এক:
"... আর মাঝখানে থাকব আমি। ছবির ঠিক উপরে ইংরেজীতে লেখা থাকবে, "looking for girls"। ছবির নীচে সবার মোবাইল নম্বর। বিপ্লবদা, বিজ্ঞাপনটা প্রথম পাতায় দিতে হলে খরচ কেমন পড়বে?" বিপ্লবদাকে আশেপাশে দেখা গেলো না। ধূগো মুখে একটা বিড়ি গুঁজে দিয়ে পুনরায় সামনে মেলে রাখা কাগজে মনোযোগ দেন "বিপ্লবদা আবার কই গেলো? আচ্ছা শোন, ছবিতে সবাই মুখ দু:খী দু:খী করে রাখবি। শুধু আমার মুখে থাকবে এক চিলতে হাসি।"
"কেন? আপনার মুখে আবার এক চিলতে হাসি কেন?" শিমুল ভাই রীতিমত খেপে ওঠেন।
ধূগোদা মেঝেতে ছাই ফেলতে ফেলতে শিমুল ভাইয়ের দিকে তাকান। সেই এক চিলতে হাসিই কিনা মুখে ছড়িয়ে দিয়ে বলেন, " বি ক্যুল, ম্যান! হবে, এবার আমাদের আর একা থাকতে হবে না। যে প্ল্যান করছি। মেয়ে এখন ওয়ান টুর ব্যাপার, বিয়ে এখন...।" এতটুক বলে ধূগোদা আবেগে চোখ বন্ধ করেন। এক চিলতে হাসি এবার আরো বিস্তৃত হয়।
"কিন্ত ধূগোদা, চিন্তা করেন, এটা হলো আমাদের একটা টীমওয়ার্ক। সবাই মুখ দু:খী দু:খী করে আছি, মাঝখানে আপনি হাসতেছেন- শিমুল ভাইয়ের কথাই ঠিক। " সবজান্তা ভাই হঠাৎ করে থেমে যান। চশমার কাঁচ ভেদ করে তার ছল ছল চোখ দেখা যায়, " অবশ্য যাই করি, প্রভাকে তো আর পাবো না। " প্রভার নাম উচ্চারিত হতেই আমার চোখেও জল জমা হয়, ভেজা চোখ আড়াল করতে করে বলি, "তা ঠিক!" শেষে একটা দীর্ঘশ্বাস জুড়ে দেই।
ধূগোদা উঠে দাঁড়ান। " আমি নিউ মার্কেট যাবো- কেউ যাবি নাকি?"
রেনেট চাচা হাত দিয়ে ধেয়ে আসা সিগারেটের ধোয়া সরিয়ে দেয়, "কেন ? মেয়ে দেখতে?"
"আরে না, কক্সবাজার যাওয়ার জন্য কিছু কাপড়চোপড় কিনব। " ধূগোদা একটু লজ্জা পান যেন।
আমাদের হঠাৎ সামনে শুক্রবার সচল কুটিরের সবার একসাথে কক্সবাজার যাওয়ার কথা মনে হয়। উপলক্ষ্য- হিমু ভাই আর তার দুই বধূর মধুচন্দ্রিমা।
আনন্দে আমাদের দাঁতগুলা হঠাৎ একসাথে বেরিয়ে আসে।
দুই:
দরজা খুলতেই থতমত খেয়ে যাই। এক বালিকা দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় দেখা যাচ্ছে আলতো করে ঘোমটা টানা।
"এক্সিউজ মি। এটা কী সচল কুটির?" বালিকা আলতো করে টানা ঘোমটার মতনই আলতো করে হাসে।
"জ্বী হ্যাঁ। আপনি যেন কে?" আমি একটু স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করি।
"আমি 'দুষ্ট বালিকা'।" বালিকা হাসে তো হাসেই। আমি বেশ ভাব নিয়ে অবাক হওয়ার ভান করে বলতে যাবো, আরে আপনাকে তো চেনা চেনা মনে হচ্ছে। তার আগেই নজরুল ভাই কোত্থেকে এসে হাজির হন।
