পদ্মা সেতুর নাম কি হবে এটা নিয়ে মন্ত্রীসভা আর আওয়ামী লীগ নেতারা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তাদের সামনে দুটো অপশন। তরুণ নেতারা চান--শেখ হাসিনার নামে হোক পদ্মা সেতুটি। তিনি যোগাড় যন্ত্র করে জাপান থেকে টাকা পয়সা বাড়িয়ে আনছেন। আর বুড়ো নেতারা চান--হাসিনার বদলে তার মা বেগম ফজিলাতুন্নেসার নামেই হোক। বোঝা যাচ্ছে বুড়োরা হাসিনার উপরে খুব বেশি খুশি না। এটা নিয়ে কিছু জল ঘোলা হবে নিজেদের মধ্যে। দেখা যাক---শেষে হাসিনা কি আখেরি ডিসিশন দেয়। সেইটার উপরেই জাতির ভাইগ্য নির্ভর করে।
মুশকিল হল--খালেদা জিয়া তক্কে তক্কে আছেন, চান্স পাইলেই শেখ হাসিনার সুধা ভুবনের বরাদ্দ বাতিল করবেন। এর জন্য ভূমি অধিদপ্তরকে রেডি করা হবে। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন অপরাগ হৈলে তার পুত্র পবনন্দন হনুমান দায়িত্ব নেবেন ভুমি মন্ত্রণালয়ের। মওদুদ আগেই একটা সাইনবোর্ড লেইখা রাখছেন। বাস্তুহারা খালেদা সেতু। ব্রাকেটে পদ্মা সেতু। তবে তারেক রহমান আইসা পড়লে আমাদের সময়ের নাইমুল ইসলাম খান তারেকের নামে সেতু গড়ার প্রস্তাব রেখে একটি লেখা রেডি করে রাখছেন। মওকা বুঝে দৈনিক আমাদের সময়ে ছাপা করা হবে।
বাংলাদেশে দুই বন্ধু আছে। এক বন্ধু বঙ্গবন্ধুর নামে একটা সেতু অলরেডি আছে। সুতরাং আরেক বন্ধু পল্লীবন্ধু এরশাদের নামেই পদ্মা সেতুর নাম হওয়া দরকার বলে নীলা চৌধুরী মনে করছেন। তবে অক্টোপাস পল ওফাত করার আগে বলে গেছেন--পদ্মা সেতুর নাম নহে--অচিরে বাংলাদেশে যে ফ্রি ক্যাসিনো নির্মিত হবে মগবাজারের আশেপাশে--সেটার নাম হবে এরশাদ মঘা ক্যাসিনো। এবং উদ্বোধন করতে আসবে লেডি গগা। সেতুর মুখে খুল্লাম খোলা গগা আর এরশাদের স্খলিত দৃশ্যের মর্মর মূর্তি গড়া হবে। যে প্রেম তুমার আমার। মুন্সীগঞ্জের আলুচাষীরা অবশ্য ভিন্ন একটা প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা বলেছেন--আমগো বখা হুদা যোগাযোগ মন্ত্রী ছিল। ব্যাডায় বহু কিছু করছে। বউয়ের নামে পাঁচ টাকায় রেলের পাঁচ বিঘা জমি বাগাইছে। এইটা একটা রেকর্ড। পদ্মা পাড়ের মানুষ হিসাবে সেতুটার নাম হওন দরকার বেহুদা সেতু। মওদুদ এ বিষয়ে আপত্তি তুলে রেখেছেন। তিনি বলেছেন--হুদার বহিষ্কার আদেশ না তোলা পর্যন্ত এ দাবী আইনসম্মত নহে। যাই হোক এটা নিয়ে এরকম ঝামেলা হচ্ছে। হতেই থাকবে।
ইউনুসের নামও দেওন যাইত। লোকটা আবার বর্তমানে এধারকা মাল ওধারসে করছেন। খুব বেপদ তার। ট্যাকা পয়সার ধান্ধায় তার মাথা পুরা আউলা। এই সময় তার নাম নিলে খবর আছে। তাই ইউনুস বাদ।
তবে পদ্মাবিধৌত ভুমিপুত্র হিসাবে অধমের দাবী হল--এইসব কাউতলী বন্ধ কইরা পদ্মা সেতুর নাম 'ইলিশ সেতু' রাখা হউক। পদ্মার ইলিশের তুলনা নাই। হাসিনাকে কেউ পছন্দ করে আবার কেউ করে না। খালেদা তাই--কেউ বলে ম্যাডাম গোলাপের মত পুত পবিত্র। আরেকদল সনেদহজনক লোক ছবি তুইল্যা দেখায় এই বেডি বাথরুমে বইসাও রামের বোতল শোকে। বোঝেন। এরশাদের তো ছ্যারাবরা অবস্থা। তারে সকালে এক বিবি পছন্দ করে তো--বিকেলে আরেকজন । রাতে আরেক লেডি গালি পাড়ে। বলে--হালা লুলা পুরুষ।
