• Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_clear_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_electoral_list_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_results_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_votes_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).
  • Warning: call_user_func_array() expects parameter 1 to be a valid callback, function '_advpoll_writeins_access' not found or invalid function name in _menu_check_access() (line 454 of /var/www/sachalayatan/s6/includes/menu.inc).

নাগরিক ক্লান্তিতে তোমাকে চাই।

পরিবর্তনশীল এর ছবি
লিখেছেন পরিবর্তনশীল (তারিখ: শনি, ১৫/০৮/২০০৯ - ১০:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক:

২০০৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে, বিকেলে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে মেজাজটাই খারাপ হলো। কারণ, এলাকার ফাহিম ভাই (কিংকং না!)। আমাদের এলাকায় একটা বিশাল সাইজের মাঠ ছিল, যেখানে এখানে ওখানে বিভিন্ন খেলাধূলা হতো। সেই মাঠের এক কোণায় বিকেল বেলায় ফাহিম ভাই গীটার নিয়ে বসে পড়তেন, আর এলাকার মেয়েরা- কলেজ পড়ুয়া নীলা আপা থেকে শুরু করে ক্লাস সিক্সের ময়না- সবাই ওনাকে ঘিরে বসতো। ফাহিম ভা...এক:

২০০৩ সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে, বিকেলে বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়ে মেজাজটাই খারাপ হলো। কারণ, এলাকার ফাহিম ভাই (কিংকং না!)। আমাদের এলাকায় একটা বিশাল সাইজের মাঠ ছিল, যেখানে এখানে ওখানে বিভিন্ন খেলাধূলা হতো। সেই মাঠের এক কোণায় বিকেল বেলায় ফাহিম ভাই গীটার নিয়ে বসে পড়তেন, আর এলাকার মেয়েরা- কলেজ পড়ুয়া নীলা আপা থেকে শুরু করে ক্লাস সিক্সের ময়না- সবাই ওনাকে ঘিরে বসতো। ফাহিম ভাই গীটার বাজিয়ে গান ধরতেন- তুমি আকাশের বুকে বিশালতার উপমা- তা শুনে উপমা নামের এ‌ক মেয়ের সে কী লজ্জা, ফাহিম ভাই, চুপ করেন!

মনে মনে ভাবলাম, গীটারটা শিখে ফেলতে হবে।
এলাকার মেয়েদের উদ্দেশে মনে মনেই হুংকার ছাড়লাম- হে এলাকাবাসিনীরা, দাঁড়াও আমি আসছি!

তো ২০০৩ সালেরই এক মেঘ গুড়গুড় বিকেলে আমি একখানা গীটার কিনে ফেললাম। কিভাবে যেন হাতে শ বারোশ টাকা হাতে চলে আসে, সেই শো বারোশ টাকা দিয়েই আমার একটা বাংলা গীটার এবং 'সহজ গীটার শেখা' নামের একটা বইয়ের মালিক হওয়া।

এখন মাঝে সাঝে ভাবি, গীটার কেনার পর প্রথম দিককার কথা। ফ্রেটে আঙুল বসালে যখন কোন শব্দই হতো না- হলেও যখন বিচ্ছিরি কিছু একটা হতো- তখনকার কথা বেশ মনে আছে। কী রাগটাই না লাগতো- রাগে দু:খে এক আধবার কেঁদেছিলামও বোধহয়!

