প্রশ্নের দুনিয়ায় কয়েকটা প্রশ্ন।

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: রবি, ১৫/০২/২০০৯ - ১২:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলবাসীর কাছে কয়েকটি প্রশ্ন তুলে ধরলাম।

প্রথমে সব প্রশ্ন একবার পড়ে নেন। তারপর কয়েক মিনিট ভেবে দেখেন। আবার প্রশ্ন পড়েন। এবার প্রত্যেকটা প্রশ্ন পড়ে একবার করে ভাবেন আর উত্তর টাইপ করে ফ্যালেন।

ইয়া হাবিবি!

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।


মন্তব্য

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- ৮। নিজের বই বাইর হোক। তারপর জবাব দিবো।
৭। হুমায়ূন আহমেদের সাম্প্রতিক কালের যেকোনো বই।

৬। বহুত আছে।
৫। এখন মনে পড়তাছে না।

৪। বইটার নাম "শাসা", লেখকের নামটা মনে নাই। পোল্যাণ্ডের একজন ইহূদী লেখক। সেখানে একটা চরিত্র ছিলো। ভদ্রমহিলা ভয়ানক ইশমার্ট আর সুন্দরী।
৩। ঐরকম বই কেউ দেয় নাইগো গুরু। মন খারাপ

২। চিকিৎসা সাময়িকী।
১। ভূতের বই তো অনেক পড়ছি। কিন্তু এখন তো বোম্বা মাইরাও বাইর করতে পারতেছিনা সেইরকম একটা নাম!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অভ্রনীল এর ছবি

১. আমি ভূত জিনিসটারে ভালা পাইনা... তাই ভূত বাবাজী জুইড়া থাকে এমন বইয়ের (এমনকি সিনামা) ধারে কাছে পারতপক্ষে যাইনা... তয় ফ্রেণ্ডলী ভূতের ব্যাপারে এই নিয়ম খান আবার খাটেনা...
২. ঈমানে কইতাসি... কখনো ধরা খাই নাই...
৩. ছুটুবেলায় প্রায় সব বই-ই উপহার পাইতাম... তয় বুড়াবেলা হইয়া গেলো বইতো দূরে থাক সেই "বিশেষ কেউ" টাই এখনো জুটলোনা...
৪. ফেলুদা...আর ব্যোমকেশ... এই দুইটা ক্যারেক্টার এখনো একই রকম আবেদন রাখে আমার কাছে... আর রুমান্টিক গল্প পড়িটরি না... তাই প্রেমিক হিসেবে ভাবার কুনু চান্স নাই ...
৫. "আমার বন্ধু রাশেদ" বইয়ের রাজাকার চরিত্রটা (নাম ভুইলা গেছি)... প্রথম বারের পর যতবার বইটা পড়সি তত বার শেষ কয়েকটা পাতার আগে আইসা পড়া থামায়া দেই... শেষ দিকের পাতা গুলা পড়ার মত শক্তি আমার কখনো থাকেনা...
৬. আগেই কইছি রুমান্টিক গল্প পড়িটরি না...
৭. হিমুর বই... (হিমুর কোন ফ্যান থাকলে দুঃখিত)
৮. জটিল প্রশ্ন... কুনটা ফালায়া কুনটা নিমু অবস্থা হইয়া যাবে... তবে শিব্রাম সমগ্র আর সেরা সত্যজিত ও আরো সত্যজিত এবং অবশ্যই জুল্ভার্ণ সমগ্র।

_______________

এক ছাগলের দুই কান,
তুই আমার জানের জান।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

১। রকিব হাসানের ''মায়া নেকড়ে''

২। মকসুদুল মোমেনিনের ''স্বামী স্ত্রীর মধুর মিলন'' অংশ।

৩। সেবার কিশোর ক্লাসিক ''গ্রেট এক্সপেকটেশানস''

৪। পথের পাঁচালীর ''লীলাবতী''র প্রেমে পড়েছিলাম।

৫। যাযাবরের ''দৃষ্টিপাতের'' নায়িকা। নাম মনে নাই।

৬। শীর্ষেন্দুর ''যাও পাখি''।

৭। লোটা কম্বলের সেকেণ্ড পার্ট।

৮। বিভূতিভূষণের সম্পূর্ণ রচনা সমগ্র।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

হিমু এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

হুমায়ূন আহমেদের কোন একটা বই, নাম ভুলে গেছি, মিসির আলী ছিলো। সেখানে ছোট চৌধুরী নামে একটা ভূতের চরিত্র ছিলো।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

ধরা পড়িনি।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

নাহ, কোন বইয়ের ক্ষেত্রে এমনটা ঘটেনি।

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

মাসুদ রানা হতে চেয়েছিলাম জীবনে। পাল্লাম্না।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

ফার্নান্দ মন্দেগো।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

কোয়াসিমোদো আর এমেরালদার প্রেম, হাঞ্চব্যাক অব নটরডেমে।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

হুমায়ূন আহমেদের জ্যোছনা ও জননীর গল্প।

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

একটা বই সঙ্গে নিয়ে নির্বাসনে যাওয়ার মতো নির্যাতন আর হয় না। এই শর্ত দিলে সাথে নেবো, "নির্বাসনে কোন বই ছাড়াই দিন গুজরানের ১০০০০০০০০০১টি পদ্ধতি।"


হাঁটুপানির জলদস্যু

পরিবর্তনশীল এর ছবি

আপনার ৭ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর পড়ে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচছে করতেছে। কারণ আমার‌ও একই অবসথা হইছিল "জোছনা ও জননীর গল্প পড়ে। হুদাই টাইম লস। ৭ নাম্বার উত্তরের জন্য আমার কাছেও এটাই পারফেক্ট
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

তানবীরা এর ছবি

আমাকে একজন হুমায়ূন ভক্ত আমার অভক্তি দূর করতে এই বই নিজের পয়সা দিয়ে কিনে গিফট দিয়েছিল। আমি খুবই শান্তি পেয়েছিলাম যে আমার ৫০০ টাকা বেচে গিয়েছে। প্লেনে বলেই পড়ে ফেলতে পারলাম, এমনি হলে আরো অনেক আধা পড়া বইয়ের লিশটিতে যোগ হয়ে যেতো। এর জন্য নাকি উনি ছুটিও নিছিলো।

