[[ আমার একটা ধারণা ছিল - গল্প-কবিতা লেখা কঠিন। কিন্তু নিজের জীবনের সত্যি ঘটনা লিখতে গিয়ে দেখলাম- বাস্তবতাকে শব্দে ধারণ করা অনেক বেশি কষ্টের- অনেক অনেক বেশি যন্ত্রণার]]
বাংলাদেশের প্রায় মানুষই প্রায় ছুটি-ছাটায় কক্সবাজার যেতে পছন্দ করে। আমরাও বাংলাদেশের মানুষ। তাই- সেকেন্ড সেমিস্টার ফাইনাল শেষে- দুই দল হয়ে বীচে ফুটবল খেলা যাবে এমন সংখ্যক- অর্থাৎ বাইশজন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বোর্ডবাজার থেকে বাসে বিমানবন্দর রেলস্টেশন। রাত সাড়ে এগারোটায় ট্রেন। আমরা যেখানে যাই 'আনন্দ' সেখানে যায়। সুতরাং যাত্রাপথে অনেক মজা হল। অবস্থা এমন হয়ে দাঁড়াল- কেউ কিছু বললেই অন্য সবাই হাসে। ভালো ছেলে মুহাম্মদ নিরীহ ভাবে তুহিনকে বলল।
- তুহিন। আমার মোবাইলটা রাখ তো। একটু টয়লেটে যাব।
সবাই হাসতে হাসতে গড়াগরি খেতে লাগলাম। হাসতে হাসতেই চিটাগাং, তারপর কক্সবাজার পৌঁছালাম।
রাত আটটা'র দিকে সমুদ্রের ঢেউ ছুঁয়ে এসে একা একা লাবণী পয়েন্টের মার্কেটে হাঁটছি আর মাঝে মধ্যে কেনার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা না নিয়েই চূড়ান্ত পর্যায়ের মুলা-মুলি করে দোকানদারের মাথার মেজাজা খারাপ করে দিচ্ছি- এমন সময় সাত-আট'টা পিচ্চি পিচ্চি ছেলে মেয়ে আমাকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলল।
- স্যার। একটা ঝিনুকের মালা ন্যান না।
- স্যার। দাম মাত্র দশ ট্যাকা।
আমি মানুষটা এমনিতে খুব খারাপ। দয়া- মায়া তেমন একটা আমার শরীর কিংবা মন কোনটার ভেতরেই নেই। কিন্তু অসীম সমুদ্রের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম বলেই হয়ত- খালি পায়ে, ছেঁড়া জামায়- ঝিনুকের বিভিন্ন জিনিস বিক্রী করা - বাচ্চা গুলোর জন্য আমার মনটা অসীম মমতায় ভিজে উঠল। স্যার সম্বোধন পাওয়ায় বেশ ভারিক্কি চালে ওদের মধ্য থেকে একজনকে বললাম।
- দেখি তো। কি কি আছে?
বাচ্চারা পারলে আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
- স্যার, আমার টা দ্যাখেন। স্যার, আমার টা দ্যাখেন।
আমি বললাম।
- এরকম করলে কারো'টাই নিব না। সবাই চুপ হয়ে দাঁড়াও। সবার কাছ থেকে একটা করে নিব।
এই ব্যাপারটায় তারা বেশ মজা পেল। এই ধরণের আনন্দের মুখোমুখি তারা মনে হয় খুব কমই হয়। দেখলাম- আমার দিকে ওরা অধীর আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে। আটজনের কাছ থেকে আট'টা মালা কিনলাম। এরপর একজনকে বললাম।
- এদিকে আস। তোমার কাছ থেকে কোনটা কিনছি?
এরপর ওদের অবাক করে দিয়ে মেয়েটাকে মালা'টা পরিয়ে দিলাম। মেয়েটা লজ্জায় মরে যাবে- এমন অবস্থা। অন্য বাচ্চারা হাসছে।
এভাবে সবাইকে মালা পরিয়ে দিচ্ছি। একটা ছেলে বলল।
- স্যার, আমরা তো পোলা।
- পোলারা মালা পরতে পারে না। তোমারে কে বলছে?
আটজনকেই মালা পরিয়ে দিলাম। আনন্দে তাদের চোখ ঝলমল করছে আর আশেপাশে'র সুশীল সমাজ আমার ঢং দেখে নাক কুঁচকাচ্ছে।
পরের দিন দুপুর বারোটার দিকে বেকুবের মত ঘন্টায় পঁচিশ টাকা দিয়ে বীচে কাঠের তক্তাতে শুয়ে আছি। পকেটের সিগারেট শেষ। সমুদ্রের সামনে এলে আগুনের স্পর্শ পেতে ভালো লাগে- বার বার সিগারেট খেতে ইচ্ছে করে। চা-ওয়ালাকে ডাক দিলাম।
- মামা। সিগারেট আছে?
