আজ থেকে বহু বছর আগে আমি একজন বাউল ছিলাম। বাউলের সঙ্গিনী ছিলো তার মা। বাউল মাকে বলতো, "মা, তোমার গেরুয়া রঙের কোন শাড়ী নেই, যার আঁচলখানি আমাদের উঠোনের ঠিক বাইরে যে ডালিম গাছটা আছে, তার গায়ে সকাল নেই দুপুর নেই বসে থাকা বোকা পাখিটার মতো?"
মা হাসতো। মা হাসতো। মা হাসতো। বলতো, "এই যে আছে! "
"ওমা, এটা তো নীল রঙের। তোমার এ শাড়ীর পাড় তো বিকেলের মতো। বাবার আঙুল মুঠোয় ভরে আমি যে রোজ বেড়াতে যাই? একেকদিন ইশকুলের মাঠে, একেকদিন কর্ণফুলীর নদীর দ্বারে দাঁড়িয়ে, আমরা এমন বিকেল দেখেছি, আমি আর বাবা! কেন তোমার বুঝি মনে নেই? সেবার বর্ষা হলো, সারাবেলা অবিশ্রান্ত বৃষ্টির গুঞ্জন, আমি তুমি আর বাবা নৌকোয় চড়ে নানার বাড়ি বেড়াতে গেলাম? সেই যে আমার মেজো মামার একটা মেয়ে হলো, নানাভাই তাঁর নাতনীর কপালে হাত দেয়নি, এমন নরম তুলতুলে তার মুখ, ছুঁতে গেলি যদি ঝরে পড়ে যায়। হুঁ, সেবার, নৌকোয় ফিরতে গিয়ে আমরা যে বিকেল দেখলাম, আমি তুমি আর বাবা, আর, আর বিকেল, ঠিক তোমার নীল রঙা এ শাড়ীটার আঁচলের মতো।"
শৈশবের সে বাউল, আজ দুপুরে, বিকেলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং'এর খুব সম্ভবত শেষ পরীক্ষাটা দিয়ে এলো। বাবার বৃদ্ধাঙুল মুঠোয় নিয়ে অনেকদূর হেঁটে যাওয়া গ্রামের পথ ধরে, সে পথ আজ স্মৃতির কানাগলিতে ঘর খুঁজে পায়না। মা'র নীল রঙা শাড়ীর পাড়ের মতো বিকেল, সে বিকেলে ছাদের পাঁচিলে পা ঝুলিয়ে- এলোমেলো গান আর হবে না কখনো।
এখন ভাবি, দূর ছাই। কাজ নেই বাউল হয়ে, প্রয়োজন নেই ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার।
শুধু মা, তুমি তোমার সেই, বিকেলের মতো শাড়ীর আঁচল আমার কপালে রাখো, আমি শান্তিতে, বড় শান্তিতে ঠিক একশ বছর ঘুমোবো।
মন্তব্য
অভিনন্দন ...................
বাস্তব জীবনে নামো হে, ঘুমটুম ছুটে যাবে সব। অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো।
শুভকামনা মুহিব। জ়ীবন সবে শুরু হল বলে )।
শুভকামনা, অন্য এক বাস্তব জীবনে।
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
::: http://www.bdeduarticle.com
::: http://www.facebook.com/profile.php?id=614262553/
.............................................
আজকে ভোরের আলোয় উজ্জ্বল
এই জীবনের পদ্মপাতার জল - জীবনানন্দ দাশ
অভিনন্দন ইঞ্জিনিয়ার সাব
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় ।
বুঝা গেল দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারন। ভাইরে সুখের দিন শেষ হইয়া গেলগা আপনার। নতুন জীবনে সুস্বাগতম এবং অভিনন্দন। লেখাটা খুব ছুয়ে গেল ভাইজান। ২০০৩ এর জুন মাসে একই অনুভূতি আমারো হইসিল। কেমন যেন শূন্যতা আর অনিশ্চয়তাপূর্ন উদ্ভট এক অনুভূতি। যাক, সেই কথা মনে করলে আমার আবার নিজেকে অপ্রকৃতস্থ লাগে
=================================
বাংলাদেশই আমার ভূ-স্বর্গ, জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরিয়সী
অভিনন্দন!
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
ব্যাক্তিগত ব্লগ | আমার ছবিঘর
অভিনন্দন।
মহসীন রেজা
আরে অভিনন্দন৷ দু:খ করবেন না, সোওজা জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ুন৷
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
-----------------------------------------------------
"চিলেকোঠার দরজা ভাঙা, পাল্লা উধাও
রোদ ঢুকেছে চোরের মত, গঞ্জনা দাও'
এমন অসাধারণ অভিব্যক্তি---আমাদের পরিবর্তনশীল ছাড়া আর কার হাত দিয়ে আসবে!পরীক্ষা দিয়ে তুমি একজন চৌকষ ইঞ্জিনিয়ার হবে--সন্দেহ নেই।
আমার অভিনন্দন সে জন্যে থাকল না।
আমার অভিনন্দন রইল---তোমার একজন সংবেদনশীল মানুষ হয়ে ওঠার জন্যে।যন্ত্রের সাধনা তোমার মনটা যন্ত্র করে দেয়নি---বিকেলের মতো শাড়ীর আঁচল এখনো তোমার মনকে ছায়া দিয়ে রেখেছে---এইটাই সবচাইতে বড় পাওয়া!!!!
