-ভাই কী বাংলা ছবি দ্যাখেন?
এবার বিরক্তির বদলে কিছুটা অবাক হয়েই আমি আমার সহযাত্রীর দিকে তাকালাম এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম ভদ্রলোকের মাথায় কিছুটা সমস্যা আছে। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কোন মানুষ সম্পূর্ণ অপরিচিত একজনকে বাংলা সিনেমা নিয়ে প্রশ্ন করছে- ব্যাপারটা স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যায় না।
আমি গত দুইঘণ্টায় প্রথমবারের মত ভদ্রলোকের দিকে মনোযোগ দিলাম। খুব সাধারণ বাঙ্গালী ধরণের মুখ- রাস্তাঘাটে যে মুখ হাজার হাজার দেখা যায়। ভদ্রলোক আমার দিকে তাকিয়ে হাসার চেষ্টা করলেন। । আমি কণ্ঠে কিছুটা আগ্রহ আনার চেষ্টা করলাম-
- আপনার নামটা?
- লতিফ রহমান।
একজন মানুষকে নাম জিজ্ঞেস করলে পালটা নাম জানতে চাওয়াটা ভদ্রতা। লতিফ সাহেব ভদ্রতার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেন না। বরং জিজ্ঞেস করলেন...
- ঐ ছবিটা দেখেছিলেন? প্রতিশোধ?
লতিফ সাহেব আমার দিকে অস্বাভাবিক রকমের কৌতুহল নিয়ে তাকালেন। যেন আমার ''প্রতিশোধ'' ছবিটা দেখা- না দেখা অসম্ভব জরুরী একটা ঘটনা।
তূর্ণা নিশীতা ছুটে চলছে নিজের মত করে। রাতের ট্রেনে জানালার পাশে বসে থাকাটা সেই ছোটবেলা থেকেই আমার কাছে আকর্ষণীয়। জানালা দিয়ে অন্ধকারে কিছুই দেখা যায় না। তবুও তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। যদিও আজ আমার জানালার পাশে বসা হলো না- লতিফ সাহেবের জন্য। তিনি খানিকটা জোর করেই আমাকে এই পাশে বসিয়ে দিয়েছেন। তার ওপর একের পর এক প্রশ্ন করে চলেছেন। এখন চলছে বাংলা সিনেমা পর্ব। অথচ ভদ্রলোক আমার নাম জিজ্ঞেস করেন নি। যে প্রশ্নটা প্রথম পর্বেই থাকার কথা।
- কী? প্রতিশোধ ছবিটা দেখেন নি?
এবার আমি পরিস্কার বিরক্তি প্রকাশ না করে পারলাম না...
- না ভাই। দেখিনি। বাংলা ছবি আমি দেখিনা।
- হা হা হা। তবে ''প্রতিশোধ'' আপনার ভালো লাগবে।
- তাই?
সামনের সীটে বসা মহিলাদের মধ্যে একজন লতিফ সাহেবের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন...
- তোমার কোন সমস্যা হচ্ছে? শীতের কাপড় লাগবে?
- না।
ভদ্রলোকের স্ত্রী। মহিলার কোলে ভদ্রলোকের বাচ্চা বোধহয়। মহিলা আমার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলেন- যার অর্থ সহজে বলে দেওয়া যায়- ওর কথায় কিছু মনে করবেন না।
- প্রতিশোধের কাহিনী শুনলে কিন্তু আপনারও ছবিটা দেখতে ইচ্ছে করবে।
কী যন্ত্রণা! আমাকে কী এখন রাতের ট্রেনে বসে বাংলা সিনেমার কাহিনী শুনতে হবে নাকি? আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। ভদ্রলোকের কোন কথায় আমি সায় দেব না। আশা করা যায়- এতে তার উৎসাহে ভাটা পড়বে। কী অদ্ভূত মানুষ! পাগল টাগল নাকি?
