প্রকাণ্ড চর- ধূ ধূ করছে- কোথাও শেষ দেখা যায় না-...। হঠাৎ পশ্চিমে মুখ ফেরাবামাত্র দেখা যায় স্রোতোহীন ছোটো নদীর কোল, ও পারে উঁচু পাড়, গাছপালা, কুটির, সন্ধ্যাসূর্যালোকে আশ্চর্য স্বপ্নের মতো।
================================
বাঙালি যা চিরকাল দেখে এসেছে তাই দিয়ে শুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই বইখানি! রবীন্দ্রনাথ তখন বন্দোরা সমুদ্রের তীরে : “ভারি বৃষ্টি আরম্ভ হয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো বিরামের কোনো লণ নেই।” (চিঠি ১ ছিন্নপত্র) এইরকম “ক্রমাগত বৃষ্টি” জীবনে দেখেনি এমন বাঙালি কয়জন আছে? বৃষ্টিকাহিনী দিয়ে শুরু হওয়া বইটা খুব সহজেই পাঠককে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় তার নিজের জীবনের বৃষ্টিস্মৃতির ময়দানে। সহজে আপন হয়ে পাঠককে আরও টানে। টেনে টেনে এই সহজের সরলতা থেকে নিয়ে যেতে থাকে আরও আরও ছিন্ন অথচ প্রগাঢ় সব অনুভবের দিকে। রবীন্দ্রনাথের ছিন্ন সব প্রাজ্ঞতাকে এক সুতোয় গাঁথা এই বইটির নাম ছিন্নপত্র।
প্রায় একশ’ বছর আগে (১৯১২ সালে) বইটি প্রথম প্রকাশিত হয়। ওই বইতে রবীন্দ্রনাথের চিঠি ছাড়া আর কিছু নেই। অবশ্য এটা এমন কোনও বিশেষ কথা নয়। তাঁর চিঠিপত্র নিয়ে আলাদা ধারাবাহিক সংকলনেরই ব্যবস্থা করে রেখেছে বিশ্বভারতী। একেক জনের কাছে বা একাধিক জনের কাছে লেখা চিঠি একত্রিত করে নানা খণ্ডে ভাগ করে প্রকাশিত। ছিন্নপত্রে ধরে রাখা হয়েছে ভাইয়ের মেয়ে ইন্দিরাদেবীকে সাত বছর ধরে লেখা ১৪৫টা চিঠি। সঙ্গে আছে শ্রীশীশচন্দ্র মজুমদারকে লেখা আটটি চিঠি। সব চিঠির সংকলনকে উজিয়ে রবীন্দ্রনাথের এই ছিন্নপত্রটি বেশিরভাগ পাঠকের কাছে এক আদরণীয় উৎসাহব্যঞ্জক স্ফূরণমুখ সংকলন হয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে। এর কারণ কী হতে পারে তা নিয়ে নানা ধরনের কথা ভাবা যেতে পারে। তার অন্যান্য চিঠি সংকলনগুলোর সঙ্গে নিশ্চয় এই সংকলনের বিশেষ তফাৎ আছে। আমরা সেই ভাবনায় মাথা না গলিয়ে রবীন্দ্রনাথের মুখ থেকে শোনা এক কথা দিয়ে খানিকটা আন্দাজ নিতে পারি ছিন্নপত্রের বিশিষ্টতা। তবে সেই কথাগুলিও পাওয়া একটা চিঠিরই বরাতে। চিঠিটিও সেই ইন্দিরাকেই লেখা : “আমিও জানি, তোকে আমি যে-সব চিঠি লিখেছি তাতে আমার মনের সমস্ত বিচিত্র ভাব ব্যক্ত হয়েছে এমন আমার আর কোনো লেখায় হয় নি। ... আমি তো আরো অনেক লোককে চিঠি লিখেছি, কিন্তু... তারা নিজেও সমস্ত জিনিস নিজের ধরনে দেখে...।” (শ্রীমতি ইন্দিরাদেবীকে লিখিত পত্র / সংযোজন / ছিন্নপত্র)
২.
