নীল ছবি

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: বুধ, ১৯/১১/২০০৮ - ১:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৯৯৮।
টাইটানিক নামের একটা ইংরেজি সিনেমার নাম খুব শোনা যাচ্ছে তখন। বিল্লাহ বলত এই ছবিতে নাকি অনেক ''সীন'' আছে। ''সীন'' বোঝার অবস্থা তখনো আমার হয় নি। ছবিতে মাঝে মধ্যে নায়ক নায়িকার হাত ধরাও আমার কাছে কম্পিউটারের কারসাজি! হাত ধরাই অনেক কিছু। এর চেয়ে বেশি কিছু হলেই মাথা আপনা আপনি নিচু হয়ে যেত। কখনো কখনো দেখেও ফেলতাম। রাস্তার পাশে স্টুডিওতে কোন হিন্দী নায়িকার উদার কোন ছবিতে মাঝে মধ্যে চোখ পড়ে যেত। বুকের মধ্যে অদ্ভূত সে শব্দ তখন মাত্র জানান দিয়ে উঠছে... আমি আসছি।
তখন আমাদের স্কুল বাস করে বাড়ি ফেরার দিন। একটা মাইক্রোবাস। কোন কোনদিন পেছনের অংশে মেয়েরা আর সামনের ভাগ ছেলেদের জন্য। আবার কখনো এর উলটো। এই সিটে বসা নিয়ে কিংবা অন্য কোন কারণে ছেলেদের আর মেয়েদের মধ্যে খুনসুটি লেগে থাকত। খুনসুটি তো নয়! তখন সে রীতিমত ঝগড়া-ই ছিল। গার্হস্থ্য অর্থনীতি পড়ে রাঁধুনী হয়ে যাওয়া মেয়েরা আজ ক্লাসের সবাইকে হয়ত রান্না করে খাইয়েছে। স্কুলের গাড়ি মুরাদপুর সিগন্যালে থামলে ইমরান ঠিক ঠিক মুখ দিয়ে একটা শব্দ করবে। বলবে...
- আজকে কী খাওয়াইল? এখন তো বমি আসতেছে।
এই কথায় পেছনের সীটে বসে থাকা কেউ- হয়ত আফরিন, হয়ত নাবিলা খেপে উঠত। বমি আসলে নিজেরা রান্না করে খাও না! ঢং করার কী দরকার?
এরপর বিল্লাহ বলত...
- আমরা রান্না করতে যাবো কেন? আমরা কী গার্হস্থ্য বিজ্ঞান পড়ি? আমরা কী রান্না শিখি?
হয়ত আফরিন- হয়ত নাবিলা অথবা অন্য কেউ থামতো না।
- তোমরা তো কৃষি শিক্ষা পড়। চাষ কর না ক্ষেতে গিয়ে... হি হি হি।
কী সেই হাসির গুণ! অকারণেই হয়ত। বড় মাপের কোন কৌতুক হয়ত হয় নি। তবুও হাসো। হাসতে হাসতে স্কুল বাসের কাচ ভেঙে টুকরো টুকরো করে দাও। আমরা এক কোণায় চুপ করে বসে থাকা মুখচোরা ছেলে কিংবা ঐ যে পেছনে গুটি মেরে থাকা মেয়েটা - আমরাও হাসির ভাগ নিই। এমন অকারণ হাসি দেখতেও তো আনন্দ- মাইরি!

বাস ছুটে যায়। ডিসি হিল - মুরাদপুর- ষোলশহর। টাইগার পাস। পাশে সারি সারি পাহাড়। আমার - আমাদের নাকে চোখে পাহাড়ের গন্ধ। এরই মাঝে একসময় বিল্লাহ টাইটানিকের গল্প শুরু করে। বড় অদ্ভূত সে গল্প! বিল্লাহ কণ্ঠ নীচু করে বলে...
- এই ইমরান টাইটানিক দেখছিস?
বিল্লাহ্‌র কণ্ঠে এমন আকর্ষণ থাকে! আমাদের কান আপনা আপনিই খাড়া হয়ে যায়। ইমরানও ধৈর্য্য দেখায় না তেমন একটা। অদ্ভূত সেই গল্প শোনার জন্য বিল্লাহ্‌র প্রশ্নের পিঠেই সে উত্তর দিয়ে দেয়।
- না না দেখি নাই। কী দেখলি?
বিল্লাহ গল্প শুরু করে। ও'র বড় ভাইয়া টাইটানিক সিনেমার সিডি ভাড়া এনেছে। একদিন - বড় ভাইয়া যখন বাসায় ছিল না- ও একা একা সেই সিডি দেখেছে। বিল্লাহ্‌র কণ্ঠ আরো নীচু হয়ে যায়। এসব গল্প মেয়েদের শুনতে দেওয়া যায় না।
- বুঝলি! নায়িকার সব দেখায়!
- সব মানে! ইয়ে ও?
কেউ মুখ ফুটে আর বলে না। 'ইয়ে' 'ইয়ে'ই থেকে যায়। বিল্লাহ হঠাৎ করে ব্যাগ থেকে বের করে আনে সিডি। টাইটানিকের সিডি। আমরা অবাক হয়ে সেই সিডির দিকে তাকাই। এর ভেতর লুকিয়ে আছে একটা অদ্ভূত কিছু। বিল্লাহ দাঁত বের করে বলে...
- কে নিবি? হাত তোল।
- তোর বড় ভাইয়া কিছু বলবে না?
- চুরি করছি। কিভাবে বুঝবে?
কেউ হাত বাড়ায় না। কারো বাসায় সিডি প্লেয়ার নেই। কারো আব্বু আম্মু দেখে ফেলবে। আর কারো হাত বাড়াতে লজ্জা হয়। বাস ছুটে যায়। পাহাড়ের পাশের রাস্তা বেয়ে। হঠাৎ পাহাড়টাও যেন হারিয়ে যায়। আর পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ছুটতে থাকা একটা মাইক্রোবাসে বিল্লাহ্‌র ব্যাগের সিডিটায় আমাদের মন আটকে যায়।