দুই:

মনে পড়ে- ক্লাস ইলেভেনের সময়ের কথা। ছিলাম ক্যাডেট কলেজে, গীটার সবসময় রুমে রাখার কপাল ছিল না, প্রায়সময়ই হাউজ মাস্টার অফিসে আমার বাংলা গীটার বন্দী হয়ে থাকতো। বৃহস্পতিবারে হাতে পেতাম দু'দিনের জন্য। কখনো সখনো অবশ্য, পুরো সপ্তাহেই রুমে রেখে দেওয়া হতো, হাউজ মাস্টার ভুলে গেলে কিংবা কোন স্যারের চোখে না পড়লে।
মনে আছে তখন, টেবিলের পায়া কেটে- মার্কার দিয়ে গীটারের ছয়টি তার আর চব্বিশটার মতন ফ্রেট এঁকে নিয়েছিলাম, যখন তখন প্র্যাকটিস করার জন্য।

কলেজে অবশ্য একটা বিরাট সুবিধা পেয়ে গিয়েছিলাম। গ্রীনরুম। ইলেকট্রিক গীটার ছিলো- বেস গীটার ছিলো- কীবোর্ড ছিলো- ড্রামস ছিলো। হয়ে গ্যালো ব্যাণ্ডদল। মুশতাক স্যারের কাছ থেকে কৌশলে চাবিটা আদায় করে নিয়ে, সময়ে অসময়ে চলে যেতাম গ্রীনরুমে- গেমস টাইমে, দুপুরের রেস্ট টাইমে- গ্রীনরুমে আমাদের সে কী ছেলেমানুষী 'জ্যামিং'।

স্টেজে প্রথম গানটা ছিলো ক্লাস ইলেভেনের 'কালচারাল ফাংশনে', নগর বাউলের 'নগর বাউল। আমি এক নগর বাউল জেগে আছি বড় একা। কী ভয়ংকর উত্তেজনা, কী অদ্ভূত শিহরণ স্টেজে গান করে। তখন আমাদের ক্রেজ ছিল 'স্ল্যাশ', সুতরাং তার মত করে গীটারটা হাঁটুর নিচে ঝুলিয়ে বাজানোর কী প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা।

ক্লাস টুয়েলভে যেন অনেককিছু পেয়ে গেলাম, কলেজের কোন ফাংশানে কিংবা কোন ব্যাচের কালচারাল ফাংশানে- আমাদেরই বাজানো হতো। তাই প্র্যাকটিস আর প্র্যাকটিস। মনে আছে- যেদিন আয়রন মেডেনের 'ফিয়ার অফ দ্য ডার্ক' তুলে ফেলেছিলাম, সেদিন কেমন লেগেছিলো।

এরপর একে একে পরিচয় হলো অদ্ভূত সব গীটারিস্টদের সাথে, আমার 'ফেবারিট' অবশ্য- নফলার, এরিক ক্লাপটন, স্যাট্রিওনি আর এই বাংলার কমল ভাই।

তিন:

ইউনিভার্সিটি নতুন ব্যাণ্ড হলো, বেশ একটা নামও দেয়া হলো- 'বৃত্তাধীন'। কিন্তু আমার বেশিদিন সইলো না। ঢাকায় গিয়ে প্যাডে প্র্যাকটিস করে আসা- এত কষ্ট করতে ইচ্ছে হলো না। তাই কয়েকমাস পর দলছুট হয়ে গেলাম।
এরপরই বলা যায়, আমার গান করার চেষ্টার শুরু। বুঝতে পারলাম, আমার এমনই দরকার। করিডোরে বসে একা একা টুংটাং করা।

নিজের কয়েকটা আবোল তাবোল গানের কথা বলি।

ফার্স্ট ইয়ারে একদিন গাছের উপর বসেই আমার প্রথম হাস্যকর গান লিখে ফেলা।

আমি নাকি নষ্ট মানুষ, আমায় দেখে চাঁদ হাসে না।
আমি যখন মাঝরাতে চাঁদের কাছে ছুটে যাই-
মায়ের মতোই ডাকি তারে, তবু-
আমায় দেখে চাঁদ পালায়,
বলে আমায়, নষ্ট মানুষ, তুমি আমায় ছুঁয়ো না।

তখন নেশায় পেয়ে বসলো। মনে হলো, নিজেকে বলার জন্য আমার নিজের কিছু গান দরকার, খুব খুব দরকার। তাই একা একা গীটার নিয়ে বসে থাকি, আর অলিখিত যত কথা তার কাছেই রেখে দিই।