কিন্তু ইলিশ ? এমন কোনো হম্মন্দির পুত আছে এই বাংলাদেশে যে ইলিশকে অপছন্দ করে? গালি পাড়ে? নো ব্রাদার। নো অপজিশন। নিরঙ্কুশ জনপ্রিয়তায় ইলিশের ধারে কাছে আর কেউ নির্বিঘ্নে আসতে পারবে বলে মনে হয় না।
আহা ইলিশ। সাদা ফকফকা। ত্যালত্যালা। স্বাদে অতুলনীয়। একবার খাইলে আবার খাইতে মনচায়। মনটা শুধু খাই খাই করে। মাছের মইদ্যে ইলিশ। আর মাইনসের মইদ্যে পুলিশ। মৎস ধরিব--খাইব সুখে।
ইলিশ সেতু জিন্দাবাদ।
.................................................................
লগে কবি মজন্তালি সরকারের কবিতা ফ্রি পড়ুন--
ডান, বাম, ঘটি, বাঙাল--
সব শালায় ইলশার কাঙাল!!
মন্তব্য
পদ্মা সেতুর নাম 'পদ্মা সেতু' রাখতে সমস্যা কোথায়? ‘ইলিশ সেতু’ ও মন্দ না
খবরটা দেখেছিলাম। শেখ হাসিনার নামে নাম হবে পদ্মা সেতুর। সেই হিসেবে এটি একটি সময়োপযোগী পোষ্ট। তবে শুধু শুধু এখানে খালেদা আর এরশাদের নামে কিছু খিস্তি আউড়ানো হল আর আস্তে করে বলে দেয়া হল, হাসিনা জাপান থেকে টাকা পয়সা বাড়িয়ে আনছে। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ দের মত কিছু কিছু ব্লগার আজকাল এদেশের জনগণ কে ছাগু ভাবা শুরু করেছেন।
আসল কথা না বলে , পূর্বানুমান ভিত্তিক গালিগালাজ করায় পোষ্টের মেরিট নষ্ট হয়েছে বলেই মনে করি।
আর কুলদা, আমাদের সময়ের নাইমুর রহমান কে গালাগালি করেছেন, নিজেই কিন্ত এখানে প্রথমালুর সম্পাদকের কৌশল অবলম্বন করেছেন। প্রথম আলোর সম্পাদক ছাত্রলীগ বিরোধী কোন লেখা লিখতে গেলে আগে বিগত দিনের ছাত্রদলের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে বেশ কিছু ধোলাই দেয়া হবে , তারপর নাকি সুরে ছাত্রলীগ নিয়ে কথা বলবেন।
আসলে নাইমুর রহমানের দালালি রোগ আর প্রথমালুর লগি বৈঠার ভয় ব্লগারদের নেই, তা তো নয়।
আমি আপনার পোষ্টের শিরোনামেড় সাথে দ্বিমত পোষণ করে, বলতে চাই, এ দেশটার নামটাই দেয়া হোক শেখ পরিবারের নামে , তা হলে সব ল্যাঠা একেবারে চুকে যায়।
শেখ হাসিনার পরিবারের নামে দেশের নাম দিলে খালেদার পরিবারের নামে কিসের নাম দেওয়া যাবে? সেটা কন।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
শেখ হাসিনার পরিবার নয়, জাতির পিতার পরিবারের কথা বলচি। শ্যাকদেশ, শ্যাখাদেশ, শ্যাখাবাংলা, শ্যাখিন্ডিয়া এই জাতীয় কিছু একটা নাম দিয়ে এই দেশটার নাম বদলে ফেললে উনার পরিবারের যারা এখন রাজনীতিতে আছেন তারা জাতীয় গুরুত্ত্বপূর্ণ কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন এই আর কি।
খালেদার পরিবার ?...আপাতত দরকার নাই।আরেকবার ক্ষমতায় আসুক আর নাম পরিবর্তনের হিড়িক লাগুক তখন, দেখা যাবে।
কুলদা, তাড়াহুড়া কিছু লিখবেন না দয়া করে। আপনার অন্যান্য লেখার মানের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।
ব্যাপক মজা পাইলাম। লেখাটা অনেক ভালো লেগেছে। ইলিশ সেতু নামটাও ইন্টারেস্টিং।
কমল
ইলিশ সেতু... খুব ভাল প্রস্তাব। কিন্তু এটা আমাদের কুলাঙ্গার সরকার বুঝতে পারলে হয়। ভাল জিনিস বুঝতে হলেও কিছুটা ঘিলু থাকা লাগে।
--- থাবা বাবা!
