যা কিছু আমার মনে নেই
আমি সাধারণ মানুষ। পত্রিকায়, টিভিতে অপ্রকাশিত আমার ইন্টারভিউ সমগ্র ভরে থাকে - "আপনার এক্সপেক্টেড স্যালারি কত?" "আমাদের কোম্পানিতে আপনি কী কী ভূমিকা রাখতে পারবেন?" এইসব প্রশ্নে। তাই, যখন একদিন হুট করে নির্বাসন নামক গ্রহের ইমিগ্র্যান্ট হবো- কেউ জানবে না- আমার সাথে থাকবে খুব হালকা একটা বই। শুরু এবং শেষের দুটো সাদা কাগজকে হিসেবে ধরলে- দুশো বাষট্টি পৃষ্ঠার যে বইয়ের ওজন (আসলে ভর) খুব বেশি হলে কয়েকশো গ্রাম হবে। কেউ জানবে না- বুকের ভেতর খানিকটা আনন্দ আর অনেকটা কষ্ট-স্মৃতির অমনিবাস নিয়ে যেদিন নির্বাসনে যাবো, আমার হাতে থাকবে আবুল হাসানের কবিতা সমগ্র।
আবুল হাসানের কবিতা প্রথম কবে পড়েছি জানি না। তবে অনুভব করেছি বহু বহুকাল আগে থেকেই।
আমার বাবা যখন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শহর থেকে ফিরতেন, আমরা চার ভাইবোন যখন ঘুম ঘুম চোখে উঠোনে বাবাকে ঘিরে দাঁড়াতাম- বাবা যখন একে একে বিদেশি চকলেট কিংবা খেলনা এরোপ্লেন আমাদের হাতে তুলে দিতেন- আমরা দেখতে পেতাম বাবার শার্টের পকেটে যত্ন করে রাখা আছে সাদা চামেলি না-হোক অন্য কোন ফুল। এরপর একেকদিন মায়ের চুলের খোঁপায় আমরা খুঁজে পেতাম সেই সাদা চামেলি না-হোক অন্য কোন ফুলের সুবাস।
পরে জেনেছি, কোন একজন মানুষ বিশাল এই পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া তুচ্ছতম এইসব দৃশ্য কবিতাবন্দী করে গেছেন।
যখন আবুল হাসানের কবিতা পড়ি, আমার মনে পড়ে যায় সেইসব মেয়েদের কথা যারা ঊনিশশো সাতানব্বই সালে ফ্রক পরে ইশকুলে যেতো- নির্দোষ খুনসুঁটির মুহুর্তে যে মেয়েরা- শায়লা কিংবা মীতু - মিথ্যে অভিমান করে সমাপ্তি'র অপর্ণা সেনের মতো ঠোঁট উল্টে বলতো, "যাও, তোমার সাথে আড়ি!" মনে পড়ে যায় সেইসব বন্ধুদের কথা যারা ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চিতে বসে উষ্ণ মেয়েদের গল্প করতো আর শীতকালে চাঁদের মতন গোল বাতামের কোট পরে ঘুরত পাড়ায়। আর মনে পড়ে তোমার কথা- অতো বড় চোখ নিয়ে- অতো বড় খোঁপা নিয়ে-অতো বড় দীর্ঘশ্বাস বুকের নিশ্বাস নিয়ে যে তুমি মেলে দিয়েছিলে কোমরের কোমল সারশ।
পড়ি, বারবার পড়া হয় সেইসব অদ্ভুত- ভারী অদ্ভুত যত কবিতা। স্কলারশিপ নিয়ে ইউরোপ আমেরিকায় উচ্চতর ডিগ্রী নিতে অথবা বাংলালিংক ইউনিলিভারে মোটা মাইনের চাকরি পেতে ব্যর্থ আমি চাটগাঁ শহরের একেকটা পাহাড়কে পাশে রেখে হাঁটি- খুঁজি স্বপ্ন নামের ঐ একলা বাড়ি- যে বাড়ির ডানে সোনালীসবুজ গাছ, বামে নীল অপরাজিতার ঝাড়-যেখানে তুমি স্বর্ণচাঁপার মতন একা একা ফুটে ওঠো জ্যোৎস্নায়- সদ্য ভাঁজ খোলা চিঠির গায়ে জোনাকির মতো যেখানে তোমার কপালে লাল টিপ- যেখানে তোমার অমলিন অধরের দিকে তাকালেই আমি জেনে যাই, চড়ুইয়ের ঠোঁটে কেন এত তৃষ্ণা!
