সকাল বেলা ইমন ডাকল... ঐ মহিব আটটা বাজে- টাইম নাই... ওঠ। ওঠ... চোখ খুলতে হয়। রুমের বাইরের করিডোর থেকে পোলাপাইনের হাসি শোনা যায়। রুমের বাইরে গিয়ে দেখতে হয়- ভালো ছাত্ররা একেবারে যাকে বলে ফিটফাট হয়ে রেডি হয়ে আছে। আজকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং শুরু হচ্ছে। বাইরে বৃষ্টি। তার চেয়েও বেশি পরিমাণে শীত। আলাদা কোন আকর্ষণ অনুভূত হয় না। বরং খানিকটা বিরক্ত হয়- বৃষ্টিকে দেখে।
এমনিতে আমার মনটা খারাপ। তার উপরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরে আমাদের গ্রুপটা টাইপের না। তের জনের মধ্যে অধিকাংশই হুজুর- অথবা হুজুর হওয়ার পথে। অবশ্য আমাদের পুরো ব্যাচেই হুজুর হওয়ার ধূম পড়েছে। আগে ল্যানে যাদের পিসিতে (Y মাইনাস 1) শেয়ারে দেওয়া থাকত- তাদের পিসিতে ঢুকলেই এখন চোখে পড়ে জাকির নায়েকের সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত কোন ভিডিও কিংবা ডারউইন তত্ত্বের ভুল সংশোধন।
প্রথম সপ্তাহে আমাদের যেতে হবে সাভারে। বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান। আমরা তেরজন আর একজন স্যার রওনা দেই সাভারের উদ্দেশ্যে। মাইক্রোবাসের কাচ দিয়ে বাইরের পৃথিবী দেখাই যায় না- বৃষ্টির ছাঁটে। তবুও কেন জানি মনে হয়- গায়ে বৃষ্টির ফোঁটা এসে পড়ল। হতে পারে গাড়ির কাচে কোন ছিদ্র আছে- যেটা ভেদ করে বৃষ্টিরা এসে পড়ছে। হতে পারে আমার মনের ভুল। তবুও ভালো লাগে না। মাইক্রোবাসের এক কোণায় চুপ হয়ে বসে থাকি। পেছন থেকে নিপুণ বলে... কী রে মহিব মুখে টেপ লাগাইয়া দিছে নাকি কেউ... কথা বলস না ক্যান? ... গান ধর্...
ইদানীং গান শোনা হয় না তেমন। শুধু গাই... আর গাই। বুদ্ধি হওয়ার পর আমি বোধহয় খুব কম সময়ই মুখ দিয়ে শব্দ- যেটাকে আমি গান বলি- বের না করে থেকেছি।
নিপুণের কথায় গান ধর্তে ইচ্ছে করে না। চন্দ্রা- সফিপুর পার হয়ে গাড়ি ছুটে চলে। ইচ্ছে করে একটা সিগারেট ধরিয়ে মুখে গুঁজে দিই... কিন্তু বদ্ধ গাড়িতে সে সাধ পূরণ করার কোন সম্ভাবনা নেই। আমাদের তেরজনের মধ্যে বিড়িখোর তিনজন। আমরা সংখ্যালঘু!
পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছুতে না পৌঁছুতেই ক্লাস শুরু হয়ে গেল। গাড়ি থেকে নেমেই দেখি কাঠখোট্টা ধরণের একটা দালান- যেখানে আমাদের ক্লাস হবে। বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে তো বাড়ছেই। পরমাণু গবেষণা প্রতিষ্ঠান একটা বৈশিষ্ট্য ভালো লেগে যায়। চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ। তবুও আমার সিগারেট খাওয়া হয় না।
প্রথম ক্লাসেই পরমাণু প্রতিষ্ঠানের চীফ সাইন্স অফিসার কোন ভনিতাই না গিয়ে আমাদের বেসিক পরীক্ষা শুরু করেন। রহস্যময় এক হাসি দিয়ে বলেন- বলো তো ইলেকট্রিক সার্কিটের মূল সৌন্দর্য কী?... কাউকে উত্তর দেয়ার সুযোগ দেন না প্রশ্ন করে। নিজেই টেনে টেনে বলেন...