প্রতিদিন স্কুল বাসে- টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের মাঠে বিল্লাহ্‌র সে গল্প বারবার শোনা হয়। আড়াল করে সেই সিডির কাভারও দেখা হয়। মাঝে মাঝে বিল্লাহ্‌র গল্প বিশ্বাস করতে পারি না। যা! সেটা কী সম্ভব! লজ্জা নেই বুঝি! তবুও বিল্লাহ যখন টাইটানিকের গল্প শুরু করে আমরা কান পেতে দিই। রহস্য আরো গাঢ় হয়।

এবং একদিন রহস্যের সমাপ্তি হয়। অথবা রহস্যের শুরুও বলা যায়।

সেদিন ছিল কম্পিউটার ক্লাস। এক গ্রুপে তেরো চৌদ্দ জন। চারজন মেয়ে। বাকীরা ছেলে। কম্পিউটার রুমে আমরা বসে আছি। স্যার আসে না। ইমরান একসময় বিল্লাহ্‌র দিকে তাকায়। বিল্লাহ বুঝে যায়। ব্যাগ খুলে সে সিডি বের করে।
- দেখবি নাকি?
আমরা হ্যাঁ না কিছু বলি না। যার অর্থ- হুঁ দেখব। বিল্লাহ আড়চোখে মেয়েদের দিকে ইশারা করে। ওরা থাকলে দেখবি কীভাবে? কিছুক্ষণ চিন্তা ভাবনা হয়। কিন্তু মেয়েদের কম্পিউটার রুম থেকে বের করে নেয়ার কোন উপায় কারো মাথায় আসে না। এবং - অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- মেয়েরা থাকুক- কম্পিউটারের মনিটরটা একটু এদিকে ঘুরিয়ে নেয়া হবে।
বিল্লাহ সিডিটা চালু করে। আমরা কাঁপা কাঁপা বুকে অপেক্ষা করি। বার বার দরজার দিকে চোখ চলে যায়। যদি স্যার চলে আসে। স্যার যদি দেখে ফেলে। আব্বু আম্মু জেনে যাবে। তবুও এ টান তুমি অগ্রাহ্য করতে পারবে না। সিনেমা শুরু হয়ে যায়। নীল ছবি।

- দাঁড়া টেনে দিই। পুরা ছবি তো আর দেখা সম্ভব না!
এরই মধ্যে চারজন মেয়ের মধ্যে দুজন বিচ্ছু কথা বলে ওঠে। ধরা যাক। আফরিন আর নাবিলা। আফরিন বলে...
- কী কর তোমরা?
বিল্লাহ দাঁত বের করে দেয়।
- সেটা জেনে তোমরা কী করবা। আমরা সিনেমা দেখতেছি। তোমরা রান্না কর!
- ওমা! স্পীকার ছাড়া সিনেমা দেখবা কীভাবে?
- আমাদের ইচ্ছা।

কথার ফাঁকে বিল্লাহ ফরোয়ার্ড করে সেই অংশে চলে যায়। হঠাৎ একসাথে আমাদের চোখের সামনে সেই অদ্ভূত দৃশ্য এসে যায়। আমরা সেই দৃশ্যে চোখ স্থির করে রাখতে পারি না। কেমন যেন লাগে!
বুকের মধ্যে একটা শব্দ হয়! কার যেন আগমনের পদধ্বনি!
একটা মেয়ে সোফায় আধশোয়া হয়ে আছে। সামনে বসে একটা ছেলে সেই মেয়েটার ছবি আঁকছে। আর কম্পিউটারের পর্দায় ভেসে আসা সেই ছবি দেখে কয়েকটা ছেলে হা করে তাকিয়ে আছে। একবার শেষ হলে সেই দৃশ্য রিওয়াইন্ড করা হচ্ছে। আবার দেখা হচ্ছে।

..............................................

