সেদিন লুংগী পরে বুফে খেতে গেলাম। গুলশানের ''এরোমা'' রেস্টুরেণ্টে। এমনিতে গুলশান আমার জীবনের একটা মাইলফলকের ভেন্যু। ইমরুল কায়েসের যেমন প্রথম ওয়ানডে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে- তেমনি শাড়ি আর সেলোয়ার কামিজের এই দেশে আমার প্রথম হাফপ্যাণ্ট দেখা গুলশানে।
সেই হাফ প্যান্ট আমি দেখেছিলাম- এক বন্ধুর বাবাকে রক্ত দিতে গিয়ে। ইউনাইটেড হসপিটালে রক্ত দেয়ার পরে আমার হাতে একটা জুস ধরিয়ে দেয়া হলো। একমি ম্যাংগো জুস। সেই ম্যাংগো জুস খেতে খেতে হাসপাতালের গেটে আসতে আসতে আমি জীবনে প্রথম বারের মতো চলন্ত একটা হাফপ্যাণ্ট দেখে ফেললাম। পড়ন্ত বিকেল- পাখিদের এদিক ওদিক ছুটোছুটি- হাতে একমি জুস আর সামনে চলন্ত হাফপ্যান্ট। বেশ রোমান্টিক পরিবেশ বলতে হবে।
যাই হোক- সেবার ভার্সিটি থেকে পকেট মানি দেওয়ার পর সাদ ঘোষণা দিল সে বুফে খেতে যাবে। আমি জীবনে কোনদিন বুফেতে যাই নাই। তাই জিজ্ঞেস করলাম---
- বুফে কি জিনিস? ঐটা ক্যাম্নে খায়?
- বুফেতে তুই আনলিমিটেড খাইতে পারবি। যা ইচ্ছা তাই।
- বিড়ি খাওয়া যাবে আনলিমিটেড?
- না। বিড়ি নাই।
সিদ্ধান্ত নিলাম বুফেতে যাবো না। এক বেলা খাওয়ার পেছনে এত টাকা খরচ করার দরকার কী? ছয়শ টাকা দিয়ে এক বেলা হাফ প্লেট ডেটিং করা যায়- দশ প্যাকেট গোল্ডলীফ সিগারেট কেনা যায়। বুফে খাওয়ার প্রয়োজন দেখলাম না।
সাদ ঘোষণা দিল দুপুরের দিকে - বিকেলের দিকে পুরা ডিপার্টমেণ্টে সাজ সাজ রব পড়ে গেলো। মুহাম্মদ পর্যন্ত রুমের সামনে চুলে ভাঁজ দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাম-
-কী রে? এভাবে সাজছস ক্যান?
মুহাম্মদ লজ্জা পেল। মুখরেখায় লজ্জার তুলি আঁকল শালায়। বলল...
- এই তো। গুলশানে যাবো। একটা ব্যাপার আছে না...
আমি কয়েকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করলাম।
- দোস্ত। গুলশান টুলশানে গিয়ে এত টাকা নষ্ট না করে গাজীপুর চৌরাস্তায় চল। একশ টাকা খরচ করলে সারারাত খাওয়া যাবে।
বিকেল পাঁচটায় নোটিশ জারি হলো- যে ব্যাটা আজকে বুফেতে যাবে না এবং অন্যকে যাওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করবে তার খবর আছে। আমি প্যাঁচহীন ব্যক্তিত্ব। মাইর টাইর ভয় লাগে। তাই রাজী হয়ে গেলাম... ছয়শ টাকা জলে ফেলে দিতে হবে।
ঠিক করা হলো- সন্ধ্যা সাতটার দিকে একটা বাস রিজার্ভ করে রওনা দেওয়া হবে। সবাই যথাসম্ভব স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করেছে গুলশানের মেয়েদের কথা মাথায় রেখে। বডি স্প্রে আর সেণ্টের গন্ধে বিড়ির গন্ধ ঢাকা পড়ে গেছে আমাদের হলে।
আমার চেহারা আর শারীরিক গঠন জন্মগতভাবে আন-হ্যান্ডসাম। সুন্দর পোষাক আশাক পড়লেও তেমন একটা লাভ হয় না। তাই সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় আমি এবং তুহিন সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা লুংগী পরে বুফে খেতে যাবো। আনকমন কিছু একটা করলে সুন্দরী কোন মেয়ের চোখে পড়লেও পড়ে যেতে পারি।
ছোট্টবেলার সেই ঘটনার অনেকদিন পর লুংগী পরলাম। নিচে নেমে বাস স্ট্যাণ্ডে হেঁটে যেতে যেতে আমি লুংগীর প্রেমে পড়ে গেলাম। বেশ একটা মুক্তির স্বাদ পাওয়া যায়। সন্ধ্যার মুক্ত বায়ু আমার শরীর ভেদ করে ঢুকে পড়ছে। শীতল একতা অনুভূতি!
