******প্রথম পর্ব******
স্কুল থেকে ফেরার পথে গাড়িটা দেখলাম। কী সুন্দর! আমরা গাড়ির পেছন পেছন দৌড়াতে লাগলাম। গাড়ির ভেতর থেকে... একটা মেয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে আর খুব হাসছে। আমার খুব লজ্জা লাগল... দৌড় থামিয়ে সালামকে বললাম।
- ঐ থাম। আর দৌড়াইস না।
- ক্যান। কী হইছে?
এখন যদি বলি- একটা মেয়েকে দেখে লজ্জা পেয়েছি- সবাই খুব হাসাহাসি করবে। তাই বললাম...
- এমনি। পা ব্যথা করতেসে।
হঠাৎ বুঝতে পারলাম- শার্টের ভেতর বাঁশিটা নেই। একটু আগে বাঁশিটা কিনেছি। চার টাকা দাম। শার্টের ভেতর লুকিয়ে রেখেছিলাম। আমার কান্না পেতে লাগল। চোখ দিয়ে বোধ-হয় একটু পানি বের হয়েছে ইতোমধ্যে। হাবলু বলল।
- কী রে। কাঁদস ক্যান? পায়ে ব্যথা করলে কাঁদতে হয় নাকি?
- আমার বাঁশি পাইতেসি না।
সালাম যাদু দেখানোর মতো কোত্থেকে বাঁশিটা বের করে বলল।
- এই নে। গাধু। দৌড়ানোর সময় ফালায়া দিসিলি...
বাড়ির সামনে এসেই আমার বুকটা খচ-খচ করতে লাগল। বাঁশি দেখলে আব্বা খবর করে দিবে। বাড়ির উঠোনে ঢোকার আগে- শার্টের ভেতরে বাঁশিটা আরো একবার দেখে নিলাম।
উঠোনে মা কাপড় শুকোতে দিচ্ছিল। মা'কে দেখলেই আমার জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে। কেন করে কে জানে!
- মা। আব্বা কোথায়?
- ক্যান? অখনো আসে নাই।
আমি শার্টের ভেতর থেকে বাঁশিটা বের করলাম। মা বলল...
- এইডা কী?
- ক্যান... বাঁশি। তুমি বাঁশি চেন না বুঝি।
- তোর বাপে দেখলে মাইরা ফেলব।
- দেখব না। আমি লুকাইয়া রাখুম।
- দেখিস। তোর বাপ দ্যাখে না যেন!
আমি জানতাম- মা কিচ্ছু বলবে না। আমার মা তো হাবলু রাশুর মায়ের মত না। বাঁশি কিনেছি দেখে বকা দিবে।
রাশুটা হাবলু হলে কী হবে- এত মিষ্টি করে বাঁশি বাজায়। বিকেলে আমি অবাক হয়ে রাশুর বাঁশি শুনি। আমি রাশুকে বলি-
- ঐ হাবলু। বাজনা শুনব।
প্রথমে হাবলু লজ্জা পায়। তারপর স্কুলের পেছনের টিলায় হাবলু বাঁশি বাজানো শুরু করে।
''আমার শ্যাম যদি... হইত মাথার কেশ।''
গত বছর- সালমা আপার বিয়েতে গানের দল এই গানটা করেছিল। গানের কথাগুলো- আমার মাথায় ঢুকে না। তবুও রাশুর বাজনা শুনে -আমার শরীর কেমন কাঁপতে থাকে। গলা খুলে কান্না করতে ইচ্ছে করে! সালামকে আমি একদিনই কাঁদতে দেখেছিলাম। যেদিন সালমা আপা মারা যান। আমার বুকে মাথা রেখে সালাম পাগলের মত চিৎকার করছিল... আমার ভইনরে কোথায় নিছস তোরা?...
বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। বুকে একরাশ উত্তেজনা... আজ থেকে রাশুর কাছে বাঁশি শিখব। দুপুরে আব্বা বাড়ি আসার আগে একটু চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু কোন শব্দ বের হয় না। আমার পাগলামি দেখে মা বলল।
- তোরে দিয়ে বাঁশি বাজান হইবোনা... দাঁড়া আমি বাজায়া দেখাই।
মা আমার হাত থেকে বাঁশি নিয়ে ফু দিচ্ছে। আমি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেতে লাগলাম। মা মুখে বানানো রাগ ফুটিয়ে বলে।
- খবরদার...হাসবি না কইলাম!
তারপর মা নিজেই হেসে দেয়। নিজেকে আমার অসম্ভব সুখী একটা ছেলে মনে হয়।
রাশুদের বাড়ির সামনে আসতেই অন্যরকম একটা কন্ঠ আমাকে ডাকল।
- এই যে!
আমি তাকিয়ে অবাক হয়ে যাই। সেই মেয়েটা। গাড়ির ভতরের সেই মেয়েটা। আমি বললাম।
- জ্বী...আমারে বলতেসেন?
মেয়েটা ফিক করে হেসে দিল। মুখটা কেমন করে যেন বলল।
- হুঁ। তোমরা গাড়ির পেছনে ওভাবে দৌড়াচ্ছিলে কেন?
আমি মাথা নীচু করে রইলাম। সব সালামটার দোষ। ওর বুদ্ধিতেই তো দৌড়াতে গেলাম।
- কী কথা বলছ না কেন?
- সব সালামের দোষ।
মেয়েটা খিল খিল করে হাসতে লাগল।
- দোষ হতে যাবে কেন?
আমি বোকার মত তাকিয়ে রইলাম। কী বলব বুঝতে পারছি না। মেয়েটার মনে হয় হাসি-রোগ আছে। হাসছে তো হাসছেই... থামার কোন লক্ষণ নেই। হাসতে হাসতেই আমাকে বলল।
- নাম কী তোমার?
- মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন।
- ও বাবা। এত লম্বা নাম আমি মনে রাখতে পারব না। ছোট একটা নাম বল।
- মনু।
- হাতে কী ওটা?
- বাঁশি।
- তুমি বাঁশি বাজাতে পারো?
- না। রাশু বাজাইতে পারে।
- রাশু কে? তোমাদের দৌড়ানো দলে ছিল নাকি?
- হ। এখন রাশুর কাছে বাঁশি শিখতে যাইতেসি।
মেয়েটা কেমন করে যেন বলল।
- আমিও বাঁশি শিখব। আমাকে নিয়ে যাও না।
আমি কিছুই বুজতে পারছি না। একটা মেয়ে এভাবে কথা বলতে পারে আমার জানা ছিল না। কখনো এরকম সুন্দর কোন মেয়ে আমি দেখি নি। রশিদ কাকাদের টিভিতে মাঝে মাঝে নাটকে দেখেছি শুধু। মেয়েটা আবার বলল।
- কী হলো? হাবার মত দাঁড়িয়ে আছ যে। চল...
আমি বোকার মত হাঁটতে লাগলাম। মেয়েটা আমার পাশে পাশে হাঁটছে আর পকপক করে কথা বলেই যাচ্ছে।
- আমার নাম জানতে চাও না? আমার নাম এশা। কিউট না নামটা?
আমি কোন কথা বলি না। চুপ করে থাকি। এসব কথা শুনে কী বলতে হয়- আমার জানা নেই।
- কোন ক্লাসে পড় তুমি?
- কেলাস সিক্স।
- কী আশ্চর্য! আমিও ক্লাস সিক্সে... তোমাদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হয় নি? আমাদের তো কবেই শেষ। লম্বা ছুটি... তাই তোমাদের গ্রামে বেড়াতে আসলাম। তোমাদের চেয়ারম্যান আমার আব্বুর বন্ধু।
রাশু বাঁশি বাজালো না। আমাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলল- একটা মেয়ের সামনে ও বাঁশি বাজাতে পারবে না। আমি হাবলুটাকে কিছু বললাম না।
মেয়েটা বোধহয় মন খারাপ করল। কেমন যেন চুপ-চাপ হয়ে গেল হঠাৎ। শুধু আমাকে বলল।
- পুরো গ্রামটা ঘুরিয়ে দেখাও না আমাকে?