চট্টগ্রামে গেলে এখন প্রতি সন্ধ্যে বেলা জিইসি মোড়ে যাওয়া হয়। বাটা গলির উলটো দিকে টং'এর সামনে বসে আড্ডা চলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সেবার এরকম এক সন্ধায় বসে আছি। দেখি এক ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝারী ধরণের চুল। কাঁধে ব্যাগ। চোখে চশমা। সন্ধার অন্ধকারে সে চশমা'র পাওয়ার সম্পর্কে ধারণা করা যায় না। কিন্তু সন্ধ্যার অন্ধকারে মুখটা কেমন চেনা চেনা মনে হয়। আমি এগিয়ে যাই। এবং তিন ফুট দূরে এসে হঠাৎ করে চিনে ফেলি ছেলেটাকে...
- বিল্লাহ না? কী খবর?
- তুই?
টং এ বসে অনেক কথা হয়ে যায় বিল্লাহ্‌র সাথে। আমি বিল্লাহ্‌র দিকে সিগারেট এগিয়ে দেই। বিল্লাহ নেয় না। সেই স্কুল বাসের গল্প হয়। সেই স্কুলের গল্প হয়। পাহাড়ের গায়ে লেপ্টে থাকা সেই স্কুলটা। বিল্লাহ অনেকের কথা বলে। আবার অনেকের কথা বলতে পারে না। নাবিলা'র বিয়ে হয়ে গেছে- ইমরান এইচএসসি'র পরই মালয়োশিয়া চলে গেছে। আমি সেই মুখগুলো মনে করার চেষ্টা করি। নাবিলা'র বিয়ে হয়ে গেছে! ও না এতটুকুন ছিল!
একসময় টাইটানিকের গল্পটা মনে পড়ে। আমি বলি। বিল্লাহ লজ্জা পায় যেন। জিইসি মোড়ের টং এ বসে দশ বছর আগের সেই মুখটা মনে করার চেষ্টা করি।

হঠাৎ করে আমার আবার দশ বছর আগে চলে যেতে ইচ্ছে করে। কম্পিউটার রুমে বসে ''টাইটানিক'' নামের সেই ''অসভ্য'' ছবিটা দেখতে ইচ্ছে করে। সেই লজ্জায় ডুবে যাওয়া চোখ দুটি ফিরে পেতে ইচ্ছে করে!


মন্তব্য

মূর্তালা রামাত এর ছবি

খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনার লেখার ধরণটা বেশ। ভালো গদ্য বের হবে আপনার হাত থেকে। সেই প্রত্যাশায় থাকলাম।

মূর্তালা রামাত

পরিবর্তনশীল এর ছবি

থ্যাংকু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

অনেক পুরানা স্মৃতি মনে করায়া দিলা। টাইটানিক দেখা নিয়ে আমার কাহিনীও কম না! তবে টাইটানিক-কে "নীল ছবি" বলার তেবরো নিন্দা জানাই দেঁতো হাসি

"পাহাড়ের গায়ে লেপ্টে থাকা সেই স্কুলটা"- অসাধারণ! মনটা চলে গেল সেখানে... নিশ্চয়ই অনেক সুন্দর সে জায়গা, মনে মনেই কল্পনা করে নিলাম।

দারুন লেখা চলুক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এখানে রূপক অর্থে নীল ছবি বলা হয়েছে। দেঁতো হাসি
ধন্যবাদ ভাইজান।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

নীল ছবি শিরোনামে টাইটানিকের গল্প পড়তে পড়তে স্কুল ফাঁকি দিয়ে এক টিকিটে দুই ছবি দেখার স্মৃতি মনে পড়ে গেল। হায়, সেইসব দিন গেছে! স্মৃতির অতল থেকে মাঝে মাঝেই ঘাই মেরে দিয়ে উঠে। কিংবা কেউ ঘা মেরে দিয়ে তা জাগিয়ে তোলে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

চাপা পড়ে থাকলেই ভালো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

খেকশিয়াল এর ছবি

খুবই ভাল লাগল
মনে পড়ে গেল আমাদের বন্ধুদের যত গল্প

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

পরিবর্তনশীল এর ছবি

থ্যাংকু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মুশফিকা মুমু এর ছবি

হাহাহাহাহা দারুন লাগল লেখা। সব সময়ের মতই। হাসি
আমার টাইটানিক দেখার স্মৃতি মনেপরে গেল। আমি আম্মু আব্বু সহ আরো কয়েকটা ফামিলি আমরা সবাই একসাথে মুভি হলে দেখতে গেলাম। ছোট ভাই আর কাজিনদের বাসায় রেখে আসা হলো কারোন ওরা বেশি ছোট, একমাত্র আমাকে আসা এলাও করল। আমি বসেছি একা এক রো-তে আর আম্মু আব্বু আন্টি আংকেলরা সব আমার পিছনের রো-তে। আসেপাশে বেশ কিছু বিদেশিরাও ছিল। যাইহোক তারপর আসল ঐ সিন। হায় হায় আমার মনে হচ্ছিল আমি কই যাই, আমার পিছনেই বড়রা সবাই ভেবে আমার কান গরম হয়ে মনে হচ্ছিল যেন আগ্নেয়গিরির লাভা বের হচ্ছে, মাথা ঝিমঝিম করছে, নিচের দিকে তাকিয়ে শুধু শব্দ শুনতে লাগলাম। সবাই একদম চুপ, বোঝাই যাচ্ছিল যে সবাই ওকওয়ার্ড ফিল করতেসে। এমন সময় আব্বু বলে যে "রিমোট কন্ট্রোলটা কই, এটা ফরওয়ার্ড করে দেই" শুনে সব আন্টি আংকেলরা হেসে ওঠে, আর কিছু কিছু বিদেশিরা আমাদের দিকে তাকাচ্ছিল, হয়ত ভাবছিল যে এই সিন দেখে এরা হাসে কেন।
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