অতো সহজতায় শুরু হওয়া বইয়ের চতুর্থ চিঠিতেই লেগে যায় চিরকালের হাওয়া। ভালো লাগা লেখা সম্পর্কে ভালো লাগার কারণ বলতে যাওয়া যে কতো বিপদজনক, কতো কুটিল তাও বলে দিচ্ছেন রবীন্দ্রনাথ। কোনও কিছুকে ভালো বলতে গেলেই আমরা ব্যক্তিগত অনুভব থেকে বেরিয়ে এসে কার্যকারণের ধাঁধায় ডুবে যাই- এই স্বাভাবিক অথচ অপ্রকট সত্যটিকে উন্মুক্ত করে দেন রবীন্দ্রনাথ। ৭ মে, ১৮৮৬তে এই “ভালো লাগা” আর “ভালো বলা” প্রসঙ্গে শ্রশীশচন্দ্রকে তিনি বলছেন, “ভালো লাগা এক, এবং ভালো বলা এক। ভালো জিনিস সহজেই ভালো লাগে, তর্কবিতর্ক যুক্তিবিচার করে ভালো লাগে না- কিন্তু সমালোচনা করবার সময়ে মনের মধ্যে এমনি তর্কবিচারের প্রাদুর্ভাব হয় যে, খপ্ করে একটা জিনিসকে ভালো বলা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার হয়ে ওঠে। তখন মনে হয়, যে লেখাটা পড়লুম সেটা লিখছে কে, তাতে আছে কী, তাতে নূতন কথা বলা হয়েছে কি, এইরকম লেখাকে সমালোচকেরা কী বলে থাকে, এ কোন্ শ্রেণীর অন্তর্গত ইত্যাদি। ... সমালোচকেরা আপনার বিরুদ্ধে আপনি মিথ্যা স্যা দিয়ে থাকে, ভালো লাগলেও তারা যুক্তির দ্বারা প্রমাণ করে দেয় যে ভালো লাগে নি।” (চিঠি ৪ / ছিন্নপত্র) কথাগুলো রবীন্দ্রনাথ বলছেন শ্রীশীশচন্দ্রের ‘বাঙ্গালা বসন্তোৎসব’ নামের একটি লেখা সম্পর্কে।
ওই লেখা নিয়ে কথা বলতে গিয়েই তিনি আর এক সত্যের উদ্ভাস ঘটিয়ে দেন সামনে। যে-সত্য আমাদের আজকের বাংলাদেশের লেখককুলের শুনে দেখার মতো, নেড়ে চেনার মতো। তিনি অবশ্য বলছিলেন শ্রীশীশচন্দ্রের লেখাটি ভালো হওয়ার কারণ। কারণ শীশচন্দ্রের লেখাটিতে “অধিকাংশ স্থলে বাংলার ছেলেমেয়েরা কালেজি [কলেজের ভঙ্গিতে] কথা কয় না ও কালেজি কাজ করে না, তারা প্রতিদিন গৃহের মধ্যে যেরকম কথা কয় ও যেরকম কাজ করে তাই দেখতে পাওয়া যায়।” (চিঠি ৪ / ছিন্নপত্র)
এই দেখাদেখি বা দৃশ্যমান অর্থাৎ প্রকাশ হওয়া নিয়েও ভাবছিলেন রবীন্দ্রনাথ। ভাবছিলেন প্রকাশ হওয়ার পথ-পদ্ধতি নিয়ে। এ প্রকাশ কোনও লেখালেখির বা সৃজনকর্মের প্রকাশ নয়। এ প্রকাশ একেবারেই ব্যক্তির, ব্যক্তিগত জানাশোনার, একে অন্যকে জেনে ওঠার। পারস্পরিক জানাশোনর উপায় হিসেবে চিঠিকে তার মনে হয় শ্রেষ্ঠ। তার মনে হওয়ার একশ দশ বছর পর অবশ্য কথাটা আজকের মানুষের কাছে মনে হয় আরও সত্য। আরও ধ্রুব। যদিও তখনো হাতে হাতে ওঠেনি মোবাইল ফোন, তবু চিঠিকে তার মনে হয় পৃথিবীর তরফ থেকে মানুষকে দেয়া মহামূল্য অনেক উপহারের একটি। তার মনে হয়, “চিঠির দ্বারা পৃথিবীতে একটা নূতন আনন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মানুষকে দেখে যতটা লাভ করি, তার সঙ্গে কথাবর্তা কয়ে যতটা লাভ করি, চিঠিপত্রদ্বারা তার চেয়ে আরো একটা বেশি কিছু পেয়ে থাকি। ... চিঠিতে দেখবার এবং পাবার জন্য আরো একটা যেন নূতন ইন্দ্রিয়ের সৃষ্টি হয়েছে। আমার মনে হয়, যারা চিরকাল অবিচ্ছেদে চব্বিশ ঘণ্টা কাছাকাছি আছে, যাদের মধ্যে চিঠি-লেখালেখির অবসর ঘটে নি, তারা পরস্পরকে অসম্পূর্ণ করেই জানে।” (চিঠি ১৪১ / ছিন্নপত্র) রবীন্দ্রনাথের এই কথার মর্ম হয়তো আজো টের পাচ্ছেন বাংলাদেশের কোনও কোনও সৌভাগ্যবান। যারা এই এসএমএস ই-মেইলের যুগেও হাতে চিঠি লিখে পাঠান, হাতে লেখা চিঠি পান।
৩.