- ক্যাপাসিটর... ক্যাপাসিটর।
আমি বাইরে তাকানোর চেষ্টা করি। লাভ হয় না কোন। বৃষ্টির কারণে কিছুই দেখা যায় না। তবুও কিছুক্ষণ তাকাই।
চীফ একটার পর একটা সার্কিট আঁকেন... আর ইনপুট গ্রাফ এটা হলে... আউটপুট গ্রাফ কী হবে এসব বলতে থাকেন... আর আমি বুঝতে পারি আজ আমার ম্যান্দা মেরে বসে থাকার দিন।
এরপর শুরু হয় সেকেণ্ড পিরিয়ড। কমবয়সী একজন এসে যখন দাবী করেন... তিনিই এখন ''গামা ক্যামেরা''র ক্লাস নিবেন। অবাক হতে ইচ্ছে করে না। লেকচার শুরু হয়। কিভাবে মানুষের শরীরের রোগ নির্ণয় করার জন্য... গামা রেডিয়েশন ব্যবহার করা হয়... এসব হাবিজাবি... আমি পাশে বসা শোয়েবকে বলি...
- দোস্ত, খাতা থেকে একটা পৃষ্ঠা ছিঁড়ে দে তো।
- ক্যান? এখন খাতায় লেকচার তুলবি নাকি- আঁতেলদের মতো।
- হ।
ছেঁড়া পৃষ্ঠা সামনে নিয়ে কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করে। একটা গল্প। খুব সুন্দর একটা গল্প। যেখানে একটা ছেলে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। যা চায় সব পায়। লিখতে লিখতে পৃষ্ঠা ভরেও যায়। অনেকদিন পর খাতায় নিজের হাতের বাংলা লেখা দেখে অবাক হতে ইচ্ছে করে। সাদাত বলে...
- কী রে? প্রেমপত্র লিখতেছস নাকি বইসা বইসা?
এসব বাজে দিনে আমার সকল প্রশ্নের উত্তর একটাই। আমি উত্তর দেই...
- হুঁ।
মাঝখানে লাঞ্চ ব্রেক। কোনমতে ''লাঞ্চ'' খেয়ে সিগারেট টানি। ভাগ্যিস! এই একটা জিনিস আছে এমনও মেঘেলা দিনে। সিগারেট... কানে বাজে এখনো পুরনো সেই পিয়ানোর ঝংকার... নিকোটিনে হলদে হয়ে যাওয়া দশটা আঙুল...
লাঞ্চের পর চারটা পর্যন্ত ক্লাস হলো। সেই একই গল্প। এটা কী? ওটা কী? এটা এমন কেন হলো? ওটা এমন কেন হলো?
মাঝেমধ্যে অভ্যাসের বশে পকেটে হাত দেওয়া হয়। পকেটে একটা বস্তুর অস্তিত্বহীনতায় বেশ আশ্বস্ত হয়। আমি এখন ''মোবাইল''হীন একজন মানুষ।
ফিরতি পথে উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই ঘটে না। সেই এক কোণায় বসে থাকা- বদ্ধ গাড়িতে সিগারেটের তৃষ্ণা...
এর মধ্যে শাওন ফুল ভলিউম গান ছেড়ে দেয়... আর এক হুজুর বলে... দোস্ত গানটা বন্ধ করা যায় না। এবং শুরু হয় কথা কাটাকাটি। শাওন বলে...
- তোর একার জন্য আমি গান শুনতে পারব না?
হুজুর বলে...
- আমার একার না। সবার ডিস্টার্ব হচ্ছে...
আমার মুখ দিয়ে হঠাৎ করেই কথা বের হয়ে যায়...
- আমার ডিস্টার্ব হচ্ছে না।
পাশে ফিরে সাদাত... নিপুণকে বলি... তোদের হচ্ছে?
কথা উত্তপ্ত হওয়ার আগেই চুপ হয়ে যাই। আজ আমার কথা বলার দিন না।
আইইউটিতে এসে ঘুমাই কিছুক্ষণ। আধা ঘণ্টা... পঁয়তাল্লিশ মিনিট... একটা মুভিও দেখে ফেলি...