পরিবর্তনশীল এর ছবি

না। আপনের সাহস আছে। চোখ টিপি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রাফি এর ছবি

টাইটানিক দেখতে বসে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম; পুরোটা দেখা হয়নি...।
লেখা ভাল লাগছে......।

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

টাইটানিক দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ার জন্য জেমন্স ক্যামেরন আপনাকে ধইন্যবাদ জ্ঞাপন করছে। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নির্বাক এর ছবি

আপনার লেখার স্টাইল অসাধারন। খুব ভালো লেগেছে!

_________________________________________
তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ
আমি আজ চোর বটে!

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কল্পনা আক্তার এর ছবি

এমন অকারণ হাসি দেখতেও তো আনন্দ- মাইরি!

অদ্ভুত সব পাওয়া যেন লুকিয়ে আছে এই লাইনটাতে....

লেখা বরাবরের মতোই জাঝা

.............................................................................................................
সব মানুষ নিজের জন্য বাঁচেনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

বরাবরের মত ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

প্রফাইল এর ছবি

অনেক অনেক দিন পর খুব ভাল লাগল গল্পটা পড়ে। বুব-র "পুরানা পল্টন"-এর কথা মনে পড়ল সত্যি .....................

পরিবর্তনশীল এর ছবি

বুব'র ''আমরা তিন জন'' গল্পটার কথা বলছেন? আমার খুবই প্রিয় গল্পটা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

মৃদুল আহমেদ এর ছবি

না না, উনি বলছেন ক্লাস নাইন-টেনের বাংলা বইয়ে বুদ্ধদেব বসুর "পুরানা পল্টন" লেখাটার কথা। অসাধারণ সেই লেখা। মানে, কোনো বিশেষন দিয়ে সেই লেখাটির মানকে সীমবদ্ধ করতে চাই না। ঐ পুরানা পল্টন লেখাটি বুদ্ধদেবের "হঠাত্ আলোর ঝলকানি" লেখাটি থেকে নেয়া। আর "আমরা তিনজন" গল্পটির কথা বলছেন? ইস! ঐরকম একটা গল্প লিখে যদি মারা যেতে পারতাম!
আমি, অসিত আর হিতাংশু... আমরা এই তিনজন। সেই পুরানা পল্টন, সেই ১৯৩৭ কি ৩৮, সেই মেঘডাকা গুরুগুরু সকাল, সেই ঘন সবুজ ভেজা ঘাসে ভরা মাঠ...
হাওয়ায় গন্ধ, যেন কিসের, যেন কার... সে গন্ধ যেন আজও পাই, এখনো পাই, কী মনে পড়ে? কাকে মনে পড়ে?
ওঃ! এই এক গল্প যে কত পড়েছি আর পড়িয়েছি মানুষকে... আসলেই বুদ্ধদেবের কোনো তুলনা হয় না! এই সুযোগে নমস্কার জানাচ্ছি ভদ্রলোককে...
আর হঁ্যা, হুরপরি+আবর্তনশীল, আপনার লেখা ভালো হয়েছে... চোখ টিপি
---------------------------------------------
বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা এগিয়ে যায়!

--------------------------------------------------------------------------------------------
বললুম, 'আমার মনের সব কপাট খোলা ভোজরাজজী। আমি হাঁচি-টিকটিকি-ভূত-প্রেত-দত্যি-দানো-বেদবেদান্ত-আইনস্টাইন-ফাইনস্টাইন সব মানি!'

পরিবর্তনশীল এর ছবি

মনে আছে। বুদ্ধদেব বসু'র ''তিথিডোর'' আমাকে কী পরিমাণ পাগল করে দিছিল। আমারও আপনার মতো অবস্থা। আমরা তিন জন অসংখ্য বার পড়ছি।

আচ্ছা, অন্য প্রসংগ। বুব নাকি তাঁর এক নাতনীর নাম রাখছিলেন ''নীলাকাশের একটি তারা''। সত্যি নাকি? তবে সত্যি হোক আর মিথ্যে হোক। আমি এই কাজ করবই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্পর্শ এর ছবি

আহারে মনে করাইয়া দিলেন কত কিছু!!! মন খারাপ

সেই ছোট্ট বেলায় টাইটানিক দেখার পর থেকেই স্কেচ প্রাকটিস করছি। বলা যায়না হয়ত একদিন আমিও... হাসি
....................................................................................
অতঃপর ফুটে যাবার ঠিক আগে হীরক খন্ডটা বুঝলো, সে আসলে ছিল একটা মামুলি বুদবুদ!


