কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
প্যাগোডা ট্রি ওরফে টাকার গাছের কাহিনী
----------------------------------------------
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর আমলে ইংলণ্ড থেকে যে সব ইংরেজরা ভারতে আসত তাদের অধিকাংশই ছিল দরিদ্র, ছিচকে, গুণ্ডা, মারকুটে ছিন্নমূল, আশিক্ষিত, অভদ্র। এদের অনেকের বাপদাদার ঠিক ঠিকানা ছিল না। এরা কলকাতায় এলে কিছুদিন ঘুরে বেড়াত ফ্যা ফ্যা করে। তারপর জুটে যেত কোম্পানীর চাকরী। বেতন বার্ষিক মাত্র পাঁচ পাউন্ড। সবশেষে বার্ষিক চল্লিশ পাউন্ড। এই বেতনে মেসের ভাড়াই হত না। এরা কোনোক্রমে সই করতে জানত, অথবা সামান্য লেখাপড়া—কিছু সহজ সরল অংক জানত। এরা লক্ষ লক্ষ পাউন্ডের মালিক হয়েছে কয়েক বছরের মধ্যেই। এই ধনলাভের কাহিনী বাংলার মানুষকে লুটপাটেরই ইতিহাস। তারা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছিল। কলাগাছ থেকে বটগাছ। তারপর পুরো বন। ১৭৫৭ সালে সিরাজউদ্দৌলার পতনের পরে বাংলাকে ইংরেজ বেনিয়ারা প্যাগোডা ট্রি বা টাকার গাছে পরিণত করেছিল।
এই ইংরেজরা বাংলাকে শোষণ করে ছিবড়ে করে ফেলে হয়েছিল নবাব। নবাব মানে খুব ধনশালী ব্যক্তি। এরা ভারতে প্রভুত অর্থ সংগ্রহ করে ইংলন্ডে ফরে যায়। বিত্তশালী জীবন যাপন করে।
সিরাজউদ্দৌলার পতনের পরে মীর জাফরের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিল বিপুল অঙ্কের টাকা পয়সা এইসব ভাগ্যবান ইংরেজরা। লর্ড ক্লাইভ ট্রেজারি লুট করেছিলেন। তিনি সেখান থেকে নিয়েছিলেন দেড় মিলিয়ন স্টারলিং মূল্যের নগদ টাকা, সোনা, রূপা, গহনাপাতি, এবং বহু মুল্যবান জিনিসপত্রাদি। মীর জাফরকে নবাব করা হলে তিনি ক্লাইভকে যা খুশি সম্পদ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। ক্লাইভ নিয়েছিলেন এক লক্ষ ষাট হাজার পাউন্ড। তিনি অর্ধ মিলিয়ন বিলিয়েছিলেন তার অধীনস্ত সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর মধ্যে। এরা কোম্পানীর বাহিনী। আর যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানীর লোকদের প্রত্যেককে দেওয়া হয়েছিল ২৪০০০ পাউন্ড।
মীর জাফর কর্তৃক পুরস্কারপ্রাপ্ত ভাগ্যবানদের তালিকা—
গভর্নর ড্রেক—৩১,৫০০ পাউন্ড, লর্ড ক্লাইভ—২,১১, ৫০০ পাউন্ড, মিঃ ওয়াটসন—১,১৭,০০০ পাউন্ড, কিল প্যাট্রিক—৬০,৭৫০ পাউন্ড, মিঃ ম্যানিংহাম—২৭,০০০ পাউন্ড, মিঃ বিচার—২৭,০০০ পাউন্ড, মিঃ বোডম—১১,৩৬৭ পাউন্ড, মিঃ ফ্রাঙ্কল্যান্ড—১১,৩৬৭ পাউন্ড, মিঃ ম্যাকেট—১১,৩৬৭ পাউন্ড, মিঃ আ্যামিয়েট—১১,৩৬৬ পাউন্ড, মিঃ পার্কেস—১১,৩৬৬ পাউন্ড, মিঃ ওয়ালশ—৫৬,২৫০ পাউন্ড, মিঃ স্ক্রাপটন—২২,৫০০ পাউন্ড, মিঃ ল্যাসংটন—৫৬২৫ পাউন্ড, মেজর গ্রান্ট—১১২৫০ পাউন্ড।