সেদিন বাতাসের কারণেই হোক অথবা না পরার অভ্যাসের কারণেই হোক- হল থেকে বাস স্ট্যাণ্ডে যেতে যেতে দুইবার লুঙ্গী বাঁধন ছেড়ে চলে যাবার চেষ্টা করল। ইমন বলল...
- দোস্ত। রেস্টুরেণ্টে যাওয়ার পরে লুঙ্গীতে হাত দিয়ে রাখিস। কোন মাইয়ার সামনে যদি একটু ছুইটা যায়। কেলেংকারি হয়ে যাবে।
বাস রিজার্ভ করতে পারলাম না। চলন্ত কোন বাসেও আমাদের জন্য জায়গা খালি নাই। রাস্তার মাঝখানে আমরা পঁয়ত্রিশ জন দাঁড়িয়ে আছি বাসের জন্য। আমার লুংগী পতাকার মত উড়তে চায়। তাকে আমি জোর করে ধরে রাখি... বেশি উড়িস না ভাই... কিছু একটা হয়ে যাবে।
তুহিন নিয়মিত লুঙ্গী পরে। ও'র কোন সমস্যা হচ্ছে না। কে একজন বলল...
- ইশ। সবাই লুঙ্গী পরে আসলে ভালো হইত!
অবশেষে গাড়ি পাওয়া গেল। এবং অবশেষে আমরা এরোমার সামনে এসে দাঁড়ালাম। এরোমার সামনে এসে বেশ আমোদ বোধ করলাম। রাব্বানী বলল...
- আহ! কতদিন পর কম্পিউটারের মনিটরের বাইরে মেয়ে দেখলাম।
এরোমাতে পা দেওয়ার সময়ও আমি জানতাম না- একটু পর কী নাটক হতে যাচ্ছে।
কোন কোনওদিন এমনও হয়!
(চলবে। জানতে হলে চোখ রাখুন নিয়মিত। )
মন্তব্য
আচ্ছা, ব্র্যান্ডের লুঙ্গি নাই? আরমানি কিংবা লিভাইস এর মতো?
কিংবা লেদারের লুঙ্গি? গুচ্চিতে চেনাজানা কেউ থাকলে আইডিয়াটা পাস করা যাইতো।
লুঙ্গি একটা খুবই সম্ভাবনাময় পোশাক। এতে নতুন নতুন ফীচার যোগ করা আমাদের কর্তব্য।
... খালি বইলো না যে খাওয়ার পর লুঙ্গি তুলে মুখ মুছছিলা।
হাঁটুপানির জলদস্যু
এর চেয়ে অনেক বেশি কিছু হিমু ভাই।
নেক্সট পর্বে আসবে। খালি বলে রাখি- এক পর্যায়ে লুঙ্গী খুলে ফেলতে হইছিল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লুঙ্গি তুইলা মুখ মোছার চেয়ে লুঙ্গি খুইলা মুখ মোছা উত্তম ।
হাঁটুপানির জলদস্যু
ডায়ালগ তো দিয়া দিলেন। এই ডায়ালগ সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করতে চাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বন্ধুমহলে আমি একবার প্রস্তাব কছিলাম জিন্সের লুঙ্গির কথা, পোলাপান তেমন আমল দেয় নাই, আপ্নেরা কি কন ?
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
- ফাইজলামি করেন মিয়া?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ফুটুক আছে। কিন্তু জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাইত না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- ফটুক দেখাইতে হইবো না। বিশ্বাস খাইছি। আমি যদি জার্মানীর সাবেক রাজধানীতে লুঙ্গি পইরা ঘুরতে পারি তাইলে আপনে গুলশানে লুঙ্গির শান-শাওকাত দেখাইবেন, এটা আশ্চর্য কী!
কিন্তু এরোম যাগায় আইনা শেষ করলেন যে সহ্য হইলো না। কুইক সার্ভিস করোন যায় না!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
পরীক্ষার মইধ্যে আছি। বড় কষ্টে আছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বাকি পর্ব তাড়াতাড়ি চাই ।
নিবিড়
সবাই খালি সিরিজ দেয় ভাই আপনি বাকি পর্ব একটু তাড়াতাড়ি দেন, প্লীজ ।
নিবিড়
সাইধ্যমত চেষ্টা কইরা হবে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বাকিটা কই???