ইচ্ছার আগুনে জ্বলছি...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

করেন। ভালো করে প্রাকটিস করেন। হবে একদিন । জানি- আপনি পারবেনই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জারা [অতিথি] এর ছবি

হঠাৎ করে আমার আবার দশ বছর আগে চলে যেতে ইচ্ছে করে। কম্পিউটার রুমে বসে ''টাইটানিক'' নামের সেই ''অসভ্য'' ছবিটা দেখতে ইচ্ছে করে। সেই লজ্জায় ডুবে যাওয়া চোখ দুটি ফিরে পেতে ইচ্ছে করে!
আসলে "স্মৃতি" এমনই হয় কখনও মধুময় আবার কখনও বেদনাদায়ক।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

স্মৃতি নামক বস্তুটা খুব বিশ্রী।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

পলাশ দত্ত এর ছবি

বয়স ও দৃশ্য- দুটোই তখন নীল ছবি হওয়ার উপযুক্ত ছিলো বটে!

==========================
পৃথিবীর তাবৎ গ্রাম আজ বসন্তের মতো ক্ষীণায়ু

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি

আমার জীবনে এই মুহূর্তগুলো কখনও আসেনি। তাই সেসব মুহূর্তের বর্ণনা পড়তে অন্যরকম ভালো লাগে। এটা আরও অন্যরকম ভালো লেগেছে।
টাইটানিক দিয়েই আমাদের অধিকাংশ পোলাপানের ন্যুডিটি দেখা শুরু হয়েছে, সন্দেহ নাই। কলেজে টাইটানিক দেখিয়েছিলো, কিন্তু ধার্মিক ছিলাম বিধায় টিভি রুমে যেতে পারিনি। কলেজের ট্রেডিশন ছিলো, হুজুর টাইপ পোলাপানরা কখনও টিভি রুমে যেতো না। তাই মিস।
মজার ব্যাপার আমি টাইটানিক দেখেছি এই তিন সপ্তাহ আগে। সিনেমায় যত ন্যুড সিন দেখেছি তার ড়্যাংকিং করলে টাইটানিক ১ থেকে ৩ এর মধ্যেই থাকবে। খুব সুন্দর দেখিয়েছে। টাইটানিকের প্রেম কাহিনী প্রাচীন ধরণের মেলোড্রামা হলেও ভালো লেগেছে। তার কারণ, এখানে প্রেমের ট্র্যাজেডি দিয়ে টাইটানিক ডুবির মতো বিশাল মানবিক ট্র্যাজেডি তুলে ধরা হয়েছে।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হইছে। আবার শুরু করিস না। তয় তাড়াতাড়ি সিনেমা প্যারাডিসো দেইখা ফ্যাল।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

শিক্ষানবিস এর ছবি

অবশেষে বস সিনেমাটা দেখে ফেললাম। এমনই সিনেমা যে, এটা দেখার পর অন্য কিছু দেখতে ইচ্ছে করছিলো না। গতকাল দেখেছি। তারপর এখন পর্যন্ত অন্য কোন সিনেমা দেখি নাই। যদিও দেখার মতো অনেক সিনেমা পরে আছে। মনে হচ্ছে, যা-ই দেখি অতো ভালো লাগবে না। রাতে আবার শুরু করার চেষ্টা করবো।

আহমেদুর রশীদ এর ছবি

মধুমিতায় দেখেছিলাম।কিছুসময়ের পিনপতন নীরবতা -অনেকদিন পর মনে করিয়ে দিলেন।

---------------------------------------------------------

আমরা যারা শিখিনি চাষবাস,ফসলের গীত
গুলালিতে পাখি হত্যা

---------------------------------------------------------

ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- মধুমিতায় তো আসল সীনে গিয়ে বিশাল কালো স্ট্রাইপ দিয়ে রাখছিলো। হালায় সেন্সর বোর্ডের লোকজনের যে রসবোধ যে কবে হইবো!

এই কালো স্ট্রিপ দেইখা মনে হৈছে সেন্সরবোর্ড কইতে চাইতাছে, "দেখবি না ক্যান ব্যাটা, দেখ!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

এই মহৎ উদ্যোগের জন্য মধুমিতা কর্তৃপক্ষকে মোবারকবাদ জানাই।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুলতানা পারভীন শিমুল এর ছবি

আপনার অনুভূতির প্রকাশভঙিটা কি যে চমৎকার !
পাহাড়ের গায়ে লেপ্টে থাকা সেই স্কুলটা - এইরকম বর্ণণা পড়লে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে।

...........................

সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন

...........................

একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কিন্তু হারিয়ে যাওয়া হয় না।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নিবিড় এর ছবি

হুম...... এই তাইলে ব্যাপার । তবে দারুন লাগল ।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হুম। এই ব্যাপার। ধইন্যবাদ। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নিরিবিলি এর ছবি

প্রথমবার টাইটানিক দেখেছিলাম বড় চাচা আর কাজিনের সাথে আমারও মুমু আপুর মতোই অবস্থা হয়েছিলো। মনে হয় চাচা আমি বা আমার কাজিন কেউই এরকম কিছুর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। পরের বার বিজ্ঞান পরিক্ষার আগের দিন টাইটানিক দেখে বকা খেয়েছিলাম আম্মুর কাছে হাসি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

তোমার শৈশব এবং কৈশোর দেখি টাইটানিকময়ী।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রিজভী [অতিথি] এর ছবি

আপনার লেখার ধরণটা খুব ভাল লেগেছে...বিশেষ করে ‘নায়িকার উদার ছবি’ – জটিল শব্দচয়ন...আর মনে পড়ে গেল সেন্ট্রাল প্লাজার অফটাইমে ভিডিও গেম্‌স আর আড্ডার কথা...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অনেকদিন পর । ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

খেকশিয়াল এর ছবি

সবাই মিলে টাইটানিকের সেই সীন বারবার টেনে দেখা পুরোই মিলে গেল হাহাহা .. মনে পড়ল, টাইটানিকের একটা নিক আমিই দিয়েছিলাম, "টাইনা কিক!"

