পাশেই আলম সাহেবের বাড়ি। রোজ দুপুরে সেই বাড়ির পেছনের উঠোনে গিয়ে দাঁড়ালে ঘ্রাণ পাওয়া যায়। হাসু আর মরিয়ম মাঝে মধ্যে আলম সাহেবের বাড়ির পেছনের উঠোনে গিয়ে দাঁড়ায়। সে ঘ্রাণ বড় ভালো লাগে মরিয়মের।
সেদিন দুপুরে আলম সাহেবের বাড়ির পেছনে ফুল কুড়োতে এসেছিল মরিয়ম। সে ভাইয়ের কোলে বসে ফুল কুড়োয়। হাসু হঠাৎ করে বলে ওঠে...
- তোর তো ভারী ওজন হইছে মরিয়ম। বড় হইয়া গেলি নাকি?
ভাইয়ের এ কথা শুনে খুব করে হেসে নেয় মরিয়ম। বাপজানের কথা মনে পড়ে। বাপজান তাকে 'বুড়ি' বলে ডাকত। সে কী বুড়ি?
- ভাইজান। আমি হাঁটতে পারি না ক্যান?
হাসু মরিয়মের গাল টিপি দেয়। কেমন নরম একটা গাল মরিয়মটার। হাসু একবার শিউলি ফুল টিপি দিয়ে দেখেছিল। মরিয়মের মুখের মত কী?
- তর অসুখ হইছে তো- তাই। আইচ্ছ্যা তাড়াতাড়ি পাতা যোগাড় কইরা নিই। মা রান্না করার জইন্য বইস্যা আছে।
হাসু জঙ্গল মতন জায়গাটায় পাতা কুড়োয়। মাঝখানে মরিয়ম বলে ওঠে...
- ভাইজান আমি ঐ ফুলটা নিমু।
হাসু ফুল কুড়িয়ে নিয়ে বোনের চুলে গুঁজে দেয়। মরিয়ম চেঁচিয়ে ওঠে...
- তুমি নিয়া দিলে হইব না। আমি নিজের হাত দিয়া নিমু।
ফুল এবং পাতা কুড়োতে কুড়োতে চেনা অচেনা ঘ্রাণের মাঝে একটা বিশেষ ঘ্রাণ ওদের খুব চেনা মনে হয়। ফোঁকড় দিয়ে আলম সাহেবের রান্নাঘরের ওখানে চলে আসে হাসু। হাসু'র মনটা কেমন করে ওঠে। মরিয়ম ছেলেমানুষ। সে উল্লসিত হয়ে ওঠে... ফুলের ঘ্রাণের চেয়ে এই ঘ্রাণটাকে বেশি আপন মনে হয় তার।
- ভাইজান, ভাতের গন্ধ পাইছ?
- হ। চল।
বোনকে কোলে নিয়ে হাসু বাড়ির দিকে হাঁটতে থাকে। হঠাৎ করে ও'র রাগ হয় খুব। কার উপর এই রাগ সে বুঝতে পারে না। বাপজানের উপর কী?
না- বাপজান যখন বেঁচেছিল তখনও তো তারা ভাত খেতে পেত না। বাপজান কোথায় কোথায় থাকত। হুট করে একদিন মাঝরাতে বাড়ি এসে চিৎকার শুরু করত।
- কই? আমার হাসু সোনা কই? আমার বুড়ি মা কই।
মরিয়ম ঘুমের ঘোরেই কথা বলত...
- বাপজান, কী আনছ আমাদের জইন্য?
বাপজান হাতের থলেটা থেকে এক মুঠো চাল বের হত। মা ভাত রান্না করতে বসত। হাসু হারিকেন নিয়ে জঙ্গলে যেত হারিকেন নিয়ে পাতা কুড়িয়ে আনতে। দাওয়ায় বসে অনেক আয়োজন করে খাওয়া হত সেই ভাত আর পাতার সবজি। বাপজান খেতে খেতে হাসত।
- বুঝলি বাপজান, ভাত আর পাতার উপরে দুনিয়ায় কিছু নাই!