লতিফ সাহেব আমার কানের কাছে এসে কণ্ঠ নিচু করে ফেললেন।
- তাহলে শোনেন কাহিনী।
আমার কান্না পেতে লাগল। এ কী সমস্যার মধ্যে পড়লাম।
- ট্রেনে বসে এই সিনেমার কথা মনে পড়ল। এক লোকের কোন সন্তান ছিল না। প্রথম প্রথম ভদ্রলোক ভাবতেন তার স্ত্রীর কোন সমস্যা আছে। সন্তান দেওয়ার ক্ষমতা নেই। কিন্তু একদিন ডাক্তার পরীক্ষা করে বললেন সমস্যা লোকটার মধ্যেই। ঘটনা ঘটল কয়েকদিন পরে। লোকটার স্ত্রী গর্ভবতী হল এবং তাদের একটা মেয়ে সন্তান হল। ভদ্রলোক বুঝতে পারলেন কোন সমস্যা হয়েছে। এবং তার সন্তান হওয়া উপলক্ষ্যে পারিবারিক বন্ধু মাসুমের অতিরিক্ত আহলাদ দেখলে ভদ্রলোক সমস্যাটা বুঝে গেলেন। এটা তার মেয়ে নয়। মাসুমের মেয়ে। আশ্চর্য, এতে তিনি স্ত্রীর উপর রাগ করলেন না। খুব কষ্ট পেলেন শুধু। এবং একসময় স্ত্রীর ওপর অভিমানটা ভয়ানক রূপ নিল। এমন সময় একদিন তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে রাতে ট্রেন উঠলেন। ট্রেনে জানালার পাশে বসে ভদ্রলোক কাঁদছিলেন। অবাক করা বিষয় কী জানেন ট্রেনে তাদের সীট প্যাটার্ন ছিল ঠিক আমাদের মত। । আচ্ছা যাই হোক... সিনেমার কাহিনীটা শেষ করি। সে রাতে ট্রেনে জানালার পাশে বসে তিনি কঠিন এক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। তিনি প্রতিশোধ নিবেন। কার ওপর প্রতিশোধ? বোধহয় স্ত্রীর উপর না। নইলে সিনেমার এক মুহুর্তে তিনি তার মেয়েকে নিয়ে জানালা দিয়ে বাইরে ঝাঁপিয়ে পড়বেন কেন? চলন্ত ট্রেন থেকে।
এতটুকু বলে ভদ্রলোক কণ্ঠ আরো নিচু করে ফেললেন।
- জানেন আমার স্ত্রীর সাথে সিনেমার ঐ ভদ্রলোকের স্ত্রীর দারুণ মিল রয়েছে...
একথা শোনার সাথে সাথেই আমার বুকটা ধ্বক করে উঠল। লতিফ সাহেব কী করার কথা চিন্তা করছেন? লতিফ সাহেব সামনের সীটে বসে থাকা স্ত্রীর কাছ থেকে মেয়েকে কোলে নিলেন। আমার দিকে তাকিয়ে হাসলেন। প্রায় শোনা যায়না এমন একটা কণ্ঠে বললেন...
- এটা আমার মেয়ে না। তবুও ভান করে থাকি... বুঝলেন না?
আমার বুকের ভেতর ভূমিকম্প শুরু হয়েছে। লতিফ সাহেবের স্ত্রীকে কী সব কিছু খুলে বলব? তিনি বিশ্বাস করবেন? লতিফ সাহেব আমার মনে অবস্থা বুঝতে পারলেন।
- ভাই চিন্তা করবেন না। আমি তো আর ঐ সিনেমার নায়ক না... হা হা হা।
ঠিক যেন স্বস্তি পেলাম না। ট্রেনের জানালার সাইজ এত বিশাল হয় আমি আগে কখনো লক্ষ্য করিনি। ঘড়িতে তিনটা বাজে। ট্রেন পৌঁছবে ছয়টায়। আমি লতিফ সাহেবকে লক্ষ্য করাই মনস্থির করলাম। যদিও লোকটাকে দেখে বিশ্বাস হয়না এমন একটা কাজ করবে। কোন কারণে সিনেমার কাহিনীটা সে আমাকে বলল। হয়ত তার শুধুই মনে পড়ে গেছে। আর কিছু না। আমিই বাড়াবাড়ি করছি।
ঘুম ভাঙতেই চমকে উঠলাম। স্পীকারে ঘোষণা করছে- কমলাপুর স্টেশন। কখন ঘুমিয়ে পড়লাম?দাঁড়িয়ে ব্যাগ গুছিয়ে নিব- আমার পাশের সীটে তাকিয়েই চমকে উঠলাম-
লতিফ সাহেব নেই। তার স্ত্রী মাথার ওপর থেকে ব্যাগ নামানোর চেষ্টা করছেন।
মেয়ে নেই। আমি ঘামতে শুরু করলাম। মহিলাকে জিজ্ঞেস করলাম...