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

পরিবর্তনশীল এর ছবি

নামকরণের সার্থকতা বিস্তারিত শোনা দরকার। চিন্তিত
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

খেকশিয়াল এর ছবি

কিছুই না জাস্ট টাইনা লাথি, টাইনা কিক ! দেঁতো হাসি

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

ধুসর গোধূলি এর ছবি
দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ওটাতো শুধু নীল না, পুরোটাই ছবিই রঙ্গীন ছিল দেঁতো হাসি
লেখা ঝাক্কাস

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

দেবোত্তম দাশ এর ছবি

ওটাতো শুধু নীল না, পুরোটাই ছবিই রঙ্গীন ছিল দেঁতো হাসি
লেখা ঝাক্কাস

------------------------------------------------------
স্বপ্নকে জিইয়ে রেখেছি বলেই আজো বেঁচে আছি

------------------------------------------------------
হারিয়ে যাওয়া স্বপ্ন’রা কি কখনো ফিরে আসে !

পরিবর্তনশীল এর ছবি

থ্যাংকু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সুমন চৌধুরী এর ছবি

যদিও টাইটানিক আমার প্রিয় ছবি না এবং আমার দেখাদেখি আরো অনেক আগে আরো জটিল কায়দায় শুরু যেই গলফো কোন না কোন একদিন হয়তো কমু, তবুও তোমার লেখাটা মুগ্ধ হৈয়া পড়লাম।

গুল্লি লেখছ মিয়া !



অজ্ঞাতবাস

পরিবর্তনশীল এর ছবি

লিখ্যা ফ্যালেন বদ্দা। দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

গুল্লি লেখছ মিয়া !

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রায়হান আবীর এর ছবি

আমি ফার্স্ট টাইটানিক দেখছি আইইউটিতে তোর লগে বইসা। দেঁতো হাসি

গুল্লি লেখছ মিয়া ! দেঁতো হাসি

=============================

পরিবর্তনশীল এর ছবি

প্পরে যতবার টাইটানিক দেখতে গেছি এই ব্যারামে আক্রান্ত হইছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রেনেট এর ছবি

এই পোলা গু নিয়া লিখলেও গু থেকে সুগন্ধ বের হওয়া শুরু করবে!
---------------------------------------------------------------------------
We cannot change the cards we are dealt, just how we play the hand.

---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে

পরিবর্তনশীল এর ছবি

খাইছে। হো হো হো
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি
পরিবর্তনশীল এর ছবি

হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

প্রকৃতিপ্রেমিক এর ছবি

আপনার লেখার হাত আসলেই সুন্দর।
টাইটানিকের লেবু নিয়ে এতটাই চিপা হয়েছে যে ছবিটা দেখার ইচ্ছাই আজ পর্যন্ত হয়নি।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ।
ভালো। এরকম কিছু ছবি না দেখা ভালো। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তানবীরা এর ছবি

টাইটানিকতো বুঝছিলাম প্রেমের ছবি, দুঃখের ছবি, নীল ছবিতো বুঝতে পারি নাই। আমিতো দেখছি তাহলে দারুন "বুকা"।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

পরিবর্তনশীল এর ছবি

তখন নীলই ছিল। তবে পুরা ছবি না। ঐসব দৃশ্যরা। দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রানা মেহের এর ছবি

খুব সুন্দর লিখেছেন

এবার তো দেরী হয়ে গেছে পরের জন্মদিনের জন্য অগ্রীম শুভেচ্ছা
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অগ্রীম ধন্যবাদ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

স্নিগ্ধা এর ছবি

চমৎকার লেখা !

কী সেই হাসির গুণ! অকারণেই হয়ত। বড় মাপের কোন কৌতুক হয়ত হয় নি। তবুও হাসো। হাসতে হাসতে স্কুল বাসের কাচ ভেঙে টুকরো টুকরো করে দাও।

একটা কথা বলি? এখনও আমি এবং আমার বন্ধুরা (তাদের মধ্যে একজন এই সচলায়তনেরই - বন্যা) খামোখাই এত্ত হাসাহাসি করি যে মাঝে মাঝে নিজেই তাতে বড্ড বিমর্ষ হয়ে পড়ি - কবে আমি 'বয়সোচিত' আচরণ করতে শিখবো ?? মন খারাপ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অকারণে হাসতে পারা একটা বিরাট গুণ।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অনিকেত এর ছবি

খুব ভালো একটা লেখা।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ বস। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

প্রফাইল এর ছবি

না পুরানা পল্টন। মানে জায়গাটার কথা। আপনি যেমন বলছেন "আমাদের নাকে চোখে পাহাড়ের গন্ধ" ঠিক তেমনি, তেমন করে জেগে ওঠে ১৯২০ দশকের একটি পুরানা পল্টন।

