বিড়ালদের কালো গপ্পটি আসলে বিড়ালদেরই গপ্প : হিন্দু বা মুসলমানের নয়

কুলদা রায় এর ছবি
লিখেছেন কুলদা রায় [অতিথি] (তারিখ: সোম, ১৬/০৪/২০১২ - ৯:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বিড়ালটি ধরা খেয়েছে।

বিড়ালটি মাছ খেয়েছে চুরি করে। মনিরদের বাড়িরও খেয়েছে। আবার সুবাস গোমেজদেরও খেয়েছে। আমার মা সেদিন মাছ ভেজে কলতলায় গিয়েছিল কড়াইটা ধুতে। এসে দেখে নেই। থালাটি ফাঁকা। বিড়ালটি ভাজা মাছ নিয়ে উধাও হয়েছে।

বিড়ালটির স্বভাবই চুরি করে মাছ খাওয়া। চুক চুক করে দুধ খাওয়া। চুরি করে খাবে --কিন্তু এমন সাফ সুতোরো করে থাকবে, যেন তার বাপের জন্মে কেন ঠাকুরদার জন্মেও কখনো কোনো বিড়াল চুরি করে নি। তারা চুরি করতে জানেই না। তারা তপস্বী। বিড়াল কয় মাছ খাব না, কাশি যাব।
প্রশ্ন হল এই বিড়ালটি সাদা কি কালো, ছোটো কি বড়ো, হুলো কি মায়া, হিন্দুর না মোসলমানের--এটা নিয়ে কেউ কখনো প্রশ্ন করে নি। সবাই বলে, বিড়াল চোর। চুরি করাই তার স্বভাব। স্বভাব যায় না মলে।

আমাদের সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত দিরাইয়ের অতি সম্ভ্রান্ত সেন পরিবারের ছেলে। আদিতে তিনি সাম্যবাদী রাজনীতিতে ছিলেন। এখন সেখানে নেই। পুরাই কাম্যবাদীতে আছেন। তথ্য বলে-- সম্ভ্রান্তদের ইতিহাসটাই কাম্যবাদিতার ইতিহাস। তারা চিরকাল বিড়াল।

সুধাংশু শেখর হালদারকে দেখেছি নির্বাচনের সময়। তিনি নমশুদ্র। একদা দরিদ্র ছিলেন। ধনী শ্বশুরের কল্যাণে বিদ্যাধর হয়েছিলেন। তিনি পিরোজপুর থেকে নির্বাচন করলেন তখন রায়েরকাঠির গ্রাম্যপোস্টোমাস্টার নীলবাবুর বখে যাওয়া গোপাল নামে রাখাল ছেলেটিকে চাঙ্গে তুলেছিলেন। গোপাল ছেলেটি নকল করতে গিয়ে পরীক্ষায় বহিস্কৃত হয়েছিল। এটাই তার বড়ো সার্টিফিকেট। সুধাংশু বাবু দেলাওয়ার সাঈদীর কাছে হেরে গেলেও ছিয়ানব্বইয়ের কালে হালদার বাবুই পিরোজপুরের দাদাগিরিতে ছিলেন। তিনি সেখানে মাছের বদলে সবজি খান নি।

সুধাংশু বাবু হেরে গিয়েছিলেন কেন? তিনি টাকার বস্তা নিয়ে নেমেছিলেন। জনগণকে নিয়ে নয়। এই টাকার বস্তাগুলো নিয়ে গোপাল তার ভাঙা ঘরের চালের ফুটো বন্ধ করেছিল। রাজার হাটের সিকদার সাবরা ধপাধপ কয়েকটা বস্তা গাপ করেছিলেন। বিশিষ্ট ধর্ষক শেখ বাদশাও দাদায় কিছু দ্যান বলে কিছু বস্তা ছেলেকে দিয়ে বয়ে নিয়ে গিয়েছিল। সমস্যা এখানে নয়। সমস্যা ছিল শঙ্করপাশার রাজাকার চেয়াম্যানের পোলা আউয়াল মিয়া। তিনি দুএকটা বস্তা নয়--বস্তার পুরো লটটাই চেয়েছিলেন। সেটা পেয়েওছিলেন। তবে সুধাংশুশেখর হালদারের কাছ থেকে নয়—পেয়েছিলেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির কাছ থেকে। ফলে মাত্র শ পাঁচেক ভোটে সুধাংশ বাবু হেরে গিয়েছিলেন। কিন্তু রায়ের কাঠির গোপাল, শঙ্করপাশার আওয়াল সাব জিতেছিলেন।

