অন্য আলোয় দেখা—পর্ব ৬ : পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্র-সংবর্ধনা

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ২৭/১০/২০১০ - ১০:২১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এমএমআর জালাল
কুলদা রায়

১৯২২ সালে শেষবারের মত শিলাইদহে রবীন্দ্রনাথ আসেন। এখানে দুসপ্তাহ ছিলেন। সঙ্গী সুরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সিএফ এন্ডরুজ। ২১ শে চৈত্র গ্রামবাসীরা কবি ও এন্ডরুজ সাহেবকে আনুষ্ঠানিক সংবর্ধনা জানান। এই সভায় একাধিক মানপত্র দেওয়া হয়। এদিনই শিলাইদহ অঞ্চলের মুসলমান মহিলাদের পক্ষ থেকে কবিকে একটি নকশি কাঁথা উপহার দেওয়া হয়। এটি বর্তমানে রবীন্দ্রভবনে সংরক্ষিত আছে। ‘জগৎপূজ্য কবিসম্রাট শ্রীল শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহোদয়ের শ্রীচরণ কমলেষু’ নামে খোরসেদপুরের অধিবাসিবৃন্দ মানপত্রে লেখেন—

…আবার এসেছে ফিরে এ পল্লীর আনন্দ দুলাল
দশদিক আকুলিয়া পত্র পুষ্পে সেজে ওঠ কদম্ব তমাল।
শাখে শাখে ডাকে পাখি দাঁড়াইলা পল্লী আজি উৎসব সজ্জায়
কবীন্দ্রের চরণের তলে, অর্ঘ্য করে নতমুখী সেবিকার প্রায়।।…

১৯৩৭ সালে পতিসরের প্রজাদের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ সে বছরের পূন্যাহে (১০ শ্রাবণ ১৩৪৪ বঙ্গাব্দ)পতিসরে আসেন। সেখান থেকে কালীগ্রামে। এখানে কবি বারো বছর পরে এলেন।তখন থাকতেন বোটে। কবির আগমণ উপলক্ষে রসুনচৌকি আর দিশি বাদ্যভাণ্ডের ধ্বনিতে সরগরম হয়ে উঠল গ্রামগুলি। পরের দিন সংবর্ধনা জানাবার বিপুল আয়োজন করেছেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় পতিসর হাইস্কুলে বসেছে অভিনন্দন সভা। পুষ্পমাল্যে বরণ করা হল কবিকে। স্থানীয় জনসাধারণের অনেকেই বক্তৃতা করলেন। কবিও সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিলেন—‘’সংসার থেকে বিদায় নেবার আগে, তোমাদের দেখে যাবো—আমার সেই আকাঙ্ক্ষা আজ পূর্ণ হল। তোমরা এগিয়ে চলো,--জনসাধারণের জন্যে সবার আগে চাই শিক্ষা—‘এডুকেশন ফার্স্ট’, সবাইকে শিক্ষা দিয়ে বাঁচাও, মানুষ করো।‘’ অনেক বৃদ্ধপ্রজা, যুবকেরাও ভাবাবেগে কেঁদে ফেললেন, কবির কণ্ঠও যেন রুদ্ধ।

বড়ো আকারের অভিনন্দন সভাটি অনুষ্ঠিত হল কাছারি প্রাঙ্গণে। জনৈক মুসলমান প্রজা অভিনন্দন পাঠ করলেন—

মহামান্য দেশবরেণ্য দেবতুল্য জমিদার
শ্রীযুক্ত কবীন্দ্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহোদয়ের
পরগণায় শুভাগমন উপলক্ষে শ্রদ্ধাঞ্জলি—

প্রভো, প্রভুরূপে হেথা আস নাই তুমি
দেবরূপে এসে দিলে দেখা।
দেবতার দান অক্ষয় হউক,
হৃদিপটে থাক স্মৃতিকথা।।

কালীগ্রাম পরগণার প্রজাবৃন্দের পক্ষে—
মোঃ কফিলদ্দিন আকন্দ রাতোয়ান।

পতিসর, সদর কাছারী, রাজশাহী, ১২ শ্রাবণ, ১৩৪৪।

২৯ পৌষ, ১৩২০ সালে পতিসরে আরেকটি মানপত্র কালীগ্রামের প্রজাবৃন্দ কবিকে দিয়েছিলেন। সে সময় তিনি নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। মানপত্রে প্রজারা লিখলেন, ..’ আজ যখন বিশ্ব আসিয়া আপনার চরণে অর্ঘ্য প্রদান করিবার ছলে আপনাকে লইয়া এই মহোৎসব করিতেছে, তখন আমরা কেন সেই উৎসব হইতে দূরে থাকি? ‘

