আহা পেন্টাগন

পলাশ দত্ত এর ছবি
লিখেছেন পলাশ দত্ত (তারিখ: সোম, ১০/০৮/২০০৯ - ১২:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমেরিকান পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসে একটা মহা-উদ্বেগজনক (!) খবর বেরিয়েছে গতকাল। আমি দেখতে পাই পত্রিকাটির ওয়েব-সংস্করণ (তবে এখানে ছাপা সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠাটা দিয়ে দিলাম)। সেইখানে প্রধান/প্রথম খবরটিই সেই খবর।

খবরে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন আমেরিকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি। (!) নিউ ইয়র্ক টাইমসের সেই প্রতিবেদনের একটা বাংলা রূপ ছেপেছে দৈনিক সমকাল। সেটা পড়া যাবে এখানে। মূল ইংরেজিটা পড়া যাবে এখানে

কিন্তু কম বুঝদার এবং কম জানা মানুষ হিসেবে আমার মনে একটা সন্দেহ জাগে : এটা কি এ অঞ্চলে আমেরিকান সেনা ঘাটি বসানোর সহজ একটা রাস্তা খোজাখুজি নাকি? কারণ মূলত বাংলাদেশ নিয়ে একটা গবেষণা চালিয়েই এই মহা-বিপদ সম্পর্কে সজাগ হয়ে উঠেছে পেন্টাগন!!!

শিরোনামে পেন্টাগন ভাইয়ের নাম লেখার কারণ এই গবেষণায় ভাইয়েরা জড়িত।।

আমাদের মনে আছে মধ্যপ্রাচ্য ও পৃথিবীর জন্য ইরাক কতো বিপদজনক তা দুনিয়াকে জানিয়ে ও বুঝিয়ে দিয়েছিলো আমেরিকা।।


মন্তব্য

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

খাইছে... ডরাইছি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

তানভীর এর ছবি

১.
আমি তো নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে খারাপ কিছু দেখলাম না। বাংলাদেশের কথা এখানে উদাহরণ প্রসঙ্গে এসেছে। খবরটা ভালো করে পড়লে দেখতে পাবেন ১৯৯২ সালে হারিকেন এন্ড্রু একটা এয়ার ফোর্স বেইজ এবং ২০০৪ সালে আইভানের পেনসাকোলায় একটা নেভাল বেইজ ক্ষতিগ্রস্থ করার কথা বলা হয়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্র সমতলের উচচতা বৃদ্ধি ও নানা দুর্যোগ বৃদ্ধি পেলে এ রকম আরো ঘাঁটি বিপন্ন হতে পারে সে আশংকার কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ যেখানে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে অনেক ঝুঁকির মধ্যে আছে সেখানে এ রিপোর্ট অনুযায়ী বরং কখনোই আমেরিকার বাংলাদেশে ঘাঁটি তৈরির কথা না। যেটা বলা হয়েছে- জলবায়ু পরিবর্তনে পৃথিবীতে পরিবেশগত দুর্যোগ অনেক বৃদ্ধি পেতে পারে যার ফলে অনেক দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বৃদ্ধি ইত্যাদি হতে পারে এবং তখন আমেরিকার সামরিক বাজেটের একটা বিশাল অংশও ইমার্জেন্সি রিলিফের কাজে ব্যয় হবে, যা এখন যুদ্ধ-বিগ্রহের কাজে ব্যয় হয় এবং এ সবকিছুই তখন আমেরিকার নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করতে পারে। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তন ও এ সম্পর্কিত বিপর্যয় মোকাবেলায় গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে, যা ওবামা সরকার করতে চাচ্ছে- এমনটাই এখানে বলা হয়েছে। আমার কাছে যেটা মনে হয়েছে সরকার যেহেতু এখন অল্টারনেটিভ বা রিনিউয়েবল ফুয়েলের দিকে জোর দিচ্ছে, সেহেতু পাবলিক ও নীতিনির্ধারকদের বোঝাতে পেন্টাগনের এ রিপোর্টের কথা প্রচার করা হয়েছে যে আমরা যদি এখন ক্লাইমেট চেইঞ্জকে গুরুত্বের সাথে না নেই, অল্টারনেটিভ ফুয়েল ব্যবহার শুরু না করি- তাহলে অদূর ভবিষ্যতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। ওবামা সরকার নবায়নযোগ্য শক্তি ও ক্লাইমেট চেইঞ্জ খাতে বিশাল টাকা ঢালা শুরু করেছে, কাজেই স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এ নীতি বাস্তবায়নে তাদের ব্যাপক জনসমর্থন প্রয়োজন। রিপোর্ট থেকেই কোট করি-

“If the United States does not lead the world in reducing fossil-fuel consumption and thus emissions of global warming gases, proponents of this view say, a series of global environmental, social, political and possibly military crises loom that the nation will urgently have to address. This argument could prove a fulcrum for debate in the Senate next month when it takes up climate and energy legislation passed in June by the House. Lawmakers leading the debate before Congress are only now beginning to make the national security argument for approving the legislation.

২.
বাংলাদেশের সাংবাদিকদের মনে হয় একটা রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা বা পেন্টাগনের নামে খবরে কিছু দেখলে বাড়তি প্রচার পাবার জন্য নেগেটিভলি সেটাকে তুলে ধরা। খুবই হাস্যকর। হাসি

হাসান মোরশেদ এর ছবি

আচ্ছা পলাশ, আপনার কি মনে হয়- আমেরিকা বাংলাদেশে ঘাঁটি করতে হলে তার এতোসব নাটকীয়তার দরকার আছে?
তার যদি বাংলাদেশে ঘাঁটি করার দরকার পড়ে, সে করবে এবং সরাসরিই করবে কারন- আমেরিকার ঘাঁটি পত্তনের সত্যিকার বিরোধীতা করার মতো ঘেঁটির জোর বাংলাদেশের কোন পন্থীদেরই নেই।
------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।

অতিথি লেখক এর ছবি

সমকালের পুরা লেখাটা পরে মনে হল আমাদের আরেকটা বিপদ খুবি সন্নিকটে। তবে আমি আমেরিকার ঘাটির কথা ভাবছি না ভাবছি জলবায়ু পরিবর্তনের কথা। এতদিন জানটাম প্রথম পরিবর্তন আসবে মালদ্বীপে এখন মনে হচ্ছে একসাথেই আসছে.....

রায়হান

লুৎফুল আরেফীন এর ছবি

খবরটা পড়ার ধৈর্য ছিলো না, কারণ শিরোনামকেই বিকৃতভাবে অনুবাদ করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশের সাম্প্রকিত সময়ের পৌণপূণিক প্রকৃতিক বিপর্যয়, মরুকরণ, বন্যা - এসবকিছুই জলবায়ূ পরিবর্তনের বিক্ষুব্ধ ইঙ্গিত বয়ে চলছে, তাতে কেনও সন্দেহ নাই।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।