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- "পুরানা পল্টনের"ই ছোট (সংকলিত) ভার্সন হলো "আমরা তিনজন"।
সেই একই চরিত্র, একই কাহিনী। অমিত (নাকি অসীম), হিতাংশু আর আমি, বিকাশ। সাথে সেই একজন যার প্রেমে আমরা তিনজনেই পড়েছিলাম, অন্তরা দে। পাউরুটি ওয়ালার খাতায় স্বাক্ষর করা নাম দেখে বুঝতে পারা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কী কন? এক্ষুণি নীলক্ষেত যাওয়া লাগবে পুরানা পল্টন কেনার জন্য।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

টাইটানিক দেখার ইচ্ছেও হয়নি কখনও। তবে একজনের দুর্দমনীয় পীড়াপীড়িতে ঢেঁকি গিলতে শুরু করেও শেষ করতে পারিনি! যে-কোনও ব্যাপারেই অতিনাটকীয়তা আমার অসহ্য লাগে। সিনেমাটার প্রতি বিতৃষ্ণা এসে গেল সেই কারণেই।

তবে আপনার লেখার কথা ভিন্ন। মুগ্ধ হলাম পড়ে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একলা পথে চলা আমার করবো রমণীয়...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সত্যি কথা বলতে অস্কারে বেস্ট পিকচার পাওয়ার মধ্যে টাইটানিক্টাই একটু কম ভালো লাগছে আমার কাছে। টাইটানিকের দেখার মত ব্যাপার ছিল- মেকিং টা। নতুন ধারার প্রথম সব ছবিই একটু মূল্যায়ন পায়-ই। টাইটানিকের স্ক্রীনপ্লেও তেমন আহামরী কিছু নয়।

ধন্যবাদ। হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- টাইটানিক-২ এর একটা ট্রেইলার দেখছিলাম মনে হয় গত বছর। একটা বরফের চাই ভাইঙা নায়ক বাবুরে উদ্ধার করে। উদ্ধারের সালটা হইলো বর্তমান সময়ে। সেই ব্যাটা হাসপাতালে থাইকা কিঞ্চিৎ সুস্থ হইয়াই রোজকে খুঁজে বের করতে ছুঁট লাগায়। পরে সে টিভিতে দেখে 'লাস্ট সার্ভাইভর অফ টাইটানিক' এই কিছুদিন আগে পটল তুলছে! ভদ্রলোক পুরা বিমর্ষ হইয়া গেলো!

এই হইলো মোটামুটি গাঞ্জাখাওয়া কাহিনী।

টাইটানিক-এ কাহিনী- গল্প এগুলা সাইড লাইনের বাইরে পাঠায়া যেটা দেখার সেইটা হইলো, "হালার পুতেগো কতো ট্যাকা, অর মায়রে বাপ!"
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

'টাইটানিকের টু' আছে নাকি! জানতাম না তো! চোখ টিপি

একবার আমার এক ফ্রেন্ড বলসিলো, "ওই, স্পাইডারম্যানের থ্রী দেখসিস?" আসলে স্পাইডারম্যান-৩ বুঝাইসিলো ও হো হো হো

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- বস পাইছি দেঁতো হাসি

এইটা টাইটানিক টু না হৈলেও টাইটানিকের সিক্যুয়েল কৈতাছে অরা। লন দেখেন।

___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আইচ্ছা দেখতেসি, কিন্তু "ইউটিউব"-এর লিন্ক দেখলেই যে গায়ে জ্বর আসে! মন খারাপ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

স্বাস্থ্যের যত্ন নেন। ইউটিউব লিংক দেখলেই গায়ে জ্বর আসে। অষুধ টষুধ খান। দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

হিমু এর ছবি

লেখাটা দারুণ লাগলো। নীলছবি শুনে মনে পড়ে গেলো মাসুদ রানার "নীলছবি"র কথা।


হাঁটুপানির জলদস্যু

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ক্লাস নাইনে থাকতে মাসুদ রানা'র ""নীলছবি"" পড়া শুরু করছিলাম অনেক আশা নিয়ে। পরে অবশ্য হতাশ হইছি। ঐসব কিছুই ছিল না। মন খারাপ
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

কীর্তিনাশা এর ছবি

দারুন লেখা বরাবরের মতো।
চলুক

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ধন্যবাদ বরাবরের মতো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ভূঁতের বাচ্চা এর ছবি

আরে দারুন লিখেছ। পড়ে ভাল লাগল। তখন তোমরা কোন ক্লাসে পড়তা ? টাইটানিক আমার মনেহয় প্রথম দেখা হয়েছিল আব্বুর সাথে বসে। ঠিক মনে করতে পারছিনা। তুমি বিড়ি খাও নাকি ? খুবই খারাপ কথা কিন্তু ! ভাল হইয়া যাও মিয়া।
আবারো বলি, দারুন লেগেছে গল্পটা।