ইংরেজের বিজয় উপলক্ষ্যে কিছু বাঙালিবাবুও পুরস্কৃত হয়েছিলেন। একে পুরস্কার না বলে ক্ষতিপূরণ নাম দেওয়া হয়েছিলেন। দ্বারকানাথ ঠাকুরের পিতামহ নীলমণি ঠাকুর পেয়েছিলেন মীরজাফরের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের অর্থ হিসাবে—১৩,০০০ টাকা। সেই টাকা দিয়ে কোলকাতা গ্রামের পাথুরিয়াঘাটা পাড়ার জমি কিনে ভিটে তোলেন। সেখানে পরবর্তি সময়ে একঘর পাথুরিঘাটের জমিদারদের পত্তন হয়।
মীর জাফরকে সরিয়ে মীরকাশেমকে ১৭৬০ সালে পুতুল নবাব হিসেবে কোম্পানী বাংলার গদিতে বসায়। সে উপলক্ষ্যেও বিস্তর পুরস্কার জুটেছিল এই পরদেশী লুটেরাদের। পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকা—গভর্নর ভ্যানসিটার্ট—৫৮,৩৩৩ পাউন্ড, মিঃ হলওয়েল—৩০,৯৩৭ পাউন্ড, মিঃ সুমনার—২৮০০০ পাউন্ড, জেনারেল কাইলাইড—২২ম৯২৬ পাউন্ড, মিঃ ম্যাকগুইরি—২২,৯১৬ পাউন্ড, মিঃ স্মিথ—১৫, ৩৫৪ পাউন্ড, মিঃ ইয়র্ক—১৫, ৩৫৪ পাউন্ড।
১৯৬৪-৬৫ সালে মীরকাশেমকে সরিয়ে নরমপন্থী নিজামউদ্দৌলাকে গদিতে বসানে হলে আবারও পুরস্কার পায় মেজর মনরো—১৩০০০ পাউন্ড, তার অধীনস্ত সাহবরা পেল আরও ৩০০০ পাউন্ড করে পুরস্কার। আরও অনেকে পেয়েছে। দাগি মুদ্রারাক্ষস লর্ড ক্লাইভ পেয়েছিলেন—৫৮,৬৬৬ পাউন্ড।
মুর্শিদাবাদের নবাবদের কাছ থেকে এই পুরস্কার আদায়ের টাকাটা আসমান থেকে আসেনি। এই টাকাটা বাংলার প্রজাদেরই টাকা। অভাবী ভুখা নাঙ্গা প্রজাদের কাছ থেকেই আদায় করা হয়েছিল। তাদের রক্ত শোষণ করে অর্জন করেছিল জমিদার, তালুকদার, গাত্তিদাররা। তারা জমা দিয়েছিলেন রাজকোষে। সেখান থেকে ইংরেজরা নিয়েছে।
Prosperous Britis India নামে একটি বই লিখেছিলেন মিঃ ডিগবি। তিনি লিখেছেন—পলাশী এবং ওয়ার্টারলুর যুদ্ধের মধ্যবর্তি সময়ে ভারত থেকে ইংলন্ডে অন্তত ১০ কেটি পাউন্ড নগদ অর্থ চলে গিয়েছিল। The Law of Civilization and Decay নামে আরেকটি বই লিখেছেন ব্রুকস এডামস। তিনি বলেছেন— শিল্পবিপ্লব কার্যত শুরু হয় ১৭৬০ সালে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ ও সোনা-রূপা ইংলন্ডে পৌঁছানোর পরে।
আর সে সময়ে বাংলায় দুর্ভিক্ষে মানুষ গরু-জরু বেঁচে দিচ্ছে। গাছের পাতা-ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে। না খেতে পেয়ে তিনভাগের এক ভাগ মানুষ মারা যাচ্ছে। তিন ভাগের এক ভাগ মানুষ খাজনা দেওয়ার ভয়ে পালিয়ে বনে জঙ্গলে পালিয়ে বাঘের পেটে যাচ্ছে। বাকীদের পিঠের চামড়া তুলে খাজনা আদায় করে এইসব ইংরেজ লুটেরাদের পকেটে ভরে দেওয়া হচ্ছে।
