা বুঝতো যে চুড়ায় ওঠা সম্ভব না এবং নেমে যেতে থাকতো তাহলেও তখন সাথে সাথেই শেরপাকে সে মিথ্যে বলানোতে কনভিন্স করে ফেলেছে এটা ভাবা অবান্তর। আর যদি কেউ বলে যে বেসক্যাম্প থেকে রওনা দেয়ার আগেই তারা ফন্দি করেছে যে সামিট করতে না পারলে চাপা মারবে, তাহলে হাসা ছাড়া কিছু করার নেই। তবে আমি মনে করি তার এত দূর্বল/অসৎ মাইন্ডসেটের লোক অযথা ডেথ জোনের তৃতীয় স্টেপ পর্যন্ত যাবার রিস্ক নেবেনা, সে যদি জানেই যে সে সার্টিফিকেট/শেরপার সাক্ষ্য পাবে তাহলে সে কেন অযথা অত উপরে মরতে যাবে?
স্টিফেন গ্রিনের বক্তব্য থেকে বোঝা যায় মুসা মরতে বসেছিলো। এমনকি মুসার নিজেরও খেয়াল নেই তার অবস্থা কতটা ভয়াবহ ছিলো। কারো যদি আগে থেকেই অসৎ পরিকল্পনা থাকে তাহলে তার এভাবে মরতে নামার কথা না।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনার স্টেটমেন্টগুলো দেখুন। কিছু অ্যাজামশন আপনি স্বতসিদ্ধ বলে ধরে নিয়েছেন। শেরপা কৈলাস তামাং এর আগে অন্নপূর্ণা-৪ এর অসঙ্গতিপূর্ণ অভিযানেও কিন্তু সাক্ষ্য দিয়েছিলো। শেরপাদের সহযোগিতা ছাড়া তো মুসার কোনো দাবিই করা সম্ভব নয়। তাদের কেন আমরা দুধে ধোয়া তুলসী পাতা ধরে নেবো?
আপনি যে ব্যাপারটা নিয়ে "হাসা ছাড়া কিছু করার নাই" বলছেন, সে ব্যাপারটা চুলু ওয়েস্টে ঘটেছে, লাংসিসা রি তে ঘটেছে, অন্নপূর্ণা ৪ এ ঘটেছে। এভারেস্ট ব্যতিক্রম হবে কেন?
আপনি আরো একটা জিনিস খেয়াল করছেন না। ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায় মুসাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেছে। ওখান থেকে রক ক্লাইম্বিং শুরু হয়। রক ক্লাইম্বিং তো শুরুই করতে পারেনি সে।
শেরপাদের ব্যাপারে আমি কিন্তু বলছি যদি আগেই ফন্দি থাকতো যে তারা মিথ্যে বলবেন তাহলে অত উপরে মরার জন্য উঠতে যাবেন কেন? আপনি যে সন্দেহগুলো করছেন, সেগুলো সত্য হলে এভারেস্টে ওঠার সার্টিফিকেট ডাঙায় বসেই পাওয়া যায়। তাহলে মরতে যাবে কেন তারা? বরং উপরে উঠলে এমন কিছু সাক্ষী থেকে যেতে পারে যারা বলবে মুসাকে আমি অমুক জায়গা থেকে হাল ছেড়ে নেমে যেতে দেখেছি।
আর আপনি বলছেন মুসা প্রথম স্টেপে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলো। আর স্টিফেন বলছে সে ভীষন ক্লান্ত ছিলো, সমান্যই চলতে পারছিলো। দুটো বক্তব্যে ফারাক আছে।
আর এ ব্যাপারে স্টিফেনের ব্লগেই ব্যাখ্যা দেয়া আছে। ব্রেনডান মুসার অক্সিজেন নলে ফুটো পেয়েছিলো, সেটা ঠিক করে দেয়ার পর আর এনার্জি জেল/পানীয় খাওয়ানোর পর মুসা ঠিকই হাঁটা শুরু করেছে। এভাবে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে কেন যে, মুসা নামার সময় তার অক্সিজেন নলে ছিদ্র হওয়ায় তিনি অক্সিজেন পাননি, প্লাস পিপাসার্ত থাকায় ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? মুসার সাক্ষাৎকারও কিন্তু এই ব্যাখ্যার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
দুটো কারণ। প্রথমত, জুন মাসে আমার নেয়া সাক্ষাৎকারে ব্রেণ্ডান বলেছে মুসার অক্সিজেন পাইপ জমে গিয়েছিলো, সে সেই বরফ সরানোর পর প্রকাণ্ড এক ফুটো বেরিয়ে পড়ে, যেটা সে ডাক টেপ দিয়ে ঠিক করে দিয়েছিলো।
দ্বিতীয়ত, মুসা নিজেই পত্রিকায় লিখেছিলেন, ওপরে ওঠার সময় তার অক্সিজেন পাইপ ৩০ সেকেণ্ডের জন্যে ফুটো হয়ে যায়, এবং সে সময় তিনি খাবি খাচ্ছিলেন। শেরপারা নাকি সেটা ধরতে পেরে দ্রুত সেটা ঠিক করে ফেলে। এ নিয়ে আরো অসঙ্গতি আছে, বিস্তারিত লিখবো।
আমার প্রশ্ন, যার পাইপ ৩০ সেকেণ্ডের জন্যে ফুটো হলে তিনি শ্বাস নিতে পারেন না, হাপরের মতো হাঁপাতে থাকেন, তিনি কীভাবে থার্ড স্টেপ, সেকেণ্ড স্টেপ আর ফার্স্ট স্টেপ ডাউনক্লাইম্ব করেন? মুসার পাইপের ফুটো যেহেতু বরফে জমে গিয়েছিলো, এ কথা পরিষ্কার যে বহুক্ষণ ধরেই সেটা ফুটো হয়ে ছিলো, ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায় এসে হয়নি। আর এটাও বলুন, যে শেরপা রাতের আঁধারে সেকেণ্ড স্টেপের মতো ভয়ানক একটি জায়গা পার হয়ে ৩০ সেকেণ্ডের মাথায় মুসার ফুটো হয়ে যাওয়া পাইপ সারাতে পারে [কী দিয়ে সারিয়েছিলো, আমরা জানি না কিন্তু], সে কেন দিনের আলোয় মুসার পাইপের একই সমস্যা ধরতে না পেরে তাকে চাঙা করার জন্যে চড় মারছিলো?
আরেকটা ব্যাপার। শেরপার সাথে ব্রেণ্ডানের কথোপকথন কিন্তু থার্ড স্টেপের কোথাও নয়, ফার্স্ট স্টেপের গোড়ায়।
আমি ব্রেণ্ডানের কথাকে গুরুত্বের সাথেই নিচ্ছি, কিন্তু তার কথার পুরোটুকুকে। ব্রেণ্ডান বলেছে, তার একটা Vague Memory আছে যে কমলা জ্যাকেট পরা কাউকে সে থার্ড স্টেপের কাছে নেমে আসতে দেখেছে, যখন সে উঠছিলো, অর্থাৎ যখন একজন আরেকজনকে পাশ কাটায়। ব্রেণ্ডান এখন বলছে, It's all a bit hazy। আর যখন জুন মাসে আমি তার সাক্ষাৎকার নিয়েছি, সে পরিষ্কার জানিয়েছে, মুসাকে সে উদ্ধারের আগে দেখেনি কোথাও। এখন তার এই স্টেটমেন্টের পেছনে যে আমাদের সাংবাদিকদের চাপ আছে, সেটাও বোঝা যায় তার কথা থেকে।
থার্ড স্টেপ থেকে সামিটে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগে, দুই থেকে তিন ঘন্টা। ব্রেণ্ডানের সামিট সময় হচ্ছে সাড়ে ছয়টা, কাজেই সে ওঠার সময় মুসাকে নেমে আসতে দেখলে থার্ড স্টেপের কাছে মুসাকে দেখার কথা সাড়ে চারটার সময়। কিন্তু তখনও তো মুসাই সামিটেই পৌঁছায়নি! আর কমলা রঙের জ্যাকেট কি কেবল মুসাই পরে?
আর স্টিফেনের কথাটাকে গুরুত্বের সাথে নিচ্ছি, কারণ সে যারাই নেমে আসছিলো, তাদেরই সে থামিয়ে চেক করছিলো। স্টিফেন যে সময় বসে ছিলো, ঐ সময় প্রচুর সংখ্যক পর্বতারোহী ভিড় করে নেমে আসছিলেন, এমনটা আপনি ধরে নিচ্ছেন, আর সেই ভিড়ে মুসাকে গুঁজে দেয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু ব্যাপারটা কি আসলেই তাই? সেদিন সামিট ওয়েভের একটা বড় অংশই ছিলো সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে আটটার মধ্যে, অর্থাৎ পর্বতারোহীদের একটা বড় অংশ নেমে আসছিলো আনুমানিক সকাল সাড়ে আটটা থেকে দশটার মধ্যে [সামিট থেকে ফার্স্ট স্টেপ পর্যন্ত নামার সময় ধরে], অর্থাৎ মুসা-উদ্ধার পর্ব শেষ হবার পর। আর আপনি বলছেন, স্টিফেন শুধু তার চেনা মানুষদের নাম উল্লেখ করেছে। খুবই স্বাভাবিক, নাম না জানা থাকলে সে উল্লেখ করবে কীভাবে? কিন্তু নাম উল্লেখ না করার মানে তো এ-ই নয় যে সে লোকটাকে দেখেনি। আমি এ কারণেই স্টিফেনকে দুইবার জিজ্ঞেস করেছি। দুইবারই সে খুব দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছে, মুসাকে সে নেমে আসতে দেখেনি।
আপনি বার বার চেষ্টা করছেন ব্যাপারটাকে এভাবে সাজাতে, যে স্টিফেন নেমে আসা মানুষদের খেয়াল করছিলো না। আপনার এমনটা মনে হবার কারণ কী? সে তখন একটা সংকীর্ণ পথের ওপর বসে আছেন অক্সিজেন ফুরিয়ে আসছে। এমন সময় যারা নামছে, প্রত্যেককে সে থামিয়ে অনুরোধ করছে অক্সিজেনের বোতলটা চেক করতে। আপনার কি মনে হয় না, সেখানে সে কাদের দেখেছে, আর কাদের দেখেনি, সেটা সে মনে রাখতে পারবে? এভারেস্ট তো কোনো বাজার না, একসঙ্গে অনেক লোকও চলতে পারে না নর্থইস্ট রিজের ওপর দিয়ে। একজন একজন করে নেমে আসে, তাদের আপনি থামাচ্ছেন, কথা বলছেন। তাদের কেউ পরে বিপন্ন হলে আপনি অবশ্যই মনে করতে পারবেন যে এই লোকটাকে কিছুক্ষণ আগে আপনি থামিয়েছেন। আপনি বলছেন সে খেয়াল করছিলো না। খেয়াল করবে না কেন? ওখানে তো প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার জন্যে বসে থাকেনি সে, অপেক্ষা করছিলো মানুষের জন্যেই। কাজেই যারা এসেছে, তাদের সে মাত্র এক থেকে দেড় ঘন্টা পর আবার দেখলে চিনবে না, এটার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। স্টিফেনের অন্যমনস্কতার ওপর আপনি ঠিক কী কারণে জোর দিচ্ছেন?
আরও একজন সাক্ষী পাওয়া গেছে, যে বলছে সে যখন এভারেস্টে ওঠে, মুসাকে ওঠার পথে কোথাও দেখেনি, কিন্তু সে নিজে নেমে আসার পথে অত্যন্ত ক্লান্ত অবস্থায় খুব মন্থর গতিতে চলতে দেখেছে বেস ক্যাম্পের পথে, সকাল এগারোটা থেকে সাড়ে এগারোটার মধ্যে। সে মুসাকে নাম ধরেই চেনে।
মুসার আরোহণ আর অবরোহণ নিয়েও প্রচুর প্রশ্ন আছে, সেগুলোর উত্তরও তার কথা থেকে মেলে না। এগুলো নিয়েও আলোচনা করবো।
সাংবাদিকদের চাপে ব্রেনডান কথা বলছে এটা আপনি বলছেন কিসের ভিত্তিতে?
ব্রেনডান কমলা জ্যাকেটের প্রসঙ্গে বলেছে আবছা মনে থাকার কথা, কিন্তু শেরপার সাথে তার কথোপকথনের কথাও উল্লেখ করেছে। এটা থেকে কি বোঝা যায়না ব্রেনডান মুসা আর তার শেরপাকে ক্রস করেছে? থার্ড স্টেপে কয়টার সময় এসব হয়তো তাকে আরো জিজ্ঞেস করলেই জানা যাবে।
স্টিফেনের ব্যাপারটায় আপনি নিজেই কেন বারবার বলছেন সে নিচে নেমে আসা সবাইকে জিজ্ঞেস করছিলো? সে তো এমন কোন কথা তার ব্লগে লেখেনি! সে কয়েকজন শেরপার কথা উল্লেখ করেছে আর দু'জন আরোহীর কথা যাদের নাম সে জানে। ঐ সময় সে বেসক্যামচের সাথে রেডিও করা নিয়ে বেশ ব্যস্ত ছিলো, সেটাও তার ব্লগটা পড়লে বোঝা যায়। এমন অবস্থায় কেন আপনি এটা মানতে পারছেননা যে নিচে নামতে থাকা অনেক লোককে সে ওভারলুক করতে পারে?
আর তিনি যে জায়গাটায় অপেক্ষা করছিলেন, নিচে নামতে থাকা সবাইকে যে ঠিক সেই জায়গা দিয়ে তার চোখের সামনে দিয়েই আসতে হয়েছে -- এটা আপনি কোথায় পেলেন? তিনি তার ব্লগে এমন কিছুই লেখেননি। তিনি বলছেন,
এখানে কোথায় বলা আছে যে খুব সংকীর্ণ একটা জায়গায় তিনি ছিলেন?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ব্রেণ্ডান লিখেছে, আরো অনেক সাংবাদিক তার সাথে যোগাযোগ করে বারবার এ ব্যাপারটা নিয়ে জানতে চাইছে। ব্রেণ্ডান ব্যাপারটা নিয়ে বিব্রত, এটা বুঝতে পেরেছি। সে পরিষ্কারভাবেই এই বিতর্কে জড়াতে চাচ্ছে না নিজেকে।
আপনাকে একটা প্রশ্ন করি, আপনি কি সেকেণ্ড স্টেপের কোনো ছবি দেখেছেন? জায়গাটা কী রকম, কীভাবে উঠতে হয়, জানেন? ওটা তো মানিক মিয়া এভিনিউ নয়, যে এক কোণায় আপনি বসে পড়লেন, আর অন্য কোণা দিয়ে কেউ চলে গেলে দেখতে পাবেন না। গুগল মেরে একটু দেখে নিন, সেকেণ্ড স্টেপ জায়গাটা কেমন, সেটা অতিক্রম করে কেমন পথ পাওয়া যায়। যদি ছবি দেখে নেন, তাহলে বুঝতে পারবেন, কেন সবাইকে স্টিফেনের চোখের সামনে দিয়ে আসতে হয়েছে। নর্থইস্ট রিজ রুটে ওটা একটা বটলনেক।
আমার গুগল করে ভৌগলিক ফিচার দেখে বিচার করার ব্যাপারে ভরসা নাই।
এর চেয়ে ভালো হয়, আপনি যেহেতু স্টিফেনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন তাই আরেকটি সাক্ষাৎকার নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করুন যে, সেকেন্ড স্টেপ পার হয়ে উপরে উঠে যখন সে একটা সুইটাবল জায়গায় বসে অক্সিজেন সিলিন্ডার চেক করছিলো তখন,
১) নিচে নেমে আসতে থাকা সবাইকে তার সামনে দিয়েই যেতে হয়েছে কিনা?
