সকাল সাড়ে এগারোটায় ঘুম ভাঙতেই নারী কন্ঠ কানে আসে। বালিশে মুখ চাপা ছিল। রুমে কেউ বোধহয় নাটক কিংবা মুভি দেখছে। আমাদের বয়েজ ইউনিভার্সিটি। ইউনিভার্সিটির সীমানায় মেয়ে কিংবা নারীর প্রবেশাধিকার নেই। এখানে তাই সাউণ্ড বক্স না থাকলে নারীকন্ঠ শোনা যায় না।
বালিশ থেকে মাথা তুলে মশারির ভেতর থেকে মুখ বের করে আশেপাশে তাকিয়ে দেখি রুমে সবাই গভীর ঘুমে মগ্ন, ইমন আধশোয়া হয়ে পত্রিকার দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ নাটক কিংবা মুভি দেখছে না। এবার মনে মনে ভেবে নেই- পাশের রুমে বোধহয় নাটক কিংবা সিনেমা হচ্ছে। লুংগির গিট ঠিক করতে করতে বাসিমুখে একটা বিড়ি ধরাই। কাল কী মনে করে লুংগি পরে শুয়েছি। ঠোঁটের একপাশে সিগারেট গুজে রেখে লুংগি ঠিক করতে করতে বাইরে বেরিয়েই ধাক্কা খেলাম। ব্লকে দাঁড়িয়ে দুই রমণী হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলছে। তাদের মধ্যে দুইজন-ই যুবতী। একজন পূর্ণ যুবতী। একজন হবো হবো করছে।
চশমা চোখে ছিল না। আরো পরিস্কার ভাবে যুবতী দেখার জন্য টেবিল থেকে চশমাটা নিতেই মনে পড়ে গেলো- আরে! আজকে তো স্পোর্টস ডে। আইইউটির বালিকা দিবস!
আজ ফাল্গুনের এক তারিখ। যাদের গার্ল্ফ্রেণ্ড আছে তারা বাসন্তী প্রেম করার জন্য আর যাদের গার্ল্ফ্রেণ্ড নেই তারা অন্যদের গার্ল্ফ্রেণ্ডদের দিকে তাকানোর জন্য ঢাকায় গেছে। হলটা সকাল থেকেই কেমন ফাঁকা ফাঁকা। মাঠে উৎসাহীরা ভীড় করে। কেউ কেউ প্রেমিকা নিয়ে রুমে বন্দী হয়ে থাকে। কেউ হাঁটতে হাঁটতে প্রেমিকাকে ক্যাম্পাস দেখায়। কিছু একটা বলতেই কারো প্রেমিকা হাসতে হাসতে ফুলের মতো ঝলমলিয়ে ওঠে। চারদিকে যেন একটা ছন্দ সৃষ্টি হয়। আমি তাকিয়ে তাকিয়ে সেই ছন্দ দেখি। মাঝে মধ্যে রুমে এসে জলিল ভাইয়ের জায়গীরনামা পড়ি। গতকাল বইমেলা থেকে এই একটা বই-ই কেনা হয়েছে। শিমুল ভাই, অমিত ভাই, সন্ন্যাসীদা, দেলগীর ভাই কারো বই এখনো বোধহয় আসেনি।
বেলা হওয়ার সাথে সাথে ক্যাম্পাসে অনেকে মেয়ে আসে। ভালোই হয়েছে পহেলা ফাল্গুনে স্পোর্টস ডে হয়ে। নইলে আমাদের ক্যাম্পাসে এবার বসন্ত হতো না। ক্যাম্পাসের ফুলগাছগুলো এখনো যৌবনপ্রাপ্ত হয়নি।
আজ আমার কী হয়েছে জানি না। বসন্তের প্রথম দিন বলেই কিনা কে জানে- বেলা বাড়ার সাথে সাথে চোখের তৃষ্ণা বাড়তে লাগলো। ইচ্ছে হলো শুধু ফুলের দিকে চেয়ে থাকি- শুধু কোন নারীর দিকে তাকিয়ে থাকি। মনিটরে বন্দী থাকা মুভি কিংবা নাটকে না- একেবারে কাছাকাছি। খুব খুব কাছাকাছি। ইচ্ছে হলে মুখ ছুঁয়ে দেখতে পারব- ইচ্ছে হলে চুল এলোমেলো করে দিতে পারব- ঠোঁটে ঠোঁট চেপে তছনছ করে দিতে পারব- এমন কাছাকাছি।
কিন্তু হয় না। তাই সন্ধ্যায় ক্যাম্পাস ফাঁকা হয়ে গেলে মনিটরে নোটপ্যাড খুলে বসে থাকি। মাউসে কয়েকটা ক্লিক করলে অপর্ণা সেনকে দেখা যায়। অর্দ্রে হেপবার্ন দেখা যায়। কিন্তু দেখা হয় না। ছবিতে ফুল থাকলে শুধু দেখাই হয়- ঘ্রান নেয়া যায় না। আমার ঘ্রান নিতে ইচ্ছে করছে।
you can do three things to a woman...u can love her...u can ignore her or turn her into literature...