- না, মামা।
হঠাৎ করে পাশ থেকে একটা কন্ঠ বলে উঠল।
- স্যার, আমি আইন্যা দিই? এক দৌড়ে নিয়া আসমু দোকান থেইকা।
আমি অবাক হয়ে তাকালাম। সাত- আট বছরের একটা মেয়ে। মুখটা চেনা চেনা মনে হল।
- তুমি কে?
- স্যার, কালকে যে আমাগো থেইকা মালা নিলেন।
- ওহ! কেমন আছ তুমি?
- জ্বে ভালো।
- নাম কি তোমার?
- নুড়ি। স্যার সিগারেট নিয়া আসি?
কথাটা বলে নুড়ি আমার জবাবের অপেক্ষা না করেই ছুট লাগাল। ও'র দৌড় দেখে মনে হচ্ছে আর দুই মিনিটের মধ্যে সিগারেট নিয়ে আসতে না পারলে কেউ একজন মারা যাবে। সমুদ্র মানুষের মনে বোধ হয় কিছু একটা করে- না হলে দৃশ্যটা দেখে আমার এমন লাগবে কেন?
নুড়ি আমার জন্য সিগারেট নিয়ে আসল। দুইটা বেনসন সিগারেট। আমি মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করলাম। দশ টাকা। আট টাকা সিগারেটের দাম। দুই টাকা বখশিস।
- নাও।
আমাকে লজ্জায় ফেলে দিয়ে এবং অবাক করে দিয়ে নুড়ি একটু দূরে সরে গেল।
- ট্যাকা লাগবো না, স্যার।
আমি বোবা হয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর বললাম।
- আমাকে স্যার বলছ কেন?
- তাইলে?
- ভাইয়া ডাকলে কেমন হয়?
অনেক বলেও নুড়িকে আমার পাশে বসাতে পারলাম না। তক্তার মালিক দেখলে নাকি মাইর দিবে। আমি চেয়ার থেকে নেমে গিয়ে বালিতে বসলাম।
- এখন? বালিতে বসলে কেউ মাইর দিবে?
জড়সড় হয়ে নুড়ি আমার পাশে বসল। আমি জিজ্ঞেস করলাম।
- স্কুলে যাও?
- এক বছর গেসিলাম।
- নাম লিখতে পার? দেখি বালিতে নাম লিখ তো।
কাঁপা কাঁপা হাতে সে বালিতে নাম লিখল 'নুরি'। আর আমি ভেবেছিলাম বাচ্চাটার নাম 'নুড়ি'। আমার নুড়িটাই বেশি ভালো লেগেছিল। নুড়ি- সমুদ্রের বুকে যার বসবাস। আমি বালিতে 'নুড়ি' লিখে বললাম।
- এখন থেকে নামের বানান এটা লিখবে- ঠিক আছে?
নুড়ি মাথা নাড়ল- সে লিখবে।
এরপর আমরা অনেক কথা বললাম। আমি যখন সিগারেট টানি- নুড়ি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে। শেষ হলেই দৌড়ে গিয়ে সিগারেট নিয়ে আসে।
দুইটা'র দিকে নুড়িকে বললাম।
- এক দৌড়ে বাড়িতে যাবা। স্যান্ডেল পড়বা। পরিস্কার কাপড় পরে আসবা। আমরা একসঙ্গে খাব আর ঘুরব।
নুড়ি বলল- তার খুব বেশি হলে বিশ মিনিট লাগবে।
আধা ঘন্টা পর নুড়ি আসল। ভেজা ভেজা চুল- অনেক কষ্টে করে রঙ ফুটে ওঠা সবুজ রঙের একটা জামা- সাইজে বড় এক জোড়া স্যান্ডেল সর্বোপরি নিষ্পাপ মায়ায় ভরা কালো দুটি চোখ। আমি নুড়িকে জামা- স্যান্ডেল- মাথার একটা হ্যাট কিনে দিলাম।
ওকে নিয়ে 'রেসিপি রেঁস্তোরা'য় গেলাম।
- বল। কী খাবা? ভাত ?
- ভাত খাইয়া আসছি।
- খাইয়া আসছ মানে? তোমাকে না বললাম...
নুড়ি মাথা নিচু করে থাকে। কিছু বলে না।
- আইসক্রীম খাবা?
নুড়ি আর আমি একসঙ্গে আইসক্রীম খেলাম। হঠাৎ সে আমাকে জিজ্ঞেস করে।
- ভাইয়া, কখন যাইবেন?