তানবীরা
---------------------------------------------------------
চাই না কিছুই কিন্তু পেলে ভালো লাগে

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

দৃশা এর ছবি

ওরে নিঝুম ভাই কোথায়রেরেরে? তার কি এসব মন্তব্য এখন চুখে পড়ে নাই নাকিরেরে?
.......................................................................................
দুঃখ তোমায় দিলেম ছুটি...
বুক পাঁজর আজ ফাঁকা।
দুঃখ বিদায় নিলেও সেথায়...
দুঃখের ছবি আঁকা।

দৃশা

নিঝুম এর ছবি

পড়সে...পড়সে... হজম পর্ব চলিতেছে...
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

- ছোটদের মামদো ভূতের গল্প । খাইছে

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

- মাসুদ রানার যাবতীয় বই।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

-দূরবীন

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

- গর্ভধারিনীর জয়িতা।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

- শেষের কবিতার অমিত।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

- এমন একটা বইয়ের আশায় আছি এখনো। দেঁতো হাসি

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!
- God Delusion

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।
- পবিত্র কুরআন।


এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

জি.এম.তানিম এর ছবি

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

- শেষের কবিতার অমিত।

শেষের কবিতার অমিত ছিল আমার খুবই প্রিয় চরিত্র ইয়ে, মানে...
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

এলোমেলো ভাবনা এর ছবি

প্রথমবার পড়ার মুগ্ধতা আমারো ছিল রে ভাই, প্রয়োজনের চেয়ে বেশীই ছিল।

কিন্তু ঘরায় তোলা জল আর দিঘী এক সাথে চাইলে হবে???


এমন শহরে আমি ঘুরি , নাকি শহরটাই ভবঘুরে?


হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে, মন বাড়িয়ে ছুঁই,

দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই৷

মাহবুব লীলেন এর ছবি

বইয়ের কথা পরে
আগে বলো তোমার ঘাড়ে এখন যেটা আছে সেটা কি শুধু তোমার ঘাড় মটকায় নাকি রক্তও খায়?

(কঠিন পানিপড়া ছাড়া তোমার রেহাই নাই)

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হাচা করা কইতাছি। কেউ নাই গো।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সংসারে এক সন্ন্যাসী এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

ঘোর শৈশবে পড়া ভূত বা রাক্ষস-খোক্কস বিষয়ক কোনও বই। নাম মনে পড়ছে না।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

লুকিয়ে-চুরিয়ে বহু বই পড়েছি জীবনে। ধরা কখনও পড়িনি। বরং ইন্টারে পড়ার সময় আমার পিতা আমাকে "লেডি চ্যাটার্লি'জ লাভার" পড়ার উপদেশ দিয়ে আমাকে তব্দা বানিয়ে দিয়েছিলেন।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখার থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

সৈয়দ শামসুল হকের "নির্বাসিতা"। উপন্যাসটি খারাপ নয়, তবে সেই প্রিয়জনের লেখা একটিমাত্র শব্দ "তোমাকে" পড়ে একটা সময়ে বড়োই আপ্লুত হতো মন! চোখ টিপি

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

অতোটা কল্পনাপ্রবণ কখনওই ছিলাম না।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

অতোটা কল্পনাপ্রবণ কখনওই ছিলাম না।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

বইয়ে বর্ণিত প্রেমের চেয়ে বাস্তব জীবনের প্রেম সব সময় অনেক বেশি বৈচিত্র্যময় মনে হয়েছে।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

কোরান ও বাইবেল।

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

কঠিন প্রশ্ন! এই মুহূর্তে একটা বইয়ের নামই মনে আসছে - জেরোম. কে. জেরোম-এর Three Men in a Boat.

পুনশ্চ. নিচে খেকশিয়ালের উত্তর পড়ে ৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর বদলাতে ইচ্ছে করছে। "সুকুমার সমগ্র" আসলেই বেটার চয়েস।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
যৌনদুর্বলতায় ভুগছি দীর্ঘকাল। দুর্বল হয়ে পড়ি রূপময়ী নারী দেখলেই...

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
টাকা দিয়ে যা কেনা যায় না, তার পেছনেই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় কেনু, কেনু, কেনু? চিন্তিত

খেকশিয়াল এর ছবি

১। মুহম্মদ জাফর ইকবালের পিশাচিনী বইয়ের সুতোরন্তু, বদ্ধ ঘর গুল্পগুলা
২। ধরা খাই নাই, তবে লুকাইয়া আরব্য রজনী পড়তাম রকিব হাসানের দেঁতো হাসি
৩। হুরো, দেয় নাই কেউ!
৪। একবার অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বুড়ো আংলা গল্পের বুড়ো আংলা পিচ্চিটা হইতে মনে চাইছিল।
৫। এই মূহুর্তে মনে পড়তাসে গার্সিয়া মার্কেজের ইরিন্দেরার দাদিমার কথা, তবে অইটা গল্পে না মরলে দুঃখই পাইতাম।
৬। নাহ প্রেম 'করা' কথাটাই ঠিক না দেঁতো হাসি
৭। এখনো লোকমুখে শুইনা পইড়া ধরা খাই নাই
৮। কঠিন প্রশ্ন, একটা নিমু না, আর যদি সবাই ধইরা বাইন্ধা একটাই দিতে চায় তাইলে কমু সুকুমার সমগ্রটা দিতে লগে..

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

নিঝুম এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

- হুমায়ুন আহমেদের দুইটা বই পইড়া । একটার নাম "ভয়" আরেকটার নাম "কুটু মিয়া" ।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

-হুমায়ুন আহমেদের একটা বই । "পাখি আমার একলা পাখি" র কয়েকটা পাতা ।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

- হুমায়ুন আহমেদের বই - "সূর্যের দিন" ।( মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কিশোর উপন্যাস), আর তাছাড়া... হুমায়ুন আহমেদের একটা বইয়ের উপর বিখ্যাত ফুটব্লার থিয়েরি অরিঁ একটা অটোগ্রাফ দিসিলো ,আর কয়েকটা কথা লিখসিলো, বইটার থেইকা অটোগ্রাফটা আর কথা গুলা বেশী টানে ( জানিনা প্রশ্নের সাথে প্রাসঙ্গিক কি না...

