জীবনের প্রথম টিউশনিটা পেয়েছিলাম এক মিডিয়ার কাছ থেকে। মিডিয়া বলতে দেশের এক বিখ্যাত বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বিখ্যাত' টাইপ এক ছেলে। ফোনে খবর পেয়ে তার সাথে দেখা করতে গেলাম কাকলীতে। ছেলেটাকে দেখেই বুঝতে পারলাম- এ একজন 'পাপ্পু''। পাপ্পুদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তারা ঠিকমত বাংলা কিংবা ইংরেজী কোনটাই বলতে পারে না। সেই পাপ্পু আমাকে দেখেই প্রথম যে কথাটা বলল সেটা হচ্ছে-
- 'মার সম্পড়্কে কী শুন্নচ?
আমি একটু থতমত খেয়ে গেলাম। আইইউটিতে পাকিস্তানিদের থাকার বদৌলতে আমার ''হিন্দী'' টাইপ ইংরেজি শোনা হয়- '' ইংরেজি'' টাইপ বাংলা তেমন একটা শোনা হয় না। আমার নড়বড়ে ভাব দেখে 'পাপ্পু' আবার একই প্রশ্ন করল। ছোটবেলায় শুনেছিলাম স্মার্ট হতে হলে আমেরিকাকে মেরিকা বলতে হয়। 'মে'র পূর্বের 'আ' টা উহ্য থাকে। তবে আমারকে যে 'মার বলতে হয়- এটা তেমন একটা শুনিনি। আমার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল- আমার বন্ধু হাসিব।শহরের এক অভিজাত পাড়ায় ওর বাসা। সে এই ভাষা মোটামুটি বুঝতে পারে। সে-ই দোভাষীর কাজ করতে লাগল। এক পর্যায়ে ''পাপ্পু' বলল...
- 'মার কিসছু রুল্জ আছে। এক নাম্বার রুল্জ হল ফার্স্ট মান্থের ঠাকার হাফ এডভান্স পে করতে হবে।
'এক নাম্বার' এর পরে কীভাবে রুল্জ হয় আমি বুঝতে না পেরে ফেইসি ইনের দিকে তাকিয়ে রইলাম। তবে ''পাপ্পু' নরম মনের মানুষ। আমার জন্য বিশেষ বিবেচনায় প্রথম মাসের অর্ধেক টাকা মাসের শেষে দেয়ার ব্যবস্থা করল। উত্তরায় এক ইংলিশ মিডিয়ামের কিশোরীকে ছ' হাজার টাকার বিনিময়ে পড়াতে হবে।
প্রথম দিনেই 'উত্তরা'য় সুদৃশ্য পাঁচ তলা দালানের মালিকিনী আমার ছাত্রীর মা- বেতন দুই হাজার টাকা কমিয়ে চার হাজারে নিয়ে আসলেন। আমি তেমন একটা অখুশি হলাম না। সপ্তাহে তিন দিন পড়াতে হবে। চার হাজার টাকা খারাপ কী? কিন্তু সেই চার হাজারও যে আমার পাওয়া হবে না কোনদিন সেটা অবশ্য তখন একটুও বুঝতে পারি নি।
যাই হোক- প্রথম দিন ছাত্রী যখন আমার সামনে আসল আমি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। কারণ থ্রি কোয়ার্টার প্যাণ্ট এবং অর্ধেক সাইজের টি শার্ট পরা কোন কিশোরীকে সামনাসামনি দেখাতে আমার বাঙালি চোখ তখনো অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারে নি। এরপর ছাত্রী আমার 'অবাক' হওয়াটাকে আরেকটু উপরের দিকে নিয়ে গেল।
- হাই। আমি সিনথিয়া। থুমি?
আমি তাব্দা খেয়ে গেলাম।
আমি 'স্যার' 'ভাইয়া' আশা করেছিলাম। এখন দেখি এই মেয়ে আমার নাম ধরে ডাকে। আমি 'বোর্ডবাজার' নামক মফস্বল থেকে লোকাল বাসে উত্তরায় আসা একজন বোকা শিক্ষকের মত সায় দিয়ে গেলাম।
আমার ছাত্রী সিনথিয়া গত পরীক্ষায় গণিতে যথাক্রমে ০ এবং ১ পেয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং-এ যে দুটোকে ডিজিটাল ল্যাংগুয়েজে ব্যবহার করা হয়। সিনথিয়ার মা আমাকে 'মিশন' ঠিক করে দিয়েছে তার মেয়েকে পরবর্তী পরীক্ষায় ষাট পার্সেণ্টের উপর নাম্বার পাইয়ে দিতে হবে। মায়ের ধারণা তার মেয়ে খুবই মেধাবী স্টুডেন্ট।
আমি অবশ্য সিনথিয়ার মধ্যে অন্তত গাণিতিক কোন মেধা খুঁজে পেলাম না।
''ভাই, আল্লার কসম করে কইতেছি- এই মাইয়া এক ঘরের যোগ বিয়োগও করতে পারে না'।
আমি সিনথিয়াকে অংক করতে দিই। সিনথিয়া আমার দিকে তাকিয়ে বলে...