--------------------------------------------------------

পরিবর্তনশীল এর ছবি

কেলাস সিক্স। দেঁতো হাসি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

১.
দেশে যখন টাইটানিক নাজেল হয় তখন আমি মধুমিতার পাশের ভবনেই কাজ করি। আনন্দভুবন তখন মতিঝিলে ছিলো। দেশের মানুষ ঝাঁপায়া সেইটা দেখলো... কিন্তু আমার কখনো উত্সাহ হইলো না। এমনকি মধুমিতার ম্যানেজারের বদৌলতে তখন সেখানে সিনেমা দেখা ফ্রি ছিলো আমার, তাও দেখার আগ্রহ হয় নাই।
একেবারে যখন শেষ... মধুমিতা নতুন ছবি লটকানোর চিন্তা করতেছে তখন ভাবলাম একবার দেখে রাখি। দেখলাম। ভালো লাগে নাই।

আপনার লেখা ভালো লাগছে অবশ্যই।

২.
বুদ্ধদেব বসুর প্রেমে পড়ার গল্প পড়েছেন? না পড়লে পড়ে ফেলেন... বইটার নামই প্রেমে পড়ার গল্প। বুদ্ধদেব বসু, প্রতিভা বসু আর কঙ্কাবতী দত্তর লেখা গল্প সংকলন। আমার খুব প্রিয়। কিনে কিনে কতজনরে যে দিছি। এখন আমার কাছেই কপি নাই। বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে না।

৩.
নীল ছবি দেখার শুরু আমার ছয় কেলাশ থেকে। একবার ঈদের কালে এক বন্ধুর বাড়ি খালি ছিলো। আমরা বাজার থেকে ভিসিআর ভাড়া নিয়া তিনদিন ব্যাপী নীল ছবি দেখার উত্সব আয়োজন করলাম। কিন্তু প্রথম দিনেই বিতৃষ্ণা আইসা হাজির।

৪.
সিনেমা পারাদিসো আমার প্রিয় একটা ছবি।

৫.
ইররিভার্সিবল দেখছেন? না দেখলে দেইখা ফেলেন। প্রথম কয়েকবার শুধু মনিকা বেলুচ্চিরে দেখবেন। তারপর সাধ মিটে গেলে ছবিটা দেখতে বসবেন। কি বুঝলেন বইলেন।

৬.
মুমুর বিব্রত হওয়ার গল্প পড়ে মনে হইলো একটা ঘটনা। তখন বালক। স্যাটেলাইটের জন্ম হয় নাই। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা শুরুই হইতো রাত ২/৩টায়... সেইটা দেখার জন্য আমাদের পুরা পরিবার উত্সবমুখর জেগে থাকতাম... আর খেলা দেখতাম রাত জাইগা।
ব্রাজিলের এক খেলা দেখতেছি। বাপ মা ভাই বোন সবাই। খেলার ফাঁকে ক্যামেরা ধরলো দর্শক গ্যালারীতে... এক তরুনী নাচতেছে... দর্শক দিতেছে হাত তালি। নাচতে নাচতে সেই নারী কথা নাই বার্তা নাই হঠাত্ তার হলুদ গেঞ্জিটা খুইলা ফালাইলো... গেঞ্জিই ছিলো শেষ ভরসা। মনে হইছিলো দৌড়ায়া পলাই... অবশ্যই টিভিটারে সাথে নিয়া...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি

মন্তব্যে জাঝা।

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

৪.
অসাধারণ একটা সিনেমা। আমারও খুব প্রিয়।

৫.
সিনেমাটা দেখসি- মনিকারেও দেখসি, সিনেমাটাও। কিন্তু কী বুঝসি, তা-ই বুঝিনি। বুঝায়া দেন।

৬.
হো হো হো

সৈয়দ নজরুল ইসলাম দেলগীর এর ছবি

ছবিটার নাম ইররিভার্সিবল... এইটা খেয়াল কইরা ছবিটা দেখেন...
আমি এইটা বার বার দেখি কিছু বোঝার আশায়...
কিন্তু মনিকারে দেখলেই সব বোঝাবুঝি শেষ হয়া যায়।
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

মুভিটা আবার দেখতে ইচ্ছা করতেছে... দেইখা আপনার সাথে পরে কখনো আলাপ করবোনে...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

১.

আপনার সিনেমা বানানোর কী হইল?

২.

আহ!

৩.

ছি ছি

৪.

ছবিটার লাস্ট পার্টটা না থাকলে আরো অসাধারণ হইত।

৫.

দেখব না আবার। দেঁতো হাসি

৬.

হো হো হো হাসি)

---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

ঝরাপাতা এর ছবি

তয় বস, সত্যি তাহারা আর্ট জানে। এরকম আর্ট যখন ঋতুপর্ণ ঘোষ "আবার অরণ্যে" দেখাতে যায় তখন বমি আসে।


যে রাতে গুঁজেছো চুলে বেগুনি রিবন বাঁধা ভাট,
সে রাতে নরকও ছিলো প্রেমের তল্লাট।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . (আবু হাসান শাহরিয়ার)


বিকিয়ে যাওয়া মানুষ তুমি, আসল মানুষ চিনে নাও
আসল মানুষ ধরবে সে হাত, যদি হাত বাড়িয়ে দাও।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ইহা ঠিক।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।