২) নিচে নেমে আসতে থাকা সবাইকে সে খেয়াল করেছে কিনা?
ব্যস তাহলেই হবে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনি যদি পর্বতারোহীদের তোলা ছবি দেখে সেকেণ্ড স্টেপের ওপর ভরসা করতে না পারেন, তাহলে মুসার ছবি দেখে সামিটের ওপর ভরসা করছেন কীভাবে ?
আরো কয়েকজন সাংবাদিক ব্যাপারটা নিয়ে ব্রেনডানের কাছে জানতে চাওয়াতে সে তৃতীয় স্টেপে মুসাকে দেখতে পাওয়ার আবছা স্মৃতি বা মুসার শেরপার সাথে কথোপকথনের গল্প করে নতুন করে তৈরী করেছে -- এ ধরনের কোন ইনফারেন্স কি আসলেই ভিরাইভ করা যায়?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
যায়। কারণ ব্রেণ্ডান ঘটনার দুই সপ্তাহের ভেতরে নেয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলো, সে মুসাকে দেখেনি। মুসার বন্ধুরা যদি তাকে মুসার রেপুটেশনের কথা স্মরণ করিয়ে মেইল করে, বেচারা তো ইতস্তত করবেই। যে লোক মুসার প্রাণ বাঁচিয়েছে, সে তো অনিশ্চিত থাকলে বেনেফিট অব ডাউট দেবেই।
মুসার প্রাণ বাঁচিয়েছে বলে তার শীর্ষারোহনের পক্ষেও মিথ্যে বলবে -- এটা মানতে পারলামনা।
বরং আপনার এ্যাজাম্পশন মেনে নিয়ে যদি ধরেও নিই অনেক বেশী ইনকোয়ারির ফলে ব্রেনডান অস্বস্তি বোধ করছিলো, এবং নিজেকে বেশী জড়াতে চাচ্ছিলোনা, তাহলে তার এমন একটা উত্তর দেয়ার কথা যেটা ডিসাইসিভ না। এখন দেখুন, "মুসাকে উপরে দেখিনি" বললে ব্যাপারটা ডিসাইসিভ হয়না, কারণ সে নিশ্চয়ই সবাইকে দেখেনি। কিন্তু "মুসাকে উপরে দেখেছি" বললে ব্যাপারটা ডিসাইসিভ হয়ে যায়। কাজেই এড়াতে চাইলে সে বরং "দেখিনি"ই বলতো। জুন মাসে আপনি তাকে কি জিজ্ঞেস করেছিলেন সেটার কনক্রিট বর্ণনাটা তুলে দিন (অডিও বা টেক্সট লগ), তাহলে হয়তো বোঝা যাবে আসলে সে কি মিন করেছে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আশা করবো দ্রুতই মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট দেখতে পাবো। তবে, ফোনে সাক্ষাৎকারের বিষয়টা আপনি এইভাবে পাবলিকলি জানিয়ে দিলেন কেন? যে মুসা-গং সভাসমাবেশে সম্মানী হিসেবে ৫লাখ টাকা দাবী করতে পারে, তারা তো টাকা দিয়ে ও'ম্যাহনির বক্তব্যও পাল্টে দিতে পারে। এইটা তো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ! আপনি সবকিছু গুছিয়ে তারপর ময়দানে নামলে ভালো হত বলে মনে হয়। যা-ই হোক, আপনার প্রতি শুভকামনা থাকলো।
ভাই আমি চেষ্টা করব ব্রেন্ডানের ফেস টু ফেস ইন্টারভিউ নেয়ার। দেখা যাক, কাজ হয় কিনা। ব্রেন্ডান এত রেগুলার ফেসবুকার না। অন্য কোন মাধ্যম দ্বারা ব্রেন্ডানের কাছে পৌছানো সহজ বলে আমি মনে করি না।
আপনি যদি যোগাযোগ করতে পারেন, তাহলে আপনার এইটা মনে হওয়ার কারণ কি যে মুসা চাইলে ব্রেন্ডানের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে না? আপনি যেভাবে তার কাছে পৌছেছেন মুসাও একইভাবে পৌছাবে। আর গুরুত্বের দিক দিয়ে মুসার যোগাযোগ আপনার চেয়ে বেশী ভ্যালু রাখবে বলেই মনে হয়!!!
মুসার এভারেস্ট বিজয় নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে Bleka, Slagi ও Djokoe-এর সাথে যোগাযোগ করা হলে Bleka যে ইমেইলটি পাঠান তার কয়েকটি লাইন হচ্ছে-
পাশাপাশি আমরা Lal Bahadur Jirel-কে অনুরোধ করি তিনি সে সময় মুসার কোনো ছবি বা ভিডিও তুলে থাকলে সেটি পাঠানোর জন্য। ওই ইমেইলের জবাবে Lal Bahadur Jirel যে উত্তর দেন, তার কয়েকটি লাইনও নিচে তুলে দিলাম।
×
এসব ত্যানা পেঁচানি দেখতে দেখতে বিরক্ত। মুসা কী দুর্ভাগ্য নিয়ে জন্মেছে জানি না! তবে তার এভারেস্ট বিজয় কিছু মানুষের ভাত মেরে দিয়েছে সেটা বুঝতে পারি। মঞ্চের পেছনের কুশীলবদের কথা যদি উন্মুক্তভাবে বলতাম তাহলে কী শান্তিটাই না পেতাম!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মন্টেনেগ্রানদের ভিডিও স্টেটমেন্টটা আসলে খুবই চমৎকার হবে। বিতর্কটা একটা ডেড-এন্ডের দিকে চলে যাচ্ছিলো, সেটা থেকে একটা কনক্লুসিভ দিকে টার্ণ নেবে।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আরো কনক্লুসিভ হতো যদি মন্টেনেগ্রানের পাশে মুসার ছবি দেখা যেতো। আমাদের কপাল খারাপ, মুসার এভারেস্টের ভিডিও না দেখে দেখতে হচ্ছে "আমরা কইতেছি মুসা এভারেস্টে উঠছে" ভিডিও ।
কিন্তু তিনজন মন্টেনেগ্রানের ভুয়া স্টেটমেন্ট দেয়াতে কোন স্বার্থ নেই, বিশেষ করে পর্বতারোহীদের স্পিরিট সম্পর্কে আমার যে সামান্য আইডিয়া আছে তা থেকে বলতে পারি স্টেটমেন্ট ভুয়া হবার সম্ভাবনা শূণ্য।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
ওদের স্টেটমেন্ট আসার পর আমি এ ব্যাপারে একটা তথ্য জানাবো । এখন বললে স্টেটমেন্টটার ধরন ঢাকা থেকে ফরমায়েশ করে বদলে দেয়া হতে পারে।
তথ্যটা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে জানাতে পারেন। আমি ওটার সম্মান রাখতে পারবো, এটুকু কথা দিতে পারি।
আর সেটাকে যদি রিস্ক মনে করেন, তাহলে কোন ধরনের কোডিং করে এখানে মন্তব্যে তুলে রাখতে পারেন, যাতে পরে আপনি কোড ভেঙে সেটা প্রমাণ করতে পারেন।
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এত কষ্ট করে প্রমাণ করতে হবে না । আরো সহজেই প্রমাণ করতে পারবো।
"your" দেখে বুঝলাম, মেইল দুইটা মুসারই করা।
জ্বি, তাতে কোনো সমস্যা আশা করি নেই। ইমেইলটি লেখার সময় আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম এবং কী লেখা হবে তাও বলে দিয়েছিলাম। যেহেতু তাদের সাথে আমার সরাসরি কোনো যোগাযোগ নেই, তাই মুসাকে দিয়েই ইমেইলটি পাঠানো হয়েছিল। তাদের জবাব স্পষ্ট।
যা হোক, আমি জলদস্যুর আপডেটের অপেক্ষায় আছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
মুসার কাছে তাদের ইমেইল ঠিকানা যখন আছে, তখন এটাই ধরে নেয়া স্বাভাবিক যে এ ব্যাপারে আগেও যোগাযোগ হয়েছে, তাই না? চার মাস পর মুসা সাক্ষী যোগাড় করছেন, তারপরও ছবি আর ভিডিও দিচ্ছেন না।
একটা সময় ছিলো যখন ছবি তোলার হাঙ্গামা বিরাট ছিলো বলে সাক্ষ্যের একটা বিরাট ভূমিকা ছিলো পর্বতারোহণের দাবি যাচাইয়ে। এখন সবার পকেটে পকেটে ক্যামেরা আর ভিডিও ক্যামেরা। আপনি ছবি দেখাবেন না, বরং মন্টেনিগ্রো থেকে সাক্ষী যোগাড় করে আনবেন ... কেমন না ব্যাপারটা?
গৌতম, আপনাকে মুসা কি বৌদ্ধমূর্তির সাথে তোলা ছবি দেখিয়েছে? মনে হয় না। একটা বিষয় পরিষ্কার। এভারেষ্টের চূড়ায় বৌদ্ধমূর্তির সাথে মুসার কোনো পরিষ্কার ছবি বা ভিডিও নেই। থাকলে মুসার পক্ষ থেকে দূরদেশী ওই তিনজনকে এতদিন পর মেইল করে স্টেটমেন্ট রিকোয়েষ্ট করার প্রয়োজন পড়তো না।
জ্বি ফারুক ভাই, আমি দেখেছি। তবে পরিষ্কার ছবি বলতে আপনারা কী বুঝান সেটা আমার কাছে স্পষ্ট নয়। মুসা প্রেয়ার ফ্ল্যাগ সরিয়ে ছবি তুলে নি। সুতরাং সেরকম ছবি থাকার প্রশ্নই আসে না। প্রেয়ার ফ্ল্যাগসহ যে ছবিগুলো তোলা হয়েছিল, সেগুলো ইতোমধ্যেই নেটে আছে। ধারণা করি, আপনিও সেগুলো দেখেছেন।
আর কী পরিপ্রেক্ষিতে লজ্জ্বার মাথা খেয়ে সহঅভিযাত্রীর কাছে স্টেটমেন্ট রিকোয়েস্টের প্রয়োজন পড়ে, সেটা তো বুঝতেই পারেন। তারপরও যখন সহঅভিযাত্রীর বক্তব্য অবিশ্বাস করা হয়, তখন নিশ্চয়ই এসব বিষয়ে আর কথা বলতে ইচ্ছে করে না!
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম, আপনি কিসের ভিত্তিতে মুসার এভারেস্ট জয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন সেটা কি আমাদের জানাবেন? আমাদের ও তো নিঃশংকচিত্ত হতে ইচ্ছে করে, তাই না?
আরেকটা কথা, আপনি যাকে ত্যানা প্যাচানি বলে রায় দিলেন সেইসব যুক্তির অসারতা বা সত্য/অসত্য সম্পর্কে কি একটু আলোকপাত করবেন? আপনি বেশ বিরক্ত বুঝতে পারছি কিন্তু এই সচলায়তন থেকেই কিন্তু আমি মুসার এভারেস্ট "বিজয়ের" সংবাদ পাই - এ উপলক্ষে একটা ব্যানার ও টানানো হয়েছিল বলে মনে পড়ে। এর পরে যাই হোক না কেন তার এভারেস্ট জয় নিয়ে প্রশ্ন ঊঠেছে। এই প্রশ্ন করাটাকে কি আপনি অনৈতিক বা পরাধিকার চর্চা মনে করেন? বাংলাদেশ যাকে নিয়ে গর্ব করতে চাচ্ছে একজন বাংলাদেশী হিসেবে সেই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করতে দিবেন না? আপনি শিক্ষা বিষয়ক একটা সাইট পরিচালনা করেন, শিশুদের পাঠ্যপুস্তকে যেই বিষয় আর দুদিন পরে অন্তর্ভুক্ত হবে তা নিয়ে কি প্রশ্ন করার অধিকার আমাদের নেই?
মুসার সঙ্গে আপনার ব্যক্তিগত পরিচয় আছে মন্তব্য থেকে ধারণা করছি। উপরে রবি সাহেব মুসার যেই চিত্র এঁকেছেন, তার সাথে বাস্তবের মুসার কতখানি মিল আছে একটু বলবেন কি?