কুকুর কিংবা কাকের মত সহজ সরল এই বেঁচে থাকার প্রত্যেকটা মুহুর্তে আবুল হাসানের কবিতার কাছে ঋণী হই। যখন উদাসীন কয়েকটি শিশিরে মুখ ধুতে গিয়ে ভোরবেলা দেখি চোখ ভিজে আছে, তখন আমারও ইচ্ছে হয়, অশ্রুর বদলে চেয়ে নিই অমৃতের নদী। জানি, পাবো না। এই পৃথিবীতে হত্যার বদলে হত্যা, ক্রুরতার বদলে ক্রুরতা, শুয়োরের বদলে আরো শুয়োরের পাল পাওয়া যেতে পারে- কিন্তু ফুলের বদলে ফুল পাওয়া এখানে আজ অসম্ভব।
তবুও রুটিনমাফিক বেঁচে থাকি। দুশো বাষট্টি পৃষ্ঠার বইটার একেকটা পাতা উল্টোই- আর বুঝতে পারি বিষাদের মাতৃভাষা কবিতা।
কয়েকশো গ্রাম ওজনের (আসলে ভর) বইটার একেকটা শব্দ পড়ি- আর অনুভব করি মানুষ একা।
মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা!
মন্তব্য
ভালো লেখা।
_____________________________________________________________________
বরং দ্বিমত হও, আস্থা রাখো দ্বিতীয় বিদ্যায়।
বহুদিন পর পরিবর্তনশীল তোমার লেখা পড়লাম।
বহুদিন পর কারো লেখা পড়ে বুক হু হু করে উঠল---
এই লেখাটা নিয়ে বলার কিছু আমার নেই।
শুধু এইটুকু বলে যাই---এই লেখার কাছে আমি ফিরব বার বার, অযুত লক্ষ নিযুত বার।
তোমাকে আর আবুল হাসান কে কুর্নিশ জানিয়ে গেলাম---
ভিন্ন প্রসঙ্গেঃ আবুল হাসান লোকটা আসলেই 'আহা'--
ক) এই লেখাটা নীড়পাতায় আসার আগেই আমি পড়েছি।
খ) ওয়েলকাম ব্যাক ভ্রাতঃ।
গ) 'যদি আমি উদাসীন কয়েকটি শিশিরে মুখ ধুয়ে ভোরবেলা,
চিরুণিতে পেয়ে যাই তোমার কয়েকটি চুল...
যদি আমি তোমাকে দেখার স্বপ্ন ঠোঁটে গুঁজে বেরোই রাস্তায়?'
#কয়েকটি সোনালি গল্প : আবুল হাসান
♥আবুল হাসান শুধু আবুল হাসানই।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ঠিক তাই
বাকরুদ্ধ হয়ে বসে থাকলাম অনেক্ষণ লেখাটা পড়ে।
-------------------------------
আকালের স্রোতে ভেসে চলি নিশাচর।
মানুষ তার চিবুকের কাছেও ভীষণ অচেনা ও একা!