১৭৮২ সালে ইংলন্ডে পৌঁছে মেজর জন স্কট ওয়ারেন হেস্টংইসকে একটি চিঠিতে লিখছেন—আমাদের ব্যবসার হয়তো মন্দা দেখা দিয়েছে, কিন্তু আজকের মতো এমন বিপুল বৈভব বোধহয় এই রাজ্যে কখনো ছিল না। আমি ২০০ সোনার মোহর গলাতে দিয়েছিলাম একজনকে, তিনি জানালেন গত বারো বছর তিনি অন্তত দেড় টন সোনার মোহর এবং প্যাগোডা গলিয়ে ‘বার’ তেরি করে দিয়েছেন। তার মানে প্রতি বছর গড়ে ইংলন্ডে মজুত হয়েছে ১৫০ হাজার পাউন্ড।
কেউ কেউ আবার সে সময় বাংলা থেকে ইংলন্ডে হীরেও নিয়ে যেত। হীরের আমদানি এত বেড়ে গিয়েছিল যে তখন ইউরোপের বাজারে হীরার দাম পড়ে গিয়েছিল। ওয়ারেন হেস্টিংসপত্নী কোনো পার্টিতে তিরিশ হাজার পাউন্ডের গহনা পরে যেতেন। এই টাকা বাংলার মানুষের টাকা।
১৭৬৯ সালে বাংলাকে কয়েকটি জেলায় ভাগ করা হয়। প্রত্যেক জেলায় একজন করে সুপারভাইজার নিয়োগ করা হয়। এই পদটিই ১৭৭২ সালে কালেক্টারে রূপান্তরিত করা হয়। এই জেলার কালেক্টারদের প্রধান কাজই ছিল দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল বিত্ত-বৈভবের মালিক হওয়া। কেউ কেউ এরা সুদের ব্যবসা করতেন। কেই কেউ দুনম্বরী ব্যবসাবানিজ্য। জন বাথো নামে বর্ধমানের এক কালেক্টার দেশী একজন জমিদারকে লবণের ব্যবসা পাইয়ে দেন বার্ষিক আটাশ হাজার পাউন্ড ঘুষের বিনিময়ে। শ্রীহট্টের কালেক্টার কোম্পানীর কাছে হাতির ব্যবসা করে অনেক টাকা রোজগার করেছেন।
ক্লাইভ আঠার বছর বয়সে ভারতে এসেছিলেন। তিনি চাকরী পেয়েছিলেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীতে একজন রাইটার বা কেরানী হিসেবে। পরে প্রতিভাবলে কোম্পানীর উচ্চপদে চলে যান। হয়েছিলেন গভর্নর জেনারেল। সিরাজউদ্দৌলাকে হারানোর পরে ১৭৬০ সালে ক্লাইভ যখন ইংলন্ডে ফিরে যান তখন সঙ্গে নিয়েছিলেন তিন লক্ষ পাউন্ড। ভারত থেকে তার জমি সম্পত্তির আয় থেকে বার্ষিক আয় ছিল ২৭০০০ পাউন্ড। সে সময়ে তার বার্ষিক আয় ছিল ৪০০০০ পাউন্ড।
এই ইংরেজরা তখন হয়েছিলেন নবাব। এইরকম একজন নবাবের নাম হল---মিঃ হিকি। উইলিয়াম ম্যাকিনটস হিকির দৈনন্দিন জীবন সম্পর্কে লিখেছেন-- সকাল সাতটা নাগাদ দারোয়ান নবাববাহাদুরের গেট খুলে দিল। নিমেষে বারান্দাটি সলিসিটার, রাইটার, সরকার, পিওন, হরকরা, চোপদার, হুক-বরদার ইত্যাদিতে ভরে গেল। বেলা আটটায় হেড বেয়ারা এবং জমাদার প্রভুর শোয়ার ঘরে প্রবেশ করবে। একটি মহিলাকে তখন শয্যাত্যাগ করে একান্তে প্রাইভেট সিঁড়ি ধরে উপরে উঠতে দেখা যাবে,--অথবা বাড়ির অঙ্গন পরিত্যাগ। নবাব বাহাদুর খাট থেকে মাটিতে পা রাখামাত্র অপেক্ষমান ভৃত্যবহর তৎক্ষণাৎ ঘরে ঢুকে পড়বে। তারা আনত মাথায় পিঠ বাঁকিয়ে প্রত্যেকে তিনবার তাঁকে সেলাম জানাবে। ওদের হাতের একদিক তখন কপাল স্পর্শ করবে, উল্টো দিকটা থাকবে মেঝেতে। তিনি মাথা নেড়ে অথবা দৃষ্টিদানে তাদের উপস্থিতিকে স্বীকৃতি জানাবেন।
