ছোটবেলায় প্রায় বাংলা সিনেমা কিংবা নাটকে একটা নিয়মিত দৃশ্য দেখতাম। কোন কারণে নায়ক নায়িকার ভুল বোঝাবুঝি হলো। নায়িকার বাবা বড়লোক- নায়িকাকে ঘরে বন্দী করা হলো। বাইরের পৃথিবীর সাথে সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এবং এক পর্যায়ে দেখা গেল নায়িকা ছোট্ট একটা শিশি থেকে কিছু একটা খাচ্ছে। তারপরই দৃশ্য কাট।
স্ক্রীনে ভেসে উঠল শিশি এবং নায়িকার নিথর হাত। শিশিতে বড় করে লেখা ''বিষ''। বন্দিনী নায়িকা কোত্থেকে বিষ পেল সেটাও ছোটখাট এক রহস্য!
তখন মনে হতো - ওসব শুধু সিনেমাতেই হয়। বিষ খাওয়া- পাঁচতলা থেকে লাফ দেওয়া কিংবা ব্লেড অথবা ধারালো কোন বস্তু দিয়ে হাত কাটা। একসময় বুঝতে পারলাম আমার ধারণা আসলে ভুল। অন্তত আমাদের দেশে এটা খুব নিয়মিত একটা ঘটনা।
ইউনিভার্সিটির সেকেণ্ড ইয়ারে টিউশানি শুরু করলাম। টঙ্গীতে এক ছেলেকে পড়াই। একদিন ম্যাথ পড়াচ্ছি। হঠাৎ ছেলেটা তার বাম হাত আমার সামনে মেলে ধরার চেষ্টা করল। আমি অবাক হয়ে দেখলাম- তার হাতে লাল কিছু দাগ- এবং আরো অবাক হয়ে দেখলাম ঐগুলা শুধুই দাগ নয়- রীতিমত একটা মেয়ের নাম! আমার ছাত্র আমার দিকে কৌতুহল নিয়ে তাকালো। তাকালেই বুঝা যায়- সে সহানুভূতিময় কোন বাক্য আমার কাছ থেকে আশা করছে।
গত বছর এক বন্ধুর বাবাকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজে গিয়েছিলাম। ইমার্জেন্সী ওয়ার্ডে ঢুকে আমার পরিচিত এক ছেলেকে দেখলাম। তার কাছ থেকে শুনলাম- ঐ সন্ধ্যায় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনটা ছেলে এবং একটা মেয়ে ইমার্জেন্সী ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে। দুইজন তিরিশ চল্লিশটার মত ঘুমের ওষুধ আর বাকীরা বিষ খেয়ে আত্নহত্যার চেষ্টা করেছে। তাদের মধ্যে একজন আমার পরিচিতের ফ্রেণ্ড! পরে মেডিকেল কলেজের পোলাপাইনের কাছ থেকে শুনেছি- এটা নাকি নিয়মিত একটা ব্যপার। এবং আরো মজার তথ্য হচ্ছে- ছুটির দিনে এই ধরণের পেশেন্ট বেশি থাকে!