"সর্ ব্যাটা- সর্। " দুষ্ট বালিকার দিকে তাকিয়ে নজরুল ভাইয়র দাঁত সব বের হওয়ার পালা এবার, " বুঝলা, পোলাপাইনগুলার ভদ্রতা জ্ঞান বলতে কিছু নাই। বাড়িতে একজন গেস্ট আসছে, কোথায় বসতে বলবে! এসো - এসো ভেতরে এসো। বাই দ্য ওয়ে, আমি নজরুল। নাটক টাটক বানাই।"
দুষ্ট বালিকা ভেতরে এসে বসে। ভেতরের ঘর থেকে হারমোনিয়ামের শব্দের সাথে দৃশা আপার কন্ঠস্বর ভেসে আসে, "সারেগা রেগামা মাপাধা....।" এর মাঝেই নজরুল ভাই দুষ্ট বালিকার সাথে গল্প জুড়ে দেন, "গাজীপুরে গিয়েছি সিনেমার শ্যুটিংএ, নায়িকা হলো শাবনূর, শাবনূরের আবার ডাবল পার্ট। তো হলো কি...।"
সকাল দশটার মতন বাজে। শিক্ষানবিস গেছে হিমু ভাইয়ের দুই বউকে নিয়ে শপিংএ।
হিমু ভাই বলেন"তোদের কাউকে তো বিশ্বাস নাই। কখন একটা কেলেংকারি বাঁধিয়ে বসবি। "
বেচারা শিক্ষানবিস মনমরা হয়ে দুই ভাবীকে নিয়ে শপিংএ যায়। অভিজিৎদা- দিগন্তদা- বন্যা আপার সাথে বিবর্তনবাদ নিয়ে বেশ একটা গোলটেবিল বৈঠক চলছিল। এর মাঝে দুই ভাবীকে নিয়ে শপিংএ যেতে শিক্ষানবিসের ভালো লাগবে কেন?
রায়হান আবীর কিংকংএর সাথে বেরোয়। কী একটা টী শার্ট নাকি বানানো হবে। সামনে কিংকং-এর অমর সে উক্তি থাকবে, "আমি সব দেখে শুনে খেপে গিয়ে বলি বাংলায় ধূর্বাল!"
নিবিড়- প্রহরীদা আর তারেক ভাই যথারীতি চারুকলায়।
আর আমার কপাল শূন্য। লীলেন ভাই কথা দিয়েছিলেন- সিলেটী মেয়ে পাবো।
সিলেটী মেয়ে তো দূরের কথা - বাংলাদেশের চৌষট্টি জেলার যে কোন একটির মেয়েই আমার পাওয়া হলো না। আমি বিষন্ন বদনে, বারান্দায় বসে একটা বিড়ি ধরাই। নজরুল ভাইয়ের কথা শোনা যায়, "বলেন কী খাবেন? আমি কিন্তু রান্নাটা ভালোই করি! একবার হলো কী- ডাকসাইটে মডেল মিস অঞ্জনা...."
তিন:
দুই হাতে বিশালদেহী দুইটা লোহার টুকরা নিয়ে ব্যায়াম করতে করতে হিমু ভাই বলেন, "জীবনে আর যাই করিস, ডাবল বিয়ে করবি না কখনো। গুণীজনরা কী আর সাধে বলে। সবচে বড় ঝামেলাটা হয় বুঝলি- রাতের বেলা।" লোহার টুকরা মেঝেতে রেখে হিমু ভাই বেশ জোরেসোরে দম নেন।
আমি নিরীহ ভাব করে বলি, " কেন? রাতের বেলা বেশি সমস্যা কেন?"
এর মাঝে মুমু আপুর গলা শোনা যায়, "সবাই খেতে এসো।"
আজ মুমু আপু সবাইকে রান্না করে খাওয়াচ্ছে। মেয়ের আজকাল সুখ ডানা মেলে উড়ছে তো উড়ছেই। সারাদিন বাইরে বাইরে। একদিন একটা কবিতাও লিখে ফেলল। নীচে আবার লেখা-"উৎসর্গ- তোমাকে!"
খাবার টেবিলে যাওয়ার আগে একবার বারান্দায় উঁকি দেই। বারান্দার দুই কোণায় দুই "মন খারাপ" বালক দাঁড়িয়ে। সৌরভ ভাই আর অনিকেতদা আকাশ দেখছে। বিষন্ন বদন।
একপাশে বসা পিপিদা মামুন হককে বলে, "কত যুগ পর দেখা হলো, নারে?"