- মুহিব, থুমি ড়্বেইস কর না?
আমি তাব্দা খেয়ে যাওয়া একজন পরিপূর্ণ বাঙালি। নিজেকে একটু জাহির করার জন্য বললাম...
- হুঁ। রেইস তো আমার খুব ভালো লাগে। NFS mostwanted আমি মাত্র তিনদিনে পুরোটা শেষ করেছি। roadrash ও খেলি।
বলেই আমি বুঝতে পারলাম- বিরাটা কোন ভুল করে ফেলেছি। কারণ আমার ছাত্রী ''হি হি'' করে হাসা শুরু করেছে। তার হাসি শুনে আমার মনে হল- বাঙালি পাপ্পু হোক কিংবা 'ইয়ো' হোক হাসিটা সেই মাটি মেশানোই রয়ে গেছে। আমি বললাম...
- হাসতেছ কেন?
- হা হা হা। আমি গাড়ির ড়েইসের কথা বলসছিলাম। আমরা ফ্রেণ্ডরা মিলে ড়েইস করি। অন্নেক মজা হয়। লাস্ট বার্থডেতে মাম আমাকে একটা কার কিনে দিয়েছে।
আমার 'তাব্দা' খাওয়া উত্তরার আকাশে গিয়ে ঠেকল। দূষিত আকাশের মাঝে আমার ''তাব্দা খাওয়া''
মিশে যেতে লাগল।
আমি অবশ্য টিউশনি খুব গুরুত্বের সাথেই করতে লাগলাম। দিনে যেখানে এক দেড় ঘণ্টা পড়ালেই পার পেয়ে যাব- সেখানে তিন ঘণ্টা পড়াতে লাগলাম। ছাত্রী অবশ্য মনোযোগ কী সেটাই বুঝে না। হয়ত আমি তাকে 'সরল সুদকষা' পড়াচ্ছি- সে খুব স্বাভাবিকভাবেই বলে...
- থুমি... থ্রেশ মেঠাল শোন না?
একটা জিনিস খেয়াল করেছি- আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমন একটা মনোযোগী ছাত্র না হলেও- নিজে শিক্ষক হয়ে ছাত্রের অমনোযোগিতা একেবারেই সহ্য করতে পারি না। খুব কষ্ট হয়। আমি কষ্টাহত কণ্ঠে বলি...
- আগে একটু অংক করে নাও। তারপর আমরা গান নিয়ে গল্প করব। ঠিকাসে?
সিনথিয়া আমার কথা কানেই নেয় না। উত্তেজিতভাবে বললে...
- আমি কিন্তু pantera'র ফ্যান।
আমি সিনথিয়াকে অংক করতে দিই। কিছুক্ষণ পর সে আমার হাতে খাতা তুলে দেয়। খাতায় অংকের বদলে pantera'র কোন গানের লিরিক তুলে দেয়। এতকিছুর পরেও মেয়েটার সারল্য আমাকে মুগ্ধ করে।
কয়েকদিন পর আমি ছাত্রীকে অংকের পরে কিছুটা বাংলা পড়ানো শুরু করি। ছাত্রীর মা কিছুটা বিরক্ত হয়। এদিকে আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি- মেয়েটা অংকের চেয়ে বাংলায় অনেক বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে।
এই প্রজন্মের ছেলে হয়েও বাংলা নিয়ে অহংকার আমার রক্তের সাথে মিশে আছে। আমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা। অন্যরকম একটা পরিবেশে আমি বেড়ে উঠেছি। সত্যি করে বলছি- কেউ যখন 'পরীক্ষা'কে 'এক্সেম' বলে তখন আমার খুব রাগ হয়।
আমার ছাত্রী যখন অংক পারে না- তখন আমার যতটুকু খারাপ লাগে তার চেয়েও বেশি কষ্ট হয়-
যখন শুনি- সে 'বিভূতিভূষণ' কিংবা 'শরৎচন্দ্রের নাম শুনে নাই।
এরই মধ্যে আমি অবাক হয়ে খেয়াল করলাম- বাংলাদেশের একটা মেয়ে- নিশ্চিতভাবে কিংবা অজ্ঞাতসারে যার রক্তের মধ্যে বাংলা মিশে আছে- বাংলা ভাষার জন্য ভালোবাসা লুকিয়ে আছে- তাকে তার সেই ভালোবাসাটাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করার মত- আনন্দময় ব্যাপার এই পৃথিবীতে খুব কমই আছে। এটা একটা অদ্ভূত নেশা!