১৭ জুন, ১৯০৭ তারিখে রবীন্দ্রনাথ বরিশাল থেকে চট্টগ্রামে যান। এদিন পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম স্টেশনটি পুষ্পমাল্যে সুসজ্জিত করেছিল। সেদিন বৃষ্টি হচ্ছিল। তবুও সর্বশ্রেণীর মানুষ স্টেশনে উপস্থিত থেকে কবিকে যথোচিত সম্মান দেন।চট্টগ্রামে সংবর্ধনা সভায় রবীন্দ্রনাথ একটি মৌখিক বক্তৃতা দেন। তিনি দেশের তৎকালীন সংকটজনক অবস্থার বিষয় সংক্ষেপে উল্লেখ করে জানান যে, প্রাচীন বা মধ্যপন্থী এবং নবীন বা উগ্রপন্থী কোন দলই দেশের প্রকৃত কাজ করছেন না, কেননা দেশের অতি সাধারণ মানুষদের ঘনিষ্ট সম্পর্কে এসে তাদের নিয়ে কাজ কোন পক্ষই করছেন না, অথচ এটাই এখন সবচেয়ে জরুরী।

১৯২৬ সালে কবি ঢাকা আসেন। তখন চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ কামালুদ্দিন আহমদ ২৫ শে মাঘ এক চিঠিতে চট্টগ্রাম আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু সেবার কবি ঢাকায় এসে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষের দুদিনের সব কর্মসূচিই বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যে কারণে তাঁর পক্ষে চট্টগ্রাম যাওয়া সম্ভব হয় নি।

১৯১৪ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে কবি পাবনায় উত্তরবঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের সপ্তম অভিবেশনের বিশিষ্ট অতিথিরূপে। পাবনা ইনস্টিটিশনের অধিবেশন শুরু হয় দুপুর দুটায়। আনুষ্ঠানিক ভাষণাদি প্রদত্ত হয়।নীলনীকান্ত ভট্টশালী লিখেছেন—কবি সম্রাট শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয় প্রশান্ত গম্ভীর আননে সভাপতির দক্ষিণ পার্শ্বে স্তব্ধ হইয়া নতনেত্রে বসিয়াছিলেন। শুনিলাম এই শান্তিপ্রিয় নিরীহ ভদ্রলোককে তাঁহার শিলাইদহের নির্জনতা হইতে একরকম জোর করিয়া গ্রেফতার করিয়া আনা হইয়াছে। সহস্র ব্যগ্র-কৌতুহলী নেত্রের সম্মুখে তিনি যেন দেহে মনে একান্ত সংকুচিত ক্লিষ্ট হইয়া বসিয়াছিলেন।
তিনি অভিনন্দনের উত্তরে বল্লেন, সভাসমিতিতে সকলের সঙ্গে মিলিয়া সকলের মাঝখানে আসনটি লইয়া বসিব, এই আরামটি হইতে বিধাতা আমাকে বঞ্চিত করিয়াছেন,--আমাকে সর্বসাধারণের বেষ্টন হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া স্বতন্ত্র বসাইয়া রাখিবার যে বিধান হইয়াছে ইহাতে আমি দুঃখ এবং লজ্জা পাইয়া থাকি। কোথাও যে নিঃশব্দে এবং নিরালায় একটু স্থান পাইব, এই অধিকারটি খোয়াইয়া বসিয়াছি।

১৩২৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রবীন্দ্রনাথকে আমন্ত্রণ জানায় বক্তৃতাদি প্রদানের জন্য। সফরসঙ্গী হয়েছিলেন—পুত্র রথীন্দ্রনাথ, পুত্রবধু প্রতীমা দেবী, তাঁদের পালিতা কন্যা নন্দিনী, ভ্রাতষ্পুত্র দিনেন্দ্রনাথ, হিরজিভাই, মরিস, চিনা অধ্যাপক লিম নো ছিয়াঙ এবং ইতালিয়ান অধ্যাপক ফার্মিসি ও তুচ্চি।

৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬ তারিখে আনন্দ বাজার পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়—
ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ
নারায়ণগঞ্জে বিপুল অভ্যর্থনা