দিলেনতো মনটা খারাপ কইরা, এখন আমার ইলিশ খাইতে ইচ্ছা করতাছে।
ইলিশ সেতু নাম মোটেই ভালো না। প্রবাসে থেকে যতবার এসেতুর নাম নিমু ততবার ইলিশ না খাওয়েনের দুঃখে মনটা খারাপ হৈয়া যাইবো। তারচেয়ে এর নাম "তিতুমীর সেতু" রাখা যেতে পারে। যদিও জানি সেটা বাংলাদেশে হৈবনা। যে নামই দিক না কেন, সেটা নিয়ে যে ভালৈ টানাহেঁচড়া হবে সেটা বুঝতে পারছি।
পাগল মন
তিতুমীর আমাদের ইতিহাসের একজন বীর সেনানী হলেও একটা বিশেষ দল তাকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। এই দল আবার মাষ্টারদা সূর্যসেনকে বাংলার ইতিহাসের সবথেকে বড় সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে। সুতরাং নিরপক্ষতার বিচারে তিতুমীরের নাম গ্রহণীয় হলেও কিছু 'রিস্ক এন্ড এ্যাজাম্পশান' আছে এই নামকরণের সাথে।
বাংলাদেশের সবগুলো 'জাতীয়'র নামে কিছু না কিছু নামকরণ হয়েছে শুধু ইলিশ বাদে। যেমন, শাপলা চত্ত্বর, দোয়েল চত্ত্বর, কাঠালবাগান, ইত্যাদি। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের নামে কিছু হয়ে থাকলেও এমুহুর্তে ঠিক মনে পড়ছেনা। তবে আমি নিশ্চিত যে ইলিশের নামে কিছু নেই। তাই ইলিশ সেতু নামটা বেশ ভালো একটা প্রস্তাবনা। আর তা না হলে পদ্মা সেতু হতে পারে।
======================================
অন্ধকারের উৎস থেকে উৎসারিত আলো, সেইতো তোমার আলো।
সকল দ্বন্ধ বিরোধ মাঝে জাগ্রত যে ভালো, সেইতো তোমার ভালো।।
------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।
মজা পাইছি।
হুমম। ইলিশ সেতু একটা ভালো নাম হইতে পারে, কিন্তু বাস্তবে হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।
- সুহৃদ খান
উদ্ধৃতি
"বাস্তুহারা খালেদা নয়, দস্যুরানী হাসিনা............"
শিরোনামটিতে আপনি নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারেননি দাদা। আর সেতুর নাম তো ফিক্সড থাকবে না, ৫ বছর পরপর বদলাবে।
লেখাটা আপনার আগের লেখাগুলোর কাছাকাছি যায়নি।
কামরুল হাসান রাঙা
আপনারা অনেক বড় ব্লগার...মন্তব্য করতে ভয় পাই...তবে আমার কাছে লেখাটাকে মানস্মমত মনে হয় নি।হয়তো এই লেখনী বোঝার যোগ্যতা আমার এখনো হয় নি।
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
দেবাশিস মুখার্জি
[db.mukherjee.blog@gmail.com]
অল্পসল্প...কবিতা-গল্প...
