লুকাস মারান্ডি। ১৯২২ সালের ৪ঠা আগস্ট দিনাজপুরের বেনিদুয়ার গ্রামের মধ্যপাড়ায় তার জন্ম। তার বাবা মাথিয়াস মারান্ডি ও মা মারীয়া কিস্কু। দুই ভাইয়ের মধ্যে লুকাস ছিলেন বড়ো। ছোটো ভাই পিতর ১৯৫২ সালে যক্ষ্মায় মারা যান।
জাতিতে লুকাস ছিলেন সাঁওতাল। তার বাবা ছিলেন তার গোত্রের হেডম্যান। সাঁওতাল সম্প্রদায়ের নিয়ম অনুযায়ী বাবার মৃত্যুর পর তিনিই হেডম্যানের দায়িত্ব নেওয়ার কথা। গোত্রপ্রধানের ছেলে হিসেবে বিশাল উৎসবের মধ্য দিয়ে স্বাভাবিক নিয়মে বিয়ে করে তার থিতু হওয়াই ছিলো স্বাভাবিক। কিন্তু এসবে গেলেন না লুকাস।
লুকাসের যাজক হওয়া
লুকাস প্রথম স্কুলে যান আট বছর বয়সে। বিনিদুয়ার প্রাইমারী স্কুলে তার পড়াশোনা শুরু। ১৯৩৪ সালের শেষ দিকে তিনি ভর্তি হন দিনাজপুর সান্তাল মিডিল স্কুলে; স্কুলটির এখনকার নাম সেন্ট ফিরিপস বোর্ডিং। সেখানেই প্রথম পুরোহিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন লুকাস। তার আগ্রহের কথা স্কুলের পরিচালক ফাদার গ্রসি ও বিশপ আনসেলমোকে জানান। মেট্রিক পরীক্ষার পর তাকে পাঠানো হয় সেন্ট আলবার্ট সেমিনারীতে। সেখানে তিনি অতি কষ্টে দর্শন শাস্ত্রে পড়াশোনা শেষ করেন। এরপর ঐশীতত্ত্ব পড়ার জন্য তাকে বিশপ আনসেলমো পাঠান নেলোরে।
পড়া শেষে ১৯৫৩ সালে নেলোর থেকে ফিরে আসেন লুকাস। সে বছরেরই ৩রা ডিসেম্বর তাকে দিনাজপুর ক্যাথিড্রালের যাজক পদে অভিষিক্ত হন। তাকে অভিষিক্ত করেন ২০ বছরব্যাপী দিনাজপুরাবসী বিশপ অবের্ট। অভিষেকের সময় লুকাসের মা-বাব ও নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন। পৌরহিত্য লাভের পর তার প্রথম কর্মস্থল ছিল মারীয়ামপুর মিশন। চার বছর ধরে তিনি সেখানে যথাক্রমে ফাদর সজ্জি ও মাজ্জনি এবং ফাদার লুইজির সঙ্গে কাজ করেন। এই সময়ই কয়েকজন খ্রিস্টধর্মাবলম্বীর সঙ্গে তার বিরোধের সূচনা হয়। বিরোধের ছিলো জমি। মার্তিনালি নামে এক ফাদার সেসময় জমি কেনেন ম্যানেজার লক্ষণ হাঁসদার নামে। বিদেি দের জমি কেনার নিয়ম না থাকায় তিনি ছদ্মনামে জমিটি কেনেন মারীয়ামপুর মিশনের জন্য। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সেই জমি তিনি নিজের দখলে নেয়ার দাবি জানান। এতে ক্ষেপে গিয়ে ফাদার লুকাস তাকে চড় মেরে বসেন। এ ঘটনার পর কিছুদিনের জন্য তাকে সৈয়দপুরে ফাদার সজ্জির কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এরপর তার নিয়োগ হলো সেই সেন্ট ফিলিপস বোর্ডিংয়ে যেখানে তার পড়াশোনা শুরু হয়েছিলো। সেখানে তিনি ছাত্রদের পড়াশোনায় সাহায্য করতেন। শেখাতেন ধর্মীয় গান-বাজনা।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হলো। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানের গর্ভনর মোনায়েম খান আদেশ দিলেন দিনাজপুরে ধর্মপ্রচারে নিয়োজিত সমস্ত বিদেশিকে ঢাকায় চলে যেতে হবে। তাদের নিরাপত্তা রক্ষার কারণেই এ নির্দেশ বলে জানানো হয়। নির্দেশ মেনে সব বিদেশি ফাদার ঢাকায় চলে যান। দেশি হওয়ার সুবাদে ফাদার লুকাস মারান্ডি সেখানেই থাকেন। সেই সময়টুকুর জন্য তিনি ছিলেন সেন্ট ফিলিপস বোর্ডিংয়ের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক। তিনি তখন বিশপের দায়িত্ব পালন করেন। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত বিশপের দায়িত্ব পালন করেন। সেখানকার ধর্মপল্লীগুলোও দেখাশোনা করতে হতো তাকে। ধর্মপল্লীগুলোর স্কুলগুলোর খোঁজখবরও তখন তাকেই রাখতে হতো। সব মিলিয়ে প্রচন্ড ব্যস্ততায় কাটছিলো তার সময়। এর ওপর ছিলো নানা সময়ে সরকারি মহলের নানা বিষয়ে প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দেওয়ার ব্যাপারও। এসময় তিনি স্ট্রোক করেন। শয্যাশায়ী ছিলেন এক সপ্তাহ।
রুহিয়ার লুকাস
ফাদার লুকাসের জীবনে নতুন দিগন্তের সূচনা করেন বিশপ মাইকেল রোজারিও। তিনি লুকাসকে সেন্ট ফিলিপস বোর্ডিং থেকে বদলি করে রুহিয়ার পালক পুরোহিত হিসেবে নিয়োগ দেন। লুকাসের সামনে এলো আরো কঠিন ও বড়ো দায়িত্ব। কারণ রুহিয়া মিশনের আওয়াতাধীন গ্রামগুলো অনেক দূরে দূরে ছড়ানো। মিশনটির আয়তনও অনেক বেশি। সেখানেই তিনি একাই কাজ চালিয়ে গেলেন। তার কাজে সন্তুষ্ট হলেন বিশপ মাইকেল। তিন মাসের ছুটি দিলেন তিনি লুকাসকে। ছুটিতে তাকে পাঠিয়ে দিলেন ইটালি। সেখান থেকে দেশে ফেরার পরই গুজব রটলো ফাদার লুকাসকে নিয়ে। প্রচার হয়ে গেলো যে তাকে ফাদার মাজ্জনির সঙ্গে আন্ধারকোঠা মিশনে পাঠিয়ে দেয়া হবে। স্থানীয় খ্রিস্টানরা বিশপ মাইকেলকে অনুরোধ করলেন ফাদার লুকাসকে যেনো রুহিয়াতেই রেখে দেয়া হয়।
১৯৭১
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও সময় ফাদার লুকাস রুহিয়াতে ছিলেন না। ১২ এপ্রিল তিনি যান নিজপাড়া মিশনে ফাদার কাভাঞার সঙ্গে দেখা করতে। ওই মিশনে তিনি পবিত্র সপ্তাহে নিজের পাপ স্বীকার করা ও নিজের ঔষধের দোকানের জন্য ঔষধ কেনাই ছিলো তারা নিজ পাড়া মিশনে যাওয়ার কারণ।
যুদ্ধের কারণে ভারত-সীমান্ত তখন খোলা। এই সুযোগে ভারতের গায়াডাঙ্গা মিশন থেকে ঘুরে আসতে চাইলেন ফাদার লকুাস। তার এই ইচ্ছার কথা জানালেন ফাদার কাভাঞাকে। কাভাঞার অনিচ্ছা সত্ত্বেও গায়াডাঙ্গা গেলেন লুকাস। গায়ডাঙ্গায় বসে তার মনে হলো যাজক হিসেবে খ্রিস্টভক্তদের এই দুর্দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানো তার দায়িত্ব। তিনি রুহিয়ায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন। তবে ইসলামপুরের ফাদাররা তাকে এই সিদ্ধান্ত বদলাতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু লুকাসের ধারণা ছিলো তার পৌরহিত্য তাকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। তিনি একজন যাজক হওয়ায় পাকিস্তানীরা সেনারা তাকে কোনোভাবে আক্রমণ করবে না বলেই তার ধারণা ছিলো। এদিকে তার ফিরে আসার আগেই রুহিয়া থেকে পালাতে শুরু করে খ্রিস্টানরা।
রুহিয়ায় ফিরে স্থানীয় কারো কাছ থেকেই কোনো রকম সাহায্য পেলেন না লুকাস। স্থানীয় খ্রিস্টান পিউশ দরেকান্ত দাস এসময়ই তাকে একদিন লুকাসকে বললো, “ফাদার সবাই ভারত চলে যাচ্ছে। আমাদের এখানে থাকা আর কোনোভাবেই নিরাপদ নয়।” লুকাস তাকে বললেন, পাকিস্তানিরা তো তোমাকে মারবে না। মারলে মারবে আমাকে। তুমি ভয় পাচ্ছো কেন?”