পারসিভাল স্পিয়ার একটি বই লিখেছেন—The Nababs নামে। বইটিতে কয়েকজন মৃত লুটেরা নবাব সাহেবের রেখে যাওয়া অস্থাবর সম্পত্তির বিববরণ আছে। তার মধ্যে নিকোলাসের ঘরে পাওয়া যায় রাশি রাশি দামি আসবাব। বেশ কিছু ঘড়ি, আয়না, লণ্ঠন, রকমারি পালকি, বিপুল সংখ্যক বাসনপত্র, চা, কফি, পান, তামাকের বিবিধ সরঞ্জাম, বিভিন্ন মদের বোতল এবং আরও অনেক কিছু। তার মালসামানের জন্য ছিল পাঁচটি গুদাম। বারওয়েল নামের একজন নবাবের খাওয়ার সময় উপস্থিত থাকত প্রাতঃরাসের সময় তিরিশজন, মধ্যাহ্ণভোজের সময় পঞ্চাশজন এবং রাত্রির খাওয়ার সময়ে অগণিত। খেয়ে দেয়ে মধ্যরাত্র অবধি নাচের আসর হত। ভোর পর্যন্ত মদ্যপান।
হিকি নামে একজন নবাব ১৭৯৬ সালে গভর্নরের বাড়ির পাশেই পার্কের গা ঘেষে নদী পড়ে একটি প্রাসাদতুল্য বাংলো তৈরি করেছিলেন মাত্র ছয়মাসের মধ্যে। তার আর্কিটেক্ট আর মিস্ত্রিরা ছিল পশ্চিমি। কলকাতার চূঁচুড়ার এই বাংলোটি তিনি উপহার দিয়েছিলেন তার রক্ষিতা এক জমাদারনিকে। তার খরচ পড়েছিল চল্লিশ হাজার টাকা। হিকির বউ শার্লট যখন মারা গেল তখন হিকির জন্য কাজ করত তেষট্টিজন ভৃত্য।
এরকম রাশি রাশি নবাব তখন কোলকাতায় ছিলেন। তারা বাংলাকে লুটপাট করেছেন। এদের লুটপাটের অর্থের অন্যতম যোগানদাতা ছিলেন স্থানীয় বাবুশ্রেণী, জমিদার।
এই নবাবদের ইংলন্ডের সমাজে ভাল চোখে দেখ হত না। তাদের মন্তব্য হল-- এরা সবাই হয় দারোয়ান-তনয় অথবা দাসীপুত্র। হৃদয়হীন এই পাষণ্ডের দল প্রত্যেকই হাজার হাজার নেটিভের হত্যাকারী। হিন্দুস্থানে তাঁদের কেউ একশো নিরীহ মানুষ খুন করে এসেছেন—কেউ বা পঞ্চাশ হাজার। এদের দিকে তাকানোও পাপ।
তারা বাংলা থেকে লুটপাট করা অর্থ দিয়ে ইংলণ্ডে কাটিয়েছেন বিলাসবহুল জীবন। টাকা পয়সা দিয়ে ১৭৬০ থেকে ১৭৮৪ সালে এরকম ৩০জন নবাব পার্লামেন্টের আসন অলঙ্কৃত করেছেন। এদের সম্পর্কে একজন লিখেছেন—লজ্জার কথা সেদিন জনৈক নবাব এক ভদ্রসম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন। তিনি সঙ্গে নিয়েছিলেন একজন রূপোজীবিনীকে। অন্য একজন লিখেছেন—সাবধান, কোনও ভদ্রমহিলা যেন ভুলেও কখনও কোনও নবাবের সঙ্গে না নাচেন। তাদের নবাব তখন দাস-ব্যবসায়ী. ওয়েস্ট ইন্ডিজের খামার মালিকের চেয়েও ঘৃণ্য এক অসামাজিক জীব। তারা ভালো বাড়ি কেনে, ভালো খায়, যত খায় তার চেয়ে বেশি অপচয় করে, ছড়ায়। তারা ডুয়েল লড়ে, জুয়া খেলে,--মাত্রাহীন বিলাসে গা এলিয়ে দিয়ে ভদ্রসমাজকে ব্যঙ্গ করে। *
পোস্টসূত্র :
১. রবি ঠাকুর, রাহাজানি এবং রবীন্দ্র পূজারীবৃন্দ : ফরিদ আহমদ ও অভিজিৎ রায় : লিংক