- উনি কোথায়?
মহিলা বেশ স্বাভাবিক ভাবেই বললেন...
- কী জানি! আমি তো ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। লতিফ মুনিকে নিয়ে বিমানবন্দর স্টেশানে নেমে গেছে। আমার এদিকে একটা কাজ আছে তো।
আমি উত্তেজনা চেপে রাখতে পারছি না। জিজ্ঞেস করলাম...
- আপনি শিওর!
- আমি তো ঘুমিয়ে ছিলাম। কেন বলুন তো?
আমার বুক কাঁপছে। লতিফ সাহেব ''প্রতিশোধ'' সিনেমার লোকটার মত একটা বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। লতিফ সাহেবের স্ত্রী বেশ স্বাভাবিক ভাবেই বললেন।
- কোন সমস্যা?
- আমার ফোন নাম্বারটা রাখুন। সমস্যা হলে অবশ্যই কল দিবেন।
- আপনার নামটা?
- রফিক হোসেন।
এরপরে কয়েকদিন ঘটনাটা ঘন ঘন আমার চোখের সামনে আসতে লাগল। এবং একদিন আমি উত্তেজনাপূর্ণ একটা গল্প পেয়ে গেলাম। আড্ডায় সবাইকে বলতে লাগলাম। কয়েকটা দোকানে খুঁজেও প্রতিশোধ সিনেমাটা পেলাম না। লতিফ সাহেবের স্ত্রীর ফোন নাম্বার নেওয়া হয়নি। ভদ্রমহিলাও আমাকে ফোন করলেন না। কে জানে! এমন কষ্টের মুহুর্তে আমাকে ফোন করার কথা তার মনে হবে কেন?
কয়েকমাস পরে সংবাদপত্রের অফিসে বসে কাজ করছি। মোবাইলে একটা কল এলো।
- হ্যালো।
আমি চমকে উঠলাম। লতিফ সাহেব কণ্ঠ চিনতে আমার ভুল হওয়ার কথা না। ভদ্রলোক সে রাতের মতই আমাকে কথা বলার সুযোগ দিলেন না...
- ভাই। কালকে আমার ফার্স্ট ছবি রিলিজ হচ্ছে। প্রতিশোধ। বিশেষ কৃতজ্ঞতায় আমার স্ত্রীর নামের সাথে আপনার নামটাও আছে। আপনি না থাকলে এই কাহিনী জমতই না। ভাগ্য ভালো। ট্রেনে সময়মত ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। ভালো কথা প্রিমিয়ার শোতে আসছেন তো?
আমি আস্তে করে বললাম...
- হুঁ।
মন্তব্য
গল্পের শুরুটা যতটা জমজমাট লেগেছিল, শেষটা ততটা জমজমাট লাগল না। কিছু খটকাও থাকল।
যেমন, রফিক সাহেব কিভাবে এ সিনেমা তৈরিতে ক্রুশিয়াল হলেন? অর্থাৎ, উনি কিভাবে কাহিনী জমজমাট করতে সাহায্য করলেন?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
কারণ... এই সি্নেমার কাহিনী লতিফ সাহেব ঠিক করেছিলেন তিনি যে কাহিনী শুনিয়েছিলেন ততটুকু। কিন্তু পরে রফিক সাহেবের রিএকশান কাহিনীর মোড় ঘুরিয়ে দিল। পুরো গল্পটাই হয়ে গেল সিনেমার কাহি্নী।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হুমমম...এবার বুঝলাম
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
গুড
আছেন কেমন?