প্রথম দুইটা তো হইলো না। দেখি চেষ্টা করে- শেষটা হয় কিনা!
মন্তব্য
বেগানা নারীরা বালক ইউনির হলে ঘোরাফেরা করে কেন? তোমাদেরকে কি তারা নিরাপদ ভাবে?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
আইইউটির ছেলেরা বড়ই নিরীহ ... করে নাকো ফোঁস্ফাস মারে নাকো ঢুসঢাস টাইপ ... খালি মাঝে মাঝে বাথ্রুমে গিয়া ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার মারে
................................................................................................
খাদে নামতে আজ ভয় করে, নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরা ...
আস্তাগফিরুল্লাহ।
টুপি হাতে নিয়া একটা কথা চুপে চুপে জানতে মঞ্চায়, ইঞ্জিনিয়ার তো ধারেকাছে থাকেই কিন্তু তারা ডাক্তার কই পায়?
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
_________________________________
ভরসা থাকুক টেলিগ্রাফের তারে বসা ফিঙের ল্যাজে
- হায়রে পুলাপান। তাইতো কই, বাংলাদেশে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ারের সংখ্যা এতো কম ক্যা!
একবার আমার এক ইশকুলের দুস্ত গফ করতাছিলো। চিটাগাং যাওয়ার পথে বাস থামছে এক জায়গায়। ও জলবিয়োগের লাইগা নামছে। শুনশান রাইত। হঠাৎ নাকি তার কানে "আব্বা আমারে লইয়া যাও" ভাইসা আসে। ও ডর খাইয়া দৌড়াইয়া বাসে চইলা আসে। পরে চিন্তা কইরা বাইর করে, আরে আগেরবার তো এইখানেই বাসটা থামছিলো!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
ডাক্তর-এঞ্জিনিয়ার বেবাকেই মারে... খালি আইইউটির কথা তুলায় তেব্র পেত্নিবাদ জানাই...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
হই মিয়া, পুরান লেখা খাওয়াইতেছো কেন
নতুন বালিকাদের নিয়া ল্যাখো জলদি
এডিট নোটঃ আরে নাহ, এইটা তো নতুন লেখা ! আমি তো শিরোনাম দেইখা ভাবছিলাম পুরান লেখা।
লেখাটা পড়লাম- মজাদার।
অলমিতি বিস্তারেণ
অলমিতি বিস্তারেণ
আজ আমারও দারুন একটা দিন গেল
লেখার কয়েকটা জায়গা দুর্দান্ত লাগল। অপর্ণা সেনের কী মুভি দেখলা? আমার খুবই প্রিয় একজন অভিনেত্রী, পরিচালক সে।
মনে হচ্ছে বর্তমানে দিল্লীকা লাড্ডু না খেয়ে পস্তানোর পর্ব চলছে। খেয়ে পস্তানোর পর্বটি শীঘ্রই শুরু হোক, এই কামনা করি।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।
আহা রে, মনে পড়ে যাচ্ছে নিজের বিপন্ন যুবাকালের কথা।
.......................................................................................
আমি অপার হয়ে বসে আছি...
.......................................................................................
Simply joking around...
আপনেরা বালিকাহীনতায় এতো কষ্ট করেন? ঢাকায় চলে আসলেই পারতেন... অতন্দ্র প্রহরী মিয়া আরো একলা এতগুলো ললনা সামলাইতে পারতেছিলো না। ললনারা শাহবাগে চটপটি খাইতে চায় তো ধানমন্ডিতে আইসক্রিম খাইতে চায়। একা আর কতো সামলাবে সে? আপনেরা একটু হেল্প করতেন তারে... হাজার হোক আপনাদের বড় ভাই...
আমারে ফোন দিছিলো... কিন্তু আমি বইমেলায় ব্যস্ত থাকায় পারলাম না... তাছাড়া ঘরে বউ বাচ্চা আছে...
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
কী বলেন এইসব, বুঝতেসি না তো
প্রহরী ভাই আগেই ফেসবুকে বলছি এখনও বলি লাইনে কিন্তু আমিই প্রথম
আফটপিকঃ শাহবাগে দাড়ায়ে প্রায় দুই ঘন্টা গল্প করলাম কিন্তু বালিকা পরিবেশেষ্টিত আপ্নেকে তো দেখলাম না
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
- বিডিআর তাইলে এই করে তলেতলে? ঘরে নাকবুঁচা আর বাইরে বাসন্তি রঙের শাড়ি, খোঁপায় গাঁদা ফুল গোঁজা! অরে ধরেন চিপক্কে!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
এইগুলা মিথ্যা রটনা, নজু ভাইয়ের চক্রান্ত। বিশ্বাস কইরেন না বস
@নিবিড়
আজকালকার পোলাপাইন! এখনও মনে হয় আক্কেল মাড়ির দাঁত ওঠে নাই, কিন্তু লাইনে সবার আগে!