মামুন হক আবেগ ধরে রাখতে পারেন না, "আফটার টুয়েন্টি ইয়ার্স। হ্যাঁরে পিপি, ঐ মেয়েটার কথা মনে আছে?"
চার:
সচল কুটির আজ কক্সবাজারে। হিমু ভাইয়ের মধুচন্দ্রিমাকে উপলক্ষ্য করে সবাই একসাথে হাজির হয়েছি।
এর মাঝে শিমুল ভাইয়ের ''হয়ে গ্যাছে''। পত্রিকায় বালিকা চেয়ে দেয়া দলীয় বিজ্ঞাপনের ফলস্বরুপ লাভ হয়েছে শিমুল ভাইয়ের। শুধুমাত্র তার মোবাইলে এক বালিকার ফোন এসেছে। ইশতি ভাই বেশ মুষড়ে পড়েছিলেন, "আমি কী দেখতে এতই খারাপ! হা ঈশ্বর!"
ধূসর গোধূলি কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন। "শিমুল ভাইয়ের হবু বউয়ের কিন্তু ছোট দুইটা বোন আছে। " সুপা শিমুলের এই কথা ধূগোর মুখে হাসি ফোটায় ।
সে হাসি মুখে নিয়েই হিমু ভাইয়ের মধুচন্দ্রিমাকে উপলক্ষ্য করে সবাই আমরা কক্সবাজারে। প্রহরী- কিংকু- আরেফীন ভাই- বিপ্লবদা- শিমুল আপা- শিমুল ভাই- রানাপু- ইশতি ভাই- হিমু ভাই- কনফু ভাই- তিথি আপু সবাই।
আসেননি কেবল যার মধুচন্দ্রিমা সেই হিমু ভাইয়ের দুই বউ।
মন্তব্য
আমাকে চাচা বলে সম্বোধন করার মধ্যে গভীর ষড়যন্ত্র দেখতে পাচ্ছি
হে পরিবর্তনশীলের লাখ লাখ (সুন্দরী) পাঠিকাগণ...এই গল্প পড়ে বিভ্রান্ত হবেন না...আমি মোটেও চাচা স্থানীয় নই!!!
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
ওহ দাঁড়ান... শততম পোস্টের শুভেচ্ছা লন।
---------------------------------------------------------------------------
No one can save me
The damage is done
---------------------------------------------------------------------------
একা একা লাগে
চরম! কিন্ত ঐ দুই বউ কৈ?
-----------------------------------------------------------------------------
সোনা কাঠির পাশে রুপো কাঠি
পকেটে নিয়ে আমি পথ হাঁটি
সেঞ্চুরীর জন্য অভিনন্দন।
ঞ!!!!
মুহাম্মদ শেষ ম্যাষ এই কামডা কর্তে পারলো?
মুহাম্মদ আর মেয়ে
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
- শিক্ষানবীশ শেষ পর্যন্ত তাইলে আমার 'পিলান' মোতাবেকই কামডা করলো!
আর ঐ ব্যাটা লেখক, বাঁশ দেয়ার জন্য আর কাউরে চোখে দেখোস না? এই গরীব আদমীটার কপালেই খালি উলু দিতে মঞ্চায়?
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
গল্পের পরের অংশ তাইলে আর এক বছর পর
পরপর দুইদিন দুই লেখা জোশ উঠছে মনে হয়
আহা অনেকদিন পর একটা সচলস্য গল্প পড়া হল
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
সেঞ্চুরি হয়া গ্যাসে নাকি
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
হা হা হা ! আসবো কেমনে ? তারা যে তখন কাপল-ইয়োগা শিখতেছিলো...!
-------------------------------------------
‘চিন্তারাজিকে লুকিয়ে রাখার মধ্যে কোন মাহাত্ম্য নেই।’
পরিবর্তনশীল রকস্!!!