জন ক্রাউলি'র ''boy a''... মনের মধ্যে বিঁধে থাকা কাটাটা আরো তীক্ষ্ণ হয় মুভিটা দেখে।
উঠে বসি। মনিটরে নোটপ্যাড অন করি। লটকে থাকা মেগা সিরিয়ালটা লেখার চেষ্টা করি... হয় না। গীটার হাতে নিয়ে টুং টাং করি... সুর আসে না...।
একটু আগে দেখা ''boy a'' র কথা মনে হয়। মানুষের অপরাধের বুঝি কখনোই ক্ষমা হয় না। সমুদ্রের জলে যদি থুতু ফেলো... যদি সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের সাথে মিশে যায় সে থুতু... যদি কেউ না দ্যাখে... তবুও তোমার লজ্জা হবে... তুমি স্পষ্ট শুনতে পাবে সমুদ্রের অভিশাপ। যদি মেল ট্রেনে খড়ি দিয়ে নারীর শরীর আঁক... যদি বৃষ্টির জলে সে শরীর মুছে যায়... তবুও তুমি শুনতে পাবে মেল ট্রেনের অভিশাপ।
শুধুমাত্র আলস্যের কারণে গতকালের প্রতিবাদে না যাওয়ার মতো বড় অপরাধ জীবনে যে খুব একটা এখনো করা হয় নি...
মন্তব্য
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- লেখায় সামান্য একটা ভুল আছে গুরু। y-1 এর আগে একটা 3 বসে নাই প্রিন্টিং মিশটেকের কারণে।
মাঝে মধ্যে 'হু' 'হা' টাইপের উত্তর আমার কোন কথোপকথনেও চলে আসে। ঘটনাগুলো উপলব্ধি করতে পেরেছি তাই। গাড়িতে ঐ সামান্য সময়ের জবাবটা দরকারী ছিলো।
শেষের দুই লাইনের অনুভূতিটা আপনার একান্তই নিজের থাকুক। ওটা নিয়ে কথা বলার ধৃষ্টতা নেই।
মোবাইল দুষ্ট জিনিষ, না রাখাই শ্রেয়। এখন একটা বিড়ি খাবো।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
যাহা ১ তাহাই ৩। বুঝে নিতে হবে। বুঝে ইজি থাকতে হবে।
বিড়ি ছাড়া আর কিছুই হইল না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সিদ্ধান্ত নিয়া ফেললাম। এটমিক এনার্জিতে যামু না। আইজকা আমাদের ছিল বিটিসিএল (বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড)। এক তাবলীগ ইঞ্জিনিয়ার মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে সব দেখায়া মুক্তি দিছে। তাবলীগেরা এতো ভালা হয় ক্যান?
মহিব, শেষের কথাগুলা খুব ভাল্লাগছে কিন্তু। যদিও দুঃখের কথা..
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তোরা বাঁইচা গেলি। তোদের এটমিক এনার্জি নাই। এনার্জি প্যাক। ঐটা নাকি অনেক ভালো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
সুন্দর আপনার দিনলিপি (দিনটা অসুন্দর তাতে কী)।
অসুন্দরের মাঝে সুন্দর খুঁজে পাওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এ.ই.আর.ই-তে আমাদেরও এক সপ্তাহ কাটাইতে হইসিলো। আর তুমি গ্রুপ নিয়ে যে সমস্যায় পড়সো, আমারও একই সমস্যা ছিলো। খালি তফাৎ হইলো আমি পড়সিলাম সব ভালো ছাত্রদের গ্রুপে... যারা খালি পড়াশুনা-গ্রেড নিয়ে চিন্তিত। ফার্স্ট বয়, সেকেন্ড বয়, থার্ড বয়, ফোর্থ বয়... তবে এর মধ্যেই মজাও করসি...
মাঝে মাঝে এইরকম সময় আসে... আশা করি, খুব তাড়াতাড়ি ফর্মে ফিরবা... মোবাইলহীন ক্যামনে হইলা? আছড়াইয়া ভাঙসো নাকি? মুভিটা দেখিনি এখনো... দেখতে হবে... আর শেষ দুই'লাইন নিয়ে আসলেই কিছু বলার নাই... পারলে মাথা থেকে দূর করে দাও চিন্তাটা...
একটা কথা, শিরোনামটা কী "চীনদেশ" হবে?
