অভিজ্ঞতাটি আমার ব্যক্তিগত। হয়েছে গতকাল। একটি ছোটোকাগজে যেচে পড়েই কবিতা পাঠিয়েছিলাম কয়েকটি। কোনো এক কারিগরি ত্রুটির কারণে সম্পাদক আমার এ্যাটাচ করা ফাইল খুলতে পারছিলেন না। শেষ পর্যন্ত পারা গেলো অবশ্য। তারপর তিনি যা বললেন তা থেকেই এই বিষয়ের উৎপত্তি।
সম্পাদক বললেন, আপনার কবিতাগুলো তো ব্লগে লেখা খেলাচ্ছলে লেখা। আমি তাকে বললাম, ওগুলো ব্লগে লেখা নয়, ব্লগে পড়তে দেয়া। এরপর তিনি বললেন, কবিতাগুলো ছাপবো না। কবিতাগুলো আমার পছন্দ হয়নি।
কবিতা তার পছন্দ না হতেই পারে। সম্পাদক হিসেবে তিনি কবিতা না-ছাপার এখতিয়ার অবশ্যই রাখেন। কিন্তু তিনি তো একথা আমাকে প্রথমে বলেননি। প্রথমে তার মন্তব্য ছিলো কবিতাগুলো ব্লগে লেখা খেলাচ্ছলে লেখা। ব্লগে ওগুলো দেয়ার কারণেই কি তার মনে হলো যে এগুলো খেলাচ্ছলে লেখা? তার মানে ব্লগে লেখা কবিতাকে কি তার খেলাচ্ছলে লেখা বলে মনে হয়? এখানে কবিতগুলোকে খেলাচ্ছলে লেখা মনে হওয়ার কারণ কি এই যে এগুলো ব্লগে পোস্ট করা হয়েছিল?
ব্লগের লেখালেখি সম্পর্কে তাহলে আমাদের ধারণাটি কী আসলে???
================================
খেলাচ্ছলে লিখিত হওয়ার অভিযোগ অভিযুক্ত কবিতাগুলোর লিঙ্ক :
http://www.sachalayatan.com/polashdatta/20504
http://www.sachalayatan.com/polashdatta/20274
http://www.sachalayatan.com/polashdatta/19539
http://www.sachalayatan.com/polashdatta/18602
http://www.sachalayatan.com/polashdatta/18516
http://www.sachalayatan.com/polashdatta/18231
মন্তব্য
আপনার ধারনা কি সেটা বলেন ।
আমি সিরিয়াসলি বলছি পলাশ । নিজে ছোট কাগজ সম্পাদনা করেছি । ছোটকাগজওয়ালাদের কারো কারো(বলছি কারো কারো) এইসব একপেশে উন্নাসিকতা খুবই হাস্যকর ।
আরেকবার আরেক বড়কাগজের মহাত্নন ব্লগারদেরকে লেখক যশপ্রার্থী শিক্ষানবিস বানিয়েছিলেন । ফুঃ!
আপনার মতো লেখকদের এদেরকে পাত্তা না দেয়াটাই বরং জরুরী ।
ব্লগে লেখা যদি খেলা হয় তাহলে এই খেলা বাড়ছে, আগামীতে ও না বাড়ার কোন কারন দেখিনা ।
নিজের কুয়োর মাপে আকাশ দেখে যে কুপমুন্ডকরা আর গ্রাম্য টাউটদের মতো সংকীর্ন দলাদলিতে মেতে থাকে- তাদেরকে বরং তুচ্ছ করুন , মন খারাপ করবেন কেনো?
মন খারাপের একটা দাম আছেনা?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
ব্লগ তো আসলে প্রকাশের এবং প্রকাশনার আরো একটা মাধ্যম হিসেবেই গণ্য হওয়া উচিত। আমি অন্তত তাই মনে করি। কিন্তু বেদনাজনক ঘটনা হলো : ব্লগ মানে যা ইচ্ছে তাই, যার ইচ্ছে তার লেখার জায়গা- এমন একটা ধারণাই সম্ভবত সবার মধ্যে কাজ করে। একথাও তো ঠিক যে আমরা (মোটামুটি) ইচ্ছেমতোই ব্লগে লিখতে পারি। তাই বলে ব্লগযুক্ত নন যারা তারা কেনো মনে করবেন যে ব্লগে লেখার সময় খেলাচ্ছলে লেখা হয়, হালকা ভাবে লেখা হয়! আসলে আমার ধারণা, আন্তর্জাল জিনিসটার শক্তি ও বাস্তবতা আমাদের দেশের লেখক-সম্পাদককূল সম্ভবত এখনো বুঝে উঠতে পারেননি।
আর আমি বিষয়টিকে পাত্তা দিচ্ছি না। শুধু এইটুকু যে, আমার পছন্দের একজন কবি-সম্পাদকও এরকম পিছিয়ে-থাকা একটি ধারণায় আটকে পড়ে আছেন- এইখানেই আমার দুখ। কারণ ওই সম্পাদককে আমি কবি হিসেবে পছন্দ করি।।
======================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতে ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আমার প্রায়ই যে কথাটা মনে হয় সেটা হলো কাগুজে সাহিত্যিকেরা অনলাইনে যারা লেখালেখি করেন তাদের হুমকি হিসেবে দেখেন । নিজেদের এলিট ভাবা এই লেখকদের দেখেছি অন্য ব্লগ প্লাটফরমগুলোতে (যেগুলোতে চাইলেই লেখা যায়) নিজেরা নিজেদের সাথেই ইন্ট্যারাকশন করেন । নতুন বা নিজেদের পরিচিতির বাইরের কোন লেখকের ব্লগে কদাচ এদের দেখতে পাওয়া যায় । গুটিকয় ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে । কিন্তু এই এলিটিপনা তাদের একটা বৈশিষ্ট্য দাড়িয়ে গেছে । আপনার লেখার প্রতি করা ঐ মন্তব্যটা ঐ এলিটি চিন্তা থেকেই আসতে পারে আমি মনে করি ।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
ব্লগের জোয়ারে একদিন সব ভেসে যাবে, প্রতিষ্ঠিত কাগুজেরাও ব্লগ খুলতে বাধ্য হবে পাঠক ধরে রাখার জন্য। পত্রিকা তখন কেউ পড়বেনা, বিডিনিউজের মতো কয়েকশ নিউজ সাইট তৈরি হবে। সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
সম্পাদক সাহেব কি খেলাচ্ছলে লেখা ভালোবাসেন না? লেখকদের কি রোযা রেখে অযু করে এসে জায়নামাজে লিখতে বসতে হবে?