রবীন্দ্রনাথ এই বাংলাদেশের ভাষারই লেখক ছিলেন। এটা কোনও নতুন কথা নয়। কিন্তু আজকের বাংলাদেশের মানুষের জন্য নতুন কিছু কথা আছে তার; যে-কথা এই ক্রমশ শহরমুখী মানুষ দেখেনি বহুদিন, যে-কথা ক্রমশ শহরমুখী মানুষের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দ্রুত, যে-কথা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্মৃতিতে ঠাঁই-ই পাবে না আগামীতে। সেইসব কথা বাংলাকে নিয়ে। সেইসব কথা আমাদের তুচ্ছাতিতুচ্ছ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র শহর ছাড়িয়ে দেশব্যাপি ছড়িয়ে থাকা গ্রামের রূপের। শত বছরের বিস্ময়কর জ্যোছনা আর প্রকৃত প্রকৃতির কথাছবি রবীন্দ্রনাথের ছিন্নপত্রের পঙক্তিতে পঙক্তিতে জ্বলজ্বল করছে।
আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে আজ অলভ্য হয়ে ওঠা বিস্ময়কর এক বাংলা : “জ্যোৎস্না প্রতি রাত্রেই অল্প অল্প করে ফুটে উঠছে। ...। নদীর এ পারের মাঠে কোথাও কিছু সীমাচিহ্ন নেই, গাছপালা নেই, চষা মাঠে একটি ঘাসও নেই, কেবল নদীর ধারের ঘাসগুলো প্রখর রৌদ্রে শুকিয়ে হলদে হয়ে এসেছে। ...। বহু দূরের মাঠে এক-এক জায়গায়, যেখানে গত শস্যের শুকনো গোড়া কিছু অবশিষ্ট ছিল, সেইখানে চাষারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে; মাঝে মাঝে কেবল সেই আগুনের শ্রেণী দেখা যাচ্ছে।” (চিঠি ৯৯ / ছিন্নপত্র)
ছিন্নপত্রে নানা ঐশ্বর্যের পাশাপাশি আরও একটা গুণের সন্ধান পেয়েছিলেন বুদ্ধদেব বসু। তার মনে হয়েছিল ছিন্নপত্রে জয়ী হয়েছে রবীন্দ্রনাথের স্বতঃস্ফূর্ততা। বুদ্ধদেব বলছেন, “কল্পনা, হাস্যরস, মনস্বিতা,; অনুচিন্তনের আবিষ্কার ও বহির্জগতের বাস্তব তথ্য; চোখ দিয়ে দেখা ও মনে মনে ভাবা,- এই সবই আছে ‘ছিন্নপত্রে,’ আর সেই সঙ্গে আছে আর-একটি ব্যাপ্ত সত্তা, যার নাম বাংলাদেশ ছাড়া আর-কিছুই দিতে পারি না। ঋতু, নদী ও তৃণতরুময় বাংলার পল্লীপ্রকৃতি, তার কান্তি, গন্ধ ও আর্দ্রতা নিয়ে, এই পুস্তকের অর থেকে এমনভাবে আমাদের ইন্দ্রিয়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে যে ‘ছিন্নপত্র’ নামটি উচ্চারণ করলেই বাংলাদেশের একটি মানসমূর্তি আমরা দেখতে পাই।” (সঙ্গ নিঃসঙ্গতা রবীন্দ্রনাথ / বুদ্ধদেব বসু, পৃষ্ঠা-১১৭) একশ’ বছরেরও বেশি আগে আমাদের আজকে প্রায়-হারাতে-বসা বাংলাদেশের ছবিই ধরে রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। লিখেছিলেন এইসব কথাছবি : “প্রকাণ্ড চর- ধূ ধূ করছে- কোথাও শেষ দেখা যায় না-...। হঠাৎ পশ্চিমে মুখ ফেরাবামাত্র দেখা যায় স্রোতোহীন ছোটো নদীর কোল, ও পারে উঁচু পাড়, গাছপালা, কুটির, সন্ধ্যাসূর্যালোকে আশ্চর্য স্বপ্নের মতো। ...। এই-যে ছোটো নদীর ধারে শান্তিময় গাছপালার মধ্যে সূর্য