রায়েরকাঠির এক্স জমিদার অর পত্তনীদারদের এক পুরুষ গৌরাঙ্গ রায়চৌধুরী মুখ ব্যাজার করে বলেছিলেন, দাদা, খুব মুশকিলে আছি।
--মুশকিলটা কি?
--মুশকিলটা হল আমাগো আশ্রিত নীলুর দুষ্টু ছেলে গোপালতো এখন মোগো বাড়িটাই দখল করতে চায়। ঘটনা এইরকম।

সে সময় পিরোজপুরের এলজিইডির এক্সইএন গোপালের বাড়িতে গাড়ি নিয়ে আলাপে আসতেন। আওয়াল সাবের পাড়েরহাট রোডের দোতলা বাসায় চোলাই ব্যবসারও ট্যাক্স চলে আসত। আর যুদ্ধাপরাধী সাঈদী পবিত্র সংসদে চলে গিয়েছিল। সাঈদীকে এমপি করতে আওয়ামী লীগার আউয়ালের অবদান কিংবদন্তী। এখন সাঈদীর যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে। তার বশংবদ আউয়াল আওয়ামী লীগের এমপি। তিনি সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী যোগান দাতা। একই সঙ্গে সাঈদীর পার্মানেন্ট বেয়াইও বটে। সাঈদীর বিচারের অবস্থা কি হবে?--আলোমুল গায়েব জানেন। এই-ই ট্রাজেডী।

সেই টাকার বস্তা নিয়ে সুধাংশু শেখরের নির্বাচন করাটাও দুর্নীতি, গোপালের শ্রী গোপালচন্দ্র হয়ে ওঠাটাও দুর্নীতি। আউয়াল এমপির সাঈদী কানেকশন এন্ড রিয়েল প্রাপ্তিটাও দুর্নীতি। গোপাল হিন্দু কি মুসলিম এটা বড় প্রশ্ন নয়। আউয়াল ইহুদী কি খেরেস্তান কেউ খোঁজে না। তিনি পিরোজপুরের গড ফাদার এটাই কথা। এরা সবাই বিড়াল বংশের লোক। এরা যদি বলে মাছ খাব না কাশি যাব—তা হবে না।

সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত পাঁচমাসের মন্ত্রী হয়েছিলেন। এর মধ্যে তিনি কোটি কোটি টাকার কায়দা করেছেন। তার এপিএসের গাড়িতে বস্তায় টাকা থাকে। তাহলে ব্যাংকে কত টাকা আছে? আর সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্তর কাছে কত আছে? সেই চিকন আলীর গল্পটির মত। মোটাসোটা লোকটিকে দেখে একজন শুধাল, ভাই, আপনের নাম কি? লোকটি ঘড়ঘড়ে গলায় জবাব দিল, চিকন আলী। শুনে সেই একজন আঁতকে উঠে বলল, ভাইরে, এই যদি চিকন আলীর ফিগার হয়, তাইলে মোটা আলীর ফিগার কি প্রকার? বোঝেন।

সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত বহু আগে থেকেই দিরাই এলাকার বহু সংখ্যালঘুর ব্যক্তিগত এবং দেবোত্তর সম্পত্তি নিজের নামে করে নিয়েছেন। এগুলো তার স্রেফ লুটপাট-- পত্রিকা থেকে পড়ে জেনেছিলাম। তাঁর ছেলে ৩০ কোটি টাকার কী একটা ব্যবসা ধরতে যাচ্ছে। দিরাইতে সেন মার্কেট রেডি। ৭০ লাখে ধরা খাওয়ায় তার উদ্বোধনে ফিতা কাটতে যেতে পারেন নি সেনবাবু। পরে যাবেন। এই টাকাগুলো আসমান থেকে এসেছে?

সৈয়দ আবুল হোসেন আঙুল ফুলে হিমালয় পাহাড়। তার মেয়ে রূবাইয়াৎ হোসেন ছয় কোটি টাকা ব্যয় করে পাকিস্তানী মুভি মেহেরজান করতে দ্বিধা করে না। একাত্তরের পরপরই এই সৈয়দ আবুল হোসেন কেরানীগিরি করে মাসে মাত্র সাড়ে সাত শো টাকা বেতন পেতেন। এখন মাসে সাড়ে সাতশো কোটি টাকা তার আয়। দেশে উন্নতি কাকে বলে।