আজব ধুনফুন! ভালো না লাগলে ঠিকাছে, না লাগতেই পারে। ব্লগে লিখলে কোন লেখার কৌলীন্য নষ্ট হবে, এটা যেই আহাম্মক এখনও মনে করে, তারে কানে ধরে যে কোন সম্পাদনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত।
হাঁটুপানির জলদস্যু
না,না, তিনি কিন্তু আসলে অনেকখানিই ভালো মানুষ। তার কবিতাও বেশ অন্যরকম। অথচ সেই লোকটিই ফোনে কথা শুরু করলেন এই ভাবে : আপনার কবিতাগুলো তো "ব্লগে লেখা" "খেলাচ্ছলে লেখা"। এই যে শব্দবন্ধ দুইটা এগুলোর ব্যবহার শুনেই কিন্তু ব্যথিত হলাম আমি। বুঝে ফেললাম ব্লগ জায়গাটা ঐকান্তিক সাহিত্যের কোনো প্ল্যাটফর্ম হতে পারে বলে তার মনে হয় না।
তবে পুরো দোষ বোধহয় তাকেও দেয়া যায় না। 'সচলায়তন' ছাড়া অন্য একটা কমন ব্লগের নামও তো বলতে পারবো না যেখানে সাহিত্য অংশটার ঐকান্তিক চর্চা হয়।
======================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতে ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
লুকোছাপার দরকার কী পলাশ? নাম ধরেই বলুন শুনি, কোন মূর্খের মন্তব্য এটা। এরা জগতের কোনো কিছুর খোঁজখবর রাখবে না, আবার আঁতলামি করবে। ওর আঁতলামির গোষ্ঠী কিলাই!
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
কাগজটির নাম একবিংশ। সম্পাদক খোন্দকার আশরাফ হোসেন। তিনি কিন্তু আমার কবিতা আগে ছেপেওছেন। এবার সম্ভবত ব্লগ কেসটায় ফেঁসে গেলাম। আসলে কবিতা মেইল করছিলাম। মেইলের তলায় সিগনেচারে সচলায়তনে আমার ব্লগের লিঙ্ক; ওখান থেকেই বোধহয় তিনি আবিষ্কারটা করছেন। এবং তাঁর মনে হলো কবিতাগুলি খেলাচ্ছলে লেখা। আচ্ছা মুজিব ভাই, 'খেলাচ্ছলে লেখা' মানে কী? ঐকান্তিকতার অভাব? নাকি লেখার ভেতর খালি ফাইজলামি আর ফাইজলামি??
======================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতে ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
প্রফেসর সাহেব খেলাচ্ছলে লেখা বলতে কী বোঝাতে চাইলেন, তা অবশ্য কেবল তিনিই জানেন। তবে এটা নিশ্চিত যে তিনি ওই শব্দে নেতিবাচক ধারণাই দিতে চেয়েছেন, যেহেতু ব্লগে লিখেছেন অজুহাতে তিনি কবিতাগুলো ছাপাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
কবিতার ক্ষেত্রে এই শব্দটার একটা পজিটিভ ব্যবহারও অবশ্য আছে। তবে তিনি সেটা মিন করেন নি। খেলাচ্ছলে লেখা বলতে বোঝানো যায় খেলতে-খেলতে, অবলীলায় লিখে ফেলানো, যা এটা বলে যে কবিতাগুলোর মধ্যে একটা স্বতঃস্ফূর্তি আছি। যেটা কবিতার দোষ নয়, গুণ।
সম্পাদক হিসেবে আপনার কবিতা তিনি অপছন্দ করতেই পারেন, কিন্তু তার জন্য ব্লগের ওপরে দোষ চাপিয়ে তিনি খুব পশ্চাৎপদতা ও রক্ষণশীলতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি জানেনই না যে ব্লগ জিনিসটা কোনো হালকামোর জায়গা নয়।
..................................................................................
দেশ সমস্যা অনুসারে
ভিন্ন বিধান হতে পারে
লালন বলে তাই জানিলে
পাপ পুণ্যের নাই বালাই।
... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ... ...
কচুরিপানার নিচে জেগে থাকে ক্রন্দনশীলা সব নদী
আসলে কবিতা খুব একটা বুঝি না বলে পড়ায় তেমন মন নেই। কিন্তু এই লেখা খোলার আগে ইন্ট্রো পড়েই ব্যাপক হাসতে হল। একজন সম্পাদকের অসম্পাদকীয় মন্তব্য শুনে। ব্লগ মানে খেলাচ্ছলে লেখা!!!