মরিয়মের মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে হাসু হাসার চেষ্টা করে...
- ভাত আমরা খামুই। কাইল চেয়ারম্যান চাচা সবাইরে চাইল দিব বলছে না গাধা?
মরিয়ম হাসে। কাল সে ভাত খাবে। প্রাণ ভরে ভাতের গন্ধ নিবে।
*********************
ভোর হতেই হাসু দরজা খুলে উঠোনে এসে দাঁড়াল। চারটা ঘরের জন্য একটা উঠোন। পাশে একটা নলকূপ। ভোরের আলোর কোমলতা এই উঠোনে কিংবা ঘরগুলোতে অথবা অবহেলায় পড়ে থাকা নলকূপের পাশের থালাগুলোতে খুঁজে পাওয়া যায় না। পাশের ঘরের রহিমা খালা হাসুকে দেখেই গাল ভরে হেসে ওঠেন।
- হাসু, বাপ। জিনিস পত্তর যোগাড় করছস? বেশি কইরা ব্যাগ নিয়া নে।
- হ খালা।
- তাড়াতাড়ি বাইর হইতে ক তর মা'রে। মরিয়ম কই?
- আছে খালা। ঘুমায়।
দাঁতে মাজন দিতে দিতে হাসু উঠোনের বাইরে এসে দাঁড়ায়। অবাক হয়ে সে দেখে রাস্তাঘাটে এখুনি মানুষের ভীড় পড়ে গেছে। তাহের চাচা দূর থেকে চেঁচায়...
- কী হাসু। তাড়াতাড়ি কর। লাইন লম্বা হয়া যাইব...
তাহের চাচার ছেলেটা হাসে। ভোরের আলোর পবিত্রতাকে হার মানায় সেই ছেলেমানুষী হাসি।
- হাসু ভাইজান। আইজকে বাপজান মাছ দেখব। মাছ দিয়া ভাত খামু...
তাড়াহুড়ো করে হাসু ঘরে আসে। দেরী হলে চাল পাওয়া যাবে না।
- মা চল... তাড়া কর।
মরিয়মের ঘুম ভেঙে গেছে। সে কাঁদছে। মা আর ভাইয়ের সাথে সেও চাল নিতে যাবে। মা চেঁচিয়ে ওঠে মরিয়মের কান্না শুনে...
- কানবি না কইলাম।
হাসু বোনকে কোলে তুলে নেয়।
- চল মা। বিশাল লাইন পইড়া গ্যাসে।
রাস্তা ধরে মা - হাসু হেঁটে যায়। মরিয়ম হাসুর কোলে শুয়ে অদ্ভূত সব কথা বলতে থাকে।
- মা। আইজকা কি রানবা? ভাত দিয়া আমরা কী খামু?
- ভাইজান, আইজকা আমরা মাছ ধরতে যামু। ঠিক আছে?
চেয়ারম্যান বাড়ির অনেক দূর থেকেই হৈ হুল্লোড়ের শব্দ কানে আসে। হাজার হাজার মানুষ এই ভোরবেলাতেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েছে। হাসুদের জায়গা হয় অনেক পেছনে। লাইন যেন এগুতেই চায় না। কেউ কেউ চাল নিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয়...
- ওরে এত বেশি দিলেন। আমার ভাগে এত কম ক্যান?
কেউ কেউ কেঁদে ওঠে। আবার অনেকে হাসে। চালের গন্ধ পেয়ে অনেকের মন ভরে যায়। কিছুতেই অবশ্য পার্থক্য তৈরি হয়না তেমন একটা।
******************
দেখতে দেখতে দুপুরের রোদ মাথার ওপরে এসে পড়ে। ভয়ানক রোদে দাঁড়িয়ে থেকে হাসু সামনে তাকায়। তার মনটা খারাপ হয়।
মরিয়ম ঘুমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎ করে সে কাঁদতে শুরু করল...
- মা...