এরই মধ্যে দেড়মাস কেটে গেল- আমার টিউশনির- আসন্ন চার হাজার টাকার কথা মাথায় রেখে আমি ইতিমধ্যেই গোল্ড লিফ ছেড়ে বেনসনে উঠেছি- লোকাল বাস পেছনে ফেলে- টিকেট বাস হাতে নিয়েছি। আমার ছাত্রীর কণ্ঠে ভাঙা ভাঙা বাংলায় রবীন্দ্রনাথের গান শোনার আনন্দময় অভিজ্ঞতাও হয়েছে।
দুই মাস পরে আমি আবিষ্কার করলাম- আমার এই কাহিনীর নায়িকা ছাত্রীর মাকে। দুই মাসে আমার আট হাজার টাকা পাওনা হয়ে গেল। চামড়ার উপর এঁটে থাকা লজ্জার কারণে টাকার কথা আমি বলতেও পারি না।
একদিন ছাত্রীর মা আমাকে বসতে বললেন। আমি কিছুটা আশা নিয়ে বসলাম। এতদিনে মহারাণীর নিদ্রাভংগ হয়েছে। আমি ড্রয়িং রুমে বসে আছি। আমার মত গড়পরতা ছেলের কাছে যা একটা মিউজিয়ামের মত। সেই মিউজিয়ামে দাঁড়িয়ে মহারাণী যে কথাটা বললেন- তাতে আমার মেজাজ গরম হয়ে গেল... তিনি বললেন...
- টাকা?
আমি কী বলব বুঝতে না পেরে তাকিয়ে রইলাম। তিনি বললেন...
- আসলে বুঝছ। টাকার খুব টানাটানি চলছে। জিনিসপত্রের যা দাম!
এই বলে তিনি আমার দিকে দুইটা পাঁচশ টাকার নোট বাড়িয়ে দিলেন। আমি নিলাম। খুব বলতে ইচ্ছে হল- আন্টী! আমার বাকী টাকা।
তিনি বললেন... পরের সপ্তাহে আমার বাড়ি যাওয়ার আগেই তিনি সব টাকা শোধ করে দিবেন। পাওনাদারকে দেনাদার যেভাবে প্রতিশ্রুতি দেয় ঠিক সেভাবে।
বাড়ির বাইরে বের হয়ে পার্ক করে রাখা নাম না জানা বিদেশি কোন গাড়ি দেখে আমার কেমন যেন লাগল। কেমন লাগল? সেটা ঠিক বুঝানো যায় না।
চট্টগ্রাম যাওয়ার আগে টাকা পেলাম না। ছাত্রীর মা আমাকে বললেন... সব টাকা দিয়ে দিলে নাকি আমি আর পড়াতে আসব না- সামনের মাসে সিনথিয়ার পরীক্ষা- ও'র পরীক্ষার আগেই আমি টাকা পেয়ে যাব।
আমার ছুটি শেষ হল- চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসলাম- আমার ছাত্রীর পরীক্ষাও চলে আসল। শেষ দিন গিয়েছি পড়াতে। বাড়ির কাজের ছেলে এসে বলল... খালাম্মা বাসায় নাই- আপ্নেরে কইছে দুইদিন পর আইসা ট্যাকা নিয়া যাইতে...
দুইদিন পর গেলাম। তিনি বাসায় ছিলেন না।
পরেরদিন তার মোবাইলে ফোন করলাম। বাড়ির কাজের মেয়ে ফোন ধরল। খালাম্মা মোবাইল বাসায় ফালায়া গ্যাসেন...