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

- হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের একটা চরিত্র । বইয়ের নাম -ময়ূরাক্ষী । চরিত্রের নাম মজিদ । চ্যাপ্টার ফাইভ । বন্ধুরা কইত আমার মজিদ পিরিয়ড চলতেসে ।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

- হুমায়ুন আহমেদের মেঘ বলেছে যাব যাব । তিতলীরে মাইরা ফালাইতে মন চাইছিলো । ১৫-১৭ বার পড়া হইছে ।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।
- হুমায়ুন আহমেদের "অপেক্ষা" । ইমনের প্রতি মিতুর এত প্রেম দেইখা ।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

-হুমায়ুন আহমেদের "আঙ্গুল কাটা জগুলু" পইড়া থাবড়া দিতে মন চাইছিলো । যদিও আমার ব্যাপক ধারনা বইটার মূল লেখক শাওন আফা ।

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

- হুমায়ুন আহমেদের সব বই । আর মুহম্মদ জাফর ইকবালের " গল্প সমগ্র"
--------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

---------------------------------------------------------------------------
কারও শেষ হয় নির্বাসনের জীবন । কারও হয় না । আমি কিন্তু পুষে রাখি দুঃসহ দেশহীনতা । মাঝে মাঝে শুধু কষ্টের কথা গুলো জড়ো করে কাউকে শোনাই, ভূমিকা ছাড়াই -- তসলিমা নাসরিন

তুলিরেখা এর ছবি

১। নাহ, কোনো বই পড়ে না, অতি শৈশবে ভুতের গল্প শুনে। কিন্তু পরে সব উড়ে গেলো, বলে দিলো সব ভুয়াভুত। মন খারাপ

২। ধরা পড়ি নাই। তবে আমি ঝুনালোক, বঙ্কিম পড়তেছি কেলাস থিরি থিকা। দেঁতো হাসি

৩। এমুন বই পাই নাই।

৪। শরদিন্দুর প্রাগজ্যোতিষ গল্পের এলা।

৫। "উভচর মানুষ" এর ভিলেন পেদ্রো জুরিতা, "সেই সময়" উপন্যাসের বিধু মুখুজ্জে। । (আরো আছে ,মনে পড়ে না এখন)

৬। রুমাহরণ গল্পের গাক্কা আর রুমার প্রেম যেকথা গল্পে বলাই নেই প্রায়, কল্পনা করে নিতে হয়। হাসি

৭। গোরা।

৮। হযবরল, চলচিত্তচঞ্চরি, মহাভারত, রুশ দেশের উপকথা, ইস্পাত,ডোরাকাটা জামা, বিশাল লিস্ট।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

হিমু এর ছবি

প্রাগজ্যোতিষ কোন গল্পটা যেন?


হাঁটুপানির জলদস্যু

তুলিরেখা এর ছবি

প্রাগজ্যোতিষ হলো সেই প্রদ্যুম্ন আর মঘবা নামে দুই আর্য যুবক দক্ষিণে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করে শেষে কোদন্ডদের আক্রমণ করে বসলো সেই গল্প। কে রাজা হবে কে সেনাপতি হবে ঠিক করতে পারে না, ক্যালেন্ডার ফার ঘড়ি ফড়ি কিছুই তো তখন নাই, একদিন এ রাজা ও সেনাপতি পরদিন অন্য-এরকম করলে গন্ডগোল হবে বিস্তর,তাই চন্দ্রগ্রহণ দেখে ঠিক হলো মঘবা রাজা প্রদ্যুম্ন সেনাপতি, এরকম আবার হলে তবে বদল হবে। সেই গল্প। কোদন্ড রাজকন্যা এলা ওদের বলতো বর্বর। হাসি
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

স্নিগ্ধা এর ছবি

ভিলেন দুইজনের ব্যাপারে আমি একদম একমত !!! ছোটবেলায় উভচর মানুষ পড়ে ইকথিয়ান্ডর আর গুত্তিয়েরের জন্য অনেক মন খারাপ হইসিলো মন খারাপ

যুধিষ্ঠির এর ছবি

১। ভুত-পেত্নী-দত্যি-দানো, কার লেখা কি বৃত্তান্ত কিছু মনে নেই।

২। প্যাপিলন। মা না, বাবার কাছে ধরা খেয়েছিলাম।

৩। বাড়ি থেকে পালিয়ে - শিবরাম চক্রবর্তী

৪। সূর্য (একা ও কয়েকজন)

৫। সেরকম কাউকে ঠিক মনে করতে পারছি না।

৬। ইস্পাত-এর প্রথম খণ্ডে। তোনিয়া তুমানভা-র সঙ্গে।

৭। ন হন্যতে।

৮। একটা নিলে খুব কঠিন তাত্বিক ধরণের একটা বই নিতে হবে - যেটা পড়তে এবং বুঝতে অনেক সময় কেটে যাবে। মহাবিশ্বের সৃষ্টি রহস্য জাতীয় কিছু - স্ট্রীং থিওরী বা অইরকম অন্য কিছু।

মুশফিকা মুমু এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।
---- রাক্খস খোক্খসের গল্প (৮-৯ বছর বয়সে পাওয়া বইটা এখনো আমার আছে, অবশ্য এরকম মনে হওয়াটা এখনো আমার হয় ভয়ের কিছু দেখে ঘুমালে)

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!
---- আম্মুর একটা তসলিমা নাসরিনের লেখা বইটার নাম মনে হয় "নিমন্ত্রন", আবার আরেকটা ছোট মামার বই "সোনালী দুঃখ" কার লেখা মনে পড়ছে না।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।
---- শীর্ষেন্দুর "দূরবীন" হাসি বইটা পড়েছিলাম একবার, হাতের লেখা পড়েছিলাম শতবার

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।
---- অনেক আছে, প্রায় সব বইতেই কোনো না কোনো ক্যারেকটার হতে ইচ্ছা করে। রিসেন্ট হলে বলব হ্যারি পটার হিহিহি আর ছোট বেলার একটা মনে পড়ছে "সূর্যের দিন" এর "সাজ্জাদ" ছেলে হলেও ঐ ক্যারেকটারটা খুব হতে ইচ্ছা হয়েছিল