--------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমি তো আছি ভালই, আপনি থাকেন কৈ?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আইইউটির সাউথ হলে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
গল্প, বর্ণনা সবই ভাল লাগল।
ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হুম, বুঝেছি ! আউলা !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
ঠিক।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, কিন্তু আমিও কিছু জায়গা বুঝিনি। সে দিন রাতে আসলে কি হয়েছিলো?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
লতিফ সাহেব ছবি পরিচালনা করবেন। কাহিনী তার মোটামুটি ঠিক করাই ছিল। কিন্তু নতুন একটা কাজে হাত দেওয়ার আগে তার ছিল উত্তেজনা। সুতরাং ট্রেনে বসে পাশের সীটের ভদ্রলোককে তিনি তার ছবির কাহিনী শোনালেন। ভদ্রলোকের অনুভূতি তার মাথায় আইডিয়া নিয়ে আসল। যে আইডিয়ার ফল গল্পের শেষ অংশটা। এরই মধ্য রফিক সাহেব ঘুমিয়ে পড়লেন। এই সুযোগে তিনি তার স্ত্রীকে সবকিছু বললেন। স্ত্রীও রাজি।
সুতরাং রফিক সাহেবকে একটা ডজ খাওয়ানো হল।
কাহিনী বদলে গেল। সিনেমা বদলে গেল।
বুঝাতে পেরেছি?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হু। বুঝছি এইবার।
দুর্বল পাঠক, গোস্তাখি মাফ।
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
বুঝছি। আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম।
আপনি যদি না বুঝেন। তাইলে ক্যাম্নে কী ? তাইলে ত গল্পটাই বৃথা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পড়িয়া ফেলিলাম। মন্তব্য পড়ে সব কিলিয়ার হইছে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আলহামদুলিল্লাহ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
গল্পটা দারুন ছিল ভাই, শুধু একটু লবন কম হয়ে গেল । শেষের দিকে । তাড়াহুড়ায় শেষ করলেন নাকি ?
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
লবণ কম হইছে? চিন্তার বিষয়। তাড়াহুড়া একটু তো করছি-ই। হি হি হি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার এক কলিগ আছেন...জনি ভাই। ভালো কিছু দেখলেই উচ্চাসিত হয়ে বলেন...একদম সেইরকম!
আপনার জন্যই তাই বরাদ্দ...
ইদানিং খুব কম লিখছেন...ব্যাস্ত নাকি খুব?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
বিপ্রতীপ ব্লগ | ফেসবুক | আমাদের প্রযুক্তি
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
না... আমার আবার ব্যস্ততা! এমনিতেই কম লিখি। আপনাদের যন্ত্রণা কম দিই আর কি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অসাধারণ হয়েছে!! দারুণ!! ফিনিশিং টা বেশী ভাল লাগলো!!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
আলহামদুলিল্লাহ। ভরসা পাইলাম।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পরিবর্তনশীল - এটা বুঝতে পেরেছিলাম যে লতিফ সাহেব একটা touch of reality র জন্য গল্পটা বলেছে, কিন্তু তারপরও একটা খটকা রয়েই যায় - 'প্রতিশোধ' সিনেমাতে ঘটনাটা শেষ হলো কিভাবে? প্রতিশোধ নেয়া হলো কিভাবে? যদি স্ত্রীকে কোন মানসিক শাস্তি দেয়া হয়ে থাকে, মেয়েকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার বদলে, সেটা কিন্তু এখানে ঠিক স্পষ্ট না।
শুনুন, আমার অনর্থক সমালোচনা যদি অনভিপ্রেত হয় - প্রতিমন্তব্যে খালি 'হুমম' লিখলেই আমি বুঝে যাবো ......
জটিল এই কাহিনীটার কাহিনী আসলে খুব সিম্পল...
লতিফ সাহেব একজন ফিল্ম মেকার। ট্রেনে রফিক সাহেবের সাথে কথা বলার সময় উনি যে কাহিনী তাকে বলেছেন সেটাই ছিল তার পরবর্তী ছবিটার মূল কাহিনী। কিন্তু এই গল্প বলার পর রফিক সাহেবের রিএকশন দেখে তার মাথায় নতুন আইডিয়া আসে। তখন গল্পটার কাহিনী বদলে হয়ে যায় যে লতিফ সাহেব ট্টেনে বসে সেই সিনেমার কাহিনীটা বলছে আর তা শুনে রফিক সাহেব এরকম রিএক্ট করছে। সেই অর্থে এই গল্পটাই হচ্ছে লতিফ সাহেবের সেই সিনেমার প্লট।
জিনিসটা কি কিলিয়ার করতে পারলাম নাকি আরো গিরিংগি বাঁধাইলাম?
