এই লেখা নেহাৎই ব্যক্তিগত। ব্যক্তিগত? ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। 'মা' তো সর্বজনীন। কিন্তু এই লেখা লিখতে গিয়ে ব্যক্তিগত কথাও চলে আসছে কিছু।
=============================================
আমার বোন বয়সে আমার চেয়ে বছর পাচেকের ছোটো। বিয়ের কল্যাণে সে এখন আমাদের সঙ্গে থাকে না। শুধু সঙ্গে থাকে না তাই না; সে আমাদের চোখের সীমায়ও থাকে না। সে থাকে বহু দূরে। প্রায় চাঁদসমান দূরত্বে- জার্মানিতে। বোনটার ভাইও, মানে আমি, অতো পয়সাবান না যে ইচ্ছে করলে তাকে গিয়ে দেখে আসতে পারে একবার। অপেক্ষা করছে ছয় বছরের পর কখন সে আসে দেশে, চোখের সামনে।
এরই মধ্যে বোনটা একটা কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললো। তার মায়ের, আমারও মায়ের, একটা ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বসলো। সঙ্গে লিখে দিলো এইসব কথা :
রাতে বাসায় ফিরে আমি আবিষ্কার করলাম। বোনটিকে। আর আমার মাকে। দুঃখী বোনের কাছে মায়ের কোনো একলা ছবি নাই। ফেসবুকে আমার পোস্ট করা ছবি থেকে বাবাকে কেটে বাদ দিয়ে শুধূ মাকে দেখার চেষ্টা করছে আমার বোনটি।
আমরা, আমি আর মা আর বাবা, বোনকে দেখি না। সে চোখের সীমার বাইরে থাকে।
আর আমার বোন। তার মাকে দেখতে পায় না। তার মা থাকে তার থেকে চাঁদসমান দূরত্বে।
দিবসে ভর করে ব্যথা উগলেছে সে। আমার বোন। মা তার ব্যথা উগলে দেবে কিভাবে?
আহা বেদনা।।
মন্তব্য
আবারো আরেকটা লেখা পড়তে বাধ্য হলাম... এটাই শেষ, আর পড়বো না কিছু।
অনুভূতিটুকু ছুঁয়ে গলো। ঠিক করেছিলাম মা দিবসের কোন লেখাই পড়বনা। এর পরে একে একে পড়ে যাচ্ছি আর ..
আমি এড়িয়ে যাই। আমি একদেশে, মা আর একদেশে, পিঠাপিঠি বোন-একসাথে বড় হয়েছি- বোন এর চেয়ে ও যে বন্ধু অধিক- সে ও পৃথিবীর আরেক প্রান্তে। এইসব উপলক্ষ্য আমি এড়িয়ে যাই।
একবার ছুঁয়ে ফেললে দীর্ঘ, বড় দীর্ঘসময় সবকিছু উলটপালট হয়ে থাকে। ভাল্লাগেনা...
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
.... .... ....
খুব সুইট আর মেলাঙ্কোলিক।
হ্যাপি মাদারস ডে
@ ইশতিয়াক রউফ, হাসান মোরশেদ, লুত্ফুল আরেফীন এবং এস-এস
কী বলবো...
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
নতুন মন্তব্য করুন