বীরভূম জেলার রায়পুরের সিংহপরিবারের সঙ্গে দেবেন্দ্রনাথের বিশেষ বন্ধুতা ছিল। সেখানে একবার নিমন্ত্রণ রক্ষায় গেলেন। যেতে যেতে ভুবনডাঙার মাঠে রাত হয়ে গেল। আকাশে অদ্ভুত জ্যোৎস্না উঠেছে। একটি ছাতিমগাছ মাঠের মধ্যে দাঁড়িয়ে। তাকে ঘিরে আছে আনৈসর্গিক শূন্যতা। এই শূন্যতা তার প্রাণ ছুঁয়ে গেল। সেখানে মাঝে মাঝে তাবু ফেলে মাঝে মাঝে দিন কাটাতেন। ১৮৬৩ সালের ৩১ মার্চ তিনি কুড়ি বিঘা জমি ৫ টাকায় পাট্টা নিলেন। এবং শান্তি নিকেতন নামে একটি গৃহ প্রস্তুত করে মাঝে মাঝে নির্জন বাস করতে আরম্ভ করলেন। রবীন্দ্রনাথ বাল্যকালে এখানে পিতার সঙ্গে এসেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘’শান্তি নিকেতনে এসেই আমার জীবনে প্রথম ছাড়া পেয়েছি বিশ্বপ্রকৃতির মাঝে। …আমার জীবন নিতান্তই অসম্পূর্ণ থাকত প্রথম বয়সে এই সুযোগ যদি আমার না ঘটত।…বোলপুরে যখন কবিতা লিখিতাম তখন বাগানের প্রান্তে একটি শিশু নারিকেলগাছের তলায় মাটিতে পা ছড়াইয়া বসিয়া খাতা ভরাইতে ভালবাসিতাম।…’’
১৮৮৮ সালের ৮ মার্চ তারিখে দেবেন্দ্রনাথ একটি ট্রাস্ট ডীড তৈরি করে শান্তিনিকেতনকে সর্বসাধারণের জন্য উৎসর্গ করেন। এবং নিজের জমিদারির কয়েকটি পরগনার (আনুমানিক ১৮৪৫২ টাকা মূল্যের) সম্পত্তি শান্তিনিকেতন আশ্রমের ব্যয় নির্বাহ করবার জন্য দান করেন। ডীডে ছিল, ‘’উক্ত সম্পত্তি চিরকাল কেবল নিরাকার একব্রহ্মের উপসনার জন্য ব্যবহৃত হইবে। …কোনো সম্প্রদায়বিশেষের অভিষ্ট দেবতা বা পশুপাখি মনুষ্যের মূর্তির বা চিত্রের বা কোনো চিহ্ণের পূজা হোমযজ্ঞাদি ঐ শান্তিনিকেতনে হইবে না। কোনো ধর্ম বা মনুষ্যের উপাস্য দেবতার কোনো প্রকার নিন্দা বা অবমাননা ঐ স্থানে হইবে না।‘’
উক্ত ডীডে ট্রাস্টিদের প্রতি একটি ‘ব্রহ্মবিদ্যালয়’ স্থাপনের নির্দেশ ছিল। এই বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন নাতি বলেন্দ্রনাথ ঠাকুর। তিনি বিদ্যালয়ের জন্য একটি খসড়া নিয়মাবলীও প্রণয়ন করেছিলেন। কিন্তু ১৮৯৯ সালে তাঁর অকাল মৃত্যু হলে এই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০১ সালে শান্তিনিকেতনে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিকল্পনা অনেকাংশে পাল্টে দেন। তিনি চেয়েছিলেন, একালের বিদ্যার সঙ্গে সেকালের মনুষ্যত্বের যোগসাধন করতে।
সে সময় ১৯০১ সালে বোলপুর ছিল নিতান্তই ছোট একটি শহর।
আশ্রমের রূপ ও বিকাশ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন-- ‘তখন আশ্রমের পরিধি ছিল ছোট। তার দক্ষিণ সীমানায় দীর্ঘ সার-বাঁধা শালগাছ। মাধবীলতা-বিতানে প্রবেশের দ্বার। পিছনে পূবদিকে আমবাগান, পশ্চিমদিকে কোথাও-বা তাল, কোথাও-বা জাম, কোথাওবা ঝাউ, ইতস্তত গুটিকতক নারকেল। উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে প্রাচীন দুটি ছাতিমের তলায় মার্বেল-পাথরে বাধানো নিরলংকৃত বেদি। তার সামনে গাছের আড়াল নেই, দিগন্ত বিস্তারিত অবারিত মাঠ, সে মাঠে তখনও চাষ পড়েনি। উত্তরদিকে আমলকি বনের মধ্যে অতিথিদের জন্যে দোতলা কোঠা আর তারই সংলগ্ন রান্নাবাড়ি প্রাচীন কদমগাছের ছায়ায়। আর একটিমাত্র পাকাবাড়ি ছিল একতলা, তারই মধ্যে ছিল পুরানো আমলের বাঁধানো তত্ত্ববোধিনী এবং আরও-কিছু বইয়ের সংগ্রহ। এই বাড়িকেই পরে প্রশস্ত করে এবং এর উপরে আর একতলা চড়িয়ে বর্তমান গ্রন্থগার স্থাপিত হয়েছে। তারপর ‘আশ্রমের বাইরে দক্ষিণের দিকে বাঁধ তখন ছিল বিস্তৃত এবং জলে ভরা। তার উত্তরে উচু পাড়িতে বহুকালের দীর্ঘ তালশ্রেণী। আশ্রম থেকে দেখা যেত বিনা বাধায়। আশ্রমের পূর্ব সীমানায় বোলপুরের দিকে ছায়াশূন্য রাঙামাটির রাস্তা চলে গেছে। সে রাস্তায় লোক চলাচল ছিল সামান্য। কেননা শহরে তখনও ভিড় জমেনি, বাড়িঘর সেখানে অল্পই। ধানের কল তখনও আকাশে মলিনতা ও আহার্যে রোগ বিস্তার করতে আরম্ভ করেনি। চারিদিকে বিরাজ করত বিপুল অবকাশ নীরব নিস্তব্ধতা।