সাতপাঁচ ভেবে শেষ পর্যন্ত ভারত চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন লুকাস। মিশনের নথিপত্র ও ব্যক্তিগত ব্যবহার্য জিনিসপত্র একটা গরুর গাড়িতে চাপালেন তিনি। নিজে চড়ে বসলেন তার ভেসপা মটরসাইকেলে। দ্রুতই পৌঁছে গেলেন মাত্র ছয় মাইল দূরের ভারত-সীমান্তে। সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলেন গরুর গাড়িটির জন্য। গরুর গাড়ি এসে পৌঁছলো। লুকাসের ভেসপা ও গরুর গাড়ি পৌঁছে গেলো ভারতের মাটিতে। সেখানে দাঁড়িয়ে নিজের মিশনের দিকে ফিরে তাকালেন একবার। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলেন নীরবে। লুকাসের বুকের ভেতর তখন যে এক উথাল-পাথাল চলছে তা টের পেলো তার সঙ্গীরা। তারা বলে উঠলো, “ফাদার, এবার চলুন।” এই কথায় ধ্যান ভাঙলো লুকাসের। ঘুরে দাঁড়ালেন তিনি সঙ্গীদের দিকে। কান্নায় ভারী কণ্ঠে বললেন, “না। আমার বিরাট ভুল করেছি। চলো মিশনে ফিরে চলো।” কথা কটি বলে সঙ্গীদের উত্তর শোনার জন্য আর দাঁড়ালেন না লুকাস। চড়ে বসলেন নিজের ভেসপায়। পার হয়ে গেলেন সরু-ক্ষীণ নাগর নদী। এসে উঠলেন তৎকালীণ পাকিস্তানের মাটিতে। ভেসপার ধোঁয়া তুলে ফিরে গেলেন রুহিয়ায় নিজের মিশনে।
মিশনে ফেরার পর তিনটি দিন কাটলো একাএকা। অনিশ্চয়তা আর ভয়ে ভরা তিনটি দিন। ২১ এপ্রিল সকাল ১০টার দিকে পিউশ এলা লুকাসের সঙ্গে দ্যাখা করতে। মিশনের কাজকর্ম চালানোর মতো কোনো টাকা তখন তার হাতে নেই বলে জানালেন লুকাস। মিশনে অবশ্য তখন খুব বেশি কিছু অবশিষ্ট নেই। মিশনের গরু-মহিষ ও অন্যান্য জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে ভারতে। ব্যাংকে ছয় হাজার টাকা ছিলো। কিন্তু ওই অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তোলাও ছিলো অসম্ভব। পিউশ ধানচাল বিক্রি করে মিশনের কর্মীদের টাকা দেওয়ার কথা বললো। কথাবার্তা শেষ করে বাড়ি ফিরে গেলো পিউশ। তারপরই মিশনের সদর দরোজায় এসে থামলো পাকিস্তানীদের সেনাদের এক জিপ। জিপে অস্ত্র-সেনা দুইউ মজুদ। লুকাস ঘর থেকে বেরিয়ে তাদের কাছে গেলেন। মিশনের ভেতরে এনে চা খেতে দিলেন। তারপর সেনারা চলে গেলো। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন লুকাস।
কিন্তু তিন ঘণ্টা পরই সেনারা আবার ফিরে এলো। লুকাস ঘর ছেড়ে বেরুলেন তাদের অভর্থ্যনা জানাবেন বলে। কিন্তু এবার সেনারা আর অভর্থ্যনা নিতে রাজি নয়। তারা ঠেলে-ঠেসে লুকাসকে ঘরের ভেতর ঢুকিয়ে দিল। নিজেরাও ঢুকলো তার সঙ্গে। তার পরের ১৫ মিনিট কী হয়েছিলো তা জানে শুধু লুকাসের ঘরের চারটি দেয়াল। ১৫ মিনিট পর তেড়ে বেরিয়ে চলে গেলো পাকিস্তানি সেনারা। লুকাসকে পাওয়া গেলো মুমূর্ষু অবস্থায়। বেয়নেটের অসংখ্য খোঁচায় ক্ষতবিক্ষত হয়ে আছে তার মুখ। তখনো ভারতে পালাতে-না-পারা কয়েকজন খ্রিস্টানকে নিয়ে লুকাসের ক্ষতস্থান বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করলো পিউশ। তারা লুকাসকে ভারতের ইসলামপুরে নিয়ে যেতে চাইলো। রওয়ানা দিলো গরুর গাড়িতে। পথে দুপুর ২টায় প্রাণ হারালেন লুকাস। মধ্যরাতে তার মৃতদেহ নিয়ে গরুর গাড়ি পৌঁছুলো ইসলামপুরে। সেখানকার মিশনে তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
স্বাধীন বাংলায় লুকাস