২. রবীন্দ্রনাথের জমিদারগিরি—জমিদারের রবীন্দ্রগিরি--কুলদা রায় ও এমএমআর জালাল, প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব ও তৃতীয় পর্ব
গ্রন্থসূত্র :
১. ঐতিহাসিক অনৈতিহাসিক : শ্রীপান্থ
২. হাজার বছরের বাঙ্গালী : গোলাম মুরশিদ
৩. ভারত-সন্ধানে : জহরলাল নেহেরু
৪. The Nabobs : Percival Spear
৫. The Annals of Rural Bengal : W W Hunter : লিংক
কুলদা রায় ও এমএমআর জালাল লিখিত রবীন্দ্রবিরোধিতার স্বরূপ সিরিজের লিংক----
১. বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা ও রবীন্দ্রনাথ : 'গ্রহগণ জীবের আবাসভূমি' থেকে 'বিশ্বপরিচয়'---প্রথম পর্ব : লিংক
দ্বিতীয় পর্ব: লিংক , তৃতীয় পর্ব
২. আমি কোথায় পাব তারে থেকে আমার সোনার বাংলা :
৩. রবীন্দ্রবিরোধিতার স্বরূপ : পাকিস্তান পর্ব :
৪. রবীন্দ্রনাথ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেন নাই : প্রথম পর্ব, দ্বিতীয় পর্ব
মন্তব্য
অসাধারণ সাথে আছি, চলুক! ধন্যবাদ
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'
ভাল লাগল। চলুক।
আচ্ছা নিজামউদ্দঔলা কি সিরাজুদ্দঊলাহ'র বংশের কেউ ছিল?
জমিদারদের সম্বন্ধে ঢালাও ভাবে লেখা প্রজাদের এই হেন ইতিহাস-বিক্রীত unsubstantiated historicism এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
~ শ্রীল, শ্রীযুক্ত, জমিদার-বাহাদুর, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী, BA, MA, LLM, PhD.
Zamindar of the Baliadi Estate (circa 1632 - 1991)
ইড়াদ ভাইয়া, ১৯৯১ সালে কী হইছিল? জমিন্দারি ছাইড়া দিলেন ক্যান?
আপনিই তো সেই লোক যে সচলে "জমিদার'রা উঁচু শ্রেণী আর প্রজারা নিচু শ্রেণী' ধরনের মন্তব্য করেছিলেন! এখন এসেছেন "জমিদার বিষয়ক ইতিহাস বিকৃতি' আবিষ্কার করে তার প্রতিবাদে! প্রথম দিকে হাসি আসত। মনে হতো আপনি লোক হাসানোর জন্য ইচ্ছে করে এসব করছেন। পরে করুণা হতো। একটা লোক তার পূর্ব পুরুষের পদবীর[১,২] উপর দাঁড়িয়ে এই সময়ে নিজেকে উঁচু শ্রেণীর দাবী করার চেষ্টা করছে! এই লোক মানসিকভাবে অসুস্থ না হয়ে যায়না! কোনো সন্দেহ নেই যে লোক সামাজিক শ্রেণী এবং পূর্বপুরুষের নামের উপর সিংহাসন পাততে চায় তার চিকিৎসা দরকার। কে না জানে এই দেশে মানসিক রোগীরা অনেকক্ষেত্রে পূজিত হয়! যেটা বলতে চাইছিলাম, এখন আপনার উপর আর করুণা হয়না, বিরক্ত লাগে। একটা লোক নিজেকে শিক্ষিত দাবী করে এই হারে ভাঁড়ামি করছে দেখলে খুবই বিরক্ত লাগে!
১. দাবী কতটুকু সত্য জানিনা।
২. বলদিয়ার জমিদাররা মিরজাফরের বংশধর বলে জানি। জাতির সঙ্গে বেঈমানীর ইতিহাস তাদের একটা নয়।
______________________
নিজের ভেতর কোথায় সে তীব্র মানুষ!
অক্ষর যাপন
উরিচ্ছালা... ক্যাঠায় এইঠা!