নেভারেস্ট লেখার অপরাধে গৌতম আমাকে ফেসবুক থেকেও ত্যাজ্যবন্ধু করেছেন ।
ব্যাপারটা এরকম ব্যক্তিগত পর্যায়ে চলে গেছে জেনে খারাপ লাগছে। আধুনিক মানুষের এমন হওয়া উচিত নয়। আলোচনা হবে, তর্ক হবে, যুক্তি-পাল্টা-যুক্তি হবে, কিন্তু তা যেন বন্ধুত্বকে খাটো করে না ফেলে।
পিপি'দা আপনার বক্তব্যে সহমত। কেউ যখন লেখার দ্বিমতকে ব্যক্তিগত ভাবে নিয়ে ফেলে তখন সেটা সমস্যাই। সমস্যা হল একই অপরাধে হিমু নিজেও অপরাধী। হিমুর আপত্তিকর মন্তব্য ও লেখায় দ্বিমত জানানোর কারণে হিমু নিজেও আমাকে এবং সচল জাহিদকে তাজ্যবন্ধু করেছে। তাতে আমার কিছু আসে যায় না। কিন্তু একই কাজ যখন আরেকজন করে তখন সে সেটা যখন সচলে সবাইকে জানায় তখন নিজের দায়িত্ব পড়ে আমার ঘটনাটাও জানানো। আশা করি এটাকেও হিমু ব্যক্তিগত ভাবে নিবে না। আমিও মনে করি একজন আধুনিক মানুষের এমন হওয়া উচিত নয়। যা হোক হিমুর নেভারেস্ট এর শেষ পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তাই সেই বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নেই।
এটা জেনেও মন খারাপ হলো।
স্বাধীন ভাই, যদিও একবার বলেছি, তারপর আবারো বলি- হিমুকে আমি ফেসবুক থেকে বাদ দিই নি। কাজটা তিনিই করেছেন। বিস্তারিত পিপিদার মন্তব্যের জবাবে দিয়েছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
পিপিদা, আমি নিজে আধুনিক মানুষ নই, বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অনাধুনিক। কিন্তু শুধু হিমুর কথা শুনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলাটা কি ঠিক হলো? আমি হিমুকে ফেসবুক থেকে বাদ দিই নি, হিমু নিজেই আমাকে বাদ দিয়েছেন। নিচে স্বাধীন ভাই যেটা লিখেছেন, আমি ধারণা করি, ওই সময় হিমু আমাকেও বাদ দিয়েছেন। যদি সেটা হয়, তাহলে ধারণা করি হিমুর একটা পোস্টের একটা লাইন নিয়ে আপত্তি জানানোর কারণে আমাকে বাদ দিয়েছেন তিনি। আর যদি সেটা না হয়, তাহলে পরবর্তী কোনো সময়ে তিনি আমাকে বাদ দিয়েছেন।
বিষয়টা ধরতে পারি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকের কোনো এক সময়ে। কী একটা লিঙ্ক শেয়ার করতে গিয়ে দেখি, আমি তার ফ্রেন্ডলিস্টে নেই। সে সময় ব্যথিত হয়ে ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাসও দিয়েছিলাম। চাইলে আপনি সেটা আমার প্রোফাইলে দেখতে পারেন।
আমি হিমুর এই কমেন্ট পড়ে ব্যথিত, হতভম্ব, স্তম্ভিত। আমার আর কিছু বলার নেই। হিমুকে আমি লেখক হিসেবে পছন্দ করি, রাজাকার-স্বাধীনতাবিরোধী একজন অ্যাকটিভিস্ট হিসেবে পছন্দ করি, তার বিশেষত রম্য এবং গোয়েন্দা সিরিজের ভক্ত। কিন্তু তার এই মন্তব্য পড়ে বিস্মিত। একজন পাঠক হিসেবে তার এই লেখাগুলো আমি এখনো পড়ে যাবো, কিন্তু একজন ব্লগার বা মন্তব্যকারী হিসেবে আমি আর কখনো হিমুর কোন লেখায় মন্তব্য বা মন্তব্যে প্রতিমন্তব্য করবো না। এটাকে আমার ব্যক্তিগত সীমাবদ্ধতা, অভিমান, ক্ষোভ, কষ্ট- যা ইচ্ছা ভাবতে পারেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গৌতম,
আমার মন্তব্যে আপনি হয়তো আহত হয়েছেন। সেজন্য আমি দু:খিত, এবং খারাপ লাগছে। আমি কিন্তু স্বাধীন ভাইয়ের মন্তব্যেও একই সুরে কথা বলেছি। আর হিমুর মন্তব্যে আমি যা বলেছি সেটা (মনে প্রাণে) যা বুঝিয়েছি তা হলো আমাদের সবারই এই ধরনের মানসিকতা থাকা উচিত; ঠিক হিমুর দাবীর প্রেক্ষিতে আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলা নয়। আশা করি আমার মন্তব্য আপনি বিশ্বাস করবেন।
আমি এও চাইবো হিমু এবং আপনি, হিমু এবং স্বাধীন ভাই কিংবা হিমু এবং জাহিদ-- আপনারা আবার ফেসবুকে বন্ধু হবেন। বাদ দেয়া-দেয়ি যদি ভুলবোঝাবুঝি থেকেও হয়ে থাকে, এর মাধ্যমে সেটাও দূর হবে। আমি মনে করতে চাইবো যেই বাদ দিক না কেন সেটা হয়তো সাময়িক মাথা গরমের ফলে হয়েছে। রাগ করে কোন কিছু করা ঠিক নয়।
হিমু যদি অসত্য বক্তব্য দিয়ে থাকে, তাহলে আমি বলব-- খুবই কষ্ট পেলাম। কে সত্য আর কে মিথ্যা বলছে সেটা নিরূপণ করা কঠিন। বরং আমি বিশ্বাস করতে চাইবো এটা কোন এক ভুল বোঝাবুঝির ফল। আর আপনি যে অভিমান থেকে বলছেন হিমুর লেখায় মন্তব্য করবেন না, সেটা থেকে অচিরেই সরে আসবেন-- এমনটাই আশা করছি। ভালো থাকবেন।
আপনার অভিযোগ সত্য নয়। আপনার সাথে আমার ফেসবুকে সবসময়ই সৌহার্দ্যপূর্ণ যোগাযোগ বজায় ছিলো। আমি আইসিএসএফের একটি ব্যাপারে আপনাকে মেসেজ করতে গিয়ে দেখি আপনি আমার বন্ধু তালিকায় নেই। এবং সেটিও সম্ভবত নেভারেস্টের দ্বিতীয় পর্ব লেখার পর। আমি রায়হান রশীদকেও মন খারাপ করে ব্যাপারটি জানিয়েছিলাম, আপনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন।
আর স্বাধীন বা সচল জাহিদকে তো মতবিরোধের কারণে দূর করিনি। তাঁদের সাথে ফেসবুকে আমার যোগাযোগ আড়ষ্ট। যোগাযোগ হয় না বলেই তাঁদের ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় রাখিনি। তাছাড়া তাঁরা আমার সিনিয়র ও শিক্ষকস্থানীয় বলে ফেসবুকে যে চটুল বাগবিনিময় আমরা করে থাকি, তাতে তাঁরা স্বস্তিবোধ করেন না বোধ করে আমি অপ্রিয় সিদ্ধান্তটি নিয়েছি। আমি সেটি স্বাধীনের মেসেজের জবাবেও জানিয়েছিলাম। তাঁদের সাথে আগে আমার যোগাযোগ হতো ইমেইলে, সেই পথ এখনও খোলা এবং চর্চিত।
আপনি আমাকে ফেসবুক থেকে শুধু যে সরিয়েই দিয়েছেন, সেটিই নয়, এখন সেই দোষটি আমার ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন। এই পন্থাটি সৎ নয়।
বাহ্ এখন আমাকে অসৎও বানিয়ে দিলেন!
আমার পক্ষ থেকে আপনাকে বাদ দেয়ার কোনো কারণ তখনো ছিল না; এখনো নেই। নেভারেস্ট লেখার জন্য আপনাকে আমি বাদ দিব, এমন মানসিকতা আমি ধারণ করি না। এবং আমি আবারো পরিষ্কার করে বলতে চাই, আমি আপনাকে ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে বাদ দিই নি। দয়া করে ভালো বা খারাপ কোনো বিশেষণ দেয়ার আগে আরেকবার ভাবার অনুরোধ করবো।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার ফেসবুকাভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আমার এক কলিগের সাথে এমন হয়েছিলো। আমি তো ঝাড়ি তারে, সে কয় আপনে বাদ্দিসেন, আমি কই তুই দিসোস। তারপর বুঝলাম, কেউ দেই নাই, হয়তো কোনো বাগ। তারপর ঐটা নিয়া তেমন নাড়া দেয়া হয় নাই, কারন ফেসবুকে 'রিপোর্ট অ্যাবিউজ' ছাড়া আর কিভাবে অভিযোগ জানাইতে হয়, তা আমি জানি না। আপনাদের ব্যাপারটা তেমন হতে পারে বলেই মনে হইতেছে।
এ ভুল বোঝাবুঝি মনে হয় তেমন গুরুতর কিছু না, তাই না বস (রা)?
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হিমু এবং গৌতম,
আপনারা দুজনেই আমার খুব প্রিয় বন্ধু (ব্লগের বন্ধু হলেও আপনাদের খুব আপনের মত ভাবি)। আমার একটা অনুরোধ হল বিষয়টা যেহেতু প্রমাণ করা যাবেনা, তাই এ নিয়ে আর আলোচনা না করাই ভাল। দুপক্ষেরই মন্তব্য যেহেতু এসেছে, তাই আমি এই ছোট্ট অনুরোধটুকু করছি।
দু'জনের বক্তব্য থেকেই তো এটা স্পষ্ট যে দুজনার কেউ কাউকে বাদ দেবার পক্ষপাতি তো নন ই বরঞ্চ বন্ধু তালিকায় একজন অপরজনকে না দেখে ব্যাথিত ও হয়েছেন। সুতরাং আবার বন্ধু তালিকাভুক্ত হওয়াতে দোষের কিছু দেখিনা। আপনারা ভাই লাকি। বেশ কিছুদিন আগে আমার খুবই প্রিয় একজন বন্ধুর তালিকায় নিজেকে না দেখে খুবই অবাক / ব্যথিত হয়েছিলাম। কিন্তু এমনটা হতে পারে তা মাথায় আসেনি।
আপনার এই মন্তব্য পড়ে আমি একাধারে স্তম্ভিত, বাকরুদ্ধ, হতভম্ব।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আচ্ছা, আপনারা একজন আরেকজনকে আসলেই এড করেছিলেন কোন এক সময়? o.O
সাফি, প্রশ্নগুলো করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদিও আমি পর্বতারোহনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ, কিন্তু হিমুর লেখায় চাইলে আমিও কিছু কথা বলতে পারতাম। আর ঘটনার অন্তরালে অনেক ঘটনা ঘটে, চাইলে সেগুলো নিয়েও কথা বলতে পারতাম। কিন্তু লক্ষ করে দেখবেন যে, মুসাসংক্রান্ত তার কোনো লেখায় আমি কমেন্ট করি না। মুসার সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় আছে বলেই সেটা করি নি। কারণ তাতে আমার বক্তব্যের চেয়ে ব্যক্তিগত পরিচয়টাই মুখ্য করে তোলা হতো।
প্রশ্ন তোলা খারাপ কিছু নয়, বরং একে স্বাগত জানাই। কিন্তু প্রায়নেভারেস্টে উইকিতে কে কার জীবনী লিখলো-জাতীয় লেখা লিখে যখন পাঠকের সেন্টিমেন্টকে মুসার বিরুদ্ধে ডাইভার্ট করার চেষ্টা করা হয়, তখন সেটাকে ত্যানা পেঁচানি বলেই মনে হয়। আপনার শুনলে হয়তো ভালো লাগতে পারে যে, এই ধরনের বিষয়গুলো বাদ দিয়ে টেকনিক্যাল যে সমস্ত প্রশ্ন উঠেছে, সেগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য আমি নিজে মুসাকে অনুরোধ করেছি।
হিমু নেভারেস্ট লিখছেন, লিখুন। আরিফ জেবতিক মুসার সাক্ষাৎকার নেয়ার কথা বলেছেন, নিন। আমি দুটোর জন্যই অপেক্ষা করছি। আশা করি দুটোর সমাপ্তিতেই অনেক কিছু পরিষ্কার হবে।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
এরকম একটা কিছু আশা করেছিলাম, গৌতম। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার মাধ্যমে হলেও যদি কিছুটা কৌতূহল মেটে তাও মন্দ কি। আমার (এবং আমার মতো অনেকরই) মুসার সাথে দেখা করার কোন উপায় নেই। তাদের জন্য এরকম কিছু একটা উদ্যোগ অবশ্যই ভালো খবর।
গৌতম, ব্যক্তিগত কৌতূহল থেকে জানতে চাইছি মুসা কি আর কোন ছবি তোলেনি এভারেস্টের উপর? ইন্টারনেটে প্রকাশিত ছবির বাইরে আরো ছবি কি আছে? আপনি কি জিজ্ঞেস করেছিলেন মুসা চূড়ার উপরে কি শুধু এই পাশেই ছিল? মানে সূর্যের দিকে পিঠ দিয়ে যে ছবিগুলো আছে সেই পাশের কথা বলছি? উল্টোদিকের কোন ছবি আছে কি? চূড়ার উপরে মুসার শারীরিক অবস্থা ঠিক কেমন ছিলো?
পিপিদা, আমি নিজে থেকে কিছু না বলি। যেহেতু সে আমার অনুরোধটা রাখছে, সেহেতু এগুলো না হয় মুসার মুখ থেকেই শুনুন। আরিফ জেবতিক ভাই তো মুসার সাক্ষাৎকার নিবেন, তখন এসব প্রশ্নের উত্তর মুসার মুখ থেকেই বের হোক। আমি নিজেও এই সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষা করছি।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
তাহলে এই প্রশ্নগুলো যদি ওনাকে করা যায় তো ভালো হয়। আমার মনে হয় আরিফ ভাই যদি আমাদের প্রশ্নগুলো একত্রে জড়ো করতেন তো দারুণ হয়।
আপনি নিজেকে বিযুক্ত রাখার যে উদাহরণটি দিয়েছেন, সেটি সঠিক নয়। আপনি কিন্তু বেশ নিয়মিতভাবেই সামুব্লগে মুসাসংক্রান্ত বিভিন্ন পোস্টে মন্তব্য করে থাকেন, এবং সে মন্তব্যে প্রশ্ন উত্থাপন যারা করে, তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সচলায়তনে আপনি এই যুক্তিতর্কে অংশগ্রহণ না করে সচলায়তনের বাইরে একটি জায়গায় বসে মন্তব্য করেন এমন সব পোস্টে, যেখানে আমাকে নেভারেস্ট লেখার দায়ে গালাগালি করা হয়। সেটা কেন করেন? আপনি তো সচলে বসেই আমার যুক্তির প্রত্যুত্তর দিতে পারেন, ক্ষোভও প্রকাশ করতে পারেন।
মুসার সাথে আপনার পরিচয়টি মুখ্য বলেই সম্ভবত ঝালটা আপনি অন্যত্র গিয়ে ঝাড়েন। এতে করে শ্যাম, কূল, দু'টোই থাকে।
আমি সামুব্লগে আমার লিঙ্কটি দিলাম http://www.somewhereinblog.net/blog/goutamblog
ওখানে ডানপাশে একটি অপশন আছে 'সাম্প্রতিক মন্তব্য করেছি'। দেখুন, আমি নিয়মিত মুসাসংক্রান্ত পোস্টে মন্তব্য করেছি কি না। যে পোস্টে যে মন্তব্যটি করেছি, একই রকম মন্তব্য আমি এখানে কিংবা আরিফ ভাইয়ের পোস্টেও করেছি। অন্যদেরও দেখার অনুরোধ জানাই।
উপরে যদিও বলেছিলাম, হিমুর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আর কোনো মন্তব্য করবো না; তারপরও করলাম। কিন্তু আর করছি না। এটাই শেষ। জাস্ট আপনাকে জানিয়ে রাখছি, নেভারেস্ট সিরিজ অন্যদের মতোই আমিও আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। এবং অন্যদের মতো আমিও মুসার সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষা করছি।
সুতরাং আমার সাথে বাক্যালাপে সময় নষ্ট না করাটাই আপনার জন্য উত্তম হবে। ভালো থাকবেন।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার প্রশ্নটা খুব সাধারণ ।
ব্র্যান্ডন বা মন্টেনেগ্রোর পবর্তারোহীরা যদি বলেন মুসা সামিটে উঠেছে তাহলে কি অন্য কোন ধরনের প্রমাণের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়ে যাবে? মানে প্রমাণ হিসাবে একটা ভিডিও স্যুইপ চাইবার অধিকার কি আমার থাকতে পারে না? যেখানে ইউটিউবে এভারেস্ট সামিট মে ২০১০ লিখে সার্চ দিলে প্রায় ৪৯০ টি ভিডিও পাওয়া যায় [অন্তত ১০০টি ভিডিওতে সামিটে দাঁড়িয়ে ধারণ করা দৃশ্য আছে] সেখানে মুসা ২০ সেকেন্ডের একটা ভিডিও উপস্থাপন করার সময় বা সুযোগ পাননি যুক্তিটা হাস্যকর।
আর ৪৫ লাখ টাকা খরচ করে পর্বতে উঠে ব্যাটারির অভাবে ছবি তুলতে বা ভিডিও করতে না পারার যুক্তিটা আরো বেশি হাস্যকর।
ব্র্যান্ডন বা মন্টনেগ্রোর পর্বতারোহীদের সাক্ষ্য অনেকগুলো প্রমাণের একটা প্রমাণ হতে পারে। কিন্তু তাদের মুখের কথাই মুসার দাবিকে সন্দেহাতীত ভাবে সত্য প্রমাণ করে কোন যুক্তিতে?