হাসু- মা প্রথমে ধরতে পারেন না মরিয়মের কান্নার কারণ। মা বিরক্ত হন। চুপ কর।
মায়ের বকুনি খেয়ে মরিয়মের কান্না থামল না। দর দর করে তার মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে শুরু করল। মা মরিয়মকে কোলে নিয়ে বসে পড়লেন ... চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলেন... কী হইছে মা?... কী হইছে? এখন আমি কী করুম? আমার মাইয়াটারে বাঁচান ... হাসু আমার মাইয়া এমন করতাসে কেন?
পেছন থেকে কে যেন খেঁকিয়ে ওঠল...
- ঐখানে কী হইতাসে? মরা নিয়া চাইল নিতে আসার দরকার কী? তোমাগো জন্য তো সামনেই যাওয়া যাইতাসে না। লাইন থেইকা বাইর হও মিয়া... লাইন থেইকা বাইর হও...
হাসু মাকে নিয়ে লাইন থেকে বের হয়ে আসল। মরিয়ম মাছের মত তড়পাতে লাগল। মা চিৎকার করে কাঁদছে। হাসুর দুই চোখ জলে ভরে যায়।
কয়েকজন ওদেরকে ঘিরে দাঁড়ায়। সবার হাতে চাল। মরিয়মকে দেখে কারো বোধহয় চোখে জল এসে যায়।
কে একজন বলে ওঠে...
- এখানে বইসা থাকলে তো মাইয়াটারে মারবা। ডাক্তারের কাছে নিয়া যাও।
- আইচ্ছ্যা, তুমি ওরে নিয়া ছায়াত যাও। তুমি চাইল পাইছ?
- তুমি লাইনে খাড়াও। আমি খালারে আর ওরে নিয়ে ডাক্তারের কাছে দিয়া আসি।
কয়েকজন মরিয়মকে ধরাধরি করে তুলে নেয়। মা কোন কথা বলেন না। চুপচাপ ওদের পেছনে হেঁটে চলেন।
**********************
ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নেমে আসে। এদিক ওদিক ঝিঁ ঝিঁ পোকারা ডাকতে শুরু করল। হঠাৎ করে সামনে হৈ চৈ শুরু হয়। হাসু সামনে তাকানোর চেষ্টা করে। সামনে থেকে গালি গালাজের আওয়াজ শোনা যায়... হারামীর বাচ্চা, বেবাকে চাইল পাইল... আমরা পামুনা ক্যান?... আইজ চেয়ারম্যানের বাড়ি জ্বালাইয়া দিমু... খুদার কসম...
ওদিক থেকে মানুষ ছুটতে শুরু করে। দুই পক্ষের চেঁচামেচিতে জায়গাটা ভারী হয়ে ওঠে। হাসু বুঝতে পারে না - তার কী করা উচিত। তার নড়বার শক্তি যেন হারিয়ে গেছে।
চেয়ারম্যানের লোকেরা লাঠি ছুঁড়তেই খালি হয়ে গেল সব। শুধু এক কোণায় হাসু দাঁড়িয়ে থাকে চুপচাপ। তার কোথাও যেতে ইচ্ছে করে না। পাশে সে চেয়ারম্যান সাহেবকে দেখতে পায়। তাকে ঘিরে ছোটখাট একটা দল। আলম চাচা... ফরিদ চাচা... কে কে যেন। সে দেখতে পারে না যেন। চেয়ারম্যান সাহেবরে ভারী কণ্ঠও হাসুর কানে আসে না হয়ত...
- বুঝলেন ভাইরা। সরকার থেইকা কি আর এই মংগা পড়া গ্রামে চাইল দিবার চাই। অনেক চেষ্টা তদবীর কইরা নিছি। আপনেরা তো আমার খবর টবর নেন না। হা হা হা। আমি অত নেমক হারাম না। আপনাগো লাইগা পাঁচ বস্তা কইরা করা রেডি আছে। কী কইলেন? ছি ছি। আপনেরা কষ্ট করবেন ক্যান? আমার লোক আপনাগো বাড়িত পৌঁছাইয়া দিয়া আসব। আরি না না। এ আর এমন কী?...
হাসু আজ সন্ধ্যায় কিছু শুনতে চায় না। সে আজ ঘ্রাণ নিতে চায়।
ভাতের ঘ্রাণ। ভাত ফুলের ঘ্রাণ!