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।
---- অনেক আছে, তারমাঝে একটার কথা মনে পড়ছে কিন্তু নামটা মনে পড়ছেনা, অনেক আগের জাফর ইকবালের লেখা মহাকাশের একটা সায়েন্স ফিকশন গল্প, ওখানে একটা লোক ছিল যে ওদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করে মন খারাপ প্রচন্ড রাগ লেগেছিল মনে পড়ছে

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।
---- প্রেমের যা পড়েছি তাই মনে হয়েছিল ইসস এটা যদি আমার হত খাইছে তবে "সোনালী প্রেম" এ ছেলেটাকে যদিও অসুধ খেয়ে প্রেমে ফেলানো হয় তবুও ওদের প্রেম পড়ে তখন এত অল্প বয়সে অনেক স্বপ্ন হয়েছিল যা কিনা এখন বুঝি সব অবাস্তব, প্রেম বলে কিছু নাই

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!
---- এমন একটাও হয়নি, এখন পর্যন্ত যা পড়েছি সব ভাল লেগেছে

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।
---- বই নিবো না, ল্যাপটপ আর ইন্টারনেট কানেকশন নিবো দেঁতো হাসি
------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

তুলিরেখা এর ছবি

সোনালী দুঃখ?
ত্রিস্তান আর ইসল্ট? এই গল্প ইউরোপে খুব প্রিয় উপকথা।
অনুবাদ করে লিখেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।
-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

মুশফিকা মুমু এর ছবি

ওহহ হ্যা, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর বইটা হাসি ত্রিস্তান আর ইসল্ট এর হাসি
-----------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

স্নিগ্ধা এর ছবি

প্রেম বলে কিছু নাই

মুমু, আপনার মুখেও এই কথা !!! হায়রে, কই যাই ...... মন খারাপ

মুশফিকা মুমু এর ছবি

কোথাও যায়েন না আপু, থাকেন মন খারাপ
-----------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

------------------------------
পুষ্পবনে পুষ্প নাহি আছে অন্তরে ‍‍

খেকশিয়াল এর ছবি

আপ্নেরা কাইন্দেন না, আপ্নেগো দুক্কু দেইখা কান্দন আহে! মন খারাপ

------------------------------
'এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি ?'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

বিপ্রতীপ এর ছবি

১। এইরম কোন ঘটনা নাই।
২। একবার লুকিয়ে তিনগোয়েন্দা পড়তে গিয়ে বাবার থাপ্পর খাইছিলাম। এছাড়া লুকিয়ে বই পড়ার ক্যারিয়ারে আর কোন দাগ নাই।
৩। এইরম বিশেষ কোন ঘটনা ঘটে নাই
৪। ‘কালবেলা’র অনিমেষ, মাধবীলতার প্রেমিক
৫। মনে পড়ছে না।
৬। কালবেলা’র মাধবীলতা আর অনিমেষের প্রেম…
৭। এইরম কোন ঘটনা ঘটে নাই
৮। বিশেষ কিছু নাই। তবে নেয়া বাধ্যতামূলক হলে সুনীলের ‘প্রথম আলো’ নিতাম। এই গদাম সাইজের বইয়ের শেষপ্রান্তে আসলে প্রথম দিকের ঘটনা মনে থাকবে না। তাই বারবার পড়া যাবে বোধহয় চিন্তিত

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
খুঁজে যাই শেকড়ের সন্ধান...

রাফি এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

ব্রাম স্টোকার এর ড্রাকূলা। ক্লাস টেনে সেবা প্রকাশনীর মিনি সংস্করণ পড়েই অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। রাত ১১ টার দিকে বই পড়া শেষ করি; এরপর সারারাত টয়লেট চেপে রাখতে হয়েছে। ঘটনাচক্রে সেদিন বাসায় আমার বয়সীই আরেকজন ছাড়া আর কেউ ছিল না।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

আম্মুর কাছে ধরা খাইনি; খেয়েছিলাম চারবছরের সিনিয়র এক কাজিন এর কাছে। ক্লাস এইট এ মাসুদ রানা সিরিজের "ভারতনাট্যম" পড়তে গিয়ে।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

জীবনানন্দ কবিতা সমগ্র

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

বিভুতিভূষণ এর "অপরাজিত" উপন্যাসের 'লীলা'

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

শরৎচন্দ্রের একটা গল্পে (বোধহয় মেজদিদি ) কেষ্ট এর বোন।


৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

অনেক কষ্টেও এরকম কোন নাম মনে পড়ল না।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

হুমায়ূন আহমেদ এর জোছনা ও জননীর গল্প। আর একটা বই আছে, লেখকের নাম ভুলে গেছি, ' ব্লু লেগুন '

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

জীবনানন্দের কবিতা সমগ্র। আর মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর "কিশোর উপন্যাস সমগ্র"

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

জি.এম.তানিম এর ছবি

১। ছোটবেলায় অনেক ভুতের গল্প পড়েই এমন হয়েছিল। পরবর্তীতে প্রেত, পিশাচিনী (মুহাম্মদ জাফর ইকবাল) ও কুটুমিয়া (হুমায়ুন আহমেদ) পড়ে ভীষণ অস্বস্তি হয়ে ছিল।

২। ধরা খাই নাই...আমি খুবই ভাল ছেলে... খাইছে তবে এমন লুকিয়ে পড়েছি মনে হয় ফ্যান্টম কমিক্স। অরণ্যদেব এর স্নানপোষাকধারিণী সহধর্মিনীই ছিল তার কারণ। খাইছে

৩। (দীর্ঘশ্বাস)

৪। হতে চেয়েছিলাম টিনটিন, নিজেকে ভাবতে ভাল লাগতো সিডনী কার্টন (আ টেল অব টু সিটিস) আর ভালোবেসেছিলাম ভুমিসূতা (প্রথম আলো)

৫। হুমায়ুন আহমেদের অমানুষ পড়ার সময় এতরা চরিত্রটিকে মনে হয়েছিল।

৬। গল্পগুচ্ছে সমাপ্তি পড়ার পর মনে হয়েছিল। ইন্টারে পড়ার সময় গিফট অব মেজাই পড়েও মনে হয়েছিল। মুজতবা আলীর শবনম পরে বুঝতে পেরেছিলাম প্রেম কারে বলে...