রাতের বেলা বাসার নাম্বারে ফোন দিলাম। তিনি কথা বললেন। বললেন...তার মোবাইল হারিয়ে গেছে দেখে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন নাই।
সমবয়সী কিংবা ছোটদের মিথ্যে কথা শুনতে আমি অভ্যস্ত। কিন্তু একজন মধ্যবয়স্কা শিক্ষিতা মহিলার কাছ থেকে এমন মিথ্যে কথা শুনে আমার রাগ হল না। সত্যি- রাগ হল না। লজ্জা লাগল শুধু। মহিলা আমাকে বললেন- পরেরদিন অবশ্যই আমি যেন বাসায় এসে টাকা নিয়ে যাই।
এরপরের দিন আমি টাকা আনতে গিয়েছিলাম। আড়াই মাসের নয় হাজার টাকার পরিবর্তে আমি দুই হাজার টাকা পেলাম। মহিলা বাসায় ছিলেন না- বাড়ির তিনজন কাজের ছেলের মধ্যে একজনকে দিয়ে গিয়েছেন। এই ধরণের শিকার আমি কখনো হই নি। রাগে এবং ঘৃণায় আমার শরীর তর তর করে কাঁপতে লাগল। মহিলাকে ফোন দিলাম।
সে ফোন রিসিভ করল না।
এমন একটা ঘটনা যখন মানুষের উপর থেকে বিশ্বাস তুলে দিতে চায়- তখনই আমি মানুষকে নতুন করে ভালোবাসতে বাধ্য হই। আমি ব্যক্তিগতভাবে তেমন একটা ভালো 'ছেলে' না। বরং নিজেকে 'মানুষ' বলে পরিচয় দিতে আমি এখনো সংকোচ বোধ করি। মানুষ হওয়ার জন্য যেসব স্থূলতা ঝেড়ে ফেলতে হয়- আমি তা পারি নি। কিন্ত আমি 'মানুষ'কে ভালোবাসি।
একটা ছোট্ট ঘটনা। তখন আমি আমার জীবনের শেষ টিউশনি করাচ্ছি। টঙ্গীতে ইন্টার প্রথম বর্ষের এক ছাত্র। একদিন সন্ধ্যায় পড়াচ্ছি। ঐ ছাত্রের মা আমাকে জিজ্ঞেস করলেন...
- বাবা। বিকেলে নাস্তা কী দিয়ে করেছ?
আমি লজ্জিত ভঙ্গিতে বললাম... ডালপুরি।
এরপরের দিন ছাত্রকে পড়াচ্ছি। আন্টি হঠাৎ ডালপুরি নিয়ে উপস্থিত হলেন। গরম গরম ডালপুরি। আন্টি ধরে নিয়েছেন- ডালপুরি আমার প্রিয় একটা খাবার। তাই তিনি নিজের হাতে আমার জন্য ডালপুরি বানিয়ে এনেছেন।
আমি কী করব বুঝতে পারলাম না। শুধু এটুকু বলব- এই ঘটনা মনে আসলে আনন্দে আমার চোখ ভিজে যায়।
শালা! মানুষ হয়ে জন্মাইলাম -ভালো কথা-
কিন্তু এত ইমোশনাল হইয়া জন্মাইলাম ক্যান?
মন্তব্য
তোর মায়রে বাপ। তোর বাপরে বাপ। আমি বাসায় বইসা বইসা টিউশনী নিয়া এগ্গা ব্লগ লিখবো ভাবছিলাম আজকে...তুই দিলি সব শেষ কইরা। দূরে গিয়া মর।
তয় প্রথম খালাম্মারে আমার পছন্দ হইছে। আলহামদুলিল্লাহ।
---------------------------------
জানিনা জানবোনা... কোন স্কেলে গাইছে কোকিল
গুনিনা আমি গুনিনা...কার গালে কটা আছে তিল
তোর ঐ স্টুডেন্টের মা'টাই ভালো ছিল। মাসে পাঁচদিন গেলেও টাকা দিয়ে দিত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
প্রথমেই বলে নেই অসাধারণ লিখেছেন, অসাধারন!
এখন বাকি লেখায় আসছি, প্রথম দিকে পড়তে বেশ মজা লাগছিল পরে এসে অবাক হয়ে গেলাম মহিলার ব্যবহার শুনে এরকম মানুষ হয়, তাও এত বড়লোক হয়ে কিভাবে একজন মহিলা এমন করতে পারে আশ্চর্য!
আর দেশে থেকে যদি ছেলেমেয়েরা এমন ভাবে বেরে ওঠে তাইলে আর কি বলব, আমার ছোট ভাই যে কিনা ৪ বছর বয়স থেকে দেশের বাইরে সেও এর চেয়ে ভাল বাংলা বলে এবং বোঝে, আসলে সব বাবা- মা'র ওপর ডিপেন্ড করে। আমার বাবাও মুক্তিযোদ্ধা, যার জন্যই হয়ত আমাদের মাঝেও ফিলিংসটা অন্যরকম।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
ঐ মহিলার কথা দয়া করে আর বইলেন না। মানুষ এমন হতে পারে আমার ধারণাই ছিল না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
প্রথমজন সম্পর্কে আমরও প্রতিক্রিয়া অনেকটা মুমুর মতোন। লেখার দ্বিতীয় মহিলার প্রসঙ্গে মনে পড়লো আরেক প্রিয় মানুষের কথা।
তিনি অবশ্য আমার এক বন্ধুর বাবা, আহমেদ উল্লাহ। তার মেয়েটির সঙ্গে এক সময় আমার গভীর সখ্যতা ছিলো। আর ছিলো সাংবাদিক হওয়ার প্রথম যৌবনে স্ট্রাগল ইন সায়েন্সের কঠিন পাঠ। এমনও দিন গেছে, অনেক রাতে খাটাখাটুনি করে বাসায় ফিরে এক মুঠো চালের মধ্যে একটা কাঁচা কলা সেদ্ধ করে পরে কলা ভর্তা আর ভাত খেয়ে শুয়ে পড়েছি। সারাদিনে ওই ছিলো পেটপুরে কিছু খাওয়া। ...