এইভাবে আশাহত করা ঠিক হচ্ছে না।
শীগগির লিখে ফেল...। রুদ্ধশ্বাস অপেক্ষায় আছি, মারা পড়তে পারি কিন্তু।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
এসব অলুক্ষুণে কথা কইয়েন না ভাইজান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পোলাপাইন এত সুন্দর করে লেখে যে মনটা ভালো হয়ে যায়.. খুবই সাধারণ কথা কিন্তু পড়তে ভাল লাগে
আবারো যেমন
খাইছে! তবুও থ্যাংকু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এইভাবে কাহিনী ঝুলাইয়া রাখা ঠিক না।
কাহিনী ঝুলায়া রাখি নাই তো। পাঁচতলা থেকে নামার সময় কাহিনী নিজেই আমারে নামায়া দিয়া ঝুইলা পড়ছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লুঙ্গি পইরা এইরকম রাস্তার মাঝখানে থাইমা যাওয়াটা কি উচিত কর্ম হইলো, ভাইজান?
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
রাস্তায় এত বাতাস। থাইমা যাইতে মন চাইছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তুহিনের তো অভ্যাস আছে। নিজের বিপদটা বুইঝেন।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আহ্হারে, মনে করাইয়া দিলেন চিটাগাং বন্ধুদের সাথে বেট ধরে সোহরাওয়ার্দি হল থেকে লুঙ্গি পরে বিকেলের পিক আওয়ারে সামসুন্নাহার হলে গিয়ে কী কেলেঙ্কারীতেই না পড়েছিলাম !
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
কেলেংকারি মানে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- খুইলা গেছিলো মনেহয়। নিচে কিছু আছিলো না বস?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ওই মিয়া, এই জায়গায় ঝুলায়া রাখার মানে কি!
তাড়াতাড়ি, ম্যাননননন, তাড়াতাড়ি!
_______________
বোকা মানুষ
ধৈর্য্য ধরেন । ভালা জিনিস পাইতে হইলে ধৈর্য্য ধরতে হয়।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তয় বেশিদিন ধৈর্য ধরতে হইলে কিন্তু আজীবন লুঙ্গি পড়ার ফতোয়া জারি করা হবে তোমার বিরূদ্ধে
_______________
বোকা মানুষ
খেলুম না! কেমন জায়গায় শেষ হইলো!!!
খুব খারাপ!!!!
পরেরটা তাড়াতাড়ি আসুক
হে হে। সবুরে মেয়ে ফলে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
জয় বাবা লুংগিনাথ। পোস্ট নিবিড় পর্যবেক্ষনে রাখা হইল।
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
আইজকা খেলা দেখলেন নাকি?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ঝুলাইয়া রাখা এই লোকটার খাইছলত হইয়া গেছে ~x( (ত্যাক্ত-বিরক্ত).......
.....................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা
আরে। কী কয়? এর আগে একবারই তো ঝুলাইছি!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
গল্পটা হয়তো রিটন ভাই জানে... অন্যদের জন্য বলি...
বাংলাদেশের একজন বিখ্যাত ছড়াকার... খুবই পোংটা কিসিমের। তার যুবক কালের গল্প... তিনি একবার টিএসসিতে বইসা বাজী ধরলেন যে ৫০ টাকা দিলে তিনি লুঙ্গি খুলে রোকেয়া হলের সামনে দিয়ে যাবেন।
তো যেই কথা সেই কাজ... তিনি লুঙ্গি তুলে মাথায় বেঁধে সোজা দিলেন দৌড়...
পরি... তাড়াতাড়ি বাকিটুক ছাড়েন... নাইলে পরীক্ষা ভালো হইবোনা কইলাম।
আর গুলশানে এখন ২৭৫-৩০০ টাকায় ভালো বুফে পাওয়া যায় বলেই তো জানি... কেন যে বেহুদা এত টাকা খরচ করেন!
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
২৭৫/৩০০ তে বুফে! বস, সেই দিন মনে হয় আর নাই। ভ্যাট মিলায়া এখন তো লাঞ্চে ৪০০'র বেশি আসে। আর পরিবর্তনশীলরা তো ডিনারে গেসিলো, লাঞ্চের চেয়ে ডিনারের খরচ আরো বেশি।
এই পোংটা কিসিমের ছড়াকারটা কে???