৭। জোছনা ও জননীর গল্প। যতটা আশা ছিল বইটা নিয়ে প্রাপ্তি ছিল খুবই কম, অবশ্য মধ্যাহ্ন উপন্যাসে উলটোটা হয়েছিল। একই রকম ভাবে লোটাকম্বল প্রথম খন্ড অনেক আশা জাগালেও দ্বিতীয় খন্ড পরে হতাশ হয়েছি।

৮। সুকুমার আর সত্যজিৎ সমগ্র, পাউলো কোএলো সমগ্র, জীবনানন্দ সমগ্র আর টুকি ও ঝা এর (প্রায়) দুঃসাহসিক অভিযান...(আরো কিছু নেয়া যাবে?)
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।

সুমন সুপান্থ এর ছবি

যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

- নাহ, তেমন হয়ছে বলে মনে করতে পারছি না !

লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

- 'স্বামী-স্ত্রী'র কর্তব্য' জাতীয় কোন বই

বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

_ হুম, সে এক আশ্চর্য কান্ডই । সরদার ফজলুল করিমের অনুবাদে 'প্লেটো'র রিপাবলিক' ( এই রকম বই কোন বালিকা কোন বালককে দেয় ! ) সঙে 'যতো বার আলো জ্বালাতে চাই, নিভে যায় বারে বারে...তোমার আসন গভীর অন্ধকারে' লিখে ( ১৩ বছর র এখনো পড়ি লাইনগুলো )

মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

- আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের 'চিলেকোঠার সেপাই'র উসমান চরিত্র । আর সেই চরিত্রের প্রেমিক হতে চাইছিলাম' শেষের কবিতার লাবণ্য'র ।

মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

আফসার আমেদ'র ' বিবির তালাক, তালাকের বিবি ও হলুদিয়া পাখির কিসসা' উপন্যাসের একটা চরিত্র নাম মনে করতে পারছি না ! )

যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

- বই না, একটা গল্প । সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের 'মীরাবাঈ' পড়ে । আর মাহমুদুল হক'র মাটির জাহাজ পড়ে

লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

- আমার বোনের অনুরোধে মোহিত কামালের কোন একটা বই

নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

হিসেব নেই । জীবনানন্দ সমগ্র,আল-মাহমুদের সোনালী কাবিন, চেখভ আর গোগলের সব ছোটগল্প, দেবেশ রায়ের সব বই, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সব বই । ( এগুলো এখন মনে পড়ছে )

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !

ওসিরিস [অতিথি] এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।
এরাম কুনু বইয়ের নাম খিয়াল আইতাসে না। আন্ডাকালে ভালই সাহুসী ছিলাম মনে হয়।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

আমার ভাই ছুডুকাল কাটছে DRMC এর হোস্টেলে, তাই বাপ মায় ধরনের কাহিনি নাই।তয় হাউস মাস্টার ধইরা ব্যাপক প্যাদ্যানি দিছিল মাসুদ রানা পড়ার কারণে।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

যেই বইখানা উপহার দিসিলো তাতে সে কিছুই লিখে নাই, বুঝেন ব্যাক্কেল কারে কয়?

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

রাফায়েল সাবাতিনির "ব্ল্যাক সোয়ান" এর মশিঁয়ে দো বাখনি

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

বহুত

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

এমুন বই এর অপেক্ষায় আছি

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

"ডন কুইক্সোট" । এটাতে অনেকে অবাক হইতে পারেন, কিন্তু জানি না কেন জানি ভালো লাগে নাই। অনুবাদ জুইতের ছিল না, নাকি আমার বুঝতে পারার অক্ষমতা বলতে পারব না

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

রাফায়েল সাবাতিনির সব বই

নিঘাত তিথি এর ছবি

১। হুমায়ূন আহমেদ-এর "দেবী" পড়ে।

২। মায়ের কাছে প্রবলভাবে ধরা খেয়েছিলাম, তবে মা পড়ে ফেললে লজ্জা পাবার কিছু ছিলো না। ভয়ের ব্যাপার এইটাই ছিলো যে সামনে এইচ.এস.সি পরীক্ষা ছিলো, রাত তিনটা অবধি পাঠ্যবই পড়ার নাম করে ওই বইটা পড়ছিলাম। বইয়ের নাম "কালবেলা", সমরেশ মজুমদারের। আমার অন্যতম প্রিয় উপন্যাস।

৩। তিলোত্তমা মজুমদারের "বসুধারা"। পরবর্তীতে আমাদের এক হারামজাদা বন্ধু সেই বই পড়ার জন্য নিয়ে হারিয়ে ফেলেছে। ব্যাটা আবার সেই বই কিনেও দিতে চেয়েছে। বেকুব বুঝে না সে কিনে দিলে ঘটনা এক হবে না মন খারাপ

৪। সমরেশ মজুমদারের "কালবেলা" উপন্যাসের অনিমেষ। আমার সবচেয়ে ভালো লাগা চরিত্র। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের "দূরবীণ" উপন্যাসের ধ্রুব। চরিত্র হিসেবে প্রিয় এবং ইয়ে মানে তার প্রেমিকা হিসেবেও নিজেকে কল্পনা করেছি। আর প্রিয় চরিত্র হলো সমরেশ মজুমদারের "সাতকাহন"-এর দীপাবলি।

৫। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের "পূর্ব পশ্চিম" উপন্যাসের অতীন। একটা বিশেষ সময়ে এই বই পড়ে অতীনকে আক্ষরিক অর্থেই খুন করতে ইচ্ছা হয়েছিলো।

৬। এরকম কোন বই নাই।

৭।ঠিক পুরোপুরি বাজে না হলেও অসংখ্য মানুষের প্রশংসার তুলনায় ব্যাপক হতাশ হয়েছিলাম এবং সময় নষ্ট হলো মনে হয়েছিলো নিমাই ভট্টাচার্যর "মেমসাহেব" পড়ে।

৮। নির্বাসনে যেতে হলে তো একটা দু'টা বই হলে চলবে না। আগে বইমেলায় ঘুরান দিতে হবে একটা ভালো করে, তারপরে মাশাল্লাহ একটা ট্রাক বোঝাই করতে হবে। তবে তার মধ্যে রবি ঠাকুরের "গল্পগুচ্ছ"টা থাকা চাই।

--------------------------------
বেশ ভাব নিয়ে উত্তর দিলাম। নিজেকে বেশ বড় তারকা মনে হচ্ছে। দেঁতো হাসি
----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

----------------------------------------------------
আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ

আলাভোলা এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

সুতোরন্তু (মুহাম্মদ জাফর ইকবাল)
অশুভ সংকেত (ডেভিড সেলজার)

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!

ধরা পড়ি নাই। তবে মাসুদ রানা পড়ার সময় খুব ভয়ে ভয়ে থাকতাম।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

হুমম

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

ধ্রুব (দূরবীন - শীর্ষেন্দু), প্রদোষ মিত্তির, একাত্তরের দিনগুলো পড়ার সময় খুব গেরিলা হতে ইচ্ছে হয়েছিল

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

নাহ্ মনে পড়ছে না।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

এরকম কোন বই এর সন্ধান এখনো পাই নাই।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

হুমায়ুন আহমেদের জোছনা ও জননীর গল্প।

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

গেলাম না নির্বাসনে !!!

===================
আয়রে ভোলা খেয়াল-খোলা
স্বপনদোলা নাচিয়ে আয়,
আয়রে পাগল আবোল তাবোল
মত্ত মাদল বাজিয়ে আয়।

s-s এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।
সেবা'র রকিব হাসানের অনুবাদ করা ওমেন এর তিনটি পর্ব - অশুভ সংকেত ট্রিলজী।
ভুত এসে পা কামড়ানোর কথা ভাবিইনি - কিন্তু গা ছমছমে অনুভূতি হয়েছিলো নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের কালো হাত পড়ে, সুনীলের তিন নম্বর চোখ আর ডুংগা পড়েছিলাম যখন ছোটবেলায়, তখনও। লর্ড অফ দ্য রিং'সের উরুক হাইদের পুরো অধ্যায়টিই খুব ডার্ক, সেটি পড়ে বেশ গা ছমছমে অনুভূতি হয় আর বড় হয়ে হ্যারি পটার এর ডেথলি হ্যালোজ এর বনের মধ্যে নির্বাসনের জায়গার অনেকটুকুই বেশ ভয়ঙ্কর ছিলো আমার কাছে, ডুবে যাবার মতো।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!কখনই ধরা পড়িনি। বাড়িতে লাইব্রেরি ছিলো, তাই অনেক বই মোটামুটি ছোট বয়সেই হাতে এসেছিলো। নিষিদ্ধ বইও। ভয় পেয়েছিলাম লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার আর সুসান রে(সম্ভবত:) এর লাভ মেশিন পড়তে গিয়ে, অনুবাদ খুব কাঁচা ছিলো, তাই উত্তেজক অংশের বর্ণনা রগরগে হওয়ায় অস্বস্তি লাগতো।
কিন্তু লজ্জা সত্যি সত্যি পেয়েছিলাম আশুতোষ, নিমাই আর মিলস আ্যন্ড বুন কেনার আবদারে মায়ের চেহারায় হতাশাময় ক্লান্তি দেখে - ভেবেছিলেন তাঁর বাচ্চাটা পুরোই ট্র্যাশ লিট পড়া শুরু করেছে!

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।
সমরেশ মজুমদারের অটোগ্রাফকৃত জনযাজক, তসলিমা নাসরীনের অটোগ্রাফকৃত ভ্রমর কইয়ো গিয়া আর আমার বন্ধু শুভর দেয়া বাজিতে জেতা প্রথম আলোর প্রথম খন্ড, তিনটেতেই খুব সুন্দর কিছু ব্যক্তিগত কথা উল্লেখিত আছে , বারবার পড়ার পরও পুরোনো হয়না। তবে সবচাইতে প্রথম মনে হয় মা'র লিখে দেওয়া ভীষণ দুর্দান্ত একটা সুন্দর ছড়া সুকুমারের সমগ্র শিশুসাহিত্যের প্রথম পাতায়- সেটা এক্কেবারে চিরঅম্লান!

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।
(এইপ্রশ্নটাকিশুধুছেলেদেরজন্য?নইলে প্রেমিকভাব্বোকেন??)
বিক্রম শেঠের দ্য স্যুটেবল বয় এর লতা চরিত্রটা খুব মজার লাগতো, বাণী বসুর জন্মভূমি মাতৃভূমির আরাত্রিকা হতে চেয়েছিলাম, টেনিদা হবার ভীষণ ইচ্ছে ছিলো ছোটবেলায়,আর মিস মার্পল ও হতে চাইতাম। প্রেমিকা সবসময় হতে চাইনি, বন্ধু হতে চেয়েছিলাম আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের চিলেকোঠার সেপাইয়ের নায়কটির, আর পূর্ব -পশ্চিমের অলিকের। এক সময় অলিকের মত কল্পনার প্রেমিক শৌনকের জন্য তীব্র মন খারাপ মেশানো হাহকারটা এখনও মনে আছে। মনে দাগ কেটে যাওয়া চরিত্র অনেক! তারাস বুলবা, হ্যারি পটার, কোয়াসিমোদো, বৌ ঠাকুরানীর হাটের বিভা(?), বঙ্কিমের তিলোত্তমা আর আয়শা আর কমলাকান্ত ---- অনেক!
আর ও একটা ছোট্ট স্বপ্ন: ভেরা পানোভার পিতা ওপুত্র বইয়ের সেরিওজা হওয়া, ছেলেবেলায় ওর জন্য খুব কাঁদতাম।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।
কাউকেই খুন করতে ইচ্ছে হয়নি। আঘাত পেয়েছিলাম পূর্ব - পশ্চিমের অতীনের পরিণতি দেখে, দূরবীনের ধ্রুবর আ্যবি্উসের পরও রেমির ন্যাকামি মাঝে মাঝে অস হ্য লাগতো, রুশদীর শালিমার দ্য ক্লাউনের ইন্ডিয়া মেয়েটিকে, বুদ্ধদেব গুহর মাধুকরীর নায়ককে বিরক্ত লেগেছিলো একটা পর্যায়ে, সাতকাহনে দীপাবলীর শেষ পরিণতি হতাশ করে আঘাত দিয়েছিলো, আর সত্যি সত্যি চড়? সেটা মারতে ইচ্ছে হয়েছিলো হিমুকে, অনেক ক্ষেত্রেই। রবি ঠাকুরের প্রগতি সংহার গল্পের নয়কটাকেও , ঠাস্ করে!