আর আংকেল ছিলেন আমার সমস্ত প্রকাশিত রিপোর্টের গুনমুগ্ধ ভক্ত। তো প্রায়ই রাতে ওই বন্ধুর বাসায় খাবারের জন্য যেতাম। আমার নিজস্ব খাবারের মেনু্য শুনে তার ধারণা হয়েছিলো কাঁচকলা ভর্তা বোধহয় আমার প্রিয় একটি খাবার। একারণে যতবারই ওই বাসায় খেতে যেতাম, ততবারই দেখতাম খাবার পাতে কলাভর্তা আছেই। ...
আহ! সেই আংকেল গত হয়েছেন অনেকদিন। বন্ধুটিও হারিয়ে গেছেন জীবনের কোন বাঁকে। এখন সবই ধুসর অতীত। ...
লেখাটি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ।
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
কী মিষ্টি!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
টিউটর হিসাবে নিজের বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল। তবে ভাল মানুষও পেয়েছি। এস. এস. সি থেকে শুরু করে দেশে যতদিন ছিলাম টিউশনির উপর নির্ভশীল থাকতে হয়েছে।
এখনো দেশে গেলে দু'একজন ছাত্রের খোঁজ নিতে ইচ্ছে করে। আবার অনেকের কথা বিশেষ করে অভিবাবকদের প্রতারনার কথাও মনে পড়ে।
খুব ভাল লাগল আপনার লেখায় টিউটরের বিরম্বন॥
**********************
কাঁশ বনের বাঘ
**********************
ছায়াবাজি পুতুলরূপে বানাইয়া মানুষ
যেমনি নাচাও তেমনি নাচি, পুতুলের কী দোষ!
!কাশ বনের বাঘ!
টিউশনির সবচে বড় ঝামেলা হলো - যাতায়াতের অসুবিধাটা। এমনিতে পড়ানোটা খারাপ লাগে না। তবে সবচে মজা হচ্ছে- কোচিং-এ ক্লাস নেয়ার মধ্যে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
একশত ভাগ সহমত ।
আমি যত ছাত্র-ছাত্রীকে পড়িয়েছি তার মধ্যে আমার বুয়েট কোচিংএ পড়ানোর অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে সুন্দর, যদিও আমি মাত্র এক ব্যাচ পড়িয়েছি । সেই ব্যাচের যেই ছাত্ররা পরে বুয়েটে ভর্তি হয়েছে - একেবারে নিজের ছোট ভাইয়ের মত মনে হয় এদেরকে ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ঠিক।
সবচে আনন্দ পেয়েছিলাম... ক্যাডেট ভর্তি কোচিং-এ ক্লাস নিতে। পিচ্চি পিচ্চি ছেলেমেয়ে- চেঁচামেচি করে- মনটাই শান্তিতে ভরে যায়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এক্কেরে হাছা কইছেন
নিজের টিউশনি জীবনের অভিজ্ঞতা মিলিয়ে নিচ্ছিলাম। আপনার প্রথম অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আমি কখনো হই নি। তবে দ্বিতীয় অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি খাওয়া-দাওয়ায় আমার আবার ব্যাপক আগ্রহ কিনা এইসব নিয়ে সময় পেলে পোস্টানো যাবে।
যাই হোক। লেখা, বলার অপেক্ষা রাখে না, সেই রকম লিখছেন। সবার সাথে ভাগাভাগি করার জন্য ধন্যবাদ।
~ ফেরারী ফেরদৌস
যাক! আপনার ভাগ্য ভালো।
বিস্তারিত লিখে তাড়াতাড়ি পোস্ট করে দ্যান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ভাষা নিয়া বলি প্রথমে...