মানুষ অনেক প্রাচীনকাল থেকেই বোধহয় কাটা দিয়ে কাটা তোলা থিওরীতে বিশ্বাস করে। কোন কারণে মন কষ্ট পেলে শরীরকেও কিছু কষ্ট দিয়ে নিতে চায়।
যেমন- আমি কোন কারণে মন অগোছালো থাকলে প্রচুর পরিমাণে সিগারেট খাই।
অনেকে এর চেয়ে বেশি কিছু খায়।
কেউ কেউ ব্লেড কিংবা ছুরি দিয়ে হাত কাটে। ( অন্য কিছু কাটার কথা তেমন একটা শোনা যায় না)
এতটুকু তাও মানা যায়। কিন্তু যখন শুনি কেউ এক মুহুর্তের মধ্যে নিজের জীবনটাই শেষ করে ফেলল- তখন একেবারে মেনে নিতে ইচ্ছে করে না।
বাংলাদেশে বোকা মানুষদের আত্নহত্যার কিছু মৌসুম আছে। সেসব মৌসুমে পত্রিকার পাতা খুললেই একাধিক ঘটনা চোখে পড়ে।
বিশ্বকাপ ফুটবলঃ
প্রত্যেক বিশ্বকাপ ফুটবলেই আর্জেন্টিনা ব্রাজিল থাকে। কখনো জার্মানীতে কখনো ফ্রান্সে। যেখানেই বিশ্বকাপ ফুটবল অনুষ্ঠিত হোক না কেন- এই বাংলাদেশে আর্জেন্টিনা কিংবা ব্রাজিলের কোন সাপোর্টার ছাদ থেকে লাফ দেবেই- ইঁদুর মারার বিষ খাবেই! গতবার আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে হারার পর পত্রিকায় দেখেছিলাম।
'' গলায় দড়ি দিয়ে আর্জেন্টাইন সমর্থকের আত্নহত্যা!''
এসএসসি/ এইচএসসি'র রেজাল্টঃ
এসএসসি কিংবা এইচএসসির রেজাল্টের পর প্রচুর ছেলেমেয়ে আত্নহত্যা করে। তবে এজন্য আমার তাদের দোষ দিতে ইচ্ছে করে না। বাংলাদেশে প্রায় পরিবারেই এমন বিশ্বাস প্রচলিত আছে- এসএসসি কিংবা এইচএসসিতে খারাপ করলে একটা ছেলে কিংবা একটা মেয়ের জীবন শেষ। যে বাবা মা সন্তানের আত্নহত্যার পর পাগলের মত কাঁদেন তারাই হয়ত বলেছিলেন...
- ভাল মত পাশ না করলে তোরে বিয়া দিয়ে দিব।
- বাড়ি থেকে বের করে দেব...
তবুও মাঝে মধ্যে শুধু থমকে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই করা থাকে না। যখন দেখি- স্বামীর কাছে মন না পেয়ে গ্রামের কোন বধূ আত্নহত্যা করেছে কিংবা সন্তানের মুখে ভাত তুলে দিতে না পেরে পিতা ট্রাকের নীচে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তখন কী করতে পারি?
আমার ভালো মন্দ জ্ঞান হয়েছে আজ আট ন বছর হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই পেন্টিয়াম থ্রি থেকে ফোরে উঠেছি- অপ্টিক্যাল ফাইবারের ইন্টারনেট পেয়েছি-
কিন্তু সেইসব গৃহবধূ কিংবা অসহায় পিতাকে কিছুই দিতে পারিনি।
মন্তব্য
এই অসহায়ত্বের কারণেও অনেকে রেলের পাতে ফুটায় জীবনের গোলাপ।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
খুব সুন্দর বলেছেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার মনও আজ ভালো নেই। আপনি দেখা যায় বেশ কয়েকটা পদ্ধতি বললেন। ভালোই হল...
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ঐমিয়া মাথায় পানি ঢালেন তাড়াতাড়ি !!
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!
ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...