১০০তে ১০০, খুশি হয়ে আরো ১০। মোট ১১০ ।
অনেক দিন একটা সচলস্য গল্প পড়ে খুব মজা পেলাম।
হিমু ভাইয়ের বউরা কই গেছে এটা আশাকরি পরের পর্বে জানতে পারব। এই ফাঁকে সবাইকে জানায়া রাখি, আমি ধূগোদার পিলান মোতাবেক কাম করি নাই, কারণ আমি সহজ-সরল। অ্যাকচুয়ালি আমি শপিং এও যাই নাই। বউদ্বয়কে মার্কেট পর্যন্ত পৌঁছায়া দিয়া আমি আবার গোলটেবিলের দিকে হাটা দিছিলাম। উনাদের খবর আমি জানি না। সো এরপর কেউ আমারে দুইষেন না... দায়িত্বজ্ঞানহীনতাটা বাদ দিলে আমার আর কোন দোষ নাই।
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
তোবা তোবা। তুই এই কামডা ক্যামতে কর্লি। আমাগো ভাবী না? ছ্যা!!!
ছি ছি। ছি ছি।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
- হেহ হেহ হেহ
ঐটাই তো আমার পিলান! এরপর রাস্তায় হিমুর বউদ্বয়কে একলা পেয়ে গুণ্ডায় ধর্বে, মালোশিয়া ফেরৎ লেদার জ্যাকেট পরোন্তি গুণ্ডা। আমি একলাফে ককশোবাজার থাইকা উইড়া আইসা ইয়া ঢিশুম ঢিশুম দিয়া গুণ্ডারে কেএলে ফেরৎ পাঠামু। আর বউদ্বয় খুশি হইয়া হিমুরে পত্রপাঠ ছাইড়া আমার লগে হাঁটা দিবো! দুই বউরে দুই বলগদাবা কইরা পিছন থাইকা বড় হয়ে থাকা নজু ভাইয়ের চাক্কি চাক্কি চোখের দিকে চাইয়া এক চোখ টিবি দিয়া কমু, "এই হইলো ধুগোর ক্যারামতি, জোরকা ঝাটকা ধীরেসে লাগে!"
ক্যামেরা হঠাৎ ঘুইরা হিমুরে ফোকাস করবো। দেখা যাইবো সে খ্যাতাবালিশ নিয়া হাঁটা দিছে। কোথায় সেইটা কেউ জানে না, কেবল জানে পরিবর্তনশীল!
সিনেমা শ্যাষ!
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
:D :D
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
নাহ, জগৎ বড়ই জটিল...
— বিদ্যাকল্পদ্রুম
নাচা-গানা থাকবো না? এইটা কেমনে? একটু খানি ইটিস-পিটিস!!!
নইলে তো দর্শক খাইবোনা!!
--টুম-সোল[অতিথী]
নাচা-গানা থাকবো না? এইটা কেমনে? একটু খানি ইটিস-পিটিস!!!
নইলে তো দর্শক খাইবোনা!!
--টুম-সোল[অতিথী]
হাহাপগে
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
______________________________________
পথই আমার পথের আড়াল
@ধূগো: আপনারে পচানো হইলো কই গুরু?
@ভুতুম: পূর্বসূত্রে কিছুটা ধারণা পাইতে পারেন।
@ শিমুল ভাই: হ তা তো দিবেন। আপনার যে হয়ে গ্যাসে
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
@রেনেট চাচা: চাচারে কী মামা ডাকুম?
@রণদা: ইয়োগা ক্যাম্নে বাদ পড়লো তাই ভাবতেছি।
@নিবিড়; এবার চারুকলায় যা।
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
পেট চেপে খ্যাক খ্যাক করতেছি। লেখায় ।
_________________
ঝাউবনে লুকোনো যায় না
হ, হ, ... আমার কথা এইটাই...
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
মুহাহাহাহা...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ঘাড় ভাঙা ঘোড়া, উঠে দাঁড়ালো
একটা পাখ ভাঙা পাখি, উড়াল দিলো...
একটা ভুল আছে। রায়হান আবীর কিংকংএর সাথে যায় নাই। গেছে, কুইনকং এর সাথে। এর মধ্যে বৃষ্টি আসায়, কোথাও লুকাতে গিয়ে আমার চোখে পরে যায়। হায়, সানগান ছিলোনা বলে রায়হান আমায় দেখতে পারেনি।
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
---------------------------------------------------------
ঘাস তুমি ঘাসের মতো থাকো মাটি ছুঁয়ে
যে দেখার সে নতজানু হয়ে ছুঁবে তোমার আঙুল
অবরুদ্ধ মাঠ থেকে তুমি লাফিয়ে নেমোনা প্লিজ পাথরের পথে
________________________________________
http://ahmedurrashid.