একবার এক বালিকা আমার প্রেমে পড়লো... তার পরিবার এই দেশের মুক্তিযুদ্ধ ভাষা আন্দোলন এবং সাহিত্য সংস্কৃতির এত্ত বড় কাহিনী যে নামের খণ্ডাংশ বললেও চিনবেন... তাই সেই পথে গেলাম না... অথচ সেই পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম সেই বালিকা বাংলায় ঠিকমতো কথা কইতে পারতো না।
তো সেই বালিকা প্রেমে পড়লো... আমি বললাম তোমার সাথে প্রেম করা আমার জন্য প্রথমত সমস্যা যে আমি ইংরেজীতে পটু না... আর তুমি বাংলা বোঝো না... সে বললো দরকার হইলে সে বাংলা শিখবে... আমি তারে বললাম 'কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে' এই বাক্যটার সরল বাংলা অর্থ কইরা আনতে... সে সারাদিন এরে জিগায় তারে জিগায় আর সবাই হাসে...
এখন যদিও সে খুবই ভালো বাংলা বলে... তবে আমার সাথে বলার চান্স খুব একটা পায় না।
আর টিউশনি নিয়া কি বলবো? খারাপ লাগলো... উত্তরার ঠিকানাটা দেন তো... গিয়া একটা ধাপকি দিয়া আসি...
আমার জীবনে লেখাপড়াই নাই তো টিউশনির অভিজ্ঞতা কেম্নে থাকে?
ভালো লাগলো লেখাটা...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আপ্নের জীবনটা বড়ই রঙিন। আমারটার মত পাইন্সা না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তার্পর সেই বালিকার কি হৈল?
ঈশ্বরাসিদ্ধে:
অজ্ঞাতবাস
সেই বালিকা এখন মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করে... সম্প্রতি কয় মাসের ছুটিতে দেশে আসছে... দেখা করার বাসনা জানাইসে... দেখা যাউক...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
শেষমেষ আমার কলেজে গিয়া তুমি ডেব্যু করলা?
নাহ, দুস্কু পাইলাম!
*
টিউশানি করেই চলতাম ঢাবি-তে থাকতে। আমারও বিরাট সব হিস্ট্রি এইসব নিয়া। তবে তোমার চেয়ে কপাল খানিকটা ভাল আমার। টাকা পয়সা নিয়া ঝামেলায় পড়তে হয় নাই কখনো।
*
ওয়েলকাম ব্যাক। কয়দিন পর পর কই হারাও?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
*
আমাদের কলেজের প্রায় পোলাপাইনের একই কাহিনী। সবার ডেব্যু আপনাদের কলেজে।
*
কী আর করব!
*
ভালো নাইরে ভাই। ভালো নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
জীবনে কোন ছাত্রী পড়াইলাম না
কি লাভ লেখাপড়া শিখে?
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আপনার যদি মেয়ে হয়, সেই মেয়ে যখন বড় হবে, তাকে পড়ানোর জন্য যদি কোন ছাত্র কে টিউটর নিয়োগ করেন, তখন বুঝতে পারবেন সেই ছাত্র ঠিকমত " ছাত্রী পড়াচ্ছে " কিনা । এই হল লেখাপড়া শেখার সুফল ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার সবগুলোই মিষ্টি অভিজ্ঞতা ।
প্রায় ১২/১৪ বছর পরেও এখনও অনেক ছাত্র ছাত্রীর পরিবারের সাথে যোগাযোগ আছে ।
একবার এক পিচ্চি ছাত্রী ( ক্লাস থ্রি ) ঈদের শপিংয়ে গিয়ে গো ধরেছিল , স্যারকে একটা শার্ট কিনে দিতে হবে ।
সেই শার্ট কেনা হয়েছিল , ছাত্রীর মা হাসতে হাসতে দিয়েছিলেন ।
চমৎকার স্মৃতিটা মনে গেঁথে আছে , সেই ছাত্রী এখন মেডিকেলের স্টুডেন্ট ।
.
একেই বলে রাজার কপাল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
*****
শিমূল ভাইয়ের অনেক আগের একটা মাস্টারপিস ছিল "একজন গরুর গল্প"। টিউশনী নিয়ে, সামহোয়ারে পড়েছিলাম, এখানে আছে কিনা জানি না। পোস্টটা পড়ে ওই গল্পটার কথা মনে পড়লো।
নাহ। এখানে পাইলাম না। নামটা শুনেই দারুণ লাগল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ইমোশন এর পোটলা লইয়া মায়ের পেট থেকে বের হইসিস দেখেই মাইনষে তোরে মানুষ কয়।
নইলে তো মিরপুর এগারোর বান্দরের খাঁচার সামনে গিয়ে মাঝে মাঝে তোরে দেখে আসতে হইতো...
---------------------------
থাকে শুধু অন্ধকার,মুখোমুখি বসিবার...