মন্তব্য
আপনার বর্ণনা ভঙ্গি অসাধারন। বিষয় নির্বাচনও। হরেক রকম বিষয়বস্ত নিয়ে লিখতে পারেন।
আশা করছি, আজ থেকে ৫ বছর পর আপনার বই বইমেলা থেকে কিনতে পারব।
অতি উত্তম
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
@ রেনেট
আপনার সিগনেচার দেখে মনে পড়লো: Card games are like sex: if you don't have a good partner, you should have a good hand.
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধুরো! আপনি যে কি বলেন! এখানে গুড়ি গাড়া পোলাপান আছে। ভাল কথা বলেন।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
খারাপ কথা কী কইলাম? এইটা তো বাণী-চিরন্তনী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- রোযা রমযানের দিনে আর পবিত্রতা থাকলো না!
আস্তাগফিরুল্লাহ
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পবিত্রতা শুধু রোজার মাসে রাখতে হইবো কিল্লাই?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- এইটা এট্টা পরোশনো।
লগে আরেকটা পরোশনো হইলো, রোযা কেবল রোজার মাসেই রাখোন লাগবো কিল্লাই?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইডা কী কইলেন?
রমজান মাস রোজা রাখারই মাস। সেইটা তো জানা কথা। কিন্তু এই মাসটারে "পবিত্র" তকমা দিলে মনে হয় বাকি মাসগুলান নমঃশূদ্র টাইপ। তাগো পবিত্রতা নাই।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- তাগোও পবিত্রতা আছে। কিন্তু পুলাপানের লাইগা তো রাখোন সম্ভব হয় না। প্রতিবার সচলায়তনের পাতা ভিজিট করার পরপর ওযুর পানির ডাক দিতে হয়।
তয় কথা হইলো, যেহেতু রোজা রাখবেন এই মাসেই তাই পবিত্রতাও বেশি বেশি করোন লাগবো। কোনো খাতির নাই।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
রোজা রাখবো/রাখসি/রাখি, কেডায় কইলো?
পবিত্রতার আবার মাত্রা আসেনি! হয় পবিত্র, নয় অপবিত্র।
সোজা কথা।
অল্প-পবিত্র, আধা-পবিত্র, প্রায়-পবিত্র- ইগিলি তো অল্প-/আধা-/প্রায়-কুমারী বা অল্প-/আধা-/প্রায়-অন্তঃসত্ত্বা টাইপ কথাবার্তা
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
- আগের লাইনটাই ভালো আছিলো। শেষের লাইনে আইসা এইসব কী, শুনি? বাদ জুমা মসজিদের কোণায় বিচার বইবো কইলাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
আমি তো যামু না! তাইলে কি গায়েবী বিচার হইবো?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
না। গায়েবী বিচারের ব্যবস্থা নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হো হো হো
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
দূঃখের গল্প পড়তে ভালো লাগে না।
তবে নামটা সুন্দর হয়েছে, লেখাও।
ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
যথারীতি চমত্কার।
এতো বেদনার গল্প না লিখে দু-একটা মন-ভালো-করা গল্প লিখুন না!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
শেষ বিচারের আসরে উকিল নিয়োগের ব্যবস্থা না থাকলে ক্যাম্নে কী!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
মন ভালো করা গল্প তো হাতেই আসে না- মাথায়ও আসে না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
খুব সুন্দর।
এটা পড়ার পর আমার আবারও মনে হচ্ছে, অনেক অনেক গল্প পড়া উচিত। কিছুই পড়া হয়নি। গল্পের প্রতি ভালবাসা বাড়িয়ে দেয়ার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
বিজ্ঞানের লেখা তো অনেক পড়স। তোরে তো কই বাংলা সাহিত্যটা একটু পইড়া দেখতে। কত অদ্ভূত সব লেখা। অদ্ভূত সব লেখক।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অনেকদিন পর পরিবর্তনশীল গল্প লিখেছে
এতেই আমি মহা খুশী
{ঝাড়ি পরে দিব। (হাসিটিকন)}
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
হে হে হে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- এই ব্যাটা আর টোকিও বালক খালি মন খারাপ করা ফ্যাচকাঁদুনে গল্প ল্যাখে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
তাইলে কী শাবনূররে নিয়া আরেক কিস্তি লিইখ্যা ফেলুম?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বেশ বেশ...
ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ছোট খাট কিছু জিনিস লেখক লেখায় তুলে আনে, দুর্দান্ত লাগে সেই সব। নিজ হাতে ফুল তোলার ব্যাপারটা যেমন। গল্প ভালো লেগেছে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
আমি তো যা একটা লিখে ফেললাম। আপনার গল্প কই?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এ ক'দিন তুমুল ব্যস্ত ছিলাম। কাল থেকে ব্যস্ততা কমলো। এখন একটু লেখায় মন দিতে হবে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
হ। একটা লেইখা ঝুলায়ে রাখলেন। দাবী আরো জোরালো হইল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অসাধারণ পরিবর্তনশীল অসাধারন!!! *****
এত মন খারাপ হয়ে গেল, মনেহচ্ছে কেন আমি এত সুখে আছি খুব গিলটি লাগতেসে।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
আরে আপু। গিলটি লাগার কী আছে? ভালো থাকেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ফুলের চেয়ে ভাতের গন্ধ ভালো লাগে, সবার ঘরে ভাতের গন্ধ ছুটুক - কবীর সুমন।
আরও নিয়মিত লেখা চাই, পরিবর্তনশীল।
কবীর সুমনের বিশাল ক্যাটাগরির কোন লেখা পড়ছেন? গল্প উপন্যাস। পড়ার খুব ইচ্ছা ছিল। তবে এই মুহুর্তে আপনার গল্প পড়তে চাই। কতদিন হয়ে গেল গল্প লেখেন না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সময় পাই না রে ভাই।
কবীর সুমনের লেখা পড়ি নাই। আপনি পড়ছেন?
তাড়াতাড়ি লেখালেখি মধ্যে ফিরে আসেন। তাড়াতাড়ি।
না সুমন ভাইয়ের লেখা পড়া হয় নাই। পাইলে একটু জানায়েন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আইচ্ছা ।
এত দুঃসংবাদের মাঝে তোমার লেখা টা পড়তে গিয়ে তো মন আর ও খারাপ হয়ে গেল।
এবার মন ভাল করা একটা লেখা দাও।
না হলে খবর আছে।
মন ভালো করা লেখা লেখার চেষ্টা করছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
চমৎকার! চমৎকার লাগল লেখাটা!!
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
অনেকদিন পর আপনার ভালো লাগার গল্প লিখতে পেরে আমারও ভালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সাধু
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কারে সাধু কইলেন? আমারে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
চমত্কার গল্প । কমেন্ট করিনা বইলা আবার ভাইবেন না আপনার লেখা পড়িনা. । ধন্যবাদ আপনারে গল্পের জন্য । অতি অবশ্যই ভাল থাইকেন.. এমুন লেখা জারি রাইখেন ।
আমারও একই কথা। সব ছড়ায় কমেণ্ট করা হয়না বলে ভাইবেন না- আপনার ছড়া মুগ্ধ হয়ে পড়ি না।
আপনিও ভালো থাইকেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এরকম মন খারাপ করে দেবার কোন মানে হয়না।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
যথারীতি মনখারাপ করা মুগ্ধতা।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
যথারীতি থ্যাংকু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হুম........................ চম্তকার.................. মনে হয় আর কিছু বলার দরকার নাই ।
নিবিড়
ধন্যবাদ নিবিড়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
গপ্পোটা দারুল লিখেছ, গপ্পো বলেই মনে হচ্ছিলনা।
অনেকটা চোখের সামনে নাটক দেখবার মতন অনুভূতি !
--------------------------------------------------------
থ্যাংকু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
(দীর্ঘশ্বাস)!
___________________________________
বিষন্নতা ছোঁয় আমায় মাঝে মাঝেই, কখনো কি ছোঁয় না তোমায়?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নতুন মন্তব্য করুন