_______________
বোকা মানুষ
বিখ্যাত লোকদের এইসব কাণ্ড সনামে পাবলিক প্লেসে ছাড়ার বিপদ আছে...
আপনেরে কানে কানে বলুমনে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
এক কান আমার এক কান বিডিয়ার ভাইয়ের।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সেই বিখ্যাত ছড়াকারের সবগুলো কাহিনী জমা করলে একটা আস্ত বই হবে ।
পরিবর্তনশীল এটা কী করলে? আজকাল সিরিজ দেখলেই আমার মাথা য় কামড়ায়।এগুলো কখন কোথায় বিরতিহীন বাসের মত থেমে যায় তার ঠিক নেই । তারপর বসে বসে মাথার চুল ছিঁড়া ছাড়া উপায় থাকে না।
অতএব তুিম ঠিক কাজ করো নাই।গল্প লেখার আগে ঠিক করে নিবে কোথায় থামবে নাহলে শক্ত মাইর আছে কপালে।
তাড়াতাড়ি বাকী অংশ ছাড়.........
চুল ছিঁড়ে ফ্যালেন। নাপিতের খরচটা কমবে। পরে ঐটা দিয়ে বুফেতে যাইতে পারবেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নজরুল ভাই, সেই ছড়াকারকে আমি চিনি। নগ্নতাই যে অশ্লীলতা নয়, বরং কখনো কখনো অহঙ্কার হয়ে উঠতে পারে, সেটা এই জীবনে প্রথম দেখেছি তার কাছে। দ্বিতীয় দেখেছি আমার জাহাঙ্গীরনগরের কিছু বন্ধুদের... বন্ধুর জন্মদিনে তাকে নেংটু করে কাধে চড়িয়ে ঘোরানো, নতুন কোনো ছাত্রে তাদের হলে কাউকে খোঁজ করতে এসেছে, তাকে হেঁটে আসতে দেখতে পেয়ে রুমের জানালায় পাশাপাশি তিনজন পশ্চাদ্দেশ মেলে রাখা... এই ধরনের বদমায়েশি তারা সারাজীবনই করে এসেছে। এখন বাপ-চাচা হয়ে যাওয়ার দরুন সেসব ছাড়ান দিয়েছে।
আর আমার কেলেঙ্কারির ঘটনা হল, বছর দশেক আগে আমরা কয়েক বন্ধু এবং বান্ধবী মিলে সেন্ট মাটির্নস ঘুরতে গিয়েছিলাম, টেকনাফে ফরেস্টের বাংলোয় ছেলেরা এক রুমে, মেয়েরা আরেক রুমে। মেয়েদের মধ্যে আমাদের এক সদ্য বিবাহিত পোংটা ভাবিও ছিলেন। আমরা তিন ছেলেবন্ধু জীবনটাকে আদিম আনন্দে অনুভব করার লক্ষ্যে রুমের লক আটকে জামাকাপড় খুলে মদ খেতে বসলাম। বেশ খানিকক্ষণ কেটেছে, এমন সময় দরজায় টোকা আর ধাক্কা! উঃ মেয়েদেরকে তো মানা করে এসেছি দরজায় টোকা না দিতে... সবাই মিলে হুড়োহুড়ি করে আবার শর্টস, লুঙ্গি পরা হল! দরজা খুলে দেখি আমাদের ভাবি দাড়িয়ে। পিছনে আমাদের বান্ধবীরা হাসতে হাসতে কুটোপাটি...
ভাবি নির্বিকার মুখে বললেন, এই দরজায় কিন্তু একটা ফুটো আছে, সব দেখা যায়, আমি তোমাদের কাণ্ড দেখার পর ওদেরকেও ডেকে এনে দেখিয়েছি... এইসব কাণ্ড করতে হলে তোমাদের এমন একটা রুমে সেটা করতে হবে, যেখানে কোনো ফুটো নেই... এই বলে সে তো চলে গেলেন!
আর আমরা তিন বন্ধু আতঙ্কিত হৃদয়ে গবেষণা করতে লাগলাম, নেংটু হয়ে কে কীভাবে কোনদিকে ফিরে শুয়ে বসে ছিলাম, দরজার দিক থেকে কার কতটুকু দেখা গিয়েছে, ইজ্জত কার কতটুকু অবশিষ্ট আছে...
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!