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
ঠিক। স্নিগ্ধা আপু, আমিও এটাই বলতে চাচ্ছি। ধরে নিন, এই পুরা গল্পটাই সিনেমার কাহিনী।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হ্যা, আপনি যা বলেছেন সেটা তো বুঝেইছিলাম। কিন্তু আমি বলছি 'প্রতিশোধ' সিনেমাটাই এই? যে, ট্রেনে তিন চরিত্রের আদান প্রদান, রফিক সাহেবর টেনশন কি ঘটে যায় ভেবে - এটুকুই?
যাই হোক, গল্পের শেষ নিয়ে যে দ্বিমতই থাকুক না - কাহিনীর বুনোট কিন্তু জম্পেস ! তবে সেটা তো পরিবর্তনশীলের কাছ থেকে আসবে বলে একরকম ধরেই নেই
এমন সুন্দর একটা মন্তব্যের শেষে এত বড় একটা অলীক কথা না বললে কী হত না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
দেখা যাচ্ছে অনেক পাঠকই শুধু গল্পটা পড়ে ঠাউর করতে পারছে না। সেই আলোকে গল্পটাকে আরেকবার ঝাকানাকা দিলে মনে হয় ভালো হইতো।
আমার এই মন্তব্যও অনভিপ্রেত হলে বাদ দিয়েন।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আসলে নজরুল ভাই। ইচ্ছা কইরাই মন্তব্যের বিষয়গুলা গল্পে ব্যখ্যা করি নাই। এখন মনে হচ্ছে ভুলই হয়ে গেছে। ঝাকানাকা মনে হয় দিতেই হবে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
না, না, ঠিকই আছে। তীরন্দাজের সাথে একমত। নাহয় ভাবলামই আমরা একটু, সেটাকে আপনি আপনার গল্পের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন কেন?? এটা তো বরং উল্টোটাই ?
সব কিছু বলে দিলে তো উপন্যাস হয়ে যায়, গল্প নয়। পাঠকরা ভাববেন, নানা ভাবে উল্টে পাল্টে দেখবেন, সেটাই ছোটগল্পের স্বার্থকতা! আমার কাছে এটা একটা স্বার্থক ও সুন্দর ছোটগল্প। কাহিনীতে এর চেয়ে বেশী পরিস্কার করে কিছু বলার প্রয়োজন একেবারেই নেই।
**********************************
কৌনিক দুরত্ব মাপে পৌরাণিক ঘোড়া!
**********************************
যাহা বলিব, সত্য বলিব
অনেক ধন্যবাদ। তীরুদা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- ইয়া হাবিবি
আমি তো মনে করছিলাম, ব্যাটা বিমানবন্দর নাইমা গেইটলক বিমান ধইরা অন্য কোনো দিকে গেছেগা!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
থ্যাংকু গুরু। আপ্নের এই কমেন্ট পইড়া আরেকটা প্লট পাইয়া গেছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সংযোজিত অংশঃ (ইহা মূল গল্পের অংশ নহে। আবার হ্যাঁ।)
প্রিমিয়ার শোতে লতিফ সাহেবের সিনেমা দেখতে দেখতে নিজেকে আমার ভেড়ার মত মনে হল। সিনেমায় দেখা যাচ্ছে ট্রেনে আমার মত এক লোককে পাশের মানুষটা ''প্রতিশোধ'' নামের এক সিনেমার কাহিনী বলছে। টিপিক্যাল বাংলা ছবির মত ফ্ল্যাশব্যাকে সেই ছবির দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। এক পর্যায়ে গল্পকার সামনের সীটে বসে থাকা স্ত্রীর কাছ থেকে বাচ্চাটাকে কোলে তুলে নিল। শ্রোতা ভদ্রলোকের অবস্থা খারাপ। তিনি দরদর করে ঘামছেন।
এসব কিছু দেখতে দেখতে নিজেকে আমার একটা খাঁটি গর্দভ মনে হল। কারণ শ্রোতাটা যে আসলে আমি।
শো শেষ হলে লতিফ সাহেবের স্ত্রী আমার কাছে আসলেন। মহিলা দেখতে ভালৈ রূপসী। আমি হাসলাম একটু।
- সেদিনের ঘটনার জন্য দুঃখিত।
আমি বললাম...
