কসাই কাদেরের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলো থাবা বাবা। তার সঙ্গে ছিলো আরো ব্লগার, ছাত্র, দেশের মানুষ। ফাঁসি ফাঁসি করে ১১টা দিন সবাই গলা ফাটিয়েছে। ধৈর্য দেখিয়েছে। যেদিনই আন্দোলনে ধীরে চলার ঘোষণা এলো লাশ হলো থাবা বাবা। কোথায় কোথায়? মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার মিরপুরেই।
এখন আমরা সবাই রাগে-দুঃখে-ক্ষোভে ফুঁসছি। প্রতিশোধের শপথ নিচ্ছি। আপাতত মনে-মনে আর কী বোর্ডে কী বোর্ডে। কাল সেই শপথ আসবে স্রোগানে-স্রোগানে। সবই ঠিক আছে।
কিন্তু আমরা কি প্রস্তুত? ৭১-এ জানোয়ারের দল তালিকা করে নাম ধরে ধরে মানুষ মেরেছে। ১৩ সালেও সেই পথে যাত্রা করেছে। আমরা কি ৭১ এর মতোই গলা বাড়িয়ে দেবো? নাকি পাল্টা আঘাত হানবো?
যে যেই এলাকায় আছি সে সেই এলাকার জন্য প্রস্তুত হই। এলাকার জামাতি আর শিবিরের তালিকা বানাই। একইসঙ্গে ব্লগার-ফেইসবুকররা আসুন বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ করে নিয়ে টিম তৈরি করি। সেই টিম অনুযায়ী দেশের সব জায়গায় আমরা দল বেঁধে নামি সোমবার। আর হায়েনাদের ধরে ধরে পুলিশে দিই।
যদি পাল্টা আঘাত হানতে চাই তবে সেই দিন দূরে নয়। না আজাইরা টক-শো, বক্তৃতা বা ফিলোসফিকাল চাপাবাজির দূরত্বের কথা বলতেছি না। জামায়াত-শিবিরের জানোয়ারগুলিকে পাল্টা আঘাতের দিন খুব কাছে। যদিও সে আঘাতে আমার নিশ্চিত বেজন্মা জানেয়ারগুলিকে অনুসরণ করে মানুষ ফেলবো না।
সেই দিনটি হলো আগামী সোমবার।
১১ দিন লাখ মানুষের সমাবেশের মধ্যেই বেজন্মাগুলি সোমবার হরতাল ডাকার সাহস দেখিয়েছে। আর ভয় জারির প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে শুক্রবার জবাই করেছে থাবাকে।
আসুন আমরা সোমবারের জন্য প্রস্তুত হই। সেদিন মাঠে নামি। জামায়াত-শিবিরের ব্যানার-স্লোগান নিয়ে যাকেই দেখবো তাকেই...। না মেরে ফেলবো না। আমরা পাকিস্তানীর ঔরসে জন্ম নেয়া মানুষ নামের জানোয়ার না।
সোমবার আমরা জামায়াত-শিবির কর্মীদের ধরে ধরে তুলে দেবো পুলিশের হাতে। কিন্তু এজন্য আমাদের প্রস্তুতি দরকার।
যে যেই এলাকায় আছি সে সেই এলাকার জন্য প্রস্তুত হই। এলাকার জামাতি আর শিবিরের তালিকা বানাই। একইসঙ্গে ব্লগার-ফেইসবুকররা আসুন বিভিন্ন অঞ্চল ভাগ করে নিয়ে টিম তৈরি করি। সেই টিম অনুযায়ী দেশের সব জায়গায় আমরা দল বেঁধে নামি সোমবার। আর হায়েনাদের ধরে ধরে পুলিশে দিই।
সময় হাতে মাত্র দুই দিন। তাই ব্লগার এবং ফেইসবুকারদের যোগাযোগের কাজটা এখন্ই শুরু করতে হবে।
নইলে লড়াইটা শুধু কী বোর্ড, প্রজন্ম চত্ত্বর আর মনের মধ্যেই থেকে যাবে।
আর এর ফল হিসাবে আগামী যে কোনোদিন আবার আমরা লাশের খবর পাবো। সেটা হতে পারি আমি। হতে পারেন আপনি। হতে পারে আপনার বন্ধু বা ভাই।
আসুন আমরা সঙ্ঘবদ্ধ হই। প্রস্তুতি নিই।
মন্তব্য
শুধু এলাকাভিত্তিক না, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চাকুরীক্ষেত্র সব ক্ষেত্রেই এটা করা জরুরী।
সেটা দীর্ঘমেয়াদি শায়েস্তার জন্য দরকার। এই মুহূর্তে সোমবার জামায়াত-শিবিরের শো ডাউনকে ডাউন করার প্রস্তুতি নেয়া দরকার। যেজন্য দরকার ব্লগার-ফেইসবুকারদের এলাকাভিত্তিক পরিকল্পনা ও সঙ্ঘবদ্ধ হওয়া।
==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু
শিবির প্রতিহত করার একটা রূপরেখা তৈরি করাটা জরুরী কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
এই আন্দোলনকে আর অনলাইন কিংবা অহিংস আন্দোলন হিসেবে ধরে রেখে লাভ নেই।
সোমবার এদেরকে প্রতিরোধের দিন।
৭১-এ আমরা রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। এবারও দাঁড়াব।
bangladeshe abar juddho badhbe mone hocche..
মানুষের সাথে যুদ্ধ হয়, বন্য শুয়োরের সাথে যুদ্ধ কিসের?
নীড়া
নতুন মন্তব্য করুন