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।
সাঁতারু ও জলকন্যা। ভীষণ সুইট বদলে দেয়া গল্প হাসি, খুব মেইল শভিনিস্ট যদিও:)। আর শীর্ষেন্দুর ক্ষয় উপন্যাসের রুক্মিনীকুমার আর দয়াময়ীর প্রেম। বাণী বসুর অন্তর্ঘাতের বিপ্লবী মেয়েটির প্রেমও খুব টেনেছিলো, কিন্তু সবার থেকে বেশি আবেদনময় মনে হয় আজও অমল আর চারুর দুষ্টুমিগুলো, নষ্টনীড়ের।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

লাভ ইন দ্য টাইম অফ কলেরা - খুবই ডিস্যাপয়েন্টিং । মার্কেজের অন্যান্য অনেক কাজই ভালো লেগেছে , এটা লাগেনি এবং অতি অবশ্যই আল- কুরআন। মোনোটনিক, রিপিটেশনে ভরপুর। আর একটা বই বিমল মিত্রের - কড়ি দিয়ে কিনলাম।উফ্ফ্! তিন পাতা পর পরই খেই হারিয়ে ফেলতে হয়, আজব বাজে বই ছিলো ওটা!

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।
রিচার্ড ব্র্যানসনের জীবনী লুজিং মাই ভার্জিনিটি, বাণী বসুর দশটি উপন্যাস, মহাভারত, সুকুমারসমগ্র, ফেলুদা, টেনিদা, আ গড অফ স্মল থিংস , বিভূতিভুষণ সমগ্র, ছবির দেশে কবিতার দেশে- এই বইটা আসলে আমি যে কোনখানেই নিয়ে যাবো, মরতে গেলেও বোধ হয়!

জীবন জীবন্ত হোক, তুচ্ছ অমরতা

সবজান্তা এর ছবি

দেখা যাচ্ছে আমি স্মৃতিহীন মানুষ। কিছুই মনে পড়ছে না।

সবার মন্তব্য মজার।


অলমিতি বিস্তারেণ

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।
এরকম কিছু মনে পড়ছে না।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!
ধরা পড়ি নি। তবে মোকসেদুল মোমেনীন না এই জাতীয় একটা বইয়ে বাসর রাত ও তার পরের রাতে স্বামীর সাথে অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বান্ধবীকে লেখা এক নববিবাহিতার পত্র ছিলো। বাসর রাতে কিছুই করে নি কারণ লোকটা শিক্ষিত; কিন্তু তার পরের রাতে ৬ বার উপভোগের বর্ণনা।

আরেকটা ছিলো শরৎচন্দ্রের দত্তা। তখন ক্লাস টু-তে পড়ি। অনেক শব্দেরই অর্থ বুঝিনি। তবে কি যেন একটা প্রেমের কাহিনী ছিলো, থ্রিলিং।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

হুমায়ূন আহমেদের পারাবার/পারাপার। একবার একজনের একটা বই এনে তাতে কয়েকটা দাগ দিয়েছিলাম বলে ধুমায়া গালি দিছে। তারপর ওই বই গিফট দিয়ে লিখছিলো, "এবার ইচ্ছামত দাগাদাগি করো।" আরেকটা হাই থট বাণী ছিলো, সেটা জনসমক্ষে ফাঁস করা যাবে না। চোখ টিপি

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

শার্লক হোমস। কিছু কিছু নীতি বাস্তব জীবনেও ফলো করার চেষ্টা করি। তবে গোয়েন্দা হিসেবে আমি নিশ্চিতভাবেই মার খেতাম। আমার পর্যবেক্ষণ শক্তি পঁচা।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।
এরকম হার্ডকোর অনুভূতি হয়েছে বলে মনে পড়ে না।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।
কাছাকাছি অনেক গেছে। মেমসাহেব থেকে শেষের কবিতা। কিন্তু ১০০% স্যাটিসফেকশন কোনোটায়ই আসে নি। আমার প্রেম হতে হবে আরো 'গ্রেট'। এইজন্যই কয়েকবার ধরা খাইছি। হাসি

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!
ইমদাদুল হক মিলনের সব বই। হুমায়ূন আহমেদকে আমার অতো খারাপ লাগে না। উনার বই হলো কনডমের মতো,ওয়ান টাইম ইউজ। বই পড়ার ক্ষেত্রে আমার চাহিদাও তেমনি। একবার পড়তে পারলেই হলো, সারবস্তু নিয়া বেশি মাথা ঘামাই না। কিন্তু ইমদাদুল হক মিলন মাশাল্লাহ!
৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।
আন্দামানে হলে, 'মশার সাথে বন্ধুত্বের মেডইজি'।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

স্বপ্নাহত এর ছবি

ভুতের বই অনেকই আছে। নাম খেয়াল আসছেনা সেই ভাবে।

হইতে চাইসিলাম মাসুদ রানা।

কালবেলার মাধবীলতা কে খুউব ভালো লাগসিল। ভালো লাগসিল সাতকাহন এর দীপাবলীকেও। ইয়ে মানে... আসলে ভালো লাগসিলো অনেককেই। কারে ছেড়ে কার নাম বলি আর কে আবার মাইন্ড খায় ইয়ে, মানে...

অনেক বই পড়েই প্রেম করতে ইচ্ছে করসে। নির্দিষ্ট কোন নাম মনে আসতেসেনা।

ধরা খাইসিলাম আপুর হাতে। মাসুদ রানার নীল বজ্র পড়তে গিয়া। ক্লাস ফোরে সম্ভবত।

বাকিগুলার উত্তর আপাতত ভেবে পাচ্ছিনা।

---------------------------------

বিষণ্ণতা, তোমার হাতটা একটু ধরি?