তারপরও কথা থেকে যায়। কমলা রঙয়ের ড্রেস দেখেছেন কিন্তু সেটা মুসা কিনা সেটা নিঃসন্দেহে বলতে পারছেন না- এ ধরণের প্রমাণ ঠিক কতটুকু শক্তিশালি হতে পারে?
কাকস্য পরিবেদনা
কিন্তু একজন যখন বলছেন তিনি ভিডিও করেননি, তখন তার কাছে ভিডিও চাইলে তো সেটা আসার কোন পথ নেই।
আপনার কথা মতো আরো প্রিসাইজলি "এভারেস্ট সামিট মে ২৩, ২০১০" কুয়েরী ওয়ার্ড দিয়ে ইউটিউব সার্চ করে পেলাম ১৯ টি রেজাল্ট, যার মধ্যে মাত্র দুটোতে শীর্ষারোহনের ভিডিও আছে (একটি এক স্প্যানিশ(?) ভাষায় বর্ণনা লেখা একটা দলের ভিডিও, অন্যটি এক দম্পতির)। এটা কি মোট সংখ্যার তুলনায় খুব কম না? ভিডিওকে কি প্রমাণের স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে ধরা যুক্তিযুক্ত?
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
এত হাই অ্যালটিচিউডে শরীর নানা ভাবে রিঅ্যাক্ট করতে পারে। অক্সিজেনের পরিমান কমে যাওয়াতে মানুষ নেমে আসাটাকেই বেশি গুরুত্ব দেয়, বিশেষ করে যদি প্রফেশনাল পর্বতারোহী না হয়। আমি তারপরেও বলব ছবি/ভিডিওর দরকার নেই। দরকার যেকোন নিরপেক্ষ প্রমান।
"ছবি/ভিডিওর দরকার নেই। দরকার যেকোন নিরপেক্ষ প্রমান।"
বড়ই বিস্মিত হলাম আপনার এই বক্তব্যে। বর্তমান ক্ষেত্রে ছবি-ভিডিওর চেয়ে নিরপেক্ষতর প্রমাণ কী হতে পারে, জলদস্যু?
আমি বিশ্বাস করতে চাইনা যে মুসা এভারেস্ট বিজয় করেননি। এমনটা হলে বাঙালী হিসেবে আমার লজ্জার শেষ থাকবে না।
এখন ব্যাপার হলো নেভারেস্ট পড়ে এটুকু বুঝেছি যে মুসা চুলু ওয়েস্ট, লাংসিসা রি, অন্নপূর্ণা-৪ বিজয়ে পূর্ণ সততা দেখাননি। আশা করি এব্যাপারে দ্বিমত নেই।
এখন এই লোকটি যদি আমাকে এসে বলেন আমি এভারেস্টে চড়েছি তাহলে আমি প্রথমে কি করবো? নিশ্চয়ই তাকে বলবো,"ছবি দেখাও বাছাধন"। উত্তরে সে যদি বলে, "আমার কাছে ছবি নাই ভিড্যু নাই, তুমি গিয়া অমুকরে জিগাও!!! " এটা করা আমার জন্য কতটা যুক্তিযুক্ত?? আর সেই অমুকটা কতটুকু নিরপেক্ষ ও নির্ভুল হলে আমি বলতে পারবো,
"ঠিকাছে, ছবি/ভিডিওর দরকার নেই"
***********************************************
সিগনেচার কই??? আমি ভাই শিক্ষিৎ নই। চলবে টিপসই???
মুসা কি অপেশাদার পর্বতারোহী?
ছবি-ভিডিও ছাড়া নিরপেক্ষ প্রমাণ কি? দুয়েকটা উদাহরণ দেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটার জন্য।
আর হিমু সাহেব, আপনি বলেছেন, "আপনি ছবি দেখাবেন না, বরং মন্টেনিগ্রো থেকে সাক্ষী যোগাড় করে আনবেন... কেমন না ব্যাপারটা?"...এই একি ভাবে বলতে গেলেতো বলতে হয়, আপ্নিও কিন্তু নানা জনের কথার রেফারেন্স বা কি হইলে কি হইতে পারতো, এই জাতিও যুক্তি দিয়েই নেভারেস্ট লিখছেন, আপনার কাছেও কি কোনো ছবি বা ভিডিও আছে, যেখানে আপনি দেখাতে পারবেন মুসা আসলে না উঠে চলে এসেছে?
১। তার সাথে সামিট করা কয়েক জনের কথার রেফারেন্স এ দেখা যায় তারা মুসার অর্জনকে verify করেছেন।
২।ছবি তোলার বেপারটাতেও একি বেপার, সবাইকে গিয়ে হাসি মুখে youtube এর জন্য ভিডিও করতে হবে এমন কথা নেই, সমতল ভূমির একটা ছেলে চূড়া থেকে জান নিয়ে ফিরতে পারা নিয়ে যেখানে টানাটানি, সেখানে সে ভিডিও করলোনা কেন...এই জাতিও যুক্তি কতোটা যৌক্তিক।
৩।আরো অনেকের ছবিতেই কিন্তু দেক্লাম মূর্তির গায়ে কাপড় এর জন্য মুর্তি দেখা যাছেনা।
৪। আপনি ভালো মতো নেট এ খুজলে পাবেন, যে summit এর জন্য অনেকেই কিন্তু ৭৫,০০০ ডলার নেয়।
ডিকেন্স সাহেব, আমার তো ছবি দেখানোর দায়ও নাই। আমি যা কিছু করছি, সবই একটা ফেভার ধরে নিতে পারেন। পিয়ার রিভিউ খাটনির কাজ। মুসা এভারেস্ট জয় করেছেন, এই দাবিটা মুসা করেছেন, ছবি আর ভিডিও দিয়ে সেটা প্রমাণের দায় মুসার। যে তিনজন সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে, এরা মুসার সঙ্গে দেড় মাস একসঙ্গে ছিলো, এবং তাদের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্ব হয়েছে বলে তাদের একজন জানিয়েছে। এই বন্ধুত্বের কারণে এই সাক্ষ্যের মূল্য তো কিছুটা নামবেই। আর এ পর্যন্ত যতগুলো হোক্স হয়েছে পর্বতারোহণ নিয়ে, কারো না কারো সাক্ষ্যের ভিত্তিতেই হয়েছে।
কেন ভিডিও করলো না, এই জাতীয় প্রশ্ন খুবই যৌক্তিক। দশ বারোটা ব্যানার নিয়ে যদি একটি ত্যানার স্তুপের সামনে একের পর এক ছবি তোলা যায়, ভিডিও করা এমন কি কঠিন কাজ? ভিডিও করার সাথে জান নিয়ে টানাটানির কী সম্পর্ক? আর লোকে কি ভিডিও করে নাই? ভিডিও করা কি খুবই কঠিন কিছু? একটা ভিডিও ক্যামের ওজন কয়েকশো গ্রাম, দামেও সস্তা। এইটা তো আর চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরা না যে ঘাড়ে করে আরেকজনরে নিয়ে উঠতে হতো। বরং কেন সুযোগ থাকতেও ভিডিও করা হলো না, সেটা একটা বড় প্রশ্ন।
৭৫ হাজার ডলারের অফার আমাকে পড়ে দেখতে হবে কেন, যেখানে ২৬ হাজার ডলারের অফার আমার সামনে? আপনি একটু ভালো করে নেটে খুঁজে দেখুন, ঐ অফারগুলো ইয়োরোপ বা উত্তর আমেরিকার জন্যে, যেখানে অভিযাত্রীদের বিমান খরচ থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু যোগ করা থাকে। ওদের জন্যে রয়্যালটিও নেপালে বেশি।
এখন আবার জিজ্ঞেস করে বইসেন না য্যান্, দুইশ বছর আগের একজনের সাথে আমি ক্যামনে মার্বেল খেললাম! [আমি যে খেলি নাই, সেইটা আপনে প্রমাণ করেন পারলে। না পারলে মাইনা নেন।]
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি একটা বোকা বোকা প্রশ্ন করতে চাইঃ-
মুসা নিশ্চয় তার বিয়ের ভিডিও করেছেন, ভিডিও করেছেন আরো নানা আনুষ্ঠানিকতার। হিমালয় শীর্ষে উঠার মতো ' ওয়ান্স ইন এ লাইফ' ইভেন্টে তিনি কেনো ভিডিও করলেননা?
এমন মুহুর্তে ছবি তোলা-ভিডিও করাটা স্বাভাবিক, না করাটা অস্বাভাবিক, খুবই অস্বাভাবিক। এই খুব অস্বাভাবিক কাজ করার পেছনে মুসার ব্যাখ্যা কী?
আজকের যুগে তো ভারী ভিডিও ক্যামেরা কাঁধে করে নিয়ে যেতে হয়না, সামান্য মোবাইল ফোনে ও ভিডিও থাকে।
মুসার কাছের জন যারা, তারা কি জানেন কারনটা? ঠিক কি কারনে এমন মাহেন্দ্রক্ষনের ভিডিও তিনি করলেননা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মুসার ইয়ারদোস্তোরা বলার চেষ্টা করছেন, আরে ভাই এইটা কি বিয়াবাড়ি যে কান্ধে ক্যাম্রা লইয়া বাল্ব জ্বালাইয়া ভিডু করব? তারা এই ইমপ্রেশন দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টায় ঘর্মাক্ত যে ভিডিও করার জন্য এফডিসির ক্যামেরার মতো একটা সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন ক্যামেরা লাগে, যেটা এভারেস্টের চূড়ার নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। অনেকেই তাদের এই কথা শুনে মাথা দোলাবেন, ঠিকই তো। আহারে বেচারা পুলাডা এত উপ্রে উটসে, জান লইয়া ফিরা আস্তে পার্ছে এইটাই তো খোদার কাছে হাজার শুকরিয়া।
মুসা ইব্রাহীমের ভিডিও ক্যামেরাটির ছবি দিয়ে গেলাম। এটি নিয়ে তিনি অন্নপূর্ণা-৪ এও গিয়েছিলেন। সেখানেও চূড়ার ভিডিও পাওয়া যায় না রহস্যজনক কোনো কারণে। মুল্ডার আর ক্যালিকে ডেকে এই ভিডিওহীনতার ব্যাপারটা এক্স ফাইলসে ঢোকানো উচিত।
সচল গৌতমের কিছু মন্তব্যে ধারনা করছি, তিনি মুসার কাছের বন্ধু। রবি নামের আরেকজন মুসার পক্ষে সচলে যুক্তি-তর্ক চালাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য জানতে পারলে ভালো লাগতো।
পুনশ্চঃ এটি অত্যন্ত নিরীহ কৌতুহল। মুসা যা ব্যাখ্যা দেবেন, তাই বিশ্বাস করবো।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
যতটা মনে হচ্ছে মুসা হয়তো এতটাই টায়ার্ড ছিলেন যে ভিডিও করা হয়নি। কিংবা ভিডিও ক্যামেরা সাথেই নেননি। তবে প্রশ্ন উঠবে এতগুলো স্পন্সরের ব্যানারের সাথে যখন ছবি তুলতে পেরেছেন তখন ভিডিও কেন করলেন না?
তবে মুসা যদি চূড়ায় উঠে থাকে (একটি মাত্র ছবিই আমার কাছে গ্রহণযোগ্য যেটাতে চোমোলংজোর ছবি দেখা যায়) আর ভিডিও না করে থাকে কিংবা আরো অধিকতর গ্রহণযোগ্য ছবি না তুলে থাকে, তাহলে মুসার বন্ধুদের মতো আমিও বলব মুসা হয়তো ভাবেনি তার অর্জন নিয়ে মানুষ এতটা সন্দেহ করবে! (তবে যারা অকাট্য প্রমাণ দাবী করছেন তাদের দোষ দেয়াটা আমি মনে করি ঠিক হবে না)
আমি মনে করি মুসার উচিত হিমুর সাথে একটা সাক্ষাতকার দেয়া। কারণ হিমু যেহেতু বিষয়টা নিয়ে এতটা গবেষণা করেছে, একমাত্র মুসাই পারে সেগুলোকে খন্ডাতে/ব্যাখ্যা করতে। অনেক সময় দুই পক্ষের আলোচনা শুনলে অনেক বিষয় পরিষ্কার হয়ে যায়। এরকম একটা সাক্ষাতকারের আশা করা কি খুব বেশী দুরাশা হবে?
এর মধ্যে দিয়ে বিষয়টির ইতি হয়ে যাওয়া ভালো।
মানুষের সন্দেহের চিন্তা পরে, নিজের জন্য ও তো এরকম একটা অর্জনের ছবি/ভিডিও সংরক্ষন করা খুব স্বাভাবিক।
আর ভিডিও ক্যামেরা যে মুসার আছে এবং পর্বত অভিযানে সেটা তিনি সঙ্গে রাখেন উপরের ছবিতে তাও দেখা যাচ্ছে।
তাবুতে বসে ভিডিও করবো আর চুড়ায় উঠে ভিডিও করবোনা। নাহ-মেলানো গেলোনা।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ব্যাপারটা আসলেই মেলানো যায়না, তার পরেও মনে হয়েছে তারা হয়তো ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে যায়নি। কারণ, কোন এক বর্ণনায় মুসা লিখেছিল (বা আনিসুল হক সাহেব লিখেছিলেন) ক্যামেরা বের করতে কী রকম কসরত করতে হয়েছিল। সেখানে ভিডিওর কোন কথা ছিলনা। বরং বুদ্ধ মূর্তির সাথে ছবি আছে এমনটা আমি পড়েছিলাম। পরে যদিও তেমন কোন ছবি দেখিনি।
উপরের ছবিটি কি এভারেস্ট অভিযানের সময় তোলা?
