কৌতুক ।। সাহিত্য সাময়িকী ।। দৈনিক প্রথম আলো

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: শুক্র, ২০/০৩/২০০৯ - ১০:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা প্রথম আলো। এর একটি বিভাগ আছে 'সাহিত্য সাময়িকী' নামে। বিভাগের নাম শুনে বিভ্রান্ত হয়ে প্রত্যাশা করি যে এতে সাহিত্য বিষয়ক লেখাপত্র ছাপা হবে বোধহয়। তবে সবসময় তা হয় না। কয়েকসপ্তাহ আগে এই সাহিত্য সাময়িকীতে প্রকাশ হয় সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে-র একটি সাক্ষাত্কার। আর বিভাগটি সাহিত্যের!

তো সেই সাহিত্য সাময়িকীরই ২০ মার্চ ২০০৯ সংখ্যায় আরেক কাণ্ড। এবার ছাপা হলো একটি সাহিত্য বিষয়ক একটি কৌতুক। অবশ্য প্রকাশের ধরণ-ধারণ দেখে পাঠক প্রথমদর্শনে ভুলও করতে পারেন। তিনি ভেবে বসতে পারেন যে এটা কৌতুক নয়! তবে কাহিনীর বিষয়ের সঙ্গে সিংহভাগ চরিত্রের অযোগ্যতা ও বেখাপ্পাপনা দেখে পাঠকের সেই ভুল সহজেই ভেঙে যায়।

সিরিয়াসনেসের মোড়কে এমন কৌতুক প'ড়ে আশা করি আপনারাও খুশি হবেন।।

কৌতুকটি পড়ুন এখানে


মন্তব্য

নীল [অতিথি] এর ছবি

আপনার সাথে একমত হতে পারলাম না।
আর কেনো বৈঠক'টি-কে আপনি বৈঠক মানতে পারলেন না সেটাও যদি ব্যাখা করে লিখতেন?

পলাশ দত্ত এর ছবি

বৈঠকটা বৈঠক না হয়ে কৌতুক হওয়ার কারণ এর শিরোনাম আর পাত্রপাত্রীরা। শিরোনামের যে-ইঙ্গিত সে-ইঙ্গিত ধারণ করার তুলে ধরার যোগ্যতা ওই বৈঠকে অংশ নেয়াদের সিংহভাগেরই নাই। এই কারণে এটা কৌতুক।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নীল [অতিথি] এর ছবি

শিরোনামের যে-ইঙ্গিত সে-ইঙ্গিত ধারণ করার তুলে ধরার যোগ্যতা ওই বৈঠকে অংশ নেয়াদের সিংহভাগেরই নাই। এই কারণে এটা কৌতুক।

আপনি কী সবাই-কে অযোগ্য বলতে চান? না বৈঠকে শূন্য'র যে ক'জন ছিলেন তাদের কাউকে?

পলাশ দত্ত এর ছবি

সবাইকে না। শূন্যের যে ক'জন ছিলেন তাদেরকে আলাদভাবে না। আহমাদ মোস্তফা কামাল ও চঞ্চল আশরাফ ছাড়া বাকিরা।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

ফারুক হাসান এর ছবি

পোষ্টের বক্তব্যের সাথে সহমত হতে পারছি না।
কারণ, ঠিক কী কারণে বিষয়টি সাহিত্য বিষয়ক কৌতুক বলে পাঠকের কাছে মনে হবে সেটাই ক্লিয়ার না। আপনি বলছেন, তবে কাহিনীর বিষয়ের সঙ্গে সিংহভাগ চরিত্রের অযোগ্যতা ও বেখাপ্পাপনা দেখে পাঠকের সেই ভুল সহজেই ভেঙে যায়। এই কথা থেকেও সব পরিষ্কার হয় না। অন্তত আমার মত আমপাঠকের ভুল ভাঙ্গিয়ে দেবার জন্য যোগ্য চরিত্রদেরকে পরিচয় করিয়ে দেবার দায়িত্বও কিন্তু আপনার উপর বর্তায়! এই পোষ্টে সেটি করা হয়নি। আর যেহেতু আপনি ওই আড্ডার কনটেন্ট সম্পর্কে কিছুই বলেন নি, সেহেতু একে সরাসরি কৌতুক বলে ট্যাগ করে দেয়া কতটুকু শোভনীয়?