মানুষ বলে ডাকি তারে, মানুষ ভেবে কোলে লই-
সোহাগ বরণ নিশিবেলা, তার লাগিয়া জেগে রই।
মানুষ কাঁদায় মানুষেরে- বোঝেনি এ পাগল মন-
তাই রেখেছি এ বুকের মাঝে, তোমায় সর্বক্ষণ।

একসময় দেখলাম, আমার খুব ইচ্ছে করে কবীর সুমনের মতন গান করতে। তাই সময়ে অসময়ে, বসে বসে গীটারে টুংটাং করে,নিজের বাজে গলায় তাঁর গান গাই, অঞ্জনের গান গাই, কখনো কখনো চিৎকার করতে ইচ্ছে করে- how many roads must a man walk down, before you call him a man?

আমার একটা বদভ্যাস হয়ে গ্যাছে এরপর। কাউকে দেখে গান লেখা। কিছু দেখে গান চট করে একটা গান লিখে ফেলা। কারো জন্য একটা গান রচনা করা। এই যেমন কারো জন্য একটা গান লিখেছিলাম, আমার জঘন্য লেখার মতই জঘন্য সব গানের আরেকটি-

রিক্শা থেকে নেমেই যেতে চাস্ আমার কী?
ভাঙাচোরা রাস্তাটা হয়ে যাবে ঠিকই- চার বেহারার পালকি।
পালকিটা দুলে উঠবে হাওয়ায়, তুই কাঁদবি।
মিথ্যে করে নাহয় আরেকটিবার- 'প্রিন্সেস' ডাকবো। তবু-
সানসেট দেখবো, তোর পাশে দাঁড়িয়ে
সমস্ত শহরে লোডশেডিং করে, দেশলাই জ্বালিয়ে।

চার:

আমার একটা বদভ্যাস আছে, পায়েই মনে হয় কিছু একটা সমস্যা হবে। ধপাস করে, হুটহাট করে প্রেমে পড়ে যাই। মনে করো, বাসে চেপে গাজীপুর থেকে ঢাকা যাচ্ছি- খুব বৃষ্টি হচ্ছে। বাস স্ট্যাণ্ডে দেখলাম একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে তার ওড়না দিয়ে বৃষ্টি থেকে বাঁচবার চেষ্টা করছে। আমার ইচ্ছে হয়, এক দৌড়ে মেয়েটার কাছে যাই। বলি, চলো একসাথেই ভিজি।
বলা তো হয়না দৌড়ে গিয়ে। তাই যেদিন কিংবা যে সন্ধ্যায় এভাবে কারো প্রেমে পড়লাম, সে রাতেই বসে যাই গান লিখতে।

আমি ধূলো মাখা পায়, ঘরে ফিরেছি- কত সন্ধ্যায়।
আমি বিকেলের আলোয়, কত অচেনা পথে তোমায়-
গান শুনিয়েছি বাংলায়।
মোরা ঘুরেছি ফিরেছি, খেলেছি খেলা- বর্ষা আঁকা মাঠে-
তুমি বললে, 'যাই চলি'- গোধূলি নামার ফাঁকে।
তুমি বেপাড়ার মেয়ে, তুমি শিউলি মেঘের, চলে এসো মোর গানে,
আমি সাঁঝেই প্রদীপ সাজিয়ে রেখেছি, রাখবো তোমার চরণে।

আমার নতুন উপাসনার নাম 'বাঁশি'। দিন নেই, রাত নেই, বাঁশি বাজাবোই। বাঁশিতে অবশ্য এখনো অনেক দূর এখনো যাওয়া হয়নি, তবুও তো প্রেম!
তাই ইচ্ছে হলে, সময় পেলে চারুকলার সামনে চলে যাই, লাবু মিয়ার কাছে এটা ওটা দেখে নিই- আর চারুকলার মেয়েদের দেখে বুকটা খাঁ খাঁ করে ওঠে- প্রেমে পড়ি নিয়মিত।
রাতের বেলা কানে হেডফোন গুঁজে শুনি- চৌরাসিয়ার বাঁশি মুখরিত সুরে, আমাদের গাজী আবদুল হাকিমের ফোক।