আবুল হাসানের কবিতা আমি পড়িনি। তবে আপনার লেখা পড়ে নিজেকে নিজে কথা দিইয়েছি, আগামী সাত দিনের মধ্যেই পড়ব।
জলদি পড়ুন।
আপনি জানেন না, কী মিস করছেন।
________________________________________
"আষাঢ় সজলঘন আঁধারে, ভাবে বসি দুরাশার ধেয়ানে--
আমি কেন তিথিডোরে বাঁধা রে, ফাগুনেরে মোর পাশে কে আনে"
ভূউঊঊঊঊঊঊঊত
মাথা নষ্ট, ম্যআন!!
==========================================================
ফ্লিকার । ফেসবুক । 500 PX ।
কত শত দিন পর লিখলেন দাদা!!!
কী ঐশ্বর্যময় লাগলো!! ভাবাবেশে উদ্বেলিত হলাম।
_____________________
Give Her Freedom!
আবুল হাসানের কবিতা আমারো ভীষণ প্রিয়
অনেকদিন পর পরিবর্তনশীল এর লেখা। ভাল লাগলো।
-----------------------------------------------
'..দ্রিমুই য্রখ্রন ত্রখ্রন স্রবট্রাত্রেই দ্রিমু!'
কেমন জানি একটা ঘোরের মধ্যে পড়ে গেলাম। আবুল হাসান আবুল হাসানই, অতুলনীয়।
সাথে টাইগার পাসটাকেও মনে করায়ে দিলেন।
স্তব্ধতা চেপে ধরলো পুরোপুরি! আপনার লেখা নিয়ে কেন কেউ কেউ আলোচনা করে আজ বুঝলাম!
আবুল হাসানের উপর সচলে দুইটা লেখা পড়লাম। আমি আসলে কবিতা তেমন পড়িনা, কিন্তু মনে হচ্ছে উনারটা পড়তে হবে। লেখা অসাধারণ লেগেছে।
অফিসে বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না। চারপাশের চারটা দেয়াল আমাকে চেপে ধরছে। খোলা আকাশে একটু নিশ্বাস নিতে চাই।
এটা কে রে? চোখে ভুল দেখছি না তো?
এবারের কতদিনের জন্যে ডুব দিবা?
-----------------------------------
বই,আর্ট, নানা কিছু এবং বইদ্বীপ ।
আমি আপনার পোস্টে মন্তব্যে একটা কমন লাইন লিখতাম, 'ডর করে'! এই 'ডর'টা কেনো করে সেটাও বোধ'য় কোথাও খোলাসা করে বলেছিলাম। কিন্তু আশ্চর্য কিংবা মজার ব্যাপার হলো, আমার সেই ডরটাকে সত্যি করে দিয়ে আপনি লেখালেখি থেকে নির্বাসনে চলে গেলেন। 'সবাই বুকের ভেতরে একেকটা নদী নিয়ে চলে'- কে যেনো বলেছিলো! নদীটার কারণেই আপনার এই নির্বাসন কিনা, কে জানে!
জানেন তো গুরু, জীবন হালায় বহমান। তাই বলি কি, 'ফিরে এসো বেহুলা'।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
অতিঅসাধারণ!
আবুল হাসান কেবল আবুল হাসানই!
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
লেখাটা এত ভাল লেগেছে যে বোঝানোর মত নয়।
অস্বাধারণ।
অদ্ভূত!!!
-------------------------------------------------
ক্লাশভর্তি উজ্জ্বল সন্তান, ওরা জুড়ে দেবে ফুলস্কেফ সমস্ত কাগজ !
আমি বাজে ছেলে, আমি লাষ্ট বেঞ্চি, আমি পারবো না !
আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি, আমি সত্যি মূর্খ, আকাঠ !
আসলেই তাই
----------------------------------------------------------------------------------------------
"একদিন ভোর হবেই"
কর্পোরেটে না গিয়েই লেখা বন্ধ করছেন? মিঞাআআ!!!