এরশাদ কী পরিমাণ দূর্নীতি করেছিল তার প্রমাণ জাতীয় পার্টির মতো একটা হাতি পোষা হচ্ছে তার সেই চোরা টাকায়। সম্প্রতি এরশাদ একটা ব্যাংক করেছে। আর তার লোলুপনার পিছনে বাংলার মানুষের রক্ত জল করা টাকা ব্যয়েত হচ্ছে কোটি কোটি। খালেদা জিয়ার দুই ছেলে তারেক এবং কোকো দুর্নীতির জগতে ইতিহাস। মোসাদ্দেক হাসোন ফারলু গোর খোদক থেকে ধনকুবেরের জীবনকাহিনী একটি পাতিহাস। শেখ হাসিনার গীতিহাসটাও ক্রমে ক্রমে টের পাওয়া যাচ্ছে। রাজনীতিটা দুর্বত্তদের কবলে। দেশের আমলাতন্ত্র সেটা সিভিলই হোক—মিভিলই (মিলিটারি) হোক সেটাও বেড়ালদের আত্মকথা মাত্র। কোটি টাকা ছাড়া এদের কোনো কোনো গপ্প নেই।

সেক্ষেত্রে সুরঞ্জিৎ, ফালু, তারেক আর বুইড়া এরশাদের কোনো তফাৎ নেই। তারা সদাসর্বদা মাছই খাবেন। আর জনগণ আঁইটা কলা।

দুর্নীতি করে ধনকুবের হওয়ায় ফালুকে চোরা ফালু হিসেবেই চিনি। মুসলমান ফালু হিসেবেই নয়। তারেককে তারেক চোরা হিসেবেই জানি। তারেক মুসলমান হিসেবে নয় জানি না। এরশাদকে সবাই মুসলমান চোরা এরশাদ হিসেবে নয়--চোরা এরশাদ হিসেবে মানে। সুতরাং চোরা সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্তকে হিন্দু সুরঞ্জিৎ হিসাবে মনে করার কোনো কারণ নেই। তিনি চোরা সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত। এই নামে তার খ্যাতি হোক। আর কিছু নয়।

যে বা যারা সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্তকে হিন্দু চোরা হিসেবে প্রচার দিচ্ছেন, অথবা যে বা যারা সুরঞ্জিৎ খুবই সাধু প্রকৃতির হিন্দু লোক, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার এবং হিন্দু সাধু সুরঞ্জিৎ নয়—চুরি কর্মটি করেছে তার মুসলমান এপিএস ওমর আলী, হিন্দু হওয়ায় তাকে জোর করে চোর বানানো হচ্ছে, মুসলমান হলে চুরি করেও আড়ালে থেকে যেতেন বলে জোর প্রতিবাদ ট্রতিবাদ করছেন—তারা দুপক্ষই প্রতারক। এদের কথাকে উড়িয়ে দিন।

সোজা কথা, দূর্নীতি তো দুর্নীতি—এর আবার হিন্দু মুসলমান কি?

দুর্নীতিবাজকে না বলুন।

ছবি: 
08/31/2009 - 2:55পূর্বাহ্ন

মন্তব্য

কাজি মামুন এর ছবি

সোজা কথা, দূর্নীতি তো দূর্নীতি- এর আবার হিন্দু কি মুসলমান?

চলুক চলুক

Man in the Iron mask এর ছবি

মানলাম ।

সাই দ এর ছবি

লেখার সাথে একমত।
আমার একটি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ আছে- আওয়ামী লিগে কম সময় ক্ষমতা থাকায় চুরি করাটা ভাল ভাবে শিখতে পারে নাই। মানে শিল্পটা সেই ভাবে আতস্থ করতে পারে নাই। এই জন্য অনেকেই টাকা মারতে যেয়ে ধরা খায়।

cresida এর ছবি

তাই হওয়া উচিৎ। ভালো লাগলো আপনার লেখা।

ক্রেসিডা

কুলদা রায় এর ছবি

গান শুনুন__
বিড়াল বলে মাছ খাব না কাশি যাব
লিংক

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

দুর্দান্ত এর ছবি

হ!

চুপচাপ এর ছবি

আরেকটু যোগ করা দরকার-'এরা সাম্যবাদী (ইনু/মেনন) হইলেও চোর, কাম্যবাদী হইলেও চোর' গড়াগড়ি দিয়া হাসি

আমি_কেউ_না এর ছবি

ভাই অতি সত্য কথা বলেছেন। সাম্যবাদীরাও আসলে চোরই হয়। এরা খালি মুখোশ পইরা থাকে, দেখে শুনে মনে হয় কত ভাল মানুষ। মানুষ নিয়া কত ভাবনা তাদের। আসলে সব শালা রাজনীতিবিদরাই চোর। কোলকাতায় ভং ধরা সাম্যবাদীরা যে কি দুশ্বাসন চালাইছে, এটা না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। মানুষজন বুঝতে পেরে অবশ্য তাদের ঠিকই ঘরছাড়া করছে।