এটা সম্ভবতঃ অন্নপূর্ণার।
আমার সামান্য বিচার বুদ্ধিতে মনে হয়- এরকম একটা মুহুর্তের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য যে কারো সর্ব্বোচ্চ চেষ্টাটুকু করাই স্বাভাবিক।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এবসল্যুটলি।
ভিডিও ক্যামের নিতে হবে এই কথাটা আসছে কেন এতোবার? মুসার ক্যামেরা দিয়েই মোটামুটি ভালো মানের ভিডিও করা সম্ভব। ঐ ক্যামেরাটার একটা রিভিউ দেখেন এখানে। ওটা দিয়ে ৬৪০x৪৮০ রেজ্যুলুশনে ভিডিও করা যায় সেটা এই স্পেক পড়লে জানবেন।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
তাইতো, ব্যাপারটা খেয়ালে আসেনি কেন তা বুঝতে পারছিনা। এখনকার সব ক্যামেরা দিয়েই মোটামুটি মানের ভিডিও করা যায়। তবে এটুকু বোঝা গিয়েছে যে ওনারা ভিডিও করেন নি।
'মুসার বন্ধু' একটা ইমো হতে পারে...
এ ধরনের মন্তব্য সচলায়তনের জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করি। তাই আপত্তি জানালাম।
(গুড়) জব...
মোরশেদ ভাই, ব্লগে উঠা প্রশ্নগুলোর উত্তর দেয়ার জন্য মুসাকে যারা অনুরোধ করেছেন, আমিও তাদের একজন। আমি আগেও বলেছি, এখনও বলি- টেকনিক্যাল বিষয়ে কোনো উত্তর দিতে আমি অপারগ। তবে আশা করি, নিশ্চয়ই মুসার সাক্ষাৎকারে এগুলো উঠে আসবে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
শিক্ষাবিষয়ক সাইট ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
আমার সাত বছরের বড় বোনের জন্মের পরের ছবি আছে, কিন্তু আমার জন্মের সময়কার কোন ছবি নাই। এখন তো সন্দেহ হচ্ছে, আমার জন্মই হয় নাই
মানে কী?
মন্টেনিগ্রো থেকে কেউ যদি বলে, আপনার এক জোড়া সিয়ামিজ টুইন ভাই আছে, আমরাও মেনে নিবো যে আপনার এক জোড়া সিয়ামিজ টুইন ভাই আছে । ছবিটবি কিস্যু দেখতে চাইবো না।
তখন আমি নিয়ামিজ টুইন নামে সিরিজ লিখতে বসে যাব...তখন বুঝবেন কত স্টিকে কত ছবি হুঁ হুঁ...
অখোনো সেইইই বিখ্যাত স্মৃতি ডাণ্ডা(মেমোরি স্টিক) এর দেখা মিললো না এই দুঃখ কুতায় রাখি
রবি ভাই কি কুন খোঁজ জানেন?
love the life you live. live the life you love.
আমি সম্পুর্ণ অন্য একটি বিষয়ের অবতারণা করি।
১। "ব্যাটারীর চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার কারনে, মুসার পক্ষে বেশি ছবি তোলা সম্ভব হয়নি", "এত High Altitude ব্যাটারীর চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক" - এই ধরণের বক্তব্য মুসার পক্ষে ফেস বুক এবং সামু ব্লগে পড়লাম। আমি এ ব্যাপারে একটু জানার জন্য গুগ্লিং করে একজন পর্বতারোহীর বক্তব্য পেলাম।
"Cold affects the electrical capacity of batteries hence the old trick of keeping camera batteries on the body. Altitude will damage hard drives during function as there is no air cushion on the spinning rigid discs. If you have a solid state drive no problemo"
আরেক জনের বক্তব্যঃ "It's an interesting question. Normally the cold can affect the batteries more than altitude."
২। High Altitude এর জন্য ব্যাটারীর তেমন ক্ষতি হয়না, হয় প্রচন্ড ঠান্ডার জন্য। আর এ ঠাণ্ডা মোকাবেলার জন্য ব্যবস্থা হলো নিজের শরীরের সাথে ব্যাটারী রেখে দেয়া- সম্ভবত মুসা এটা জানতেন না বা এই পদ্বতি অবলম্বন করেননি। আর ভালো মানের, ভালো দামের ব্যাটারীতে এরকম ঠাণ্ডাতেও অনেক ছবি তোলা সম্ভব।
৩। মুসা পর্বত অভিযানে অনেক টাকা ব্যয় করেছেন। আমার প্রশ্ন তার বন্ধুর কাছে, মুসা কেন এত বড় অভিযানের জন্য ভালো ব্যাটারী কিনলেন না? তিনি তো বান্দরবনে পাহাড়ে চড়ার সময় ও ছবি তোলার ব্যাপারে খুব উৎসাহী ছিলেন। তাহলে এই ব্যাপারটায় কেন তিনি খুব বেশি গুরুত্ব দিলেন না? আজ কম দামী ব্যাটারী ব্যবহার করার জন্য মুসাকে এত অপদস্ত হতে হত না।
৪। মুসা এই টিমটিমে ব্যাটারীতেও ১৯ টি ছবি তুলেছিলেন যেগুলো সামুতে প্রকাশিত হয়েছে। এই ছবি গুলো আমরা নিরপেক্ষ পাঠক বা আরো স্পেসিফিক্যালী বললে যারা বিশ্বাস করতে চাই মুসা এভারেষ্ট জয় করেছেন- তাদেরকে হতাশ করেছে। ছবি গুলোতে নিরেট কোন প্রমাণ পাওয়া যায়না। কেন তিনি এমন করলেন? তিনি তো বাঙ্গালির দোযখের গল্প জানতেন, যেখানে একজন আরেক জন বাংগালীর পা ধরে নিচে টানে! আরো জানতেন, তার আগের অভিযান গুলো প্রশ্নবিদ্ধ! সে চিন্তা থেকেও তো তিনি আরো সতর্ক হতে পারতেন।
মুসার পক্ষে কেউ উত্তর জানালে বাধিত হবো, ধন্যবাদ।
----------------------------------------------------------------------------
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা
হাতের কাছে ভরা কলস, তবু তৃষ্ণা মিটেনা।
----------------------------------------------------------------------------
মুসার ক্যামেরা হচ্ছে ফুজিফিল্ম ফাইনপিক্স জে৩০। এর জন্যে লাগে লিথিয়াম আয়ন NP-45A মডেলের ব্যাটারি। এর সস্তা বা দামী ভ্যারিয়্যান্টের কথা তাই আসে না। মে মাসের শেষদিকে এভারেস্টের শীর্ষে তাপমাত্রা -২৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস থাকে। এই তাপমাত্রায় যদি উঠতে বসতে ব্যাটারি শেষ হয়ে যেতো, একবার ভেবে দেখেছেন, শীতের দেশে শীতকালে লোকে মোবাইল বা ক্যামেরা কীভাবে ব্যবহার করতো? আমি নিজেই -২৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে কাসেলের ছোটোখাটো পাহাড়ে চড়েছি, ছবিও তুলেছি অনেক। নরওয়ে বা ফিনল্যাণ্ডে শীতকালে এরচেয়ে কড়া শীত পড়ে। তো সে সময় কি লোকে মোবাইল বা ক্যামেরা ব্যবহার করে না?
ঠাণ্ডায় ব্যাটারি একটু স্লো পারফর্ম করে ঠিকই, কিন্তু মুসা তো দাবি করছেন তিনি অনেকগুলো ছবি তুলেছেন। একটা স্পষ্ট ছবি, যেটাতে দিগন্তরেখা দেখা যায়, যেটা দিয়ে আসলেই পরিষ্কার প্রমাণ হয় যে সেই ছবি এভারেস্ট থেকে তোলা, এমন একটা ছবি তিনি কেন সবার জন্যে উন্মুক্ত করছেন না? আর কেন আমাদেরকে এসব ছবি যদুমধুকদুর কাছ থেকে পেতে হবে? ফ্লিকারে মুসার নিজের অ্যাকাউন্টে এসব ছবি দেখতে চাই, সেই ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত দেখতে চাই। ইয়ারদোস্তোদের দিয়ে সামুব্লগে রিলিজ করাচ্ছেন উনি, তা-ও লো রেজোলিউশন ছবি। কেন?
উত্তর হচ্ছে, যাতে কেউ পরীক্ষা করতে না পারে।
আমরা আবেগীয় যুক্তি তর্ক শুনতে চাচ্ছি না । আমরা সুষ্পষ্ট প্রমাণ চাচ্ছি ।
কমলা রঙের জ্যাকেট ঝাপসাভাবে দেখেছে (কোনো মানুষকে নয় কিন্তু) বলে মনে করতে পেরেছে এক অভিযাত্রী, সেটাকেই খড় হিসেবে আঁকড়ে ধরছেন প্রশ্নসাগরে ডুবন্ত মুসা-বিশ্বাসীরা। খুবই কৌতুকপ্রদ ব্যাপার। অবশ্য বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ না থাকলে এই হাস্যস্পদ জোড়াতালিই সম্বল। বন্ধু বনে যাওয়া অভিযাত্রীদের সাক্ষ্য দীর্ঘ চার মাস পরে হাজির করানোর উদ্যোগ মূলত সেই প্রমাণহীনতা ঢাকার মরিয়া প্রয়াস। কিন্তু বন্ধুদের মৌখিক বা লিখিত সাক্ষ্য বেয়াড়া অবিশ্বাসীদের সন্দেহ দূরীকরণে সহায়তা করবে কি?
আমাদের সেই পুরাতন ভাঙা-রেকর্ড দাবি - এমন ছবি বা ভিডিও চাই, যা দেখে সব বাঙালি উৎফুল্ল গলায় একবাক্যে বলতে পারবে: "তাই তো! মুসা সত্যিই এভারেস্টে উঠেছে।"
জলদস্যুর আপডেটের অপেক্ষায় থাকবো
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
কথায় আছে, আবাল বন্ধুর চেয়ে জ্ঞানী শত্রু ভালো। আমি মুসার প্রতি সমবেদনা অনুভব করি। বিশেষ করে আনিসুল হকের সাক্ষাৎকার শোনা আর এই পোস্টে আসিফ এন্তাজ রবির মন্তব্য দেখেই বুঝা যায় তাকে ডুবাতে তার এই বন্ধুরাই যথেষ্ট। আনিসুল হকের সাক্ষাৎকারে আমি তার সততা অনুভব করেছি এবং সেই সততার সাথেই তিনি নিজেকে প্রতিটি বাক্যে ন্যাংটো করে ফেলেছেন। হতে পারে অপ্রস্তুত অবস্থাই তার এই দুরবস্থার কারণ। তবে সাথে সাথে তিনি যে মুসা নামক পক্ষীরাজের পালকও একটি একটি করে ছিঁড়ে ফেলেছেন, তা হয়তো খেয়াল করেন নি। আনিসুল হক অন্য পোস্টের ব্যাপার, আপাতত রবির মন্তব্য দেখা যাক, বিশেষ করে 'মুসার সামিট প্রমাণের' পক্ষে যায় এরকম কথা কি রবি এই পোস্টের মন্তব্যে একটিও বলেছেন?
১। তিনি প্রথমেই লেগেছেন একজ্যাক্ট মেসেজের পেছনে। মূলত জলদস্যুর উদ্ধৃতি থেকেই বুঝা যায় হিমু উদ্ধৃত অংশের কোথাও হাত দেয় নি। মেসেজের অন্য অংশ উদ্ধৃত অংশের সাথে কন্ট্রাডিক্টিং না, তাও দেখা যায়। এবং ব্রেন্ডান মুসার সামিট কনফার্ম করতে পারেন না। মুসার কোনো কামে লাগলো?
২। এরপরেই 'নিশ্চিত' হয়ে নিয়ে পোস্টানোর উপদেশ! মুসা এখনও স্পষ্ট প্রমাণ খুঁজতে দেশ-মহাদেশের নেটলাইনে জ্যাম লাগিয়ে দিচ্ছে আর উনি ব্যাপক 'নিশ্চয়তা' নিয়ে উপদেশ বিতরণ করলেন। মুসার সামিট প্রমাণে কি অবদান রাখলো?
৩। এরপরে আবারো উপদেশ। ব্যক্তিগত পরিচয়ের লিংক ধরিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টির অপবাদ দিয়ে উপদেশ, যেখানে বহুল ব্যবহৃত 'তর্কের জন্য তর্ক না করে সত্যকে মেনে নেই (যেখানে সত্য অবশ্যই 'আমি' যা বলেছি সেটাই)' জাতীয় ধান্দাবাজি। ত্যানার ভিড়ে আসল সত্য চাপা পড়ে যাচ্ছে, অথচ সত্যটি যে কি তার কোনো নির্ভেজাল প্রমাণ না দিয়েই তিনি হিমুকে 'সম্মানের সাথে পরাজয়' মেনে নিতে আহবান জানালেন! মুসার কোনো কামে লাগলো?
৪। এরপরে শুরু হয় মুসার জন্য কান্নাকাটি করে সিমপ্যাথী সৃষ্টির চেষ্টা। জিয়াউর রহমানের ভাঙ্গা স্যুটকেসের দায় আমরা এখনও কাঁধে নিয়ে বেড়াচ্ছি, গায়ের রক্ত পানি করেও তা শোধ করা যাচ্ছে না, এর মধ্যে যোগ হলো মুসার ভাঙ্গা মোটর সাইকেলের কাহিনী। আপোষহীন নেত্রীর ন্যায় মুসাও আপোষহীন। তাকে প্রাইমিনিস্টার অভিনন্দন জানান; কিন্তু তাকে টাকা দেওয়ার বেলায় এগিয়ে আসে বিতর্কিত সংস্থা। কী দুর্ভাগ্য আমাদের হিরুর!