দুমাদুম কিছু নতুন গল্প দেন।
চমৎকার, চমৎকার।
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
বাকরুদ্ধ !! অসাধারণ, শুধুই অসাধারণ
ডাকঘর | ছবিঘর
দারুণ।
facebook
খুব ভালো লাগলো লেখাটি। আর আবুল হাসান - 'সে এক পাথর আছে কেবলি লাবণ্য ধরে'।
মহিব, হারায় যাইসনা এইবার আর হারামি। যেসব জিনিস খুব বেশি মিস করি তার লিস্টিতে তোর লেখা অনেক উপরের দিকে। পাঠকের জন্য না হলেও নিজের জন্য লিখিস মাঝে মাঝে।
---------------------------------
বাঁইচ্যা আছি
কী সুন্দর লেখা!
গ্রহান্তরে গেলে কোন বইটা সঙ্গে নিতাম কখনো ভেবে দেখি নাই। ভেবে মনে হলো (নাকি লেখাটা পড়ে মনে হল) আবুল হাসানকেই নিতাম সাথে
"শিমুল ফুলের কাছে শিশির আনতে গেছে সমস্ত সকাল।।।
উদিত দুঃখের দেশ তাই বলে হে কবিতা, দুধভাত তুমি ফিরে এসো।।।"
আবুল হাসান শুধু আবুল হাসান-ই!!
আমিও একদিন লিখেছিলাম এই 'অসহ্য লোক'-টাকে নিয়ে, যে নাকি কেবলই লাবণ্য ধরে আর সব প্রেমিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চায় ...
অসাধারণ
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
এইটা কে ?
অলমিতি বিস্তারেণ
" তোমার নীল চোখের ভিতর এক সামুদ্রিক ঝড় কেন ?"
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
লেখাটির শব্দগুলো, কথাগুলো প্রাণের পরে চলে গেল...
“Peace comes from within. Do not seek it without.” - Gautama Buddha
______________আবুল হাসান, বারবার আবুল হাসান_______জীবনানন্দ, সুধীনদাস ঘুরে এসে আবারো বসে থাকি আবুল হাসানের দোরে_____ মানুষ তার চিবুকের কাছেও একা____স্মৃতিপিপীলিকা তাই পুঞ্জিত করে মৃত মাধুরীর যত কণা, কাল থেকে এই লাইন দুটো ঘুরঘুর করছিল মগজের ভেতর, এখন পড়লাম আপনার এই লেখা, একটা ধোঁয়ার রিং আকাশে উড়িয়ে দিতে ইচ্ছে করছে এই মুহুর্তে। আর কাকতালের মতো হেডফোনের এমপিথ্রিতে চক্র ঘুরে বেজে উঠলো অজয় চক্রবর্তীর - কেন অন্তহীন বিরহের--- রাতের শেষ গাড়িটার বাঁশিটা বেজে উঠলো যেন।
-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.--.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.-.
সকল লোকের মাঝে বসে, আমার নিজের মুদ্রাদোষে
আমি একা হতেছি আলাদা? আমার চোখেই শুধু ধাঁধা?
অনুরোধ,আবদার সবাই রাখে না । কেউ কেউ রাখে।
তোমার লেখা নিয়ে নতুন করে কী বলবো বল তো?