বস!! বৃষ্টিস্মাত সেই সন্ধ্যায় আমিও আপনাকে দেখেছিলাম। ডাকতে ডাকতে আপনি ক্রস করে গেলেন। তাই আর ... মাফ চাই
খুব ভয়ে ভয়ে পড়ছিলাম-----যাক অল্পের উপর দিয়ে গেছে---আমাকে বারান্দায় দাঁড় করিয়ে আকাশ দেখতে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে---(হে হে হে ---আসলে তো আর জানে না---আকাশ দেখার নাম করে পাশের বাড়ির ছাদের--ইয়ে---মনে হয় আর কিছু না বলাটাই বাঞ্ছনীয়---)
শততম পোষ্টের জন্যে এক বিরাট জশনে-জলুছের আয়োজন করা হয়েছে-- দশটা খাসী জবেহ দেয়া হবে বলে শুনেছি----
তবে পরিবর্তনশীল জানিয়েছেন---যেকোন সময় অনুষ্ঠানের স্থান-কাল-পাত্র-পাত্রী "পরিবর্তন" করা হতে পারে
কিন্তু এই এত্ত বড় ব্যাটেলিয়ন নিয়ে হিমু মধুচন্দ্রিমায় গেছেন!!!!
ক্কী সাংঘাতিক!!
আপনাকে শততম পোস্টের অভিনন্দণ৷ দেখবেন ৮-৯ বছরের মধ্যেই আমিও আমার শততম পোস্টটি লিখে ফেলব৷
--------------------------------------------------
"নিভন্ত এই চুল্লিতে মা
একটু আগুন দে
আরেকটু কাল বেঁচেই থাকি
বাঁচার আনন্দে৷'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
হা হা হা
সচলস্য গল্প কেমন যেন বেশি আপন আপন লাগে।
মাঝে মাঝে লিখলে তো হয়।
অভিনন্দন ! শততম পোস্টের জন্য।
...........................
সংশোধনহীন স্বপ্ন দেখার স্বপ্ন দেখি একদিন
...........................
একটি নিমেষ ধরতে চেয়ে আমার এমন কাঙালপনা
আমি আর কী কমু, সেই পরীর মতো মেয়েটার কথা পরিবর্তনশীল কেমনে জানলো তাই বুঝে উঠতে পারছিনা। পিপি সত্যিই তোর মনে আছে লুবনা নামের সেই মেয়েটার কথা?
লুবনার কথা জানতে হলে পড়ুন এখানে।
আপ্নে মিয়া মানুষ খুব খ্রাপ, লুবনার জন্য কতো পুলাপান পিডাইছি জানেন? মাইয়াও আছিল ভাই একটা !
আরে, এ তো দেখি গল্প লিখতে গিয়া আমার সংসার ধইরা টানাটানি শুরু কর্সে! য়্যাক কীলে বধ তোরে করিব পামর ... !
কী আর করবেন?
কপালের লিখন- না যায় খণ্ডন!
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
শততম পোষ্টের অভিনন্দন রইল।
যার বিয়া তার খবর নাই পাড়া পড়শীর ঘুম নাই.....
শেষ পর্যন্ত বউ ছাড়াই কক্স বাজার গমন?
দারুণ হয়েছে।
তাড়াতাড়ি পরের পর্ব নামাও।
হিমুর আর হানিমুন করা হৈল না!!!!!!!
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
-----------------------------------
আমার মাঝে এক মানবীর ধবল বসবাস
আমার সাথেই সেই মানবীর তুমুল সহবাস
লেখা মারাত্মক হয়েছে।
ওয়েবসাইট | ব্লগস্পট | ফেসবুক | ইমেইল
ধন্যবাদ সবাইকে
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
হা হা হা। মারাত্মক লেখা। খুবই মজার
প্রিয় লেখকের শততম পোস্টের জন্য অভিনন্দন।
নতুন মন্তব্য করুন