চুপচাপ এর ছবি

ভাই এখানে কমেন্ট করতে গেলেই দেখাচ্ছে 'please fill up the word verification below', কিন্তু অনেক খুজেও আমি কোন কিছু ফিল আপ করার মত দেখলাম না

অতিথি এর ছবি

উত্তম জাঝা! চলুক

নিলয় নন্দী এর ছবি

যারা এসব বলছেন তারা নিজেরাও জানেন বাস্তবতা কী।
চোরের ধর্ম চুরি করা, হিন্দু কি মুসলমান সেই হিসেব ধুয়ে কি তারা পানি খাবে?
খাইছে মানে জল খাবে, আর কি !

বিলাস এর ছবি

ঠিক বলেছেন। চলুক

সৌরভ কবীর  এর ছবি

উত্তম জাঝা!

সাবেকা এর ছবি

হ ।

rosy এর ছবি


সোজা কথা, দূর্নীতি তো দূর্নীতি- এর আবার হিন্দু কি মুসলমান?

....ভাইয়া, এত সুন্দর করে আর কাউকে বলতে দেখিনি। অসাধারন হয়েছে...

rosy এর ছবি


সোজা কথা, দূর্নীতি তো দূর্নীতি- এর আবার হিন্দু কি মুসলমান?

....ভাইয়া, এত সুন্দর করে আর কাউকে বলতে দেখিনি। অসাধারন হয়েছে...

লাবণ্যপ্রভা এর ছবি

লিখা চরম হইছে "দূর্নীতি তো দূর্নীতি- এর আবার হিন্দু কি মুসলমান?"

রাতঃস্মরণীয় এর ছবি

সাঈদীকে এমপি করতে আওয়ামী লীগার আউয়ালের অবদান কিংবদন্তী।

সেই সময় একটা হুজুগ তোলা হয়েছিলে মনে আছে, এলাকার ছেলেকে বঞ্চিত করে বহিরাগতকে মনোননয়ন দেওয়া অন্যায়। হালদার সম্ভবত তার নির্বাচনী এলাকার ভাগ্নে নাহয় জামাই। সেই হুজুগ বেশ কাজেও এসেছিলো। হালদারের নিজের বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের মহিষপুরা গ্রামে। সেখানে তার ছোট ভাই প্রবীর হালদার প্রায় আজীবন চেয়ারম্যান। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী প্রবীরের দাপটে বাঘে-মোষে এক ঘাটে জল খেতো।

------------------------------------------------
প্রেমিক তুমি হবা?
(আগে) চিনতে শেখো কোনটা গাঁদা, কোনটা রক্তজবা।
(আর) ঠিক করে নাও চুম্বন না দ্রোহের কথা কবা।
তুমি প্রেমিক তবেই হবা।

কুলদা রায় এর ছবি

সুধাংশু শেখর পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার এক গ্রামের জামাই। পিরোজপুর শহরের পশ্চিম পাশে বলেশ্বর নদী। তার ওপারে মহিষপুরা। ওখানেই সুধাংশু শেখরের নিজের বাড়ি। কিন্তু শ্বশুরের জামাই হিসেবেই নাজিরপুরের সঙ্গে তার পরিচিতি ছিল বেশি। তার চেয়েও বড় পরিচয়--তিনি বরিশাল বাগেরহাট এলাকার হিন্দু লোকজনদের কেসকারবারি করে বেড়াতেন। এটা নিয়ে হিন্দুদের মধ্যে বেশ অসন্তোষ ছিল। তিনি ধনী -দরিদ্র বিবেচনা করতেন না। টাকা ছাড়া কেন কেস। ফলে হিন্দুদের মধ্যেই তিনি খুব বেশী জনপ্রিয় ছিলেন বলে মনে হয় না।
তারপর পিরোজপুরের আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই ছিল না। তাঁর ছিল সাংঘাতিক অহমিকা। ফলে সাধারণ মানুষ তার কাছে পাত্তাই পেত না। এছাড়া আরও কিছু কারণ ছিল সুধাংশু শেখরের নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ। সেটা মুল পোস্টে বলেছি।

...............................................................................................
'এই পথ হ্রস্ব মনে হয় যদিও সুদূর'

বনের রাজা টারজান এর ছবি

আপনার লেখার ধার দারুন উপভোগ করেছি।

নতুন মন্তব্য করুন

এই ঘরটির বিষয়বস্তু গোপন রাখা হবে এবং জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে না।