সেবা করার খুব ইচ্ছা ছিলো, ইচ্ছা ছিলো জুড়ে দেয়ার
ইচ্ছা ছিলো কাছেকাছে থাকবো, ডাকবো দূরে থেকেও
কে, কখন ঠিক কোথায় আছে, মুহূর্তে
পাওয়া যাবে কি যাবে না আঁচ
উষ্ণ তার অভিশ্বাস
-আহা, পারতাম না তো জানতে এই সেদিনও
হাতে-হাতে চলন্ত ফোন উঠে আসার আগে,
আহা
কী দূরের ভাগ্য; আমরা তখন বিচ্ছিন্ন ছিলাম!
তখন আমরা দূরে-দূরে ছিলাম!, যে যখন যেখানে
তখন শুধু সেখানেই, সেখানেই শুধু
তার দেহমনপ্রাণ!
আহা, কুশল তখনো যার যার মুখেমুখে চোখেচোখে
শুধুই সামনাসামনিতে!, যার যার
ঘরে একেবারে একে অন্যের যে যার সমুখে-সমুখে!!
কী দুর্ভার সেইসব দিন!
প্রত্যেক দেখায় তখন প্রত্যেকের পূর্ণ মনের যোগ
যে যেখানে আছে যে যেখানে থাকে
থাকে সশরীর-মন-প্রাণ!
নাই কোনো বাধা, নাই কোনো সংযোগ
কী দুর্ভার, কী দুর্ভার
আগাপাশতলা স্রেফ সেবাই তো দিচ্ছে; বিনিময়ে
সামান্য, যৎসামান্য সেবা-পারিশ্রমিক
-সেবা যে দিচ্ছে, আহা, নেবে না পয়সা!
বিনা পয়সায় কে কাকে কীই-বা দিতে পারে?
এই যে তোমাকে সারাটাক্ষণ যুক্ত ক’রে রাখে
তার তো একটা অমূল্য মূল্য-সংযোজনীও আছে, নাকি?
আর, শুধু তো চেঁচাও তোমার পকেটের পয়সা
মিনিটে-মিনিটে গলিয়ে নিলো ব’লে! শোনো,
তোমার যে সরকার, জানো?, তাকেও তো
দেয় বহুকিঞ্চিৎ মূল্য-সংযোজী কর! তাহলে??
তাছাড়া দেখো,
কতো কতো লোক- কারো না কারো ভাই, কারো
না কারো স্বামী, কারো না কারো সন্তান, কারো না
কারো বাবা-মা-স্ত্রী-বোন- এই তোমাদের, দেখো,
কতো কতো লোকের ক’রে তো দিলো কর্মের সংস্থান
তবু হাতে-হাতে চাও না নিতে তুলে চলন্ত ফোন?
আসছে দাঁড়াও
লাভ তো আর করেনি কম এই এতোদিনে
এবার কমাবে দাম
দেখে নেবে, হাতে-হাতে চলন্ত ফোন না নিয়ে কিভাবে
বাঁচো, কোথায় বাঁচো, কোন্ বাংলায়??
মন্তব্য
বাহ্! বেশ বস্তুধর্মী লিখলেন। ভালো লাগা জানাচ্ছি কবিতায়।
বস্তু ব্যক্তি প্রাণ মানুষ জীবন দুনিয়া মৃত্যু উদ্বাস্তু হয়ে যাওয়া।
লেখাটা ২০০৪ সালের।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
নতুন মন্তব্য করুন