জাফর হোসেনের "ক্ষমা করবেন" লেখাটি প্রিয় অস্ট্রেলিয়া ওয়েব সাইট থেকে তুলে দিলাম। নিচের লেখাটি আমার নয়, তাই লেখকের নামসহ সম্পূর্ণ লেখাটি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ক্ষমা করবেন
খালেদা জিয়া বলেছেন তারেক জিয়া দুর্নীতি করতে পারেন না। কারন তিনি জিয়ার ছেলে। কি অকাট্য যুক্তি। দুঃখ হোল এক বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী বিশ্বাস করবে এ যুক্তি এবং প্রয়োজনে ভাংচুর করবে এ যুক্তি প্রতিষ্ঠায়। যতই আপনি কারণ দেখান তাদের কর ফাকি, তাদের এবং বন্ধুবান্ধবদের দুর্নীতির স্বীকারোক্তী, দেশে বিদেশে তাদের সম্পদের পাহাড় নির্মান ততই তারা আপনাকে সন্দেহের চোখে দেখবে। এ সন্দেহ বাতিক জন গোষ্ঠী এভাবেই টিকিয়ে রেখেছে দুর্নীতিবাজ নেতা-নেত্রীদের। সন্দেহ বাতিক জনগোষ্ঠী নেতাদের মন্দ কাজের কথা ভাবতে পারেন না। এরা শেখ মুজিব, জিয়াউর রহমান, এরশাদ, গোলাম আযম সবাই কে মহামানবের পর্যায়ে নিয়ে রীতিমত পুজাঅর্চনা করে।
এতে নেতারা জীবিত অবস্থায় হয়ে ওঠে স্বৈরাচারী। আর সৃস্টি হয় দ্বন্দ সংঘাতের। দরিদ্র দেশের মানুশ আরও দরিদ্র হয়। নেতাদের সুস্থ এবং সৃজনশীল সমালোচনা প্রয়োজন। তারা ভালো মন্দে মেশানো মানুশ। আর তাদের কাজ আপনার আমার সেবা করা। দেশটা তাদের বাবার তাল্লুক নয়।
নেতাদের গঠনমুলক সমালোচনা কাউকে ছোট করে না। বরং নেতাকে সাহায্য করে তার কাজ সুশঠু ভাবে সম্পদানে। বড় দলের সমর্থক দের অন্ধতা দূর করে নিজেদের সমালোচনা করার এবং অন্যদের সমালোচনা শোনার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। একাজটা করতে হবে ধৈর্য্য ধারন করে। অযথা রেগে যাওয়া, ভাংচুর করে দেশকে অচল করে দেয়া কারো জন্য কোন সুফল বয়ে আনে না।
আব্দুল গাফফার সাহেব সেনা শাসনের সমালোচনায় তুলা ধুনা করেছেন। বর্তমান মুক্ত জমানায় সেনা শাসন কেউ পছন্দ করে না বা সমর্থনও করেন না। তার পরও সেনাবাহিনী এগিয়ে আসে যখন আমাদের রাজনৈতিক নেতারা দেশ শাসনে বেড়াছেড়া লাগিয়ে দেয়। অথবা প্রতিপক্ষের সাথে সুবিধা করতে না পেরে প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ্য ভাবে সেনা শাসনকে সমর্থন দিয়ে যায়। ছয় মাস আগে শেখ হাসিনা বলেছিলেন ক্ষমতায় এলে এ সরকারের সকল কর্মকান্ডকে বৈধ করে দেবেন। কারণ তখন ভেবেছিলেন শাস্তি হবে অন্য দলের। মাঝখান থেকে ক্ষমতার তক্তপোষে বসে বাহাদুরী করবেন।
তাই এখন শেখ হাসিনা এবং তার সমর্থক গোশঠী অত্যন্ত নারাজ বর্তমান সরকার এবং সেনাবাহিনীর ওপর। আসল সমস্যা সেনা বাহিনী নয়। আমরা কেন বিচারের মুখোমুখি। তাই এখন জগত খারাপ সেনাবাহিনী খারাপ ,আমেরিকা খারাপ, সবাই খারাপ।
সাংবাদিক এবং লেখকদের একপেশে না লিখে দেশের স্বার্থে সত্য কে তুলে ধরা দরকার। বড় দলগুলোর পোষা লেখক এবং সাংবাদিক না হয়ে দেশের জন্য লিখতে হবে , সত্য কথা বলতে হবে। অবশ্য দালালী করে যদি আমাদের সংসার চলে তবে ভিন্ন কথা। তবে নিছক দালালীর জন্য লেখক এবং সাংবাদিকতার মত মহান পেশার অপমান না করাই উত্তম।
জাফর হোসেন
05 September 2007
মন্তব্য
চমৎকার বিশ্লেষণ । কিন্তু সমস্যা হলো কারো চরিত্রই সরলরৈখিক নয় ।
> অতিথি লেখক দ্বিধা
লেখকের অনুমতি নেওয়াটা প্রয়োজন ছিল, পারলে ইমেইল করে জানিয়ে দিন
-------------------------------------
রামছাগলের সামনে, খচ্চরের পেছনে আর নিবোর্ধের ধারেকাছে না থাকাই শ্রেয়!
অনুমতি বিহীন লেখা প্রকাশের চেয়ে, শুধু লিংকটা উল্লেখ করে দেয়াই শোভন।
যদি আপনার কোন প্রাসঙ্গিক বক্তব্য থাকে শুধু সেটি যোগ করা যেতে পারে পোস্ট হিসেবে।
জাফর হোসেন,
(মাধ্যম: জলদস্যু)
আপনি কী বর্তমান সরকার এবং সেনা বাহিনীর ওপর খুশী? তারা কবে বিচারের মুখোমুখি হবে?
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
যে লাউ সেই কদু!
যায় ভেসে যায় স্বপ্ন বোঝাই, নৌকা আমার কাগজের...
নতুন মন্তব্য করুন