- জ্বী আচ্ছা।
- জ্বী আচ্ছা বলছ কেন? আমি কী তোমার টিচার নাকি?
বলে এশা আবার ফিক করে হেসে দিল। হঠাৎ করে আমার মনে হলো- 'এশা' নামটা সত্যিই সুন্দর!
এর পরের কয়েকদিন আমার জীবনে অনেক কিছু ঘটে গেল। আমার বাঁশিটা আব্বা দেখে ফেলল। এসব আলতু-ফালতু জিনিস যদি আর কখনো বাড়িতে দেখে- তাহলে আমাকে আর মা'কে বাড়ি থেকে বের করে দিবে বলে হুমকি দিল। অনেক ভালোবাসার বাঁশিটা পুকুরে ফেলে দেওয়া হল।
প্রতি ভোরে মক্তবে যাই- এরপর স্কুল। এশাকে নিয়ে গ্রাম দেখি। মেয়েটা এত অবাক হতে পারে! সালামরা যখন সাইকেলের চাকা দিয়ে গাড়ি গাড়ি খেলে- এশা অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে... আমার দিকে তাকিয়ে বলে...
- কী মজার খেলা...তাই না? আমিও খেলব।
এশার এসব অদ্ভুত কথা শুনে - আমারও মজার কিছু বলতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু মাথায় কিছুই আসেনা... শুধু বোকার মত মেয়েটার দিকে তাকিয়ে থাকি। আমি এশাকে আমাদের স্কুল-ঘরে নিয়ে যাই। দেয়ালে ''সায়মন+ আকিদা'' লেখা দেখে এশা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায়।
আমি এশাকে আমাদের গ্রামের ভূতের বাড়ি দেখাতে নিয়ে যাই। গভীর রাতে যে এখানে একটা বুড়িকে দেখা যায়- সেই গল্প বলি। এশা ফিক করে হেসে দেয়।
- ভূত-টুত কিচ্ছু না। ফেলুদাকে নিয়ে আসলে ঠিকই আসল ঘটনা বের করে ফেলত।
- ফেলুদা কে?
এশা আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়। আমার জন্য ফেলুদার বই নিয়ে আসে। ইস্কুলের বই বাদে পৃথিবীতে আরো অনেক বই আছে- আমি জানতে পারি। অপু নামে যে আমার মত একটা ছেলে আছে- এ কথা আমি জানতে পারি। শহরে- গিয়ে আমার জন্য- আর অনেক বই পাঠাবে- এশা বলে।
এশা আমাকে অনেক গল্প বলে। আমি অবাক হয়ে শুনি। আমিও আমার জীবনের গল্প এশাকে বলি... আমার মা কত ভালো সেই গল্প বলি... আমার বাবার গল্প বলি... ক্লাস ফাইভে স্কুলে দৌড় প্রতিযোগিতায় যে সেকেন্ড হয়েছিলাম... সেই গল্প বলি... সালমা আপার গল্প বলি... সালমা আপার মারা যাওয়ার গল্প শুনে এশা ঝরঝর করে কেঁদে ফলে। আমি অসহায়ের মত এশার ভেজা মুখটার দিকে তাকিয়ে তাকি।
একদিন আমাদের বাড়িতে এশাকে নিয়ে আসি। মা ওকে নারকেল-মুড়ি খেতে দেয়। লজ্জায় আমার মুখ লাল হয়ে যায়। ওদিকে এশা হাত নেড়ে নেড়ে মা'র সঙ্গে গল্প করতে থাকে।
- আন্টি। আপনাদের বাড়িটা খুব সুন্দর।
- হ... কইছে তোমারে। সুন্দর হইলা গিয়া তুমি... মা।
এমন সময় আব্বা হাজির হয়। ভয়ে আমার বুক কাঁপতে থাকে। কিন্তু আব্বা কিছুই বলে না। এশাকে জিজ্ঞেস করে।
- কেমন আছ... মা? তোমার বাপে কই?