- না। থাক।
- আসলে হয়েছে কী জানেন? সিনেমায় ভদ্রলোক যে কাহিনী বলছিলেন। ওটাই ছিল মূল গল্প। শুধু শেষে- ট্রেন থেকে লাফ দেওয়া... পুলিশ... কিছু মারামারি থাকার কথা ছিল। কিন্তু আপনাকে দেখেই লতিফ তার কাহিনী পাল্টাল।
কিছুটা বিরক্ত হলেও লতিফ সাহেবের প্রশংসা না করে আমি পারলাম না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- মিসেস লাটিফের লগে যোগাযোগ রাইখেন গুরু। আফটার অল রূপসী মানুষ! আর আপনিও হেন্ডছাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি তো তার ছোটবোনের পিছনে লাগছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- অসুবিধা নাই।
আমরা আছি কোন দিনের লাইগ্যা!
বন্ড, জেমস বন্ড - জিরো জিরো নাইন
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
হেজন্যই আর চিন্তা নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- কিন্তু সমস্যা হইলো, বন্ড হালায় তো বিবাহিত মেয়েদের প্রতি অনুরক্ত। এই সেইম ফিলিংসে আইসা তো আমি আবার রিক্ত!
ফিলিংস নাই, কইলজাডা খালি খালি লাগে!
অন্য কাউরে দাওয়াত দেন। ছোট বইনডা না হয় আমার লাইগাই থাকুক? বলেন আলহামদুলিল্লাহ।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এটা মানবনা। গুরু।
দুনিয়াতে কী ইনসাফ বইলা কিছু নাই?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- ইনসাফ ই তো কর্তাছি।
আগেরজন আগে পাইবো, পরের জন আগে পাইয়া লাইলে সেইটা কিমুন ইনসাফ গো গুরু?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আগেরজন পাইব আগেরটা। পরেরজন পরেরটা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- মিয়া, দুই গ্রুপের পরবর্তী রাউণ্ডে খেলার সময় গ্রুপ চ্যাম্পিয়োং একলগে খেলতে দেখছেন কোনোদিন? খেলেনা কারণ ঐটা কোনো "ইনসাফ" না।
বুঝছি, আপনেরে দাড়িপাল্লায় বসাইতে হইবো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পরিবর্তনশীলের পরের সংযোজন দেইখা আমার কিন্তু দারুন একটা আইডিয়া আসছে... ল্যাটিন ধারার ম্যাজিক রিয়ালিজম নিয়া এইটাতে দারুণ খেলা যাইতে পারে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
নজরুল ভাই, বিসমিল্লাহ বইলা শুরু করেন। আছি আপনার লগে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
একবার এই পেইন্টার কাজী রকিব আমারে বলছিলো... নজরুল... তোমার কি ভয়ঙ্কর অবস্থা হইছে একবার দেখছো? আমি বললাম কেন? কি করলাম আবার? বললো ধরো একটা সুন্দরী মেয়ে দেখলে আমি ভাবি কিভাবে তার সাথে প্রেম করা যায়... আর তুমি ভাবো আহ্... এইটারে তো নাটকে নায়িকা বানানো যায়... একটা সুন্দর বাড়ি দেখলে আমি ভাবি এই বাড়িতে থাকতে কতো না আরাম... আর তুমি ভাবো এই বাড়িটা কি শুটিংয়ের লাইগ্গা অনুমতি দিবো?
তো আপনের গল্পটা পইড়াও আমার মাথায় আসলো যে একটা দারুন আইডিয়া হইতে পারে... ম্যাজিক রিয়ালিজমের খেইল দিলে জিনিসটা ভালো হইতে পারে... দেখা যাউক... তবে এখন ভাবতেছিনা কিছু... অন্যথা ব্যস্ত আছি।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আচ্ছা আপনার কয়েকটা নাটকের নাম বলেন্ তো। কই পাওয়া যাবে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার তো বেশিরভাগই মেগা সিরিয়াল... বন্ধন, সাড়ে তিন তলা, কাছের মানুষ এইগুলা... একঘন্টার অনেকগুলা... তার কিছু আমার লেখা, কিছু পরিচালনা করা, কিছু প্রযোজনা করা। প্রযোজনা করাগুলার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত অফবিট...