৫। মুসার কথিত এভারেস্ট জয়ের সবংবাদের বিষয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা কতোটুকু অপেশাদারিত্বের প্রমাণ দিয়েছেন, তা রবির নিজের মুখে কিংবা আনিসুল হকের সাক্ষাৎকারেই বুঝা যায়। তারা সংবাদ কাভার করেছেন। কিন্তু এই কাভারেজের মূলে ব্যক্তিগত পরিচয়ের বাইরে যা আছে, তা হলো 'বিশ্বাস'। একজন সাংবাদিক যখন পত্রিকায় লেখেন, তখন তার বিশ্বাসের ওপরে বেইজ করে লিখলেই চলে না, বিশেষ করে এভারেস্ট জয়ের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও তারা কোনো প্রমাণই দেখতে চাইলেন না। হিমু এটাকেই হাইলাইট করায় তিনি খোঁচাটা 'বাংলাদেশ' এর ওপরে নিয়ে গেলেন। আরিফের মোহাম্মদ বিড়াল কেসে বায়তুল মোকাররমের খতিবের চেয়ে এটা কোনোভাবেই কম কৃতিত্বের দাবী রাখে না! অথচ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে 'নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রাপ্ত' আর 'সূত্র: ইন্টারনেটের' কেরামতি তো লোকজনের কাছে অজানা নয়। তাহলে মুসার সামিট প্রমাণের পক্ষে রবি কইলো?
৬। এরপরে যথারীতি 'তুই খারাপ, তাই আমি ভালো' নীতিতে হিমুর বই কিভাবে প্রাইজ পেলো, তা নিয়ে গবেষণা চলে। ধরলাম, হিমু খুব খারাপ লোক, সে বিয়ার খায়। সে দুই-নাম্বারি করে পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু তাতে কি প্রমাণ হলো, মুসা সামিট করেছে? না। বড়জোর হিমুর কথা প্রমাণ ছাড়া 'বিশ্বাস' করা যায় না, এটা প্রমাণ হয়। কিন্তু হিমু কি তার কথা বিশ্বাস করতে বলেছে? না। বিশ্বাসের ব্যাপারটা আসছে মুসার সামিটের ব্যাপারে, হিমুর নেভারেস্ট সিরিজ তো রূপকথা বা ঈশ্বরের বাণী না, আর সে এটাকে প্রমাণ বা বিচার-বিশ্লেষণ না করে বিশ্বাসও করতে বলছে না। তাইলে এই বাতচিতের রেজাল্ট হিসেবে মুসার দাবীর পক্ষে কিছু যোগ হলো?
৭। ...
তবে রবির একটা কথা মনে হয় সত্য।
মুসার বন্ধুরা তাকে উলঙ্গ করেই হয়তো ক্ষান্ত হবে না; বরং মুসাকে কখন প্রকাশ্যে লাথি মারবে, সেই আশঙ্কা করাই যায়!
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
বলাইদা রকস্
love the life you live. live the life you love.
মুসাকে আমি অবিশ্বাস করতে চাই না। এইমাত্র একটা সুত্র থেকে আমি ২৩ তারিখে আরোহন করা কয়েকজন অভিযাত্রীর সামিটের ডিজিটাল ছবি পেলাম। যেখানে প্রোপার্টিজ ক্লিক করে ছবি তোলার তারিখ এবং সময় দেখেছি।
মুসার জন্যও ব্যাপারটা প্রমান করা খুব সহজ যদি পত্রিকায় বা ব্লগে দেয়া ছবিগুলোর ডিজিটাল ভার্সন দেয়া যায়। ওই ছবিটার অরিজিনাল ডিজিটাল কপিটা এখানে আপলোড করা হোক কিংবা কাউকে মেইল করা হোক। এই পথে খুব সামান্যতেই বিষয়টা নিষ্পত্তি করা যায়। নাকি? অচেনা ভিনদেশী অভিযাত্রীর কাছ থেকে ছবি যোগাড় করতে আধঘন্টাও লাগেনি, সেখানে মুসার কাছ থেকে অরিজিনাল ডিজিটাল ছবিটা পাওয়া কঠিন হবে কি?
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
হিমুর নেভারেস্ট-১ এর ৬৯ নং মন্তব্যে মুস্তাফিজ ভাই মুসার দেয়া সবচাইতে নির্ভরযোগ্য ছবিটির (যেটার পেছনে চোমো লোনজো শৃঙ্গ দেখা যাচ্ছে) মেটা ইনফরমেশন তুলে ধরেছেন। ওখানে সময় দেখিয়েছে ২৩শে মে সকাল ৫টা ২২ মিনিট (সম্ভবতঃ বাংলাদেশ সময়)
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
লিঙ্কটা যদি দিতেন, তাহলে সেই আলোচনাটাও স্পষ্ট হতো ।
মুসার কাছে একটা প্রশ্ন। পিরামিডের মতো এভারেষ্টের ছায়ার ছবি ছাপানো হয়েছিল প্রথম আলোয়। সেই ছবিটা কার ক্যামেরায় তোলা। মুসা নিজে তুলেছে নাকি অন্য কারো ক্যামেরায়? ছবিটা ফিউশন ফাইভের ফ্লিকারেও দিয়েছে। কিন্তু ছবিটার মালিকানা কার? ছবিটার Exif data লক্ষ্যনীয়। এই হুবহু একই ছবি আমি সার্বিয়ান অভিযাত্রীর কাছ থেকেও পেয়েছি। সেটা অরিজিনাল। ফিফার পোষ্টেরটা ফটোশপের আদর পেয়েছে।
http://www.flickr.com/photos/fusion5/5033967898/in/set-72157625058033534/
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
এ ভ্রমণ, কেবলই একটা ভ্রমণ- এ ভ্রমণের কোন গন্তব্য নেই,
এ ভ্রমণ মানে কোথাও যাওয়া নয়।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
আমি অরিজিনাল ছবিটা দেখেছি (৪০০০X২৬৬৬ পিক্সেল)। এই ছবিটা আর জ্বিনের বাদশা’র উদাহারণে দেয়া ছবি দুইটা একই ক্যামেরায় তোলা। দুটো ছবির সময়ের পার্থক্য ১৩ সেকেন্ড (৫:২২:১৭ আর ৫:২২:৩০)। ছবি রিসাইজ করলে EXIF ডাটাতে তার প্রতিফলন আসে। ফ্লিকারেরটা রিসাইজ করা।
...........................
Every Picture Tells a Story
আমি এট্টু অন্য কতা কই। সেইডা হইল, হিমু এইহানে কী বাল হালাইতাছে তাতে মুসার সমিস্যা হইব ক্যা? উ হিমালয় পর্বত শৃঙ্গ জয় দিছে, বুক ফুলিয়া ঘুরব। কেউ জিগাইলে, পট কইরা পকট থিক্যা বৌইদ্দ মূর্তির পায়ের ধূলা বাইর কইরা দিয়া কইব, ন্যাউ, খাউ। শরবতে এপি। সকল ধরনের বালা মুছিবত থিক্যা রক্ষা পাইবা। পক্কুতে কুনো পক্কুরুগ হইব না।
অথচ মুছা নিজেই নাকি কষ্টে বাঁছে না (রবির তথ্য মতে)। ক্যা? কষ্ট ক্যা? হিমু ক্যারা? যার কথায় মুছা কষ্ট পায়? কাহিনী কি?
রবিই বা এ্যাবা করে ক্যা? সামথিম রম।
সামথিম ভারী রম না হইলে হিমুরে চুদার টাইম রবি কিম্বা মুছা কিম্বা আনিসুল হকের হইতো না।
এনবি: বিজ্ঞান বড় মারাত্মক চিজগো, খালি মাইনষেরে ধরিয়া দেয়।
পুনশ্চ: পাঁচচল্লিশ লাখ ট্যাকা খরচা কইরা মাইনষ্যে নিকি হিমালয় পর্বতে যায়? হাহাহাহাহাহা। ইয়ার নয় ভাগের ছয়ভাগ ট্যকা থাকলে আমি তিব্বতি মেয়েলুকের নগে বাকি যৌবনডা কাটিয়া দিয়া পারতাম। হাহাহাহাহা। দৈনিকি মদ দিয়া দুধভাত খাইতাম।
আসলে এত অসঙ্গতি দেখে আমি মুসা ইব্রাহীমের এভারেস্ট বিজয় নিয়ে একটু কনফিউজড অবস্থাতেই আছি। আজকে প্রায় সারাদিন ধরেই এ বিষয়ক পোস্টগুলা (সচলায়তন ও সামহোয়ারইনে) পড়লাম, এবং কনক্লুসিভ ডিসিশনে যেতে যেতেও খেই হারিয়ে ফেলছি।
যাই হোক এই পোস্টে একটা জিনিস আমার কাছে একটু ইন্টারেস্টিং লাগল। মূলত ব্রেন্ডনের ইমেইল, জলদস্যুর দেয়া এই লিঙ্ক এবং হিমু ও জ্বিনের বাদশার কথোপকথন থেকে একটা জিনিস আমার কাছে অসংলগ্ন লাগছে। নীচে জিনিসটা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছিঃ
লিঙ্কটা থেকে দেখা যাচ্ছে, অগ্রবর্তী বেস ক্যাম্প থেকে সামিটে উঠতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘন্টা, আর সামিট থেকে অগ্রবর্তী বেস ক্যাম্পে নেমে আসতে লাগে প্রায় ১০ ঘন্টা (অর্ধেক সময়)। আবার থার্ড স্টেপ থেকে সামিটে উঠতে টাইম লাগে ২ ঘন্টা। সুতরাং আমরা ধরে নিতে পারি যে, সামিট থেকে থার্ড স্টেপে নেমে আসতে লাগে ১ ঘন্টা।
এখন ব্রেণ্ডানের সামিট সময় হচ্ছে সাড়ে ছয়টা, তাই ধরা যেতে পারে সে থার্ড স্টেপে (উঠার সময়) ছিল সাড়ে চারটার সময়। আবার মুসা ইব্রাহিমের সামিট সময় সাড়ে পাঁচটা (৫:২২), তাই তার থার্ড স্টেপে (নামার সময়) থাকার কথা হচ্ছে সাড়ে ছয়টায়!! সুতরাং থার্ড স্টেপে ব্রেন্ডন মুসাকে দেখেছে এটা কিন্তু কোনভাবেই মেলানো যাচ্ছে না।
অবশ্য একটু অংক করলেই বোঝা যাবে, তাদের দেখা হয়েছে আনুমানিক ৫টা ৫০ মিনিটে (ব্রেন্ডনের যখন আর ৪০ মিনিটের যাত্রা বাকী)। এসময়ের অবস্থানকে যদি ব্রেন্ডন থার্ড স্টেপ বলে থাকেন তাহলে অবশ্য দ্বিধার অবকাশ নেই, নচেৎ কনফিউশনটা রয়েই যাচ্ছে।
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
==========================
একটাই কমতি ছিল তাজমহলে,
......তোমার ছবিটি লাগিয়ে দিলাম!
মুসার তোলা ছবিগুলার ব্যাপারে ব্রেন্ড, ম্যাক্স অথবা স্টিফেন এর কি বক্তব্য? ঐদিন তারা যেহেতু উঠেছে কাজেই তারা ভাল বলতে পারবে অগুলো চূড়ার ছবি কি না। প্রেয়ার ফ্লাগের ব্যাপারেও শিউর হওয়া যাবে।
গৌতম একটি কথা বলেছেন গুরুত্ব পাবার মতো। তিনি লিখেছেন:
"মঞ্চের পেছনের কুশীলবদের কথা যদি উন্মুক্তভাবে বলতাম তাহলে কী শান্তিটাই না পেতাম!"
পড়ে বিয়াফক বিস্মিত হলাম। তাঁর শান্তি পাওয়ার পথে কে বা কী বাধা হয় দাঁড়িয়েছে? ব্লগের মতো খোলা জায়গায় তাঁর বাকরোধ করে রেখেছে কে? তিনি যা জানেন, তা স্পষ্টভাবে সবাইকে না জানিয়ে গোমড় ফাঁক করে না দিয়ে শুধু ঢেঁকুর তোলার কারণ কী?
আমার মোটাবুদ্ধিতে যা বুঝি, এর পেছনে দু'টি কারণ হতে পারে: হয় তাঁর বক্তব্য মনগড়া, যা তথ্য-উপাত্ত-ভিত্তি-সূত্র সমর্থিত নয়, নয় স্রেফ ভাব নেয়ার জন্যে কথাটি বলা।
একটা জিনিস পরিষ্কার, মুসা এভারেস্টের ফার্স্ট স্টেপ পর্যন্ত উঠেছিল। এখন খালি আর একটু ওঠা দরকার।
আমার একটা প্রশ্ন, একজন মানুষ বলছে যে সে ভিডিও করেনি, বারবার তার কাছে সেই ভিডিও চাওয়াটা কেমন হয়ে যাচ্ছে না যদিও ভিডিও করাটা মুসার উচিত ছিল।
সুতরাং তার এভারেস্টে উঠার অকাট্য প্রমাণ হিসেবে ভিডিওটা আমরা বাদ দিতে পারি। তো এখন দেখতে হবে ছবি ,যেগুলোও কনক্লুসিভ না। তাহলে বাকি থাকলো সহযাত্রী/একই সময়ে যারা সামিট করেছে তাদের বক্তব্য।
জলদস্যু ভাইয়ের পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। আশা করি সেটা সকল সন্দেহ দূর করতে পারবে। তবে আমার ব্যাক্তিগত ধারণা, তারপরেও মানুষ প্রশ্ন করেই যাবে কেননা আমরা সন্দেহ করতে অথবা প্রশ্ন করতে বড়ই পছন্দ করি।
পাগল মন
ভিডিও তিনি নিশ্চয়ই করেছেন, তবে প্রমাণ দেখানোর মতো কিছু তাতে নেই বলে ভিডিও নেই বলছেন। ছবিও নেই জুতসই! কেমন হাস্যকর না ব্যাপারটা?
আর আপনি বলছেন, অন্য অভিযাত্রী সাক্ষ্য দিলে "আশা করি সেটা সকল সন্দেহ দূর করতে পারবে।" সকল সন্দেহ? ভাল বলেছেন। মুসাও একজন অভিযাত্রী, যিনি পর্বতারোহণ বিষয়ে অতীতে বহুবার মিথ্যাচার করেছেন। এখন আপনি বলুন, তিনি যদি অন্য কারো হয়ে ওকালতি করতে সাক্ষ্য দেন, সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য হবে?
"তারপরেও মানুষ প্রশ্ন করেই যাবে কেননা আমরা সন্দেহ করতে অথবা প্রশ্ন করতে বড়ই পছন্দ করি।"
খোঁচাটা অনর্থক। প্রমাণ ছাড়া বলা কথায় আপনি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন বলে সবাইতে তা পারতে হবে, তেমন কোনো কথা আছে? আর তাছাড়া, সন্দেহ করা ও প্রশ্ন করার অভ্যাস আছে বলেই মানুষ এত উন্নতি করতে পেরেছে, তাতে আপনার সন্দেহ আছে?