গতকল্য রবীন্দ্রনাথ ঢাকায় পৌছিয়াছেন, ঢাকায় অধিবাসীবৃন্দ তাঁহাকে বিপুল অভ্যর্থনা করিয়াছেন। প্রকৃতপক্ষে বলিতে গেলে এইবারই রবীন্দ্রনাথ সর্বপ্রথম ঢাকায় আসিয়াছেন। ইতপূর্বে তিনি ভাল করে ঢাকা পরিদর্শন করেন নাই। স্থানীয় অর্ভর্থনা-সমিতি নারায়ণগঞ্জে বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক প্রেরণ করিয়াছিলেন। নারায়ণগঞ্জ স্টীমার স্টেশন সেদিন জনসমুদ্রে পরিণত হইয়াছিল। স্টীমার ঘাটে আসিবার বহু পূর্ব হইতেই তথায় জনসমাগণ হইতে আরম্ভ হয়। দেখিতে দেখিতে এত লোক জড় হয় যে, কি ঘাটে, কি জেটিতে একটুকুও স্থান ছিল না। রবীন্দ্রনাথের স্টীমার ঘাটে পৌঁছিলে চতুর্দিক হইতে ঘন ঘন আনন্দধ্বনি উত্থিত হয়। কয়েকজন বিশিষ্টনেতা অগ্রসর হইয়া তাঁহাকে পুষ্পমাল্যে বিভূষিত করেন এবং স্টিমার হইতে নামাইয়া আনেন।…মোটরে চড়িয়া ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করেন। ঢাকা শহরের পূর্ব সীমান্তে একদল স্কাউট, বহুসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক ও শহরের বিশিষ্ট ভদ্রলোক উপস্থিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের মোটর দৃষ্টিপথে প্রবিষ্ট হইবামাত্র ঘন ঘন জয়ধ্বনি উত্থিত হয়।...তারপর ঢাকার নবাব বাহাদুরের হাউস বোট তুরাগে কবির বিশ্রামের ব্যবস্থা হয়। তুরাগে যাওয়ার পথটি কলাগাছের চারা দিয়ে সাজানো হয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথকে প্রথম অভিনন্দটি জ্ঞাপন করা হয়েছিল ৭ ফেব্রুয়ারি ১৯২৬ তারিখের বিকেল চারটেয় মিউনিসিপ্যালিটি এবং পিপলস এসোসিয়েশনের উদ্যোগে ঢাকার নর্থব্রুক হলে। সমস্ত হলটি পূর্ণ হয়ে গিয়েছিল এবং বাইরেও ঘন জমায়েত হয়েছিল। ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটির কমিশনারগণ মানপত্রে লেখেন—

হে জাতীয়তার দার্শনিক প্রচারক। হিন্দু-মুসলমানের স্থায়ী মিলন কেবল সাহিত্য ও শিক্ষার ভিতর দিয়াই সম্ভবপর—বর্তমান বিরোধ ও অনৈক্য সমাধানের এই গুহ্য মন্ত্র তুমি বহু পূর্ব হইতেই প্রচার করিয়া আসিতেছ। …জাতির প্রতি অত্যাচারে নিজকে লাঞ্ছিত মনে করিয়া তুমি রাজদত্ত দুর্লভ সম্মান ঘৃণায় পরিত্যাগ করিয়াছ; দেশবাসীর নিগৃহ হেতু কানাডার নিমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করিয়া আত্মসম্মানবোধ ও দেশনেতার জলন্ত দৃষ্টান্ত প্রদর্শন করিয়াছ।

এরপরই ঢাকা জনসাধারণের কর্তৃক একটি মানপত্র পাঠ করা হয়—
সেখানেও লাইট উপাধি ত্যাগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশংসা করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ এখানে একটি লিখিত বক্তব্য দেন।

করোনেশন পার্কে বিকেল ৫.৩০ এ কবিকে আরেকটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিল দশ হাজার লোক। ঢাকা রেটপেয়ার্স এসোসিয়েশন মানপত্রে বলেন যে--

লর্ড কার্জন বাহাদুরের শাসনকালে বঙ্গ বিভাগের ফলে পূর্ববঙ্গ যখন পশ্চিবঙ্গ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়াছিল তখন সেই কুট-নীতির বিরুদ্ধে আপনি কাব্যে ও সঙ্গীতে যে ভীষণ সংগ্রাম ঘোষণা করিয়াছিলেন তাহাও আজ স্মরণ-পথে উদিত হইতেছে।

নবাব বাহাদুর খাজে হাবিবুল্লাহর সভাপতিতে হিন্দু মোসলেম সেবাশ্রমের পক্ষ থেকে মানপত্র দেওয়া হয় হয়।

১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল পরিদর্শন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর দুপুর আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্জন হলে উপস্থিত হন। এখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যার্থী সঙ্ঘ তাঁকে একটি কাব্যাভিনন্দন প্রদান করে।

এখানেই বিকেলে মুসলিম হলে ছাত্র ইউনিয়ন সংবর্ধনার বিপুল আয়োজন করে। ছাত্রসংসদ কবিকে আজীবন সদস্যপদরূপে গ্রহণ করে। তৎকালীন ছাত্র আবুল ফজল ‘রেখাচিত্রে’ লেখেন,