ব্লগের বিষয় নিয়ে আমাদের দেশে মূলধারার সাংবাদিকতায় (প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অন্যান্য) তেমন কোন গুরুত্ব না পেলেও উন্নত দেশে কিন্তু ব্লগের বিভিন্ন টপিক নিয়ে রীতিমত সংবাদপত্র, রেডিও টিভিতে আলোচনার ঝড় ওঠে। ব্লগকে কোট করা হয়। আমাদের সমস্যা হল আমরা নতুনকে খুব সহজে গ্রহণ করতে পারি না। তবে আমরা গ্রহণ করি। নতুন তখন আর নতুন থাকেনা। পুরাতন হওয়ার পরে আমরা নতুন কিছুকে গ্রহণ করি। ওই সম্পাদক নিজেও একদিন ব্লগে লেখা ছাপানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠতে পারেন।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
মনে হচ্ছে ব্লগ সম্পর্কে তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা নেই। ব্লগ মানে যাইচ্ছে যেমনইচ্ছে লেখার স্বাধীনতা; ছাপানোর আগে ব্লগের অনেক লেখাকেই পালিশ করার দরকার পড়ে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে ব্লগ মানে আজেবাজে লেখা।
উনাকে ব্লগে লেখার আমন্ত্রণ জানান।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ছোটকাগজের লেখকেরা একসময় প্রচণ্ড উন্নাসিক ছিলো জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতার ব্যাপারে। ৮০'র সেই নেতাদের অনেকেই এখন জাতীয় দৈনিকের বড়কর্তা।
(অবশ্য এমন অনেকেই আছেন যারা দুই যুগ সুনামের সঙ্গে পার করেছেন সেই উন্নাসিকতা বজায় রেখেই)
তেমনি উন্নাসিকতা অনেকেরই আছে ব্লগের লেখকদের প্রতি। এটাকে তাদের সীমাবদ্ধতাই বলবো আমি।
আসলে এটাও সত্যি যে এখনো খুব কম মানুষেরই ধারণা আছে যে ইন্টারনেটে লেখালেখি হয় বা সুস্থ সাহিত্য চর্চা করা সম্ভব। ব্লগ তো দূরের কথা ইন্টারনেট বলতেই এখনো মানুষ পর্ণবাজীকেই বোঝে।
দুঃখটা এখানেই যে আমরা লেখক বলতে প্রগতিশীল একজন মানুষ বুঝতে চাই, কিন্তু বেশিরভাগ লেখকই গতিহীন। পুরনো ধ্যান ধারণা ছেড়ে বের হতে পারে না।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাইয়ের কমেন্টটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। জাতীয় পত্রিকার প্রতি উন্নাসিক লিটিলম্যাগ যোদ্ধারা (কেউ কেউ) শেষে গিয়ে দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদকের চেয়ারটি আলোকিত করেছে। ঠিক একই রকমভাবে ব্লগকে তুচ্ছ করা , ব্লগারদের নবীশ বলা, শিক্ষাগুরুদের কেউ কেউ কি কর্পোরেট ব্লগের চৌকিদার-পাহারাদার-জিম্মাদার হচ্ছে বা হতে চলেছে?
আশেপাশের বাতাসে প্রায়ই দেখি এসব কথা ভেসে বেড়ায়...
এই কমেন্টের জন্য ভৌত সাক্ষাতে বোতল পাওনা রইলো।
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
আসুন আমরা বেশী বেশী খেলাচ্ছলে লেখি, যাতে ওদের ঘুমেচ্ছলের ঘুম ভাঙ্গে। ওরা জানে না একেরে মিলাতে বহুতে, আর বহুরে বানাতে একেতে। তাই ধিক্ সেই উচ্চ মূর্খ সম্পাদকেরে। পলাশ দত্ত আপনি আপনার লেখায় থাকুন। একদিন ব্লগীয় আলোচনার ঝড় তার মত গোষ্ঠীকে নামিয়ে নিয়ে আসবেই অন্তর্জালের এই বিশাল ভূবণে। এমনই হয়তো কিছু ব্লগার আছে যাদের রক্তে তাচ্ছিলের সুর আপনি মোড়ল ব্লগীয় উন্মাদনা; যা আমাদের আশা নয়।
ছোট কাগজ হোক অথবা জাতীয় পত্রিকার সাহিত্য পাতা বা এই অন্তর্জাল- তাতে লেখকের মর্যাদা থাক লেখায় আর প্রতিভার স্ব উন্মোচনে। পলাশ দত্ত কেন নয়?- ব্লগেই তৈরী হোক আপনার কবিতা সন্তান।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
ধারণা হচ্ছে আগে ধারণা ছিল তোমার মাথায় গণ্ডগোলের পরিমাণ সামান্য
আর এখন মনে হচ্ছে পরিমাণটা অনেক বেশি
এই কমেন্টগুলো কানে তোলার দরকারটা কী?
