তুমি যে-গাছ দেখেছো
আমরা কি তাই দেখি?
শুনেছি সময় কখনো
স্থির থাকে না
আরো নাকি জলের স্রোত
কিন্তু তুমি এক আকাশ
দু’বার কখনো
আমাদের
দ্যাখাতে পারো না!
মানুষ তাহলে
জীবনে কখনো
স্থির থাকে না
মানুষ কখনো
পুরনো প্রিয়র কাছে
আর একবার
ফিরে যেতে
কোনোভাবেই
পারতেছে না॥
মন্তব্য
আমার বোঝার ভুল হতে পারে, তাই সরাসরি জিজ্ঞেস করে জেনে নেই। কবিতার শুরুতে "দেখেছো", "শুনেছি" ব্যবহার করেছেন, কিন্তু মাঝে "দ্যাখাতে" ("দেখাতে" হতে পারতো), আবার শেষে এসে "পারতেছে" ("পারছে" হতে পারতো)। এটা কি ইচ্ছাকৃত (মানে, কবিতার কোন নিজস্ব আলাদা স্টাইল তৈরি করছেন?) নাকি অনিচ্ছাকৃত ভুল? এমনিতে ভালোই লাগল।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
অতন্দ্র প্রহরী'র মতো আমি ও জানতে চাই ।
কবি সাহেবের যেমন খুশীর স্বাধীনতা হইলে অবশ্য ভিন্ন কথা ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আমার মনে হয় (নিজের অনুভূতিতে আর কি) 'দ্যাখা' এবং 'দেখেছো' দুটো আলাদা শব্দ। এই কারণে এই প্রভেদ। আর 'পারতেছে' শব্দটা 'পারছে' না হওয়ার কারণ হলো আমার মনে হইছিলো 'পারছে' এতোই শান্ত যে এটা না-পারার বেদনাটা ধরতে পারে না। আর 'দেখা'ও লিখতে পারতাম- এই কথা ঠিক; তবে সেক্ষত্রে আমাকে মাত্রাসহ এ-কার লিখতে হতো; রবীন্দ্রনাথের দেওয়া পথ অনুযায়ী এছাড়া তো 'এ্যা' উচ্চারণ বোঝানোর আর কোনো পথ নেই।
তাছাড়া কথা বলার সময় আমি/আমরা তো প্রায় বেশিরভাগ সময়ই 'পারতেছে' না বলি। এইসব মিলেই। ওই কবিতার আর একটু মুখের ভাষার কাছে যাওয়ার চেষ্টা আর কি; যদি উতরে যায় তবেই।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
মানুষের কি এখন গাছ দেখার সময় আছে? মানুষের কি এখন সময় আছে ভোররাতে নিজের সাথে কথা বলার? বোধহয় নেই। যে দূরন্ত গতি আমাদের টেনে নিয়ে চলছে, সেখানে স্থিরতা পরাজয়ের সমার্থক। স্থিরতাকে এখন মানুষ স্থবিরতাই মনে করে।
-------------------------------------
হাত বাঁধা, কিন্তু দড়ি মুক্ত - হায় পৃথিবী!
মানুষ কখনো
পুরনো প্রিয়র কাছে
আর একবার
ফিরে যেতে
কোনোভাবেই
পারতেছে না॥
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
নতুন মন্তব্য করুন