মাভৈঃ ----!
অভিনন্দন পরিবর্তনশীল।
জীবনযুদ্ধে তোমাকে অনুপ্রেরনা যোগাবে তোমার সৃষ্টিশীল লেখা।
ভয় নেই । ক্লান্ত হয়ো না।
চালিয়ে যাও।
খুব মন ছুঁইয়ে যাওয়া একটা লেখা। মা'র আঁচলে মাথা রেখে শুইনা বহু বছর। বাস্তবতা কেনো যে এতো কঠিন হয়ে দেখা দেয় মাঝে মাঝে !!
------------------------------------------------------------------
সকলই চলিয়া যায়,
সকলের যেতে হয় বলে।
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
ছবির মতো লেখা।
তুই যে কি মহিব।
আজ তুইও ইঞ্জিনিয়ার হইলি আর আমিও হইলাম মনে হয়।
তুই চিন্তা করতাসোস মায়ের আচঁলে লুকানোর কথা...বাবার হাত ধরে হাঁটার কথা...শৈশবের বাউলাপনার কথা...
আর আমি?
চিন্তা করতাসি কবে চাকরী হইবো...কত বেতন পামু...কবে বিয়া করুম...
'ব্যক্তি' আর হতে পারলাম না...'বস্তু'ই রয়ে গেলাম।
/
ভন্ড_মানব
কেমন নরম আকাশী-নীল একটা লেখা।
-----------------------------------------------
কোন্ দূর নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
-----------------------------------------------
কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
তাহার মানুষ-চোখে ছবি দেখে
একা জেগে রয় -
অভিনন্দন মুহিব!! আছিস কেমন?
'গেলি' -টা কি ইচ্ছাকৃত?
লেখা মন ছুঁয়ে গেল! ঘুম প্রয়োজন, তবে ঠিক সময়ে জাগাটাও জরুরী। বাস্তবতা অতোটা খারাপ নয়।
রাহিন
অভিনন্দন, মুহিব!
পাশ করার পর প্রথম বাস্তবতা হচ্ছে ভার্সিটি ছেড়ে যাওয়া ... বেস্ট অফ লাক।
মা'কে নিয়ে লেখা অনেক আবেগের লেখা আপনার। এটাও একটা। আবেগটাকে ধরে রাখুন, এই কামনা করি।
অভিনন্দন মুহিব ।
যা-ই করো, লেখালেখিটা ছেড়ো না । (পুলিশের চাকরী করেও আবু ইসহাক পদ্মার পলিদ্বীপ লিখে গেছেন , ভুইলো না )
ভালো থেকো ।
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
---------------------------------------------------------
তুমি এসো অন্যদিন,অন্য লোক লিখবে সব
আমি তো সংসারবদ্ধ, আমি তো জীবিকাবদ্ধ শব !
এটাই তো পরিবর্তনের ছোঁয়া বাস্তবতার তৈরীতে জল বাওয়া.........আগামী দিনগুলোতে স্মৃতি আরো উজ্জ্বল থাক। বাউল প্রকৌশলী তুমি কৃর্তিমান হও সততার জীবন যুদ্ধে।
মরণ রে তুহু মম শ্যাম সমান.....
অভিনন্দন। পথের কোনো শেষ নেই, তবুও যতোটা সাফল্যের সাথে পাড়ি দেয়া যায়, ততোটাই পরবর্তী পথে চলার অনুপ্রেরণা যোগায়। আপনার ভবিষ্যত চলার পথটা সুন্দর হোক।
---------
চাবি থাকনই শেষ কথা নয়; তালার হদিস রাখতে হইবো
ওরে ছুঁড়ে ফেল দালান-কোঠা বাড়ি-ঘর, চলে আয় আমার সাথে, শ্মশানে বানাই বৈঠকখানা।
___________
চাপা মারা চলিবে
কিন্তু চাপায় মারা বিপজ্জনক
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
বড়ো ভালো লাগলো লেখাটা। আগামী জীবন সাফল্যমন্ডিত হোক, সেই কামনা করি।
হাঃহাঃ; এবারের সেমিষ্টার ফাইনাল দিয়েছিলাম মোটামুটি পড়াশুনো ছাড়াই... শেষ হয়ে যাচ্ছে ভার্সিটি জীবন, সেই আনন্দে একফোঁটা মনোযোগ ও দিতে পারিনি !! আপনার জন্যে অনেক শুভকামনা রইলো... *তিথীডোর
নতুন মন্তব্য করুন