আমি অবাক হয়ে আমার আব্বার দিকে তাকিয়ে থাকি। এশা অভিমানী কণ্ঠে বলে...
- আপনি মনুর এত সুন্দর বাঁশিটা পুকুরে ফেলে দিলেন কেন?
- ভুল হইয়া গ্যাসে...
- এই দেখ। এক ডুব দিয়া কতক্ষণ থাকুম।
এশা পুকুর পাড়ে বসে আছে। আমার সাঁতার কাটা দেখছে। আমি ডুব দেই... এশা চিৎকার করে... ডুবে গেলে নাকি?
আমি পুকুর থেকে মাথা উঠিয়ে হাসতে থাকি। এশা হাসি মুখে বলে-
- আমারও ডুব দিতে ইচ্ছে করছে।
- তুমি তো সাঁতরাইতে পারো না...
- পারি তো...গতবছর শিখেছি...নামব
আমি মজা করে বলি- না ...
...এবং একদিন এশার বিদায়ের বিকেল এসে গেল।।
(চলবে...)
মন্তব্য
- হুমম।
এশা মেয়েটাকে ভিজুয়ালাইজ করলাম। সুন্দরী খুব!
লেখাটা জম্পেশ হবে আশা করি।
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাইলে তো আর লেখন যাইব না...
আপনাকে আশাহত করি ক্যাম্নে???
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- গুরু, চালান। থামাইয়েন না। নীচের দিকে চাইয়া দেহেন লেখা পড়োনের লাইগ্যা কি জ্যাম সৃষ্টি হইছে পাবলিকের। এইটা এখন পাবলিক ডিমান্ড। পিডা একটাও মাটিত পড়তোনা কৈলাম!
_________________________________
<সযতনে বেখেয়াল>
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গুরু আবেগটাড়িত কইরা দিলেন তো!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
একেবারে হিন্দি সিরিয়ালের কায়দায় শেষ করিলে যে, বৎস।
পরের পর্ব আসতে কতক্ষন?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
হিন্দী না... বাংলা সিনেমার মত হইছে...
তবে হিন্দী সিনেমার ব্যাপারটা ঠিক বলতে পারছি না...
এই অধম কখনো হিন্দী সিনেমা দেখে নাই কিনা.
তবে বাংলা সিনেমার পার্টটুকু আপাতত বাদ দিয়ে দিলাম..
পরে আবার আনব কইলাম!!! সো সাবধান!!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
জটিল... চলুক...
=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=-=
LoVe is like heaven but it hurts like HeLL
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
চলবে???
দেখা যাক...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেখাটা টেনে রাখলো । একটানে পড়লাম । দারুণ ।
অপেক্ষায় থাকলাম ।
একটানে পড়ার জন্য একটানে একটা ধন্যবাদ দিয়ে দিলাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ঝাক্কাস। আপনার লেখার স্টাইলটা অসাধারণ। চলুক।
রোদ্দুরেই শুধু জন্মাবে বিদ্রোহ, যুক্তিতে নির্মিত হবে সমকাল।
বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।
শীতের সকাল গাছের পাতা হয়তোবা ঝরে যাবে থাকব হয়ে আমি নীলাকাশ।
আপনার নামটা দেখে গানের লাইনটা মাথায় আবার চেপে বসছে
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
কিউট... চলুক।
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আগে কন...
এই অসাধারণ কথাটা কেমনে লিখলেন...