এরকম সময় যত বেশিক্ষণ থাকে ততই বোধহয় ভালো। অনেক কিছু বুঝতে পারব।
ঐটা আর বদলাইলাম না। লেট হয়ে গেছে।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পড়লাম। চমৎকার লাগল।
====
চিত্ত থাকুক সমুন্নত, উচ্চ থাকুক শির
ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
বর্ণনার ভঙ্গিটা অসাধারণ লাগলো। কনটেন্ট নিয়ে তেমন কিছু বলতে চাই না, খারাপ লাগছে খুব, উদ্বেগ বাড়ছে।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আরে ধুর মিয়া, আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুরটায় সব থেকে মজ়া হয়েছিল... মজার কারন আমাদের প্রিয় কিংকুভাই... আমিও ক্যামনে ক্যামনে জানি ভাল ছাত্রদের সাথে পড়ছিলাম বাট আমাদের ভাল ছাত্রগুলা অসাধারন ছিল... নো আতলামি......
ঐখানে আমাদের ইন্সট্রআক্টর সিল বদি ভাই নামের একজন...... কিংকু ভাই ঘুমাইতে গিয়ে চেয়ার আর কম্পু ভেঙ্গে ফেলছিল...... আরও কিছু ছিল কাহিনি ঐটা আমি এখন র বলতে চাছছি না... হয়ত কিংকু ভাই নিজেই বলবে... ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং এরপর আমরা অই গ্রুপ মিলে এক্টা প্রজেক্ট করসিলাম ৫ জন মিলে---- আমাদের আইউটি লাইফ এর সেরা সময় ছিল সেইটা... পুরা হল জুড়ে আমি, টিকটিকির ল্যাজ, শাহান, কিংকু, রিদয়ান র ছিল সোহাগ ভাই...... সারাদিন ঘুমাইতাম আর রাতে কাম করতাম আর আড্ডা মারতাম... ঐটা নিয়ে কিঙ্কু হয়ত আমার থেকে অনেক সুন্দর করে লিখতে পারবে... তাই ওরেই অনুরধ করতেসি...... কাজেই মুহিব এই টাইমে মন খারাপ না করে এঞ্জয় কর...
আপনাদের প্রজেক্টের কাহিনী শুনছিলাম। ট্যুরটা এক ফোঁটাও ভালো লাগতেছে না। ভাগ্যের দোষ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
এ.ই.আর.ই তে আমরা যেবার গেসিলাম সেবার ছিল হরতালের সময়। পাঁচদিনের ট্যুর আমরা মাত্র দুইদিনে করসিলাম। যাওয়ার আগে বহুত কল্পনা করসিলাম যে বাংলাদেশের সব জ্ঞানীগুনী লোকজন অইখানে কাজ করে, নিশ্চয় গিয়ে দেখব এরা হিসেব নিকেশের কাগজের মাঝে নিজের কাজ নিয়ে ডুবে আছে আর হিসাব মিলাতে না পেরে মুঠি মুঠি মাথার চুল ছিঁড়ছে!
যাওয়ার পর দেখি দেশের বাঘা বাঘা সাইন্টিস্ট পেন্টিয়াম কোর ডুয়ো (২০০৪ এ এটাই ছিলো বাংলাদেশের হায়েস্ট প্রসেসর) পিসি তে বসে সলিটেয়ার খেলে। আর লাঞ্চের সময় হলে গিয়ে লাঞ্চ খেয়ে আসে। ওইখানে আমাদের যে মেন্টর ছিল সে বেশ উৎসাহী হয়ে তার অবিষ্কৃত ফায়ার এলার্ম দেখাতে লাগল!
তবে নিঊক্লিয়ার রিএক্টর দেখাবে শেষ দিন, অইটা মিস কইরনা। আমরা বেশ লাকী ছিলাম। আমাদের ট্যুরের সময় রিয়েক্টরের মেনটেনেন্স চলছিলো। তাই সেটা বন্ধ ছিল, ফলে আমরা একেবারে রিয়েক্টরের ভিতরে গিয়ে দেখে এসেছিলাম। এইবার তোমাদের ঘোড়াশাল পাওয়ার প্ল্যাণ্ট নিবেনা? অইখানে কিন্তু সবচেয়ে মজা হয় . পারলে অইখান থেকে আসার পর একটা পোস্ট দিও...