কবি যখন ঢুকলেন…হল ঘরের প্রবেশ পথ থেকেই কবির উপর শুরু হয়েছে পুষ্পবৃষ্টি।‘

মুসলমি হল ছাত্রবৃন্দ মানপত্রে বলেন যে, বিধাতা বড় দয়া করিয়া, প্রাণহীন ভারতের দুর্দিনে তোমার মত বিরাট-প্রাণ মহাপুরুষকে দান করিয়োছেন। তোমার প্রাণ মুক্ত, বিশ্বময়।সেখানে হিন্দু নাই, মুসলমান নাই, খ্রিস্টান নাই—আছে মানুষ।
…একদিকে তুমি মানুষকে নানা কর্মধারায় জাগ্রত করিয়াছ, অন্যদিকে সেই অসীম স্রষ্টার দিকে মনকে আকৃষ্ট করিয়াছ। ‘কর্ম ও ধ্যান’ উভয়ের সামঞ্জস্য সাধনই মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ আদর্শ। ইসলামের এই সার বার্ত্তা তোমার ছন্দে প্রতিধ্বনিত হইয়াছে। তোমার এই ছন্দ আমাদিগকে প্রতিদিন বিশ্বের কল্যাণ সাধনে ও মানুষের সেবায় উদ্বেধিত করুক।…

রবীন্দ্রনাথ সংবর্ধনার উত্তরে বলেন—ভারতের বুকে এত জাতি, এত ধর্ম স্থান লাভ করেছে, তার অর্থ আছে। ভারতের হাওয়ায় এমন শক্তি আছে যার বলে সকল সম্প্রদায় এখানে আসন লাভ করতে পেরেছে।…
ভারতের ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ ও পরস্পরের বিচ্ছেদ দেখে নিতান্ত দুঃখিত, মর্মহিত, লজ্জিত হই। ধর্মে ধর্মে বিরোধ হতে পারে না। কারণ ধর্ম হল মিলনের সেতু আর অধর্ম বিরোধের। …যখন ধর্মে বিকার উপস্থিত হয় তখনই বিচ্ছেদ প্রবল হয়ে ওঠে। শুধু হিন্দু-মুসলমানে প্রভেদ নয় সমাজের মধ্যে ভেদের অন্ত নেই। যখন মানুষ মানুষকে অপমান করে, তখন সে দুর্গতি-দারিদ্র্যে চরম সীমায় উপনীত হয়, আমি আমার সমাজের জন্য লজ্জিত হয়েছি… বিচ্ছেদের রক্তপ্লাবনে মানব-সমাজের প্রতি স্তর কলুষিত হয়েছে।…এই সমস্যা ভারতে বহুদিন থেকে আছে। বিরোধের প্রাচীর তুলে ত সমস্যার সমাধান হবে না। …শুভবুদ্ধির আলোক বিকীর্ণ হোক। তবেই আমাদের চিত্ত মুক্ত হবে।

এরপরে কবিকে ময়মনসিংহ ও বরিশালেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

অনেক পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবিকে সম্মানিক ডি লিট উপাধিতে ভূষিত করে। স্থির ছিল, কবি ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়-প্রদত্ত সম্মান গ্রহণ করবেন। কিন্তু শরীরের কারণে ঢাকা যেতে পারেননি। তাঁর অনুপস্থিতিতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ‘honoris Causa’ উপাধিটি প্রদান করেন।

একটি বিষয় লক্ষ করা যায় যে—কবির এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানগুলি বিপুল জনসাধারণ, ছাত্র, নেতৃবৃন্দের স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতিতে মুখরিত।হিন্দু-মুসলিম জাতি-সম্প্রদায় ভেদে সকলেই অংশ নিয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলেন এ ধরনের অভিযোগ কেউ করেন নাই। কবিকে স্বজন হিসাবে সবাই গ্রহণ করেছেন।
auto
auto


মন্তব্য

 রজত এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো কুলদা ।
এ বিষয়ে আরো লেখা চাই, জলদী !

 রজত এর ছবি

লেখা ভাল লাগলো কুলদা ।
এ বিষয়ে আরো লেখা চাই, জলদী !

সুরঞ্জনা [অতিথি] এর ছবি

অনেক ভাল লাগল।

shahnaz এর ছবি

তৃষ্ণা বেড়ে গেল। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আপনার এ পথ চলা দীর্ঘ হোক। তবে পরের পর্বের জন্য আমাদের প্রতিক্ষাকে দীর্ঘায়িত না করে।

sohel এর ছবি

পূর্ববঙ্গে রবীন্দ্র-সংবর্ধনা - এ ধরনের নামে একটা বই আছে ড: ভুইয়া ইকবালের লেখা। দেখেছেন কি?

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।