জানি হবেনা।
তবু তাজুদ্দিনের নামটাই সবার আগে মনে আসল।
মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয়মাসের অতন্দ্র প্রহরী মহান নেতার নাম নিতে ক্ষমতাসীনরাও ঈর্ষায় ভোগে। তবুও বিবেচনার আবেদন থাকল।
কুলদাকে ধন্যবাদ, প্রসঙ্গটা আনার জন্য।
সেতুর উদ্বোধনী ফলকে না হোক,
দিকে দিকে উচ্চারিত হোক আমাদের দেশের একমাত্র রাজনীতিবিদ, যিনি রাজনীতিবিদের ব্যাক্তিস্বার্থের উর্দ্ধে গিয়ে সত্যিকারে একজন দেশপ্রেমিক রাষ্ট্রনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পেরেছিলেন, সেই তাজুদ্দিনের নাম।
সেতুর নামকরন প্রসংগে হাসিনার সাথে সাথে খালেদা, এরশাদ, নাইমুর, তারেক হুদা ইত্যাদি গুনধরদের নাম উচ্চারিত হওয়ায় বিভিন্নজন স্ব স্ব দৃষ্টিভঙ্গীগত কারনে মনক্ষুন্ন হয়েছেন, বক্তব্যের মূল সুর আর সেভাবে অনুধাবন করার প্রয়োজন বোধ করেন নি। নামের কাঙাল কে নন? এরশাদ কাকু ছোট্ট করে শুরু করেছিলেন "এরশাদ আর্মি ষ্টেডিয়াম", খালেদা ম্যাডামও বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং একটি মেডিক্যাল কলেজের নাম নিজের নামে নামাঙ্কিত করে বউনি করেছিলেন। হাসিনা তেমন ছোটখাট স্থাপনায় নামাঙ্কন করতে পছন্দ করেন নি, একেবারে বৃহত্তম সেতুতে নাম খোদাইয়ের ধান্ধা শুরু করেছেন! যদিও ভবিষ্যতে কোন এক দিন সে নাম পরিবর্তিত হয়ে হাজী শরিয়তুল্লা কিংবা পীর দুদু মিয়া সেতু হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রস্তাবনা অনুযায়ী ইলিশ সেতু নামটি অভিনব মনে হয়েছে, নামটি যথেষ্ট প্রাসঙ্গিকও।
বিকল্প হিসেবে সুন্দরবন সেতু কিংবা বিক্রমপুর সেতুও বিবেচ্য হতে পারে।
সুখ পাঠ্য, কিন্তু ড. ইউনুস এর সম্পর্কে মন্তব্য আপত্তি কর এবং দুর্ভাগ্যজনক...আপনার কাছ থেকে আশা করিনি. হাসিনার সাথে মিলে গেলেন দাদা!
ইউনুস সম্পর্কে আমি কেন হাসিনার লগে মিলে যাব--হাসিনাই আমার লগে মিলেছেন। প্রমাণ : ইউনুস মাহাত্ম্য নিয়ে আমি একটি গল্প লিখেছিলাম--শুয়াচান পাখি।
এই ইউনুস, ব্রাকের আবেদ, প্রশিকার কাজীদের নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার। এনজিও করার পর দেশের মানুষের কী ভাগ্য পাল্টেছে আর ওনার ভাগ্য কী রকম দাড়িয়েছে--এর একটা তুণামূলক গবেষণা হওয়া দরকার।
বড় এনজিওগুলোই শুধু নয় ছোট ছোট এনজিওগুলোর মালিকদের দেখতে বোঝা যাবে এইসব চুনুপুটিগুলো কিভাবে কাতলা মাছ--কাতলা মাছ থেকে রাক্ষুসে হাঙ্গরে পরিণত হয়েছে। লুটপাটের সরল পদ্ধতি হল এনজিও খোলা। এত সহজে ধনীলোক হওয়ার কায়দা অন্য কোথাও কি আছে?
এনজিওর বিরুদ্ধে একসময় জামাতীরা খুব হৈচৈ করত। এখন জামাতীরা বোধ এই সেক্টরের ফ্রন্ট লাইনে খেলছে।
সকল প্রকার লুটপাটের বিরুদ্ধে কথা বলা দরকার। মুগ্ধ হয়ে লাভ কী?
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
নতুন মন্তব্য করুন