- কালকে সকাল দশটা এগারোটার দিকে।
নুড়ি মুখ নিচু করল। আমি দেখতে পেলাম- বাচ্চা মেয়েটার চোখ দুটি ভিজে এসেছে।
নুড়ি'র সাথে রিকশায় ঘুরলাম। একটা কাগজে আমার মোবাইল নাম্বার লিখে দিলাম। বললাম কোন দরকার হলে যেন অবশ্যই ফোন করে। নুড়িকে পাঁচশ টাকা'র একটা নোট দিতে চাইলাম। সে নিল না। একটু কষ্ট পেল যেন। আমার লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে আসল।
রাতে আমাদের ফিরে যাওয়ার সময় পিছানো হল। আমরা পরের দিন সন্ধ্যায় রওনা দিব। পরের দিন ঘুম থেকে উঠলাম দশটায়। এগারোটায় হোটেল থেকে বের হলাম। দেখলাম গতকাল কিনে দেওয়া জামা পরে নুড়ি দাঁড়িয়ে আছে। নুড়ি আমাকে বিদায় দিতে এসেছিল।
শেষ কথাঃ
কক্সবাজার থেকে ফেরার কয়েকদিন পর কোন এক কারণে আমি মোবাইল নাম্বার বদলে ফেললাম। হয়ত নুড়ি তার ঝিনুকের মালা বিক্রির টাকা দিয়ে- কোন একদিন আমাকে ফোন করেছিল। হয়ত নুড়ি ভেবেছিল- সে একটা ভাইয়া পেয়েছে- যে ভাইয়া তাকে অনেক আদর করবে। অথচ আমি একবারও ভেবে দেখিনি। আমি বুঝতে পারি- আমি সেদিন নুড়ি'র সঙ্গে প্রতারণা করেছিলাম- চোখের পাতায় হাত বুলিয়ে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দিয়েছিলাম। আমার স্নেহটা ছিল হঠাৎ করে জেগে ওঠা একটা রসিকতা।
এরপর আর কক্সবাজার যাওয়া হয় নি। আমি এখন- 'মেয়ে টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি' কিংবা 'প্রতি বিষ্যুদবার রাতে আমাদের মাথা গরম হয়ে যায়' নামের কিছু যাচ্ছে-তাই লেখা লিখি। আর নুড়ি নিশ্চয় এখনো সমুদ্রের পাশে ঘুরে ঘুরে ঝিনুকের মালা বিক্রি করে।
[[এসব কথা কাউকে বলতে ভালো লাগে না। আমার ভালোবাসার সচলায়তনকে বলেই ফেললাম।]]
মন্তব্য
নুড়ির পর নুড়িতে ঝর্ণাতলার গান
টিনের তুড়িতে এস দেব শব্দ শব্দ প্রাণ
আমার প্রাণতলাতে এস দেব প্রাণবীজ...
নিজে বানাইলি নাকি?
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
তার আগে ক' নুড়ি নিয়া কি সিদ্ধান্ত নিলি?
নুড়িকে খুঁজতে যাব।
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
ভালো লাগলো।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ভালো লেগেছে জেনে খুশি হইলাম
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
নূর/নূরী মানে তো আলো। নামের বানানটা মনে হয় তাই হবে। আপনি তো মেয়েটাকে একেবারে পাথর (নুড়ি) বানিয়ে দিলেন। আমার নামও নূর থেকে এসেছে; তাই মনে হয় চোখে পড়ল
=============
"কথা বল আমার ভাষায়, আমার রক্তে।"
আহা- লেখার প্রতি পরতে পরতে ছুঁয়ে আছে মায়ার কোমল আঙুল। হৃদয়বান একজন মানুষ আপনি।
-জাহিদ হোসেন
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
হৃদয়বান????
হা হা হা হা...
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
ভাইরে ঠিক এমন ঘটনা আমারো আছে।
কিছুদিন আগে আরিফ ভাইয়ের ব্লগেও একই রকম একটা ঘটনা পড়লাম।
আনিসুল হকের একটা নাটকেও একই রকম ঘটনা।
আমাদের সবার কাহিনী এই একই লাইনে ঘুরপাক খেয়েছে, কারণ দূর্ভাগা আমরা লাইন ভেঙে বের হতে পারি না।
লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।
ঠিকই বলেছেন--- আমরা সবাই একটা বৃত্তের মাঝেই ঘুরপাক খাচ্ছি...
আমরা সবাই ''বৃত্তাধীন''
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
ভালো লেগেছে লেখাটা।
কি মাঝি? ডরাইলা?