--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
বস... এইখানে একটা ঘটনা আছে... কিন্তু সেইটা জনসম্মুখে প্রকাশযোগ্য না... নাইলে মাস্তি কা পানশালার একটা দারুণ পর্ব হইতো...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
অত চিন্তার কিসু নাই, সব তো নিজেদের লোক। পোস্টায়া দেন
মৃদুল ভাইয়ের কাহিনী পড়ে তো হাসতে হাসতে পেট ব্যথা হবার দশা!
_______________
বোকা মানুষ
সাবাস! লুঙ্গীর জয় হোক।
পরের র্পবের অপেক্ষায়......
লুংগীর জয় তো হয়া আছেই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেখাটি বরাবরের মতোনই দারুন। কেমনে যে পারেন এত ভাল লিখতে। হায়!
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
বুঝছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এইভাবে লুঙ্গী থুক্কু গল্প ঝুলায় রাখার মানে কী! তাড়াতাড়ি পরের অংশ বাইর কর...
_________________________________
| নাদানের ছোট্ট জগৎ |
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
সবুরে মেয়ে ফলে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সবুরে "মেয়ে" ফলে??
_________________________________
| নাদানের ছোট্ট জগৎ |
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
তারাতারি লিখ কি হয়েছিল তারপর? তারপর?????!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ঘটনা সন্দেহজনক। তোমার লুঙির জিপার খোলা ছিলো না তো?
-----------------------------------
... করি বাংলায় চিৎকার ...
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
এখন বলা যাবে না।
সময় হয় নাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
জয় বাবা লুঙ্গীনাথ।
পরের অংশের অপেক্ষায় আছি।
এই তো আর মাত্র কয়েকটা দিন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ব্যাটা প্রথম কয়েকটা প্যারা পড়ে তো আমি হাসতে হাসতে শেষ। চলন্ত হাফপ্যান্ট।
মনে আছে সেদিন নিরুৎসাহিত করনের দলে এই অধমও আছিল? তুই শালা পরিবর্তনশীলের বাচ্চা ঠিকি রাজি হইয়া গেলি। কিন্তু আমার কাছে ঐ *লের খাওয়ার চেয়ে দশ প্যাকেট সিগ্রেটি বেশী দামী।
তয় তোদের তোড়জোড় দেখে আমি একটু ভ্যাবাচ্যাকা খাইছিলাম। ডিপার্টমেন্টের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব হওয়াতে যেই দেখে সেই কয় ঐ তুই ট্রাউজার পরে আছিস ক্যান? যাবি না?? আমি তখন কি করি? পরে যাইয়া ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে পলাইলাম।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
কি মিসটা করলি!
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
অপেক্ষা, হায় রে অপেক্ষা!!
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
অপেক্ষার জ্বালা বড় জ্বালা গো ময়না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এ্যাত কাছে এসেছিলেন! অ্যারোমার লাগোয়া বি.এফ.সি। আর এর পাশেই আমার অফিস।
ঘটনাটা কবেকার?
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
________________________________
সমস্যা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ; পালিয়ে লাভ নাই।
এই তো এই সেমিস্টারের ফার্স্টের দিকে। অর্থাৎ জুনের দিকে। আপনার অফিস কোনে?
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
মহিবের পড়া লুংগিটা মনে হয় আমার ছিল।
বাকি পর্ব তাড়াতাড়ি ছাড়।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
হ। এতক্ষণে মনে পড়ছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পরের পর্ব কই ! লেহে না কেন পোলাডা !
------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
পোলাডা মরবার লাগছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তাপ্পরে?
হhাaজjূwডdজjসsডdহhিiসsহhডdিiহhসsডd
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
লেখা বিষয়ে আর কী বলবো!
পরবর্তী পর্ব কবে?
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
আইজকা আসার কথা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তুমি দেখি এক্কেরে সিরিয়াল নাটকের মতন জায়গা মতন আইসা ব্রেক দিসো। এটা তাড়াতাড়ি শেষ করো নাইলে খবর আছে। নাকি আবার তোমাগো পরীক্ষা চলতাছে এখন !!!
গুলশানে চলন্ত হাফপ্যান্ট ছাড়াও অনেক মজার মজার জিনিস দেখা যায় মাঝে মাঝে, আমার তো অনেক সময় ওদিক গেলে মনে হইতো এটা কি ঢাকার বাইরে নাকি কোথাও ? যাই হোক লুঙ্গি আমি পরতেই পারিনা। খুইল্লা গেলোগা মনে হয়।
--------------------------------------------------------
নতুন মন্তব্য করুন