আর লেখাগুলার খোঁজও রাখি না... কারন সেইগুলা স্রেফ ক্ষেপ। আর পরিচালনার গুলা আছে অনেক যত্নে... দেখা হইলে সিডি দিমুনে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপনি তো মিয়া সেইরকম নাট্যকার। শাবাস। চালায়া যান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
জ্বী স্যার... আশীর্বাদ কইরেন... ______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
পরিবর্তনশীল - দাদা, এভাবেই কি 'উচিৎ জবাব' দিতে হয়?? নাহয় একটু কমই বুঝেছিলাম ......
তবে -
কিছুটা হাসি পেলেও - পরিবর্তনশীলের প্রশংসা না করে আমি পারলাম না
একেবারে বোল্ড হয়ে গেলাম। ক্লীন বোল্ড।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লবন, চিনি সবই ঠিক আছে। ভালো একটা গল্প হয়েছে। এগিয়ে যান .............
___________________________
বুড়োরা সবাই সমস্বরে বললো, "নবজন্ম", আমি চাইলাম "একটা রিওয়াইন্ড বাটন"
শুকরিয়া জনাব।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বাহ! অন্যদের কথা জানিনা কিন্তু আমি এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম, রফিক সাহেবের সাথে আমিও ভয়ে ছিলাম কি হল কি হল
খুবি ভাল লাগল, এরকম মিনি সোজা রহস্য টাইপের গল্প আরো লিখেন :)। ৫ তারা।
-------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
অনেক ধইন্যবাদ। তয় এক এক নিঃশ্বাসে পড়লেন ক্যাম্নে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ওরে দারুন হয়েছে রে...তোর না একটা উপন্যাস লেখার কথা। ওইটা কদ্দুর...শুরু কর তাড়াতাড়ি...
---------------------------------
কী করুম ক? ধৈর্য্যে কুলায় না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হালায় আমি সবার আগে কমেন্ট কইরা বেকুব হইয়া গেলাম
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
কইছে আপনারে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার কাছে দারুন লাগল ! পাঁচতারা !
-----------------------------------------
রাজামশাই বলে উঠলেন, 'পক্ষীরাজ যদি হবে, তা হলে ন্যাজ নেই কেন?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
থ্যাংকু, দাদা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
গতরাতে গল্পটা পড়েছিলাম আর এখন পড়লাম সংযোজনটুকু।
আমার প্রশ্ন একটাই।
বাচ্চাটার বাবা আসলে কে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
লতিফ সাহেবের বাচ্চার বাবা তিনি নিজেই।
তবে তিনি যে কাহিনী বলছেন সেখানকার বাচ্চার বাপ মাসুম সাহেব।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তাহলে মাসুম সাহেব যার সাথে ইটিশপিটিশ করলেন তিনি কে?
কি মাঝি? ডরাইলা?
লতিফ সাহেব যার গল্প বলছিলেন তার স্ত্রী!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লতিফ সাহেব কার গল্প বলছিলেন???
কি মাঝি? ডরাইলা?
হা হা হা। তার নাম গল্পে উল্লেখ নেই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তাহলে বাচ্চার মা কে? আপনার কি মনে হচ্ছে না যে বিষয়টা নিস্পত্তি হওয়া উচিৎ??
কি মাঝি? ডরাইলা?
বস। মন-টন বিক্ষিপ্ত নাকি?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আব্বে না। মন বিক্ষিপ্ত হবে ক্যান???
আমি আসলে চিন্তায় আছি বাচ্চাটারে নিয়া।
কি মাঝি? ডরাইলা?
ধূর। দুই বছরের বাচ্চারে নিয়া চিন্তার কী আছে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
দুইজনেই ভালো হইয়া যান।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
রেনেট ভাইয়ের মন্তব্যে ভোট দিলাম
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
সন্তানের জন্য পিতার চিন্তা হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।
---------------------------------
অ্যাঁ। কে পিতা? কার পিতা?
কি মাঝি? ডরাইলা?