ফাদার লুকাস মারান্ডির নামে দিনাজপুরে বিভিন্ন সংঘ-সমিতি-স্কুলের নামকরণ করা হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে। তার স্মরণে দিনাজপুর বিশপস হাউজের পাশে একটি কাঁচা রাস্তা তৈরি করেছিল কারিতাস। সেই রাস্তা এখন পাকা। তবে রাস্তার পাশে লুকাসের নামে লেখা স্মৃতিফলক আর নেই।
রুহিয়া মিশনে নির্মিত হয়েছে তার স্মৃতিসৌধ। তার স্মরণে সেখানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ‘শহীদ ফাদার লুকাস মারান্ডি প্রাথমিক বিদ্যালয়’। ঠাঁকুরগাঁওয়ে তৈরি হয়েছে ‘শহীদ ফাদার লুকাস মারান্ডি ট্রেড স্কুল’। নওগাঁর বেনিদুয়ার মিশনও তার স্মৃতিসৌধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় ১৯৯৬ সালে। নওগাঁতেই ১৯৮৯ সালে গঠিত হয়েছে ‘শহীদ ফাদার রুকাস মারান্ডি শিক্ষা তহবিল’।
মন্তব্য
মনে হয় ফাদার লুকাসের জীবন লিখতে সাহায্য চেয়ে পোস্ট দিয়েছিলেন।
কাজটা তাহলে শেষ হল।
অনেক গবেষণা আর খাটুনী করেছেন।
অভিনন্দন।
**********************
ছায়া বাজে পুতুল রুপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কি দোষ!
!কাঁশ বনের বাঘ!
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
অভিনন্দন পলাশ । মুল কাজ নিশ্চয় আরো বিসৃত ।
পুরো কাজ শেষ করতে কি কি ঝামেলা পোহাতে হলো সেই গল্প ও শুনা যেতে পারে একদিন ।
একটা আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখি । পলাশের মতো আরো কয়েকহাজার পলাশ যদি এরকম প্রতিটি শহীদের বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করতে পারতো!
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
একটি দূর্দান্ত কাজ হয়েছে । পলাশকে অসংখ্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন, পলাশ!
দূর্দান্ত!
অনেক ধন্যবাদ, পলাশ ভাই!
এতো সুন্দর আর ভালো প্রচেষ্টার জন্য আপনাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি
------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি
------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অভিনন্দন পলাশ .
অনেক কাজ বাকি, সবাইকে এ ভাবে একটা একটা করে লিখতে হবে.
আবারো ধন্যবাদ.
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
এম. এম. আর. জালাল
"ফিরে দেখুন একাত্তর ঘুরে দাঁড়াক বাংলাদেশ।"
ফাদারের প্রতি শ্রদ্ধা, আর পলাশদাকে ধন্যবাদ ।
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনাদের সবাইকে কী বলে যে ধন্যবাদ দিই!
আমি যে তথ্যের ওপর নির্ভর করে লিখেছি তা যথেষ্ট নয়। এ কারণে লেখাটা বেশ ছোটো হইছে।
আমাকে যেতে হবে রুহিয়ায়। এখনো সময় করে উঠতে পারিনি। কিন্তু যেতে হবে যেতে হবে। কবে পারবো যেতে?
পুনশ্চ : আপনারা ভুলে গেছেন এই জীবনীটা আমি লিখতে শুরু করেছিলাম একটা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক-বিনিময়মূল্য কাজ হিসেবে। কিন্তু আকৃতি ছোটো হওয়ায় লেখাটি তারা গ্রহণ করে নাই। কাজের মধ্যে কাজ ফাদার লুকাসকে জেনে ফেললাম আমরা। হুর রে...
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আমি লুকাস মারান্ডি বিদ্যালয়টি দেখেছিলাম , কিন্তু তাঁর সম্পর্কে জানতাম না। অজ্ঞানতার ভার মুক্ত করায় সশ্রদ্ধ কৃতজ্ঞতা।
জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা
নতুন মন্তব্য করুন