অরে তোরা কে কুতায় আচিশ, জনাবে আলা হুজুরে ক্বেবলা ~ শ্রীল, শ্রীযুক্ত, জমিদার-বাহাদুর, চৌধুরী ইরাদ আহমেদ সিদ্দিকী, BA, MA, LLM, PhD.-রে তোরা কুঞ্জ সাজায়া, নকশী করা জলচৌকি পাইত্যা বইতে দে। পদবীর ভারে তো তিনি বামন থেকে বামনতর হয়ে যাওন ঘটাইতেছেন!
আর সচলের মডুগোরে কই, পত্রপাঠ জমিন্দার বাবুরে পূর্ণ সচল বানায়া দেওয়া হৌখ। তেনার ইস্টেটে থাইকা তেনার লগেই চুদুরবুদুর? এইত্তা ছইল ত ন...
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকাণ্ড । বিএসএফ ক্রনিক্যালস ব্লগ
BA, MA, LLM, PhD.
_ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _ _
একজীবনের অপূর্ণ সাধ মেটাতে চাই
আরেক জীবন, চতুর্দিকের সর্বব্যাপী জীবন্ত সুখ
সবকিছুতে আমার একটা হিস্যা তো চাই
আর আমি জমিদারতন্ত্রের ইতিহাস-স্বীকৃত substantiated insubstantial parasitism - এর তীব্র নিন্দা জানাই !
****************************************
আহা ! কতদিন পর জমিন্দার মহাশয়ের পদধূলি পড়লো !
প্রজাদের মাঝখানে এসে আসন পাতায় শুকরিয়া গো মাননীয় শ্রীল, শ্রীযুক্ত, জমিদার-বাহাদুর।
'৯১এর নির্বাচনে কি আপনার জমিন্দারী ছুইট্যা গেসিলো?
ভালো লেগেছে।
আমি ধুসর গধুলি বাবুর উপরে লিখিত সাত নম্বর প্রস্তাবকে সমর্থন করলাম। জমিদারদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ বিদ্রুপ না করে আপনারা যদি প্রকৃ্তই গণতন্ত্র পিপাসু একটি সামাজের অংশ হন, তবে আপনাদের উচিত গণতন্ত্রের কল্যাণে আপনাদের সকল শ্রেণী সুলভ হীণমন্যতা এবং বামপন্থী, socialist ও proletarian খুদ্রতাগুলো বর্জন আথবা পরিহার করে প্রাক্তন এই শ্রীল, শ্রীযুক্ত, জমিদার-বাহাদুরকে অচিরেই "সচল" হিসেবে গ্রহন করা।
"আমরা সবাই রাজা, আমাদের এই রাজার রাজত্বে, নইলে মোদের রাজার সনে মিলব কি শর্তে।"
এই গানটি, আমার প্রোপিতা্মোহের বিশেষ বন্ধু, জোড়াসাকো ঠাকুরবাড়ীর জমিদার-বাহাদুরেরইতো লেখা গান। তিনি তার প্রতিভার স্পর্শে আমাদের জাতীয় সংগীতটি যদি রচনা না করতেন, তবে কি শ্রীমাণ হুমায়ুন আহমেদ আথবা শ্রীমাণ আনিসুল হক আথবা শ্রীমতি তাসলিমা নাসরিন কি আমাদের জাতীয় সংগীতটি রচনা করতেন এবং শ্রীমান মোসাদ্দেক আলী ফালু কি তাতে সুর দিতেন? শ্বেত টুপি পরিহিত বাংলার বিশিষ্ট মোল্লাকূলের কন্ঠে সেই জাতীয় সংগীতটি শ্রূতিমধুর হ্ত না (বাংলায়)
একানব্বই সালে কী হৈছিল বললেন না যে? জমিন্দারি ছাইড়া দিলেন ক্যান?
বাহ্, যেখানে জমিদারের কথা সেখানেই ইনি। এনাকে অনরারি সদস্যপদ দেয়া হউক।
জমিদার স্যার, কই কি ইয়ে ইয়ে মানে আপনার প্রজারা কেমন আছে? আর আমাদের মতো অধম প্রেজাদের ( প্রজা অইতে পারলাম না ) জন্য কী আপনাদের নতুন কোনো স্কিম আছে। জানতে মঞ্চায় । আর জমিদারি ছাইড়া অহন কী কত্তিছেন কত্তা
নতুন মন্তব্য করুন