সাধারণত আমরা যেটাতে অভ্যস্ত নই কিংবা যেটাতে ঠিক দাঁত ফুটাতে পারি না তাকে খারাপই বলি
কবি পলাশ দত্তকে নিশ্চয়ই মনে করিয়ে দিতে হবে না যে কবি জীবনান্দ মরার দিন পর্যন্তও তার বেশিরভাগ সমসাময়িক এবং সিনিয়দের স্বীকৃতি না পেয়েই মরেছেন
তার দোষ ছিল একটাই
তিনি ছিলেন তার সমসাময়িক এবং সিনিয়রদের থেকে এডভান্স
০২
গত পরশু দিন
আমাদের বন্ধুদের মধ্যে একজন
খুবই ভালো গল্পকার এবং সে ব্লগেও অভ্যস্ত
বইমেলায় আমাকে দেখেই বলল- আপনি তো আর এখন লেখক না
ব্লগার
আমি বললাম প্রমোশনের জন্য ধন্যবাদ
নিজেকে আমি হাবিজাবিকার হিসেবেই জানতাম
০৩
খন্দকার আশরাফ হোসেনের কাছে আমি কয়েক কেজি কবিতা পাঠিয়েছি বহু বছর ধরে
একটাও ছাপাননি
কিন্তু কী অদ্ভুত কারণে তিনিই হয়ে গেলেন আমার প্রথম বইয়ের প্রথম ক্রেতা...
সেই বইটাও ছিল আবার কবিতার
মানুষ বদলায়
তবে তাকে একটু সময় দিতে হয়
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
শুধু কবিতা কেন ব্লগের লেখা আর লেখকের প্রতি তথাকথিত মুলধারার লেখক-সম্পাদকের উন্নাসিকতা আমি নিজেও লক্ষ্য করছি । সচলায়তন দিয়েই আমার ব্লগিং শুরু , "সচল ব্লগার " পরিচয়ে আমি গর্বিত কিন্তু প্রিন্ট মিডিয়ার কেউ যখন আমাকে পরিচিত করতে চান "ব্লগার" হিসেবে তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না তার আড়ালে তাদের অহম কাজ করছে । ভাবটা এমন আমরা ছাই পাশ লিখি আর ব্লগ বলেই ছাপা হয় আর তারা বিশুদ্ধ সাহিত্য লিখেন আর তা' ছাপা হয় প্রিন্ট মিডিয়ায় ।
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
নুরুজ্জামান মানিক
*******************************************
বলে এক আর করে আর এক যারা
তারাই প্রচণ্ড বাঁচা বেঁচে আছে দাপটে হরষে
এই প্রতারক কালে (মুজিব মেহদী)
খেলাচ্ছলে লেখা হলেই তো ভাল!! আমি হলে এই জবাবটাই দিতাম, কারণ এটাই আমার বিশ্বাস। খেলাচ্ছলে যা লেখা, তা নিজের জন্য লেখা। প্রতিটি সৃজনশীল কাজ তখনই উৎকর্ষ লাভ করেছে যখন তা শিল্পী নিজের জন্য করেছেন, নিজের মনকে তুষ্ট করার জন্য করেছেন।
বড় লেখকদের পতন তখনই হয়েছে যখন তাঁরা নিজেদের জন্য না লিখে টাকা/তালি/ভোক্তার জন্য লিখেছেন।
এসব কথায় একেবারেই দমবেন না, পলাশ দা। পত্রিকার নিজস্ব ছাঁচ আছে। স্রেফ পত্রিকার জন্য লিখলে লেখাতেও আপনা থেকেই সেই ছাঁচটা চলে আসে। এই "খেলাচ্ছলে" লেখাগুলোই আপনার নিজের লেখা। এর পেছনে যে আনন্দ আর অধিকারবোধ, তার সাথে কোন কিছুরই তুলনা হয় না।
প্রকাশমাধ্যমের ব্যাপারে বললে -- ব্লগ অনেক গতিশীল মাধ্যম। মূলধারার প্রচলিত লেখকেরা বছরে একটি বই লিখেই "রেলেভ্যান্ট" থাকেন। ব্লগে প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে নিয়মিত হতে হয়, গতিশীল হতে হয়। সেই বিবেচনায় বলবো, ব্লগার হওয়াও খুব সহজ নয়।
হ। একদম খাঁটি কথা।
___________________
সহজ কথা যায়না বলা সহজে
হালকা কবিতা কী?
"খেলাচ্ছলে" র অ্যান্টোনিম কী?