_________________________________
| সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরনঃ উড়াধুড়া ব্লগ পড়া বিপজ্জনক। | বাংলা ব্লগস্ফিয়ার
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
হুঁ। ঘোড়াশালে যাচ্ছি পরের সপ্তায়। ভাগ্য ভালো ঐখানে আমাদের সাথে আরেকটা গ্রুপ যাচ্ছে। নাহলে মরতে হইত।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
ডিসেম্বরে দেশে আসছি...আপনার গিটার আর গান না শুনে যাচ্ছি না
-----------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
একটাও পুরা শুনতে পারবেন না আশা করি। তার আগে পালায়া যাবেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
Life is what happens to you
While you're busy making other plans...
- JOHN LENNON
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
ধন্যবাদ প্রিয় সন্ন্যাসীদা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তুই গেলে অনেক ভালো হত। আমি এটলিশট মুহাম্মদকে আশা করছিলাম, পরে দেখি ও আসে নাই। অনেক বৃষ্টি ছিল বলে অনেকে চাইলে আসতে পারে নাই। ব্যাপার না।
আমার ইদানিং ব্লগ লিখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু কি লিখুম সেইটা ঠিক করতে পারতেছিনা।
এটমিক এনার্জি খুব খ্রাপ জায়গা। আমরা কলেজের এসকারশনে গেছিলাম ওই জায়গায়। তাতেই শালারা সারাদিন লেকচার দিসে। তোদের পেইনটা বুঝতেছি। সেইদিক দিয়া আমি ভালোই আছি। কেউ লেকচার দেয় না। কামকাজও নাই তেমন।
=============================
তু লাল পাহাড়ীর দেশে যা!
রাঙ্গা মাটির দেশে যা!
ইতাক তুরে মানাইছে না গ!
ইক্কেবারে মানাইসে না গ!
খুব মিস করলাম। গুরুত্বটা এখন আরও ভালো করে বুঝতেছি। আগে এতোটা বুঝলে যেমনেই হোক যাইতাম।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তোরে দেইখা হিংসা হইতেছে। হারামী।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- গালি দেয়না পুলাপাইন। গুনাহ্ হবে। আর গুনাহ্ হলে দোজখে অনেক পেইন খাবে কিন্তু!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
লেখা ভালৈসে !
আর মন খারাপ কইরেন না। আবারো সময় আসবে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
আমার মন খারাপ বেশিক্ষণ থাকে না। তার জন্যই মানুষ হইতে পারলাম না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তোমার কাছ থেকে মন খারাপ করা পোস্ট ভাল লাগে না।
অপ্রসঙ্গঃ সুনীলের এই কবিতাটা আমারও খুব প্রিয়।
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!
সুনীলের সব কবিতাই আমার প্রিয়। এটা একটু বেশি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নাহ...তোমার চিত্তবিনোদনের দরকার
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
ঠিক বলছেন।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
আমরা সদিচ্ছা থাকলেও সব সময় ঠিক কাজটি করতে পারি না।
তবে তার জন্য অপরাধবোধ বা দুঃখবোধ থাকলে বুঝতে হবে কাজটির জন্য আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।
তোমার যে অনুভূতিটা কাজ করছে এটা ই যথেষ্ট।
সময় তো আছে। পরে হবে।
মন খারাপ করা লেখা লিখবে না তো।।
ভাল থেকো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
চমতকার লেখা।
পরেরবার এরকম ভুল করবেন না যেন
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
আর ভুল হবে না। প্রমিস...
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
তোমার কষ্ট কষ্ট লেখা পড়তে বেশি ভাল লাগেনা তবে এমন মানসিক অবস্থার হয়তো সবাইকেই সম্মুখীন হতে হয়। মোবাইলের কি হইছে ? হারাইছো নাকি ?
--------------------------------------------------------
রিয়েলাইজেশন ! এটাই দরকার ছিলো।
আবারো আসবে সময়...
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
শালা এতো সুন্দর কৈরা মন খারাপের কথা লেখস ক্যাম্নে?
আমার আশুগঞ্জ খারাপ কাটেনাই। এখন এই ফর্ম সাম্নের দিনগুলাতে থাকলেই হয়।
---------------------------------
বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
নতুন মন্তব্য করুন