…এই শান্ত বিরল শালবাগানে অল্প কয়েকটি ছেলে ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়ের সহায়তায় বিদ্যালয়ের কাজ আরম্ভ করেছিলুম। আমার পড়বার জায়গা ছিল প্রাচীন জামগাছের তলায়।‘
সে সময় রবীন্দ্রনাথের খুব আর্থিক টানাটানি। তার মাসিক আয় মাত্র ২০০ টাকা। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর On the Edge of Time গ্রন্থে লিখেছেন--…the strain on Father’s resources to maintain the school must have been great. The institution had no income of its own besides the annual Rs. 1800 drawn from the Santiniketan Trust. For several years students were not charged fees of any kind. They were given not only free education, but food and very often clothing as well. The whole burden had to be born by Father, when his own private property income was barely Rs. 200 a month. My mother had to sell nearly all her jewellery for the support of the school, before she died in 1902.
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনেক সন্ধান করে বিদ্যালয়ের জন্য দুজন শিক্ষক পেয়েছিলেন। অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিয়েছিলেন ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় (১৮৬১-১৯০৭)। তিনি এক বিস্ময়কর গতিময় বিচিত্রমনা পুরুষ—রোমান ক্যাথলিক সন্যাসী। তার সঙ্গে আরেকজন শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন তার খ্রীস্টান শিষ্য সিন্ধি যুবক রেবাচাঁদ জ্ঞানচাঁদ মখিজানি।
প্রথম দলের ছাত্রদের নাম—সুধীরচন্দ্র নান, গৌরগোবিন্দ গুপ্ত, অশোককুমার গুপ্ত, রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রেমকুমার গুপ্ত, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গিরিন ভট্টাচার্য, যোগানন্দ মিত্র। রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বয়স তখন ১৩ বছর এবং শমীন্দ্রনাথের বয়স মাত্র ৫ বছর। প্রথম ৪ জন ছাত্রকে যোগাড় করে আনেন উপাধ্যায়। এই উপাধ্যায়ই রবীন্দ্রনাথকে বিশ্বকবি আখ্যা দিয়েছিলেন।
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘অলংকার বিক্রি করে কবিপত্নী বিদ্যালয়ের পরিচালনায় স্বামীকে সাহায্য করেছিলেন। ছাত্রদের তত্ত্বাবধানের কাজও তিনি করতেন। তাদের খাওয়ার ও জলখাবারের ভার মৃণালিনী দেবী কোনও কোনও সময় নিজের হাতে নিয়েছিলেন’। উর্মিলা দেবী লিখেছেন, ‘ছেলেরা ঘর ছেড়ে এসে ঘর পেত, মাত্রস্নেহ পেত, রোগে সেবাযত্ন পেত, আর সুখেদুঃখে সহানুভূতি পেত।‘
মৈত্রেয়ী দেবীর বয়ানে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন—এর পিছনে যে কী পরিশ্রম গিয়েছে তা তো জান না—কী দুঃখের সে-সব দিন গেছে যখন ছোটবৌর গহনা পর্যন্ত নিতে হয়েছে। চারিদিকে ঋণ বেড়ে চলেছে, ঘর থেকে খাইয়ে-পরিয়ে ছেলে যোগাড় করেছি, কেউ ছেলে তো দেবেই না—গাড়ি ভাড়া করে অন্যকে বারণ করে আসবে। …আর তখন চলেছে একটির পর একটি মৃত্যু শোক, সে দুঃখের ইতিহাস সম্পূর্ণ লুপ্ত হয়ে গেছে। লোকে জানে উনি সৌখিন বড়লোক। সম্পূর্ণ নিঃসম্বল হয়েছিলাম, আমার সংসারে কিছুমাত্র বাবুয়ানা ছিল না। ছোটবৌকেও অনেক ভার সইতে হয়েছে।…’
হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন—বিদ্যালয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম অচিরেই কবিপত্নীকে পীড়িত করে তোলে। তিনি রোগশয্যায় পড়ে যান। এবং ১৯০২ সালের ২৩ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। মৃণালিনী দেবীর শ্রাদ্ধাদি শেষ করে পুত্রকন্যাদের নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ফিরে আসেন শান্তিনিকেতনে—নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিদ্যালয়ের কাজে নিযুক্ত রাখেন।
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, আমার ছোটছেলে শমী লোকজন এলে তাদের মোট ঘাড়ে করে আনত। শিক্ষকদের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের পাশের গ্রামগুলিতে ওষুধের বাক্স কাঁধে করে যেত। ছাত্রদের সঙ্গে একঘরে ঘুমাত।
শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে ঋতুউৎসবের প্রবর্তক। পরবর্তীকালে এই ঋতু উৎসবই হয়ে উঠেছে শান্তি-নিকেতন জীবনের অন্যতম আকর্ষণ যা ছিল আবহমান বাঙালি চেতনার উৎসব---ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণীর উর্ধে সকল মানুষের মিলনের উৎসব।
পরবর্তীতে এখানে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা হয়।এখানে হযরত মুহাম্মদ, যীশুখ্রীস্ট, গৌতম বুদ্ধ, নানক প্রমুখ মহাত্মাগণের জীবনী নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান হত। ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানসহ সকলেই ছাত্র হিসাবে শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছেন। কোনো ভেদ ছিল না। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদে রাখা হয়েছে ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহকে। বক্তৃতা করতে আমন্ত্রিত হয়েছেন ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী মোতাহার হোসেন,ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে আলোচনা করতে এসেছেন বুদ্ধির মুক্তির আন্দোলনের কাজী আব্দুল ওদুদ প্রমুখ।
এইখানে এসে বিমূঢ় হয়ে যেতে হয় ফরহাদ মজহারের প্রত্যক্ষ শিষ্য সাদ কামালী যখন অগ্রবীজে লেখেন—‘বর্তমানের বিখ্যাত বিশ্বভারতী এক সময় ছিল ব্রাহ্মচর্যাশ্রয়। এই আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েচিল ১৯০১ সারে। তখন রবীন্দ্রনাথ ছিলেন উপবীতধারী পরিপূর্ণ একজন ব্রাহ্মণ। বিদ্যালয়ের প্রাচীনকালের মুনি ঋষি। …শিক্ষকের সকলে ব্রাহ্মণ।‘’
ব্রাহ্মবিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ছিল বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একে করেন ব্রহ্মবিদ্যালয়। এবং বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন ব্রহ্মব্রান্ধব উপাধ্যায়। একজন রোমান ক্যাথলিক। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, 'শান্তি নিকেতনে আমি একটি বিদ্যালয় খুলিবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিতেছি। সেখানে ঠিক প্রাচীনকালের মতো সমস্ত নিয়ম। বিলাসিতার নাম-গন্ধ থাকিবে না—ধনী দরিদ্র সকলকেই কঠির ব্রহ্মচর্যে দীক্ষিত হইতে হইবে।' ব্রাহ্ম আর ব্রহ্মচর্যা কি একার্থ বহন করে?