অজ্ঞাতবাস
অজ্ঞাতবাস
হালকা কবিতা হলো, যা সাধারণ পাঠক পড়ে অন্তত ৫০% বুঝতে পারে।
খেলাচ্ছলের উলটা হলো লেখাচ্ছলে। বনেদী ব্যবসায়ী লেখকেরা যেমন বইমেলার আগেভাগে লেখালেখির একটা ছলনা করেন।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ব্লগে লেখালেখি সম্পর্কে আমারও ভাবনা আগের অনেকের মতই তবু কিছু নিজস্ব মত আছে। হয়তো অনেকের কাছেই তা পুরোনপন্থীর ভাবনা হিসেবে মনে হতেও পারে। ব্লগের লেখা যদি অনেক সময় ‘খেলাচ্ছলে’ হয়েও থাকে – লেখার জন্য হাত নিশপিশ করছে লিখে ফেললাম, এরকম একটা মনোভাব নিয়েও লেখেন অনেকে তবু ব্লগে যে প্রচূর সিরিয়াস লেখা হচ্ছে তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই।
ব্লগ একটা মুক্ত প্যাটফর্ম যেখানে স্বাধীনতা আছে লেখকের নিজস্ব ভাবনা চিন্তাকে অন্যের সাথে ভাগ করে নেওয়ার। ব্লগে লিখে খুব সহজে বহু পাঠকের কাছে নিমেষে পৌঁছোন যায়। অন্যের সাহিত্য আলোচনা ছাড়াও নিজের কবিতা বা লেখার আলোচনায় পাশে পাওয়া যায় পাঠককে। নিজের ভাললাগা বা নিজস্ব যে আর্জ থেকেই লেখক লেখেন না কেন পাঠকের ফিডব্যাকও লেখার উৎসাহের জন্য প্রয়োজনীয়। এখন কতটা প্রয়োজনীয় সেটা লেখকের নিজস্ব ব্যাপার। আবার কেউ হয়তো পাঠককে তোয়াক্কা না করেও দিব্যি লেখক হতে পারেন বা লিখে যান। এই লেখক-পাঠক সম্পর্ক নিতান্তই অপ্রসাঙ্গিক এই আলোচনায় তাই সে নিয়ে কিছু বলছিনা।
তবে ব্লগে লেখার ব্যাপারে আমি মনে করি, ব্লগে একবার লেখা হয়ে গেলে সেটা বহু পাঠকের কাছে পৌঁছে গেলে সেই লেখা আর আনকোরা থাকে না। কোন ম্যাগাজিনে আমি যদি ব্লগে প্রকাশিত লেখা ছাপাতে চাই তাহলে সেটা আসলে পূনঃপ্রকাশিত হচ্ছে এরকমই ধরে নেব। ব্লগের কথা উল্লেখও করবো যেরকম অন্য ম্যাগাজিনে আগের প্রকাশিত লেখার ক্ষেত্রে করা হয়। ব্লগ পূর্ববর্তী সময়েও নিজেদের গ্রুপের মধ্যে লেখক/কবিরাও ঠিক ব্লগের মতই নিজেদের লেখা নিয়ে পড়া বা আলোচনা করতেন, যেটা শুধুমাত্র গুটিকয় লেখক-পাঠক বন্ধুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতো। কিন্তু এখন নেটযুগে অজস্র পাঠক সেই লেখা পড়ে ফেলেন। এই ব্লগকে আমি মিডিয়ার একটা বিশেষ অংশ হিসেবেই দেখি অনেকের মতই। ভবিষ্যতে যার সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে হয়তো অনেক বড় ও ছোট ম্যাগাজিনকেই মুখ থুবড়ে পড়তে হবে। কিন্তু ব্লগের লেখাকে কখনোই ‘খেলাচ্ছলে’ লেখা বা দূরছাই করে উড়িয়ে দিতে পারিনা। বরং বহু নতুন ভাল লেখক-কবি যে ব্লগে তৈরী হচ্ছে সেটা দেখে খুব ভাল লাগে।
কোন সম্পাদক যদি ব্লগের লেখা শুধুমাত্র ‘খেলাচ্ছলে’ লেখা মনে করে না ছাপাতে চান তাহলে সেটাকে আমি নেহাৎ-ই বালখিল্য মন্তব্য বা অভিজ্ঞতার অভাব বলেই মনে করবো। কোন লেখা লেখক কিভাবে লিখেছেন তার ওপর নির্ভর করেনা লেখার গুণগত মানের ওপর নির্ভর করে। এখন একজন কবির যদি আড্ডা মারতে বসে কিছু কবিতার লাইন মাথায় চলে আসে ও তা তিনি লিখে ফেলেন তাহলে কি সেটা হেলাফেলার হয়ে গেল। এরকম তো সবসময়ই হয়। কখন কার মাথায় আইডিয়া চলে আসে কে জানে। অনেকের অজস্র উদাহরণ আছে গল্পচ্ছলে লেখক কবি হয়ে ওঠার। তাই পলাশ মন খারাপ না করে লিখে যান। লেখাও পাঠিয়ে যান বিভিন্ন জায়গায় এন্তার কোন রকম দ্বিধা মনে না রেখে। আমার বলা কথাগুলোই আগেই অনেকে বলে দিয়েছেন তবু বললাম। নিজে যা ঠিক মনে করেন তাই করুন। ম্যাগাজিনের অভাব নেই, মন খারাপ করবেন না।
লেখক-কবি হওয়ার জন্যও কি অন্যের বানানো রিচুয়াল ও রীতিনীতি অনুসরণ করতে হবে?
তবে ব্লগে লেখার ব্যাপারে আমি মনে করি, ব্লগে একবার লেখা হয়ে গেলে সেটা বহু পাঠকের কাছে পৌঁছে গেলে সেই লেখা আর আনকোরা থাকে না। কোন ম্যাগাজিনে আমি যদি ব্লগে প্রকাশিত লেখা ছাপাতে চাই তাহলে সেটা আসলে পূনঃপ্রকাশিত হচ্ছে এরকমই ধরে নেব।
-এখানে আমি দ্বিমত পোষণ করি। কারণ (প্রথমত) আন্তর্জালে প্রকাশিত লেখাকে আমি পুনরায় ছাপা-মিডিয়ায় প্রকাশে দ্বিধান্বিত নই। একে আমি পুনর্প্রকাশও মনে করবো না। কারণ আন্তর্জাল বা আন্তর্জালীয় জগৎ, এর ধারণা, এর প্রসার মুষ্টিমেয় মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ; (দ্বিতীয়ত) আন্তর্জালকে আমি প্রকাশের তৃতীয় একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি। এর আগে রয়ে গেলো ছাপা-মাধ্যম ও টেলিভিশন। এই তিনটি মাধ্যমেই একই বিষয় পুনর্প্রকাশিত হতে পারে; পুনর্প্রকাশিত হচ্ছে- এরকম বিবেচনা ছাড়ারই। কারণ এই তিন মাধ্যমের পাঠকগোষ্ঠী এক নন।
নিজে যা ঠিক মনে করেন তাই করুন। ম্যাগাজিনের অভাব নেই, মন খারাপ করবেন না।
লেখক-কবি হওয়ার জন্যও কি অন্যের বানানো রিচুয়াল ও রীতিনীতি অনুসরণ করতে হবে?