বরং এই পোষ্টটাকেই আমার কাছে কৌতুক বলে মনে হচ্ছে।

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

আপনার সাথে একমত। আমপাঠকের এটা বোঝার কথা না। পাঠক এটা পড়ে ধরে নেবে এই ছয়জন তরুণদের সাহিত্যের কাণ্ডারী। এখানে প্রথম আলোর একটা দায় থাকে সঠিক প্রতিনিধিত্বকারী বাছাইয়ের।

হয়তো প্রথম আলো মনে করেছে এই ছয়জনই এই সময়কে ধারণ করে। আমি তা মনে করছি না। হয়তো পলাশদাও তা মনে করেননি বলেই এরকমটা লিখেছেন।

আমি আমার মতটা জানালাম যে এই মনোনয়ন নিয়ে আমার দ্বিমত আছে। কিন্তু আবার দেখেন নীল কিন্তু সমর্থন জানাচ্ছে।

মনোনয়ন নিয়ে এই বিতর্ক চিরকালের। আমার পছন্দ হলো তো আরেকজনের হলো না। অবশ্য আমি এই আড্ডাকে কৌতুক বলতে রাজী না। এখানে পলাশদার সাথে আমার দ্বিমত আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হুম... আমারও সকাল সকালই এই বৈঠক নিয়ে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

বৈঠকে যাদের ডাকা হয়েছে তারা সঠিক প্রতিনিধিত্ব করে কি? কোন বিচারে এদের ডাকা হলো? আমার তো মনে হলো এখানে অংশ নিয়েছেন যে ছয়জন, তাদের কেউ কেউই বাকীদেরকে যোগ্য মনে করেন না। সে আভাসও কিছুটা পাওয়া গেছে কথায়।

আর আড্ডাটা মোটেই আড্ডা আড্ডা লাগলো না। সংসদ বক্তৃতার মতো মনে হলো। যার একজন স্পিকার আছে।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

এক বৈঠকেতো আর সবাইকে ডাকা যাবে না। তা না হয় হলো। কিন্তু যারা প্রতিনিধির তকমা লাগিয়ে কিছু বলবেন, তাদের কী ছ্যাবলামো কথাবার্তা মানায়? তারপরো ভাললাগলো-আহমেদ মোস্তফা কামালের রিয়েক্টটা।

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

হ... একমত...

আমার কাছে এই বৈঠকটারে খুব অগোছালো মনে হইছে। আর আলোচনাটা নিরানন্দের হইছে, কারণ পত্রিকার কলেবর। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় আলাপ জমে ওঠার আগেই সঞ্চালকের চিন্তা করতে হয় এত কথা কোথায় ছাপুম?

ভিন্ন ঘরানার লোকজনরে নিয়া এরকম আড্ডা আমার একাধিকবার সঞ্চালনা করতে হইছে পত্রিকার তাগিদে একসময়। আমি যেটা করতাম শুরুর দিকের আলোচনা ছাপতামই না (বেশিরভাগ ক্ষেত্রে)। যখন আলাপ জমে উঠতো, তর্ক উঠতো, সেখান থেকে তুলে দিতাম দরকারি অংশগুলো।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

রানা মেহের এর ছবি

পলাশ দা

প্রথম আলোর লেখটা পড়লাম।
লেখা খুব বিশাল মানোত্তীর্ন ছিল বলছিনা।
কিন্তু 'কৌতুক' বলতেও বাঁধছে।

যারা উপস্থিত ছিলেন আলোচনায়
তাদের মাঝে সবার না হোক আহমেদ মোস্তফা কামাল
আর চন্চল আশরাফের লেখা পড়েছি
ঠিক কি কারণে তারা যোগ্যহীন একটু বলবেন কি?

