বুকে নিয়ে বলেশ্বর-পশুর মোহনা
ভাসতে-ভাসতে উঠে এল লোকটা ডাঙায়;
মেহেন্দিগঞ্জের হাট, চরবাইশার মাজার,
আধ-ভাঙা কণ্ঠস্বর, বৃষ্টি-মেঘ ভেজা পদশব্দ,
ঝাঁপ-টানা দোকানে-দোকানে আলু-পেঁয়াজের ফিসফাস,
যেন জোয়ারের ঘোলা জল হারিকেন আলো, ধোঁয়া,
মুখগুলো চেনা-চেনা, চুড়ির হাসির টুংটাং,
খড়-হোগলার চালা পিছলে স্যাঁৎলামদির জ্যোৎস্নায়
ছেনাল আঁচল ঠেলে খসে পড়ছে শব টুপটাপ;
লোকটার চোখের-বিন্দুতে থির বানিশান্ত গাঁও,
গঞ্জ-হাট, কাদা-জল ভেঙে সরু পথ, দু’পাশের
ধানক্ষেত, শ্যাওড়া-আগাছার ঝোপ; খোকা ফিরে এলি
বাপ-দাদা, অনাত্মীয় স্বজনের হিম স্পর্শ, ছায়া,
বেতঘুম, কাতর অশ্বের ক্ষুরধ্বনি, মৃত বাঘের পাঁজর,
মাংসপেশি; তবু কিন্তু লোকটার কাটেনি বিভ্রম;
শুধুমাত্র বুকে নিয়ে বলেশ্বর-পশুর মোহনা
ভাসতে-ভাসতে উঠে আসছে তীর খুঁড়ে একটি রাত;
হাঁটুতে মাটির দাগ, মাছ-শ্যাওলা আঁশটে কররেখা!
মন্তব্য
শব্দগুলো বড় বেশি আলাদা আলাদা লাগছে।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
এটা কি মোহাম্মদ রফিকের কবিতা নাকি পলাশ দত্ত'র?
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
মোহাম্মদ রফিকের।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
ভালো লেগেছে কবিতাটি। পলাশ দত্তকে অভিবাদন।
নতুন মন্তব্য করুন