-এক্ষেত্রে ঘটনাটা হচ্ছে, আমি আসলে চিন্তিত হচ্ছি আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ লেখককূলকে নিয়ে। তারা আন্তর্জালিক মাধ্যমটাকে এখনো হিসেবে নেয়ার মতো আধুনিক হয়ে উঠতে পারেননি। আন্তর্জালও যে দুনিয়ার এক জায়গা এই বিষয়টা ঐকান্তিকভাবে তারা মেনে নিচ্ছেন না; এমনকি এ নিয়ে তারা ভাবছেনও না। এটা তো আমাদের তাবৎ লেখককে পরবর্তী সময়ে সমস্যায় ফেলবে।
======================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
দাদা, এখানে আমি আপনার সঙ্গে একটু দ্বিমত করি।
আমি মনে করি ছোটকাগজের পাঠকসংখ্যার চেয়ে অন্তর্জালের, এমনকি সচলায়তনের পাঠক বেশি। এরা মুষ্ঠিমেয় না। মন্তব্য সংখ্যা কম হতে পারে, তবে লগডইন বা মন্তব্য সংখ্যার চেয়ে পাঠক বেশি।
আপনি যদি এখানে পাঠকের শ্রেণীভেদ করেন (কবিতার বা সাহিত্যের সমঝদার পাঠক বলতে) তাহলে কিছু বলবো না আমি।
আর আমরা নিজেরা যতদিন এই মাধ্যমটাকে মুষ্টিমেয় মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ ভাববো ততদিন অন্যরা আসলে একে দূর্বল ভেবে অবজ্ঞাই করবে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এই কথাটা আমি বলছি সাহিত্যের তাবৎ পাঠককুলের বিবেচনায়। তাছাড়া ধরেন আন্তর্জাল জিনিসটা তো যারা বই পড়ে তাদের সবার জন্য ঠিক সহজলভ্য নয়।
আর তথাকথিত সমঝদার পাঠককুল আন্তর্জালে আসে না বলেই তো আন্তর্জালকে খেলো মনে হয় তাদের। এতে আসলে ক্ষতি কার?
======================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
এখানে প্রথম প্রশ্ন দাড়ায় , আপনার সেই সম্পাদকের লিটিলম্যাগের প্রচার সংখ্যা কতো ? এভারেজ লিটিলম্যাগুলোর প্রকাশ সংখ্যা কতো ? ( যতোদূর মনে পড়ে - হাসান মোরশেদ যদিও ভালো বলতে পারবে - "সহবাস" ৫০০ কপি ছাপা হতো প্রতি সংখ্যায় । )
সেই বিচারে এখন অনলাইন রাইটার্স ফোরাম সচলায়তনের প্রতিদিনের ইউনিক হিট কতো হতে পারে ?
আর ব্লগ সাইট যেগুলো আছে , তাদের প্রতিদিনের হিট কতো ? আমার ধারনা ব্লগ সাইটগুলোর হিট দিনে কমপক্ষে ২০টা লিটিলম্যাগের ৩ মাসের প্রচার সংখ্যার সমান হবে ।
আচ্ছা , এই প্রচারের বিষয়টি দেখা গেল ।
এখন আসবে , " সাহিত্যের তাবৎ পাঠককূল" নির্ণয়ের মাপকাঠি কী ? একটা সৃজনশীল বই কতো কপি বিক্রী হয় ? গড়ে ১০০০ কপি ? ( হুমায়ূন-মিলন-মোহিতকামাল বাদ )
প্রতিষ্ঠিত কবিদের বই সৈয়দ হক কিংবা নির্মলেন্দুগুন বা এরকম দুয়েকজন ছাড়া কি কারোই ৫০০'র উপরে যায় ? আমার সন্দেহ আছে ।
তাহলে কি সাহিত্যের পাঠককূল এই ৫০০ ?
যাদের বাসায় ইন্টারনেট আছে , যেমন ধরেন আপনি অথবা আমি , আমরা নেটে ব্লগ পড়ি আবার বই কিনেও পড়ি । তাহলে আমরা কি তাবৎ পাঠককূলেরই অংশ হব নাকি নেট কানেকশন আছে বলে আমাদেরকে পাঠক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না !
আসল কথা হচ্ছে আমাদের মাঝে যেমন ভালো কবি ,সম্পাদক আছে তেমনই কিছু লোকজন ঢুকে পড়েছে যারা অন্য কিছু পারে না বলেই সাহিত্য করার চেষ্টা করে ।
এই সব লোকজনের জন্য সুবিধাজনক হচ্ছে একটা ভড়ং ধরা ।
এদের কথার গুরুত্ব দিয়ে আদতে কোন লাভ নাই ।
পলাশ দা, চিন্তা লইয়েন না, ৫ বছর পরে এটাই সুড়সুড় করে ব্লগে লেখার জন্য লাইনে লেখাবে। এবং কিভাবে ব্লগে জনপ্রিয় হওয়া যায়, সে ব্যাপারে তালিম নেয়ার জন্য আপনার কাছে গোপন শলাপরামর্শ নিবে। দেইখেন।
পুরা ব্যাপারটাই আমার কাছে মনে হচ্ছে অনভ্যস্থতার ব্যাপার। অনভ্যস্থতার দূর্বলতাটুকু ঢাকতেই এখনো গ্রহনযোগ্যতার ব্যাপারে অনেকের আপত্তি।
---------------------------------------------------------
আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ব্লগ যদি এতোই ফালতু হয় তাহলে ব্লগ কেন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে কেন? কেন সিএনএন নিজেদের ব্লগ খুলেছে, ব্লগে থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে, ফেইসবুকে প্রোফাইল করছে? কেন প্রিন্ট মিডিয়া ব্লগের চাপে বাধ্য হয়ে কাগজ প্রকাশ করা বন্ধ করছে?