- পিতা সংক্রান্ত মেম্বার সাবের কনসার্ণে আমি কিঞ্চিৎ চিন্তিত।
ভাবীরে খবর দিমু নাকি মন্তব্যগুলা পইড়া যাইতে? মেম্বার সাবের ভাব গতিক তো সুবিধার মনে হৈতাছে না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
প্রায় সব মন্তব্য পড়লাম। গল্পটা পড়া যেন একস্রোতের টানে অনেক দূর যাওয়া। দারুণ লেগেছে। এ বিষয়ে আমার মত মুমু'র মতের কাছাকাছি,
পুরো গল্প জুড়ে একটা বিরক্তি থেকে চাপা ভয়ের রাজত্ব। সেটা শেষে রিলিজ হলো বটে সিনেমার ব্যাপার এনে, কিন্তু ভয়টা কাটলো কী? লোকটা যে বাচ্চাটাকে নিয়ে নেমে গেল, তারপর বাচ্চাটার কী হলো? বাচ্চাটার কথা কিন্তু আমরা আর জানতে পারি না। হয়তো গল্পের ভেতরেও ওদের জীবনে এটা ঘটে। গোটাটাই একটা সত্যি ঘটনা ওদের জীবনটাও কি সিনেমার মতো? এবং এবং রফিক হলো সেই তৃতীয় পুরুষ সন্তানটার সঙ্গে যার সম্পর্কের সম্ভাবনা রফিকের ভীত হওয়ার দিকগুলোর একটা ছিল। নইলে প্রতিশোধ নাম দেয়া হবে কেন গল্পের?এলান পো'র গল্পের মতো জমজমাট রহস্য।
আমার ধাক্কা লেগেছে সরল ভঙ্গিটি দেখে এবং ঈর্ষা লেগেছে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই ব্যপারে চিন্তা করে দেখলাম। সিনেমার নাম ''প্রতিশোধ'' না হয়ে '' অমুক সাহেবের প্রতিশোধ''' হলে মোটামুটি সব পরিস্কার হয়ে যায়। তাই না?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমি বোধহয় বোঝাতে পারলাম না। গল্পটার নাম প্রতিশোধ ছাড়া অন্য কিছু হলে একটা মাত্রা হারিয়ে যেত। আগের মন্তব্যটা লিখেছিলাম রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে, তাই দেখি কিছু ভুল রয়ে গেল। লতিফ সাহেবের মনে যেহেতু একটা 'কু' ঢুকে পড়েছে, সেহেতু তিনি আহত পৌরুষের জায়গা থেকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাকি পুরুষদের তার কাহিনীর ভিলেন বানাবেনই। গল্পটার ভেতরের গল্পটাই আসল, যেটা আবার গল্পের বাইরের চরিত্রদেরও আক্রান্ত করে।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
পরিবর্তনশীলের গল্পের ভক্ত আমি। এটাও যথারীতি ভালো লাগলো। যদিও শেষটা দু'বার পড়ে চিন্তা-ভাবনা করে রহস্যভেদ করতে হয়েছে
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
হে হে। ধইন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ। আপনার লেখা গল্প আর সকলের মন্তব্য পড়ে আমার রবি ঠাকুরের এই কথাটাই মনে হল। একটি গল্প পড়া শেষে পাঠকের মনে যে প্রশ্নের উদয় হয় এবং পাঠক যখন সেগুলো নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করে সেখানেই লেখকের সার্থকতা- আমার কাছে। সেই হিসেবে আপনি পুরোপুরি সফল। আপনার গল্প আমার দারুণ প্রিয়, বিশেষ করে গল্পের বিষয়বস্তুগুলো- খুবই বৈচিত্রময়। ভীষণ ভালো লাগলো।
-সু
অনেক অনেক ধন্যবাদ... সু ভাইয়া।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
একটা জোকের সবচেয়ে মর্মান্তিক ব্যাপার ঘটে যখন সেটা বুঝিয়ে দিতে হয়। ঠিক তেমনি, এই গল্পেরও কিছুটা হানি তো ঘটেছেই সেই দুষ্টচক্রে পড়ে!
তবে খুবই চমৎকার একটা গল্প। খুব ভালো লেগেছে। তবে শেষের দিকে একটু কেমন কেমন যেন ...
নতুন মন্তব্য করুন