হ। পানি ঢালেন। আপনার আবার মাথা গরম হয়ে গেলে তো চিন্তার বিষয়!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন কাজের উৎস হচ্ছে আবেগ।
সৃষ্টিশীল যে কোন রচনায় আবেগটা না থাকলে হয় জলো মনে হয়, নইলে শুকনো খটখটে লাগে। আবেগহীন মানুষ তো যন্ত্রই।
কিন্তু আবেগের আধিক্য অনেক সমস্যাও তৈরি করে। তার মধ্যে মাত্রাহীন তীব্র আবেগের যুক্তিহীন নেতিবাচক পরিণামই মনে হয় এই আত্মহত্যা প্রবণতা। আবেগ তখন ধারণক্ষমতার বাইরে চলে যায়।
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
এই আবেগ জিনিসটা খুব বেশ অবাধ্য।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ব্লেড দিয়ে হাত কাটা এগুলো যারা করে তারা হিরোইজম দেখানোর জন্যই করে। যেমন ধর তোর ছাত্র ইচ্ছা করেই হাতটা তোর চোখে যেন পড়ে এমন পজিশনে রেখেছিল। এইগুলা শুধুই ভাব। অনেক দেখা হইছে জীবনে। ন্যাকামীর শেষ নাই।
কিন্তু আত্মহত্যা করার ব্যাপারটা তুই আমি ঠিক বুঝবোনা। যারা করে ফেলেছে তারাই ভালো জানবে। মানুষের জীবনে কখনো এমন সময় আসে যখন সব কিছু ছেড়ে চলে যাওয়াটাই থাকে এক মাত্র সমাধাণ। অবশ্য সেটা আর্জেন্টাইন সমর্থকের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমার নিজেরো মাঝে মাঝে এমন ইচ্ছা হয়। কিন্তু জীবনে কিছু কাজ করা এখনও বাকি আছে। সেইগুলা না করে ওই পথে যাবোনা এটা নিশ্চিত।
---------------------------------
এগুলো সব আমারও কথা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
প্রেমাবেগালু কেসগুলিকে ধরে ধরে মশারি কাচতে দেয়া উচিত। খাইটা খাইতে দিলেই আবেগ ভাগবে।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ঠিক। আশেপাশে এরকম যত কেইস দেখছি সবগুলাই খাইয়া দাইয়া কাজ না পাইয়া কাটাকুটি করে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সব মানুষের মধ্যেই বোধ করি আত্মহননের একটা ইচ্ছে লুকিয়ে থাকে। আবেগের আতিশয্যে কেউ কেউ তা ঘটিয়ে বসে, তারা সংখ্যায় কম। বাদবাকিরা বিবিধ উপায়ে ইচ্ছেটাকে নিয়ন্ত্রণে রাতে সক্ষম হয়, নিজেকে ছোটোবড়ো নানাভাবে (শারীরিক ও মানসিক) পীড়িত করে যায়।
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
-----------------------------------------------
ছি ছি এত্তা জঞ্জাল!
জুবায়ের ভাই খুব ভালো বলেছেন। আসলেই সব মানুষের মধ্যে এমন একটা ইচ্ছা থাকে। কারোটা হুট করে অবস্থার কারনে বেরিয়ে পড়ে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এই বিষয়ে একদিন একটা দীর্ঘ পোস্ট দিমুনে... জীবন থেকে নেওয়া... তহন বুঝবেন কাটাকাটি কারে বলে!!
জীবন থেকে নেয়া বলতে আমার কাটাকাটি না... আমার তরে কাটাকাটির কথা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এই কেইসগুলো আসলে জটিল।
আবেগের জায়গা কোন একটাতে কেন্দ্রীভূত হয়ে গেলে বোধহয় এরকম হয়।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
জটিল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার এক পরিচিত ফ্রেন্ড একি কাজ করে, ট্যাবলেট খেয়ে, হাত কেটে হুশ হারিয়ে হসপিটালে যাওয়ার পর ছেলেটা জানতে পারে তার জন্য এতকিছু, পরে ওদের বিয়ে হয়। তখন আমারো লাইভ সিনেমা দেখার সুযোগ হয়। তবে আমি নিজে খুবি ভিতু টাইপ, কাটা কাটির মধ্যে আমি নাই।