বাংলাদেশের প্রিন্ট মিডিয়ার লোকদের দোষ দেই না। তারা অনেক বছর ধরে একটা জায়গা পাকাপোক্ত করেছে। সেটা ব্লগাররা এসে নড়িয়র দেবে। এটা মানতেই তাদের কষ্ট হচ্ছে। তাদের সামনে বড় একটা সাইক্লোন ঘনিয়ে আসছে এটা যারা টের পাচ্ছেন না তারা পস্তাবেই। পরিবর্তন আসবেই। তারা মানুক বা না মানুক।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ব্লগে খেলাচ্ছলে কবিতা লেখা হয় এটা আমি কখনোই মানবো না। বরঞ্চ ব্লগে পাঠকের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়তে হয় বলে যে কোন লেখাই অনেক বেশি সচেতন হয়ে লিখতে হয়। ব্লগের কবিতা যদি খেলাচ্ছলে লেখা কবিতা হয় তবে আমাদের জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত অনেক কবিতাই খেলাচ্ছলে লেখা বলে আমার মনে হয়। ব্লগ বিষয়ে অজ্ঞতাই আশরাফ স্যারের মন্তব্যের কারণ বলে আমার মনে হয়।
মূর্তালা রামাত
যে খেলা বোঝে, তার জন্য হোক না খেলা!
সেই সম্পাদকের ব্যক্তিগত সঙ্কীর্ণতা ছাড়া এতে ভাবাভাবির তেমন কিছু দেখছি না। তবে, প্রতিক্রিয়ায় অন্য যারাও যা-ই বললেন, মোটামুটি সহমত।
কী আসে যায়- বুঝতে না পেরে কোনো নাদান এটাকে খেলো মনে করলে?!
০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০-০
"আমার চতুর্পাশে সবকিছু যায় আসে-
আমি শুধু তুষারিত গতিহীন ধারা!"
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
পলাশ, আপনার বক্তব্য পড়লাম। আমি যা বলতে চাইছি দেখুন নিচে -
- এখানে আমি দ্বিমত পোষণ করি। কারণ (প্রথমত) আন্তর্জালে প্রকাশিত লেখাকে আমি পুনরায় ছাপা-মিডিয়ায় প্রকাশে দ্বিধান্বিত নই। একে আমি পুনর্প্রকাশও মনে করবো না। কারণ আন্তর্জাল বা আন্তর্জালীয় জগৎ, এর ধারণা, এর প্রসার মুষ্টিমেয় মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ;
আপনার এই মত ঠিক পরিস্কার হলো না। ওয়েব বা আন্তর্জালের জগৎ যদি মুষ্টিমেয় মানুষের মাঝে সীমাবদ্ধ হয়, যা খুব সত্যিই তাতেও কিন্তু এই জগৎ বা আন্তর্জালের লেখার গুরুত্ব কমে যায় না। তাহলে তো লিটল ম্যাগাজিনের লেখাকেও এরকমভাবেই আমরা ভাবতে পারি। অনেক লিটল ম্যাগাজিনের কথা আমরা জানি যেগুলো শুধুমাত্র লেখক-কবিকূলই পড়েন বা খবর রাখেন। সাধারণ পাঠক বা বেশি সংখ্যক পাঠকের কাছে পৌঁছয় না সেই সব লিটল ম্যাগাজিন। কিন্তু এই সব ম্যাগাজিনের লেখা যদি পূনঃপ্রকাশিত হয় অন্য কোন ম্যাগাজিনে তাহলে কিন্তু সেই লিটল ম্যাগাজিনকে প্রথম প্রকাশের মর্যাদা দেওয়া হয়। সেই একই কারণে ব্লগ বা আন্তর্জালের ম্যাগাজিনকেও একই মর্যাদা দেওয়া উচিৎ নয় কি?
-(দ্বিতীয়ত) আন্তর্জালকে আমি প্রকাশের তৃতীয় একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি। এর আগে রয়ে গেলো ছাপা-মাধ্যম ও টেলিভিশন। এই তিনটি মাধ্যমেই একই বিষয় পুনর্প্রকাশিত হতে পারে; পুনর্প্রকাশিত হচ্ছে- এরকম বিবেচনা ছাড়ারই। কারণ এই তিন মাধ্যমের পাঠকগোষ্ঠী এক নন।
অবশ্যই আন্তর্জাল তৃতীয় একটি মাধ্যম, কোন দ্বিমত নেই এতে। কিন্তু এটি শুধুমাত্র অল্টারনেটিভ মাধ্যম নয়। আন্তর্জাল এখন প্যারালাল একটি মাধ্যম। ছাপা মাধ্যম ও টেলিভিশন এর পাশাপাশি চলছে। পাঠকগোষ্ঠী অবশ্যই এক নন সবক্ষেত্রে এবং তিনটি মাধ্যমেই পূনরায় লেখা ছাপা বা পূনঃপ্রকাশ হতেই পারে। সেক্ষেত্রেও লেখা আগে ব্লগে ছাপা হলে প্রিন্ট মাধ্যম বা টেলিভিশনের দায়িত্ব থেকেই যায়। আসলে প্রিন্ট মাধ্যমের এই ব্লগকে দুয়োরানী সুলভ মনোভাব নিয়ে দেখার প্রবণতায় দায়ী তবু কিন্তু ব্লগের মান্যতা কমে যায় না। বিশেষ করে আজকের সময়ে যেভাবে ব্লগের গুরুত্ব বাড়ছে বা আন্তর্জালে লেখা হচ্ছে তাতে তো কিছুতেই হটিয়ে দেওয়া যায় না।
- এক্ষেত্রে ঘটনাটা হচ্ছে, আমি আসলে চিন্তিত হচ্ছি আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠ লেখককূলকে নিয়ে। তারা আন্তর্জালিক মাধ্যমটাকে এখনো হিসেবে নেয়ার মতো আধুনিক হয়ে উঠতে পারেননি। আন্তর্জালও যে দুনিয়ার এক জায়গা এই বিষয়টা ঐকান্তিকভাবে তারা মেনে নিচ্ছেন না; এমনকি এ নিয়ে তারা ভাবছেনও না। এটা তো আমাদের তাবৎ লেখককে পরবর্তী সময়ে সমস্যায় ফেলবে।
দেখুন সময়ের সাথে এগিয়ে যাওয়ার নামই আধুনিকতা এখন পূরোনো ধারণা নিয়ে কেউ বসে থাকতেই পারেন, তাহলেও কিন্তু কিছু থেমে থাকেনা। এই নিয়ে আমিও ভেবেছি, বহু চেনা বয়স্ক লেখকদের জানি যাঁরা এই নেট জগতের সাথে পরিচিত নন বা রপ্ত করতে পারেননি। তাহলেও কিন্তু এই আন্তর্জালের লেখকদের লেখক হয়ে ওঠা কেউ থামিয়ে দিতে পারেনি বা পারবেও না। এ নিয়ে যদি তারা নাও ভাবেন তাহলেও পরবর্তি লেখক গোষ্ঠী, যারা শুধুমাত্র আন্তর্জালে লিখছেন খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে মনে হয় না আমার। বরং তারাই হয়তো এগিয়ে আসবেন একসময় যে নতুন কিছু শেখার সময় এসেছে যদি না আসেন তাহলেও আটকাবেনা আন্তর্জালের সাহিত্য জগৎ।
কিছু কি বলতে পারলাম আদৌ? যাইহোক, নিজে মনের খুশিতে লিখে যান। আমরা পড়ছি আপনার লেখা।
এই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হচ্ছে মন্তব্য অনেক লম্বা হয়ে যাবে। এ নিয়ে একটা আলাদা পোস্ট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশাকরি শিগগিরই দিতে পারবো।
===========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
অন্তর্জালের লেখা আর টিপিকাল বই থেকে পড়া - এই দুয়ের মধ্যে ইদানিং অন্তর্জালের তথ্যই আমাকে বেশি উপকৃত করছে। সাহিত্যের ব্যাপারটা জানিনা - তবে টেকনিক্যাল ব্যাপারে ইন্টারনেট তথ্যের ২য় গুরুত্বপূর্ণ ভান্ডার। প্রথম ভান্ডার হল সায়েন্টেফিক জার্নাল (সেগুলোও আবার অনলাইন হয়ে যাচ্ছে - প্রিন্ট ভার্সান উঠে গেল বলে ........)।
মানুষ যখন হীনমন্যতায় ভোগে তখন সেই ছোট ইমেজটা কাল্পনিক/বাস্তবের প্রবল প্রতিপক্ষের উপরে চাপিয়ে/আরোপ করে নিজে হালকা হতে চেষ্টা করে - আপনার সম্পাদকের ব্যাপারটা আমার কাছে সেরকমই ঠেকলো।
এটা ভয় পেয়ে মাটিতে মুখ লুকানোর মত একটা স্বভাবজাত ডিফেন্স মেকানিজমের বহিঃপ্রকাশ। কবিতা তাঁর অপছন্দ হতে পারে, কিন্তু সেইটার প্রকাশে যখন ব্লগকে খেলো করার মানসিকতা বের হয়ে আসে তখন বোঝাই যায় - ডালমে কুছ কালা হ্যায়।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
অনেকদিন আগে এক স্যারে কইসিলো, আম্রা শিক্ষানবিস। আরেক স্যারে কইলেন, আম্রা খেলোয়াড়।
তার্মানে, আম্রা খেলোয়াড় এবং শিক্ষানবিস।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
বিকেএসপি-য়তন...
সম্পাদকদের এহেন মনোভাবের একটা পজিটিভ সাইড বার করা গেল (পুরোপুরিই আমার মতো আবজাব ব্লগারদের জন্য)
সেইটা হইলো, মাহবুব লীলেনও ব্লগার, আমিও ব্লগার
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
========================
যার ঘড়ি সে তৈয়ার করে,ঘড়ির ভিতর লুকাইছে
আপনার জন্য শিওর না।
তবে আমার জন্য এটা 'এক্কেরে হাসা কতা'!
....................................................................................
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
নতুন মন্তব্য করুন