কিছু কিছু জায়গায় একটু খটকা লেগেছে অবশ্য।
পাভেল পার্থ শাহ আব্দুল করিমের কথাকে যেভাবে বিশ্লেষন করেছেন,
যথেষ্ট সন্দেহ আছে শাহ আব্দুল করিম তাই বোঝাতে চেয়েছিলেন কিনা।

ব্লগের কথা এসেছে দেখে ভালোও লেগেছে।
তেমনি ভালো লেগেছে ভালো কবিতা আর নির্ভুল কবিতাও।

সব মিলিয়ে লেখাটার মান নিয়ে কথা বলা যেতে পারে।
কিন্তু অংশগ্রহনকারীদের এভাবে কটাক্ষ অপ্রয়োজনীয়।

আচ্ছা এ ধরনের আলোচনায় ঠিক কারা থকলে
আলোচনাটা সত্যিকার আলোচনা হতো বলে আপনি মনে করেন?
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

নীল [অতিথি] এর ছবি

আবার দেখেন নীল কিন্তু সমর্থন জানাচ্ছে।
সমর্থন এই জন্য যে, রানা মেহের ও সেটি বলে গেছেন- ঠিক কি কারণে তারা যোগ্যহীন একটু বলবেন কি? তাই আমি আবার বলছি না।

হয়তো প্রথম আলো মনে করেছে এই ছয়জনই এই সময়কে ধারণ করে।
এই কথা মনে করে যদি প্রথম আলো, তবে সেখানে আমি প্রথম আলোর সমেত কখনোই একমত নয়।
তবে পলাশ দত্ত যদি পোস্ট'টা এইভাবে না দিয়ে অন্যভাবে দিতে পারতেন বা এভাবে বলতে পারতেন যে, আলোচনা ঠিক ভাবে হয় নি, সাহিত্য নিয়ে যেহেতু বৈঠক সেখানে কোনো গ্রহণযোগ্য সাহিত্য আলোচনা হয়নি। এই বৈঠককে বিশেষ কিছু ধরা যাচ্ছে না।

আমার ২য় মন্তব্যের উত্তর এখানে দেয়া এখনও হয়নি, যদি সেটার উত্তর পাই, আর পলাশ দত্ত আমাদের বুঝিয়ে দিতেন পারেন তবেই হয়। তা না হলে ফারুক হাসানের সাথে গলা মিলিয়ে আমিও বলবো- বরং এই পোষ্টটাকেই আমার কাছে কৌতুক বলে মনে হচ্ছে।

নজমুল আলবাব এর ছবি

এটা একটা দায়িত্বহীন পোস্ট। লিঙক দিয়ে ঢালাওভাবে মন্তব্য করে পোস্ট দেয়াটা মানতে পারলাম না পলাশ। কবিতার মতো বিমূর্ত সমালোচনা পড়ে আমরা অভ্যস্থ নই। আপনি যা বলতে চাইছেন, দীর্ঘ যোগাযোগে আমি সেটা কিছু কিছু বা পুরোটাই হয়তো বুঝতে পারছি। কিন্তু এমন একটি খোলাসা পাতায় যেটা অনেকেই পড়বে, সেখানে এমন দুলাইনের দায়সারা রাগঝাড়া পোস্ট মানানসই নয় পলাশ।
আপনি কি বলতে চাচ্ছেন, কেনো বলছেন, সেটা একটু বিশদে গিয়ে বুঝানোটাই মনে হয় ভালো হতো। সেটা আপনার জন্য, আমাদের জন্য এবঙ সচলের জন্যও অন্যরকম একটা আলোচনার বিষয় হতো।
আমি খুব করে আশা করছি, এই বিষয়টা নিয়ে আপনি আপনার মতামত বিশদে তুলে ধরবেন। শুভকামনা।

ভুল সময়ের মর্মাহত বাউল

পলাশ দত্ত এর ছবি

হুম। সময় এবং মেজাজ দুটো একসাথে ফাকা পেলে বিশদে বলবো।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।