ধন্যবাদ পরিবর্তনশীল
গতকাল একবার পড়েছিলাম লেখাটা , কিছু বলার কথা মাথাতেই আসেনি। আজ আবার পড়লাম, আজও গতকালের মতই বাকরুদ্ধ , আপনার অনেক অনেক বেশি লেখা উচিৎ । এরকম বাকরুদ্ধ তো সবাই করতে পারে না ।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
আর বানান টিচার তিথী ম্যাডামের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
ভূউঊঊঊঊঊঊঊত
আপনাকে ব্যাক ইন ট্রেক দেখে বিমলানন্দ পাচ্ছি
ভাইরে, আমি মাঝখানে টানা পাচ ( চন্দ্রবিন্দু পাচ্ছি না) বছর কিছু লেখি নাই। তার আগে যে হাতিঘোড়া কোন লেখক ছিলাম তা না কিন্তু তারপরও মাঝে মাঝে লিখতাম মন চাইলে। তাপ্পর পাচ ( উইথ চন্দ্রবিন্দু) বছর রেস্ট নিয়ে একদিন মাই নেম ইজ খান দেখে মনে হলো শারুক খান যদি অভিনেতা হতে পারে তাইলে পরে আমিও লেখক হতে পারি । তাই দুনিয়াদারীর সব কিছুকে মুড়ি খাইতে বলে আবার একদিন লিখতে শুরু করলাম। সুতরাং এইবেলা লাইপকে মুড়ি খেতে বলে আপনিও ফড়ফড়িয়ে লিখতে থাকুন। লাইপ এর কাজই হচ্ছে কারণে অকারণে মানুষকে পুটু মারা, একমাত্র সলুশ্যন উল্টা লাইপকে ধরে পুটু মেরে দিন । খুব বেশী কঠিন কাজ না । অনেক জ্ঞান দিয়ে দিলাম, পয়সা পরে পাঠায়ে দিয়েন।
যে লিখতে জানে, আমার কেন জানি মনে হয় না লেখাটা তার জন্য পাপ!
আর পাপ-পূণ্যের হিসাব তুচ্ছ মনে হলে পাঠকের প্রতি করা অন্যায়টুকুর কথা মনে করিয়ে দিতে হবে আরকি!
সত্যি সত্যি 'সচল' হতে পারুন, এই শুভকামনা।
~~~~~~~~~~~~~~~~
আমার লেখা কইবে কথা যখন আমি থাকবোনা...
কখনো বলা হয় নি, সচলে তুমিই একমাত্র সচল যার সবগুলো লেখা আমি পড়েছি। ঢাকায় তোমার কথা জানতে চেয়েছিলাম কারো কারো কাছে। ফিরে এসে খুব কাছে থেকে দেখা একজনকে নিয়ে তোমার লেখা পড়ে এতো ভালো লাগলো যে মন্তব্য না করে পারলাম না।
অনেকদিন পর তোমার লেখা... অদ্ভুত সুন্দর!
মর্ম, মেহবুবা জুবায়ের এবং রনি ভাই- তিনজনকেই অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
“দুশো বাষট্টি পৃষ্ঠার বইটার একেকটা পাতা উল্টোই- আর বুঝতে পারি বিষাদের মাতৃভাষা কবিতা”—
অসাধারণ!
যে সমস্ত লেখার কারণে 'সচলায়তন'-কে মাঝে মাঝে ব্লগ হিসেবে অতুলনীয় মনে হয় -- এটা সেরকম একটা লেখা!
----------------------------------------------------------------------------
একশজন খাঁটি মানুষ দিয়ে একটা দেশ পাল্টে দেয়া যায়।তাই কখনো বিখ্যাত হওয়ার চেষ্টা করতে হয় না--চেষ্টা করতে হয় খাঁটি হওয়ার!!
আমাকে নিয়ে কিন্তু আবুল হাসানের একটা কবিতা আছে... প্রথম লাইন হলো...
"আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি... "
ঝিনুক তবু নীরবে সহে যায়... মুক্তা ফলাতে হবে যে মুখ বুঁজে... কারণ সে জানে...
"এ ভ্রমণ আর কিছু নয়, কেবল তোমার কাছে যাওয়া..."
লেখা দারুণ হয়েছে
-----------------------------------------------------------------
কাচের জগে, বালতি-মগে, চায়ের কাপে ছাই,
অন্ধকারে ভূতের কোরাস, “মুন্ডু কেটে খাই” ।
দারুন লেখা,ভালো লাগলো।
মুশাররাত, রাজিব মোস্তাফিজ, তনিম্ভাই, জয় ইমরান- ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
Have to read
দারুণ...
এবং ঠেলা...
নতুন মন্তব্য করুন