প্রতিদিন অস্ত যাচ্ছে, এবং এই অনন্ত ধূসর নির্জন নিঃশব্দ চরের উপরে প্রতি রাত্রে শত সহস্র নক্ষত্রের নিঃশব্দ অভ্যুদয় হচ্ছে, ...। সূর্য আস্তে আস্তে ভোরের বেলা পূর্ব দিক থেকে কী এক প্রকা- গ্রন্থের পাতা খুলে দিচ্ছে এবং সন্ধ্যায় পশ্চিম থেকে ধীরে ধীরে আকাশের উপরে যে-এক প্রকা- পাতা উলটে দিচ্ছে সেই বা কী আশ্চর্য লিখন- ...। এ কথাগুলো রাজধানীতে অনেকটা ‘পৈট্রির’র মতো শুনতে হবে, কিন্তু এখানকার পে কথাগুলো কিছুমাত্র বেখাপ নয়।” (চিঠি ১০ / ছিন্নপত্র)
হ্যাঁ, আমাদের রাজধানী ঢাকায়ও কথাগুলো কবিতার মতো লাগে শুনতে। কিন্তু কথার ওই ছবিগুলো বাংলাদেশেরই। আজ কেবলই-বিধ্বস্ত-হতে-থাকা সেই পুরনো বাংলাদেশ এখনো টিকে আছে ছিন্নপত্রের পাতায় পাতায়। রবীন্দ্রনাথকে অভিবাদন।
আলোকচিত্র :: লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সাল ১৯১২। স্যার জন রোদেনস্টেইনের তোলা।
মন্তব্য
অপেক্ষায় ছিলাম । আজকে তো দত্তকবির এ বিষয়ক লেখার কথা ।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
হুমম...পড়তে পড়তে নানা চিত্রকল্প...নানান ভাবনা মনে উঁকি দিয়ে গেলো।...খুব ভালো লিখেছেন। আপনার রবীন্দ্র গবেষণার সর্বাত্নক সাফল্য কামনা।।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
ভাই, রবীন্দ্র গবেষণা না ব'লে রবীন্দ্র-অনুধাবনা বলুন প্লিজ।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
বুদ্ধদেব থেকে রবীন্দ্রনাথ- পলাশ দেখছি কোথাো কম যান না।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
মহানদের লাইনে থাকার চেষ্টা আরকি। যদি নিজেও কোনোদিন ... ।
আপনার সিগনেচার লাইনগুলি কার? শেষ লাইনটা সুপার স্মার্ট।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
কবি,
সুখপাঠ্য।
সুখ?পাঠ? কৃতিত্বের বেশিটাই ওই ভদ্রলোকের।।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
আপনার লেখায় একটা সহজ ভাব আছে - খুব ভালো লাগলো।
সহজ. আসলে যেভাবে কথা বলি ওইভাবে লেখা. চেষ্টা করা আরকি কিন্তু. সবসময়.কবিতায়ও.সম্ভব?.চিন্তা করি হয়.কি না পারা যায় কি না. কঠিন কঠিন আসলে. সমস্যা
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
ধন্যবাদ- চমতকার লেখা।
আদৌ কি পরিপাটি হয় কোনো ক্লেদ?ঋণ শুধু শরীরেরই, মন ঋণহীন??
কিন্তু জীবন জীবন এটার পেছনে ছুটতে ছুটতে পড়তে পারি না কষ্ট হয়
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
গুরুকে অভিবাদন তো বটেই।
আপনার লেখাও বেশ ভালো লাগলো।
___________
স্বাক্ষর?!
মাঝেসাঝে বুঝতে পাই- আমি
নিরক্ষর!
___________
সবকিছু নিয়ে এখন সত্যিই বেশ ত্রিধা'য় আছি
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
নতুন মন্তব্য করুন