আশ্রম বলে সাদ কামালী নাসিকা কুঞ্ছিত করেছেন। আশ্রম মানে তপোবন—এই তপোবন যে জ্ঞানসাধনের উদার জমিন সে কথা ভুলে তিনি বলার চেষ্টা করেছেন ওটা ব্রাহ্মণ্যবাদি বিদ্যালয় মাত্র।
সাদ কামালীর মিথ্যাচার এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রচারের অপকৌশল এভাবে খুব সহজেই ধরা পড়ে।
.........সূত্র :
১। রবীন্দ্রনাথ ও বিজ্ঞান : দীপঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
২। রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্প ও গদ্যে মুসলমানের কথা ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা : সাদকামালী, অগ্রবীজ, ডিসেম্বর, ২০০৭, সম্পাদক--সাদ কামালী।
৩। রবীন্দ্রনাথ ও রবীন্দ্রনাথ : পূর্ণানন্দ চট্টোপধ্যায়।
রবীন্দ্রনাথের আত্মীয়স্বজন
৪। একচল্লিশজন মুসলিম কবিকে লেখা রবীন্দ্রনাথের অগ্রন্থিত পত্রাবলী : সম্পাদনা--মুহাম্মদ মতিউল্লাহ।
৫। ভাবান্দোলন : ফরহাদ মজহার।
৬। বাংলাভাষা প্রাচ্যের সম্পদ ও রবীন্দ্রনাথ : রবি চক্রবর্তি ও কলিমখান।
আগের পর্বের লিংক--
............................................................
[url=]সচলায়তনে প্রথব পর্ব—
[url=http://www.facebook.com/notes/kulada-roy/anya-aloya-rabindranatha-1/10150263212500338]ফেসবুকে প্রথম পর্ব--http://www.facebook.com/notes/kulada-roy/anya-aloya-rabindranatha-1/1015...
সচলায়তনে দ্বিতীয় পর্ব --জমিদার রবীন্দ্রনাথ--http://www.sachalayatan.com/porimanob/35085
- http://www.facebook.com/#!/notes/kulada-roy/anya-aloya-dekha-2-jamidara-rabindranatha-thakura/10150270351295338
ফেসবুকে দ্বিতীয়পর্ব--
http://www.facebook.com/#!/notes/kulada-roy/anya-aloya-dekha-2-jamidara-rabindranatha-thakura/10150270351295338
মন্তব্য
ভাল লেখা।
পড়ছি এবং পড়ছি
অনেক কিছু জানা হলো।
________________________________________________
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
নীড়পাতা.কম ব্লগকুঠি
প্রতিটা পর্বই ভাল হচ্ছে।
অনন্ত
খুব ভালো লাগছে সিরিজটি-- অনেক কিছু জানছি । অনেক ধন্যবাদ ।
রবীন্দ্রনাথকে যারা বাতিল করে দেন অথবা যারা দেবতার আসনে তুলে রেখে দেন- দুই গোত্রই রবীন্দ্রনাথকে তেমন জানেননা বলে আমার ধারনা হয়।
কুলদা রায়- অভিনন্দন। রবীন্দ্রনাথকে জানানোর এই আয়োজনের জন্য।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
-------------------------------------
জীবনযাপনে আজ যতো ক্লান্তি থাক,
বেঁচে থাকা শ্লাঘনীয় তবু ।।
এই সিরিজের পোস্টগুলোর ট্যাগে "অন্য আলোয় দেখা" যোগ করে দিন। তখন পুরো সিরিজটা শেয়ার করার কাজ সহজ হয়ে যাবে।
অসাধারণ।
সিরিজ চলুক। অপেক্ষায় থাকব।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
________________________________________
অন্ধকার শেষ হ'লে যেই স্তর জেগে ওঠে আলোর আবেগে...
পড়ছি...
অনেক কিছু জানলাম,যা আগে জানতাম না I
পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর গানের সুর মনের মাঝে
উঠছিল--
"তোমার অসীমে প্রাণ মন লয়ে যত দূরে আমি ধাই–
কোথাও দুঃখ, কোথাও মৃত্যু, কোথা বিচ্ছেদ নাই।।
মৃত্যু সে ধরে মৃত্যুর রূপ, দুঃখ হয় হে দুঃখের কূপ,
তোমা হতে যবে হইয়ে বিমুখ আপনার পানে চাই।।
হে পূর্ণ, তব চরণের কাছে যাহা-কিছু সব আছে আছে আছে–
নাই নাই ভয়, সে শুধু আমারই, নিশিদিন কাঁদি তাই।
অন্তরগ্লানি সংসারভার পলক ফেলিতে কোথা একাকার
জীবনের মাঝে স্বরূপ তোমার রাখিবারে যদি পাই।।"SITIONS
নতুন মন্তব্য করুন