এই বিজ্ঞানের যুগে আধুনিক মানুষ অকাট্য প্রমান ছাড়া ঈশ্বরকেও বিশ্বাস করে না, সেই তুলনায় বাংলাদেশের মুসাতো কোন ছার !!!
সব কথার সার কথা - মোদ্দা কথা - হলোঃ মুসা এভারেস্ট সত্যি সত্যি জয় করুন বা না করুন, এটাকে নিতান্ত কান-কথা, শোনা-কথা, রূপকথা, উপকথা, লোককথা, ফোক, জোক বা গুজবের স্তর থেকে 'ফ্যাক্টের' স্তরে উন্নীত করতে হলে - ব্যক্তি ও বন্ধুমহলের বাইরে নৈর্ব্যাক্তিক পাবলিক ডোমেইনে প্রতিষ্ঠিত বা গ্রহনযোগ্য করতে হলে তাকে সোজাসাপ্টা, অব্জেক্টিভ, ট্যাঞ্জিবল অকাট্য প্রমান দিয়ে ও সেই প্রমানের নির্মম-নির্মোহ কষ্টিপাথরে যাচাই হয়েই আসতে হবে। এর আর কোনই বিকল্প নেই। সুস্পষ্ট, দ্ব্যর্থতাহীন, কঙ্কলুসিভ, আনডক্টর্ড ছবি বা ভিডিওই এক্ষেত্রে এরকম প্রমান হতে পারে - কোন কান-কথা বা ব্যক্তি-অভিমত বা ব্যক্তি-বিশ্বাসের কোন স্থান নেই এখানে - এমনকি যদি মুসা সত্যি সত্যি সামিট করেও থাকেন ! পাবলিক ডোমেইনে যে কোন দাবী প্রতিষ্ঠার এটাই একমাত্র ক্রাইটেরিয়া। এই ক্রাইটেরিয়া মীট না করতে পারলে হাজার কান্নাকাটি, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইলিং, ভুয়া দেশপ্রেমের ধুয়ো তোলা, হাত-পা ধরাধরি, ধমকাধমকি, চোখ-রাঙানি, রাগ, ঝগড়া, বাদানুবাদ, অভিমান বা কুতর্ক দিয়েও কোন কাজ হবে না। হওয়া কোনভাবেই উচিতও নয়।
মুসা যা বলেন তা তার আত্নীয়-পরিজন, বন্ধু, শুভাকাঙ্খী, সমপেশা বা সমপ্যাশন-এর ভাগীদার বা ব্যক্তি-বিশ্বাসপ্রবনরা (gullible) বিশ্বাস করতেই পারেন। সেটা তাদের ব্যক্তি-চয়েস এবং অধিকার। যেমন কিনা অনেক ইউ.এফ.ও. সাইটিং বা এবডাকশনের দাবীদারদের বেলায় দেখা যায়। আত্নীয়-পরিজন-বন্ধুবান্ধব-এবং অন্যান্য কিছু কিছু তথাকথিত সাক্ষী বা ব্যক্তি-বিশ্বাসপ্রবন গালিবলরা নানা কারনে বিশ্বাস করছেন বা বিশ্বাস করার কথা বলছেন, কিন্তু তারপরও মেইনস্ট্রীম পাবলিক ডোমেইনে ঐ দাবী গৃহিত হচ্ছে না। হচ্ছে না এই সোজাসাপ্টা, অব্জেক্টিভ, ট্যাঞ্জিবল অকাট্য প্রমান-এর অভাবের কারনেই। এটাই এযুগের নিয়ম। দু-পাঁচজন লোক কিছু বললেই সেটা গ্রহনযোগ্য হয়ে যায় না - এমনকি সেটা আসলে সত্যি হলেও। কে বলতে পারে ঐ ১০০% ইউ.এফ.ও. সাইটিং-এর ১০০%-ই মিথ্যা - তার মধ্যে একটিও আসলে সত্যি নেই ? তারপরও এগুলি এখনো নেহাতই রূপকথা। এগুলি বড়জোর বন্ধুমহলে গালগল্পে, আড্ডায়, আলোচিত হওয়ার যোগ্য - তার বাইরে নয়।
ভুল! ভীষন ভুল!!! আমরা আসলে ভীষনভাবে প্রশ্নহীন বিশ্বাসপ্রবন গালিবল জাতি। আমরা খুব সহজেই সবকিছু বিশ্বাস করি। আমরা পদ্ধতি-প্রকরন মেনে মোটেই সন্দেহ করতে বা প্রশ্ন করতে জানি না। জানলে, বা এত গালিবল না হলে, এদেশে রাজাকারদের এত বাড়বাড়ন্ত হতো না - জোকার নায়েকরা এত জনপ্রিয়তা পেত না।
মোহাম্মদ আলী জিন্নার কথায় নাচতে নাচতে পাকিস্তানে যোগ দিয়েছি - ঠকেছি। অভ্যুত্থানকারী সেনানায়কদের মুখের কথায় বিশ্বাস করে বারবারই তাদের কথায় নেচেছি এবং পরে দেখেছি ঠকেছি।
সত্যি কথা বলতে কি, আমার তো মনে হয় আমরা যদি সত্যিই আরেকটু অবিশ্বাসী, প্রশ্নশীল, বিচারশীল এবং সন্দেহপ্রবন হতাম তাহলে এদেশের অবস্থা এত তলানিতে এসে ঠেকতো না! অনেক ঠগ-জোচ্চরের হাত থেকে বেঁচে যেতাম। বেঁচে যেতাম অনেক ভুল বিশ্বাস, অপবিশ্বাস আর কুসংস্কারের হাত থেকে। তাই আমি বরং বলবো, নিরন্তর প্রশ্ন করা এবং সবকিছু অব্জেক্টিভ সন্দেহের কষ্টিপাথরে যাচাই করার মানসিকতা সুস্বাস্থ্যের লক্ষন। আমার কথা নয় - বার্ট্রান্ড রাসেলের।
মুসা এভারেস্ট এ উঠলেন। সবার নাম ওয়েব সাইটে উঠলো, মুসার উঠলো না! এটা কোনো সমস্যা না।
সবাই নেমে এলেন, মুসাও। মুসার নাম ওয়েব সাইটে আলাদা প্যারা হিসেবে উঠলো। এইটাও কোনো সমস্যা না।
জনগণ আশা করে থাকলো পেপারে এভারেস্ট জয়ের ছবি আসবে। আসলো অন্নপূর্ণা-৪ এর ঢালের ছবি। এইটা সমস্যা না।
কেউ কেউ আশা করে রইলো, ফেসবুকে নিশ্চয়ই ভিডিও আসবে, নয়তো ইউটিউবে। নিদেনপক্ষে বিশ-কুড়ি সেকেন্ডের। আসলো না। এইটাও সমস্যা না।
মুসা পেপারে অমুক জায়গায় তমুক কর্তৃক সংবর্ধিত হয়ে যাচ্ছেন অনবরত। সেইসব খবর প্রকাশিতও হচ্ছে, কিন্তু প্রকাশিত হচ্ছে না এভারেস্ট চূড়ার একটি ছবি! এইটাও নিশ্চয়ই কোনো সমস্যা না।
লোকজন এইবার সন্দেহ করা শুরু করলো, অফিসিয়ালি। এইটা কোনো সমস্যা না। মুসা(রা) গা করলো না। তাতেও কোনো সমস্যা হইলো না।
একটা আধাঝাপসা ছবি বের হইলো এভারেস্টের চূড়ায় তোলা দাবি করে। এইখানেও সমস্যার তেমন কোনো ব্যাপার ছিলো না। কিন্তু পরিস্থিতি মুসার পকেট থেকে বেরিয়ে পড়েছিলো খানিকটা। সেই ছবি নিয়ে টুকটাক প্রশ্ন উঠলো স্বাভাবিকভাবেই। এইটাও সমস্যা না।
সন্দেহ দানাবাঁধা শুরু করলো। এর মধ্যে প্রকাশিত হলো মোটিভেশন বাণিজ্যের খবর! বেশ, সমস্যা না।
প্রকাশিত হলো, মুসার ভাঙা মোটর বাইকের কাহিনি সহ নটর ডেম কলেজের হারানো দিনের বন্ধুত্বের গল্প! সাথে সাইড ডিশ হিসেবে এসেছে করুণ কিছু হৃদয়বিদারক কাহিনি। এতেও সমস্যার কিছু নেই।
শুরু হলো মুসার এভারেস্ট সামিট প্রত্যক্ষ করেছেন, এমন সাক্ষী খোঁজা। এমন কাউকেই পাওয়া গেলো না যিনি সন্দেহাতীত ভাবে বললেন যে মুসাকে সামিটে দেখা গেছে। এইটাও সমস্যা না।
কেউ মুসাকে নামার পথে কাহিল অবস্থায় দেখেছেন, কেউ দেখেছেন 'কমলা জ্যাকেট'। যদিও দেখা গেলো কমলা জ্যাকেট মুসা একাই পরেন নি। এটাও সমস্যা না।
এখন এতোসব না-সমস্যা'র পরেও যদি বলা হয় মুসা সামিট করেছেন, অতি অবশ্যই করেছেন। তাইলে সেইটা কি একটা সমস্যা নাকি এইটাও কোনো সমস্যা না!
এখন পর্যন্ত একটা প্রমাণও, আই রিপিট একটা প্রমাণও নির্দিষ্ট করে উপস্থাপন করা গেলো না যা বুঝাবে মুসা 'আসলেই' সামিট করেছেন। তার সামিটের স্বপক্ষে উপস্থাপিত সবগুলো প্রমাণই তার তোলা ছবির মতো ধোঁয়াশাময়। সন্দেহাতীত প্রমাণ উপস্থাপন না করে কিছু 'অনুমিত' আর 'হলেও হতে পারে' প্রমাণ নিয়ে একটা পজিটিভ কনক্লুশনের আশায় তর্ক চালিয়ে যাওয়াটা তো পরিণামে বিপরীত মতকেই শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেলো।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মজার মন্তব্য। কালানুক্রমিক ঘটনাগুলোর একটা চিত্র তুলে ধরেছেন। এগুলোর উত্তর একটা সেই রকম ছবি দিয়েই দেয়া যেতো। দূর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি এরকম প্রমাণ কেউ দেখাতে পারছে না। চূড়ার উপরে তোলা ছবি নাই তা ঠিক না, ছবি আছে, যেটা দেখে অনেকেই বিশ্বাস করবে যে সে এভারেস্টে উঠেছে। আবার অনেকে সন্দেহাতীতভাবে বিশ্বাসযোগ্য ছবি চাইবে। এই চক্র ভেদ করা কঠিন। শেষ পর্যন্ত মুসার এভারেস্ট বিজয় ঈশ্বরের অস্তিত্বের মতো বিষয়ে পরিণত হবে। প্রমাণ করাও কঠিন, প্রমাণ না করাও কঠিন।
দেখা যাক ঘটনা কোন দিকে যায়। স্লাগির সাথে এভারেস্টে একসাথে সামিট করেছে মুসা। স্লাগি কী বলে? কেউ কি তার সাথে যোগাযোগ করেছে?
আমার ব্যক্তিগত মতামতের কোন গুরুত্ব নাই। তবুও আমি চাইবো মুসা কথা বলুক। বলুক যে তার ছবি নাই। কেন নাই সেটাও বলুক। হয়তো অনেকেই সেটা বিশ্বাস করবে। অনেকেই বিশ্বাস করবে না। তাও একটা সমাধানের দিকে যাওয়া যাবে।
পিপিদা, ব্যাপারটা আসলে যত না এভারেস্ট জয় নিয়ে, তারচে বেশি হচ্ছে আমাদের মিডিয়াসচেতনতা নিয়ে।
আপনি লক্ষ করে থাকবেন হয়তো, ক্রমাগত একটা প্রাতিষ্ঠানিকতার চাপ প্রয়োগ করে মুসার এই প্রমাণ উপস্থাপনের ব্যাপারটিকে আড়াল করা হচ্ছে। সার্টিফিকেটের কথা বলা হচ্ছে তুমুল জোরেশোরে। আমরা কি কেউ খোঁজ নিয়েছি, এই সার্টিফিকেটটা কারা কীভাবে কীসের ভিত্তিতে ইস্যু করে? একটা চীনা আর্মি ক্যাম্পে লিয়াজোঁ অফিসার বসে, তাকে গিয়ে যদি ট্যুর অপারেটরের কেউ বলে, অমুক লোক সামিট করেছে, তারা সার্টিফিকেট ইস্যু করে বসে। এম এ মুহিত গত বছর চোয়ু শীর্ষ জয় করে আসার পথে সার্টিফিকেট পাননি, কারণ ওদের কাগজ শেষ হয়ে গিয়েছিলো! তাকে বলা হয়েছিলো, ঠিকানা রেখে যাও, পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেটা আর আসেনি। এ বছর এভারেস্টের ক্যাম্প-১ থেকে ফিরে আসার পথে মুহিত ভাবলেন, এসেছেন যখন সার্টিফিকেটটা চেয়ে দেখবেন। তার শেরপা বলার সাথে সাথে ওরা একটা সার্টিফিকেট ইস্যু করে দিয়েছে। আমরা যারা ভাবছি, চুলচেরা গবেষণার পর লিয়াজোঁ অফিসার এই সনদ ইস্যু করেন, তারা এই আড়ালের ব্যাপারটা জানি না বলে সনদপত্র সনদপত্র বলে লাফাই। যে ব্রেণ্ডান ও'ম্যাহোনিকে নিয়ে আজ এই পোস্ট, সে কিন্তু সশরীরে গিয়ে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেনি, গেছে তার ট্যুর অপারেটরের সর্দার। তার সার্টিফিকেট গত সপ্তাহেও অস্ট্রেলিয়া পৌঁছায়নি।
এরপরের প্রাতিষ্ঠানিকতার চাপ হচ্ছে সংবর্ধনা। বিপুল সংবর্ধনা, পত্রিকায় বিরাট আহাজারি করে মুসার দাবিকে ফ্যাক্ট বানিয়ে দেয়া হলো। এভারেস্ট জয়ের জন্যে আর কিচ্ছু প্রয়োজন নেই, একটা মিডিয়া গ্রুপই যথেষ্ঠ। কাগজের পাতায় বসেই আমরা পাহাড় জয় করে ফেলবো।
মিডিয়া যদি এভাবে ফ্যাক্ট নির্মাণ করতে থাকে, আর আমরা প্রশ্ন না করে সেসব ফ্যাক্ট নির্বিচারে গিলতে থাকি, আমাদের দেশে কখনও একজন সত্যিকারের এভারেস্টার তৈরি হবে না, তৈরি হবে এভারেস্টের সার্টিফিকেট সংগ্রহে পটু বাটপার। আজ মিডিয়া তারই এক সদস্যকে ধরে বীর বানাচ্ছে, কাল আরেকজনকে বানাবে দানব, পরশু আরেকজনকে বানাবে রবীন্দ্রনাথ, তরশু আরেকজনকে হিটলার। আমরা যা বানাচ্ছি, তা কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
এভাবে চলতে পারছে কারণ আমরা পাহাড় সম্পর্কে অজ্ঞ। আমাদের বহুলাংশের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে একজন ব্যক্তি বা একদল মানুষ যদি বছরের পর বছর কেবল খবরের কাগজের পাতায় পাহাড় জয় করে আসে, কী অর্জন হবে আমাদের? আমরা তো মূর্খ, সারা পৃথিবী তো নয়। আজ আমাদের কেউ নিজেদের অর্জন নিয়ে প্রশ্ন করলে তাকে গালি দিয়ে চুপ করিয়ে দিচ্ছি, কাল যখন অন্য কেউ এ প্রশ্ন তুলবে, আমরা কী বলবো?