মাথাটা খারাপ হয়ে গেল
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এই অসাধারণ কথাটা যে ক্যাম্নে লেখা হইছে সেইটা তো ভাই আমিও কইতে পারি না। সুমন চ্যাটার্জি রে পাইলে কখনও জিজ্ঞেস করে দেখুম নে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
দারুণ... গল্পটা তো অবশ্যই... লেখার স্টাইলটাও... সবচেয়ে বেশি দারুণ শেষটা... আকর্ষনটা রয়ে গেলো... পরের পর্বের অপেক্ষায়...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
লিখুম... একদিন না একদিন
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ভালো লাগতেছে। পরের পর্বের অপক্ষায় আছি।
অপেক্ষা করেন... অপেক্ষা মনের জন্য ভালো!!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সিনামা না হিন্দি সিরিয়ালের মতো হইছে।কি চলবে বলে মুলা ঝুলায়া রাখলেন।কয় দিন ওয়েট করতে হবে?
এরচেয়ে ছুটিতে ছিলেন এক্সাম উপলক্ষ্যে এটাই তো ভালো ছিল।
-নিরিবিলি
কী মিয়া/ মহিলা মিয়া...আপ্নে আবার কইত্থেকে হাজির হইলেন,...
নিরিবিলি ছাইড়া এই গ্যাঞ্জামের মইফহ্যে কী করেন???
তবে নিরিবিলিতে বইসা আবার হিন্দী সিরিয়াল দেখা শুরু কইরেন না যেন!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেখেন মন ভইরা লেখেন...তারপর আমরা প্রান ভইরা পড়ুম। তয় একখান কতা আছেল ...গল্পের শেষের দিকে যদি বিরহ দিয়া ইতি টানেন তবে এক্কেবারে ...ন (পুরাডা লেখলে মামলা খাওনয়ের আশন্কা আছে) কইরা ফালামু কইয়া দিলাম..
পরের টার অপেক্ষায় রইলাম....
কল্পনা আক্তার
.................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
কথা শ্যাষ করলেন না ক্যান????
পেটের মধ্যে অর্ধেক কথা রাইখা দেওয়ার অপরাধে আপ্নারে সচল সংবিধান ১৫৫ ধারাতে ফাঁসাইয়া দিমু কিন্তু
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আগে সচলের বিধান বইডা পাডান, পইড়া দেখী কি কি কারনে ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে তারপর দেখা যাবে। আর এই মুহুর্তে আমি ভার্চুয়াল ফাঁসিরে ডরাই না , কারন আমি এখনো সচল হই না্ই
কল্পনা আক্তার
...............................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
খুব ভালো হচ্ছে কিন্তু। আপনার লেখার হাত চমৎকার।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
থ্যাংকু বস
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তোকে (বিপ্লব) টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি...
---------------------------------
এসো খেলি নতুন এক খেলা
দু'দলের হেরে যাবার প্রতিযোগিতা...
আপনাকে ঠাংকু টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এমন সচরাচর হয় না ... মানে এমন সুন্দর সাবলীল লেখা।
যতোক্ষণ সময় ধরে পড়লাম ততোক্ষণ এবং আরো কিছুক্ষণ রইলাম সেই গ্রামেই ...
পড়বো তো বটেই। আপনি দিলেই পড়বো।
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
গল্প লেখার চেয়ে গল্পের ছবি চোখের সামনে ফুটিয়ে তোলা অনেক কষ্টের। এই কাজটার খানিকটা করে থাকতে পারলে আমি খুশি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সাধু, সাধু ।
লিখিলাম চলিত ভাষায়... মন্তব্যে দিলেন সাধু।
তাও একবার নহে... উপর্যুপরি দুইবার!!!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
দারুণ হচ্ছে হে!
তাই নাকি হে!!!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
প্রথম পর্বটা আগে পড়া হয়নি। একদিক থেকে ভালই হল, দুই পর্ব পড়ে একসাথে মন্তব্য করতে পারলাম। বর্ণনাভঙ্গী খুবই সুন্দর। আমার দেখা গ্রামের সাথে কয়েকটা জায়গায় মিলও পাচ্ছি। আশাকরি এই উপন্যাসটা সার্থক হয়ে উঠবে।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
নতুন মন্তব্য করুন