থ্যাংকু
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
মন খারাপ করিয়ে দিলেন।
- শামীম হক
মন খারাপ করার যুগ কি আর আছে?
এখন এমন হতে হবে অতি করুণ কোন দৃশ্য যেন মন বিন্দুমাত্র
ছুঁতে না পারে।
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
-----------------------------------
যা দেখি তা-ই বলি...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
- (তালিয়া)
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যদিও চোখ ভেজানো লেখা।
তথাপি অতি চমতকার লাগলো। মানুষ যণ্ত্রণা কতো ভালোবাসে!!
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
হুম...
কোন এক অদ্ভুত কারণে
যন্ত্রণা পেতে মানুষ ভালোবাসে
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
ঘটনা সত্যি।
ঐ বার আমিও সাথে ছিলাম।
লেখা নিয়ে নো কমেন্টস... বরাবর যেরকম হয়ে আসছে... এবারও কোন ব্যতিক্রম নয়।
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
বুকের মধ্যে আস্ত একটা নদী নিয়ে ঘুরি
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ভালো লাগলো।
আমাদের চিন্তাই আমাদের আগামী: গৌতম বুদ্ধ
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
দোয়া রাইখেন
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
মন ছুঁয়ে গেল।
যতন করে রেখে দেয়া ভাইয়ার নাম্বারটাতে মাঝে মাঝে ট্রাই করে না পাওয়া নুড়ির মুখ ভাবতে কষ্ট লাগছে।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
নুড়িকে খুঁজতে যাচ্ছি...কয়েকদিনের মধ্যেই
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
thats great.....
......................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
................................................................................
objects in the rear view mirror may appear closer than they are ...
চুপ ক্যান???
আর ইংলিশে কি ডায়ালগ লেখা আছে কিচ্ছু বুঝি নাই।
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
পড়তে দেরি হলো সুন্দর এই লেখাটা।
ছোটো একটু মাস্টারি (আবার)।
পড়া এবং পরা নিয়ে একটা গণ্ডগোল। পরিধান করা অর্থে হলে পরা (যেমন, মালা পরা, শার্ট পরা) হবে। আর পাঠ বা পতন অর্থে পড়া (বই পড়া, প্রেমে পড়া, গাছ থেকে পড়া)।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
এই ধরণের ভুল করে
সত্যিই লজ্জা লাগছে।
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। এই লেখাটা পড়ে একটু হেসে নিতে পারেন।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
আপনার প্রত্যেকটা লেখা পড়ার জন্য আমি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করি। একটা লেখা পছন্দ করার জন্য আসলে দুইটা হাতিয়ার লাগে। ১।লেখার ধরণ বা শৈলী, আর ২।বিষয়। প্রথমটা সম্বন্ধে আপনাকে বলার কিছু নাই, আপনার লিখা অসম্ভব ধরণের প্রাঞ্জল। তবে আগের একটা লেখার বিষয়ও আমার ভালো লাগে নাই। এই লেখাটা পড়লাম, এবং এই লেখাটাতে আপনার ক্ষমতা পুরোটা প্রকাশ পেয়েছে।
আমার কথায় দুঃখ পাবেননা আশা করি। আসলে আমার কথায় কিছুই যায় আসেনা।
অসম্ভব সুন্দর এই লেখাটার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার সংগে একমত।\
এই লেখাটা লিখে আমি অসম্ভব তৃপ্তি পেয়েছি.
আপনাকে ধন্যবাদ।
---------------------------------
চোখের পাতায় হাত রেখে ওরা আমাকে স্বপ্ন দেখার যন্ত্রণা দেয়।
লেখাটার প্রতিটি শব্দে অদ্ভুত কষ্ট ছড়িয়ে আছে। কিছুটা সময় এই কষ্ট বিলাসেই ডুবে থাক মন।
নুড়িকে খুঁজতে যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগলো।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
ভালো নই হয়ত।
কিন্তু ভালো হওয়ার চেষ্টা করতে দোষ কী?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ওই দিন মামুন আমাকে এসে বলেছিল,
"দোস মহিবের মত ভাল পোলা আমি খুব কম দেখছি।"
কথাটা আমার আবারো মনে পড়ে গেল আর এর সত্যতা হৃদয় দিয়ে উপলদ্ধি করলাম।
-----------------------
কুচ্ছিত হাঁসের ছানা
তোর এরকম অদ্ভূত একটা মন্তব্যের পরে আমি আর কী বলব?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হঠাৎ করে আজ নুড়ির কথা মনে আসতেসে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আপনার যে যাবার কথা ছিল।
কবে যাবেন?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
কে জানে!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নুড়িকে খুঁজে পেয়েছেন?
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
নতুন মন্তব্য করুন