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
তোর কাছে তো আমার পোটলা সিগারেটের প্যাকেটের সমান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমি ডালপুরি খেতে চাই!!!!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
মৌমাছির জীবন কি মধুর?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
এখন বাংলাদেশে যে ডালপুরির কথা চিন্তা করতেসেন ঐটা আর পাবেন না। ভেতরে ডাল নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
কিছু না বুঝেই এসএসসিতে একটু বেশি ভালো রেজাল্ট করে ফেলেছিলাম তিন তিনটা গণিতসহ
তখন আমার অবস্থা ছাগলের দলে বাছুরের মতো
আমার বাড়ির একপাশে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট অন্যপাশে সিলেট গ্যাসফিল্ড
শুরু হলো আমাকে তেলানো
যদিও আমার ধারণা কারো মেরুদণ্ডে কেঁচো না ঢুকলে কেউ টিউশনি করে না তবুও টিচারদের থেকে বেশি বেতন অফার করায় রাজি হলাম। সপ্তায় দুইদিন খালি অংক করাবো এক ঘণ্টা করে
নাইনের এক বাসায় নাইনের এক বাংলিশ মেয়ে আরেক বাসায় টেনের এক বাঙালি মেয়ে (কাহিনী আছে দুইটারই। পরে কেউ মনে করিয়ে দিলে লিখব) আর আরেক বাসায় দুই ভাই। একভাই কনক পড়ে এইটে আরেক ভাই কাঁকন পড়ে সিক্সে।
চাকরির পাশাপাশি কবি এবং গীতিকার তাদের বাবা আমাকে বললেন আমি তোমাকে দুইজনের পয়সাই দেবো কিন্তু বড়োটাকে না পড়ালেও চলবে তুমি খালি পড়াবে আমার ছোটটাকে। মানে কাঁকনকে
তো কাঁকন। পড়ে সিক্সে
আমি জিজ্ঞেস করি- কাঁকন ১০ আর দুই ১২ হয় তাই না?
- জ্বি ভাইয়া
- ১০ আর ২ ষোলো হয় তাই না?
- জ্বি ভাইয়া
- ১০ আর ২ এগারো হয় তাই না কাঁকন?
- জ্বি ভাইয়া
কোনোমতে দেড়মাস টিউশনি করে আশি মাইল স্পিডে দৌড় লাগিয়ে সেই গ্যাস ফিল্ড আর ক্যান্টনমেন্টেই আমি ইন্ডিয়ান শাড়ি বিক্রি শুরু করেছিলাম
বর্ডার থেকে আনতাম আর আন্টিদের কাছে বিক্রি করতাম
কেউ টিউশনির কথা বললে বলতাম- এখন ব্যবসা করি
০২
বছর দুয়েক আগে সেই কাঁকন আমাকে একদিন শাহবাগে আবিষ্কার করে ফেলল
জিজ্ঞেস করলাম- কী করো
বলে জাহাঙ্গীরনগর এ্যানথ্রোপলজিতে মাস্টার্স করি
আমি হা করে কতক্ষণ তার মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম- দশ আর দুইয়ে এগারোতে জাহাঙ্গীরনগরে এ্যানথ্রোপলজি হয়?
০১.
ঐ মাইয়ার কথা শুনতে চাই। বাংলিশ আর বাঙালি দুইটাই।
০২.
সকাল দেখে রাতের কথা বুঝা যায় না। বুঝলেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- উত্তরার ফুন নাম্বারটা যদি এট্টু দিতেন!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
কারে ফুন করবেন? ছাত্রী নাকি আন্টিকে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- ছাত্রীরে ফুন কইরা শিশু নির্যাতনের মামলায় ঘানি টানুম নিকি সারা জীবন?
আমি নিজে দুই নাম্বার বইলা দুই নাম্বার লুকগুলারে সাইজ করবার পারি। দিয়া দেন ফুন নাম্বারটা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
উদ্ধৃতি
কিন্তু এত ইমোশনাল হইয়া জন্মাইলাম ক্যান?
____________________________________
ব্যাকুল প্রত্যাশা উর্ধমুখী; হয়তো বা কেটে যাবে মেঘ।
দূর হবে শকুনের ছাঁয়া। কাটাবে আঁধার আমাদের ঘোলা চোখ
আলোকের উদ্ভাসনে; হবে পুন: পল্লবীত বিশুষ্ক বৃক্ষের ডাল।
___________________________
লাইগ্যা থাকিস, ছাড়িস না!
সেইম সেইম অবস্থা নাকি?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ভাই দুঃখ কইরো না। আমার ছাত্র স্ট্যান্ডার্ড সেভেন এ পড়ে। child,man আর plural করে-childs,mans আমি তো কিছু মনে করি না। ওরে অংক করাইতে গেলে আমার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছা করে। ছাত্ররের মা গত ছয় মাস ধরে বেতন মুখেই বাড়িয়ে যাচ্ছে। শুধু উনার সামান্য আন্তরিকতার জন্য টিউশনিটা ছাড়তে পরছি না।
তোমার লগে কথা নাই। কইলাম একটা খুঁজে দিতে। ক্যাম্নে কী?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
১...