এক ওস্তাদের কাছে তালিম নিতে গেছি সেদিন। কার্পেটে বসে বাজানো হচ্ছিল, নিজের অজান্তে হঠাৎ বাঁশিটা আমার পায়ে লাগলো। ওস্তাদ প্রায় রেগে উঠলেন- এমন হলে কিন্তু তাকে পাবে না।

আমি বাঁশিটা কপালে ছোঁয়ালাম, মনে মনে বললাম- তাকে না পেলে আমার সহস্র জনম বৃথা!


মন্তব্য

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

(Y)

সানসেট দেখবো, তোর পাশে দাঁড়িয়ে
সমস্ত শহরে লোডশেডিং করে, দেশলাই জ্বালিয়ে।
এই গানটা অনেক আগে থেকেই শোনার ইচ্ছা। কিন্তু তোমার নিষেধাজ্ঞার কারণে না অন্য কারো কাছ থেকে পাইলাম, না তুমি নিজে শোনাইলা...

যে কয়টা গানের কথা লিখলা এখানে, সবগুলার কথাই দারুণ লাগল। হবে রে ভাই, তোমাকে দিয়েই হবে। গান আর সুরের প্রতি তোমার ভালোবাসাটা খাঁটি মনে হলো। তোমাকে দিয়ে তাই হতেই হবে...

পরিবর্তনশীল এর ছবি

নারে ভাই, আমারে দিয়া হবে না, কিছুই হবে না। এত বয়স হয়া গ্যালো এখনো একটা বালিকা পাইলাম না :(
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

নিবিড় এর ছবি

০১।
এলাকাবাসিনীরা কি তোর দিকে তাকিয়েছিল (হাসি)
০২।
সম্ভবত জন্ম থেকেই আমার সাথে সৃষ্টিশীল জিনিসগুলোর বিরোধ তাই গ্রীনরুমওয়ালাদের উপর আমি বড়ই হিংসিত। কলেজে পোলাপাইন গুলা কি দারুন করে গান গাইত আর আমি খালি পিছনে বসে বসে শুনতাম (হাসি)
০৩।
গান সম্পর্কে আমার ধারনা কম তার পরেও মনে হচ্ছে তোর লেখা প্রথম গানটায় সুর দিলে খারাপ হবে না আর শেষেরটার কথা গুলো সুন্দর লাগল (হাসি)
০৪।
সম্ভবত তোর প্রথম বাঁশিটা আমার সামনেই কিনা (হাসি) আর আশা করি তোর লেখা শেষের ইচ্ছাটা পূর্ণ হবে একদিন (চলুক)


মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

নাহ, তুই বইমেলার সামনে থেকে কেনা বাঁশিটার কথা কইতেছস? এর আগেও বহুত বাঁশি কিনছি, ছুডবেলা থেইকা আমার বাঁশি আর বই কেনার শখ। :)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

রায়হান আবীর এর ছবি

প্রথম কথা ০৫ ব্যাচের যারা গান করে তাদের পটেনশিয়াল বলে কিছু নাই। কী সব বালছাল গান লেখে, সুর করে। তুই শেষ বছরে এসেও যে ওদের সাথে যোগদিলি এইটা খুবই আনন্দের। একটা গান অন্তত ভালো হোক। তোরে ধন্যবাদ।

আর "তুই দুঃখ হয়ে আয়" এই গানের কথাটাও তো জোস!!