নেভারেস্ট সিরিজে আমি তো শুধু মুসার এভারেস্ট জয়ের দাবির সত্যাসত্য নিয়ে লিখতে বসিনি। আমি দেখাচ্ছি, এই পাহাড়কে কী করে উপলক্ষ্য বানিয়ে বিজ্ঞাপন চলছে, ব্র্যাণ্ডিং চলছে, বাণিজ্য চলছে। আমি দেখাচ্ছি, আমাদের সাংবাদিকরা বিন্দুমাত্র খোঁজ খবর না করে গত পাঁচ বছর ধরে অসত্য দাবিকে ফ্যাক্ট বানিয়ে কাগজের পাহাড়ে পতাকা ওড়াচ্ছেন। আমি দেখাচ্ছি, আমরা পাহাড় সম্পর্কে নিজেরা একটু খোঁজখবর করতেও কতটা নিরুৎসুক।
এই সমস্যার সমাধান মিলবে যেদিন আমরা প্রশ্নের মুখোমুখি নিজেরা দাঁড়াতে পারবো। যদি না পারি, আমরা শুধু সার্টিফিকেট জয় করতে পারবো, পর্বতকে নয়।
আপনার আশংকা যে অমূলক নয় তা অনেকেই বুঝতে পারছি। যারা বুঝতে পারছেন না তাদের বলাই দা'র মন্তব্যটি পড়তে বলবো।
এই পোস্ট/সিরিজ অবশ্যই জায়গামতো একটা বড় নাড়া দিতে পেরেছে-- সেটা একটা বিরাট অর্জন। এখন কেউ পাহাড়ে উঠলে বা সাগরে ডুবলে সাথে প্রমাণ নিয়ে আসবেই। প্রশ্ন করার অধিকার এবং তার সদুত্তর পাওয়ার দাবী সকলেরই থাকা উচিত। প্রশ্ন করলেই সেটাকে "ব্যক্তিগত" ট্যাগ করে দেয়া আর সন্ত্রাসীদের দ্বারা কৃত খুনকে "রাজনৈতিক" ট্যাগ দিয়ে খুনীকে ছাড়িয়ে আনা সমপরিমাণ অপরাধ।
প্রশ্ন করার ফলেই অনেক কিছু জানা হয়েছে। আমি ধারণা করছি পরবর্তী পোস্টগুলোতেও আরো অনেক কিছু উঠে আসবে। সেগুলোকে কেউ কেউ ব্যক্তিগত "আক্রোশ", "ক্ষেদ" ইত্যাদি নানা ট্যাগে ভরিয়ে দেবে। কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে নিজেকে জিজ্ঞেস করলেই হয়তো উত্তরটা পাওয়া যাবে।
আনিসুল হক সাহেবের মাঝপথে লাইন কেটে দিয়ে চলে যাওয়া অবশ্যই সন্দেহের উদ্রেক করে। তবুও আমি তাঁকে সাধুবাদ দেই কতা বলতে রাজী হয়েছেন বলে।
আপনার সাথে মুসার কথা না বলার কারণ বোধহয় একটিই-- মুসা এখন সেলিব্রেটি, আপনি তো সেলিব্রেটি নন। কাল আমার একটা মন্তব্যে আপনার সাথে মুসার কথা বলার আহবান জানানোর পরে একজন আমাকে এরকম একটা বক্তব্য মেসেজে জানিয়েছেন। বক্তব্যটিকে আমি জনতার একটা অংশের দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে গ্রহণ করেছি। দেখুন অন্য কোন উপায়ে আপনার প্রশ্নগুলো মুসাকে করা যায় কি-না। সেটাও খারাপ নয়।
আ স্টিচ ইন টাইম, সেভস নাইন।
মুসা এবং তার সাহাবারা ভাব না মেরে যদি শুরুতেই এখন যে ছবি গেলানোর চেষ্টা করছে সেটা করতো, আমি হলফ করে বলতে পারি পরিস্থিতি এতো ঘোলাটে হতো না। অন্তত মুসার এভারেস্ট জয়ের দাবিতে কনভিন্সিংদের সংখ্যা আরও একজন হলেও বাড়তো পিপিদা।
আমি মনে করি আমার মতো অনেকেই আছেন আরও। যাদের কাছে মুসা এভারেস্টে গেলো নাকি যদু-মধু-কদু গেলো, এইগুলা কোনো রোলই প্লে করে না। "মুসা এভারেস্টে না উঠলে আমিই সেই দুর্লভ সম্মানের অধিকারী হবো", এমন গোপন আশাবাদও নাই মনে হয় কারো! আর কারো কথা জানি না, কিন্তু আমার মনে সন্দেহের অবতারণার মূল কারণ হলো 'প্রেজেন্টেশন'। আনিসুল হক, মুসা, রবি, পল্লব, সিমু প্রমূখদের অনবরত হুদাই খালি কাঁসার বাটি পিটানো। কাহাতক আর কানে-কপালে সহ্য হয়!
ব্রেনডান এর ব্যাপারে আমার মত হলো, সে মুসাকে একজন সামিটিয়ার বলতে মনে করতে পারছে না। কিন্তু বারবার ইয়ার্দাশ খো বেয়ঠা রোগীর মতো, "ভাই আরেক্টু চেষ্টা করো, মনে করতে পারবা" টাইপের অনুরোধের পর সে বলছে, 'কমলা রঙের জ্যাকেট' দেখেছে। এখন কথা হলো, ব্রেনডানের এই বক্তব্য থেকে 'মুসা এভারেস্টে উঠে নাই'- এইটা প্রমাণিত না হোক, অন্তত এইটা কি প্রমাণিত হয় যে 'মুসা সামিট করেছে'? যেখানে দরকার একটা "স্পষ্ট" কিছুর উপস্থাপন, সেখানে "কনফিউজড" কোনো কিছু টেনে এনে 'ইতোমধ্যেই কনফিউজড' একটা বিষয়ের ইতি কেনো টানা হচ্ছে?
ব্রেনডানের পরবর্তী উক্তির কথা হয়তো বলেন যে সে বলেছে কাঠমান্ডুতে বিভিন্ন সভায়, আয়োজনে মুসাকে তার 'জেনুইন'ই মনে হয়েছে! এখানে আমার প্রশ্ন হলো, এইটা কীসের ভিত্তিতে ব্রেনডানের মনে হয়েছে মুসার ব্যাপারে? মুসার এভারেস্ট এবং সামিট সংক্রান্ত কথাবার্তা শুনে তো! তাইলে এইবার একটা কথা আপনাকে বলি পিপিদা। একটা অংশও মিথ্যা না। ঢাকায় থাকতে এক নিউজার্সী বাসীর সাথে আমার কথা হয়েছিলো। তাঁর সাথে কথা প্রসঙ্গে উঠেছিলো আটলান্টিক সিটির কথা। আমি আটলান্টিক সিটির একটা জাহাজসদৃশ ক্যাসিনোর বর্ণনা দিয়েছিলাম তাঁর কাছে। বর্ণনা দিয়েছিলাম ক্যাসিনোর ভেতরের অংশের। বিভিন্ন দোকান পাটের, নাম এবং অবস্থান সহ। আলাপ শেষে সে খুব আশ্চর্য হয়ে আমাকে বলেছিলো, "তুমি কি নিশ্চিত যে তুমি কখনো নিউজার্সি কিংবা আটলান্টিক সিটিতে যাও নি! নিদেনপক্ষে সেই ক্যাসিনোতে!"
আমার মতো একজন নাদান, যে কি না কোনোদিন আটলান্টিক সিটি দেখেই নি, তার বর্ণনা শুনেই যদি একজন আটলান্টিক সিটি নিবাসির পাকা ধারনা হয়ে যায় যে আমি আটলান্টিক সিটিতে গিয়েছি, তাহলে এভারেস্টের প্রকৃতি, পরিবেশ, পথ, আচরণ- সবকিছুর সাথে বেশ ভালো ফার্স্টহ্যান্ড পরিচয় থাকা মুসার (পুঙ্খানুপুঙ্খ) বর্ণনা শুনে কেনো ব্রেনডানের মনে সন্দেহ হবে যে সে সামিটে যায় নি!
আরেকটা কথা বলি, হিমু'র কী ঠেকা পড়েছে অমুকের কাছে গিয়ে তার বক্তব্যের প্রমাণ দিয়ে আসতে? বরং কারো যদি তার তুলে ধরা অসঙ্গতিগুলো নিয়ে প্রশ্ন থাকে, সেগুলো পরিষ্কার করার জন্য তাকে হিমুর কাছেই আসতে হবে। সেটা করতে না চাইলে দূরে গিয়ে কেউ মুড়ি চিবাতে থাকা ছাড়া আর কিছু করার আছে বলে মনে হয় না। তাতে সম্ভবত হিমুর কিছু আসবে যাবে না। কারণ এভারেস্ট সামিটে মুসা অক্ষম হলে এইটা তার এবং তার বন্ধুবান্ধবদের জন্য বিরাট 'লস'। হিমু'র জন্য এইটা যেমন লাভের কিছু না, লসেরও কিছু না। এই ব্যাপারটা পরিষ্কার হওয়া দরকার।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
মুসার ছবিগুলো ব্রেনডন বা অন্য সামিটিয়াররা দেখে কি বলেন? তারা তো বলতে পারবে আসলেই অগুলো সামিটের কি না।
হুম! দুনিয়াজোড়া পচুর গিয়ানজাম! কিন্তু, মুসার খবর নাই, অথচ এদিকে কাড়মাকাড়মির অন্ত নাই। আফসুস, এতোজনের এতো পরিশ্রমের মাত্র অর্ধেকই কাজে আসবে।
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
_______________________________
খাঁ খাঁ দুপুরে, গোধূলিতে আর রাতে বুড়ি পৃথিবী
কেবলই বলছে : খা, খা, হারামজাদা, ছাই খা!
(ছাই: মণীন্দ্র গুপ্ত)
রবি সাহেব এখানে দাবি করেছেন তার উত্তর নাকি এখানে প্রকাশ করতে দেয়া হচ্ছে না। আসলেই কি তাই?
http://www.somewhereinblog.net/blog/RABI08/29252566
তিনি আরো কিছু দাবী করেছেন, হিমু ক্ষমা চেয়েছে, সত্যের জয় হয়েছে, মুসার ব্যাপারে প্রমান করার আর কিছুই নেই...কিন্তু এখানে শেষের দিকের কমেন্ট পড়ে তেমন মনে হচ্ছে না।
মুসার মিডিয়া "ব্রুট ফোর্স" পদ্ধতিতে চলছে। যুক্তি খন্ডন না করে পাশ কাটিয়ে চলছে। যা জবাব দিচ্ছে তা অপ্রাসংগিক।
সামুতে কাল একজন বলেই দিল, মিডিয়া যেহেতু মেনে নিয়েছে তাই সবাইকে মেনে নিতে হবে।
মুসা না কী এখন সেলেব্রেটিদের কাতারে। পোস্টটা পড়লেই বুঝতে পারবেন, সেটা কতটা হাস্যকর।
উনি কি কমেন্ট পোস্ট করার পর সবসময় স্ক্রিনশট নেন, না কি ভবিষ্যতে ম্যানিপুলেশনের জন্য ব্যবহার করা যাবে, এরকম অবস্থায় নেন ?
এটা দু|ক্ষজনক যে বিষয়টা এখন পক্ষও বিপক্ষের কথা বলা মানুষগুলোর ব্যক্তিগত কুসা রচনার বিষয়বস্তুতে পরিনত হয়ে গেছে।
কারো সাফল্য নিয়ে সন্দহজনক কিছু যুক্তি বললেই তার চোদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করতে হবে এর কোন মানে নেই।
ধর্মকে ধরা হয় সর্বসত্য একটা বিষয়, সেটা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। কথাটা মনে রাখা দরকার।
এতো দীর্ঘ সময় ব্যয় করে পোস্ট আর মন্তব্যের বিশাল কাফেলা পেরিয়ে এসে কদু আর লাউ-এর তফাৎ খুঁজে খুঁজে নিজেকে মন্তব্যরহিত অবস্থায় আবিষ্কার করে নিজেই বিব্রত হয়ে গেলাম ! এটা কি কদু না লাউ সেটাই বুঝা হলো না !
কোথায় যেন পড়েছিলাম আগুন কি তা বুঝাতে অহেতুক বিশাল বক্তৃতার ব্যর্থ আড়ম্বর না করে একটা দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বেলে দিলেই চুকে যায় ইহা আগুন। গর্বিত মুসাকে তো গোটা ম্যাচ খরচ করতে হয় না, একটা কাঠিই যথেষ্ঠ ! এতেও এতো অনিহা কেন তাঁর ? বিস্ময় !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
রবি
সামহ্যোয়্যারে আপনার লেখা পড়লাম।
নিজেকে আর নিজের বন্ধুকে নীচে নামাতে এরকম একটা লেখাই যথেষ্ট।
এর বেশি কিছু লাগেনা।
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
মুসাকে নিয়ে বিতর্কের ওপর চোখ রাখচি। এর সমাধান সামনে হবে এই আশা করি।
একটা ব্যাপার লখ্য করলাম। আসিফ এনতাজ রবি কখনো তার কোনো লেখায় হিমুর নেভারেস্টের কোনো লিংক দেন না। বরং নিজের মতো করে বানিয়ে বানিয়ে কথা বলেন। কিন্তু এই পোস্টের লিংক তিনি সামহয়ার ব্লকে একটু পর পর দিচ্ছেন।
এই পোস্টেও তিনি বার বার এসে সামহয়ার ব্লকের নানা লেখার লিংক দিচ্ছেন। সম্ভবত সামহয়ারে তিনি লিখে হিট পাচ্ছেন না, এ জন্যে নিজের লেখার লিংকের বিগগাপন করছেন সচলায়তনে।
নতুন মন্তব্য করুন