অল্পবিস্তর টিউশনি করার অভিজ্ঞতা আমারো আছে। আমি পড়াইতাম ইংলিশ মিডিয়াম, কারণ টাকা বেশি। ইংলিশ মিডিয়ামের টাকা বেশি হবার পেছনের কারণটা নিয়ে আমার একটা থিয়োরি আছে। বাবা মা বাচ্চাকে সময় দিতে পারে না, তাই বেশি টাকা দিয়ে টিউটর রেখে অপরাধবোধ থেকে মুক্তি খোঁজে।
২...
লেখককে ধন্যবাদ সেই পাবলিক বাসে ঝুলে ঝুলে নিজের পিসির জন্য একটা গেমিং গ্রাফিক্স কার্ড আর ভালো একজোড়া বাস্কেটবল স্নিকারের পয়সা জোগাড়ের সংগ্রামের কথা মনে করিয়ে দেয়ার জন্য।
--- লাইঠেল
১.
থিওরি ভালোই দিছেন।
২.
কষ্টের কথা মনে করাইয়া দিলাম। ধন্যবাদ দিলেন ক্যান। রাগ হওয়ার কথা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেখাটা ভালো লাগলো...
আবার মনটাও খারাপ লাগলো...
ছোট্ট একটা কথা... আমিও কিন্তু আইইউটি'র এক মিস্তিরী... সচলায়তনে নতুন আসলাম... এজন্য অবশ্য কিংকু (কিংকর্তব্যবিমূঢ়) দায়ী... যাই হোক সদস্য হবার পর এই লেখাটাই প্রথম পড়লাম... তবে অনুভূতিটা আগেই বলে ফেলেছি...
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
শাবাস! আইইউটির আরেকজন ভাই। ভাইয়া কোন ব্যাচে? ফাহিম ভাইদের ব্যাচে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হুমমম... ফাহিমের ব্যাচ।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
জীবনে টিউশাইণোর ভাইগ্য হইলো না।
---------------------------------------------------------
আমাকে ডাকে আকাশ, বোঝে মাটি হাওয়া জল
বোঝে না মানুষ আর বিনাশী মুদ্রার ছল
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
ইয়া হাবিবি!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মজাষ্ট পেলাম অর্থাত যত মজা তত কষ্ট।
হাঁটাপথে আমরা এসেছি তোমার কিনারে। হে সভ্যতা! আমরা সাতভাই হাঁটার নীচে চোখ ফেলে ফেলে খুঁজতে এসেছি চম্পাকে। মাতৃকাচিহ্ন কপালে নিয়ে আমরা এসেছি এই বিপাকে_পরিণামে।
এই ধরণের শব্দগুলো খুব ভালো লাগে। শব্দগুলোকে সিরিয়াসলি ব্যবহার করার সময় চলে আসছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
একটাই প্রাইভেট পড়ানোর অপচেষ্টা করছিলাম, তাও প্রায় দেড় বছর আগে। লাভের লাভ কিছুই হয় নাই। শুধু একটা শিক্ষা হয়েছিল, আমাকে দিয়ে পড়ানো হবে না। তাই আর কোনদিন চেষ্টা করিনি। অভিজ্ঞতাগুলো আর লেখার মত না।
লেখাটা খুব ভাল লাগল, অনেক কিছু মনেও পড়ে গেল।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তোর ঘটনাটা সেইরকম। কোন একদিন সবাইরে জানায়া দে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমার টিউশনি জীবনে খুব বেশি বৈচিত্র্য নেই; বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর যেটা পেয়েছিলাম সেটা চলেছে ২ বছর; আর এখন যেটা করাই সেটার বয়স ৩ বয়স হলো। বুঝতেই পারছ টাকাপয়সা নিয়ে কোন ঝামেলা হয় নাই।
বরাবরের মতই লেখা পড়ে মজা পেলাম।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
হ! আপনার কপাল ভালো। আর আমারটা!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তোমার এমন চমৎকার একটা লেখা চোখের আড়ালে যেতে বসেছিল।
কিছু টিউশনি করিয়েছি তবে তা নিতান্তই শখের বশে। সেসব গল্প পরে কোনওদিন বলা হবে নাহয়।
তবে প্রথম মহিলার মতন মানুষ এমন অনেক আছে। পুঁজিবাদীরা মনেহয় এভাবেই বড়লোক হয় আমার ধারনা। মাইনষের টেকা না মারলে বড়লোক মনেহয় হওয়াই যায়না।
--------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন