আচ্ছা আমি কি সুস্থ মানুষ? এই পৃথিবীর সুস্থ মানুষ কে? এই যে প্রতিদিন একটা রুটিনে বেচে যাচ্ছি- এ তো গেলোই। এছাড়া আরো কতো কী রয়ে গেলো নিজেকে অসুস্থ ভাবার মতো।
এখন ২০০৮ সাল। শতকের হিসাবে নাকি ২১ শতক। প্রতিদিন সকালে পত্রিকা খোলেন- এমন অনেক মানুষ তো আছেন। তারা সবাই কী দ্যাখেন পত্রিকায়? কোনো সুসংবাদ কখনো দ্যাখার ভাগ্য কি হয়েছে আমার? সব বাজে খবর। সব খারাপ খবর। সব মন্দ খবর। তবু প্রতিদিন সকালে আমি খবরের কাগজ হাতে নিই।
রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় কখনো আর একজন পথচলতির মুখের দিকে তাকিয়ে দুই মুহূর্ত দেখেছি কি না মনে পড়ে না- যখন শহরে থাকি। প্রতিদিন ছুটছি।
মাঝেমাঝেই মনে হয় এই বেচে থাকা সুস্থ মানুষের নয়।
আমি কি তাহলে অসুস্থ? আধুনিক যুগে বাস-করতে-চাওয়া মানুষের প্রধান যোগ্যতাই কি তবে এই যে তাকে অসুস্থ হতে হবে?
জানি না। আমি এই আধুনিক যুগে বাস করি শহরে। এই আমি অসুস্থ না তো অসুস্থ তবে কে?
মন্তব্য
এই বোধটা আমারে চব্বিশ ঘন্টা জড়ায়া রাখে।
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
------------------------
ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
কী আর করা! প্রতিনিয়ত ব্যস্ততারই অপর নাম জীবন হয়ে গেছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ব্যস্ততা নিয়ে আপত্তি নেই। আপত্তি সমস্ত বিবমিষাকে অনায়াসে মেনে নেয়ায়।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
তাহলে যে আপনাকে সুশীল সমাজের বাসিন্দা হতে হবে আর প্রকৃ্ত অর্থে সেটা এই পৃথিবীর কোথাও নেই।
বিষবৃক্ষকে যে তার বিষ নিয়েই বেঁচে থাকতে হয়।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
বিবমিষা না মেনে নেয়ার মানে কি সুশীল হয়ে যাওয়া? ঠিক বুঝলাম না কিন্তু।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
সুস্থ থাকতে গেলে আমাদের কি চাই !!!
আমার আগের কথা গুলি উপরের কথার প্ররিপ্রেক্ষিতে।
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
মানুষ তো স্বভাবতই সুকুমার বৃত্তি ধারণ করে, নাকি? সুকুমার বৃত্তি ধারণই যদি হয় মানুষের স্বাভাবিক সাধারণ গুণ তাহলে নিত্যদিনের বিবমিষায় নিজেকে আক্রান্ত বোধ না-করাটা কি স্বাভাবিক। নাকি?
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
নিত্যি অসুক খাইয়া খাইয়াই আসলে এই দশা। তয় খাড়াইতেই এত বেদিশা হইয়েন না, সামনে নানা গিয়ানজামের সুযুগ আইশতাছে। হস্তের কালামুনডারে কামান বানিবার এই তো মুক্ষুম সুমায়।
আমনে ইকটু-আকটু সাহুস দিয়াইন। নাইলে তু পারাম না।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আমি নিজেই যে সামোশ খুজতাছি? তয় পাইলে এট্টু দিয়ান যাইবনি।
বি পজিটিভ, পলাশদা...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
অনেক কিছুই মনকে সারাক্ষন প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখে, এর নাম সভ্যতা, এই কি আমাদের পূর্ব পুরুষরা আমাদের জন্য চেয়েছেন ???
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতিকে ধার করে বলতে পারি- স্বাভাবিকতা আর গতিময়তা কখনো একসাথে মাপা যায় না। আমরা গতিময় শহরে বাস করি, স্বাভাবিক বোধগুলোকে জড়িয়ে নয়। আবার সুস্থতার সাথে স্বাভাবিকতার সম্পর্ক গলাগলির। সুতরাং গতিময় হলে কাউকে অসুস্থ থাকতেই হবে।
স্বাভাবিক থাকার মানে সুস্থ থাকার সময় কোথায়?
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
ব্লগস্পট ব্লগ ::: ফেসবুক
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
গতকাল একটু খুঁজে পাওয়া অবসরে একটি ভারতীয় বাংলা টেলিফিল্ম দেখছিলাম । একটি মেয়ে বাড়ীর ফেরার সময় আরেকটি আক্রান্ত মেয়েক উদ্ধার করে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, যেখানে দলবেঁধে অন্যরা মজা দেখছিল ।
পত্রিকা মেয়েটিকে নিয়ে ফিচার করে,চারদিকে হৈচৈ শুরু হয় । নানা সংগঠন সংবর্ধনায় মেতে উঠে,ঘরের মানুষ আত্নীয় স্বজন সবার অনেক গর্ব ।
কেবল মেয়েটির বৃদ্ধা ঠাকুর মার কোন উচ্ছ্বাস নেই ।
তার কথা- একজন বিপদ্গ্রস্ত মানুষকে আরেকজন মানুষ উদ্ধার করবে এটাই তো স্বাভাবিক । স্বাভাবিক কাজগুলো না করতে করতে আমরা এমন একটা অবস্থায় পৌঁছেছি যেখানে একটা স্বাভাবিক কাজ ও অনেক অস্বাভাবিক,অভূতপুর্ব ঠেকে ।
আমরা নিজেদেরকে অসুস্থতার কারাগারে আটকে ফেলেছি যেখানে সুস্থতা মাত্রই অস্বাভাবিকতা ।
-------------------------------------
"শিয়রের কাছে কেনো এতো নীল জল? "
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
আপনি বোধহয় ঋতুপর্ণ ঘোষের 'দহন' সিনেমাটা দেখেছেন। আমি অনেক আগে দেখেছি, ভাল লেগেছে অনেক। বৃদ্ধা ঠাকুমার ওই মূল্যবোধ এতটাই নাড়িয়েছিল আমাকে যে এখনও তা মনে পড়ে মাঝে মাঝেই।
_________________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
না হে, আমি সিনেমাটা দেখি নাই।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
নতুন মন্তব্য করুন