পুচ্ছে বেঁধেছি গুচ্ছ রজনীগন্ধা

পরিবর্তনশীল এর ছবি

হ। ঐ গানটা লিখছিলাম চারুকলায় এক মেয়েরে দেইখা, পহেলা বৈশাখের আগের দিন চারুকলার মাঠের মত জায়গাটায় এক মেয়ে লাফালাফি করতেছিলো, তারে দেইখা। :)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

ভাল লাগল খুব... আমিও প্রতিনিয়ত প্রেমে পড়ে যাই... :P কোনও ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে যদি পারতাম... :( হারমোনিয়াম কে ঠিক জাতের লাগেনা কেন জানি... তাই সুরপাগলা আমি আশায় থাকি স্বপ্নের বাজনদারের সুরসৃষ্টির...

--------------------------------------------------
একটি বাদরে, কি যে আদরে, খাচ্ছিল দোলা, ডাল ধরে ধরে!!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

ভালো, প্রতিনিয়ত প্রেমে পড়লে, সময় ভালো কাটে, চিন্তাভাবনা গুলো বেশ আরামদায়ক হয়। আর হারমোনিয়ামরে জাতের না কইলেন দেইখা আপনারে মাইনাস। :)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

দুষ্ট বালিকা এর ছবি

মাইনাস দিয়েন নাগো, দিয়েন না... হারমোনিয়াম বাজাইতে কে না পারে বলেন? :( আমিওতো পারি...

--------------------------------------------------
একটি বাদরে, কি যে আদরে, খাচ্ছিল দোলা, ডাল ধরে ধরে!!!

**************************************************
“মসজিদ ভাঙলে আল্লার কিছু যায় আসে না, মন্দির ভাঙলে ভগবানের কিছু যায়-আসে না; যায়-আসে শুধু ধর্মান্ধদের। ওরাই মসজিদ ভাঙে, মন্দির ভাঙে।

মসজিদ তোলা আর ভাঙার নাম রাজনীতি, মন্দির ভাঙা আর তোলার নাম রাজনীতি।

তিথীডোর এর ছবি

আমি পারি না। :(

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

অছ্যুৎ বলাই এর ছবি

আপনাকে হিংসে হচ্ছে। সাধনা সফল হোক। আর আপনার কিছু কাজ আমাদের সাথেও শেয়ার করেন।

---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো

পরিবর্তনশীল এর ছবি

শেয়ার করবো ক্যাম্নে, সব গানই মুখে আর অন্তরে, রেকর্ড করা নাই। আর থাকলেও অবশ্য শেয়ার করতাম না। লইজ্জা লাগে। :)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

লইজ্জা লাগে।
=))

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

কনফুসিয়াস এর ছবি

ঠিক প্রথম প্যারাটা পড়ে বেদম হাসলাম, তারপরে পোস্টের নিচে এসে পাঁচ দাগালাম, তারপরে পুরো পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম!
খুব ভাল লাগলো লেখাটা, গানগুলোও। দেশে গেলে শহীদুল্লাহর পুকুর পাড়ে বসে গান শুনবোনে তোমার। ওকে?

-----------------------------------
আমার ইচ্ছে হলো বাজাতে গীটার, মন আমার, মন আমার, মন আমার-

-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ

পরিবর্তনশীল এর ছবি

অনেক ধন্যবাদ তারেক ভাই।
আর আপনার কমবয়েসী বান্ধবী থাকলে নিয়া আইসেন, নইলে নো গান। :D
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

অতিথি লেখক এর ছবি

সানসেট দেখবো, তোর পাশে দাঁড়িয়ে
সমস্ত শহরে লোডশেডিং করে, দেশলাই জ্বালিয়ে।

আমায় দেখে চাঁদ পালায়,
বলে আমায়, নষ্ট মানুষ, তুমি আমায় ছুঁয়ো না।

লেখা খুব মজার, গান গুলোও ভাল লাগলো।

নৈশী।

পরিবর্তনশীল এর ছবি

থ্যাংকু :)
---------------------------------
ছেঁড়া স্যান্ডেল

সাইফ তাহসিন এর ছবি

বস, ভালো লাগল তোমার চেষ্টা দেখে, সাধনা দেখে এবং গান লেখার ক্ষমতা দেখে, অপেক্ষায় থাকলাম কোন একদিন নিশ্চয় গান আপলোডাইবা। গান দিতে লজ্জা লাগলে একখান সলো গীটার পিস দাও বস :)