---------------------------------

বাঁইচ্যা আছি

পরিবর্তনশীল এর ছবি

সবাইরে থ্যাংকু।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

জাহিদ হোসেন এর ছবি

১। যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।

মাসুদ রানা সিরিজের "পিশাচ দ্বীপ"।

২। লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন।

বিদ্যুত মিত্রের কি একটা প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য লেখা বই। সে লজ্জার কথা মনে পড়লে আজো কান-টান লাল হয়ে ওঠে।

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।

এমনটি হয়নি কখনো।

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।

শীর্ষেন্দুর "পারাপার" বইটির রমেন চরিত্রটি।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।

রামায়নের শকুনি মামা।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।

তেমন কোন বইয়ের নাম মনে পড়ছেনা।

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!

তেমন কোন বইয়ের নাম মনে পড়ছেনা।

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।

মহা মুশকিল। হয় তারাশংকরের "কবি", নাহয় শীর্ষেন্দুর "পারাপার" ।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

_____________________________
যতদূর গেলে পলায়ন হয়, ততদূর কেউ আর পারেনা যেতে।

তুলিরেখা এর ছবি

শকুনি মামা মহাভারতে তো!

-----------------------------------------------
কোন দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -

কালো কাক এর ছবি

১. ড্রাকুলা , দিনের বেলা পড়েই ভয়ে হাতপা ঠান্ডা হয়ে গেসিল, আর হরর এড়িয়ে চলি এমনিতে
২. মাসুদ রানার যাই পড়তাম
৩. নাইক্কা খাইছে
৪. পাভেল (ইস্পাত), হ্যারি পটার
৫. ইস্পাতেরই কোন একটা চরিত্র, নামটা মনে নাই
৬. Twilight (1st part only) চোখ টিপি
৭. বাদশাহ নামদার
৮. এমন একটা করে বলার মত বই নাই

মুনা এর ছবি

১. কুটুমিয়া- হুমায়ুন আহমেদ
২. এমন হয় নি।
৩. তিথিডোর।
৪. পড়ার পর নিজেকে ওই চরিত্রে ভাবতে ভালো লাগত: লাবণ্য- শেষের কবিতা আর শবনম- শবনম।
এমনিতে দস্তয়ভস্কির জুয়াড়ীর চরিত্রটা খুব ভালো লেগেছিল।
৫. মনে আসছে না।
৬. তিথিডোর।
৭. জোছনা ও জননীর গল্প।
৮. কুরআন। সাথে জীবনানন্দ পেলে ভালো হয়।

তিথীডোর এর ছবি

১।যে বই পড়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মনে হয়েছিল খাটের নিচে ওটা কীসের শব্দ? কাঁথার নীচ থেকে পা বের হয়ে গেলে চমকে উঠেছিলেন। ভেবেছিলেন- একটা ভূত এসে পা কামড়ে দেবে।
- আমি বীরশিশু, ভয়ডর নাইক্কা। মানে বই পড়ে ভীত হই না। খাইছে

২।লুকিয়ে লুকিয়ে যে বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে ধরা খেয়েছিলেন। ভেবেছিলেন- যা! এখন যদি মা ঐ পাতাটা পড়ে ফেলে- লজ্জায় ডুবে যেতে হবে। আর যদি ধরা নাও পড়ে থাকেন- ভয় নিয়ে পড়তে হয়েছিল। কারণ ধরা পড়লে মান সম্মান সব শেষ!
- 'তিন ভুবনের পার', সমরেশের বোধহয়.. ছোটখালা মানা করেছিলেন পড়তে। ইয়ে, মানে...

৩। বিশেষ কারো কাছ থেকে যে বই প্রথম উপহার পেয়েছিলেন। যে বইয়ের ছাপানো লেখা থেকে প্রথম পাতায় সেই বিশেষ জনের লিখে দেওয়া কয়েক লাইনই বেশি পড়তে ইচ্ছে করত। সেই হাতের লেখা বারবার পড়তে ইচ্ছে করতো।
- 'আম-আঁটির ভেঁপু'... ছবি আঁকায় পুরস্কার জেতায় বড়মামা দিয়েছিলেন। প্রথম পাতায় লেখা ওই কটা লাইনে চোখ রাখলেই এক ছুট্টে পুরোনো সময়ে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

৪। মন কেড়ে নেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর অনেকদিন নিজেকে সেই চরিত্র হিসেবে ভাবতে ভালো লাগত- কিংবা সেই চরিত্রের প্রেমিক হিসেবে নিজেকে কল্পনা করতেন।
- 'ছবির দেশে, কবিতার দেশে'র মার্গারেট, 'তিথিডোরের' স্বাতী, 'পিতা ও পুত্রের' সেরিওজা।

৫। মনে আঘাত দেয়া কোন চরিত্র। পড়ার পর মনে হয়েছিল ঐ শালা/ শালীরে চোখের সামনে পাইলে খুন করে ফেলব।
- 'উভচর মানুষ' এর জুরিতা।

৬। যে বই পড়ার পর মনে হয়েছিল- ইশ! জীবনে এমন একটা প্রেম করতে পারলে বড়ো ভালো হইত।
- 'শবনম'। লইজ্জা লাগে

৭। লোকমুখে অনেক শুনে একটা বই পড়েছিলেন। পড়ার পর মনে হয়েছিল- হুদাই টাইম নষ্ট করে এটা কী বাজে জিনিস পড়লাম!
- নিমাই ভট্টাচার্যের 'মেমসাহেব'। রাগে ছুঁড়ে ফেলেছিলাম খাটের নিচে।

৮। নির্বাসনে যেতে হলে সংগে নিবেন- যে বই।
- গীতবিতান, সুকুমারসমগ্র, শিব্রাম সমগ্র, জীবনানন্দের কবিতাসমগ্র, পথের পাঁচালী, অপরাজিত, টেনিদাসমগ্র, আবুল হাসান সমগ্র আর যত প্রিয় কবিতার বই আছে... অন্তত এগুলো নিতে না দিলে যামুই না নির্বাসনে। শয়তানী হাসি

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।