কিন্তু মনে পরে ছোটবেলায় যখন আমি মাত্র ৯ কি ১০ আমি আর আমার এক বান্ধবি একটা সিনেমায় এমন দেখে ঠিক করি যে আমরা যেহেতু বেস্ট ফ্রেন্ড আমরা আমাদের নাম আমাদের হাতে সেফটিপিন দিয়ে লিখব আর পরদিন দুজন দুজনকে দেখাব।
রাতে লেখার সময় দেখি আমি ভয়ে একটা খোচাই দিতে পারছিনা। আমার বান্ধবির নাম জিনিয়া তাই চিন্তা করে দেখি আমার ভাগ্যে বেশি কাটাকাটি কারন ওতো শুধু লিখবে মুমু। কি আর করা, না লিখতে চাইলেও ও মন খারাপ করবে ভেবে অনেক কষ্টে "জ" লিখলাম আর আশায় থাকলাম সেও যেন না লিখতে পারে না হলে আমাকে ভালফ্রেন্ড মনে হবেনা। কিন্তু পরদিন দেখি সে ঠিকই আমার পুরোনাম কাটাকাটি করে লিখেছে আর আমি অনেক লজ্জায় শুধু ওকে "জ" দেখালাম
--------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বাহ! দারুণ তো। এরকম কাহিনী আর আছে নাকি?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আত্মহত্যা জিনিসটা খারাপ না। বয়স পঁয়ত্রিশ পার হলে আমি ভেবে দেখবো একবার। দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার কথা ভাবলেই ক্লান্তি আসে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
পঁয়ত্রিশ হইতেও তো আরো অনেক বাকী।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মানুষ যে কোন বিচিত্র কারণে আত্মহত্যার পথে পা বাড়ায় তা কেউই বলতে পারবে না হয়ত। তবে এটা ঠিক, পাগলামীর বশে আমি নিজেও দু'একবার ভেবেছি এটার কথা! নাহ্, প্রেমে ছ্যাঁকা বা সংসারে দারিদ্র, এইসব কিছুই না। কেন জানি না, উদ্ভট কল্পনার বশে চিন্তা করেছিলাম। "কাজ নাই তো খই ভাজ" অবস্থা হয়ত।
আই.ইউ.টি-তে আমার এক বন্ধু সার্জিক্যাল ব্লেড দিয়ে হাত কাটত। ওর বাম হাতে অনেকগুলো কাটার দাগ ছিল। ও যাকে ভালবাসত, সেই মেয়েও ওকে অনেক ভালবাসত এবং কিছুদিন আগে ওদের বিয়েও হয়ে গেছে। তাই আমি বা আমরা আজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি কেন ও এই ধরণের পাগলামী করত! হিরোইজম? জানি না।
অনেকেই বলে জীবনটা নাকি ছোট্ট, আমার তো মনে হয় ভীষণ লম্বা! এখনই যে ক্লান্তি লাগে মাঝে মাঝে, জানি না সামনের পথ কিভাবে পাড়ি দেব!
দারুন দারুন লেখা ছাড়বা নিয়মিত। তাইলে হয়ত টনিক পাব
জীবনরে লম্বা কইয়েন না। শুনছেন না আমাদের শারিকের কথা? জীবনটা আসলে কী? জানি না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
জীবন একখানাই; ওটাকে যতোভাবে পারা যায় উপভোগ করে নেয়াটাই লক্ষ্য আমার। কারণ, মইরা গেলেই হাড্ডি (বগুড়া শহরে প্রচলিত জনপ্রিয় একটি বাক্য)
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- আপনার ইদানিং কালের কিছু লেখায় নিজের উপস্থিতি জানান দিতে পারিনা, কারণ লেখাগুলো মনেহয় ঠিক আমার মতো না। তারপরেও পড়ি, কিছু না বলে এড়িয়ে চলে যাই। আজকেও চলে গেলাম।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আত্মহত্যা জিনিসটা আমার কাছে মনে হয় পরাজয়। এসবে আমি নাই। কখনো ইচ্ছাও হয় নাই। এইসব কাটাকুটি মাসসিক সমস্যা মনে হয়। নটরডেমে আমার এক ফ্রেন্ড দেখি কাটাকুটি করে মেয়ের নাম লিখছে। দেখে ইচ্ছা হচ্ছিলো ঘুরায়া দেই দুইটা।
ওয়েবসাইট | ফেসবুক | ইমেইল
মানসিক সমস্যা ছাড়া আর কিছুই না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নতুন মন্তব্য করুন