=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী

এনকিদু এর ছবি

আমার একটা বদভ্যাস আছে, পায়েই মনে হয় কিছু একটা সমস্যা হবে। ধপাস করে, হুটহাট করে প্রেমে পড়ে যাই।

এইটা পায়ের সমস্যা না । হরমোনের সমস্যা ।


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...


অনেক দূরে যাব
যেখানে আকাশ লাল, মাটিটা ধূসর নীল ...

শাহেনশাহ সিমন [অতিথি] এর ছবি

গান শুনাইলে আমার অফিসের কয়েকটা সুন্দরীর সাথে খাতির করাবো। শুনাবা? ;)

সবজান্তা এর ছবি

আফসোস !

সারাটা জীবন প্রচণ্ড ইচ্ছা থাকা সত্বেও শুধুমাত্র সীমাহীন অলসতার কারণেই কোন বাদ্যযন্ত্র শেখা হলো না। নিজেকে সান্তনা দেই: সবাই বাজালে, শুনবে কে ?

শুভ কামনা থাকলো। গানের জন্য। বাঁশির জন্য। প্রেমের জন্য।


অলমিতি বিস্তারেণ

খেকশিয়াল এর ছবি

গীটারের কথা শুনলেই মন খারাপ লাগে। বাজাতে পারি না তেমন, কিছু টুং টাং কর্ডস পারি। কতদিন বাজাই না, আমার গীটারটা আলনার উপর ঝুলে আর কান্দে, আর আমি কান্দি না বাজাইতে পারার কারনে।

'ফিয়ার অফ দ্য ডার্ক' এর ইন্ট্রোটা উঠাইছিলাম শুইনা শুইনা, ব্যাপক মজা পাইসিলাম।

------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'

সুহান রিজওয়ান এর ছবি

ধপাস করে, হুটহাট করে প্রেমে পড়ে যাই।

হে হে, ভালো লক্ষণ...।

আপনি ভাই অসাধারণ লেখক, বাইরে থেকে দেইখ্যা কিছুই বোঝা যায় না...
---------------------------------------------------------------------------
- আমি ভালোবাসি মেঘ। যে মেঘেরা উড়ে যায় এই ওখানে- ওই সেখানে।সত্যি, কী বিস্ময়কর ওই মেঘদল !!!

অনিন্দিতা চৌধুরী এর ছবি

পরিবর্তনশীল, আজকে কিন্তু তোমাকে খুব হিংসা করছি।
কোন মানে হয় এত গুন থাকার?
তাড়াতাড়ি আমরা যাতে শুনতে পাই তার ব্যবস্থা করো।

অনিকেত এর ছবি

ভাই রে,
তোমার গানের কথা গুলো চমৎকার লাগল।
আমি নিশ্চিত, গানগুলোর সুরও চমৎকার!
অনুরোধ করব--অন্তত একটা গান আপ্লোড করতে---

আর সাহসের বা লজ্জার কথা বলছ?
আমি যদি এইখানে গান দিতে পারি----তুমি পারবা না? এইটা একটা কথা হইল

বস, রিকোয়েস্ট----

যদিওবা মানুষ এর ছবি

দূর্দান্ত!

জেবতিক রাজিব হক এর ছবি

আপ্নেতো দেখি বিরাট গাতক!!!
বিরাট বাঁশক হওয়ার জন্য শুভকামনা থাকলো।

পান্থ রহমান রেজা এর ছবি

শুভকামনা। একদিন নিশ্চয় হবে! সেদিন খুব বেশি দূরে নয় কিন্তু!
..................................................................