অফটপিকের উত্তর: টাইমিং মেলে নাই তাইলে
প্রহরী ভাই এর এতো বালিকা থাকা সত্ত্বেও আমার সোনাম এর দিকে তার কুনজরের তীব্র পেরতিবাদ জানাই...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
লাভ নাই, এইসব বলে কোনো ছাড় পাবেন না
যাক শেষ পর্যন্ত স্বীকার পাইলা সোনাম তোমার ;-)। মাশাল্লাহহহহহহহহহহহ মাশাল্লাহহহহহহহহহহহ
তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে
*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়
প্রহরী তো বালিকা পরিভেষ্টিত হইয়াই থাকবে... বালক পরিভেষ্টিত হইয়া তো আর থাকবে না... তাছাড়া ছেলে এঞ্জিনিয়ার... বালিকারা আবার এঞ্জিনিয়ার খুব ভালো পায়... প্রহরীর চতুর্পাশে বালিকা সমগম হবে এটাই তো স্বাভাবিক... না হইলে বরং আশ্চাইয্য হইতাম... কি কও প্রহরী? তোমারে খাটো কইরা দেখার জন্য তেব্র পেতিবাদ জানাই!
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
ঠিক কথা! একমাত্র তুমিই আমারে বুঝলা, আর কেউ বুঝল না
তোমার পেতিবাদে যোগ দিলাম।
দোস্ত তোর কথা শুনে আমার এক বন্ধুর ডায়লগের কথা মনে পড়ে গেল " আইইউটির পাখিরাও বালক পাখি"
*********************************************************
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বালক বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা হলো না আজ। বাসায় সারাদিন ঘুমাইলাম।
=============================
মজা পেলাম।
এইমাত্র the scent of a woman দেখলাম...
আহা... তীব্র দারুণ একটা ছবি
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
আমি তো ঘুম থেকে উঠে দেখি সব গতকালের মতই। শুধু মাঠের মাঝখানে প্যান্ডেল-ট্যান্ডেল খোলাখুলির কাজ চলছে। এই লেখা পড়ে মনে হল, আরে আজকে তো স্পোর্টস ডে ছিল। আমাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেই সবাই বিদায়...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
কী দরকার ছিল এই তবলিগে গিয়ে শিক্ষিত হবার?
উহুঁ, তবলীগে গিয়ে শিক্ষিত হয়নাই । শিক্ষিত হইয়া তবলীগে গেছে । দেখেন না, বালক হলে মাইয়া ঢুকায় ছাড়ছে । পোলাপান পারেও ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
স্পোর্টসের দিন গুলা ক্যাম্নে ক্যাম্নে জানি বাসায় ঘুমাইতাম... আমাদের সময় ১৪ তারিখ মিডটার্ম পড়ত... আহারে পোলাপাইনগুলা খাচায় বন্দী পাখির মত তড়পাইতো... ঢাকায় গেলেও শান্তি নাই... পরীক্ষার চিন্তা মাথায় নিয়া তো আর গুজুরগুজুর করা যায়না... যাই হোক... জয় আইইউটি...
_______________
এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।
_______________
::সহজ উবুন্টু শিক্ষা::
যত পারো মজা করো, এই সময় আর আসবেনা।
পুলাপানে দেখি সব আমার মতোই ভুদাই।
আবার লিখবো হয়তো কোন দিন
এস্পোর্টস ঢে তে খেলাধুলা না কইরা লুঙ্গি পিন্ধা এতু দিকে চুখ যায় কেনু?
---------------------------------------------------
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।
দৃশা
তওবা তওবা এইসব কি শুনি ঘ্রান ফ্রান নেয়ার কথা বলে পুলাপান!!!
এইসব ভি ডে ফি ডে বাদ দিয়ে পড়তে বস
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে
বসে বসে লেখা পড়া করে কে কবে বড় হয়েছে বলেন ? লেখা পড়ায় তো মানুষের বুদ্ধি কমে ।
তার চেয়ে বরং একটা মেয়ের সান্নিধ্যে বড় হওয়ার ব্যাপারটা সব দিক থেকেই অর্থবোধক ।
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...
ঘ্রাণের কথা শুনে মনে পড়ল...
"ঘ্রাণং অর্ধ ভোজনং"
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
আপনি কিন্তু আগের লুঙ্গি-কাহিনী এখনও শেষ করেননি!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু?
নতুন মন্তব্য করুন