ঐ যে হাঁটছি মুদ্রা দোষে নাকটা ঘষে
আড্ডা মানেই সেকেণ্ড হাফে খেলছি সোলো
গুজবো না শার্ট আমার পাড়া স্মার্ট পেরিয়ে
সে রোদ্দুরের স্মরণ সভাও লিখতে হল

ধুসর গোধূলি এর ছবি

- আমার সমস্যা হলো, যত্রতত্র প্রেমে আমিও পড়ি কিন্তু সেই প্রেম বশিদিন থাকে না। বৈরাগী মন খালি উড়ু-উড়ু করে। :(

প্রথমে গীটারের প্রেমে পড়লাম, সেই ছোটবেলা থেকে। হাতে গীটার এলো বুইড়া বেলায়। এক জার্মান ওস্তাদের কাছে তালিম নিতেও গেলাম সপ্তাহে একবার করে। কিন্তু কী যেনো হলো এরপর, অভিমান করে দিলাম ছেড়ে! গীটারপ্রেম শেষ হয়ে গেলো।

কিছুদিন আগে শুরু হলো কী-বোর্ড প্রেম। প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনা আর ভাবগাম্ভীর্য নিয়ে একটা কী-বোর্ড হাতানোও হলো। অনেক আরধ্য প্রেমকে হাতের নাগালে সহজেই পেয়ে গেলে মনেহয় সেই প্রেম দ্যুতি হারায়। আমার ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে, কী বোর্ড খোলা অবস্থায় পড়ে আছে পাশের টেবিলে। নোটের বই খোলা তার পেছনে। আমি একটু ছুঁয়েও দেখছি না! :(

প্রেম ব্যাপারটা মনে হচ্ছে আমার জন্য না।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

প্রেম আপনার জন্য না? তাইলে বিয়া করেন :-D

অতন্দ্র প্রহরী এর ছবি

আমি তো জানতাম কীবোর্ডরে বহু আগেই বিয়া করসেন, গীটাররে তালাক দেওয়ার পর। যদি কীবোর্ডরেও মাঝে তালাক দিয়া থাকেন, তাইলে তো আপনার জন্য হিল্লা বিয়ার ব্যবস্থা করতে হবে ;-)

রাফি এর ছবি

একজনের এত গুণ থাকা ঠিক না।

লেখা (চলুক)
--------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

---------------------------------------
আমি সব দেবতারে ছেড়ে
আমার প্রাণের কাছে চলে আসি,
বলি আমি এই হৃদয়েরে;
সে কেন জলের মতন ঘুরে ঘুরে একা কথা কয়!

তিথীডোর এর ছবি

একজনের এত গুণ থাকা ঠিক না।

হ। 8)

________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"

মামুন হক এর ছবি

ঠিক প্রথম প্যারাটা পড়ে বেদম হাসলাম, তারপরে পোস্টের নিচে এসে পাঁচ দাগালাম, তারপরে পুরো পোস্ট পড়ে মুগ্ধ হয়ে গেলাম!
--কনফু ভাইয়ের কথা কপি করলাম, আমারও একই মত।
প্রেম- পরিণয় সকলই মায়ারে ভাই, দিল্লীকা লাড্ডু।

দৃশা এর ছবি

আমিও আগেও খিয়াল কইরা দেখছি চট্টগ্রামের ছাওয়ালরা বিরাট প্রতিভা হয়।
সামনে এইটা আবারও প্রমাণিত হইব যা বুঝতাছি। :D

দৃশা

তানবীরা এর ছবি

মেয়েরা কতো কামের টনিক। যাইহোক গান শুনিতে চাইইইইইইইইইই
---------------------------------------------------------
রাত্রে যদি সূর্যশোকে ঝরে অশ্রুধারা
সূর্য নাহি ফেরে শুধু ব্যর্থ হয় তারা

*******************************************
পদে পদে ভুলভ্রান্তি অথচ জীবন তারচেয়ে বড় ঢের ঢের বড়

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।